Mind Touch Psychosocial Institute

Mind Touch Psychosocial Institute Mind Touch is a mental health service platform offering counseling, psychotherapy, and emotional support. We’re here to listen, understand, and help you heal.

Connect with us to start your journey toward mental well-being. 💬🧠 Mind Touch Psychosocial Institute is a mental health service that helps people feel better emotionally and mentally. We support teenagers, adults, and older adults who are facing stress, sadness, anxiety, or other mental health challenges. Our goal is to create a caring and safe space where you can talk openly and get the help you need. We listen without judgment and guide you toward healing and personal growth. We provide support for many issues, including depression, anxiety, relationship problems, trauma, low self-esteem, and more. Our trained psychologists use helpful methods like Cognitive Behaviour Therapy (CBT), Dialectical Behaviour Therapy (DBT), and Motivational Interviewing (MI), which are proven to work. Whether you're going through a hard time or dealing with long-term struggles, Mind Touch is here to help you take the next step toward a healthier and happier life.

28/05/2025

পরকীয়া (extramarital affair বা emotional/sexual infidelity) একটি জটিল মানসিক, সামাজিক ও পারিবারিক ইস্যু। এর পেছনে একাধিক সাইকোলজিকাল ব্যাখ্যা থাকতে পারে, যেগুলো ব্যক্তি-ভেদে ভিন্ন হতে পারে।couple counselling , individual counselling এর মাধ্যমে সমাধানে আসা যেতে পারে। CBT (Cognitive Behavioral Therapy) বা EFT (Emotionally Focused Therapy) থেরাপি সমুহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ,উক্ত সমস্যা সমাধানে।


23/05/2025

অটিজম সন্তানের মায়েদের জন্য মানসিক সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ তারা প্রতিদিন নানা ধরনের মানসিক চাপ, ক্লান্তি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।

সন্তানের ভিন্নধর্মী আচরণ, বিশেষ যত্নের প্রয়োজনীয়তা এবং সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মায়েদের মাঝে একাকীত্ব ও হতাশা তৈরি করতে পারে।

অনেক মা নিজের চাহিদা ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল না রেখে শুধুই সন্তানের পেছনে সময় ও শক্তি ব্যয় করেন, যার ফলে ধীরে ধীরে বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও বার্নআউট দেখা দিতে পারে।

সন্তানকে ঘিরে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা, যেমন—তার শিক্ষাগত অগ্রগতি, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বা আত্মনির্ভরশীলতা—মায়েদের মনে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।

অনেক সময় তারা সঠিক দিকনির্দেশনা ও তথ্যের অভাবে আরও বেশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন।

এই অবস্থায় নিয়মিত কাউন্সেলিং, সাপোর্ট গ্রুপে অংশগ্রহণ, আত্ম-যত্নের চর্চা এবং পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

মানসিকভাবে সুস্থ ও স্থির থাকলে মায়েরা সন্তানের যত্ন আরও দক্ষতার সঙ্গে নিতে পারেন এবং নিজেদের জীবনেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন।






14/05/2025

Career transition period বা ছাত্রজীবন শেষ করে চাকরিতে প্রবেশ করার সময় মানুষ একাকীত্ব বোধ করে অনেক কারণেই। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো—

পরিচিত পরিবেশ ও পরিচয়ের হারানো:

আগের কাজ বা পরিচিত পেশাগত পরিচয়টা হঠাৎ হারিয়ে গেলে মানুষ তার পরিচয়ের একটা বড় অংশ হারিয়ে ফেলে। এতে ভেতরে একটা শূন্যতা তৈরি হয়।

অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়ে অনিশ্চয়তা:

“আমি পারব তো?”, “এই পথে আমি ঠিক আছি তো?” — এমন প্রশ্নে নিজের প্রতি সন্দেহ তৈরি হয়, যা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে একাকীত্ব বাড়ায়।

পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থনের অভাব:

সবাই সবসময় বুঝে না কেন তুমি পেশা বদলাচ্ছো। কেউ কেউ হয়তো সমালোচনা করে বা নেতিবাচক মন্তব্য করে— এতে তুমি নিজেকে একা মনে করতে পারো।

অজানা ভবিষ্যতের ভয়:

নতুন ক্যারিয়ারে সফল হওয়া যাবে কিনা, সেটার ভয় থাকে। ভবিষ্যত অনিশ্চিত হলে মানুষ ভেতরে ভেতরে নিজেকে অনেক একা অনুভব করে।

তুলনার প্রবণতা:

যখন চারপাশের সবাইকে সফল মনে হয়, তখন নিজের জায়গাটাকে তুলনায় “অসফল” বা “অস্পষ্ট” মনে হয়— এতে মানসিক চাপ ও একাকীত্ব বাড়ে।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার মানুষ না থাকা:

এই সময় অনেকেরই পাশে কাউকে পাওয়া যায় না যাকে খোলাখুলি নিজের ভয়, উদ্বেগ বা চিন্তা বলা যায়।

আপনি যদি এখন এমন কোনো পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যান, আমি পাশে আছি কথা বলার জন্য। চাইলে শেয়ার করতে পারেন, আপনি কীভাবে ফিল করছেন, আমি শুনতে প্রস্তুত।

প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বসছি-

Model Addiction & Psychiatric Care.
113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate, Tejgaon.
Whatsapp: 01952-381521

এছাড়া অনলাইনেও কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে থাকি।





আপনার কি কোন কারণ ছাড়াই কান্না আসে? কান্নার কারণ আপনি নিজেও খুঁজে বের করতে পারেন না, এমন হয়? আচ্ছা, তাহলে আরো কয়েকটা লক্...
13/05/2025

আপনার কি কোন কারণ ছাড়াই কান্না আসে?

কান্নার কারণ আপনি নিজেও খুঁজে বের করতে পারেন না, এমন হয়?

আচ্ছা, তাহলে আরো কয়েকটা লক্ষণ মিলিয়ে নিন।

১. আপনার কি সারাদিন মন খারাপ থাকে?

২. যেসব কাজে আনন্দ পেতেন সেগুলোর আনন্দ কি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে?

৩. দু:স্বপ্ন দেখার পরিমাণ কি বেড়ে যাচ্ছে?

৪. পড়াশুনায় বা কাজে মনোযোগ কি কমে যাচ্ছে?

৫. আপনি আর আগের মত নেই, এমন মনে হয়?

বিভিন্ন কারণেই আমাদের এই ধরণের সমস্যা হতে পারে। কখনো পরিচিত কিংবা আপন মানুষ হারিয়ে গেলে, মা-বাবা, ভাই-বোন, কিংবা আত্মীয় স্বজন মারা গেলে অথবা রোগে আক্রান্ত হলে।

এছাড়াও যখন আমাদের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন থাকে, তখনও এমন হয়।

আবার যখন কেউ career transition অর্থাৎ পড়াশোনা শেষ করে দীর্ঘসময় ধরে চাকরির পিছনে ছুটছে, কিন্তু আশানুরূপ জব পাচ্ছেনা তাদের ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে।

আবার যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে-কিন্তু নতুন চাকরি পাচ্ছেনা, তাদেরও এমন হতে পারে।

আচ্ছা, আপনার কি কখনো এমন হয়েছে যে, লিখতে লিখতে কলম শেষ হওয়ার পর ফেলে দিতে কষ্ট হয়েছে?

কিংবা, কোন শিশি যেটা অনেকদিন ব্যাবহারের পর যখন ফেলে দিতে যাচ্ছেন, তখন ভিতর থেকে কান্না আসছে?

এই ধরণের যাবতীয় সমস্যা সাইকোথেরাপি কিংবা CBT (Cognitive Behaviour Therapy) এর মাধ্যমে খুব সহজেই মোকাবিলা করা যায়।

আপনার এখন, যে আনন্দ মাটি হয়ে যাচ্ছে কিংবা, সারারাত এপাশ ওপাশ করছেন, আশাকরি CBT-র মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন ও নিজেকে আবার খুঁজে পাবেন।

আপনার মনের কষ্ট শোনার জন্যই আমরা আছি, আপনার পাশেই!

Address:

Model Addiction & Psychiatric Care

113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate

Tejgaon, Dhaka-1215

বিঃ দ্রঃ অনলাইনে অথবা অফলাইনে সেশন নিতে পারবেন ।

Call or Whatsapp: 01952-381521

আপনি যদি রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমান তাহলে আপনার কি কোন সমস্যা হতে পারে?আপনার সন্তান কি দিন দিন পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ছে? কিংব...
11/05/2025

আপনি যদি রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমান তাহলে আপনার কি কোন সমস্যা হতে পারে?

আপনার সন্তান কি দিন দিন পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ছে?
কিংবা আগের মত পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারছে না?

আচ্ছা, একটা গবেষণার কথা বলি-

আমাদের দেহে biological clock বা 'দেহ ঘড়ি' রয়েছে।
ঘড়ি যেভাবে ঠিক টাইম দেয়, সেভাবে আমাদের দেহ, দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের সাথে মিলেমিশে বারবার বার্তা দেয়। সেই বার্তা দেয় মূলত হরমোনের মাধ্যমে।

অর্থাৎ দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে কর্টিসল হরমোন রিলিজ হওয়া শুরু করে, যা আমাদের দেহকে সতেজ ও এক্টিভ করে।

আবার সন্ধ্যা হলেই মেলাটোনিন নামের আরেকটি হরমোন ক্ষরণ হয়, যা ঘুমাতে সহায়তা করে।

সুতরাং, আপনার সন্তান যদি রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমায়, কিংবা অনেক রাত করে ঘুমায়, তাহলে সে দেহঘড়ির সাথে যুদ্ধ করলো। ফলে দিনে সে রাতের মত গভীর ঘুম ঘুমাতে পারবে না। আবার রাতের বেলাও দিনের মত কাজেকর্মে বা পড়াশুনায় একটিভ হতে পারবে না।

যা হবার তাই- তার প্রোডাক্টিভিটি দিন দিন কমতে থাকবে।

আরো যেসব সমস্যা হতে পারে-

মনোযোগ কমে যাবে।

মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে।

বিভিন্নধরণের মানুষিক সমস্যায় আক্রান্ত হবে।

রাগ বেড়ে যাবে।

আচরণে সমস্যা দেখা দিবে।

রেসাল্ট খারাপ হতে থাকবে।

রাতে ঘুমানোর জন্য মেডিসিন নেয়া লাগতে পারে।

ইনসমনিয়া হতে পারে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো আছেই।

যাইহোক, যদি এই সমস্যা থেকে আপনি ও আপনার সন্তান চিরতরে মুক্তি চান, তাহলে কয়েকটি কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারেন।

Address:

Model Addiction & Psychiatric Care
113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate
Tejgaon, Dhaka-1215

বিঃ দ্রঃ অনলাইনে অথবা অফলাইনে সেশন নিতে পারবেন ।

Call or Whatsapp: 01952-381521

আপনার কি কোন কারণ ছাড়াই কান্না আসে? কান্নার কারণ আপনি নিজেও খুঁজে বের করতে পারেন না, এমন হয়? আচ্ছা, তাহলে আরো কয়েকটা লক্...
11/05/2025

আপনার কি কোন কারণ ছাড়াই কান্না আসে?

কান্নার কারণ আপনি নিজেও খুঁজে বের করতে পারেন না, এমন হয়?

আচ্ছা, তাহলে আরো কয়েকটা লক্ষণ মিলিয়ে নিন।

১. আপনার কি সারাদিন মন খারাপ থাকে?

২. যেসব কাজে আনন্দ পেতেন সেগুলোর আনন্দ কি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে?

৩. দু:স্বপ্ন দেখার পরিমাণ কি বেড়ে যাচ্ছে?

৪. পড়াশুনায় বা কাজে মনোযোগ কি কমে যাচ্ছে?

৫. আপনি আর আগের মত নেই, এমন মনে হয়?

বিভিন্ন কারণেই আমাদের এই ধরণের সমস্যা হতে পারে। কখনো পরিচিত কিংবা আপন মানুষ হারিয়ে গেলে, মা-বাবা, ভাই-বোন, কিংবা আত্মীয় স্বজন মারা গেলে অথবা রোগে আক্রান্ত হলে।

এছাড়াও যখন আমাদের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন থাকে, তখনও এমন হয়।

আবার যখন কেউ career transition অর্থাৎ পড়াশোনা শেষ করে দীর্ঘসময় ধরে চাকরির পিছনে ছুটছে, কিন্তু আশানুরূপ জব পাচ্ছেনা তাদের ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে।

আবার যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে-কিন্তু নতুন চাকরি পাচ্ছেনা, তাদেরও এমন হতে পারে।

আচ্ছা, আপনার কি কখনো এমন হয়েছে যে, লিখতে লিখতে কলম শেষ হওয়ার পর ফেলে দিতে কষ্ট হয়েছে?

কিংবা, কোন শিশি যেটা অনেকদিন ব্যাবহারের পর যখন ফেলে দিতে যাচ্ছেন, তখন ভিতর থেকে কান্না আসছে?

এই ধরণের যাবতীয় সমস্যা সাইকোথেরাপি কিংবা CBT (Cognitive Behaviour Therapy) এর মাধ্যমে খুব সহজেই মোকাবিলা করা যায়।

আপনার এখন, যে আনন্দ মাটি হয়ে যাচ্ছে কিংবা, সারারাত এপাশ ওপাশ করছেন, আশাকরি CBT-র মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন ও নিজেকে আবার খুঁজে পাবেন।

আপনার মনের কষ্ট শোনার জন্যই আমরা আছি, আপনার পাশেই!

Address:

Model Addiction & Psychiatric Care

113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate

Tejgaon, Dhaka-1215

বিঃ দ্রঃ অনলাইনে অথবা অফলাইনে সেশন নিতে পারবেন ।

Call or Whatsapp: +8801952381521

Mind Touch Psychosocial Institute is a mental health service that helps people feel better emotionally and mentally. We ...
11/05/2025

Mind Touch Psychosocial Institute is a mental health service that helps people feel better emotionally and mentally. We support teenagers, adults, and older adults who are facing stress, sadness, anxiety, or other mental health challenges.

Our goal is to create a caring and safe space where you can talk openly and get the help you need. We listen without judgment and guide you toward healing and personal growth.

We provide support for many issues, including depression, anxiety, relationship problems, trauma, low self-esteem, and more.

Our trained psychologists use helpful methods like Cognitive Behaviour Therapy (CBT), Dialectical Behaviour Therapy (DBT), and Motivational Interviewing (MI), which are proven to work.

Whether you're going through a hard time or dealing with long-term struggles, Mind Touch is here to help you take the next step toward a healthier and happier life.

Our address:

Model Addiction & Psychiatric Care

113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate

Tejgaon, Dhaka-1215.

For appointment:

Call or Whatsapp: +8801952381521




21/04/2025

Career transition period-এ মানুষ একাকীত্ব বোধ করে অনেক কারণেই। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো—

পরিচিত পরিবেশ ও পরিচয়ের হারানো:
আগের কাজ বা পরিচিত পেশাগত পরিচয়টা হঠাৎ হারিয়ে গেলে মানুষ তার পরিচয়ের একটা বড় অংশ হারিয়ে ফেলে। এতে ভেতরে একটা শূন্যতা তৈরি হয়।

অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়ে অনিশ্চয়তা:
“আমি পারব তো?”, “এই পথে আমি ঠিক আছি তো?” — এমন প্রশ্নে নিজের প্রতি সন্দেহ তৈরি হয়, যা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে একাকীত্ব বাড়ায়।

পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থনের অভাব:
সবাই সবসময় বুঝে না কেন তুমি পেশা বদলাচ্ছো। কেউ কেউ হয়তো সমালোচনা করে বা নেতিবাচক মন্তব্য করে— এতে তুমি নিজেকে একা মনে করতে পারো।

অজানা ভবিষ্যতের ভয়:
নতুন ক্যারিয়ারে সফল হওয়া যাবে কিনা, সেটার ভয় থাকে। ভবিষ্যত অনিশ্চিত হলে মানুষ ভেতরে ভেতরে নিজেকে অনেক একা অনুভব করে।

তুলনার প্রবণতা:
যখন চারপাশের সবাইকে সফল মনে হয়, তখন নিজের জায়গাটাকে তুলনায় “অসফল” বা “অস্পষ্ট” মনে হয়— এতে মানসিক চাপ ও একাকীত্ব বাড়ে।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার মানুষ না থাকা:
এই সময় অনেকেরই পাশে কাউকে পাওয়া যায় না যাকে খোলাখুলি নিজের ভয়, উদ্বেগ বা চিন্তা বলা যায়।

আপনি যদি এখন এমন কোনো পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যান, আমি পাশে আছি কথা বলার জন্য। চাইলে শেয়ার করতে পারেন, আপনি কীভাবে ফিল করছেন, আমি শুনতে প্রস্তুত।

প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বসছি- Model Addiction & Psychiatric Care.

113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate, Tejgaon.

Whatsapp: 01952381521

এ ছাড়া অনলাইনেও কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে থাকি।

06/04/2025

১৯৭২ সালে, একজন ফরাসি বিজ্ঞানী ৪৪০ ফুট ভূগর্ভের একটি সম্পূর্ণ অন্ধকার গুহায় ১৮০ দিন ধরে নিজেকে বন্দী করেছিলেন।

কোনো আলো নেই।
কোনো সময় নেই।
কোনো মানবিক সংযোগ নেই।

তিনি মানব মনের গোপন রহস্য উদ্ঘাটন করতে চেয়েছিলেন—আর যা তিনি আবিষ্কার করেছিলেন তা ছিল সময়-বিকৃতকারী:

মিশেল সিফর ছিলেন একজন ভূতাত্ত্বিক ও গবেষক, যিনি চরম পরিস্থিতিতে মানব জীববিজ্ঞানের রহস্য বোঝার প্রতি আসক্ত ছিলেন।

তিনি বিশ্বাস করতেন, মানব মনের প্রকৃত রহস্য এর সময়ের সাথে সম্পর্কের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।

এই তত্ত্ব পরীক্ষা করতে, তিনি এক বিপ্লবী গবেষণা চালান।

সিফর স্বেচ্ছায় নিজেকে একটি গুহায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখেন।

কোনো ঘড়ি নেই

কোনো সূর্যের আলো নেই

সময় মাপার কোনো উপায় নেই

তিনি জানতে চেয়েছিলেন:
• সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতায় মস্তিষ্ক কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়
• প্রাকৃতিক চক্র থেকে বিচ্ছিন্ন হলে কী ঘটে

বিশ্ব ভেবেছিল তিনি উন্মাদ!

১৯৭২ সালে, সিফর টেক্সাসের এক গুহায় ৪৪০ ফুট নিচে নেমে গেলেন।

বাইরের পৃথিবীর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই

দিন পার করার জন্য সূর্যের কোনো দিকনির্দেশনা নেই

শুধু তিনি, একটি স্লিপিং ব্যাগ, আর টিকে থাকার কিছু সরঞ্জাম

অন্ধকার ছিল চরম।
নিঃসঙ্গতা ছিল ভয়ঙ্কর।

প্রথমে, সিফর রুটিন ধরে রাখার চেষ্টা করলেন।
তিনি ক্ষুধা ও ক্লান্তি অনুযায়ী খাওয়া-ঘুমের সিদ্ধান্ত নিতেন।

কিন্তু আলো ও সময় ছাড়া…
তার সময়ের অনুভূতি বিকৃত হতে লাগল।

ঘণ্টা মনে হতো মিনিটের মতো

দিনগুলো একসাথে মিশে যেত

দ্রুতই তার মানসিক অবস্থা অবনতি হতে শুরু করল:

• তিনি ছায়া ও কণ্ঠস্বর কল্পনা করতেন
• তিনি ভাবতেন, গুহায় তার সাথে কেউ আছে
• তার চিন্তাভাবনা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে

এই বিচ্ছিন্নতা তার মস্তিষ্ককে ভেঙে ফেলছিল।

যা তিনি জানতেন না:

তার উপরে থাকা গবেষণা দল তার প্রতিটি কর্মকাণ্ড রেকর্ড করছিল।
তারা তার কার্যকলাপ বাস্তব সময়ের সাথে তুলনা করছিল।

ফলাফল?
সিফর পুরোপুরি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন।

দ্বিতীয় মাসের মধ্যে, তিনি বিশ্বাস করতেন ২৪ ঘণ্টা কেটেছে—
কিন্তু বাস্তবে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছিল।

তার শরীর সম্পূর্ণ নতুন এক ছন্দ তৈরি করেছিল:
• ৩৬ ঘণ্টা জেগে থাকা
• ১২ ঘণ্টা ঘুম

এটি বিজ্ঞানীদের অবাক করে দিয়েছিল!

মানুষ সূর্যের আলো দ্বারা নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টার জৈবিক ছন্দ মেনে চলে।
কিন্তু আলো ছাড়া, সিফরের শরীর নিজের ঘড়ি তৈরি করেছিল—সূর্য থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে।

কিন্তু আরও ভয়ংকর একটি আবিষ্কার হয়েছিল।

সপ্তাহ মাসে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে, তার মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে:

• তিনি বাক্যের মাঝখানে শব্দ ভুলে যেতেন
• তিনি সাধারণ তথ্য মনে রাখতে পারতেন না
• তার আবেগ আনন্দ ও হতাশার মধ্যে দোল খেত

বিচ্ছিন্নতা তার মস্তিষ্ককে নতুনভাবে প্রোগ্রাম করছিল।

পরবর্তীতে, সিফর এই অভিজ্ঞতাকে বর্ণনা করেছিলেন:
"একটি ধীরে ধীরে উন্মাদনার দিকে পতন।"

তিনি পোকামাকড়ের সাথে কথা বলতেন।
নিজের কণ্ঠস্বরেই সান্ত্বনা খুঁজতেন।
কিন্তু নীরবতা বারবার ফিরে আসত—
চাপা ও নিরলস।

১৮০ দিন পর, সিফরকে গুহা থেকে বের করা হয়।

তার কাছে মনে হয়েছিল, মাত্র ১৫১ দিন কেটেছে!

তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন, বুঝতে পেরে কতটা সময় হারিয়ে ফেলেছেন।
বাইরের নির্দেশনা ছাড়া, মস্তিষ্ক সময়কে ধরতে পারে না।

সিফরের গবেষণায় প্রকাশ পায়:

• সময় শুধু বাহ্যিক নয়—
এটি মস্তিষ্কও সৃষ্টি করে।
• বিচ্ছিন্নতা ও সংবেদনশীল বঞ্চনা এই ক্ষমতাকে বিকৃত করে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

তার আবিষ্কার সময়ের উপলব্ধি সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে বদলে দেয়।
এটি বিপ্লব ঘটায়:
• জৈবিক ঘড়ি গবেষণায়
• মহাকাশ অভিযানে (অভিযাত্রীদের বিচ্ছিন্নতা গবেষণা)
• একাকীত্বে থাকা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণায়

কিন্তু এর মূল্য ছিল চরম।

সিফর অক্ষত বের হননি:
• তিনি স্থায়ীভাবে মেমোরি লস আক্রান্ত হন
• তার মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক হতে বছর লেগে যায়
• তিনি গুহাটিকে "একটি অন্তহীন রাত" হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাকে দশক ধরে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে

তিনি তার আবিষ্কারের জন্য চরম মূল্য দিয়েছিলেন।

কিন্তু সত্ত্বেও, সিফর গবেষণা চালিয়ে যান।

তিনি পরবর্তীতে আরও গুহায় বিচ্ছিন্নভাবে নিজেকে বন্দী করেন তার গবেষণার পুনরাবৃত্তি করতে।

তার কাজ আধুনিক ঘুমবিজ্ঞান ও সময় মনোবিজ্ঞান এর ভিত্তি গড়ে দেয়।

তবে তিনি যে প্রশ্নগুলো তুলেছিলেন, তা আজও রয়ে গেছে:
আসলে সময় কী?
এটি কি বাহ্যিক বিশ্ব দ্বারা তৈরি—
নাকি মানব মস্তিষ্ক এর নিজস্ব সৃষ্টি?

সিফরের গবেষণা দেখিয়েছে, সময় দুটোই।
এবং মনের মধ্যেই সময়কে গড়ে তোলার চূড়ান্ত ক্ষমতা লুকিয়ে আছে।

"মনের নিজস্ব একটি মহাবিশ্ব আছে।" – মিশেল সিফর

সিফরের উত্তরাধিকার আমাদের মনে করিয়ে দেয়:
মানব মস্তিষ্কের অসাধারণ স্থিতিস্থাপকতা এবং তার ভঙ্গুরতার মধ্যে পার্থক্য।
এবং বিচ্ছিন্নতা আমাদের অভ্যন্তরীণ জগতের গভীরতা উন্মোচন করতে পারে।

সংগৃহীত




03/03/2025

রমজান মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

১. আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সংযম বৃদ্ধি

রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে মানুষ নিজের প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শেখে, যা ইম্পালস কন্ট্রোল (impulse control) ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি CBT-এর cognitive restructuring এর মতো কাজ করে, যা নেতিবাচক আচরণ পরিবর্তনে সাহায্য করে।

২. দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস কমায়

রমজানে নিয়মিত ইবাদত ও দোয়া মানসিক প্রশান্তি দেয়। সিজদাহ করার সময় মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও এন্ডোরফিনের ক্ষরণ হয়, যা হতাশা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

৩. মনোযোগ ও আত্মউন্নয়ন বৃদ্ধি

রমজান এক ধরনের মাইন্ডফুলনেস প্র্যাকটিস, যেখানে মানুষ বর্তমান মুহূর্তে থাকে, অহেতুক চিন্তা কমিয়ে নিজের আত্মিক উন্নয়নে মনোযোগ দেয়। ফলে মনোযোগের ক্ষমতা বাড়ে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

৪. নেতিবাচক অভ্যাস পরিত্যাগে সহায়তা

অনেকে রমজান মাসে ধূমপান, বাজে ভাষা বা রাগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস পরিবর্তন করে। এটি বিহেভিয়ার মডিফিকেশন থেরাপি-র মতো কাজ করে, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন ঘটায়।

৫. পরিবার ও সামাজিক সংযোগ দৃঢ় করে

সেহরি ও ইফতারের সময় পরিবারের সঙ্গে একসাথে থাকা, তারাবির নামাজ পড়া—এসব সামাজিক সংযোগ বাড়ায়। এতে সোশ্যাল সাপোর্ট বাড়ে, যা মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৬. আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য বাড়ায়

রমজানে নিয়মিত ইবাদত ও সংযম পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসী হয় এবং মানসিক স্থিতিশীলতা অর্জন করে।

৭. আধ্যাত্মিক প্রশান্তি প্রদান করে

রমজান কেবল আত্মসংযমের মাসই নয়, বরং এটি মানুষকে ঈমানি শক্তি ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তি প্রদান করে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।

সুতরাং, রমজান মাস শুধু শারীরিক উপকারই করে না, বরং এটি মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি অর্জনে সহায়ক হয়।

Address

113/A, Monipuripara, Gate No-01, Firmgate, Tejgaon Dhaka-1215
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mind Touch Psychosocial Institute posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram