14/06/2025
শ্যাম (সাদাটা) কিনে নিয়েছিলাম ৩০ হাজার টাকায়। কিছুদিন পরে শ্যাম তার সঙ্গীর প্রয়োজন অনুভব করে, এরপর শ্যামলীকে ঘরে নিয়ে আসি তিন মাস বয়সে, একে নিয়েছিলাম মাত্র ২০ হাজার টাকায়। খুব সুন্দর চলছিল তাদের খুনসুটি। একে অপরকে না দেখলে থাকতে পারত না, মিস করতো। এভাবে তাদের কৈশোর প্রেম ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন তাদের জীবনে নেমে আসে কালবৈশাখী। সকালে উঠে দেখি শ্যাম নেই! শ্যামলী বেলকনিতে ঝিমিয়ে রয়েছে, বিরহের বেদনা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সারা বাড়ি খুঁজে শেষ, কোথাও শ্যামকে পেলাম না, পুরো অফিসার্স কোয়াটার তন্ন তন্ন করে খুজলাম, প্রতিটি ফ্লোর, প্রতিটি বাসা, এক বুক দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, ভাবলাম, শ্যামকে বুঝি চিরতরে হারাইলাম। আমারও কষ্ট হচ্ছে। বাসায় ফিরে দেখি শ্যামলী মুখ-থুতনি এলিয়ে দিয়ে মেঝেতে গা ছেড়ে দিয়ে নিরব কান্না করছে। আমার কষ্টটা তার বিচ্ছেদ-বেদনার কাছে বিলীন। তুচ্ছ।
প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়ার পরতে পরতে ছড়িয়ে দিলাম " একটি পার্শিয়ান সাদা বিড়াল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি সন্ধান দিতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কৃত করা হবে"। পরদিন ইনবক্সে একটি মেসেজ এলো- আপনার বিড়ালের মত একটি বিড়াল দেখেছি, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে, ১০ নম্বর রোডের মাঝামাঝিতে। রাত এগারোটা, চারজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ছুটে গেলাম, রাত তিনটা পর্যন্ত খুঁজলাম, আশেপাশের রোড-সেক্টরসহ। এটাই ভেবে কষ্ট লাগলো যে, শ্যামলী তার দাম্পত্যর উষা লগ্নতে শ্যামকে হারালো।
উত্তরা সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার থেকে
জৈনেক