12/05/2024
বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অসহনীয় গরমে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়া কিন্তু খুব স্বাভাবিক।
পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন কখনো কখনো বড় ধরণের শারীরিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
একটু খেয়াল করে দেখুন তো এই গরমে আপনার বা আপনার বাড়ির শিশু অথবা বয়স্কদের বিভিন্ন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কী না। যেমন-
🔸মাথা ব্যথা।
🔸সাধারণ অস্বস্তি।
🔸প্রস্রাবের পরিqমাণ হ্রাস।
🔸শিশুর অস্থিরতা ও অকারণে কান্নাকাটি।
🔸খিঁচুনি হওয়া।
🔸প্রচণ্ড পানির তেষ্টা পাওয়া।
🔸মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
🔸চামড়া শক্ত হওয়া।
🔸পেশিতে টান ধরা।
🔸দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
তবে এখুনি সাবধান হোন। এগুলো সব বলে দেয় আপনি ডিহাইড্রেশন তথা পানিশূন্যতায় ভুগছেন।
এই পানিশূন্যতার কারনে রক্ত চাপ কমে যায়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় ফলে দেহে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়াও পানি কম পান করলে পানিশূন্যতায় পড়ে বৃক্কে পাথড় পর্যন্ত হতে পারে।
এরকম নানা জটিলতার কারণে দেহে পানিশূন্যতা থেকে প্রায় ২৫% লোকের মৃত্যু ঘটে।
এই পানিশূন্যতার জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাড়ির শিশু ও পঞ্চাশোর্ধ লোকেরা। কারণ পানিশূন্যতার সমস্যায় তারাই বেশি পড়েন। এই গরমে তাদের যত্নে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
পানিশূন্যতা প্রতিরোধে করণীয়-
🔸সব সময় হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা।
🔸যত বেশি ঘাম হবে তত বেশি পানি পান করা।
🔸একটানা গরম জায়গায় না থেকে ছায়ায়, ফ্যান বা এসির নিচে অবস্থান করা।
🔸বেশি বেশি ফলের রস পান করা ও মৌসুমী ফল খাওয়া।
পানিশূন্যতা রোধে এত কিছু করার পরেও, আপনার বা আপনার বাড়ির শিশু অথবা বৃদ্ধ কারোর যদি পানিশূন্যতা চরম পর্যায়ে চলে যায় তাহলে কোন রকম উদ্বিগ্ন হওয়া চলবে না।
আপনার এবং আপনার শিশুর ডিহাইড্রেশন সংক্রান্ত কোনো জটিল সমস্যা দেখা দিলে উদ্বিগ্ন না হয়ে সঠিক চিকিৎসার জন্য আজই চলে আসুন, হাজী আব্দুল মালেক প্রধান মর্ডাণ হসপিটালে।
হটলাইন ০১৯৭৬৬১১৬১০
ঠিকানা:
হাজী আব্দুল মালেক প্রধান মর্ডাণ হাসপাতাল
পাঁচরুখী(এম.পি টাওয়ার ),আড়াইহাজার,নারায়নগজ্ঞ
☎️ বিস্তারিত জানতেঃ ০১৯৭৬৬১১৬০২