Our Health Community to Organized by Medical Team

Our Health Community to Organized by Medical Team " Medical , Food & other unknown information presenting this page , for all kind of people . To lead a happy and Healthy Life . "

 #ডেঙ্গুর_জ্বর_বা_ডেঙ্গু_প্রতিরোধের_করণীয় 🦟🦟🦟
21/08/2025

#ডেঙ্গুর_জ্বর_বা_ডেঙ্গু_প্রতিরোধের_করণীয় 🦟🦟🦟

      🙍থাইরয়েড :থাইরয়েড (Thyroid) হলো মানুষের শরীরে গলার সামনের অংশে অবস্থিত একটি অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি (Endocrine gland)।...
05/08/2025




🙍থাইরয়েড :
থাইরয়েড (Thyroid) হলো মানুষের শরীরে গলার সামনের অংশে অবস্থিত একটি অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি (Endocrine gland)। এটি দেখতে প্রজাপতির মতো এবং কলার হাড়ের নিচে থাকে।

🤔থাইরয়েডের কাজ :
থাইরয়েড গ্রন্থি দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে:
T3 (Triiodothyronine)
T4 (Thyroxine)

এই হরমোনগুলো শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন:

1. বিপাকক্রিয়া (Metabolism) – শক্তি উৎপাদন ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ
2. শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা
3. ওজন ও শক্তি নিয়ন্ত্রণ
4. হৃদযন্ত্রের গতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
5. মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কাজ
6. শিশুদের বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা

🩺👆 অতিরিক্ত তথ্য:
⏩থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য আয়োডিন প্রয়োজন হয়, যা আমরা খাবার (যেমন আয়োডিনযুক্ত লবণ) থেকে পাই।
⏩থাইরয়েডের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস এবং পিটুইটারি গ্রন্থি (TSH হরমোন)।

🩺🤔🚺থাইরয়েডের সাধারণ সমস্যা:

⛔১. হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism)

👉 এটি তখন হয়, যখন থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।
এটি শরীরের সমস্ত কার্যকলাপকে ধীর করে দেয়।

👎কারণসমূহ:

আয়োডিনের ঘাটতি

হ্যাশিমোটো’স থাইরয়েডাইটিস (Autoimmune রোগ)

থাইরয়েড অপারেশন

রেডিওআ্যাকটিভ থেরাপির পর

জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা

কিছু ওষুধ (যেমন: lithium)।

👎 লক্ষণসমূহ:

অতিরিক্ত ক্লান্তি / অলস লাগা

ওজন বেড়ে যাওয়া

ঠান্ডা লাগা বেশি

কোষ্ঠকাঠিন্য

ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া

চুল পড়া / ভঙ্গুর চুল

বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন)

মুখ-চোখ ফোলা

মাসিক অনিয়ম

স্মৃতি দুর্বল হওয়া

হার্টবিট ধীর হওয়া

🩸রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়:

TSH: বেশি থাকে

Free T4: কম থাকে

💊 চিকিৎসা:

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে Thyroxine (Levothyroxine) খাওয়া হয়।

🩺⛔ ২. হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism)

👉 এটি তখন হয়, যখন থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে।
এটি শরীরের কার্যকলাপকে অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত করে তোলে।

👎কারণসমূহ:
Graves’ disease (সবচেয়ে সাধারণ কারণ)
থাইরয়েড নডিউল
থাইরয়েড ইনফেকশন
অতিরিক্ত আয়োডিন সেবন
কিছু ওষুধ

👎 লক্ষণসমূহ:
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
অতিরিক্ত ঘাম
ঘুমের সমস্যা
নার্ভাসনেস বা উদ্বেগ
হাত কাঁপা
চোখ ফুলে যাওয়া বা চাপে থাকা
হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
মাসিক অনিয়ম
হজম দ্রুত হওয়া / ডায়রিয়া

🩸রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়:

TSH: খুব কম থাকে
Free T4 বা T3: বেশি থাকে

🩺💊 চিকিৎসা:
Antithyroid ওষুধ (যেমন Carbimazole বা PTU)
Beta-blockers (যেমন Propranolol) - হার্টরেট কমানোর জন্য
Radioactive iodine therapy
থাইরয়েড অপারেশন (কিছু ক্ষেত্রে)

🟦 অন্যান্য থাইরয়েড সমস্যা:

⛔৩️.Goiter (গলগন্ড):

👉 থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়
⏩কারণ: আয়োডিনের ঘাটতি, হাইপো বা হাইপারথাইরয়েডিজম
⏩লক্ষণ: গলার সামনে ফোলা, গলার চাপ, কষ্টে গিলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা

⛔৪️. Thyroid Nodules (থাইরয়েড গাঁট/পিণ্ড):

👉 থাইরয়েড গ্রন্থির মধ্যে ছোট ছোট গাঁট বা পিণ্ড তৈরি হয়
⏩অধিকাংশ নডিউল নিরীহ, কিন্তু কিছু ক্যান্সারও হতে পারে
⏩লক্ষণ: গলায় গাঁট অনুভব, কণ্ঠ পরিবর্তন, গিলতে কষ্ট

⛔৫️. Thyroiditis (থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রদাহ):

👉 থাইরয়েড গ্রন্থিতে ইনফ্লামেশন (সোয়েলিং বা জ্বালা ) হয়।

⏩বিভিন্ন ধরনের হয়:

Hashimoto’s thyroiditis (Autoimmune, Hypothyroidism তৈরি করে)

Subacute thyroiditis (ভাইরাল সংক্রমণের পর হয়, ব্যথা সহ)

Postpartum thyroiditis (গর্ভাবস্থার পর হয়)

⛔৬️. Graves’ Disease:

👉 একটি Autoimmune রোগ, যেখানে শরীর নিজেই অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে
⏩ লক্ষণ: চোখ ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, দ্রুত হার্টরেট, ওজন কমা

⛔৭️.Thyroid Cancer (থাইরয়েড ক্যান্সার):

👉 থাইরয়েড কোষে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ফলে ক্যান্সার হতে পারে
⏩ লক্ষণ: গলার মধ্যে গাঁট, কণ্ঠ পরিবর্তন, গিলতে সমস্যা, ঘন ঘন কাশি

👎থাইরয়েড পরীক্ষাগুলো:

TSH (Thyroid Stimulating Hormone)

Free T3, Free T4

Anti-TPO (Autoimmune সমস্যা বুঝতে)

Ultrasound (গাঁট বা ফোলা দেখতে)

FNAC বা Biopsy (ক্যান্সার আছে কি না বুঝতে)

🩺⛔"যত তাড়াতাড়ি সমস্যা বুঝবেন, তত সহজে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন" – তাই দেরি না করে উপসর্গ দেখা দিলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

05/08/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

    🩺🤔🚹 ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা(Electrolyte imbalance): ছোট অসতর্কতা, বড় বিপদ! আমাদের শরীরে কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ পদা...
02/08/2025





🩺🤔🚹 ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা(Electrolyte imbalance): ছোট অসতর্কতা, বড় বিপদ!

আমাদের শরীরে কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ আছে যেগুলোকে বলে ইলেকট্রোলাইট – এদের মাত্রা কমে গেলে বা বেড়ে গেলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

🩺🛗 লক্ষণ:
🔹 ক্লান্তি বা দুর্বলতা
🔹 মাথা ঘোরা
🔹 পেশিতে টান বা খিঁচুনি
🔹 বুকে ধড়ফড়
🔹 বিভ্রান্তি বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

⚠️ কারণ:
👉 অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা বমি
👉 কিডনি সমস্যা
👉 দীর্ঘসময় না খাওয়া
👉 কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

✅ করণীয়:
✔️ প্রচুর পানি পান করুন
✔️ সুষম খাবার খান
✔️ প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করুন
✔️ সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

NB: ছোট একটি ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই সতর্ক হোন, সুস্থ থাকুন! 💚

🚹🚹 প্রধান ইলেকট্রোলাইটসমূহ ও তাদের কাজ:

1. সোডিয়াম (Sodium - Na⁺)
🔹 পানি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
🔹 স্নায়ুর কাজ ও পেশির সংকোচনে সাহায্য করে।

2. পটাসিয়াম (Potassium - K⁺)
🔹 হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখে
🔹 স্নায়ু ও পেশির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

3. ক্যালসিয়াম (Calcium - Ca²⁺)
🔹 হাড় ও দাঁতের গঠন
🔹 রক্ত জমাট বাঁধা ও পেশির কার্যক্রমে সাহায্য করে।

4. ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium - Mg²⁺)
🔹 পেশি ও স্নায়ুর সঠিক কার্যকলাপ
🔹 শক্তি উৎপাদন ও এনজাইম কার্যক্রম।

5. ক্লোরাইড (Chloride - Cl⁻)
🔹 অ্যাসিড–বেস ব্যালান্স বজায় রাখে
🔹 পাকস্থলীর হজমে সহায়ক (হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের অংশ)।

6. বাইকার্বনেট (Bicarbonate - HCO₃⁻)
🔹 শরীরের pH (অম্লতা-ক্ষারত্ব) নিয়ন্ত্রণ করে।

7. ফসফেট (Phosphate - PO₄³⁻)
🔹 হাড় গঠনে সহায়তা
🔹 কোষের শক্তি উৎপাদনে প্রয়োজন (ATP)।

☹️🚹 ইলেকট্রোলাইট ঘাটতির ফলে যেসব সমস্যা হয়ঃ

🧂 সোডিয়াম (Sodium) কমে গেলে — (Hyponatremia)

🔹 দুর্বলতা ও ক্লান্তি
🔹 মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়া
🔹 মানসিক বিভ্রান্তি
🔹 খিঁচুনি হতে পারে
🔹 রক্তচাপ কমে যেতে পারে।

🍌 পটাসিয়াম (Potassium) কমে গেলে — (Hypokalemia)

🔹 পেশিতে দুর্বলতা ও টান
🔹 অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (হার্টবিট)
🔹 কোষ্ঠকাঠিন্য
🔹 অবসাদ
🔹 মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট।

🦴 ক্যালসিয়াম (Calcium) কমে গেলে — (Hypocalcemia)

🔹 হাত-পা ঝিম ঝিম করা
🔹 পেশির খিঁচুনি
🔹 দাঁত ও হাড় দুর্বল হওয়া
🔹 হৃদস্পন্দনে অনিয়ম
🔹 ত্বকে ঝাঁঝালো অনুভূতি।

🌿 ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) কমে গেলে — (Hypomagnesemia)

🔹 কাঁপুনি বা হাত-পা নড়াচড়া বেড়ে যাওয়া
🔹 খিঁচুনি
🔹 হার্টবিট অনিয়ম
🔹 অবসাদ ও বিরক্তি
🔹 মানসিক অস্থিরতা।

💧 ক্লোরাইড (Chloride) কমে গেলে — (Hypochloremia)

🔹 পানি ও লবণের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়
🔹 দুর্বলতা ও ক্লান্তি
🔹 পেশিতে টান
🔹 বমি বা বমি ভাব
🔹 অ্যাসিড-বেস ভারসাম্য নষ্ট হয়।

🧪 বাইকার্বনেট (Bicarbonate) কমে গেলে — (Metabolic Acidosis)

🔹 শ্বাস নিতে কষ্ট
🔹 বমি
🔹 ক্লান্তি
🔹 মনোযোগে ঘাটতি
🔹 রক্তে অ্যাসিড বেড়ে যায়।

🦴 ফসফেট (Phosphate) কমে গেলে — (Hypophosphatemia)

🔹 হাড় দুর্বল ও ব্যথা
🔹 দুর্বল পেশি
🔹 মনোযোগে সমস্যা
🔹 দেহে শক্তির ঘাটতি
🔹 ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।

⛔আমাদের দেহে ইলেকট্রোলাইটগুলোর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে গেলে সেটাকে বলা হয় Electrolyte Excess বা Hyper- ইলেকট্রোলাইটেমিয়া, যা শরীরে মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে।

⚠️ ইলেকট্রোলাইট বেশি হলে যেসব সমস্যা হয়ঃ

🧂 সোডিয়াম (Hypernatremia)বেড়ে গেলে:

🔹 তীব্র পিপাসা
🔹 মস্তিষ্কে স্নায়ু সংকেতের গণ্ডগোল
🔹 বিভ্রান্তি, খিঁচুনি
🔹 শরীরের পানিশূন্যতা
🔹 অজ্ঞান বা কোমা পর্যন্ত হতে পারে।

🍌 পটাসিয়াম (হ্যপেরকালেমিয়া)বেড়ে গেলে:

🔹 অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি)
🔹 দুর্বলতা বা অবশভাব
🔹 শ্বাসকষ্ট
🔹 বুকে চাপ
🔹 পেশির দুর্বলতা।

🦴 ক্যালসিয়াম (Hypercalcemia)বেড়ে গেলে :

🔹 কোষ্ঠকাঠিন্য
🔹 অতিরিক্ত প্রস্রাব
🔹 পেট ব্যথা
🔹 মানসিক বিভ্রান্তি
🔹 কিডনিতে পাথর তৈরি
🔹 হাড় দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে।

🌿 ম্যাগনেসিয়াম (Hypermagnesemia)বেড়ে গেলে:

🔹 পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে
🔹 ধীর হৃদস্পন্দন
🔹 শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা
🔹 রক্তচাপ কমে যাওয়া
🔹 অচেতন হয়ে যাওয়া।

💧 ক্লোরাইড (হ্যপেরছলরেমিয়া)বেড়ে গেলে:

🔹 উচ্চ রক্তচাপ
🔹 শরীরে অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া (Acidosis)
🔹 দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা
🔹 পানিশূন্যতা।

🧪 বাইকার্বনেট (Metabolic Alkalosis)বেড়ে গেলে :

🔹 বমি বমি ভাব
🔹 হাত-পা ঝিম ঝিম করা
🔹 পেশি খিঁচুনি
🔹 বিভ্রান্তি বা দুশ্চিন্তা
🔹 শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা।

🦴 ফসফেট (Hyperphosphatemia)বেড়ে গেলে :

🔹 হাড়ে খনিজ জমা হয়ে হাড় দুর্বল করে
🔹 চুলকানি
🔹 পেশি খিঁচুনি
🔹 কিডনির জটিলতা বাড়ায় (বিশেষ করে কিডনি রোগীদের মধ্যে)

⛔উৎস :
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটগুলো আমরা খাদ্য ও পানীয় থেকে পাই। নিচে প্রতিটি ইলেকট্রোলাইট কোন কোন খাবারে বেশি পাওয়া যায়, তা দেওয়া হলো:

🧂 সোডিয়াম (Sodium) পাওয়া যায়ঃ

🔹 লবণ
🔹 খাবার স্যুপ, চিপস, ফাস্ট ফুড
🔹 ডাবের পানি (প্রাকৃতিক সোডিয়ামের উৎস)
🔹 চিজ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার

📌 পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত, বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে।

🍌 পটাসিয়াম (Potassium) পাওয়া যায়ঃ

🔹 কলা
🔹 আলু (বিশেষ করে খোসাসহ)
🔹 টমেটো
🔹 পালংশাক
🔹 কমলা, মালটা, খেজুর
🔹 ডাবের পানি

🦴 ক্যালসিয়াম (Calcium) পাওয়া যায়ঃ

🔹 দুধ ও দই
🔹 পনির
🔹 ছোট মাছ (মাথাসহ খাওয়া যায় এমন)
🔹 শাকসবজি (পালং, সরিষা শাক)
🔹 বাদাম (যেমন: তিল, বাদাম)
🔹 কালো তিল

🌿 ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) পাওয়া যায়ঃ

🔹 বাদাম (কাজু, আমন্ড, চিনাবাদাম)
🔹 শিমজাতীয় খাবার
🔹 ডার্ক চকোলেট
🔹 পালংশাক
🔹 গোটা শস্য (whole grains)

💧 ক্লোরাইড (Chloride) পাওয়া যায়ঃ

🔹 সাধারণ লবণ (NaCl)
🔹 সামুদ্রিক খাবার
🔹 চিজ
🔹 স্যুপ বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে

🧪 বাইকার্বনেট (Bicarbonate)

👉 এটি শরীরে নিজে থেকেই তৈরি হয় এবং অ্যাসিড-বেস ব্যালান্সে সাহায্য করে। তবে বেকিং সোডা (Sodium bicarbonate) থেকে বাইকার্বনেট পাওয়া যায়।

🦴 ফসফেট (Phosphate) পাওয়া যায়ঃ

🔹 দুধ, দই, পনির
🔹 মুরগির মাংস, গরুর মাংস
🔹 ডিম
🔹 বাদাম
🔹 ডাল ও শিম
🔹 গোটা শস্য

✅ পরামর্শ:
সুষম ও প্রাকৃতিক খাবারে এসব উপাদান থাকে। কোনো ঘাটতি বা অতিরিক্ততা বুঝলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য ও ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা কম বা বেশি যেকোনোটাই ক্ষতিকর। তাই হালকা উপসর্গ হলেও গুরুত্ব দিন। পানিশূন্যতা, অপুষ্টি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কিডনির সমস্যা থাকলে ইলেকট্রোলাইট লেভেল নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।

আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইটসমূহের সাধারণ রেঞ্জ তুলে ধরা হলো:

     🚹ডায়াবেটিস (Diabetes) :: একটি দীর্ঘমেয়াদি (chronic) মেটাবলিক রোগ, যেখানে শরীর ইনসুলিন ঠিকমতো তৈরি করতে পারে না বা উ...
25/07/2025




🚹ডায়াবেটিস (Diabetes) ::
একটি দীর্ঘমেয়াদি (chronic) মেটাবলিক রোগ, যেখানে শরীর ইনসুলিন ঠিকমতো তৈরি করতে পারে না বা উৎপন্ন ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজ বা সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতি করতে পারে।

⏩ডায়াবেটিসের ধরন (Types of Diabetes):

1. টাইপ ১ ডায়াবেটিস (Type 1 Diabetes)

এটি সাধারণত শিশু বা তরুণ বয়সে হয়।

শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না (অটোইমিউন রোগ)।

ইনসুলিন ইনজেকশন প্রয়োজন হয়।

2. টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes)

সবচেয়ে বেশি প্রচলিত।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের হয় (তবে এখন ছোট বয়সেও দেখা যায়)।

শরীর ইনসুলিন তৈরি করে, কিন্তু তা কাজ করে না (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)।

জীবনধারা পরিবর্তন, ওষুধ, এবং কখনো ইনসুলিন প্রয়োজন হয়।

3. জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes)

গর্ভাবস্থায় দেখা যায়।

মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।

গর্ভাবস্থার পর স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে, তবে ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ে।

🚹ডায়াবেটিস নির্ণয় (Diagnosis):

😊👍Fasting Blood Sugar (FBS) :

✅ স্বাভাবিক (Normal) 3.9 – 5.5 mmol/L or 70 – 99 mg/dL
⚠️ প্রিডায়াবেটিস (Impaired Fasting Glucose) 5.6 – 6.9 mmol/L or 100 – 125 mg/dL
❗ ডায়াবেটিস (Diabetes) ≥ 7.0 mmol/L or
≥ 126 mg/dL

NB:
Fasting মানে টেস্টের আগে কমপক্ষে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কোনো খাবার খাওয়া যাবে না (শুধু পানি চলবে)।

😊👍2 Hours After Meal (PPBS) :

✅ স্বাভাবিক (Normal) < 7.8 mmol/L or < 140 mg/dL
⚠️ প্রিডায়াবেটিস (Prediabetes) 7.8 – 11.0 mmol/L or 140 – 199 mg/dL
❗ ডায়াবেটিস (Diabetes) ≥ 11.1 mmol/L or ≥ 200 mg/dL

NB:সঠিক ফলাফলের জন্য নিয়মিত খাবার (breakfast/lunch/Dinner ) খেয়ে ঠিক ২ ঘণ্টা পর রক্ত পরীক্ষা করুন।

😊👍RBS(Random Blood Sugar):
✅ স্বাভাবিক (Normal) 4.4 – 7.8 mmol/L or 80 – 140 mg/dl
⚠️ প্রিডায়াবেটিস (Prediabetes) 7.8 –11.0 mmol/L or 140 – 199mg/dl
ডায়াবেটিস (Diabetes) ≥ 11.1mmol/L or
≥ 200mg/dl

RBS = যেকোনো সময় করা যায় (খাওয়া আগে বা পরে)।এটা screening টেস্ট, নিশ্চিত হতে হলে Fasting, PPBS, বা HbA1c করতে হয়।

😊👍HbA1c (%):

✅ স্বাভাবিক (Normal) < 5.7% ডায়াবেটিস নেই
⚠️ প্রিডায়াবেটিস (Prediabetes) 5.7% – 6.4% ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে
❗ ডায়াবেটিস (Diabetes) ≥ 6.5% ডায়াবেটিস আছে

🎯 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা:
✅ সাধারণ নিয়ন্ত্রণে থাকা < 7.0%
🧓 বয়স্ক বা জটিলতা থাকলে < 7.5% বা চিকিৎসকের পরামর্শমতো
❗ নিয়ন্ত্রণহীন > 8.0%

NB:HbA1c টেস্ট যে কোন সময় করা যায়।এটি রক্তে গ্লুকোজের সঙ্গে হিমোগ্লোবিনের সংযোগ পরিমাপ করে।

😊👍OGTT (Oral Glucose Tolerance Test):
একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা, যা শরীর কীভাবে গ্লুকোজ গ্রহণ করে ও প্রক্রিয়াজাত করে তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত ডায়াবেটিস, প্রিডায়াবেটিস, এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

🔍 OGTT Test কীভাবে হয়?
➤ সাধারণ পদ্ধতি (২ ঘণ্টার OGTT):
1. রাতভর উপবাস (8–12 ঘণ্টা) রাখার পর সকালে পরীক্ষা হয়।
2. প্রথমে Fasting Blood Sugar নেয়া হয়।
3. এরপর রোগীকে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে গুলিয়ে খেতে দেওয়া হয়।
4. এরপর ১ ঘণ্টা ও ২ ঘণ্টা পর রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ করা হয়।

OGTT রেফারেন্স ভ্যালু (Adults)
(৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ দেয়ার ২ ঘণ্টা পর)

✅ স্বাভাবিক (Normal) < 7.8 mmol/ L or < 140 mg/dL
⚠️ প্রিডায়াবেটিস (IGT) 7.8 – 11.0 mmol/L or 140 – 199 mg/dL
❗ ডায়াবেটিস (Diabetes) ≥ 11.1 mmol/L or
≥ 200 mg/dL

🤰 গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের জন্য OGTT (Gestational Diabetes):

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বা ADA অনুযায়ী গর্ভবতী নারীদের জন্য OGTT সাধারণত ২৪–২৮ সপ্তাহে করা হয়।

➤ ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ দিয়ে ৩টি রিডিং নেওয়া হয়:

এ সময় রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা (mmol/L) ,
উপবাসে (Fasting) ≥ 5.1 mmol/L
১ ঘণ্টা পর ≥ 10.0 mmol/L
২ ঘণ্টা পর ≥ 8.5 mmol/L
👉 যদি এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি মান বেশি হয়, তাহলে Gestational Diabetes নির্ধারণ করা হয়।

NB:OGTT কেন প্রয়োজন?
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকলে (ওজন বেশি, পরিবারে ইতিহাস)
প্রিডায়াবেটিস সন্দেহ হলে
গর্ভাবস্থায় রুটিন স্ক্রিনিংয়ে
HbA1c বা FBS সীমার মধ্যে থাকলেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য

⚠️ পরীক্ষার আগে যা মেনে চলা জরুরি:

৮–১২ ঘণ্টা উপবাসে থাকুন

পানি ছাড়া কিছু খাবেন না

ওষুধ বা ধূমপান এড়িয়ে চলুন

পরীক্ষার সময় বিশ্রামে থাকুন (শরীরচর্চা করা যাবে না)

😊👍 ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ (Symptoms of Diabetes):

1. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
➤ শরীর অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে চায়।

2. অতিরিক্ত পিপাসা লাগা
➤ ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

3. অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা
➤ শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে না পারায় বারবার ক্ষুধা লাগে।

4. ওজন কমে যাওয়া (অকারণে)
➤ শরীর শক্তি পেতে মাংসপেশি ও চর্বি ভাঙে।

5. চোখে ঝাপসা দেখা
➤ উচ্চ রক্তে সুগার চোখের রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলে।

6. হাত-পা ঝিনঝিন বা অসাড়ভাব
➤ স্নায়ুতে গ্লুকোজের প্রভাব পড়ে।

7. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
➤ উচ্চ সুগার রক্তপ্রবাহ ও প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

8. অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব
➤ শরীর পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারে না।

9. চুলকানি ও চামড়ার ইনফেকশন (বিশেষ করে যৌনাঙ্গে)
➤ ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস সহজে সংক্রমণ ঘটায়।

👶 শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষণ হতে পারে:

বারবার বিছানা ভিজানো

আচরণগত পরিবর্তন

ওজন কমে যাওয়া

😊👍মনে রাখবেন:

এই লক্ষণগুলো থাকলে দেরি না করে রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা উচিত।
বিশেষ করে যাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে, তাদের বেশি সতর্ক থাকা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

 ভাইরাল জ্বর সাধারণত প্রাণঘাতী নয়, তবে এর উপসর্গ, যেমন ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা এবং উচ্চ জ্বর, দুর্বল করে দিতে পারে এবং দৈ...
23/07/2025




ভাইরাল জ্বর সাধারণত প্রাণঘাতী নয়, তবে এর উপসর্গ, যেমন ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা এবং উচ্চ জ্বর, দুর্বল করে দিতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, জটিলতা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে।

ভাইরাল জ্বর কি?
ভাইরাল জ্বর কোনো রোগ নয় ভাইরাল সংক্রমণের লক্ষণ। এটি ঘটে যখন শরীর একটি ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে একটি ইমিউন প্রতিক্রিয়া ট্রিগার করে। এই উচ্চ তাপমাত্রা ভাইরাসের জন্য একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে, ইমিউন সিস্টেমকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

ভাইরাল জ্বর ভাইরাসের ধরন এবং এটি যে সিস্টেমগুলিকে প্রভাবিত করে তার উপর নির্ভর করে ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস গলা ব্যথা, কাশি এবং ভিড়ের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

মশাবাহিত ভাইরাস যেমন ডেঙ্গু বা জিকা প্রায়ই জ্বর, ফুসকুড়ি এবং জয়েন্টে ব্যথার সাথে উপস্থিত হয়।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ভাইরাস যেমন রোটাভাইরাস ডায়রিয়া এবং বমি সহ জ্বর হতে পারে।

যদিও বেশিরভাগ ভাইরাল জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে সমাধান করে, কিছু কিছু দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বা জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, এই অবস্থা বোঝার এবং পরিচালনা করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

ভাইরাল জ্বরের কারণ:-
ভাইরাল জ্বর বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় যা শরীরে আক্রমণ করে এবং একটি ইমিউন প্রতিক্রিয়া ট্রিগার করে। এখানে সাধারণ কারণগুলির একটি বিশদ ভাঙ্গন রয়েছে:

শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস:
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস: জ্বর, কাশি, এবং শরীর ব্যথা সহ মৌসুমী ফ্লু ঘটায়।

রাইনোভাইরাস: সাধারণ সর্দি-কাশির সাধারণ কারণ, প্রায়ই হালকা জ্বর হয়।

coronavirus: SARS-CoV-2 (COVID-19) এর মতো স্ট্রেন অন্তর্ভুক্ত, যা গুরুতর উপসর্গের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

মশাবাহিত ভাইরাস:
ডেঙ্গু ভাইরাস: এডিস মশা দ্বারা সংক্রামিত, উচ্চ জ্বর, ফুসকুড়ি এবং জয়েন্টে ব্যথা সৃষ্টি করে।

Zika ভাইরাস: জ্বর এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্মগত ত্রুটির সাথে এর সংযোগের জন্য পরিচিত।

চিকুনগুনিয়া ভাইরাস: জ্বর এবং গুরুতর জয়েন্টে ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়.

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ভাইরাস:

Rotavirus: শিশুদের মধ্যে সাধারণ, ডায়রিয়া এবং জ্বর সৃষ্টি করে।

Norovirus: অত্যন্ত সংক্রামক, যা পেটে ব্যথা, বমি এবং জ্বরের দিকে পরিচালিত করে।

এক্সানথেমেটিক ভাইরাস (ত্বকের ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে):
মশাল ভাইরাস: লাল ফুসকুড়ি সহ উচ্চ জ্বর।

রুবেলা ভাইরাস: গোলাপী ফুসকুড়ি সহ হালকা জ্বর।

রক্তবাহিত ভাইরাস:
হেপাটাইটিস ভাইরাস: হেপাটাইটিস এ, বি এবং সি লিভারের প্রদাহের পাশাপাশি জ্বরও হতে পারে।

এইচ আই ভি: জ্বর প্রায়ই এইচআইভি সংক্রমণের প্রাথমিক প্রকাশগুলির মধ্যে একটি।

ট্রান্সমিশনের মোড:
এয়ারবর্ন ট্রান্সমিশন: সংক্রামিত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দিলে শ্বাস প্রশ্বাসের ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সরাসরি যোগাযোগ: দূষিত পৃষ্ঠের স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমণ।

ভেক্টর ট্রান্সমিশন: মশা বা টিক্সের মতো ভেক্টর দ্বারা বহন করা হয়।

21/07/2025

Celebrating my 11th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

17/07/2025

😒চিকনগুনিয়া (Chikungunya):

একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা চিকনগুনিয়া ভাইরাস (Chikungunya virus) দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসটি এডিস মশা (Aedes aegypti এবং Aedes albopictus) দ্বারা ছড়ায়, এই মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়, বিশেষ করে সকালের শুরুতে ও বিকেলের দিকে।

🔹 রোগের কারণ

1. চিকুনগুনিয়া ভাইরাস (Chikungunya Virus - CHIKV)

এটি একটি RNA ভাইরাস যা Alphavirus গণভুক্ত এবং Togaviridae পরিবারভুক্ত।

2. বাহক মশা (Carrier Mosquito):

Aedes aegypti এবং Aedes albopictus নামক মশার কামড়ে এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে।

🔹 লক্ষণসমূহ (Symptoms):

চিকনগুনিয়া সংক্রমণের লক্ষণ সাধারণত ৩–৭ দিনের মধ্যে দেখা যায়।
মূল লক্ষণগুলো হলো:

1. হঠাৎ উচ্চ জ্বর (১০২°F–১০৪°F)

2. চিকনগুনিয়া নামে পরিচিত কারণ – হাড় বা গাঁটে ব্যথা, যা খুব তীব্র হতে পারে

3. পেশিতে ব্যথা

4. গাঁটে ফোলাভাব

5. চামড়ায় র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি

6. মাথাব্যথা

7. ক্লান্তি ও দুর্বলতা

8. কখনও কখনও বমি বা ডায়রিয়া

😔❗ গাঁটে ব্যথা সপ্তাহ পর সপ্তাহ বা মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে।

🔹 রোগ ছড়ানোর উপায়:

যখন কোনো মশা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন সেই মশা ভাইরাসটি বহন করতে সক্ষম হয়।

পরে সেই মশা যদি অন্য কাউকে কামড়ায়, তাহলে তার দেহেও ভাইরাস প্রবেশ করে।

🔹 সনাক্তকরণ:
রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত নিচের পরীক্ষাগুলো করা হয় :

রক্ত পরীক্ষা (Blood Test):

😊 RT-PCR Test (Real-time Polymerase Chain Reaction):

ভাইরাস শনাক্ত করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

রোগের প্রথম ৫-৭ দিনের মধ্যে করলে ভালো ফল মেলে।

😊 Serological Test (IgM/IgG Antibody Test):

IgM antibody সাধারণত সংক্রমণের ৫ দিন পর থেকে শরীরে তৈরি হয়।

😊 CBC (Complete Blood Count):

CBC যদিও সরাসরি চিকুনগুনিয়া নির্ধারণ করে না, তবে প্লাটিলেট কাউন্ট ও অন্যান্য মান দেখে রোগের গতিপথ বোঝা যায়।

🔹 চিকনগুনিয়ার চিকিৎসা:

এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই।
চিকিৎসা সাধারণত লক্ষণ নির্ভর (symptomatic treatment) হয়।

▶️চিকিৎসায় যা করা হয়:

জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল বা NSAIDs

শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রামে রাখা

তরল পদার্থ বেশি খাওয়া (পানি, ওআরএস, স্যুপ ইত্যাদি)

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

⚠️ Aspirin এবং কিছু শক্তিশালী ব্যথানাশক এড়িয়ে চলা উচিত, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।

🔹 প্রতিরোধ:

চিকনগুনিয়া থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় মশা থেকে রক্ষা পাওয়া।

✅ করণীয়:

▶️মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য মশারী ব্যবহার।

▶️দিনের বেলাতেও মশা প্রতিরোধক লোশন বা স্প্রে ব্যবহার।

▶️জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া (মশার প্রজনন স্থান)।

▶️জানালা ও দরজায় জাল বসানো।

▶️পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

🔹 ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ:

▶️বয়স্ক ব্যক্তি

▶️গর্ভবতী নারী

▶️শিশু

▶️যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি উপসর্গগুলি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবহেলা না করে চিকিৎসা করান।

🩸 CBC – একটি ছোট টেস্ট, বড় নিরাপত্তা!   CBC(complete Blood Count):এটি একটি সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা, যা রক্তের...
17/07/2025

🩸 CBC – একটি ছোট টেস্ট, বড় নিরাপত্তা!
CBC(complete Blood Count):

এটি একটি সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা, যা রক্তের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করে শরীরে বিভিন্ন রোগের অবস্থা নির্ণয়ে সাহায্য করে।

🚹CBC দিয়ে যেসব রোগ ধরা পড়তে পারে:

▶️অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা)

▶️ইনফেকশন বা ইনফ্লামেশন

⏩ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ

▶️হেমাটোলজিক ক্যান্সার (যেমন লিউকেমিয়া)

▶️ব্লিডিং ডিসঅর্ডার

▶️প্লাটিলেট অসংগতি

▶️ডেঙ্গু/চিকুনগুনিয়া/টাইফয়েড/ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ

শরীরের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মূল্যায়ন

🚹🚹 CBC টেস্টে যা দেখা হয়:

1. RBC (Red Blood Cell):

লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা নির্ধারণ করে।

অতিরিক্ত কমে গেলে অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) হতে পারে।

2. WBC (White Blood Cell):

শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা মাপা হয়।

এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

🩸যদি WBC Total Count বেশি হয়:

ইনফেকশন (বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াল)

ইনফ্ল্যামেশন

লিউকেমিয়া/ক্যান্সার

🩸যদি WBC Total Count কম হয়:

ভাইরাস সংক্রমণ

ইমিউন দুর্বলতা

হাড়ের মজ্জার সমস্যা

কেমোথেরাপি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

3. Hemoglobin (Hb):

রক্তে অক্সিজেন বহনের জন্য দায়ী উপাদান।

কম থাকলে অ্যানিমিয়া, দুর্বলতা, ক্লান্তি ইত্যাদি দেখা দেয়।

4. Hematocrit (HCT):

রক্তে RBC-এর অনুপাত।

5. Platelet Count:

রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয়।

কম থাকলে রক্তক্ষরণ হতে পারে, বেশি থাকলে ক্লটিং ঝুঁকি।

6. MCV (Mean Corpuscular Volume):

প্রতিটি RBC-এর গড় আয়তন।

বড় বা ছোট সেল হলে এর মাধ্যমে শনাক্ত হয়।

7. MCH & MCHC:

RBC-তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ও ঘনত্ব বোঝায়।

8. RDW (Red Cell Distribution Width):

RBC-র আকারের ভিন্নতা।

অ্যানিমিয়ার ধরন নির্ধারণে সহায়ক।

9. WBC Count (Neutrophils, Lymphocytes, Monocytes, Eosinophils, Basophils):

➡️ Neutrophils:

🔹 বেশি হলে (Neutrophilia):

ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ

ইনফ্ল্যামেশন (প্রদাহ), ইনজুরি

স্ট্রেস বা স্টেরয়েড ব্যবহার

লিউকেমিয়া

🔹 কম হলে (Neutropenia):

ভাইরাল সংক্রমণ (যেমন: ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস)

কেমোথেরাপি/রেডিয়েশন

ওষুধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

হাড়ের মজ্জা দুর্বলতা

➡️Lymphocytes:

🔹 বেশি হলে (Lymphocytosis):

ভাইরাস সংক্রমণ (যেমন: টিবি, ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস)

লিম্ফোমা বা লিউকেমিয়া

ক্রনিক ইনফেকশন

🔹 কম হলে (Lymphopenia):

স্টেরয়েড চিকিৎসা

HIV/AIDS

ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি

রেডিয়েশন থেরাপি

NB:🩸যদি Neutrophil বেশি হয় ও Lymphocyte কম হয়:
এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বোঝায়।
🩸যদি Lymphocyte বেশি হয় ও Neutrophil কম হয়:
এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণ বোঝায় (যেমন ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস, সর্দি-জ্বর ইত্যাদি)।

➡️ Monocytes:

🔹 বেশি হলে (Monocytosis):

টিবি

দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন

অটোইমিউন রোগ

কিছু ক্যান্সার

🔹 কম হলে:

সাধারণত রোগ নির্ণয়ে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না

খুব কমে গেলে ইমিউন দুর্বলতা হতে পারে

➡️Eosinophils:

🔹 বেশি হলে (Eosinophilia):

অ্যালার্জি (যেমন: হাঁপানি)

পরজীবী (প্যারাসাইটিক) সংক্রমণ

চর্ম রোগ

কিছু ক্যান্সার

🔹 কম হলে:

সাধারণত ক্লিনিকালি গুরুত্বপূর্ণ না

স্ট্রেস বা স্টেরয়েড ব্যবহারে কমে যেতে পার

➡️Basophil :

🔹বেড়ে গেলে (Basophilia):

সম্ভাব্য কারণ:

অ্যালার্জি (Asthma, Hay fever)

পরজীবী সংক্রমণ

Myeloproliferative Disorder (যেমন: Chronic Myeloid Leukemia - CML)

হাইপোথাইরয়েডিজম

কিছু ক্যান্সার

🔹 কম হলে:
সাধারণত কোনো সমস্যা বোঝায় না

😊তাই হালকা উপসর্গ হলেও কখনও অবহেলা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত CBC টেস্ট করুন।
স্বাস্থ্য সচেতনতা শুরু হোক একটি রক্ত পরীক্ষায়।


পুরনো গ্লানি মুছে এবার শুরু হোক নতুন আশা — শুভ নববর্ষ ১৪৩২।
15/04/2025

পুরনো গ্লানি মুছে এবার শুরু হোক নতুন আশা — শুভ নববর্ষ ১৪৩২।

Address

Rampur, Dhaka , Bangladesh
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Our Health Community to Organized by Medical Team posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Our Health Community to Organized by Medical Team:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram