Dr S M Shahidul Islam

Dr S M Shahidul Islam MBBS (Dhaka), FRSPH (UK), MACP (USA), CCD (BIRDEM), CCD (India), PGD (Endocrinology), M.Sc (MNFS) Thank You Very Much.

As a health professional I want to play a vital role in preventive medicine to serve mankind. I set my mind to become a public health specialist on Newborn & Child Health, Nutrition & Researcher for the well-being of humanity. Over few years of working closely with Government particularly Development Partners, UN agencies & NGO officials on nutrition, maternal & child health and/or advocacy. I would like to provide some basic knowledge to all though people are aware about their basic fundamentals of Health, Nutrition as well as Human well being also.

ভন্ড পীর ‼️ তারপরও ডাক্তার এর অপর নাম ক সা ই। 🫠রোগিণী এবং তার পুরো পরিবার পীরের মুরিদ। পীর বাবা বলেছেন অপারেশন লাগবে না।...
18/08/2025

ভন্ড পীর ‼️ তারপরও ডাক্তার এর অপর নাম ক সা ই। 🫠

রোগিণী এবং তার পুরো পরিবার পীরের মুরিদ। পীর বাবা বলেছেন অপারেশন লাগবে না। এমনেই ভাল হয়ে যাবা। রোগী তাই বাসায় বসে বসে পীরের দেয়া মাটি মিশ্রিত কোন এক ঝাঁড়ফুক দেয়া বস্তু খেয়েছে।

এদিকে পেটের নাড়ি প্যাঁচ খেয়ে পঁচে গেছে।পেট ফুলে ঢোল।আর পেটের ভেতরে বিষ্ঠা আর সমুদ্র সৈকতের মত বালু। রাত তিনটা পর্যন্ত অপারেশন করে সেই গু আর বালু পরিষ্কার করলাম আমরা ক'জন ক সা ই।

যদিও সে এখনো বেঁচে আছে,তবে যে ভয়ংকর ইনফেকশনের জন্য মৃ ত্যু র ঝুঁকিতে সে আছে, তার দায় বোধহয় আমাদেরই। কারণ এদেশে পীর বাবা রা সম্মানীত। আর চিকিৎসকরা ক সা ই।

©

নিরাপদ টিকা, সুস্থ্য ভবিষ্যত:  টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আগামী পয়লা ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে:৯ মাস – ১৫ বছ...
13/08/2025

নিরাপদ টিকা, সুস্থ্য ভবিষ্যত: টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আগামী পয়লা ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে:

৯ মাস – ১৫ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর-কিশোরী সবাই এই টিকার আওতায়।

রেজিস্ট্রেশন করুন নিন্মোক্ত সহজ ধাপে:

👉 ওয়েবসাইটে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সিলেক্ট করুন
👉 শিশুর জন্মতারিখ ও বয়স লিখুন
👉 জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর প্রদান করুন
👉 টিকা নেওয়ার ঠিকানা দিন
👉 ক্যাপচা কোড দিয়ে সাবমিট করুন
👉 শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিন
👉 পছন্দমতো টিকাকেন্দ্র সিলেক্ট করুন
👉 PDF ডাউনলোড করুন ও টিকা দেওয়ার সময় সঙ্গে রাখুন

সচেতন থাকুন, শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং পরীক্ষিত।

রেজিস্ট্রেশন করুন:
vaxepi.gov.bd অথবা
https://vaxepi.gov.bd

জনস্বার্থে:
ডা: এস এম সহিদুল ইসলাম

06/08/2025

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা – একসাথে হতে পারে ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রমণ!

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের ভয়ংকর প্রাদুর্ভাব চলছে। শুধু ডেঙ্গু নয়, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস ও একসাথে ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, এখন অনেক রোগীই একসাথে একাধিক ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন যাকে বলে Co-infection।

অর্থাৎ, একই মশার কামড়ে একসাথে ডেঙ্গু + চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গু + জিকা, এমনকি তিনটিই একসাথে হতে পারে!

উপসর্গের বিভ্রান্তি এবং বিপদ:

এই ভাইরাসগুলোর লক্ষণ একে অপরের সাথে মিলে যায়। ফলে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। নিচে উপসর্গগুলোর বিস্তারিত মিল ও অমিল তুলে ধরা হলো:

🔴 ডেঙ্গু জ্বর:

👉 হঠাৎ উচ্চ জ্বর
👉 মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা
👉 জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা
👉 ত্বকে লালচে র‍্যাশ
👉 প্লাটিলেট ও সাদা রক্তকণিকা (WBC) হ্রাস
👉 মারাত্মক ক্ষেত্রে: রক্তক্ষরণ ও Dengue Shock Syndrome

🟠 চিকুনগুনিয়া:

👉 হঠাৎ তীব্র জ্বর
👉 জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা (অনেক সময় মাস ধরে থাকে)
👉 মাংসপেশিতে দুর্বলতা
👉 ত্বকে র‍্যাশ
👉 শিশুর ক্ষেত্রে স্নায়বিক জটিলতা

🟣 জিকা ভাইরাস:

👉 হালকা জ্বর, শরীরে ব্যথা
👉 চোখ লাল হওয়া (conjunctivitis)
👉 ফুসকুড়ি
👉 গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে: গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি বন্ধ হওয়া (microcephaly)

🛑 Co-Infection হলে কী সমস্যা?

🚨 উপসর্গ বেশি জটিল ও তীব্র হয়
🚨 রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বিভ্রান্তিকর হয়
🚨 রক্তপাত ও শক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে
🚨 গর্ভবতী নারীর গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে
🚨 অনেক সময় রোগীকে আইসিইউ পর্যায়ের চিকিৎসা দিতে হয়

🩺 করণীয় (জ্বর হলে অবহেলা নয়):

🤒 জ্বর শুরু হলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করান:

💉CBC (রক্তের পূর্ণচিত্র),
💉Dengue NS1 Antigen
💉IgM/IgG for Dengue, Chikungunya, Zika PCR

✔️প্রচুর পানি ও স্যালাইন পান করুন
✔️ শুধু প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন (Ibuprofen❌/NSAID ❌)
✔️ রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট, প্রস্রাব কমে যাওয়া বা অচেতন হলে হাসপাতালে ভর্তি হোন
✔️ শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

প্রতিরোধই প্রধান হাতিয়ার:

🛑 বাসাবাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানি সরান (বালতি, টব, এসির নিচের ট্রে, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার)
🛑 দিনের বেলাতেও মশারি ও মশা নিরোধক স্প্রে ব্যবহার করুন
🛑 শিশুদের ও গর্ভবতীদের পুরো হাত-পা ঢাকা জামা পরিধানের দিকে নজর দিন
🛑 অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ফগিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালান

কিছু শেষ কথা:

⭕ এই ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমরা জিততে পারি শুধুমাত্র সচেতনতা, প্রতিরোধ ও সময়মতো চিকিৎসা দিয়ে।
⭕ "জ্বর মানেই সাধারণ জ্বর নয়" এটি হতে পারে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা জিকা কিংবা তিনটির একসাথে আক্রমণ!

সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই জীবন বাঁচাতে পারে।

জনস্বার্থে: ডা: এস এম সহিদুল ইসলাম
এন্ডোক্রাইনোলজিষ্ট (হরমোন/ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ) এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

#ডেঙ্গু #চিকুনগুনিয়া #জিকা #মশাবাহিতরোগ

30/07/2025

একবার ভাবুন, আপনি খুব পরিশ্রম করছেন টাকা রোজগারের জন্য। পরিশ্রম করলে টাকা আসে, আবার টাকাই যখন বেশি হয়ে যায়, তখন আর পরিশ্রম করতে মন চায় না, আলসেমি ধরে।
প্যানক্রিয়াস আর ক্যালসিয়ামের সম্পর্ক অনেকটা এমনই!

যখন শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম (Hypercalcemia) জমে, তখন এই ক্যালসিয়াম আমাদের প্যানক্রিয়াসের ভেতরের ঘুমন্ত এনজাইমগুলোকে আগেভাগেই জাগিয়ে তোলে।
ফলাফল? এই এনজাইমগুলো খাবার হজম না করে উল্টো নিজের প্যানক্রিয়াসকেই হজম করতে শুরু করে! এটাই হলো ভয়ংকর Pancreatitis যার বাংলা হলো প্যানক্রিয়াসে প্রদাহ। অনেক সময় ক্যালসিয়াম পাথরের মতো জমে নালী বন্ধ করে দেয়, তখনও সমস্যা হয়।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, একবার যদি Pancreatitis হয়ে যায়, তখন আবার শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে (Hypocalcemia) যেতে থাকে। কারণ?

প্যানক্রিয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত এনজাইমগুলো শরীরের চর্বিকে ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে, আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে ‘সাবান’ (calcium soap) তৈরি করে শরীরে জমে যায়।
ফলে রক্তে আর ক্যালসিয়াম থাকে না, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

📌 তাই কী করণীয়?
👉 শরীরের ক্যালসিয়াম মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন, বিশেষ করে যদি প্যানক্রিয়াস বা পেটের সমস্যা থাকে।
👉 নিজে থেকে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাবেন না — চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নয়।
👉 হঠাৎ পেটব্যথা, বমি, জ্বর, দুর্বলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন। শরীরের ভেতরের গল্পগুলোও মাঝে মাঝে শোনা দরকার!

28/07/2025

আপনি জানেন কি, প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন মানুষ হেপাটাইটিসে মারা যান? অথচ এই রোগ প্রতিরোধযোগ্য ও অনেক সময় নিরাময়যোগ্য!

🛑 এবার আমরা থামাবো—
📍 পরীক্ষা করাবো
📍 টিকা নেবো
📍 সচেতন হবো
📍 অন্যকে জানাবো

চুপ থাকলে চলবে না। জেনে রাখুন, জানিয়ে দিন। এখনই সময়।

#বিশ্বহেপাটাইটিসদিবস #হেপাটাইটিস #হেপাটাইটিসপ্রতিরোধ

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া এবং সালমান খান ⁉️মুখের একপাশে হঠাৎ বজ্রপাতের মতো তীব্র ব্যথা—যা শুধু কিছু সেকেন্ড থেকে কয়েক মিন...
26/07/2025

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া এবং সালমান খান ⁉️

মুখের একপাশে হঠাৎ বজ্রপাতের মতো তীব্র ব্যথা—যা শুধু কিছু সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, কিন্তু সেই সময়টা যেন যুগের মতো দীর্ঘ লাগে। এই ব্যথা এতটাই অসহনীয় যে একে “Sui*i Disease” নামেও পরিচিত। এই জটিল স্নায়বিক রোগের নাম ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া (Trigeminal Neuralgia)।

সালমান খানের বাস্তব অভিজ্ঞতা: বলিউডের মেগাস্টার সালমান খান নিজেই এই রোগের এক জীবন্ত উদাহরণ। ২০০৭ সালে ‘Partner’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সময় তিনি প্রথম মুখে প্রবল ব্যথা অনুভব করেন। প্রথমে সাধারণ দাঁতের সমস্যা মনে হলেও, ধীরে ধীরে সেই ব্যথা ভয়াবহ রূপ নেয়। খাওয়া, কথা বলা, এমনকি ঠাণ্ডা বাতাস লাগলেই মুখে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো ব্যথা উঠত। ২০১১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অস্ত্রোপচার করান। চিকিৎসার পরেও এই রোগ পুরোপুরি সারে না। তবে তিনি থেমে থাকেননি। ২০২৫ সালে ‘The Great Indian Kapil Show’-এ তিনি সাহসিকতার সাথে প্রকাশ করেন: “আমার Trigeminal Neuralgia আছে, Brain Aneurysm আছে, AV Malformation আছে। তবুও আমি কাজ করে যাচ্ছি।”

সালমান খানের মতো একজন তারকার মুখে এই স্বীকারোক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সঠিক চিকিৎসা, মানসিক শক্তি ও সামাজিক সমর্থন থাকলে যেকোনো যন্ত্রণাকেও জয় করা সম্ভব।

আসুন জেনে নেই ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ:

⛔ মুখের এক পাশে হঠাৎ তীব্র, ছুঁচালো ব্যথা
⛔ দাঁত ব্রাশ, মুখ ধোয়া, হাওয়া লাগা, বা হালকা স্পর্শে ব্যথা শুরু হয়
⛔ ব্যথা কয়েক সেকেন্ড থেকে মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, কিন্তু ঘন ঘন ফিরে আসে
⛔ মুখের গাল, চোয়াল, চোখের নিচে বা কানের আশেপাশে বেশি অনুভূত হয়

📍 চিকিৎসা ও করণীয়:

💯 ঔষধ: Carbamazepine বা ওক্সচারবাযেপিনে সহ আরো বেশ কিছু ঔষধ প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। জটিল ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার: Microvascular Decompression, Gamma Knife, বা Radiofrequency Ablation

💯 মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা: দীর্ঘমেয়াদি যন্ত্রণা হতাশা সৃষ্টি করতে পারে, তাই পরিবার ও চিকিৎসকদের সমর্থন জরুরি

🛑 সতর্কতা: যদি উপরে উল্লেখিত উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতাল বা একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। নিজে চিকিৎসা না করে রোগ নির্ণয়ের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিন।

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া একটি বিরল কিন্তু চরম যন্ত্রণাদায়ক রোগ। সালমান খানের মতো সাহসী ব্যক্তিত্ব আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন—এই রোগ আপনাকে থামিয়ে রাখতে পারে না, যদি থাকে সচেতনতা, চিকিৎসা ও মানসিক দৃঢ়তা।

জীবন একটাই, যন্ত্রণাকে জয় করুন, সম্মানের সঙ্গে বাঁচুন।

জনস্বার্থে:
ডা: এস এম সহিদুল ইসলাম
হরমোন, ডায়াবেটিস ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

#সচেতনতা #মুখের_ব্যথা

গত কয়েক সপ্তাহে অনেক শিশুদের ত্বকে ফোসকা, ঘা, পুঁজ ও খয়েরি রঙের খোসা দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ একে “হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজ” ব...
20/07/2025

গত কয়েক সপ্তাহে অনেক শিশুদের ত্বকে ফোসকা, ঘা, পুঁজ ও খয়েরি রঙের খোসা দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ একে “হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজ” বললেও, আসলে এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যার নাম: ইমপেটিগো (Impetigo)।

ইমপেটিগো কেন হয়?

🛑 Staphylococcus বা Streptococcus ব্যাকটেরিয়ার কারণে
🛑 কোনো ছোট কাটা/ঘষা/পোড়া জায়গা দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করলে
🛑 ধুলাবালি, গরম ও আর্দ্র পরিবেশে
🛑 অস্বাস্থ্যকর ও অপরিষ্কার পরিবেশে
🛑 একজন আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে এলে

⚠️ লক্ষণসমূহ:

🛑 লালচে র‍্যাশ বা ফোস্কা
🛑 ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হওয়া
🛑 খয়েরি বা হলুদ খোসা পড়ে যাওয়া
🛑 চুলকানি
🛑 মুখ, হাত, পেট, নিতম্ব, বা শরীরের ভাঁজে বেশি দেখা যায়

কম্পলিকেশন (জটিলতা) কী হতে পারে?

🎯 জীবাণু রক্তে ছড়িয়ে গিয়ে সেপ্টিসেমিয়া
🎯 Cellulitis (গভীর ত্বক সংক্রমণ)
🎯 Scar বা চিরস্থায়ী দাগ
🎯 Post-streptococcal glomerulonephritis (বিরল কিডনি জটিলতা)
🎯 ভাইরাল ইনফেকশনের ওপর সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ সহ আরো অনেক জটিল ইস্যু

প্রতিরোধে করণীয়:

👉 শিশুকে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
👉 নখ কেটে ছোট রাখা এবং চুলকানি করতে না দেয়া
👉 আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, পোশাক, বিছানা আলাদা রাখা
👉 ঘাম ও ধুলাবালি থেকে শিশুকে রক্ষা করা
👉 ত্বকে কাটা বা ফোস্কা হলে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা নেওয়া
👉 স্কুল বা ডে-কেয়ার থেকে সাময়িক বিরতি দেয়া সংক্রমণ ঠেকাতে

বাচ্চার মুখে বা শরীরে অস্বাভাবিক ফোসকা/পুঁজ/ঘা দেখলে অবহেলা নয়, সচেতন হন।

জনস্বার্থে
ডা: এস এম সহিদুল ইসলাম
ডায়াবেটিস ও হরমোন এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

#ছেলেমেয়েদের_ত্বক_রোগ #ছোঁয়াচে_চর্মরোগ #শিশুস্বাস্থ্য

17/07/2025

চিকুনগুনিয়া অন স্ট্রাইক 🦟
দেহ নয়, এবার সতর্কতা হোক আপনার ঢাল!

15/07/2025

২/৩ মাস আগে ছুটির কোন এক সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে এক বন্ধু বলল,"ভাই, তুমি না ডাক্তার, একটা কথা জিজ্ঞেস করি?" আমি হাসলাম, "বলো ভাই, চা-পানে বিজ্ঞানে বাধা নেই।"

সে বলল, "আমার অফিসে গতকাল হেলথ চেকআপে ট্রাইগ্লিসারাইড ৫২০ দেখাচ্ছে। এইটা কি আবার কোনো নতুন রোগ?"

আমি বললাম, "না ভাই, এটা কোনো নতুন রোগ না—তবে পুরনো এক নীরব শত্রু। রক্তে জমে থাকা একরাশ ক্ষতিকারক চর্বি, যা হৃদপিন্ডের রাস্তা বন্ধ করতে পারে, প্যানক্রিয়াসে প্রদাহ হতে পারে, এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

সে থতমত খেয়ে বলল, "আরে ভাই! আমি তো শুধু ভাত খাই, মাঝে মাঝে বিরিয়ানি, একটু হালকা জুস, কিছুই তো খারাপ খাই না!"

আমি মুচকি হেসে বললাম, "তুমি খারাপ কিছু খাও না—কিন্তু অতিরিক্ত ভালোবাসা দিয়ে খাও! ভাত, আলু, জুস, মিষ্টি, ফাস্টফুড—এই ‘ভালোবাসা’ই তো চুপচাপ রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়িয়ে তুলছে।"

সে চুপ করে বসে রইলো। আমি বললাম,
"ভাই, এই রোগের ওষুধ তুমি নিজেই—তোমার হাঁটা, তোমার খাবার, তোমার নিয়মিত পানি পান আর তোমার চিনি-ভাজাভুজির প্রেম থেকে মুক্তি।"

বন্ধুর জন্য যেমন, সবার জন্যও তেমন কিছু সহজ টিপস:

💯 ভাত কমান, লাল আটার রুটি আনুন
💯 বেশি সবজি, ফল গোটা খান—জুস না
💯 সপ্তাহে ২–৩ দিন মাছ রাখুন প্লেটে
💯 ডিমের সাদা অংশ নির্ভয়ে খান
💯 সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন হাঁটুন ৩০ মিনিট
💯 মিষ্টি, কোমল পানীয়, কেক–পেস্ট্রি বাদ দিন
💯 দিনে ১০–১২ গ্লাস পানি খান (স্বাভাবিক অবস্থ্যায়)
💯 ধূমপান নয়, নিঃশ্বাস হোক মুক্ত

সেদিন সেই বন্ধু বলেছিল, "ভাই, তুমি যদি গল্প না করে বুঝাতে, আমি কখনো গুরুত্ব দিতাম না।" আজ সে নিয়ম করে হাঁটে, খায়, হাসে—আর রিপোর্টে ট্রাইগ্লিসারাইড এখন ১৬০।

তাই মনে রাখবেন—খাবার শুধু স্বাদ না, ভবিষ্যতও গড়ে।

চুপিচুপি বাড়তে থাকা রক্তের চর্বি যেন না হয় কালরাত। আজ থেকেই নিজের শরীরের প্রতি দায়িত্বশীল হই।

শুভেচ্ছান্তে
ডা: এস এম সহিদুল ইসলাম
হরমোন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ

#স্বাস্থ্যসচেতনতা

13/07/2025

বাইরে থেকে দেখতে একদম সুস্থ—কিন্তু ভেতরে নিঃশব্দে শরীরের প্রতিটি কোষ ক্ষয়ে যাচ্ছে।” এটা শুধু গল্প নয়, আমাদের চারপাশের বাস্তবতা। ডায়াবেটিস ঠিক এমনভাবেই আসে—শব্দ ছাড়াই, ধাক্কা না দিয়েই, নিঃশব্দে।

কয়েকদিন আগে আমার চেম্বারে এলেন একজন তরুণ অফিস এক্সিকিউটিভ, বয়স মাত্র ৩২।
দেখে মনে হলো একেবারে সুস্থ সবল মানুষ। কিন্তু বললেন:

📍 “ঘুমটা ঠিকমতো হয় না, বারবার টয়লেট লাগে।”
📍 “খালি তৃষ্ণা পায়, মাঝেমধ্যে চোখ ঝাপসা দেখে।”
📍 “শরীরটা একটু দুর্বল লাগে, তবে খাই ভালোই… হয়তো কাজের চাপ!”

আমি অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম, রক্তে সুগার বা ডায়াবেটিস কখনো পরীক্ষা করিয়েছেন?
তিনি বললেন, “না প্রয়োজন মনে করিনি তাছাড়া আমার তো কিছু হয়নি, পরিবারেও কারো নেই!”

আমি অনুরোধ করলাম কিছু সাধারণ রক্ত পরীক্ষা করাতে।

পরীক্ষার ফলাফল:

🩸 Fasting Blood Sugar (খালি পেটে): 9.2 mmol/L
🩸 HbA1c (গত ৩ মাসের গড় সুগার): 7.8%

😱 তিনি বিস্ময়ে বললেন, “মানে… আমার ডায়াবেটিস হয়ে গেছে?”

এখন একটু সহজ করে বোঝাই:

সুস্থ মানুষের রক্তে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা:

খালি পেটে: ৪.৪ – ৫.৫ mmol/L
খাবারের ২ ঘণ্টা পরে: ৬.০ – ৭.৮ mmol/ল

HbA1c কী?
গত ৩ মাসে আপনার রক্তে গ্লুকোজের গড় মাত্রা জানায়।

👉 ৫.৭% এর নিচে: স্বাভাবিক
⚠️ ৫.৭% – ৬.৪%: প্রিডায়াবেটিস
⛔ ৬.৫% বা তার বেশি: ডায়াবেটিস

⚠️ ডায়াবেটিসের লক্ষণ যেগুলো অবহেলা করা বিপজ্জনক:

📍 ঘন ঘন প্রস্রাব
📍 অতিরিক্ত তৃষ্ণা
📍 হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
📍 ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
📍 চোখে ঝাপসা দেখা
📍 ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব
📍 বারবার ইনফেকশন

🛑 ভুল ধারনাগুলো যেগুলো ডায়াবেটিস আটকাতে পারে না:

⛔ “আমি তো মোটা না।”
⛔ “পরিবারে কারো ডায়াবেটিস নেই।”
⛔ “আমি ঠিকঠাক খাই।”
⛔ “আমি খুব ব্যস্ত, সময় নেই চেকআপের!”
⛔ "আমি চিনি খাই না।"

👉 এই যুক্তিগুলো ডায়াবেটিস ঠেকাতে পারে না। বরং অসচেতনতা হচ্ছে ডায়াবেটিসের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

✅ করণীয়:

🎯 প্রতি ৩–৬ মাস পর রুটিন চেকআপ করুন
🎯 স্বাস্থ্যকর খাবার খান, চিনি ও ভাজা খাবার কমিয়ে দিন
🎯 নিয়মিত ব্যায়াম করুন
🎯 মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব কমান
🎯 পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদেরও সচেতন করুন

একজন ডায়াবেটলজিস্ট হিসেবে জানাতে চাই: ডায়াবেটিস এখন নীরব মহামারি। আপনার ছোট্ট একটি সচেতনতাই আপনাকে, কিংবা আপনার প্রিয়জনকে একটি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন উপহার দিতে পারে।

আপনার স্বাস্থ্যই আপনার ভবিষ্যৎ। দয়া করে এটি অবহেলা করবেন না।

জনস্বার্থে ও শুভেচ্ছান্তে
ডা. এস এম সহিদুল ইসলাম
ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ (এন্ডোক্রাইনোলজিষ্ট)

06/07/2025

মিতা একজন ৩৫ বছরের কর্মজীবী নারী। আগে প্রতিদিন প্রাণবন্ত থাকলেও কিছু মাস ধরে সে নিজেকে খেয়াল করতে থাকে

👉 সকালে উঠতে খুব কষ্ট হয়
👉 অফিসে মন বসে না
👉 কথা বলায় উৎসাহ নেই
👉 চুল পড়ে যাচ্ছে অহরহ
👉 ওজন বাড়ছে, অথচ ডায়েট ঠিক আছে
👉 মাসিক অনিয়মিত
👉 ঠান্ডা আবহাওয়া সহ্য হয় না
👉 হাত-পা ফুলে যাচ্ছে একটু পরিশ্রমেই
👉 আর সবচেয়ে বেশি যা হতাশ করে — অকারণে মন খারাপ আর বিরক্তি

কোনো একদিন ধৈর্য হারিয়ে আমার কাছে এলেন,আমি বললাম একবার থাইরয়েড পরীক্ষা করে দেখুন — TSH, FT4 করুন।

রিপোর্টে ধরা পড়লো:
⛔ TSH অনেক বেড়ে গেছে
⛔ FT4 কম
📍 অর্থাৎ Hypothyroidism

হাইপোথাইরয়েডিজম মানে কী?
থাইরয়েড গ্রন্থি (গলার সামনের অংশে অবস্থিত) যথেষ্ট পরিমাণ হরমোন তৈরি করতে না পারলে শরীরের বিপাক হার কমে যায়। এতে শরীর ও মনের উপর প্রভাব পড়ে — একে বলে Hypothyroidism।

চিহ্নিত উপসর্গসমূহ:

👀 ক্লান্তি ও দুর্বলতা
👀 ওজন বৃদ্ধি
👀 ঠান্ডা সহ্য না হওয়া
👀 মন খারাপ, হতাশা
👀 মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ
👀 চুল পড়া
👀 মুখ বা চোখের চারপাশে ফুলে যাওয়া
👀 মেমোরি সমস্যা
👀 কোষ্ঠকাঠিন্য
👀 গলা ফুলে যাওয়া (Goitre)

Reference: Mayo Clinic, American Thyroid Association, BTA Clinical Guidelines

কারা ঝুঁকিতে?
🎯 নারীরা (বিশেষ করে ৩০ বছরের পর)
🎯 গর্ভবতী বা সদ্য মা হয়েছেন
🎯 পরিবারে থাইরয়েডের ইতিহাস থাকলে
🎯 অন্যান্য অটোইমিউন রোগ থাকলে (যেমন: ডায়াবেটিস টাইপ ১, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস)

নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা:
TSH (Thyroid Stimulating Hormone)
Free T4 / Free T3
Anti-TPO antibody এবং Thyroid Scan (বিশেষ ক্ষেত্রে)

চিকিৎসা:
🔈 দৈনিক সকালে খালি পেটে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঔষধ নির্দিষ্ট ডোজ অনুযায়ী সেবন
🔈 নিয়মিত ফলোআপ অনুযায়ী টষ অথবা অন্যান্য পরীক্ষা করে ডোজ সমন্বয়
🔈 চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী অথবা সারাজীবনের জন্যে হলেও সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে উপসর্গ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

জীবনযাপন পরিবর্তন করতে হয়:
💯 স্বাস্থ্যকর খাবার (আয়োডিনযুক্ত লবণ)
💯 প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম
💯 স্ট্রেস কমানো
💯 ঘুম ঠিক রাখা
💯 ওষুধ সঠিকভাবে নেওয়া
💯 ক্যাফেইন বা আয়রনযুক্ত খাবার ওষুধ খাওয়ার পর অন্তত ৪ ঘণ্টা বিরতিতে গ্রহণ

📍 মনে রাখবেন: শরীরের ভেতরে চলতে থাকা এই ধীরগতি রোগটি যদি সময়মতো ডায়াগনোসিস না হয়, তা হলে তা হৃদরোগ, বন্ধ্যত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, এমনকি Myxedema coma (জীবনঘাতী জটিলতা) পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।

অথচ চিকিৎসক কর্তৃক ক্লিনিকাল এক্সামিনেশন, একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে যায় এই রোগ, এবং নিয়মিত ঔষধ সেবন ও কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি আগের মতো স্বাভাবিক ও প্রাণবন্ত জীবন ফিরে পেতে পারেন।

রোগ এবং তার উপসর্গ সম্পর্কে জানুন, সুস্থ্য ও সুন্দর ও নিরাপদ থাকুন।

জনস্বার্থে
ডা: এস এম সহিদুল ইসলাম
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr S M Shahidul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr S M Shahidul Islam:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

History

As a health professional I want to play a vital role in preventive medicine to serve mankind. I set my mind to become a public health specialist on Newborn & Child Health, Nutrition & Researcher for the well-being of humanity. Over few years of working closely with Government particularly Development Partners, UN agencies & NGO officials on nutrition, maternal & child health and/or advocacy. I would like to provide some basic knowledge to all though people are aware about their basic fundamentals of Health, Nutrition as well as Human well being also.

Thank You Very Much.