Patient Nursing Care Home Service

Patient Nursing Care Home Service Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Patient Nursing Care Home Service, Nursing home, Farmget, Dhaka.

জ্বর হলে কি করবেনঅধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর...
25/07/2018

জ্বর হলে কি করবেন

অধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়।তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।

যদি আপনার শিশুর জ্বর হয়

বড়দের হয়তো জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই স্বস্তি মেলে। কিন্তু শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবন করানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫/৭ দিনের মধ্যে শিশুর কাশি বা জ্বর না কমলে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।

জ্বর হলে স্পঞ্জিং

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী। এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোন গামলা ভর্তি করে পানি নেয়া উচি। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।

বিশ্রাম ও খাবার

জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে।

জ্বরের সময় সচেতনতা

জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলোবাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়।

কালিজিরার আশ্চর্য সব উপকারিতাসাধারণত কালিজিরা নামে পরিচিত হলেও এ জিরার আরো কিছু নাম আছে। যেমন কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ড...
21/07/2018

কালিজিরার আশ্চর্য সব উপকারিতা

সাধারণত কালিজিরা নামে পরিচিত হলেও এ জিরার আরো কিছু নাম আছে। যেমন কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, নিজেলা, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা ও কালঞ্জি ইত্যাদি। কালিজিরার বৈজ্ঞানিক নাম nigella sativa। যে নামেই ডাকা হোকনা কেন এই কালো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম।

ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালিজিরা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালিজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালিজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আশ্চর্য বীজ কালিজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।

চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে: কালিজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালিজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে: ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

● মধু ও কালিজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

● যদি আপনার ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালিজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে।

● শুষ্ক ত্বকের জন্য কালিজিরার গুঁড়া ও কালিজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

ব্লাড প্রেশার কমায়: এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, কালিজিরা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে এবং রক্তচাপ কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে পারে।

শ্বাসপ্রশ্বাস এর সমস্যা কমায়:আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যে সর্দি, কাশি ও জ্বর হয় সেসবের যন্ত্রণাকর উপসর্গের তীব্রতা কমাতে পারে কালিজিরা।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: Medical Science Monitor journal এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, নিয়মিত কালিজিরা খেলে মৃগীরোগ আছে এমন শিশুদের হৃদপিণ্ডের অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। কালিজিরায় খিঁচুনি বন্ধ করার উপাদান থাকে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিরাময় করে: গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতিদিন ২ গ্রাম কালিজিরা খেলে রক্তের সুগার লেভেল কমায়, ইনসুলিনের বাধা দূর করে এবং অগ্নাশয়ে বিটা কোষের কাজ বৃদ্ধি করে।

পারকিনসন্স রোগের প্রতিকারে:কালিজিরায় থাইমোকুইনিন থাকে যা পারকিনসন্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের দেহে উৎপন্ন টক্সিনের প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় কাজ করে।

● এছাড়া হাইপারটেনশন, স্ট্রোক, স্থূলতা, অ্যাজমা, ক্যান্সার, গলাব্যাথা ইত্যাদির নিরাময়ে কাজ করে কালিজিরা।

● নিয়মিত কালিজিরা খেলে অপারেশনের দাগ দূর হয়, ব্রেইন টনিক হিসেবে কাজ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

● নিয়মিত কালিজিরা খেলে তা শরীরের অভ্যন্তরের ও বাহিরের অংশের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত কালিজিরা খান।

প্রতিদিন ১চামচ মধু খাওয়ার উপকারিতাআমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) থেকে বর্ণিত, মধু মৃত্যু ব্যাতিত যেকোনো রোগ দূর কর...
10/07/2018

প্রতিদিন ১চামচ মধু খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) থেকে বর্ণিত, মধু মৃত্যু ব্যাতিত যেকোনো রোগ দূর করতে সক্ষম। আসুন এবার জেনে নাওয়া যাক মধুর উপকারিতা

১. মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- সাধারানত প্রাকিতিক মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে প্রতিদিন হালকা গরম পানির সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান।

২. ওজন কমায় মধু- আপনি যদি প্রতিদিন সকালে মধু খান তাহলে আপনার বাড়তি ওজন কমবে। বিশেষ করে যদি পারেন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খান এতে করে বেশ খানিকটা ওজন কমে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এভাবে প্রতিদিন নিয়মিত মধু খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলো বের করে দেয় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়।

৩. মধু খেলে বুদ্ধি বাড়ে- মধু যে শুধু আপনার কায়িক শক্তি বাড়ায়, তা নয়। আপনি নিয়মিত প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক চামচ মধু খাবেন, কারন ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু মস্তিষ্কের কাজ সঠিক ভাবে চালাতে খুব সাহায্য করে ফলে আপনার মস্তিষ্কের শক্তি তথা বুদ্ধির জোর বেড়ে যাবে। যে কোনো কাজে কর্মে আপনার মগজ আগের চেয়ে বেশি কাজ করবে। যাদের সাধারণত মাথা খাটিয়ে কাজ করতে হয়, তাদের জন্য মধু এনে দেবে নতুন উদ্যম ও সৃষ্টিশীলতা।

৪. হৃৎপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে মধু-মধুর সাথে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং রক্তনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি অনেকাংশে কমে যায় এবং যারা ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।

৫. ব্যথা নিরাময়ে- আপনার শরীরের কি জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা? প্রচুর বাতের ওষুধ খেয়েও আজও কোনো ফল পাননি? তাহলে আজ থেকে মধু খাউয়া শুরু করুন। আপনার শরীরে যে অবাঞ্ছিত রসের কারণে বাতব্যামোর জন্ম, সে রস অপসারিত করতে মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিছু দিন পর আপনার বাত ব্যাথা সেরে যাবে।

৬. হজমে সাহায্য করে মধু- যাদের নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগেন তারা প্রতিদিন সকালে নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মধু আপনার পেটের অম্লীয়ভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। হজমের সমস্যা অনেকাংশে দূর করার জন্য মধু খেতে চাইলে প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান।

৭. শক্তি বাড়াতে মধু- মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি। এই প্রাকৃতিক চিনি আপনার শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের মিষ্টি খাবারের নেশা অনেক আছে তারা অন্য মিষ্টি খাবারের বদলি হিসাবে মধু খেয়ে নিন। কিছু মানুষ আছে যারা সারাক্ষন দূর্বলতায় ভোগেন এবং দেখা যায় এই সমস্যা দূর করার জন্য তারা কিছুক্ষন পর পর চা কফি খায়। এই সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে নিয়মিত এক চামচ মধু খেয়ে নিন এবং সারা দিন সবল থাকুন।

৮. যৌন দুর্বলতায়- সাধারণত পুরুষদের মধ্যে যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে একটা সময় বেশ উপকার পাবেন। প্রখ্যাত কিছু মধু বিজ্ঞানীদের মতে দৈনিক লিঙ্গে মধু মাখলে লিঙ্গ শক্ত ও মোটা হয় এবং সহবাসে দীর্ঘসময় পাওয়া যায়। নিয়মিত মধু সেবন করলে ধাতু দুর্বল (ধ্বজভঙ্গ) রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৯. রক্ত পরিষ্কারক- এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে এক বা দুই চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রিত পানি খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তনালী গুলোও পরিষ্কার করে থাকে।

১০. হাঁপানি রোধে- আপনি যদি পারেন আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সাথে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। আপনি দিনে অন্তত তিন বার এই মিশ্রিত পানি খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করবে।

১১. গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি- আপনার হজম সমস্যার সমাধানেও কাজ করে মধু। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়মিত তিন বেলা দুই চামচ করে মধু খেতে পারে। এতে করে গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

১২. মধু আয়ু বৃদ্ধি করে- গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত যারা মধু ও সুষম খাবারে অভ্যস্ত তুলনামূলক ভাবে সেসব ব্যাক্তিরা বেশি কর্মক্ষম ও নিরোগ হয়ে বেঁচে থাকে।

রুপচর্চায় মধুর ৬ উপকারিতা জেনে নিন :

আপনি যদি বলেন, মখুর কাজ কি? এটা খায় না মাথায় দেয়! তবে আমরা বলব, এটা দুটোই করে। শুধুমাত্র আপনার খাবার প্লেটেই নয়, আপনি চাইলে এটি রুপচর্চায় ব্যাবহার করতে পারেন। মধু আপনার ত্বক ও চুলের যত্নে রোজকার রুপচর্চায় জায়গা করে নিতে পারে।

১। মধু যখন ময়েশ্চারাইজ়িং মাস্ক : ত্বক যখন অতিরিক্ত মাত্রাই ড্রাই হয়ে যায় তখন আপনি মুখে মধু লাগাতে পারেন। সুধু ১ চামচ মধু নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট মধুটা মুখে রেখে হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন।

২। ক্লিনজ়ার হিসাবে মধু : মধু আপনার শরীরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে। মধু ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে।সুধু তাই নয়, মধু ত্বকের সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলে।

৩। ব্রনের ট্রিটমেন্ট উপাদান মধু : মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আপনার ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। আপনার মুখে যদি ব্রন থাকে তাহলে ব্রণের উপর মধু ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। সান ট্যান : মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা আপনার ত্বকে ট্যান পড়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে দূর করে। এই ট্যান পড়া দূর করতে মধু ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না তা শুকিয়ে যাচ্ছে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫। চুলের কোমলতা মধু : চুলকে ময়েশ্চারাইজ় করতে আপনি শ্যাম্পুর সঙ্গে মধু মিক্স করে নিন। তারপর চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রাখুন তারপর মিশ্রণটি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।চুল ধুয়ে ফেলার পর দেখবেন, আপনার চুল আগের থেকে কেমন কোমল ও ঝলমলে হয়ে গেছে।

৬। হেয়ার কন্ডিশনার : মধু আপনার হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো কাজ দেয়। যদি পারেন মধু ও নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। রুক্ষ, শুষ্ক চুলের জন্য এই মিশ্রণটি ভালো কাজ দেয়। মিশ্রণটি ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

06/07/2018
আদার গুনাগুন ও অপকারিতা রান্নাবান্নার জন্য একটি উৎকৃষ্ট উপাদান আদা। আদা বলতে আমরা সবাই রান্নার মসলা হিসেবে চিনে থাকি। কি...
06/07/2018

আদার গুনাগুন ও অপকারিতা

রান্নাবান্নার জন্য একটি উৎকৃষ্ট উপাদান আদা। আদা বলতে আমরা সবাই রান্নার মসলা হিসেবে চিনে থাকি। কিন্তু আদা যে শুধু রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোর মসলা জাতীয় ছাড়াও, আরও কিছু গুনে ভরপুর। তা এখন আর অজানা নয়। আদার ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে প্রায় সকলেই বেশ ভালোভাবেই জানি কমবেশি। শারীরিক নানা সমস্যায় আদা, সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং এর মধ্য খুব দ্রুতই সুস্থ করার ক্ষমতা বিদ্যমান আছে। এমনকি নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে মারাত্মক বেশ কিছু রোগ থেকে।
নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না, শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন। আর এজন্যই আদার গুণাগুণ এবং শারীরিক সমস্যা নিরাময়ে আদার ব্যবহার সকলেরই জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে চলুন আদার কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেই।



১. হজমের সমস্যা রোধে

রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। এতে খাবার ও পানি খুব সহজে পেটে নড়াচড়া করতে পারে।



২. বমি রোধে

অনেক সময় আমাদের দেহে অস্থিরতা কাজ করে, তখন কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। বমি বমিভাব বা বমি হয়ে যায়। এমন সময় আপনি যদি আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করেন। তাহলে তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। এই সমস্যা কাঁচা আদা দূর করবে অনায়সে। কারন গর্ভাবস্থায় বমি কমাতে আদা খুবই উপকারী। এ ছাড়া মর্নিং সিকনেস প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।



৩. ক্ষতস্থান পূরণ করতে

দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে। পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর। আদা ২৫ ভাগ পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে।



৪. প্রদাহ প্রতিরোধে

আদার উপকারিতা অনেক। প্রদাহ প্রতিরোধে এর গুনাগুন তো বলেই শেষ করা যাবে না। ২৪৭ জনের একদল লোকের উপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, আদা খুব দ্রুত গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং গাঁটের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।



৫। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে

৮৫ জনের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিন গ্রাম আদার গুঁড়ো খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা।



৬। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী। প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।



৭। আদা ক্যানসাররোধী

আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা। সুতরাং ক্যান্সার এর অনেক ভাল প্রতিরোধক।



৮। মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে

আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। তাই স্মৃতি বাড়াতে আদার কার্যকারী অনেক।



৯। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতায়

আদা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।



১০। পেটের রোগ নিরাময়ে

আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।



১১। সর্দি-কাশি দূর করতে

ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদা। কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম হয়।



১২। জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে

হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে সাহায্য নিতে পারেন আদার তেলের। খানিকটা অলিভ অয়েলে আদা ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে নিন ৫ মিনিট। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন হাতে পায়ের জয়েন্টে। আদার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান দূর করে দেবে ব্যথা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।



১৩। পেটের মেদ কমাতে আদা ও লেবু

আদা ও লেবুর মিশ্রণ আপনার ওজন কমিয়ে আনবে যাদুকরী উপায়ে। প্রথমে আদার ছোট ছোট টুকরা করে আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানির সাথে আরও পানি মিশিয়ে একটি সম্পূর্ণ লেবু কয়েক টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর সারাদিন এই পানি প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় পান করুন। এতে আপনার ওজন কমার পাশাপাশি শরীরও ডিটক্স থাকবে।



জেনে নিন, কারা ভুলে ও আদা খাবেন না

আদার গুণ জানার পর যদি কেউ মুড়ি-মুড়কির মতো আদা খেতে শুরু করেন, তাহলে অনেক বিপদে পড়তে পারেন। কারণ আদা যেমন অনেক ক্ষেত্রে শরীরের পরম বন্ধু, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা শরীরের চরম শত্রুও বটে। তাই আদার গুণাগুণ জানার পাশাপাশি, এটা জানাটাও অত্যন্ত জরুরি যে, কারা আদার ধার-পাশ দিয়েও যাবেন না। কারা আদা এড়িয়ে চলবেন?

১. অন্তঃসত্ত্বার সময় আদা শরীরে কড়া উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। সেজন্য অন্তঃসত্ত্বারা আদা খেলে, প্রিম্যাচিওর শিশু জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত প্রেগন্যান্সির শেষ সপ্তাহগুলিতে তো আদা একদম খাওয়া ঠিক নয়।

২. যারা রোগা হতে চান তাঁদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী হলেও, যাঁরা শীর্ণকায়, ওজন বাড়াতে উত্সাহী তাঁদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আদা খিদে কমায়। এছাড়াও শরীরের চর্বি গলানোর প্রক্রিয়ায় আদা বিশেষ সহায়ক। সেজন্য যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, আদা তাঁদের কোনও কাজে আসবে না।

৩. ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা ওষুধ খান: আদা ডায়বেটিসের লেভেল কমাতে কার্যকরী হলেও, যাঁরা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদের ডায়েট চার্ট থেকে চিরতরে ডিলিট করে দিতে হবে আদাকে। একই কথা প্রযোজ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদেরও অবশ্যই আদাকে এড়িয়ে চলা উচিত।

রসুনের সাতটি ব্যবহার এবং এর ফলে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাবকাঁচা রসুন সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে...
05/07/2018

রসুনের সাতটি ব্যবহার এবং এর ফলে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব

কাঁচা রসুন সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

রান্নায় অনন্য স্বাদ যুক্ত করে রসুন। শত্তিশালী সুঘ্রাণের কারণে সবজি, মাংস থেকে শুরু করে কাচ্চি, কারি রান্না রসুন ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। উপমহাদেশের রান্নায় দীর্ঘদিন ধরেই রসুন ব্যবহার হচ্ছে। আর বহির্বিশ্বে এর পরিচিতি কম নয়। রসুনকে অনেকেই বলে থাকেন ‘পাওয়ার হাউস অব মেডিসিন অ্যান্ড ফ্লেভার’। কারণ কাঁচা বা সিদ্ধ রসুন কোয়া সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ভারত উপমহাদেশে আদিকাল থেকেই বিভিন্ন রোগে কাঁচা রসুন সেবনের প্রচলন আছে। এ ছাড়া আরো অনেক কাজে রসুন ব্যবহার হয়। অনেক সংস্কৃতিতেই এখনো রসুনের ব্যবহার বেশ প্রচলিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা পোকা দমণে রসুন ব্যবহার করেছেন, তেমনি মধ্যযুগে ইউরোপবাসী এটি ব্যবহার করেছেন প্লেগ দমনে।

রসুনে আছে সালভারভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন, যা অনেক রোগ নিরাময়ে কাজ করে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ায় শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। অনেকের দাবি, রসুন নিয়মিত সেবনে অনেক ক্যানসার প্রতিরোধ হয়।



এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী রসুনের সাতটি ব্যবহার এবং এর ফলে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে জানানো হলো।

রক্ত পরিষ্কার রাখে

প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া ও এক গ্লাস পরিমাণ গরম পানি সেবন করতে হবে। আর দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। আর ওজন কিছুটা কমাতে চাইলে সকালে রসুনের সঙ্গে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিতে হবে।

ঠান্ডা ও জ্বরে

প্রায়ই ঠান্ডা ও জ্বরে পড়েন এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন হতে পারে এক মহৌষধ। শরীর থেকে জ্বর আর ঠান্ডা দূর করতে প্রতিদিন দু-তিন কোয়া রসুন কাঁচা খেতে হবে। এ ছাড়া রান্না করা বা চায়ের সঙ্গেও রসুন খাওয়া যায়। আর রসুনের গন্ধ খারাপ লাগলে এর সঙ্গে আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া যায়। এভাবে নিয়মিত সেবনে ঠান্ডা ও জ্বর শুধু সাময়িক দূর হবে না বরং শরীরে এগুলোর প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে।

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে

প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কোলোস্ট্রোল এর মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন মূলত স্বাস্থ্যে এই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, রসুন কাঁচা সেবন সবচেয়ে ভালো। সিদ্ধ করা হলে অ্যালিসিনের ঔষধি গুণ কমতে থাকে।



ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে

ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে হাজার বছর ধরেই রসুন ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের কৃমি দূর করতে রসুনের নির্যাস ভালো কাজ করে। রসুনের নির্যাস থেকে ‘মাউথ ওয়াশ’ (মুখের ভেতর পরিষ্কারের তরল) তৈরি করা যায়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বন্ধ হয়।



ক্যানসার প্রতিরোধে

প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা ও রান্না রসুন সেবনের মাধ্যমে পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।



ত্বক ও চুলের যত্নে

নিয়মিত রসুন সেবনে ত্বক সুন্দর হয় ও বয়সের ছাপ দূর হয়। এ ছাড়া ফাঙ্গাশ ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে ত্বক সুরক্ষায় নিয়মিত রসুন সেবন করতে হবে। আর চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে রসুন ভালো কাজ করে। এই উপকার পেতে মাথায় নিয়মিত রসুনের নির্যাস বা রসুন সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে হবে।

কাটা সারিয়ে তুলতে

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসুনের অনেক ব্যবহার বিস্মৃত হয়ে গেছে, যার একটি হলো কাটা সারিয়ে তোলা। কাঠ বা বাঁশে ছোট টুকরো শরীরে কোথাও ঢুকে গেলে তা বের করে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে লাগিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে শরীরের ওই অংশে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠবে ওই কাটা।

রসুন ব্যবহারে সাবধানতা

হাঁপানি রোগী বা শ্বাসকষ্ট আছে এমন ব্যক্তিরা রসুন ব্যবহারে সাবধান থাকুন। অনেক ক্ষেত্রেই রসুন ব্যবহারে এমন রোগীদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অপারেশনের আগে রসুন সেবন বন্ধ রাখতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে দু-তিনটির বেশি রসুনের কোয়া খাওয়া যাবে না।

Patient Nursing Care Home ServiceFarmgate. Dhaka  Phone :-  01843-67 89 40 / 01911-10 66 34www.facebook.com/page/patient...
04/07/2018

Patient Nursing Care Home Service
Farmgate. Dhaka
Phone :- 01843-67 89 40 / 01911-10 66 34
www.facebook.com/page/patient-nursing-care-home-service

উদ্দেশ্যঃ-Patient Nursing Care Home Service এর উদ্দেশ্য হল বাসায় আপনাদের মা,বাবা,ভাই,বোন,শ্বামী,স্ত্রী,অথবা আত্মীয়, স্বজন অসুস্থ হাসপাতাল কিংবা বাসায় অতীরিক্ত সেবা দেওয়া দরকার কিন্তু আপনারা ব্যস্ততার কারনে তা দিতে পারছেন না তাই বিশেষ করে বাসায় ঠিক ঠাক জত্ন, সময় ও ঔষধ খাওয়ানো সম্ভব হয়ে পরে না। রোগী একা একা থাকায় নিজের কাছে নিজেকে অসহায় মনে হয় যার কারনে রোগীর সুস্থতা ফিরে আসতে অনেক সময় লাগে ও অনেক কস্টের সিকার হন তাই Patient Nursing Care Home Service এর টিম ঠিক তাদের পাসে থেকে জত্ন, সময় ও চিকিৎকদের পরামর্শ অনুশারে ঔষধ সেবন করায়ে থাকা

লক্ষ:- যে সকল রোগী একা বসিতে পারেনা চলিতে পারেনা খাবার ও ঔষধ খাইতে পারে না ভিসন ভাবে অসুস্হ তাদের সর্বত্র সেবা করাই Patient Nursing Care Home Service এর লক্ষ

Ours Service

* 24/7 Hours Nursing Service
* Emergency Patient Management
* Personal Care
* Morning Vital Signs
* Morning RBS
* Medication set-up
* Medication Administration
* Nebulization
* Cannulization
* Urinary Catheterization & Remove
* Catheter Care
* Injection Pushing
* Colostomy bag change
* Urostomy bag change
* Pulse Oxymiter
* Any Dressing Change

হৃদরোগের লক্ষণ ও তা থেকে বাঁচার উপায়একটা সময় হৃদরোগকে সাধারণত বয়স্ক মানুষের রোগ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু আজকাল প্রায় সব ...
30/06/2018

হৃদরোগের লক্ষণ ও তা থেকে বাঁচার উপায়

একটা সময় হৃদরোগকে সাধারণত বয়স্ক মানুষের রোগ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু আজকাল প্রায় সব বয়সী মানুষই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই হৃদরোগের লক্ষণসমূহ এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিত।

গবেষণায় দেখা যায়, পারিবারিক ইতিহাস ও জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই হৃদরোগের ক্ষেত্রে প্রধান ও নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণেই মানুষ আজকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হন বেশি। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত ওজন। বর্তমানে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন হৃদরোগের অন্যতম বড় ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই পরিস্থিতি প্রায়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কয়েকটি পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ জেনে নেওয়া ভালো। যার মাধ্যমে হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে আগেভাগেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়।


হৃদরোগের লক্ষণসমূহ :

১. বুকে বা বাহুতে ব্যথা হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। তবে শুধু বুকে ব্যথা হলেই হৃদরোগ বলা যায় না। বাহু, চোয়ালের পিছন দিক এবং গলায় চিনচিনে ব্যথা হতে পারে।

২. অনেক সময় অনেকে বলে থাকেন বুকে জ্বালাপোড়া করার কথা। এমনটা হলে সাবধান হোন। কেননা এটিও হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

৩. বদহজম, বমিবমি ভাব, অনিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস হৃদরোগের উপসর্গ হতে পারে।

৪. হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করে। অনেক সময় রোগী ঘামতে থাকে। এমনটা প্রবল শীতেও হতে পারে।

৫. হৃদরোগ সবসময় হঠাৎ করে হবে এমনটা নয়। অনেক সময় হৃদরোগ ধীরে ধীরে মানুষের হৃদযন্ত্রকে ব্লক করে দেয়। এ ধরনের হৃদরোগকে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’ বা হার্ট অ্যাটাক বলে। এ ক্ষেত্রে প্রবল অস্বস্তিকর অনুভ‚তি অন্যতম লক্ষণ।

হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় :

১. যদি কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তাহলে প্রথমেই জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখাতে হবে। কারণ অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কোনো চিকিৎসা করতে গেলে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়তে পারে।

২. হার্ট অ্যাটাকের পরপরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন এবং গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন।

৩. হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বাতাস চলাচলের রাস্তাগুলো সব উম্মুক্ত করে দিন। এটি রোগীকে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করবে।

৪. হার্ট অ্যাটাকের পর যদি আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর চেষ্টা করুন।

৫. হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীর যদি বমি আসে তাহলে তাকে একদিকে কাত করে দিন। যাতে সে সহজেই বমি করতে পারে। এতে ফুসফুসের মতো অঙ্গে বমি ঢুকে পড়া থেকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ষা পাবেন।

৬. হার্ট অ্যাটাকের পর হৃৎপিণ্ডে রক্তের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বাজারে প্রচলিত ৩০০ মি.গ্রা. ডিসপ্রিন (অ্যাসপিরিন), ৩০০ মি.গ্রা. ক্লোপিডোগ্রেল (Clopidogrel), ৪০ মি.গ্রা. অ্যার্টভাস্টাটিন (Atova) এবং ৪০ মি.গ্রা. ওমিপ্রাজল খাইয়ে দ্রুত হৃদরোগ হাসপাতালে পৌঁছে দিন। সেখানে কার্ডিওলজিস্ট দ্রুত পরীক্ষা করে প্রয়োজনে জরুরি অ্যান্জিওপ্লাস্টি (urgent PTCA ) সহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



প্রতিকার : হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি, এবার জেনে নিন, কী করে হৃদরোগের প্রতিকার করা সম্ভব বা তা থেকে বাঁচার উপায়।

১. হৃদরোগের শত্রু হচ্ছে ধূমপান। তাই ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।

২. ধূমপানের মতো মাদকও হৃদরোগের আরেকটি কারণ, তাই মাদককে না বলুন।

৩. অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন।

৪. মাঝে মাঝে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত হাঁটা-চলা ও ব্যায়াম করে নিজেকে সুস্থ রাখুন।

৬. প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খান।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ কি?এর নিয়ন্ত্রণ কি ঔষধ না ব্যায়ামডায়াবেটিসের লক্ষন:-ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া। ক্লান্...
29/06/2018

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ কি?এর নিয়ন্ত্রণ কি ঔষধ না ব্যায়াম

ডায়াবেটিসের লক্ষন:-

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া। ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত ভাব। ওজন হ্রাস। অসাড়তা। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। ঘন ঘন ইনফেকশন। চামড়ায় শুষ্ক,খসখসে ও চুলকানি ভাব। বিরক্তি। ক্ষত শুকাতে বিলম্ব হওয়া। খোস-পাঁচড়া জাতীয় চর্মরোগ হওয়া।

এসব লক্ষণ দেখা দিলেই দেরী না করে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করানো ভাল।

আপনি যদি রাতে স্বাভাবিক খাবার খেয়ে সকালে খালি পেটে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে রক্তে চিনির মাত্রা ৫.৮ মিলিমোলের চেয়ে কম পান তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার একটুও ডায়াবেটিস নেই। কিন্তু যদি চিনির মাত্রা ৫.৮ এর বেশি অথচ ৭.৮ মিলিমোলের কম হয় তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার বেশ ঝুঁকি আছে। এটাকে বর্ডার লাইন বা মার্জিন পয়েন্ট বলে। তাই এটাকে বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে ধরা হয়। এছাড়া রক্তে যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে মনে করা যায়। তবে শুধু খালিপেটে পরীক্ষাটিই ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। খালিপেটে নির্ণয়ের পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে গুলে খেয়ে দুই ঘণ্টা পর রক্তে আবার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোল বা তার থেকে কম হয়, তবে ডায়াবেটিস নেই। যদি ৭.৮ এর বেশি, কিন্তু ১১ মিলিমোল বা তার চেয়ে কম হয়, তবে বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে ধরে নেয়া যায়। আর যদি চিনির মাত্রা ১১ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হয়।

প্রতিকার: এক্ষেত্রে ব্যায়ামটাই কার্যকরী। এছাড়া খাবারের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। ভিটামিন বা স্যালাইন খেলে ডায়াবেটিস বাড়বেও না কমবেও না। তাই ভিটামিন খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রচুর শাক সব্জি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে এবং প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। যেমন পাতা জাতিয় শাকসব্জি এবং টক ফল। এছাড়া পানি জাতিয় সব্জিতে সুগার থাকে না এবং এতে প্রচুর ভিটামিন থাকে। যেমন লাউ, কুমরা, পটল, করলা, চিচিঙ্গা এগুলো খেলে ভিটামিনের অভাব পুরোন হয় এবং ডায়াবেটিস এর জন্যও ভালো। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন সহজ ভাবে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন করার জন্য এক প্রতিবেদনে বলেছেন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম ( দ্রুত হাঁটা – ১মিনিটে ১২০ কদম, সাতার কাটা, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো)। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাঁতার এবং সাইকেল ছাড়া নিয়মিত ৩০-৬০ মিনিট হাঁটলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৫-৪০ শতাংশ কমে যায়

ডায়াবেটিস কি:-

ডায়াবেটিস একটি বিপাক জনিত রোগ। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের সম্পূর্ণ বা আপেক্ষিক ঘাটতির কারনে বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এক সময় তা প্রস্রাবের সংগে বেরিয়ে আসে। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে বা সংক্রামক কোন রোগ নয়।

ডায়াবেটিস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন

ডায়াবেটিস হলে সাধারণত: যেসব লক্ষন ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

খুব বেশী পিপাসা লাগাবে

যথেষ্ঠ খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া

ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা

ক্ষত শুকাতে দেরী হওয়া

খোশ-পাঁচড়া,ফোঁড়া প্রভৃতি চর্মরোগ দেখা দেওয়া

চোখে কম দেখা!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চারটি নিয়ম মানতে হয়ঃ

ক) নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ

খ) সাধ্যমত কায়িত পরিশ্রম ও ব্যায়াম

গ) ঔষধ

ঘ) শিক্ষা

প্রতিটি পর্যায়ে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

ক) নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ -ডায়াবেটিস হলে খাদ্যের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা ডায়াবেটিস হওয়ার আগে যে রকম থাকে পরেও একই থাকে। পুষ্টির চাহিদার কোন তারতম্য হয় না। খাদ্যের নিয়ম মেনে চলার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে:ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্বাস্থ্য ভাল রাখা।

খ) ব্যায়াম-রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যায়াম বা শরীর চর্চার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করলে শরীর সু্‌স্থ থাকে,ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও নি:সরনের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত: ৪৫ মিনিট হাঁটলে শরীর যথেষ্ঠ সু্‌স্থ থাকবে। শারীরিক অসুবিধা থাকলে সাধ্যমত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।

গ) ঔষধ-সকল ডায়াবেটিক রোগীকেই খাদ্য,ব্যায়াম ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে,বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে,এই দুইটি যথাযথভাবে পালন করতে পারলে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইনজেকশনের দরকার হয়। টাইপ-২ ডায়বেটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসক শর্করা কমাবার জন্য খাবার বড়ি দিতে পারেন।

ঘ) শিক্ষা- ডায়াবেটিস আজীবনের রোগ। সঠিক ব্যবস্থা নিলে এই রোগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ব্যবস্থাগুলি রোগীকেই নিজ দায়িত্বে মেনে চলতে হবে এবং রোগীর পরিবারের নিকট সদস্যদের সহযোগিতা এ ব্যাপারে অনেক সাহায্য করতে পারে। তাই এ রোগের সুচিকিৎসার জন্য ডায়াবেটিস সর্ম্পকে রোগীর যেমন শিক্ষা প্রয়োজন, তেমনি রোগীর নিকট আত্মীয়দেরও এই রোগ সর্ম্পকে কিছু জ্ঞান থাকা দরকার।

Address

Farmget
Dhaka
DHAKA

Telephone

01843678940

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Patient Nursing Care Home Service posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category