Child Disease & Surgical Care - BD

Child Disease & Surgical Care - BD Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Child Disease & Surgical Care - BD, Paediatrician, Dhaka.

শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে পরিচালিত পেইজ। শিশুদের অনলাইন চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

📞 For online consultation : Call or What's App ➡️ 01974088128

📘ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে ক্লিক করুন➡️ https://m.facebook.com/groups/cdscbd

জেনে রাখা ভালো.....
03/12/2025

জেনে রাখা ভালো.....

03/12/2025

বাচ্চার জন্য নিচের পরামর্শ মেনে চলি, হাসপাতাল-ঔষধ থেকে দূরে থাকি:

আপনার শিশুর সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই 'শিশু চিকিৎসক' এর পরামর্শ নিন, অন্য কারো কাছে গিয়ে ভুল/অসম্পূর্ণ চিকিৎসা নিয়ে শিশুর ক্ষতি করবেন না।

➡️ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য পরামর্শঃ

শিশু বুকের দুধ খেলে বারবার বুকের দুধ খাওয়ান। শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশি হলে খিচুরী এবং কাঁচা কলা ভর্তা, ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, রাইস স্যালাইন দিন। মিষ্টি খাবার, ফল, গরুর দুধ দিবেন না।

অতিরিক্ত বমি, জ্বর, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে, খিচুনি অথবা নেতিয়ে পড়লে/কিছু না খেলে দ্রুত হাসপাতালে নিন।

বেশির ভাগ রোগী শুধুমাত্র খাবার স্যালাইন খেয়েই সুস্থ হয়, তাই ধৈর্য ধরে সঠিক নিয়মে স্যালাইন খাওয়াবেন।

➡️সুস্থ নবজাতক/সদ্যভূমিষ্ট শিশুর জন্য করণীয়ঃ

প্রথম এক ঘন্টার ভেতর মায়ের শালদুধ খাওয়াবেন। সর্বক্ষণ মায়ের কোলে রাখবেন। মধু, চিনি, পানি, কৌটার দুধ অথবা অন্য কিছু মুখে দিবেন না।

প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াবেন, প্রতিবার খাওয়ানোর পর সঠিক নিয়মে ঢেকুর তোলাবেন। মাঝে-মাঝে বলি করলে। ভয়ের কিছু নেই। প্রতিদিন ৫-৬ বার প্রস্রাব করে কিনা লক্ষ্য রাখবেন।

প্রতিদিন সকালে ২০ মিনিট করে ২ সপ্তাহ সকালের রোদ গায়ে লাগাবেন।

নিয়মিত টিকা দিবেন। শিশুর নাভীতে কিছু লাগাবেন না, নাভী শুকনা ও পরিষ্কার রাখবেন।

➡️শিশুর সর্দি-কাশি হলে করণীয়:

বয়স ৬ মাসের বেশী হলে মধু, তুলসি পাতার রস, হালকা গরম লেবু চা, আদা চা দৈনিক ৩-৪ বার দিবেন।

ঠান্ডা খাবার দিবেন না, ধূলোবালি/ঠান্ডার ভেতর নিবেন না।

বাসায় অন্য কেউ আক্রান্ত থাকলে চিকিৎসা নিতে হবে এবং শিশুর কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

কিছুক্ষণ পরপর হাত সাবান দিয়ে ধুবেন, নাক মুছবার জন্য টিস্যু/নরম কাপড় ব্যবহার করবেন।

জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ২ সপ্তাহের বেশি কালি থাকলে অবশ্যই 'শিশু চিকিৎসক' এর পরামর্শ নিবেন।

➡️শিশুর বিকাশ এবং বৃদ্ধি সঠিকভাবে না হলে করণীয়ঃ

প্রথমেই মনে রাখবেন প্রতিটি শিশুই আলাদা। একটা শিশুর সাথে অন্য শিশুর যেমন মিল থাকতে পারে, অনেক কিছুর অমিল ও থাকতে পারে এবং সেটাই স্বাভাবিক।

শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তা খুব কম। শিশু বাইরের খাবার, চকলেট, চিপস, বিস্কুট এটা-সেটা খেলে তার মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যায়, পেটে গ্যাস হয়, পায়খানা নিয়মিত হয় না এবং তার জন্য শিশু বাসার খাবার খেতে চায়না এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।

শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বাসায় বানানো পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। দৈনিক আপনার শিশুকে দুধ, ডিম, মাছ, মাংশ, শাকসবজি এবং ফল খাওয়ান। খাওয়ার জন্য শিশুকে ৩০ মিনিটের বেশী জোর করবেন না। দৈনিক খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আনুন, শিশুকে খেলাচ্ছলে খাওয়ান, খাবারটা শিশুর কাছে আকর্ষণীয় করুন। দৈনিক ৩ বেলা পর্যাপ্ত খাওয়ানোর পর মাঝে দুবার নাজ দিন, এক্ষেত্রে হালুয়া, ডিমের পুডিং, নুডুলস, সেমাই ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে।

শিশুকে নিয়মিত কৃমির ঔষধ খাওয়াবেন। ওজন যেন অতিরিক্ত না হয় সেদিকে ও খেয়াল রাখাবেন।

শিশু সঠিক সময়ে বসা, দাঁড়ানো, হাটা শিখছে কিনা, কথা বলছে কিনা, অন্য শিশুদের সাথে মিশছে কিনা লক্ষ্য রাখবেন। সারাক্ষন শিশুকে মোবাইল, ট্যাব, টিভির সামনে বসিয়ে রাখবেন না, শিশুকে সময় দিন, তার সাথে কথা বলুন, খেলুন।

➡️শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর উপায়ঃ

যা অবশ্যই করবেন: স্বাদের ভিন্নতার সঙ্গে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় খুব ছোটবেলাতেই। ৬মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে শুধু খিচুরী নয়, বরং ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেতে দিন। খেতে বসে ওর উপযোগী যেকোন খাবার ওর সামনে দিন যেমন মুড়ি, কেক, হালুয়া, পুডিং। শিশুকে নিজ থেকেই খাবার পছন্দ করার সুযোগ করে দিন। সবার সঙ্গে টেবিলে বসান, যে দেখবে অন্যরা কিভাবে খায়।

➡️যা অবশ্যই করবেন না। খাবার বেশী ভাজবেন না। জোর করবেন না। বরং প্রয়োজনে আরেকদিন চেষ্টা করুন। শিশুর খাবার যেন খুব গরম বা ঝাল না হয়। নতুন খাবার ধীরে ধীরে এবং অল্প পরিমাণে দেয়া শুরু করবেন। নাহলে খেতে গিয়ে ঐ খাবারের প্রতি ভীতি জন্মাবে। সে খাচ্ছে না দেখেই তার পছন্দের খাবার যেমনঃ চিপস, বিস্কুট, চকলেট দিয়ে দিবেন না।

©Dr.Tanvir Ahmed
Child disease and surgical care-BD

02/12/2025

আপনার অতি আদরের শিশু সন্তানের জন্য খুবই দরকারি কিছু টিপসঃ

(১) কখনো আপনার নবজাতক শিশুকে বুকের শাল দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিবেন না। অনেকে না জেনেই পানি, মধু, চিনির পানি বা মিসরির পানি খেতে দেন, এতে শিশুর অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে । শিশু জন্মের পর প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত শিশুকে গোসল করাবেন না।

(২) প্রথম ৬ মাস শিশুকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিবেন না। শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন খাদ্য ও পুষ্টি। মায়ের দুধ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী। একটি ছোট শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য যে সমস্ত খাদ্য উপাদান প্রয়োজন সে সমস্ত উপাদান মায়ের বুকের দুধে উপযুক্ত মাত্রায় বিদ্যমান।

(৩) শিশুর বয়স ছয়মাস পূর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি তাকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। কারণ এ সময়ের পরে মায়ের বুকের দুধ কমে আসতে থাকে এবং শিশুর দেহ বৃদ্ধির সাথে তার শারীরিক চাহিদা বেড়ে যায়।

(৪) শিশু যদি না খেতে চায় তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। আপনার শিশুকে বাইরের কোন খাবার, দীর্ঘ দিনের ফ্রিজের খাবার বা বাসি খাবার দেবেন না। নিজে হাতে তৈরি করুন তার খাবার।

(৫) ফল জাতীয় খাবার না ধুয়ে খাওয়াবেন না। অনেকের ধারনা কলা, কমলা ও অন্যান্য ফলমূল খেলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগে বা বেড়ে যায়। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। সব ফলমূল খেতে দিন আপনার শিশুকে।

(৬) রাতে ঘুমের মধ্যে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার যেমন ফিডারে করে দুধ দেবেন না।

(৭) ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন এর পাশাপাশি সব খাবার দিবেন শিশুকে। কোন খাবার বন্ধ করবেন না।

(৮) শিশুকে কখনোই একা একা উঁচু স্থানে বসিয়ে রেখে আপনি দূরে কোথাও যাবেন না। শিশু যতদিন না নিজে নিজে হাঁটতে পারে ততদিন শিশুকে ওয়াকার দিয়ে হাঁটানোর চেষ্টা করবেন না।

(৯) ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে শিশুকে কখনো কোন ওষুধ খাওয়াবেন না। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে কোন খাবার বন্ধ করবেন না। জ্বর হলে মোটা জামাকাপড় বা কাঁথা-কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখবেন না।

(১০) জন্মের পরপরই শিশুদের জন্ডিস হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এর নানা কারণ থাকে এবং সবসময় তা এড়ানোও সম্ভব হয় না। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যে নবজাতকটি যেন যথেষ্ট পরিমাণে মায়ের দুধ পান করে।

(১১) না খেলে বা দুষ্টমি করলে কখনো আপনার শিশুকে ভয় দেখাবেন না। এতে মানসিক বিকাশে সমস্যা হতে পারে। শিশুকে কখনো মারবেন না, সে কোন খারাপ কিছু করলে তাকে বুঝিয়ে বলুন।

(১২) শিশুকে সাথে নিয়ে কোন ধরনের ভয়ের সিনেমা বা নাটক দেখবেন না। শিশুর সামনে বসে কখনো ধূমপান করবেন না।

(১৩) সবরকম ওষুধ শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। কোন ধরনের ধারালো জিনিস যেমন সুই, কাঁচি, ছুরি এগুলো শিশুর সামনে রাখবেন না। রান্নাঘর বা টয়লেটে আপনার শিশুকে একা ছাড়বেন না।

সন্তান হওয়ার পর প্রতিটি বাবা-মায়ের দায়িত্ব বেড়ে যায় অনেক গুণ। কারণ একটাই তা হল সন্তান যেন সুস্থ-সবল ভাবে বেড়ে উঠে। শিশুকে নিরাপদে রাখতে মেনে চলুন সব ধরনের সতর্কতা। সন্তানের যেন সঠিক মানসিক বিকাশ ঘটে এবং সন্তানের সুস্থতায় অনেক কিছুই বাবা-মাকে মেনে চলতে হয়। ভালো থাকুক আপনার সোনামণি। হাসি থাকুক আপনার মুখেও।

01/12/2025

শিশুকে ২০–৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে খাওয়ালে সে ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন খাওয়া আনন্দের বদলে চাপ হয়ে দাঁড়ায়, আর পরের বার খেতে বসতেই অনীহা দেখায়। স্বাভাবিক ফিডিং রুটিনও নষ্ট হয়।

প্লেটের সব খাবার শেষ করানোর জন্য চাপ দিলে উল্টো ক্ষতি হয়। শিশুর নিজের ক্ষুধা–পিপাসা বুঝে খাওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পরে সে হয়তো ওভারইটিং করবে, আবার কেউ কেউ খাওয়ার সময় ভয় বা বিরক্তি তৈরি করবে।

মোট কথা, লক্ষ্য হওয়া উচিত শিশুকে ধীরে ধীরে খাওয়ার পরিবেশে আরামদায়ক করা—পেট ভরে গেছে কিনা সেটা তাকে বুঝতে দেওয়া। এতে খাওয়া নিয়ে সুস্থ অভ্যাস তৈরি হয়।

Dr.Tanvir Ahmed

01/12/2025

শীতকালে গোসল শেষে দ্রুত শরীর ও মাথা ভালোভাবে মুছে ফেলবেন।

28/11/2025

📌শিশুর মৃগীরোগ

মৃগী মূলত ব্রেনের বৈদ্যুতিক কার্যক্রমের হঠাৎ ভারসাম্যহীনতা। বয়স যাই হোক, যেকোনো শিশুর হতে পারে। কুসংস্কার এড়িয়ে এটাকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে।

কীভাবে খিচুনি হয়
• ব্রেনে হঠাৎ তীব্র বৈদ্যুতিক কার্যক্রম বাড়লে খিচুনি দেখা দেয়
• শিশুর শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে
• হাতপা কাঁপা, জিহ্বায় কামড়, অজ্ঞান হওয়া বা সজাগ থাকা
• কিছু ক্ষেত্রে শুধু তাকিয়ে থাকা বা আচরণ বদলে যাওয়া দিয়েও প্রকাশ পায়

কীভাবে রোগ ধরা পড়ে
• অভিভাবকের দেখা লক্ষণই প্রথম সূত্র
• প্রয়োজন হলে EEG এবং CT scan করা হয়

সম্ভাব্য কারণ
• পরিবারে মৃগীরোগের ইতিহাস
• গর্ভকালীন জটিলতা
• জন্মের সময় মাথায় আঘাত বা অক্সিজেনের ঘাটতি
• তীব্র জন্ডিস
• ব্রেন ইনফেকশন, টিউমার বা স্ট্রোক
• অনেক ক্ষেত্রে কারণ পাওয়া যায় না

লক্ষণ
• হঠাৎ চুপ করে যাওয়া
• আচরণ বদলে যাওয়া
• চোখ উল্টে যাওয়া বা স্থির হয়ে থাকা
• নাকমুখ দিয়ে ফেনা বা লালা

প্রভাব
• বুদ্ধি, আচরণ, কথা বলা—সবকিছুতে প্রভাব ফেলতে পারে
• নিয়মিত চিকিৎসায় অধিকাংশ শিশুই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়

চিকিৎসা
• Barbit, Iracet, Valoate, Carbamazepine, BRIVA সহ কার্যকর ওষুধ আছে
• নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে গেলে ভালো হয়
• ২.৫–৩ বছর খিচুনি বন্ধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বন্ধ করা যায়

খিচুনির সময় যা করবেন না
• ঘাবড়াবেন না
• শিশুকে চেপে ধরবেন না
• মুখে কিছু ঢোকাবেন না
• গরম লোহা, শেক, দাগ—কোনোটাই নয়
• মুখে পানি বা খাবার দেবেন না
• চারপাশে ভিড় করবেন না

যা করবেন
• শিশুকে নিরাপদ জায়গায় পাশে কাত করে রাখুন
• টাইট জামা ঢিলা করে দিন
• জ্বর থাকলে জ্বর কমান (Renova/Napa + স্পঞ্জিং)
• চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন

সতর্কতা
• নদী/পুকুর/সমুদ্রে একা গোসল নয়
• আগুন, উঁচু জায়গা, মেশিন—সবই এড়ানো
• বাথরুমে ছিটকানি লাগানো যাবে না
• স্কুলে শিক্ষককে রোগ সম্পর্কে জানিয়ে রাখুন
• হঠাৎ ওষুধ বন্ধ করা নিষেধ

Dr.Tanvir Ahmed

📢 বাচ্চাদের পা বাঁকা কেন দেখা যায়গর্ভের ভেতর দীর্ঘদিন ভাঁজ হয়ে থাকার কারণে জন্মের পর প্রথম কয়েক বছর বাচ্চাদের পা স্বাভাব...
26/11/2025

📢 বাচ্চাদের পা বাঁকা কেন দেখা যায়

গর্ভের ভেতর দীর্ঘদিন ভাঁজ হয়ে থাকার কারণে জন্মের পর প্রথম কয়েক বছর বাচ্চাদের পা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বাঁকানো দেখায়। হাঁটা শুরু করলেও হাড় তখনও নরম থাকে, তাই bow leg ধরনের ভঙ্গি সহজেই চোখে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স তিনের দিকে গেলে এটা নিজে থেকেই সোজা হয়ে আসে।

কখন এটা আর স্বাভাবিক থাকে না

যদি বাঁকানোটা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমার বদলে আরও বাড়ে, দুই পায়ের বাঁক আলাদা আলাদা হয়, হাঁটায় ভারসাম্য থাকে না, বা শিশুর ওজন বেশি হলে চাপ বাড়ে, এগুলো সতর্ক হবার সংকেত। রিকেটস হলে হাড়ের ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত জমতে পারে না, তাই হাড় নরম থাকে। নরম হাড় ওজন ধরে রাখতে না পেরে ধীরে ধীরে বেঁকে যায়। রিকেটস সাধারণত ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম বা ফসফরাসের অভাবে হয়।

বাচ্চার মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখলে রিকেটস ভাবতে পারেন

পা বেশি বাঁকা হওয়া।
হাঁটতে দেরি হওয়া বা হাঁটায় অস্বাভাবিক ভঙ্গি।
বাচ্চা সহজে পড়ে যাওয়া।
বুকের হাড় বেরিয়ে আসা (rachitic rosary)।
হাত–পায়ের হাড়ে ব্যথা বা দুর্বলতা।
মাথার নরম অংশ দেরিতে বন্ধ হওয়া।

প্রতিরোধ কীভাবে করবেন

খাদ্য: বাচ্চার খাবারে দুধ, ডিম, মাছ, কলিজা, দই, পনির, ক্যালসিয়াম–সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
রোদ: শরীরের জন্য সবচেয়ে প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি-এর উৎস। প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে নরম রোদে ২০–২৫ মিনিট খেলাধুলা করলে শিশুর শরীরে নিজে থেকেই ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: বাচ্চা দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই হাড়ের সমস্যাও দ্রুত বাড়তে পারে। নিয়মিত চেকআপে সমস্যা ধরা পড়ে আগেভাগেই।

যদি পা বাঁকা মনে হয় তখন কী করবেন

প্রয়োজনে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের সঠিক ডোজ । নিজের ইচ্ছায় এগুলো খাওয়ালে ডোজ ভুল হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই ডাক্তারই ঠিক করবেন।কিছু ক্ষেত্রে এক্স-রে করতে হতে পারে। অতি গুরুতর বাঁকানো হলে বয়স অনুযায়ী ব্রেস বা সাপোর্ট দেওয়া হয়। চিকিৎসা দেরি হলে ভবিষ্যতে হাঁটার সমস্যা, দৌড়ানোতে কষ্ট, জোড়ায় ব্যথা, এবং স্থায়ী বিকৃতি থেকে যায়। তাই দেরি করলে ঝুঁকি বাড়ে।

Dr.Tanvir Ahmed
Child Disease & Surgical Care - BD

শিশুর গলায় ছোট ছোট গুটি দেখলে বাবা–মায়ের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে যা জানা দরকার, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সার্ভি...
20/11/2025

শিশুর গলায় ছোট ছোট গুটি দেখলে বাবা–মায়ের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে যা জানা দরকার, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সার্ভিকাল লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি – মানে ঘাড়ের লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, এবং এর মূল কারণ সাধারণ সংক্রমণ। এখন বিষয়টা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করি।

লিম্ফ নোড আসলে শরীরের পাহারাদার। কোন জীবাণু আক্রমণ করলে এরা ফুলে ওঠে, কারণ ভেতরে রোগ প্রতিরোধের লড়াই চলছে। তাই সামান্য infection–এ গলায় গুটি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

এবার কারণগুলো সহজভাবে দেখি।

সবচেয়ে সাধারণ কারণ ভাইরাল সংক্রমণ। সর্দি–কাশি, ফ্লু, হাম–রুবেলা, চিকেনপক্স, EBV বা CMV সবই লিম্ফ নোড ফুলিয়ে দিতে পারে। ভাইরাল ইনফেকশনে গুটি সাধারণত নরম থাকে, একটু নড়াচড়া করে, আর ব্যথা কমবেশি থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ নোড কয়েক সপ্তাহে নিজে থেকেই ছোট হয়ে যায়।

ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণেও একই ঘটনা হতে পারে। স্ট্রেপ থ্রোট, টনসিলাইটিস, কানের ইনফেকশন, ত্বকের ইনফেকশন, দাঁত বা মাড়ির সমস্যা—এসব কারণে ঘাড়ের নোড ফুলে উঠতে পারে। এগুলো সাধারণত বেশি ব্যথা দেয় এবং শিশুর জ্বর থাকতে পারে। ঠিকমতো চিকিৎসা পেলে গুটি কমে আসে।

আরো কিছু কমন কারণ আছে। বিড়ালের আঁচড়ের পর Bartonella নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে নোড ফুলে থাকে। আবার TB–তেও ঘাড়ের নোড বড় হয়, কিন্তু এটি তুলনামূলক কম দেখা যায়। খুব কম ক্ষেত্রে অটোইমিউন রোগ বা রক্তের ক্যান্সারের মতো জটিল সমস্যায়ও নোড বড় হতে পারে, কিন্তু এগুলো বিরল।

এখন প্রশ্ন হলো—কখন চিন্তা করবেন, কখনই বা দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে?

যদি গুটিটা ২ সেন্টিমিটারের বেশি বড় হয়, খুব শক্ত লাগে বা নড়াচড়া না করে, তাহলে একটা চেকআপ দরকার। যদি গুটির উপরিভাগ লাল হয়ে যায়, স্পর্শে ব্যথা বাড়ে, বা পুঁজ হওয়ার মতো মনে হয়—এটাও সতর্ক হওয়ার বিষয়। তিন–চার সপ্তাহ কেটে গেলেও যদি গুটি কমে না আসে বা বরং বাড়ে, তখন দেরি করবেন না।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিগনাল আছে। শিশুর বারবার জ্বর, রাতে ঘাম, ওজন কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক ক্লান্তি—এগুলো থাকলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। আর গুটি যদি কলার বোনের উপর (supraclavicular area) দেখা যায়, সেটাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

সংক্ষেপে বললে, গলা বা ঘাড়ে গুটি দেখা মানেই বড় সমস্যা নয়। অধিকাংশ সময় কারণ সাধারণ সংক্রমণ আর কয়েক সপ্তাহে সব ঠিক হয়ে যায়। তবুও যেসব লক্ষণ বললাম, সেগুলো দেখলে দ্রুত মূল্যায়ন করালে ভালো।

Dr.Tanvir Ahmed
Child Disease & Surgical Care - BD

শিশুর স্বাভাবিক ওজন ও উচ্চতা। শেয়ার করে রাখুন।
17/11/2025

শিশুর স্বাভাবিক ওজন ও উচ্চতা। শেয়ার করে রাখুন।

14/11/2025

🟪শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:

১) চিনি নয় এক বছর বয়সের আগে:
চিনি শিশুর দাঁতের ক্ষয় (early childhood caries), স্থূলতা ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি বাড়ায়। এক বছরের আগে শিশুর কিডনি ও হজম প্রক্রিয়া এখনো অপরিণত থাকে, তাই অতিরিক্ত চিনি ক্ষতিকর। মিষ্টি স্বাদের জন্য কলা বা খেজুরের মতো প্রাকৃতিক উৎস বেছে নিন।

২) ৮+ মাসে দুগ্ধজাত খাবার:
এই বয়সে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D দরকার হয় হাড় শক্ত করার জন্য। তাই সামান্য চিজ, টক দই, ঘি—পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি হলে নিরাপদ। কাঁচা দুধজাত খাবার দিলে সংক্রমণ (যেমন ব্রুসেলোসিস, সালমোনেলোসিস) হতে পারে।

৩) ডিমের সময়:
৭ মাসে কুসুম দিয়ে শুরু করুন, কারণ এতে আয়রন ও ফ্যাট আছে যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। সাদা অংশ ৮-৯ মাসের আগে না দেওয়া ভালো, কারণ এতে অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি।

৪) ১৮ মাসের আগে গরুর দুধ নয়:
গরুর দুধে আয়রন কম ও প্রোটিন বেশি থাকে, যা রক্তস্বল্পতা ও কিডনি লোডের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে দুধজাত খাবার (যেমন দই বা পনির) দেয়া নিরাপদ, কারণ সেগুলোতে প্রোটিন আংশিক ভেঙে যায়।

৫) সাইট্রাস ফল:
লেবু, কমলা, মাল্টা—এগুলোতে ভিটামিন C থাকে, যা আয়রন শোষণে সাহায্য করে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বয়স অনুযায়ী অল্প করে দিন যাতে অম্লতার সমস্যা না হয়।

৬) সবুজ ও রঙিন সবজি:
বিভিন্ন রঙের সবজিতে ভিটামিন A, C, ফলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে—যা শিশুর চোখ, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।

৭) প্রোটিন উৎস:
মাছ ও ডিমে উচ্চমানের প্রোটিন, DHA ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিহার্য। চিকেন দিতে পারেন, তবে লাল মাংস (রেড মিট) সপ্তাহে ১–২ বারের বেশি না।

৮) তাজা খাবার:
রান্না করা খাবার দুই ঘণ্টার বেশি রাখলে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা খাদ্যবিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই প্রতিবার নতুন তৈরি করে দিন। কোনো খাবারে অ্যালার্জি বা ডায়রিয়া হলে তা বন্ধ রাখুন।

৯) পানি:
পর্যাপ্ত পানি কিডনি কার্যকারিতা বজায় রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। তবে অতিরিক্ত পানি দিলে বুকভরা দুধ খাওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে।

১০) খেলা ও শারীরিক নড়াচড়া:
মুভমেন্ট শিশুর হাড়, পেশি ও মোটর স্কিলের বিকাশে সাহায্য করে। দিনে অন্তত এক ঘণ্টা সক্রিয় খেলাধুলার সময় দিন।

Dr.Tanvir Ahmed
Child Disease & Surgical Care - BD

08/11/2025

শীতকাল হোক বা ঋতু পরিবর্তন, আপনার সন্তানের শরীর যাতে সহজে রোগের শিকার না হয়, সেজন্য ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব জরুরি। এর জন্য জটিল কিছু করার দরকার নেই, শুধু কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চলুন!

বাচ্চাদের ইমিউনিটি বাড়ানোর ৫টি সহজ কৌশল:
১. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: শিশুরা কম ঘুমালে তাদের ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে। বয়স অনুযায়ী রাতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা গভীর ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের সময় শরীর রোগ প্রতিরোধের উপাদান তৈরি করে।

২. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার দিন: দই বা মিষ্টি ছাড়া টক দই হলো প্রোবায়োটিকসের সেরা উৎস। এটি পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, আর পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ইমিউনিটি শক্তিশালী হয়।

৩. ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লেবু, কমলা, পেয়ারা, ব্রোকলি, এবং গাজরের মতো ফল ও সবজি রাখুন। এগুলো ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য।

৪. বাইরের খেলাধুলা ও রোদ: ঘরের ভেতরে বন্দি না রেখে বাচ্চাকে প্রতিদিন রোদে খেলতে দিন। এতে তারা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাবে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি মুক্ত বাতাসে খেলাধুলো করলে তাদের শরীর সক্রিয় থাকে।

৫. সঠিক হ্যান্ড হাইজিন শেখান: খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট থেকে ফিরে এবং বাইরে থেকে এসে যেন তারা সাবান দিয়ে হাত ধোয়—এই অভ্যাস কঠোরভাবে শেখান। জীবাণু প্রবেশ রোধের এটি সবচেয়ে সহজ উপায়।

💡 মনে রাখবেন: ইমিউনিটি রাতারাতি বাড়ে না। এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের।

অন্য বাবা-মায়েদের সাহায্য করতে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি এখনই শেয়ার করুন! 🔄

Dr.Tanvir Ahmed
#বাচ্চাদেরস্বাস্থ্য #ইমিউনিটি #রোগপ্রতিরোধ #স্বাস্থ্যকরঅভ্যাস

শিশুদের বয়স অনুযায়ী ওজন ও উচ্চতা।
07/11/2025

শিশুদের বয়স অনুযায়ী ওজন ও উচ্চতা।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Child Disease & Surgical Care - BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category