
25/07/2025
⚠️ন্যাপকিন যত্রতত্রস্থানে ফেলবেন না।❗
আমার খুব কাছের একজন বোন প্রায় দেড় বছর ধরে পেটব্যথা, মাথাব্যথা, পিঠব্যথা, অতিরিক্ত চুল পড়া সহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, যা কিছুতেই বন্ধ হচ্ছিল না। এমন অবস্থায় ওনার পুরো শরীর একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল, শরীরে ভীষণ দুর্বলতা নেমে এসেছিল। অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে, একাধিকবার ডাক্তারও পরিবর্তন করা হয়েছে-কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো; তাতেও কোনো ফল হয়নি।
একদিন ওনার শাশুড়ি আমাকে জানালেন, “আমাদের মুনতাহা (পুত্রবধূ) এই এই সমস্যায় ভুগছে।” এভাবে বহুদিন পার হয়ে যায়। পরে একদিন আমি ওনাকে নিজ থেকেই সেল্ফ-রুকইয়াহ দেই। রুকইয়াহ শোনার সময় ওনার অবস্থা খারাপ হতে থাকে-হঠাৎ কান্না, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, বমি সহ আরও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
রুকইয়াহ শেষ হওয়ার পর উনি আমাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, রাগারাগি করতে থাকেন-“তুমি কী দিয়েছো! আমার তো অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল!” ইত্যাদি। যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ, এক পর্যায়ে উনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। তারপর তিনি আমাকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন।
তিনি বলেন!
“আমি যখন ব্যবহৃত ন্যাপকিন /প্যাড ভালোভাবে না মুড়ে স্রেফ পলিথিনে ঢুকিয়ে ফেলতাম, তখনই এই সমস্যাগুলো হতো। কিন্তু যখন ভালোভাবে পরিষ্কার করে কালো পলিথিনে মুড়ে ফেলি, আলহামদুলিল্লাহ তখন আর কোনো সমস্যা হয় না।”
⚠️ কেন এমন হয়?
🔹 এই সমস্যার প্রধান কারণ হলো-এই ন্যাপকিনগুলো বাসার ময়লা নিয়ে যাওয়া লোকজন ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা দেখেন। এগুলো যেখানে ফেলা হয়, সেখানেও অনেকের নজরে পড়ে। এভাবে কারো বদনজর লাগতে পারে, আবার নোংরা জায়গায় থাকা খবিস জ্বীনও এর থেকে ক্ষতি করতে পারে। কারণ নাপাকি জিনিসই খবিস জ্বীনের খাদ্য এবং তাদের থাকার জায়গা।
✨ প্রিয় মা ও বোনেরা!
আপনারাও সাবধান হবেন।
ব্যবহৃত ন্যাপকিন বা কাপড়গুলো ফেলার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকাবেন।
সম্ভব হলে আতর লাগিয়ে নেবেন, যাতে খবিস জ্বীন সহজে নজর না দিতে পারে।
ফেলার সময় সবসময় কালো পলিথিনে মুড়ে ফেলে-দিন যাতে বাইরের কেউ দেখতে না পায়।
📖 রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাণী
১️⃣ “«قُضَاعَةُ الْإِسْلَامِ الْجِنُّ يَأْكُلُونَ الْعَذِرَةَ وَالْبَعْرَ»
“জ্বীনরা গোবর ও পায়খানা খায়।”
(মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ২৫১৫৯)
২️⃣ “টয়লেট, ময়লা-আবর্জনা, নোংরা জায়গা এগুলো জ্বীনের আবাস।”
তিরমিজি, হাদিস: ৬০৬
🤲 সবাই ওনার জন্য দোয়া করবেন।
ওই বোনই বলেছেন যেন এই সতর্কবার্তাটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে অন্যরা বদনজর ও জ্বীনের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকেন। আপনারাও দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখেন এবং আমাদের সবাইকে হিফাজত করেন।
ছবিটি সংগৃহিত।
📌আমাদের লোকেশন।
🕌 Holy Healing Ruqyah & Hijama Center
🏠 ঠিকানা: House 12, Road 11, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229 (Ground Floor)
📞 যোগাযোগ: 01602-382674