Center for Piles and Colorectal Diseases,Bangladesh.

Center  for Piles and Colorectal Diseases,Bangladesh. Center of excellence for all colorectal problems like haemorrhoids(piles),fissure,fistula,cancer,pro

17/10/2025

পাইলস হলে কখন অপারেশন করবেন

14/10/2025

বাঁচতে হলে জানতে হবে।
#লজ্জা_নয়_সচেতনতাই_মুক্তি
#স্বাস্থ্য_সচেতনতা
#কোলন
#ক্যান্সার

07/10/2025

📌 পায়ুপথে আঁচিল (প্যারি অনাল ওয়ার্ট)? লজ্জা নয়, সচেতনতাই মুক্তি! 🔥

শিরোনাম: "এই একটি পোস্ট আপনার জীবন বদলে দিতে পারে! পায়ুপথের আঁচিল নিয়ে চুপচাপ ভুগবেন না, আজই জানুন ও মুক্তি পান!"

ভাইবোনেরা, আজ একটি খুব স্পর্শকাতর কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। বিষয়টি হল প্যারি অনাল ওয়ার্টস বা পায়ুপথের আঁচিল। লজ্জা বা সংকোচে চুপ করে থেকে অনেকেই ভয়ানক জটিলতার দিকে চলে যাচ্ছেন। এই পোস্টটি শুধু পড়ুন নয়, আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনি হয়তো একজনকে বড় একটি সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারেন।

---

🤔 প্যারি অনাল ওয়ার্টস বা পায়ুপথের আঁচিল কী?

এটি এক ধরনের ছোট ছোট, মাংসের মতো গোটা বা আঁচিল যা পায়ুপথের চারপাশে এবং ভিতরে হয়। এগুলো আসলে একটি ভাইরাস (HPV - Human Papillomavirus) এর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি একটি যৌনবাহিত রোগ (STD) হিসেবেও বিবেচিত হয়।

---

❓ কিভাবে হয়? সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায়?
অবশ্যই! এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেকেই লজ্জায় বা অজ্ঞতায় এই বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারেন না। নিচে একটি সহজ এবং স্পষ্ট, সামাজিক মাধ্যমের জন্য উপযোগী পোস্ট আকারে আলোচনা করা হলো।

---

🚨 সতর্কবার্তা: কোন ধরনের শারীরিক সম্পর্কে পায়ুপথের আঁচিল (প্যারি অনাল ওয়ার্ট) হয়? 🚨

শিরোনাম: "আপনার যৌন জীবনই কি আপনাকে ঝুঁকিতে ফেলছে? পায়ুপথের আঁচিলের সংক্রমণ কিভাবে হয়, আজই জেনে নিন!"

সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং শেয়ার করুন। জ্ঞানই আপনাকে রক্ষা করবে।

---

🔎 কোন কোন শারীরিক সম্পর্কে প্যারি অনাল ওয়ার্ট ছড়ায়?

মূল কারণ HPV (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস)। এই ভাইরাসটি ত্বকের সাথে ত্বকের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়, শুধু সিমেন বা রক্তের মাধ্যমে নয়। যে কোনো ধরনের অসুরক্ষিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকেই এটি হতে পারে:

১. পায়ুপথে সঙ্গম (A**l In*******se) ✅

· এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং সরাসরি পথ।
· আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সঙ্গীর পায়ুপথে ভাইরাসটি প্রবেশ করে।
· এটি শুধু সমকামী পুরুষদের মধ্যে সীমিত নয়, বিপরীত লিঙ্গের যৌন সঙ্গমেও এটি হতে পারে।

২. যোনিপথে সঙ্গম (Va**nal In*******se) ✅

· আক্রান্ত ব্যক্তি যদি সঙ্গীর যোনিপথে সঙ্গম করেন, তাহলে সঙ্গীর যোনিতে বা পরবর্তীতে তার পায়ুপথেও আঁচিল হতে পারে।
· ভাইরাসটি যোনি থেকে পায়ুপথে স্ব-সংক্রমণের মাধ্যমেও যেতে পারে।

৩. মুখমেহন (Oral S*x) ✅

· আক্রান্ত ব্যক্তির জেনিটাল (যোনি বা লিংগ) থেকে ভাইরাসটি অন্য ব্যক্তির মুখ ও গলায় যেতে পারে।
· আবার, যার মুখ বা গলায় HPV আছে, সে তার পার্টনারের জেনিটালে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

৪. জেনিটাল থেকে জেনিটাল রাবিং (ঘর্ষণ) ✅

· পূর্ণ সঙ্গম না হলেও, যদি একজনের জেনিটাল বা পায়ুপথের আঁচিল অন্যজনের জেনিটাল এলাকার সংস্পর্শে আসে, তাহলে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।

---

📢 একটি ভুল ধারণার নিরসন:

"আমি শুধু একজন পার্টনারের সাথে সম্পর্ক রাখি, তাহলে আমার হবে না?"

· উত্তর: না, এটি ভুল। আপনার পার্টনার যদি আগে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক থেকে দেহে HPV ভাইরাস বহন করেন (যার কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে), তাহলে তিনি আপনার মধ্যে এটি ছড়াতে পারেন, এমনকি বছরের পর বছর পরও।

---

🛡️ তাহলে কী করবেন? সুরক্ষার একমাত্র উপায়?

১. কন্ডম ব্যবহার করুন: মনে রাখবেন, কন্ডম ১০০% সুরক্ষা দেয় না। কারণ আঁচিল যেখানে কন্ডম দ্বারা ঢাকা থাকে না (যেমন কুঁচকি, পায়ুপথের চারপাশের ত্বক) সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। তারপরও কন্ডম ব্যবহার ঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।

২. HPV Vaccine (টিকা) নিন: এটি সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র। ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টিকা নেওয়া উচিত।

৩. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিজে এবং আপনার পার্টনারও নিয়মিত চেকআপ করান।

---

⚠️ লক্ষণগুলো কী কী? চিনে নিন

· পায়ুপথে বা তার চারপাশে ছোট, গোলাকার, ফুলকপির মতো গোটা দেখা দেওয়া।
· চুলকানি বা জ্বালাপোড়া অনুভব করা।
· রক্তপাত হওয়া (মলত্যাগের সময় বা অন্য সময়)।
· পায়ুপথে ভেজা ভাব বা অস্বস্তি লাগা।

মনে রাখবেন: অনেক সময় লক্ষণগুলো স্পষ্ট না-ও হতে পারে। তাই সন্দেহ হলেই ডাক্তার দেখাবেন।

---

🛡️ থেকে বাঁচার উপায় কী? প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা

১. সুরক্ষিত যৌন জীবন: কন্ডম ব্যবহার করুন (যদিও এটি ১০০% সুরক্ষা দেয় না)।
২.HPV Vaccine (টিকা) নিন: এই টিকা কিছু নির্দিষ্ট স্ট্রেইনের HPV ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। মেয়ে ও ছেলে উভয়েরই এই টিকা নেওয়া উচিত।
৩.ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, তোয়ালে, আন্ডারওয়্যার ইত্যাদি শেয়ার করবেন না।
৪.সচেতনতা: নিজের এবং পার্টনারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

---

🏥 চিকিৎসা কী?

লজ্জা বা ভয়ে চিকিৎসা না করালেই বিপদ! ডাক্তারের কাছে যান, তিনি আপনার অবস্থা দেখে নিচের যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নেবেন:

· ক্রায়োথেরাপি: তরল নাইট্রোজেন দিয়ে আঁচিল জমে দেয়া।
· লেজার থেরাপি: লেজার রশ্মি দিয়ে আঁচিল পুড়িয়ে ফেলা।
· ইলেক্ট্রোকটারি: বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা।
· সার্জারি: বড় আঁচিলের ক্ষেত্রে অপারেশন করে কেটে বাদ দেয়া।
· ক্রিম/ওষুধ: কিছু নির্দিষ্ট ক্রিম (ইমিকুইমড, পডোফিলক্স) লাগানোর পরামর্শ দিতে পারেন।

সতর্কতা: কখনোই ফার্মেসি থেকে নিজে কিছু কিনে বা বাজে কোনও ঘরোয়া উপায়ে আঁচিল তোলার চেষ্টা করবেন না। এতে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

---

😰 চিকিৎসা না করলে কী ভয়ানক জটিলতা হতে পারে?

এই অংশটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা না নিলে:

· আঁচিলের সংখ্যা ও আকার বেড়ে যাবে, পায়ুপথ বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে।
· মলদ্বারের ক্যান্সার (A**l Cancer) হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। HPV ভাইরাসই এই ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
· আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনিও সংক্রমিত হবেন।
· স্থায়ীভাবে ব্যথা, রক্তপাত এবং মানসিক যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে।

---

📢 শেষ বার্তা:

"লজ্জা করবেন না, ডাক্তার দেখান। আপনার স্বাস্থ্য আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করুন। "

ডাক্তার মোহাম্মদ তানভীর জালাল এমবিবিএস(ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
এফসিপিএস (সার্জারি)
এফসিপিএস(কলোরেক্টাল সার্জারি)
সহযোগী অধ্যাপক
কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

#প্যারি_অনাল_ওয়ার্ট #পায়ুপথের_আঁচিল #স্বাস্থ্য_সচেতনতা #যৌনস্বাস্থ্য #ডাক্তার_দেখান #লজ্জা_নয়_সচেতনতাই_মুক্তি #ভাইরাল_পোস্ট

---

07/10/2025

📌 পায়ুপথে আঁচিল (প্যারি অনাল ওয়ার্ট)? লজ্জা নয়, সচেতনতাই মুক্তি! 🔥

শিরোনাম: "এই একটি পোস্ট আপনার জীবন বদলে দিতে পারে! পায়ুপথের আঁচিল নিয়ে চুপচাপ ভুগবেন না, আজই জানুন ও মুক্তি পান!"

ভাইবোনেরা, আজ একটি খুব স্পর্শকাতর কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। বিষয়টি হল প্যারি অনাল ওয়ার্টস বা পায়ুপথের আঁচিল। লজ্জা বা সংকোচে চুপ করে থেকে অনেকেই ভয়ানক জটিলতার দিকে চলে যাচ্ছেন। এই পোস্টটি শুধু পড়ুন নয়, আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনি হয়তো একজনকে বড় একটি সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারেন।

---

🤔 প্যারি অনাল ওয়ার্টস বা পায়ুপথের আঁচিল কী?

এটি এক ধরনের ছোট ছোট, মাংসের মতো গোটা বা আঁচিল যা পায়ুপথের চারপাশে এবং ভিতরে হয়। এগুলো আসলে একটি ভাইরাস (HPV - Human Papillomavirus) এর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি একটি যৌনবাহিত রোগ (STD) হিসেবেও বিবেচিত হয়।

---

❓ কিভাবে হয়? সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায়?
অবশ্যই! এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেকেই লজ্জায় বা অজ্ঞতায় এই বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারেন না। নিচে একটি সহজ এবং স্পষ্ট, সামাজিক মাধ্যমের জন্য উপযোগী পোস্ট আকারে আলোচনা করা হলো।

---

🚨 সতর্কবার্তা: কোন ধরনের শারীরিক সম্পর্কে পায়ুপথের আঁচিল (প্যারি অনাল ওয়ার্ট) হয়? 🚨

শিরোনাম: "আপনার যৌন জীবনই কি আপনাকে ঝুঁকিতে ফেলছে? পায়ুপথের আঁচিলের সংক্রমণ কিভাবে হয়, আজই জেনে নিন!"

সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং শেয়ার করুন। জ্ঞানই আপনাকে রক্ষা করবে।

---

🔎 কোন কোন শারীরিক সম্পর্কে প্যারি অনাল ওয়ার্ট ছড়ায়?

মূল কারণ HPV (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস)। এই ভাইরাসটি ত্বকের সাথে ত্বকের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়, শুধু সিমেন বা রক্তের মাধ্যমে নয়। যে কোনো ধরনের অসুরক্ষিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকেই এটি হতে পারে:

১. পায়ুপথে সঙ্গম (A**l In*******se) ✅

· এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং সরাসরি পথ।
· আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সঙ্গীর পায়ুপথে ভাইরাসটি প্রবেশ করে।
· এটি শুধু সমকামী পুরুষদের মধ্যে সীমিত নয়, বিপরীত লিঙ্গের যৌন সঙ্গমেও এটি হতে পারে।

২. যোনিপথে সঙ্গম (Va**nal In*******se) ✅

· আক্রান্ত ব্যক্তি যদি সঙ্গীর যোনিপথে সঙ্গম করেন, তাহলে সঙ্গীর যোনিতে বা পরবর্তীতে তার পায়ুপথেও আঁচিল হতে পারে।
· ভাইরাসটি যোনি থেকে পায়ুপথে স্ব-সংক্রমণের মাধ্যমেও যেতে পারে।

৩. মুখমেহন (Oral S*x) ✅

· আক্রান্ত ব্যক্তির জেনিটাল (যোনি বা লিংগ) থেকে ভাইরাসটি অন্য ব্যক্তির মুখ ও গলায় যেতে পারে।
· আবার, যার মুখ বা গলায় HPV আছে, সে তার পার্টনারের জেনিটালে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

৪. জেনিটাল থেকে জেনিটাল রাবিং (ঘর্ষণ) ✅

· পূর্ণ সঙ্গম না হলেও, যদি একজনের জেনিটাল বা পায়ুপথের আঁচিল অন্যজনের জেনিটাল এলাকার সংস্পর্শে আসে, তাহলে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।

---

📢 একটি ভুল ধারণার নিরসন:

"আমি শুধু একজন পার্টনারের সাথে সম্পর্ক রাখি, তাহলে আমার হবে না?"

· উত্তর: না, এটি ভুল। আপনার পার্টনার যদি আগে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক থেকে দেহে HPV ভাইরাস বহন করেন (যার কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে), তাহলে তিনি আপনার মধ্যে এটি ছড়াতে পারেন, এমনকি বছরের পর বছর পরও।

---

🛡️ তাহলে কী করবেন? সুরক্ষার একমাত্র উপায়?

১. কন্ডম ব্যবহার করুন: মনে রাখবেন, কন্ডম ১০০% সুরক্ষা দেয় না। কারণ আঁচিল যেখানে কন্ডম দ্বারা ঢাকা থাকে না (যেমন কুঁচকি, পায়ুপথের চারপাশের ত্বক) সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। তারপরও কন্ডম ব্যবহার ঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।

২. HPV Vaccine (টিকা) নিন: এটি সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র। ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টিকা নেওয়া উচিত।

৩. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিজে এবং আপনার পার্টনারও নিয়মিত চেকআপ করান।

---

⚠️ লক্ষণগুলো কী কী? চিনে নিন

· পায়ুপথে বা তার চারপাশে ছোট, গোলাকার, ফুলকপির মতো গোটা দেখা দেওয়া।
· চুলকানি বা জ্বালাপোড়া অনুভব করা।
· রক্তপাত হওয়া (মলত্যাগের সময় বা অন্য সময়)।
· পায়ুপথে ভেজা ভাব বা অস্বস্তি লাগা।

মনে রাখবেন: অনেক সময় লক্ষণগুলো স্পষ্ট না-ও হতে পারে। তাই সন্দেহ হলেই ডাক্তার দেখাবেন।

---

🛡️ থেকে বাঁচার উপায় কী? প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা

১. সুরক্ষিত যৌন জীবন: কন্ডম ব্যবহার করুন (যদিও এটি ১০০% সুরক্ষা দেয় না)।
২.HPV Vaccine (টিকা) নিন: এই টিকা কিছু নির্দিষ্ট স্ট্রেইনের HPV ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। মেয়ে ও ছেলে উভয়েরই এই টিকা নেওয়া উচিত।
৩.ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, তোয়ালে, আন্ডারওয়্যার ইত্যাদি শেয়ার করবেন না।
৪.সচেতনতা: নিজের এবং পার্টনারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

---

🏥 চিকিৎসা কী?

লজ্জা বা ভয়ে চিকিৎসা না করালেই বিপদ! ডাক্তারের কাছে যান, তিনি আপনার অবস্থা দেখে নিচের যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নেবেন:

· ক্রায়োথেরাপি: তরল নাইট্রোজেন দিয়ে আঁচিল জমে দেয়া।
· লেজার থেরাপি: লেজার রশ্মি দিয়ে আঁচিল পুড়িয়ে ফেলা।
· ইলেক্ট্রোকটারি: বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা।
· সার্জারি: বড় আঁচিলের ক্ষেত্রে অপারেশন করে কেটে বাদ দেয়া।
· ক্রিম/ওষুধ: কিছু নির্দিষ্ট ক্রিম (ইমিকুইমড, পডোফিলক্স) লাগানোর পরামর্শ দিতে পারেন।

সতর্কতা: কখনোই ফার্মেসি থেকে নিজে কিছু কিনে বা বাজে কোনও ঘরোয়া উপায়ে আঁচিল তোলার চেষ্টা করবেন না। এতে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

---

😰 চিকিৎসা না করলে কী ভয়ানক জটিলতা হতে পারে?

এই অংশটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা না নিলে:

· আঁচিলের সংখ্যা ও আকার বেড়ে যাবে, পায়ুপথ বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে।
· মলদ্বারের ক্যান্সার (A**l Cancer) হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। HPV ভাইরাসই এই ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
· আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনিও সংক্রমিত হবেন।
· স্থায়ীভাবে ব্যথা, রক্তপাত এবং মানসিক যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে।

---

📢 শেষ বার্তা:

"লজ্জা করবেন না, ডাক্তার দেখান। আপনার স্বাস্থ্য আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করতে সাহায্য করুন।"

#প্যারি_অনাল_ওয়ার্ট #পায়ুপথের_আঁচিল #স্বাস্থ্য_সচেতনতা #যৌনস্বাস্থ্য #ডাক্তার_দেখান #লজ্জা_নয়_সচেতনতাই_মুক্তি #ভাইরাল_পোস্ট

---

06/10/2025

---

🎗️ এনাল ফিসার: চেপে রাখবেন না, সুরক্ষিত থাকুন!

শিরোনাম: পায়ুপথে অসহ্য যন্ত্রণা? হতে পারে এনাল ফিসার! জেনে নিন কারণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা।

আপনি কি টয়লেটে গেলে ছুরি বা কাঁচের টুকরোর মতো ব্যথা feel করেন? রক্ত পড়ে? এই সমস্যাকে অবহেলা করলে যন্ত্রণা বাড়বেই! আসুন, আজ কথা বলি এনাল ফিসার নিয়ে।

---

🔎 এনাল ফিসার কি?

এনাল ফিসার হলো আমাদের মলদ্বারের (A**s) ভেতরের নরম ত্বক বা মিউকোসা Membran-এ ছিড়ে যাওয়া বা ফাটল হওয়া। এটি দেখতে অনেকটা কাগজে কাটা ছেড়ার মতো। এই ছোট ফাটলই হয়ে ওঠে তীব্র যন্ত্রণার কারণ।

---

⚠️ এনাল ফিসারের প্রধান কারণগুলো কি?

১. কোষ্ঠকাঠিন্য: শক্ত মল ত্যাগ করতে জোর দেওয়ার সময় চাপ পড়ে ফাটল সৃষ্টি হয়।
২.দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া: বারবার টয়লেটে যাওয়াও মলদ্বারকে জ্বালাতন করে।
৩.গর্ভাবস্থা: জরায়ুর চাপ এবং হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
৪.অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: কম পানি, কম আঁশযুক্ত খাবার (শাকসবজি, ফলমূল)।
৫.অনিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস: টয়লেটের বেগ চেপে রাখা।
৬.দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা: বিশেষ করে শক্ত সিটে।

---

💊 প্রতিকার ও চিকিৎসা পদ্ধতি

এনাল ফিসার নিরাময়যোগ্য। চিকিৎসা সাধারণত ধাপে ধাপে হয়:

১. ঘরোয়া ও লাইফস্টাইল ব্যবস্থাপনা (প্রথম ধাপ):

· প্রচুর পানি ও তরল পান করুন: দিনে ৩-৪ লিটার।
· আঁশযুক্ত খাবার খান: ওটস, ব্রাউন রাইস, শাক, সবজি, পেপে, আপেল ইত্যাদি।
· নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটা, সাইক্লিং – যা অন্ত্রের চলাচল বাড়ায়।
· টয়লেটের বেগ চেপে রাখবেন না: প্রস্রাবের মতো মলত্যাগের বেগও চেপে রাখা вредি।
· গরম পানির সেক (Warm Sitz Bath): দিনে ২-৩ বার ১৫-২০ মিনিট গরম পানিতে বসে থাকুন। ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমবে।

২. ওষুধ (মেডিসিন):

· মল নরমকারী ওষুধ (Laxative): যেমন ল্যাকটুলোজ, ইসবগুলের ভুসি।
· ব্যথানাশক মলম বা ক্রিম: যা ফাটল স্থানের ব্যথা কমায় এবং নিরাময় ত্বরান্বিত করে।
· জীবাণুনাশক মলম: ইনফেকশন রোধ করে।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ওষুধ ব্যবহার করবেন না।

৩. অপারেশন (শল্য চিকিৎসা):
যদি৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে ওষুধে কাজ না হয়, তখন ডাক্তার অপারেশনের পরামর্শ দিতে পারেন।

· ল্যাটেরাল স্ফিংকটেরোটমি: এটি অপারেশন, যেখানে মলদ্বারের চারপাশের কিছু পেশী সামান্য কেটে দেওয়া হয় যাতে চাপ কমে এবং ফাটলটি নিজে নিজে সেরে উঠতে পারে। এটি একটি ছোট অপারেশন, বেশ কার্যকর।

---

✅ কোন অভ্যাস ত্যাগ করলে এনাল ফিসার হবে না?

· কোষ্ঠকাঠিন্যকে "না" বলুন: শাকসবজি-ফলমূল খান, পানি পান করুন।
· টয়লেটে বেশি চাপ দেবেন না: জোরে জোরে চাপ দেওয়া বন্ধ করুন।
· দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকবেন না: মোবাইল নিয়ে টয়লেটে বসে থাকা অভ্যাস ত্যাগ করুন।
· মশলাদার ও ভাজাপোড়া খাবার কম খান।
· নিয়মিত ব্যায়াম করুন: একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না।

---

📢 শেষ কথা:

এনাল ফিসার কোনো লজ্জার বা গোপন করার বিষয় নয়। এটি একটি শারীরিক সমস্যা মাত্র। সময়মতো সচেতন হলে এবং ডাক্তারের শরনাপন্ন হলে এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজেই।

এই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনদের সচেতন করুন। কারো এই ধরনের সমস্যা থাকলে তাকে গাইড করুন একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট বা সার্জনের সাথে কথা বলতে।

সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।

---
#এনাল_ফিসার #পায়ুপথের_ফাটল #স্বাস্থ্য_সচেতনতা #কোষ্ঠকাঠিন্য #গ্যাস্ট্রো #স্বাস্থ্য_টিপস

---

মলদ্বার ব্যথা হওয়া একটি অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এটির পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে...
03/10/2025

মলদ্বার ব্যথা হওয়া একটি অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এটির পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই:

প্রধান কারণসমূহ:

১. কোষ্ঠকাঠিন্য:

· এটি মল ধরে ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
· শক্ত ও শুষ্ক মল মলদ্বার দিয়ে বের হতে কষ্ট হয় এবং চাপের সৃষ্টি করে, যাতে ব্যথা ও অসস্তি অনুভব হয়।

২. পাইলস (অর্শ):

· মলদ্বার বা মলনালীর ভেতরের শিরাগুলো ফুলে গেলে পাইলস হয়।
· শক্ত মল ত্যাগ করার সময় চাপ পড়লে এই ফুলে থাকা শিরাগুলোতে ঘা হয়ে রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা হতে পারে।

৩. অ্যানাল ফিসার (মলদ্বারে ফাটল):

· শক্ত বা বড় মল ত্যাগের সময় মলদ্বারের সংবেদনশীল ত্বক বা মিউকোসা ফেটে গেলে অ্যানাল ফিসার হয়।
· এটি একটি খুবই ব্যথাদায়ক অবস্থা, যেখানে মল ত্যাগের সময় ও পরে ছুরি বা কাঁচের টুকরো দিয়ে কেটে যাওয়ার মতো তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।

৪. অ্যানাল অ্যাবসেস বা ফিস্টুলা (মলদ্বারে ফোড়া বা নালী):

· মলদ্বারের কাছে সংক্রমণ হলে পুঁজ জমে ফোড়া (Abscess) হতে পারে, যা একটি ফোলা, লাল, গরম ও স্পর্শকাতর গোটা হিসেবে দেখা দেয় এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
· এই ফোড়া ফেটে গিয়ে বা সার্জারির পর একটি টানেল (Fistula) তৈরি হতে পারে, যার থেকেও ক্রমাগত ব্যথা ও পুঁজ পড়তে পারে।

৫. মলদ্বার সংকুচিত হওয়া (Anorectal Stricture):

· পূর্বের সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, বা ক্রন’s ডিজিজের মতো প্রদাহ-এর ফলে মলদ্বার বা মলনালী সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
· এর ফলে মল বের হতে অসুবিধা এবং ব্যথা হয়।

৬. প্রোক্টালজিয়া ফুগ্যাক্স (Pelvic Floor Dysfunction):

· Pelvic-এর মাংসপেশিগুলো সঠিকভাবে শিথিল না হলে মল ত্যাগ করতে কষ্ট হয় এবং মল ধরে রাখার মতো অনুভূতি ও ব্যথা হতে পারে।

৭. ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD):

· আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রন’s ডিজিজের মতো রোগের কারণে মলনালীতে প্রদাহ এবং ঘা হতে পারে, যা মল ত্যাগের সময় ব্যথা এর কারণ হয়।

৮. রেক্টাল প্রোল্যাপস (মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা):

· মলদ্বার বা এর আশেপাশের টিস্যু দুর্বল হয়ে গেলে তা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, ব্যথা এবং মল ধরে রাখতে অসুবিধা।

৯. সংক্রমণ:

· ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসের কারণে মলদ্বারে সংক্রমণ হলে (যেমন: প্রোক্টাইটিস) ব্যথা, জ্বালাপোড়া হতে পারে।

১০. ক্যান্সার:

· মলদ্বার বা কোলনের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে মল ত্যাগের সময় ব্যথা, রক্তপাত বা মলের অভ্যাসে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এটি খুবই বিরল কারণ হলেও সতর্কতা প্রয়োজন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন:

· মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত।
· ব্যথা অতিরিক্ত তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী (কয়েক দিনের বেশি)।
· জ্বর আসা।
· মলদ্বারে বা তলপেটে কোনো চাকা বা ফোলা অনুভব করা।
· ওজন অকারণে কমে যাওয়া।
· মলত্যাগের অভ্যাসে আকস্মিক পরিবর্তন।
**lFissure
#স্বাস্থ্যকথা #স্বাস্থ্য_সচেতনতা ে_ব্যথা #কোষ্ঠকাঠিন্য #পাইলস #অ্যানাল_ফিসার #গোপন_স্বাস্থ্য_সমস্যা #ডাক্তারের_পরামর্শ #স্বাস্থ্যটিপস #বাংলাদেশ_স্বাস্থ্য

02/10/2025

এনাল ফিস্টুলা: লেজার চিকিৎসায় আধুনিক যুগের সমাধান

যাদের এনাল ফিস্টুলা হয়েছে, শুধু তারাই বোঝেন ব্যথা, অস্বস্তি এবং বারবার অপারেশনের ভয়ের যন্ত্রণা কতটা তীব্র।

ঐতিহ্যবাহী সার্জারির কথা শুনলেই অনেকেরই আতঙ্ক কাজ করে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এখন রয়েছে অনেক আধুনিক, কম ব্যথাদায়ক এবং কার্যকরী পদ্ধতি। তার মধ্যে একটি হলো লেজার এর মাধ্যমে এনাল ফিস্টুলার চিকিৎসা (FiLaC/FiLaC™)।

✅ লেজার চিকিৎসার প্রধান সুবিধাগুলো কি?

১. ন্যূনতম আক্রমণাত্মক (Minimally Invasive): এটি একটি ছোট প্রক্রিয়া। বড় কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন হয় না বলেই...
২.ব্যথা কম: প্রচলিত সার্জারির তুলনায় ব্যথা অনেক কম হয়।
৩.রক্তপাত কম: লেজার রক্তনালী সিল করে দেয় তাই রক্তপাত প্রায় নেই বললেই চলে।
৪.দ্রুত সুস্থতা: হাসপাতালে থাকার সময় কম এবং দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
৫.মল নিয়ন্ত্রণ ঝুঁকি কম: লেজার পদ্ধতিতে স্ফিংটার মাসেল (মলদ্বার বন্ধকারী পেশি) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম, ফলে মল নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় প্রায় থাকে না।

৬.সাফল্যের হার খুব একটা ভালো না।

🤔 এটি কি সবার জন্য উপযোগী?
সকল ধরনের ফিস্টুলার জন্য লেজার চিকিৎসাউপযুক্ত নাও হতে পারে। এটি নির্ভর করে ফিস্টুলার জটিলতা, অবস্থান এবং ধরনের উপর। একজন দক্ষ কোলোরেক্টাল বা কোলোন সার্জনই সঠিকভাবে পরীক্ষা করে বলতে পারবেন এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য সঠিক কিনা।
✨ শেষ কথাঃ
এনাল ফিস্টুলাকোনো লজ্জার বা গোপন করার বিষয় নয়। এটি একটি মেডিকেল কন্ডিশন, যার আধুনিক চিকিৎসা এখন হাতের নাগালেই। নিজে বা প্রিয়জন যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে একজন কোলোরেক্টাল সার্জন-এর সাথে পরামর্শ করুন এবং লেজার চিকিৎসার বিকল্পটি নিয়ে আলোচনা করুন।

সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।

---

#এনাল_ফিস্টুলা #লেজার_চিকিৎসা #ফিস্টুলা #স্বাস্থ্য_সচেতনতা #কলোরেক্টাল_সার্জারি #বাংলাদেশ #স্বাস্থ্য

---

01/10/2025

পাইলস (অর্শ) কি?

পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরের চারপাশের শিরাগুলো ফুলে যাওয়া বা প্রসারিত হওয়া। এটি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা।

পাইলস এর প্রধান কারণ:

· দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকা।
· মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া।
· গর্ভাবস্থা।
· দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা।
· মসলাযুক্ত ও তেল-চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
· আঁশজাতীয় খাবার (শাকসবজি, ফলমূল) কম খাওয়া।

প্রধান লক্ষণগুলি:

· রক্তপাত: মলত্যাগের সময় উজ্জ্বল লাল রক্ত পড়া (টয়লেট পেপার বা প্যানে দেখা যায়)।
· ফুলে ওঠা: মলদ্বারের বাইরে বা ভেতরে মটর দানার মতো ফোলা অনুভব করা।
· ব্যথা ও discomfort: বিশেষ করে বসলে বা মলত্যাগের সময়।
· চুলকানি ও জ্বালাপোড়া।

চিকিৎসা পদ্ধতি:

১. ঘরোয়া ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন:

· আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান (যেমন: পাতাজাতীয় শাক, লাল শাক, পেপে, বরই, ইসবগুলের ভুসি)।
· পর্যাপ্ত পানি পান করুন (দিনে ৮-১০ গ্লাস)।
· কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে নিয়মিত হাঁটা-চলা ও হালকা ব্যায়াম করুন।
· মলত্যাগের সময় জোরে চাপ না দেওয়া।
· দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকবেন না।

২. ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা:

· ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক মলম (যেমন: প্রক্টোজেল-এইচ, হেমোসল) ব্যবহার।
· ব্যথার ওষুধ খাওয়া।

৩. মেডিকেল চিকিৎসা (ডাক্তারের পরামর্শে):

· ব্যান্ডিং, ইনজেকশন থেরাপি, লেজার থেরাপি ইত্যাদি অল্প ইনভেসিভ পদ্ধতি।
· খুব জটিল ক্ষেত্রে সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে।

---

সতর্কতা: মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া শুধু পাইলসের লক্ষণ নাও হতে পারে, এটি কোলন ক্যান্সারের মত গুরুতর রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। তাই নিজে নিজে চিকিৎসা না করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের (সার্জন বা কোলোরেক্টাল সার্জন) পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

#পাইলস #অর্শ #স্বাস্থ্যtips #চিকিৎসা
# মোহাম্মদ তানভীর জালাল

13/08/2025

# # # **রেক্টোসিল : কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা | কলোরেক্টাল সার্জনের ভূমিকা**
**(একটি জরুরি নারীর স্বাস্থ্য ইস্যু)**

**🔍 রেক্টোসিল কী?**
পেলভিক ফ্লোর দুর্বল হওয়ায় মলদ্বার (রেক্টাম) যোনির পেছনের প্রাচীরে চাপ দিলে সৃষ্টি হয় **রেক্টোসিল**। এটি **পেলভিক অর্গান প্রল্যাপ্সের** অংশ।
**⚠️ ঝুঁকিতে যারা:**
- বহু সন্তানের মা
- দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগী
- ৫০+ বয়সী নারী
- হিস্টেরেক্টমি করা রোগী

---
# # # **❗ লক্ষণ চিনুন:**
| সাধারণ লক্ষণ | জটিল লক্ষণ |
|--------------|-------------|
| মলত্যাগে **অসম্পূর্ণতা** | মল ধরে রাখতে **অক্ষমতা** |
| যোনিতে ** ফোলা** | **আঙুল ঢুকিয়ে** মল বের করা |
| তলপেটে **ভার/টান** | যৌনমিলনে **তীব্র ব্যথা** |
| ঘন ঘন **মূত্রনালির ইনফেকশন** |

> 📌 **সতর্কতা:** লক্ষণ অবহেলা করলে **মলদ্বারের স্থায়ী ক্ষতি** হতে পারে!

---

# # # **🩺 কখন কোন ডাক্তার দেখাবেন?**
১. **প্রাথমিক মূল্যায়ন:** গাইনোকোলজিস্ট বা প্রাথমিক চিকিৎসক
২. **বিশেষায়িত চিকিৎসা:**
- **কলোরেক্টাল সার্জন** (মলদ্বার বিশেষজ্ঞ)
৩. **ডায়াগনোসিস:**
- **ডিজিটাল রেক্টাল এক্সাম** (মলদ্বার পরীক্ষা)
- **ডিফেকোগ্রাফি** (এক্স-রে ভিডিও)
- **পেলভিক এমআরআই**

---

# # # **💊 চিকিৎসা পদ্ধতি:**
# # # # **অপারেটিভ নয়:**
- **পেলভিক ফ্লোর ফিজিওথেরাপি:** (স্পেশালাইজড ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে)
- **পেসারি:** সিলিকন ডিভাইস (অস্থায়ী সমাধান)
- **জীবনযাপনে পরিবর্তন:**
- প্রতিদিন ৩০ গ্রাম ফাইবার (ডাল, শাক, ওটস)
- ৮ গ্লাস পানি + নিয়মিত হাঁটা
- **মলত্যাগে চাপ না দেওয়া**

# # # # **অপারেশন (কলোরেক্টাল সার্জন主导):**
| পদ্ধতি | সুবিধা | পুনরুদ্ধার |
|--------|---------|------------|
| **ট্রান্সভ্যাজাইনাল রিপেয়ার** (যোনি পথে) | কম জটিলতা | ৪-৬ সপ্তাহ |
| **ট্রান্সঅ্যানাল রিপেয়ার** (মলদ্বার পথে) | মলদ্বার ফাংশন রক্ষা | ৩-৪ সপ্তাহ |
| **ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি** (পেটে ছিদ্র করে) | কম ব্যথা, দ্রুত সুস্থতা | ২-৩ সপ্তাহ |

> ✅ **সফলতার হার:** ৮০-৯০% (অভিজ্ঞ কলোরেক্টাল সার্জনের হাতে)

---

# # # **⭐ কলোরেক্টাল সার্জন কেন গুরুত্বপূর্ণ?**
১. মলদ্বারের জটিল এনাটমি সম্পর্কে **গভীর জ্ঞান**
২. **সার্জিকাল প্রিসিশন** বেশি (জটিলতা ৫% এর নিচে)
৩. পোস্ট-অপ **মল ধারণ ক্ষমতা** উন্নত করতে পারদর্শী
৪. **পুনরায় রেক্টোসিল হওয়ার ঝুঁকি** কমায়

---

# # # **📢 জরুরি বার্তা:**
> "**রেক্টোসিল লজ্জার রোগ নয়** – বাংলাদেশে প্রতি ৩ জন মায়ের ১ জন এতে ভোগেন!
> **প্রথম লক্ষণেই** কলোরেক্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন।
> **অপারেশন প্রয়োজন হলে** ভয় পাবেন না – আধুনিক পদ্ধতিতে এটি **সুরক্ষিত ও কার্যকর**!"

** #রেক্টোসিল #কলোরেক্টাল_সার্জারি #মলদ্বার_সমস্যা #নারীর_স্বাস্থ্য #পেলভিক_ফ্লোর**
**🔗 শেয়ার করে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন!**

---

**⚠️ সতর্কতা:**
- এই তথ্য **সাধারণ জ্ঞানের জন্য**।
- ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য **কলোরেক্টাল সার্জন** সরাসরি পরামর্শ নিন।

> **🙏 দয়া করে:** এই পোস্টটি শেয়ার করে মায়েদের সাহায্য করুন!

---
**(তথ্যসূত্র: আমেরিকান সোসাইটি অফ কলোরেক্টাল সার্জনস, বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটি)**

ডা.মোহাম্মদ তানভীর জালাল
এমবিবিএস,এফসিপিএস(সার্জারী)
এফসিপিএস (কলোরেক্টাল সার্জারী)
সহযোগী অধ্যাপক
কলোরেক্টাল সার্জারী বিভাগ
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

10/08/2025

# # # স্ত্রীস্বাস্থ্য সচেতনতা: রেক্টোভ্যাজাইনাল ফিস্টুলা (Rectovaginal Fistula)
**(মলদ্বার ও যোনির মধ্যে অস্বাভাবিক সংযোগ)**

**এটি কী?**
রেক্টোভ্যাজাইনাল ফিস্টুলা হলো মলদ্বার (Re**um) ও যোনিপথের (Va**na) মধ্যে একটি অস্বাভাবিক ছিদ্র বা টানেলের সৃষ্টি হওয়া। এ কারণে মল বা বায়ু অনিয়ন্ত্রিতভাবে যোনিপথে চলে আসতে পারে।

**প্রধান লক্ষণ:**
* যোনিপথ দিয়ে মল বা গ্যাস বের হওয়া
* যোনিপথে দুর্গন্ধ, অস্বস্তি বা বারবার ইনফেকশন
* যৌনমিলনে ব্যথা

**কারণসমূহ:**
* **প্রসবকালীন জটিলতা:** (সবচেয়ে সাধারণ কারণ) দীর্ঘস্থায়ী প্রসববেদনা, বড় শিশু, অপর্যাপ্ত মেডিকেল সুবিধা।
* অস্ত্রোপচারের জটিলতা (যেমন: হিস্টেরেক্টমি)
* মলদ্বার বা যোনির আঘাত
* ক্রন’স ডিজিজের মতো কিছু রোগ
* ক্যান্সার বা বিকিরণ চিকিৎসা (তুলনামূলক কম)

**গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:**
1. **এটি কোনো লজ্জার বিষয় নয়:** এটি একটি শারীরিক সমস্যা, আপনার দোষ নয়।
2. **সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য:** প্রায় সব ক্ষেত্রেই সফল সার্জারির মাধ্যমে এই ফিস্টুলা ঠিক করা সম্ভব!
3. **চিকিৎসা জরুরি:** চিকিৎসা না নিলে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট বাড়ে, সামাজিক জীবন ব্যাহত হয়।

**কী করবেন?**
যদি এই লক্ষণগুলো আপনার বা পরিচিত কারো মধ্যে দেখেন:
* **নির্দ্বিধায় কথা বলুন:**
@@@ কোলোরেক্টাল সার্জনের সাথে পরামর্শ করুন।
* **লুকাবেন না:** দ্রুত চিকিৎসা নিলেই সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়া যায়।

**আসুন, সচেতন হই, লজ্জা ভুলে চিকিৎসার পথে এগিয়ে আসি। সুস্থতাই সৌন্দর্য।**

\ #স্ত্রীস্বাস্থ্য #রেক্টোভ্যাজাইনাল_ফিস্টুলা #মহিলা_স্বাস্থ্য #সচেতনতা #ফিস্টুলা #সুস্থ_জীবন #গর্ভধারণ #প্রসব #লজ্জা_নয় #চিকিৎসা_হচ্ছে_সমাধান
\

---

**সংক্ষেপে:**
* **সমস্যা:** মলদ্বার ও যোনির ছিদ্র → যোনিপথে মল/গ্যাস।
* **কারণ:** প্রধানত কঠিন প্রসব।
* **সমাধান:** সার্জারি দ্বারা নিরাময় সম্ভব!
* **করণীয়:** চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, লজ্জা করবেন না।

এই পোস্টটি শেয়ার করে অন্যান্য নারীকে সচেতন করতে সাহায্য করুন!

09/08/2025

সুস্থতা ও সুস্থতার মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা এ আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদেরকে সুস্থতা দান করেন

Address

Dhaka
DHAKA1205

Opening Hours

Monday 16:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 19:00 - 21:00
Saturday 19:00 - 21:00
Sunday 19:00 - 21:00

Telephone

+8801701484942

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Center for Piles and Colorectal Diseases,Bangladesh. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Center for Piles and Colorectal Diseases,Bangladesh.:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram