23/07/2025
⚠️কালো জাদুর বাস্তব অভিজ্ঞতা❗
(সতর্কতা-কাম্য,যা আমাদের চেতনায় জাগরণ ঘটাতে পারে)
মুহতারামা সাফফানা আপু, পেশায় একজন প্রকৌশলী; উনার হাজব্যান্ড একটি স্বনামধন্য হসপিটালের মালিক পাশাপাশি আরেকটি হসপিটালের চেয়ারম্যান।বসুন্ধরার একটি হাই-সোসাইটি পরিবারের সদস্য।
তিন-চার বছর আগেও সব কিছু স্বাভাবিক ছিলো-স্বামী, সন্তান, সংসার। সবকিছুই,কিন্তু হঠাৎ করেই ঘরে অশান্তি নেমে আসে।স্বামী বিনা কারণেই সন্দেহ করা শুরু করলেন, সন্তান বিনা কারণেই ভার্সিটি থেকে কান্নাকাটি করে ফিরে আসত, রাতে ঘুমের মধ্যে ভয় পেয়ে উঠত।আর সাফফানা আপু নিজে এক ভয়াবহ ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন-ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিঃশব্দে বসে থাকা, হঠাৎ কান্না শুরু, আবার হঠাৎ চিৎকার।
এক রাতে তিনি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে অদ্ভুত শব্দে কথা বলতে থাকেন।ভোররাতে পাশের ফ্ল্যাটের এক ভদ্রমহিলা আপুর হাজবেন্ড কে ফোন করে জানান'আচ্ছা ভাইয়া! সাফফানা আপুর কি হয়েছে?
“আপু বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, এবং কিছুক্ষণ পর-পর,বলছিলেন-তুই আমার পুতুল কেন নিলি? আমি তোর রক্ত খাব!”
আপুর পরিবারটি খুব দ্রুত আমাদের Holy Healing Ruqyah & Hijama Center-এ যোগাযোগ করেন।রুকইয়াহ শুরু করতেই সাফফানা আপুর শরীর প্রচণ্ড কাঁপতে থাকে।চোখ শক্ত করে বন্ধ, মুখ দিয়ে অচেনা আওয়াজ।আর তিনি বলেতে থাকেন “ওর শ্বশুর বাড়িতে সাতটা যাদুর বস্তু আছে। তুমি একটাও খুঁজে পাবে না। আমি শুধু ওকে নয়, ওর সন্তানকেও শেষ করব।”
পরদিন সকালে আমরা আবার তাদের বাসায় যাই, দিনব্যাপী রুকইয়াহর কার্যক্রম চলছিলো।সন্ধ্যার দিকে, সন্দেহ অনুযায়ী বারান্দার কোণে থাকা একটি ফুলের টব খুঁড়ে দেখার ইচ্ছা পোষণ করি।সেখান থেকে বেরিয়ে আসে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো একটি যাদুর বস্তু।ভিতরে ছিলো,কালো সুতো, সূঁচ, পচা চুল, ও
রক্তমাখা হাড়। এগুলো দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম, এখানে এগুলো কিভাবে সম্ভব?
এই তাবিজটি ছিলো অত্যন্ত মারাত্মক তাবিজ,ঘরে অশান্তি, সম্পর্ক ভাঙন, দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা, যেকোনো কাজে বাধা,মানসিক ভীতির সঞ্চার-সহ, অনেকগুলো সমস্যার প্রাণকেন্দ্র।
আমরা দুইদিন টানা ৮ ঘণ্টা করে রুকইয়াহ করি উনাদের বসুন্ধরার বাসায়।এরপর সিদ্ধান্ত নেই, ঘটনার সূত্র যেহেতু গভীর, তাই তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়া দরকার। সুতরাং যেমন চিন্তা তেমন কাজ, আমরা খুব দ্রুত তাদের গ্রামের বাড়িতে টানা তিন দিন রুকইয়াহ করি। তারপর জীনদের তথ্য অনুযায়ী, আমরা যাদুর বস্তু উদ্ধার করার চেষ্টা করি।
চুলা জ্বালানো মাত্রই পরিবারের সদস্যদের গা জ্বালাপোড়া শুরু করে দিতো,মাথা ঘুরে পড়ে যেত।
সাফফানা আপু তখন বলে উঠলেন,“এই আগুন থামাও! আমাকে পুড়িয়ে দিচ্ছে!” তখন আর বুঝতে বাকি রইলো না এই চুলার নিচে জাদু আছে।যেটি বের করার সাথে সাথেই সাফফানা আপু চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে ওঠেন, তারপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য এই চুলাটা সাধারণত ব্যবহার করা হয় না, তবে বিভিন্ন পূজার সময়, গভীর রাতে আগুন দেওয়া হয়, ফলশ্রুতিতে, পুরো পরিবারে ভয়ংকর লেভেলের সমস্যা শুরু হয়।
আলহামদুলিল্লাহ অতঃপর পর্যায়ক্রমে,ঘরের নানা জায়গা খুঁড়ে বের করা হয় আরও যাদুর বস্তু,মাটির নিচে পুঁতে রাখা তাবিজ, রক্তমাখা কাপড়, সুতো, আর একটির ভেতরে নাম লেখা কাগজ ও গোরস্থানের মাটি (জ্বীনের তথ্য অনুযায়ী) ছিল।
সব তাবিজ সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে, রুকইয়াহর পানি দিয়ে নষ্ট করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।ঘরের প্রতিটি অংশ ধুয়ে ফেলা হয় রুকইয়াহ পানিতে
পরিবারকে সুনির্দিষ্ট আমল ও নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রায় দুই মাস পর সাফফানা আপু ফোন দিয়ে বলেন, ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের পরিবার অনেকটাই সুস্থ।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আগের চেয়ে ভালো, বাচ্চার দুঃস্বপ্ন নেই, ঘরে শান্তি ফিরেছে।তবে এখনো তারা সতর্কভাবে রুকইয়াহ শুনে ঘুমান, আমল চালিয়ে যান। যত কঠিন জাদুই হোক না কেন আল্লাহর মেহেরবানীতে নষ্ট হবেই হবে। জাদুকর আর তান্ত্রিকরা ধ্বংস হবেই হবে।
হে আরশের মালিক, রব্বে কায়েনাত; সমাজ বিনষ্টকারী, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছেদ কারী, এবং যারা মানুষকে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে থাকে, এই সকল
জাদুকর-দের,আপনি এমন ভাবে ধ্বংস করুন যেন পৃথিবীতে এর দৃষ্টান্ত হাজার বছর পর্যন্ত বাকি থাকে। আল্লাহুম্মা আমীন।
আমাদের শিক্ষা:
না না!! এটা কোনো গল্প বা কিচ্ছা কাহিনী নয়-ঘটনাটি বাস্তব, শহরের শিক্ষিত, সম্মানিত পরিবারে ঘটে যাওয়া একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত।কালো জাদু, তাবিজ-কবচ, হিংসা এসব শুধু গ্রামেই নয়, বরং শহরের বিলাসবহুল ভবনের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। যদি আপনার পরিবারে হঠাৎ অশান্তি, ঝগড়া, মানসিক চাপ, ঘুমে দুঃস্বপ্ন, অকারণে অসুস্থতা, বা বাড়িতে সন্দেহজনক কিছু দেখতে পান তাহলে দেরি না করে, একজন রুকইয়াহ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের শিখিয়েছেন,সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে নিজেকে ও পরিবারকে ঝাড়ফুঁক করে রক্ষা করতে।আমরা সে সুন্নাহর পথেই কাজ করি—শিরকমুক্ত, নিরাপদ, ইসলামী পদ্ধতিতে। আলহামদুলিল্লাহ। জাযাকুমুল্লাহ। আপনাদের দোয়ায় আমাদেরকে ভুলবেন না।
🙏Picture for attention
🕌 Holy Healing Ruqyah & Hijama Center
🏠 ঠিকানা: House 12, Road 11, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229 (Ground Floor)
📞 যোগাযোগ: 01602-382674