ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary

ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary ডাক্তারদের জীবনের গল্প... অভিজ্ঞতার ঝুড়ি আর ভালো লেখার প্রচার- এই নিয়েই আমরা "ডক্টরস ডায়েরী"

মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বহু চড়াই- উতরাই পেরিয়ে আপনি নামের আগে ডাক্তার কথাটি লিখতে পারবেন । সেখানে আইটেম, কার্ড, টার্ম, প্রফ এর মত হাজার হাজার পরীক্ষা এর চাপে অতিষ্ঠ জীবনের মাঝেও ঘটে মজার কিছু ঘটনা । ইন্টার্নি বা ডাক্তারি জীবনেও ঘটে মজার মজার অনেক ঘটনা । সেসব নিয়েই আমাদের এ আয়োজন...

ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য....

একদম লাষ্ট স্টেজে যখন মানুষ আইসিইউ তে এডমিট থাকে,,,তখন এভাবে গ্লোবস এর ভিতরে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কারো উপস্থিতি অনুভ...
16/07/2025

একদম লাষ্ট স্টেজে যখন মানুষ আইসিইউ তে এডমিট থাকে,,,
তখন এভাবে গ্লোবস এর ভিতরে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কারো উপস্থিতি অনুভব করানো হয় তাকে!
বোঝানো হয় "সে একা নয় " তার হাত ধরে কেউ আছে পাশে।

একটি নির্মম কথা তাই না?
স্পর্শ অনেক দামী!! 🖤

কসাই ডাক্তারের কান্ড দেখুন!!!প্রচন্ড ঝড়ে কোথাও বিদ্যুৎ নাই।হাসপাতালের জেনারেটর নস্ট।Ruptured Ectopic Pregnancy পেশেন্ট এ...
15/07/2025

কসাই ডাক্তারের কান্ড দেখুন!!!

প্রচন্ড ঝড়ে কোথাও বিদ্যুৎ নাই।
হাসপাতালের জেনারেটর নস্ট।
Ruptured Ectopic Pregnancy পেশেন্ট এর অপারেশন চলছে মোবাইল আর টর্চের আলোতে।
অপারেশন না করলে রুগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা যখন ক্ষীণ,তখন তো একটু ঝুঁকি নিতেই হবে।
ধন্যবাদ ডা.জাকিয়া সুলতানা ম্যাডাম,ডা.তানিয়া আফরোজ ম্যাডাম,ডা.হাবিবুর রহমান স্যার, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সসহ উপস্থিত সকলকে সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন করার জন্য।

স্থানঃ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ছেলেটার নাম ইমদাদ। আমাদের ঘরের কাজে সাহায্য করে!  তাসনিম ওর সাথে লুডু খেলে! আমরা উনো খেলতে বসলে কাজ থেকে ডেকে এনে ওকে আম...
14/07/2025

ছেলেটার নাম ইমদাদ। আমাদের ঘরের কাজে সাহায্য করে!

তাসনিম ওর সাথে লুডু খেলে! আমরা উনো খেলতে বসলে কাজ থেকে ডেকে এনে ওকে আমাদের পাশেই খেলতে বসায়। আমরা যাই খাই, সমান একটা ভাগ তার পাতেও যায়!

আমি অবাক হই!

কারন...

তাসনিমের রাগ বেশি!

কোনদিন ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি আমার কলিজা নাই, রাগের চোটে তাসনিম আমার কলিজা ভুনা করে খেয়ে ফেলেছে তাতেও আমি অবাক হবো না!

এই রকম শর্ট টেম্পার একটা মানুষের কাছে এতো অমায়িক ব্যাবহার মোটামুটি অকল্পনীয় ব্যাপার!

কিন্তু পরে অবশ্য আবিষ্কার করলাম এই অতি রাগী মানুষটার সব রাগ, সব ঝাল শুধু আমার উপর! আর কারো উপর না।

একদিন দেখলাম ইমদাদ লুকায় লুকায় তাসনিমের মোবাইল ডাটা অন করে ইউটিউবে ভিডিও দেখছে! আমি মনে মনে ধারনা করলাম আজকে ইমদাদ সাহেবের খবর আছে! যেই মেজাজ সে আমার সাথে দেখায়, সেই মেজাজ ধরে রাখলে নির্ঘাত থাব্রা দিয়ে ইমদাদ সাহেবের কানের পর্দা আজকে ফাটায় দিবে!

কিন্তু কিছুই হলো না। তাসনিম সহজ গলায় বললো – ‘ মোবাইলটা চার্জে লাগায়ে ভিডিও দেখ ’

সত্যি কথা বলতে, ঘরের কাজে যারা সাহায্য করে তাদের সাথে আপন ভাই বোনের মত এতো ন্যাচারাল বিহেভ করতে তাসনিম ছাড়া আমি আর কাউকে দেখি নাই!

ইদানিং তাসনিমের মোবাইলে ইমদাদ সাহেব নিয়মিত গেম খেলে। খেলা শেষে সুন্দর মত মোবাইল ফেরত দিয়ে কাজে যায়। ওর পড়াশুনার জন্য আবার বইও কেনা হয়েছে! ইমদাদ সাহেব যে পড়াশুনায় ফাঁকি দেয় এই বিষয়টা নিয়েও তাসনিম ম্যাডাম নারাজ!!

বাই দ্যা ওয়ে, ইমদাদ নাকি কোনদিন চায়নিজ রেস্টুরেন্টে খায় নাই! তাই গতদিন তার তাসনিম খালামনি তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেল। তার বাটিতে সুপ উঠিয়ে দিল। একে একে রাইস,ফ্রাইড চিকেন, বিফ সিজলিং...সব!!

আমি পাশে বসে একটা অসাধারণ মুহূর্ত দৃষ্টিবন্দী করলাম।

জীবনে হাজার হাজার সুখী মানুষ দেখছি, কিন্তু ইমদাদ ছেলেটার মত খাবার সামনে নিয়ে কাউকে এতো প্রান খুলে হাসতে দেখি নাই।

©Jawara Ahmed

ইতিহাসে বিরল ঘটনা:সম্মানিত হজ্বযাত্রীরা ফেরত পাচ্ছেন অতিরিক্ত টা/কা...ধন্যবাদ মাননীয় উপদেষ্টা।
13/07/2025

ইতিহাসে বিরল ঘটনা:
সম্মানিত হজ্বযাত্রীরা ফেরত পাচ্ছেন অতিরিক্ত টা/কা...

ধন্যবাদ মাননীয় উপদেষ্টা।

যেসব বাচ্চারা বলেছিল মেডিকেলে শিক্ষাপদ্ধতি সম্পুর্ণ বাংলায় থাকলে সুবিধা হতো, তাদের জন্য সহজ বাংলায় ছোট করে Sternum এর At...
13/07/2025

যেসব বাচ্চারা বলেছিল মেডিকেলে শিক্ষাপদ্ধতি সম্পুর্ণ বাংলায় থাকলে সুবিধা হতো, তাদের জন্য সহজ বাংলায় ছোট করে Sternum এর Attachment লিখলাম:-

উর:ফলকের পেশিসংযুক্তি:-

আলোচনার সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি, উর:ফলকের তিনটি অংশ :- উর;মুষ্টি, দেহ, অসিরূপ প্রবৃদ্ধি।

উর:মুষ্টির ঊর্ধ্বপ্রান্তের স্কন্ধীয় খাঁজে "আন্ত:কণ্ঠাস্থীয় অস্থিবন্ধনী" সংযুক্ত হয়। উর:মুষ্টির সম্মুখতলের বহি:পার্শ্বে "মুখ্য বক্ষীয় পেশি"র উৎপত্তি হয়। প্রধান বক্ষীয় পেশির উৎপত্তিস্থলের উপর হতে "উর:কণ্ঠকুচীয় পেশি" উৎপত্তি লাভ করে। উর:মুষ্টির পশ্চাৎতলের উপরিভাগ হতে "উর:জিভীয় পেশি" এবং নিম্নভাগ হতে "উর:ঢালরূপীয় পেশি" উৎপত্তি লাভ করে।
দেহের সম্মুখতলের বহি:পার্শ্ব হতে উর:মুষ্টির মতোই "মুখ্য বক্ষীয় পেশি"র উৎপত্তি হয়। পশ্চাৎতলের নিম্ন এক-তৃতীয়াংশের বহি:পার্শ্ব হতে " উর:পিঞ্জরীয় পেশি"র উৎপত্তি ঘটে।
অসিরূপ প্রবৃদ্ধির নিম্নশীর্ষে "শ্বেতরেখা" সংযুক্ত হয়। অসিরূপ প্রবৃদ্ধির বহি:পার্শ্বীয় প্রান্তে "অন্ত:স্থ তির্যক পেশি" ও "অনুপ্রস্থ উদরীয় পেশি"র পেশিপাতের অন্তর্নিবেশ ঘটে। সম্মুখতলে " বহি:স্থ তির্যক পেশি" ও "ঋজু উদরীয় পেশি" র পেশিপাত অন্তর্নিবিষ্ট হয়। এছাড়া পশ্চাৎতলের বহি:পার্শ্বে "উর:পিঞ্জরীয় পেশি"র নিম্নাংশ এবং মধ্যচ্ছদার উর:ফলকীয় উৎপত্তির সংযুক্তি ঘটে।

©Rakibul Islam Rihab

ডাক্তার না হলে জীবনে বহু বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত থাকতাম।  বেগুন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিয়ে আসছে আমার রোগী তার প...
13/07/2025

ডাক্তার না হলে জীবনে বহু বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত থাকতাম।

বেগুন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিয়ে আসছে আমার রোগী তার পায়ের আঙুলে।এতে নাকি তার খুব আরাম হচ্ছে ! জীবনে এই প্রথম দেখলাম "বেগুন ব্যান্ডেজ" !

হিস্ট্রি নিয়ে যা বুঝলাম ( যদি রো*গী সত্য বলে থাকেন) কম দামী নেইলপলিশ ব্যবহার করার পরে নখে infection হয়েছে। এখন সে বলছে , তার এরকম হয় মাঝেমধ্যেই। তখন কবিরাজ দিয়ে ঝা'ড়'ফুঁ'ক করালে সে ভাল হয়ে যায়। কোন ডাক্তার, ওষুধ তার এই অসুখ ভাল করতে পারে না।

আমার ডায়গনোসিস এটা Onycholysis ( If I'm mistaken, any doctor please feel free to correct me)

রো*গীকে বললাম--এ ধরনের কে'মি'ক্যা'ল'স ব্যবহার না করতে , আরো কাউন্সিলিং করে antifungal লিখে চ*র্ম রো*গ বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করলাম।

কিন্তু রো*গী যেতে যেতে বলছে---- "চ*ম্মে*র দাকতুর এইডা ভালা করতে হা*র*তো না। কোবরেজ ছাড়া কা*ম হইতো না।"

এরপর থেকে আমি ডি,প্রে*শনে আছি। ডি*প্রে*শন নিয়েই বাকী রোগী দেখছি। ডি*প্রে*শন এই জন্য না যে, উনি "চ*ম্ম রোগ বিশেষজ্ঞ"কে পাত্তা দিলেন না বলে, বরং কেন আমি বেগুন ব্যান্ডেজ বিশেষজ্ঞ "কো*ব*রে*জ ষ্যা*ড়" এর ঠিকানা রাখলাম না সেজন্য। কিছু রোগী রেফার করতে পারতাম আর কি

©️ কালেক্টেড

13/07/2025

ভদ্র মহিলা আমার চেম্বারে ঢুকেই হকচকিয়ে গেলেন। সম্ভবত আমাকে এখানে আশা করেননি। চেয়ার টেনে বসতে বসতে খুব অবাক হয়ে বললেন, " আপনিই বিখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মুনিরা ম্যাডাম ?!! আমি হেসে দিয়ে বললাম, " বিখ্যাত নই, তবে আমিই ডাক্তার মুনিরা, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। " ভদ্র মহিলা খুব লজ্জা পেয়ে বললেন, " কি যে বলেন। এই শহরে সবাই আপনার নাম জানে। আমার কখনো ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন পড়েনি, তাই আমিই আপনাকে চিনতে পারিনি। "
এতক্ষণে তার লজ্জা পাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারলাম। গত মাসেই আমরা নতুন ফ্ল্যাট এ উঠেছি। ফ্ল্যাট বাসা একটু বেশি নিরাপদ মনে হয়। তাই শহরের নামকরা টাওয়ার এ একটা ফ্ল্যাট কিনে ফেললাম। নিজেদের বাড়িটা ভাড়া দিয়ে গতমাসেই ফ্ল্যাট এ উঠেছি। আমার স্বামী ডা. রাশেদ বললো, " মুনি, তুমি কিন্তু খুব অসামাজিক। সারাক্ষণ হাসপাতাল আর চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকো। আশেপাশের মানুষজনের সাথে একদমই মিশতে পারো না। ফ্ল্যাট বাসাতে আশেপাশের সবার সাথে একটু পরিচিত হতে হয়। "

কথা সত্যি। আমি মানুষজনের সাথে নিজ থেকে তেমন মিশতে পারি না। সত্যি কথা বলতে কি, মেশার তেমন সময়ও পাই না। অফিস, চেম্বার, ছেলে মেয়ে, সংসার এসব নিয়ে সময় কোনদিক দিয়ে চলে যায়, টেরই পাই না। তাই কারো বাসায় যাওয়ার বা কারো সাথে বসে গল্প করার সময় পাই না। কিন্তু রাশেদ এটা ঠিক পছন্দ করে না। সে সবার সাথে গল্পগুজব, আড্ডা দেওয়া বেশ পছন্দ করে। রাশেদের পরামর্শ মতোই একদিন পাশের ফ্ল্যাটে পরিচিত হতে গেলাম। কলিং বেল বাজিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পরে কাজের মহিলা দরজা খুললো। তাকে বললাম, " আমরা পাশের ফ্ল্যাটে নতুন এসেছি। ভাবিকে বলেন, তার সাথে দেখা করতে চাই। " কাজের মহিলা আমাকে দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বললো, " ম্যাডাম ঘুমাচ্ছেন, এখন দেখা করা যাবে না। "

আমি বেশ অবাক হয়ে চলে এসেছিলাম। ভাবলাম, সত্যি সত্যিই হয়তো ঘুমাচ্ছেন। তাই দুই তিনদিন পরেই আবার একবার গেলাম। মুল উদ্দেশ্য ছিল, রাশেদকে বোঝানো যে, আমি অসামাজিক নই। এবার আসলেই অবাক হলাম। এবার কাজের মহিলা ভিতর থেকে এসে বলে দিল, উনি ব্যস্ত আছেন, দেখা করতে পারবেন না। রাগ না হয়ে মনে মনে খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে, এরপর রাশেদ আর কখনো আমাকে কারো সাথে মিশতে পারিনা বলে টিজ করতে পারবে না।

এরপর ভদ্র মহিলার সাথে মাঝে মাঝেই লিফট এ দেখা হয়েছে। বেশ গর্জিয়াস চেহারা মহিলার। সব সময় দারুণ ফিটফাট থাকেন। মেয়েকে যখন স্কুলে দিতে যান, তখনও দেখে মনে হয়, কোন পার্টিতে যাচ্ছেন। জমকালো শাড়ি, মেকাপ সব সময়। দামী পারফিউম এর গন্ধে লিফটা মৌ মৌ করে। মহিলা জব করেন কিনা জানি না। তবে টাকা পয়সা যে ভালোই আছে, সেটা শাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। খুবই দামী দামী শাড়ি, অর্নামেন্টস পরেন।

সেদিন ব্যস্ততার দোহায় দিয়ে দেখা করে নাই। তাই আমিও আর লিফট এ হাই, হ্যালো করে পরিচিত হই না। সেও করে না। কিন্তু যেটা বিরক্তকর লাগে, সেটা হলো তার দৃষ্টি, তার ভাবসাব। মনে হয়, সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী অথবা ভিন গ্রহের কোন এলিয়ন আর আমরা পৃথিবীর ঘৃন্য মানবজাতি। হতে পারে, তার মত সব সময় খুব দামী ড্রেস পরে থাকি না বা তারমত সাজগোজ করে থাকি না বা তারমত চামড়া ফর্সা নয় আমার। ডক্টরস ডায়েরী। কিন্তু তাই বলে মানুষের দৃষ্টি এমন হবে কেন, যেখানে আর একজনকে মানুষ বলেই মনে হবে না ? আমি ইগনোর করি। এটা তার ব্যর্থতা, সে তার দৃষ্টিকে সুন্দর করে নাই। এটাতে আমার রাগ করার কিছু নেই। এজন্যই আজ সে আমাকে এখানে দেখে অবাক এবং লজ্জিত হয়েছে।

আমি তার প্রতি আমার মনোভাব বুঝতে না দিয়ে, অন্য রোগীদের যেমন হাসিমুখে দেখি, তাকেও তেমনি দেখে দিলাম। ফিস যখন দিতে গেল, বললাম, ফিস বাইরে আমার এসিস্ট্যান্ট এর কাছে দিবেন। কিছুক্ষণ পরেই সে আবার আমার রুমে ঢুকলো। আমি হাসি মুখে বললাম,
- কিছু বলবেন ?
- আপনার এসিস্ট্যান্ট আমার কাছে এক হাজার টাকা চাচ্ছে।
- জ্বি, আমার ফিসতো এক হাজার টাকাই। বাইরে লেখা আছে, নতুন রোগী এক হাজার টাকা।
- না, মানে, আমি তো আপনার প্রতিবেশী। আমাদের তো ফ্রি ই হওয়া উচিত। সেখানে কিছু কনসিডার তো করবেন।

আমি মনে মনে হাসলাম। আমি জানি, সেদিন যদি সে ভদ্রতা করে অন্তত দরজার সামনে এসে হলেও আমার সাথে কথা বলতো, তাহলে শুধু তাকে কেন, তার চৌদ্দ গোষ্ঠীকে আমার ফ্রি দেখতে হতো। এবং দিনে বা রাত একটা দুইটায়, বাসায় এসে বা মোবাইলে - ছোলার ডাল খাবো না মসুরের ডাল খাবো ? পায়খানা নরম হলো কেন বা কষা হলো কেন ? চিনি দিয়ে চা খাব না চিনি ছাড়া চা খাব ? এইসব হাবিজাবি বিষয়ে পরামর্শ দিতে হতো।
আমি হাসি মুখে বললাম, " আপনি বোধ হয় খেয়াল করেননি, দরজার সামনে লেখা আছে। আমি ফ্রি রোগী দেখি শুধু মাত্র শুক্রবারে। গরীব রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। কিন্তু তার জন্য আগে থেকে টিকিট কালেক্ট করতে হয় আমার এসিস্ট্যান্ট এর কাছ থেকে। কিন্তু আপনি এই পোশাকে আসলে তো সে ঐ টিকিটও আপনাকে দেবে না। ড্রেস চেন্জ করে আসতে হবে। "

ভদ্র মহিলা এবার আমার দিকে এমন অবাক হয়ে তাকালেন, যেন উনি নন, আমিই এলিয়ন।

( ছোট গল্প )

©ডা. সুমনা তনু শিলা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।

সোহাগকে পা'থর দিয়ে যেখানে মা'রা হয়, ঠিক তার পাশেই ছিলো আনসার ক্যাম্প। যেহেতু সে সময় আনসার সদস্যরা কাঠের চশমা পরে ছিলেন। ...
13/07/2025

সোহাগকে পা'থর দিয়ে যেখানে মা'রা হয়, ঠিক তার পাশেই ছিলো আনসার ক্যাম্প। যেহেতু সে সময় আনসার সদস্যরা কাঠের চশমা পরে ছিলেন।

তাই ক্যাম্পের আনসারদের জন্য উপহার হিসেবে শাড়ি চুরি নিয়ে এসেছে প্রিয় শিক্ষার্থীরা।

নিজের আত্মীয় ডোনার হবেন না" - এই কথাটির অর্থ হলো, "নিজের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের রক্তদাতা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়...
12/07/2025

নিজের আত্মীয় ডোনার হবেন না" - এই কথাটির অর্থ হলো, "নিজের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের রক্তদাতা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।" চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে, নিকটাত্মীয়ের রক্ত গ্রহণে কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই, এই ধরনের পরিস্থিতিতে অপরিচিত ব্যক্তির পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণ করাই উপযুক্ত এবং নিরাপদ।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, "নিকটাত্মীয়ের রক্ত নিলে এক ধরনের গুরুতর প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যাকে ট্রান্সফিউশন অ্যাসোসিয়েটেড গ্রাফট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ (TA-GvHD) বলা হয়।"

যদিও এই রোগটি বিরল, তবে এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

এই রোগে সাধারণত রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার রক্তের কোষের মিল (HLA) এমন হয় যে, গ্রহীতার শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো রক্তদাতার কোষকে নিজেদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে আক্রমণ করে।

এই কারণে, এখন চিকিৎসকরা রোগীর আত্মীয়দের রক্ত না দিয়ে, অপরিচিত ব্যক্তির রক্ত দিতে উৎসাহিত করেন।
রক্তদান একটি মহৎ কাজ, এবং এতে করে অন্যের জীবন বাঁচানো যায়।

তবে, রোগীর স্বার্থেই অপরিচিত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করা উচিত, বিশেষ করে যখন রোগীর আত্মীয়দের রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি থেকে যায়।

রক্তদানের আগে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

©Dr Himel Biswas

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে কাজ করেও জিপিএ ৪.৬৪ পেয়েছে ইব্রাহিম।ইব্রাহীমের জন্য দোয়াপ্রার্থী----সৌজন্যে: রাজশা...
11/07/2025

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে কাজ করেও জিপিএ ৪.৬৪ পেয়েছে ইব্রাহিম।

ইব্রাহীমের জন্য দোয়াপ্রার্থী
----

সৌজন্যে: রাজশাহী ইউনিভার্সিটি নিউজ

যে জায়গা টা দেখতে পাচ্ছেন, এটা ঢাকা মেডিকেলের কোন ওয়ার্ড না। এটা Lift এর সামনের Common space. মানে দুধ যেমন উতলায় উঠে জা...
09/07/2025

যে জায়গা টা দেখতে পাচ্ছেন, এটা ঢাকা মেডিকেলের কোন ওয়ার্ড না। এটা Lift এর সামনের Common space.
মানে দুধ যেমন উতলায় উঠে জাল দিলে।এটা এমন ই এক জায়গা ঢাকা মেডিকেলে ঠিক তেমন রোগীর Overflow হয়। আমি সিড়িতেও রোগী দেখেছি। ২-১ বছর আগে FCPS medicine পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন প্রফেসর আসেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেলের Lift এর সামনে এমন অবস্থা দেখে চমকে উঠেন, এক রোগীকে দেখিয়ে আমাদের প্রফেসর কে বলেন।
👨‍⚕️: whats the problem with this patient ?
👨🏻‍⚕️: This patient was suffering from Uro sepsis. ( মানে প্রশাবের ইনফেকশন পুরো শরীরে ছড়িতে পরেছে)
👨‍⚕️: O my god! This patient needed ICU support. Why is he on this stair case? ( তার ICU support দরকার, সিড়ির এখানে কেন?)
👨🏻‍⚕️: Because we dont have enough ICU facilities ( কারন আমাদের পরিমিত ICU সুবিধা নেই)
👨‍⚕️ : But this is a case of high mortality. Patient may get worse. Do they really live? ( কিন্তু এই রোগীর মরার সম্ভাবনা অনেক বেশি,যেকোন সময় খারাপ হয়ে যাবে।এরা কি আসলেই বাচে? )

👨🏻‍⚕️: Dont be surprised professor . We have discharged a same case yesterday who was lying just beside him. ( একটু হেসে, অবাক হবার কিছু নাই, আমরা একটা Same case সুস্থ করে বাড়িতেও পাঠিয়ে দিয়েছি, সে এই রোগীর ই পাশে বিছানা পেতে ছিলো।)
স্যারের ভাষ্যমতে এই কথা শুনে British professor এর চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিলো।কিছু সময় নিয়ে সে একটা কথাই জাস্ট বলতে পেরেছে।

👨‍⚕️:How come professor!! ( কিভাবে সম্ভব!!)

👨🏻‍⚕️: Bcz this is not London , This is Bangladesh sir!!

©ডাঃসওগাত_এহসান

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share