28/10/2023
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসারকে বলা হয় নীরব ঘাতক । উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো জীবনধারা বা লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ বা ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা ও পাতে লবণ না খাওয়া
ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি পরিহার করা
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় খাদ্য তালিকায় সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।প্রতিদিনের রান্নায় ১০ গ্রামের বেশি লবণ না দেয়াই ভালো । খাবারের সময় আলাদা লবণ পরিহার করতে হবে । লবণাক্ত খাবার যেমন- চিপস, পাপড়, চানাচুর, আচার, সয়াসস ইত্যাদি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত চর্বি (যেমন- মাখন, ঘি, মার্জারিন) এবং ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় খাদ্য (কুকি, ক্র্যাকার, চিপস ইত্যাদি) পরিহার করতে হবে। যে কোনো কুকি, ক্র্যাকার, চিপস খাওয়ার আগে মোড়কে কি লেখা আছে তা দেখা উচিৎ। আজকাল অধিকাংশ কোম্পানি কম চর্বিযুক্ত উপাদান ব্যবহার করছে। এ সকল খাবারে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে।
খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডাবের পানি, কলা, টমেটো, গাড় সবুজ শশা, সবজি, সালাদ ইত্যাদি পটাশিয়ামের ভালো উৎস।
প্রোটিনজাতীয় খাদ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের একটু হিসাব করে খেতে হবে। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। ডাল, দেশি মুরগির মাংস, মাছ, ডিমের সাদা অংশ, লো ফ্যাট দুধ, টক দই ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্রোটিনের ভালো উৎস ।
শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর যারা শুয়ে বসে আলসেমি করে দিন কাটায় তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা ব্যায়ামকারীদের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত চর্বি (যেমন- মাখন, ঘি, মার্জারিন) এবং ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় খাদ্য (কুকি, ক্র্যাকার, চিপস ইত্যাদি) পরিহার করতে হবে। যে কোনো কুকি, ক্র্যাকার, চিপস খাওয়ার আগে মোড়কে কি লেখা আছে তা দেখা উচিৎ। আজকাল অধিকাংশ কোম্পানি কম চর্বিযুক্ত উপাদান ব্যবহার করছে। এ সকল খাবারে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
সর্বোপরি, উচ্চ রক্তচাপকে অবহেলা না করে সঠিকভাবে খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। শুভ কামনা।