ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary

ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary ডাক্তারদের জীবনের গল্প... অভিজ্ঞতার ঝুড়ি আর ভালো লেখার প্রচার- এই নিয়েই আমরা "ডক্টরস ডায়েরী"

মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বহু চড়াই- উতরাই পেরিয়ে আপনি নামের আগে ডাক্তার কথাটি লিখতে পারবেন । সেখানে আইটেম, কার্ড, টার্ম, প্রফ এর মত হাজার হাজার পরীক্ষা এর চাপে অতিষ্ঠ জীবনের মাঝেও ঘটে মজার কিছু ঘটনা । ইন্টার্নি বা ডাক্তারি জীবনেও ঘটে মজার মজার অনেক ঘটনা । সেসব নিয়েই আমাদের এ আয়োজন...

ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য....

কবিরাজী চিকিৎসা করে এসেছে। অল্প বয়সের মহিলা।ওটিতে আছে,, তখনও হাতে চুল বেঁধে রেখেছে।কতটা বিশ্বাস মানুষের, আর কবিরাজ নামক ...
12/08/2025

কবিরাজী চিকিৎসা করে এসেছে। অল্প বয়সের মহিলা।
ওটিতে আছে,, তখনও হাতে চুল বেঁধে রেখেছে।
কতটা বিশ্বাস মানুষের, আর কবিরাজ নামক শু***য়োররা কি ভাবে হিপনোটাইজড করে মানুষ দের।
তারা বলে,, গাছন্ত দিবে,, হাড় গলে জোড়া লেগে যাবে।
মানুষও সেটা বিশ্বাস করে!!

এরা আইনের আওতায়ও আসে না। নিশ্চয় এক দিনে এমন হয় নি,, বেশ কিছু দিন চিকিৎসা নিয়েছে। হাত পঁচে পুরা শুকিয়ে গেছে।

-------
©Dr. Al Mamun FMC

12/08/2025

বাংলাদেশের মানুষের ডাক্তারের কাছে আসলে টাকা থাকে না । চেম্বারে একদিন এক লোক আসল সিরাজগঞ্জ পিপুলবাড়িয়া থেকে । দেখা শেষ করার পর উনি বলল স‍্যার আমি গরীব আমি তো এত টাকা দিতে পারব না । আমি বললাম আমার ভিজিট কত ? সে বলল স‍্যার অনেক টাকা ৫০০ টাকা । গ‍্যাদার মায়েরে একটা শাড়ি কিনে দিছি এ মাসে টাকা কম স‍্যার । ৫০ টাকা রাখেন । এর মধ‍্যে ঐ লোকের একটা কল আসল সে বলল - মামলা লাগলে আরেকটা দিমু টাকা গেলে ‍যাক । উকিলকে বল টাকা দিচ্ছি । মামলা আরেকটা দে । কল কেটে বলল স‍্যার ৫০ টাকার বেশি পারব না । আমি টাকাটা নিয়ে তার ছেলেকে দিয়ে বললাম এটা দিয়ে চকলেট কিনো । তখন লোকটা বলল স‍্যার আমার দোকানে আইসেন মিষ্টি খাওয়াবো পেট চুক্তি । আমি একদিন সময় করে গেছিলাম তার দোকানে । মিষ্টি খাবার পর বললাম ভাই এ মাসে রোগী দেখছি ১০ টা । সবাই আপনার মত ৫০ করে দিছে । আপনার ভাবীকে আবার সুনেরার ২০০ টাকার শাড়ি দেখে একটা কিনে দিছি । হাত তো খালি । আপনি আমার চেম্বারে আইসেন মন ভরে দেখে দিব নি । মন চুক্তি।

------
©ডা: জীবন

যদিও রিপোর্ট দেখাইতে (৩-৪ দিনের মধ্যে আমিও টাকা নেয়ার পক্ষে না), তবে যেই ভদ্রলোক ভাইরাল হবার জন্য এই ছবি তুলেছেন, একে তো...
12/08/2025

যদিও রিপোর্ট দেখাইতে (৩-৪ দিনের মধ্যে আমিও টাকা নেয়ার পক্ষে না), তবে যেই ভদ্রলোক ভাইরাল হবার জন্য এই ছবি তুলেছেন, একে তো চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে দাড়িয়ে তুলেছেন, সেখানে টিকেট ১০ টাকা আর রিপোর্ট দেখাইতে টাকা লাগেনা 😄

আর উনার রেস্টুরেন্ট(আরস্ট্র,চট্টগ্রাম) এ স্টিম রাইস ( মানে ভাত) ১ জনের ১০০ টাকা বাদই দিলাম, সবগুলা সাইড সস কিনে খেতে হয়। তা ভাইজান এগুলা কবে থেকে ফ্রি দিবেন? 🤣

-------
© Md Fayeik Ibtida

আপনার মেয়ে সন্তান মাদ্রাসায় নিরাপদ? গত ২৪ ঘন্টায় তিনটি মাদ্রাসায় শিক্ষক দ্বারা ছাত্রী ধ*র্ষণ ও ধর্ষ*ণ চেষ্টায় আটক হয়েছে ...
10/08/2025

আপনার মেয়ে সন্তান মাদ্রাসায় নিরাপদ?

গত ২৪ ঘন্টায় তিনটি মাদ্রাসায় শিক্ষক দ্বারা ছাত্রী ধ*র্ষণ ও ধর্ষ*ণ চেষ্টায় আটক হয়েছে ৪জন মাদ্রাসা শিক্ষক।

এর মধ্যে টাঙ্গাইলের ঘটনাটা সবচেয়ে ভয়ংকর ও হৃদয়বিদারক।

টাঙ্গাইলে হযরত ফাতেমা (র) আবাসিক মাদ্রাসায় ১০ বছরের একটি শি*শু হিফজ বিভাগে ভর্তি হয়। এই শিশুটির দিকে কু*নজর পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ও পরিচালকের ছোট ভাই ওবাদুল্লাহর।

সে শিশুটিকে মিথ্যে চুরির অপবাদ দেয়। যদি সাজা পেতে না চায় তাহলে যেন তার মোবাইল দিয়ে টয়লেটে গিয়ে ন*গ্ন ভিডিও ধারণ করে তাকে দেয়। শিশুটি রাজী না হলে তাকে জ্বী*ন দিয়ে ক্ষতি ও জ*বাই দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

শিশুটি ভয়ে টয়লেটে গিয়ে ভিডিও ধারণ করে দেয়।

কিন্তু এতেও রক্ষা পায়নি শিশুটি। এবার তাকে অফিস কক্ষে যেতে বলেন। শিশুটি রাজী না হলে ভিডিও ভাইরাল ও হত্যার হুমকি আবার দেয়।

অত:পর অফিসে গেলে শিশুটিকে গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক ধ ____ করে।

শিশুটিকে একদিন পর আবাসিক এই মাদ্রাসা থেকে বাসায় গিয়েই বাবা মাকে সবকিছু খুলে বলেন।

ব্যাপারটি জানাজানি হলে মাদ্রাসা পরিচালক তার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেন।

এই শিশুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অন্যান্য শিশুরাও মুখ খুলতে থাকে। প্রায় ২০-২৫ জন ছাত্রীকে টয়লেটে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখে কিংবা একই কায়দায় ভিডিও ধারণ ও হুমকি দিয়ে ধ___ করতো এই পাপীষ্ঠ।

আপনারা ইতিমধ্যে একটি ভিডিও হয়তো দেখেছেন। যেখানে একজন অভিভাবক আবেগ আপ্লুত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলছেন। আর অভিযুক্ত শিক্ষক মাথা নিঁচু করে শুনছে।

অভিভাবক বলেন, 'বর্তমানে স্কুল কলেজে সমস্যা (শরীয়তবিরোধী) বিধায় আমরা সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। আপনাদের হেফাজতে দিয়েছি। আর আপনারা যা করেছেন। এর চেয়ে নি*কৃষ্ট কাজ আল্লাহর দুনিয়ায় আর হয় না।'

এক পর্যায়ে অভিভাবকটি নিজেকে কন্ট্রোল সজোরে শিক্ষকের গালে চড় বসিয়ে দিয়েছেন।

একটি মাদ্রাসাতেই ২০-২৫ জন ভিক্টিম শুধুমাত্র একজন দ্বারা! এই শিশুটি মুখ না খুললে হয়তো এই সংখ্যা বাড়তেই থাকতো।

-----
©অন্তর মাশউদ

ছাতা হাতে দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটা হলেন আমার শ্বশুর আব্বা।আমি আজকে পরীক্ষা শেষে নরসিংদী থেকে ভৈরব আসছি বিজনেসের কাজে।আমি আস...
10/08/2025

ছাতা হাতে দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটা হলেন আমার শ্বশুর আব্বা।আমি আজকে পরীক্ষা শেষে নরসিংদী থেকে ভৈরব আসছি বিজনেসের কাজে।আমি আসতেছি বলার পরে উনি আমাকে সাত বার কল দিয়ে বলছে কোথায় আছি,ট্রেনে উঠছি কিনা,অনেক বৃষ্টি,স্টেশন কাউকে পাঠাবে কিনা।পরে আমি দূরে রিকশা থেকে দেখতেছি উনি বৃষ্টির মধ্যে ছাতা হাতে রাস্তায় দাড়াইয়া আছে আমার জন্য।বাসায় এসে শ্বাশুড়ি আম্মার কাছ থেকে শুনলাম আব্বা আধা ঘন্টার বেশি দাঁড়াইয়া আছে আমাকে যেন রিকশা থেকে নেমে বৃষ্টিতে ভিজতে না হয় এজন্য।ছেলের বউকে এভাবে মেয়ের মত যত্নে আগলে রাখলে প্রতিটা মেয়ে বিয়ের পরে আমার শ্বশুরের মত নতুন একজন বাবা পেত।🥰

আমার শ্বশুর আব্বার জন্য দোয়া করবেন আপুরা।আল্লাহ যেন উনাকে নেক হায়াত দান করেন।😇

©তাসনুভা হৃদি মনি

শাসন নাকি আদর?নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনে...
09/08/2025

শাসন নাকি আদর?

নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনের অভিজ্ঞতার প্রতি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে রেসপন্স করে।

যখন শিশুকে চিৎকার করা হয় বা ভয় দেখানো হয়, তখন তার ব্রেইনে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়। এটি শিশুর অ্যামিগডালা (ভয়ের প্রসেসিং এরিয়া) কে অত্যন্ত সক্রিয় করে তোলে। ফলে শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়, নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে এবং বারবার এমন অভিজ্ঞতা হলে ব্রেইনের এই অংশটি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুর মধ্যে উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসহীনতা ও আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া, ক্রমাগত নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিউরনগুলোর সংযোগ (synapse) গঠনে বিঘ্ন ঘটায়, যার ফলে শেখার সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

অন্যদিকে, যখন শিশুকে ভালোবাসা, আদর বা সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করা হয়, তখন ব্রেইনে অক্সিটোসিন ও ডোপামিন নামক “feel-good” হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি ব্রেইনের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (যেটি চিন্তা, বিচার, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিচালনা করে) কে সক্রিয় করে।

এতে শিশুর মধ্যে নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস, শেখার আগ্রহ এবং ইতিবাচক সামাজিক আচরণ তৈরি হয়। এমন ভালোবাসাময় পরিবেশে নিউরনের মাঝে বেশি বেশি সংযোগ তৈরি হয়, যেটা ব্রেইনের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিৎকার শিশুর ব্রেইনে ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা গেঁথে দেয়, আর আদর তাকে শেখে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতা— যার ভিত্তি তৈরি হয় আজীবন মানসিক বিকাশের জন্য। এজন্য সচেতন, স্নেহভরা এবং সহানুভূতিশীল আচরণই শিশুর ব্রেইনের স্বাস্থ্যকর বিকাশের মূল চাবিকাঠি।

আমারা অনেকেই ওদের অনেক আচরনে খুব বিরক্ত হই, চিৎকার করে ফেলি যা ঠিকনা, এখন থেকে সচেতন হবেন, ধৈর্যের বিকল্প কিছু নেই।

ভদ্রলোক বিলে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। মাছ ধরা শেষে পানি থেকে উঠার সময় দেখলেন একটা জোঁক(Leech)তার যৌনাঙ্গে (P***s) আকড়ে ধরেছে।...
08/08/2025

ভদ্রলোক বিলে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। মাছ ধরা শেষে পানি থেকে উঠার সময় দেখলেন একটা জোঁক(Leech)তার যৌনাঙ্গে (P***s) আকড়ে ধরেছে। উনি সরানোর চেষ্টা করতে করতেই এই জোঁক তার প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ঢুকে হারিয়ে যায়।

কিছুক্ষণের মধ্যেই তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। প্রস্রাব করার চেষ্টা করলে শুধু টাটকা রক্ত বের হয়। প্রস্রাব না হওয়ার কারণে তার মুত্তথলি ফুলতে থাকে আর ব্যথা বাড়তে থাকে।

ব্যথায় অস্থির ভদ্রলোক আমার চেম্বারে আসেন। আমি তার প্রস্রাবের রাস্তায় নল(Catheter) দেই এবং লবনাক্ত স্যালাইন (Normal saline) দিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে ওয়াস করি। শুধু তাজা আর জমাট রক্ত ছাড়া আর কিছু পাইনা। ভাবসিলাম এতো লবণ পানিতে জোঁকটা হয়তো মরে যাবে। নতুন করে আর মুত্রথলির ক্ষতি করবে না, জমাট রক্ত দিয়ে ক্যাথেটার ব্লক হবে না।

তারপর রুগী ওটিতে নিয়ে যাই প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ক্যামেরা ঢুকিয়ে (Cystoscopy) জোঁক বের করার জন্যে। ক্যামেরা দিয়ে শুধু রক্ত ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। অনেকক্ষণ ধরে ওয়াস করেও কোনকিছুই দেখা যাচ্ছে না।
হঠাৎ একটা কালো বস্তুর মতো দেখে সন্দেহের উপর তা ধরে টান দেই। দেখি সেই কাঙ্খিত জোঁক...অনেক লম্বা, মোটাতাজা। প্রায় ৮ ঘন্টা পরেও সে নড়ছে, পুরাই জীবিত।

এখন রুগী ভাল আছে। রক্ত যাওয়া কমেছে।
ফলো আপ এ আছে।

©ডা: আরিফ সানা

নতুন জীবন পাওয়া...এই রোগীকে সাপে কামড় দেয়। এরপর রোগী নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হোন। রোগীর শরীরে বিষক্রিয়া হ...
05/08/2025

নতুন জীবন পাওয়া...
এই রোগীকে সাপে কামড় দেয়। এরপর রোগী নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হোন। রোগীর শরীরে বিষক্রিয়া হয়ে যায়। চিকিৎসকরা দ্রুত যা যা করণীয় করেন। এরপর রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মতিন ভাই রোগীর শ্বাসনালীতে টিউব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং দ্রুত টিউব দেয়া হয়। কিন্তু নীলফামারীতে আইসিইউ নেই তাই AMBU (বেলুনের মত একটা বস্তু) দিয়ে একজন মানুষ পাম্প করে উনাকে শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে রংপুরে নিয়ে আসে।

এই রোগীকে রংপুরের উদ্দেশ্য রওনা করে দিয়ে সর্প ম্যানেজমেন্ট গ্রুপে মেসেজ দেন ডাঃ মতিন ভাই। এরপর আমাদের পরম শ্রদ্ধেয়, বাংলাদেশের প্রতিথযশা চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক এম এ ফয়েজ স্যার আমাদের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেন। দ্রুত আইসিইউ ম্যানেজ হয়।
রোগীকে অতি দ্রুত ভেন্টিলেটর মেশিনে দেয়া হয়। রাতে মেডিসিন বিভাগের প্রধান মোকলেস স্যার জানান রোগীর অবস্থা ভালো না। অব্জারভ করে তারপর হয়ত ডেথ ডিকলার করতে হবে। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ ও আইসিইউ এর চিকিৎসক, নার্স সবার প্রচেষ্ঠায় রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন।

আমি জানি এমন সফলতার কাহিনী আমাদের দেশের কোন মিডিয়া প্রচার করবে না। কারন সফলতার গল্প কোন নিউজ না, ভালো খবর কোন নিউজ না। যাহোক, এই পোস্টের মাধ্যমে নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ এবং রংপুর মেডিকেল কলেজের সকল চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সবার কাছে অনুরোধ সাপে দংশন করলে অবশ্যই হাঁসপাতালে নিয়ে আসবেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ সাপ অবিষাক্ত, কিন্তু যদি কাউকে বিষাক্ত সাপে কামড় দেয় এবং তার শরীরে বিষক্রিয়া হয় তাহলে তাকে আধুনিক চিকিৎসা না দিলে মৃত্যু অনিবার্য।

অধ্যাপক এম এ ফয়েজ স্যার আমাদের দেশের সর্প দংশন চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এখন আমাদের দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্প দংশনের চিকিৎসা দেয়া হয়।

Source : Platform

©ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

(অনুমতিক্রমে ছবি নেয়া)

আজকে ভোলা থেকে এম ভি দোয়েল পাখি ১০ লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। এই লঞ্চেই উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছ...
05/08/2025

আজকে ভোলা থেকে এম ভি দোয়েল পাখি ১০ লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। এই লঞ্চেই উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছিলো ১ দিন বয়সী একটা বাচ্চা। বাচ্চাটার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় অক্সিজেন সিলিন্ডার সাথে করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলো হয়তো। সমস্যা হয় লঞ্চ যখন মুন্সীগঞ্জ পার হয় তখন অক্সিজেন শেষ হয় যায়। বাচ্চার পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুরো বিষয়টি বলে। ৯৯৯ থেকে কুইক এ্যাকশন নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোষ্ট গার্ডের একটা টিম অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে স্পীড বোটে করে লঞ্চে পৌঁছে যায়। এরপর কোষ্টগার্ডের দুইজন সদস্যকে লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে সার্বক্ষণিক বাচ্চাটার মনিটরিং এর জন্য রেখে বাকিরা লঞ্চের সাথে সাথেই সদরঘাট পর্যন্ত আসে। এরপর আগে থেকেই ঘাটে দাঁড়ানো কোষ্টগার্ডের অ্যাম্বুলেন্সে করে বাচ্চাটাকে হসপিটালে পাঠানো হয়।

অনেক অনেক নেগেটিভ নিউজের ভীড়ে এই পজিটিভ নিউজগুলোই আমাদেরকে আবার নতুন করে দেশকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে।

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই Bangladesh Coast Guard এবং National Emergency Helpline 999 কে ❤️

ছবি এবং তথ্যঃ Mosure Rahaman Semon (Official Member, Team BikeBD)

01/08/2025

মোমিন নামাঃ

- আমার অফিসের পিয়ন সেইরকম কাজের লোক। একদিন ওকে বললাম ....

• মোমিন, একটা প্লেট নিয়ে আসোতো।

• মোমিন আধাঘণ্টা পর দোকান থেকে একটা ব্লেড নিয়ে আসলো।

• এইটা কি মোমিন?

• এইডাই সপচে ভালা ব্লেড স্যার। এইডা দিয়া সেভ করলে চেহারা গ্লেচ মারবো .... টিভিতে দেহায়।..
- আরেকদিন টাকা দিয়ে বললাম ....

• মোমিন দোকান থেকে একটা কলম নিয়ে আয়।

• মোমিন কিছুক্ষণ পর এক মেডিকেল রিপ্রেজেণ্টেটিভরে সাথে করে নিয়ে এসে বলে .... স্যার, আপনি ডাক্তার হইয়া মলম কিনবেন ইটা ক্যামুন কতা। আপনার কি মলম লাগবো ইনারে কন .... ইনি আইনা দিবো।..
- আরেকদিন ওরে জিজ্ঞেস করলাম ....

• মোমিন এইখানের সবচেয়ে ভালো স্যালুন কোনটা?

• খোঁজ নিয়া জানাইতেছি স্যার।

• কিছুক্ষণ পর আমারে ফোন দিয়ে বলে .... স্যার, এইখানেতো বেলুন পাইলাম না। তয় আপনি চিন্তা কইরেন না, আমি যেহান তোন পারি বেলুনের ব্যবস্থা করুম।..
- আজ ইমার্জেন্সী ডিউটিতে হঠাৎ ইলেকট্রিসিটি চলে গেলো। মোমিনরে ডেকে বললাম ....

• মোম নিয়ে আয়।

• কিছুক্ষণ পর লাশ কাঁটার ডোম এসে বলে, স্যার কি আমারে ডাকছেন?

• না তো।

• মোমিন আমারে বললো, আপনি নাকি আমারে ডাকছেন।..
- মোমিনের কাছে ধরা খায় নায় এমন লোক আমাদের হাসপাতালে নাই। তবে সবচেয়ে বড় ধরা খেয়েছে আমাদের এক কলিগ। সে নতুন এসেছে। তার বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য একজন টিচার খুঁজে দিতে বলেছে মোমিনকে। প্রায় ১০-১২ দিন পর মোমিনরে জিজ্ঞেস করে ....

• মোমিন কি অবস্থা? এখনওতো কোনো খোঁজ দিলা না।

• স্যার খুঁজতেছি। কয়েকদিনের মধ্যে আপনার কাছে নিয়া আমু।

• তিন-চার দিন পর মোমিন আমাদের অফিসের স্টোর কিপাররে উনার কাছে নিয়ে আসে।

• মোমিন, তুমি স্টোর কিপাররে নিয়ে আসছো কেনো?

• স্যার, আপনি না আমারে চিটার খুঁইজা আনতে কইছেন। হেতি বিশ্ব চিটার। হেতির মতো চিটার এই পৃথিবীতে একটাও নাই।

- মোমিন আমাদের কাছে এখন এক মূর্তিমান আতংকের নাম।।

©ডা.শামীম রেজা

30/07/2025

অভিশা/পের আরেক নাম মেট্রোরেল:

মেট্রোতে সকাল বেলা আসছি। পিছনে একজনকে বলতে শুনলাম, " মেট্রো আমার জীবন ছারখার করে দিছে। হাসিনা কেন এটা বানাইলো??"

পাশের জন তখন জিজ্ঞেস করল কি সমাচার!!

সেই লোকের উত্তর, " আগে মতিঝিল যেতে দুই ঘণ্টা লাগতো, কি সুন্দর ঘুমাইয়া যেতাম, ঘুমাইতে ঘুমাইতে আসতাম। এখন বাচ্চাকে স্কুলে দাও, বাজার করো, বউ এর কত বকবক শোনো তারপর অফিস যেতে হয় মাত্র আধা ঘণ্টায়!! আবার ফিরেও এসে বাড়িতে কত কি করতে হয়!!!জীবনটা তেজপাতা হয়ে গেছে।"

আফসোস লোকটার চেহারা দেখতে পারিনি। 😂😂

ইহাকেই বলে বাঙ্গালী। সুখে থাকলেও ভূতে কিলায়!

মেট্রো কার কার জন্য আশী*র্বাদ না হয়ে এমন অ*ভি*শা*প হলো বলেন তো!!!

27/07/2025

ইনবক্স থেকে: পরামর্শ প্রার্থী

আমি সরকারী মেডিকেল থেকে পাশ করা একজন ডাক্তার, নতুন ডাক্তারই বলা চলে, তবে বেশি নতুন না। মেডিসিনে fcps এর ট্রেনিং করতেছি। আল্লাহ চাইলে আগামী ২ বছর পর ফাইনাল দিবো। সরকারী চাকরি করি না। চেম্বার করি, ভিজিট ৪০০ টাকা নিই, পুরানো রোগী ৩০০, গরীব হলে ১০ টাকা, তবে ফ্রি নয়। Everything has a price.

আমার কলেজের এক ক্লাসমেট, বন্ধু নয়, ক্লাসমেট, যার কিনা tech জিনিসের শপ আছে, আমার থেকে তার বাবার জন্য অন্তত ১২ বার ফোন দিয়ে পরামর্শ নিয়েছে তাও রাত বিরাতে যখন তখন। আমি ফরমাল প্রেস্কক্রিপশান দিয়েছি, টেষ্ট করিয়েছি maximum ডিসকাউন্ট দিয়ে এবং আমার পরামর্শ মতই মেডিসিন খেয়ে উনি সুস্থ আছেন। ওর কাছে ভিজিট চেয়েছি, হাসতে হাসতে দেয় নাই।

শুধু তাইই না, আমাকে যেহেতু টাকা দেয় নাই, তাই ঢাকাতে গিয়ে অনেক ভিজিট ওয়ালা স্যারকে দেখিয়ে এসেছে, আমি যেসব টেষ্ট দেইনি, সেগুলোও আমারি বড় স্যার দিয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ ১৫-২০ এর মত গিয়েছে বলেই খোজ পেয়েছি। কদিন পর সেই স্যারের প্রেস্ক্রিপশানের সাথে মিলিয়ে দেখলাম, শুধু কোম্পানি চেঞ্জ। সাথে দুই একটা মাল্টিভিটামিন এড হয়েছে। ক্লাসমেটের বাবা আমার চাচা মনে করে ভালো কোম্পানির মেডিসিন দিয়েছিলাম। আমারই স্যার যে কোম্পানির মেডিসিন লিখেছেন, সেগুলো আরো ভালো কোম্পানি, আমাদের এখানে সে কোম্পানির মেডিসিন পাওয়া যায় না, আমি নিজে কোনদিন নামই শুনিনি। তবে Apps এ আছে দেখলাম। আমার আবার একটু ইগোতে লাগলো।

যাই হোক, গতকাল ওর শপ থেকে ২৫০০ টাকার একটা কিবোর্ড কিনেছি, কোনো টাকা দেই নাই। চাইছে অনেকবার দেইনাই, এমনকি ফোনও দিয়েছে কয়েকবার। প্রতিবার আমি হাসছি।

আমি বলেছি, আগে ভিজিট দিবি, তারপর কীবোর্ডের টাকা চাইবি। সে আমাকে "কসাই" হয়ে গেছি বলেছে, কিন্তু আমি কখনো কোরবানীর ছাগল ছাড়া কাটি নাই। যাই হোক,
১২ বারের ভিজিট- ৪০০+ ৩০০*১১= ৩৭০০ টাকা।

এখনো ১২০০ টাকা আমি পাই, ভাবছি কাল গিয়ে আরেকটা ইয়ারফোন নিয়ে আসবো, এমন দামের।

উল্লেখ থাকে যে, আমার আব্বু এবং আমি নিয়মিতই সরকারকে ট্যাক্স দেই।

এখন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কি কোনো অন্যায় করেছি???

আমজনতার মতামত আশা করছি।
বিবেক দিয়ে উত্তর দিবেন, আবেগ দিয়ে নয়। কারন, আবেগে আমার মন ভরলেও, পেট ভরে না।

------
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

Address

Dhaka
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram