16/09/2025
প্রশ্নঃ অনেক জিনের রোগী দেখি সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে দেখিয়ে ঔষুধ খাওয়ার পর বলে এখন আর সমস্যা নাই, ভাল আছে।এটা যদি বুঝিয়ে বলতেন।
⸻
উত্তরঃ আপনার প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. সব সমস্যা জ্বীনের হয় না
• অনেক সময় যেটাকে মানুষ “জ্বীনের সমস্যা” বলে মনে করে, আসলে সেটা মানসিক অসুস্থতা বা সাইকিয়াট্রিক ডিজঅর্ডার (যেমন: ডিপ্রেশন, সাইকোসিস, সিজোফ্রেনিয়া, OCD ইত্যাদি) হয়ে থাকে।
• এগুলোর চিকিৎসা ঔষধ ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে হলে রোগী সুস্থ হয়ে যায় আল্লাহর ইচ্ছায় । তাই ঔষধ খাওয়ার পর তার ভালো লাগা একেবারে স্বাভাবিক।
⸻
২. ঔষধ আসল জ্বীনকে সরায় না
• যদি কারও সমস্যার মূল কারণ সত্যিই জ্বীন, বদনজর বা যাদু হয়, তবে সাইকিয়াট্রিক ঔষধ সরাসরি জ্বীনকে প্রভাবিত করে না।
• তবে এই ঔষধ রোগীর মস্তিষ্কের কেমিক্যাল ব্যালান্স পরিবর্তন করে, ফলে রোগীর ঘুম ভালো হয়, ভয় কমে যায়, বিভ্রান্তি কমে যায়। এতে করে সে আপাতদৃষ্টিতে শান্ত অনুভব করে।
⸻
৩. দুটি কেস আলাদা করতে হয়
• কেস–১: যদি আসলেই মানসিক রোগ থাকে → ওষুধ কাজ করবে, “রুকইয়া শেসন” -এর দরকার হবে না।
• কেস–২: যদি জ্বীনের সমস্যা থাকে → রুকইয়ার গাইডলাইন দরকার। তবে ঔষধ খেলে সাময়িক শান্তি আসতে পারে, কারণ দেহ–মন শিথিল হয়, কিন্তু আসল সমস্যার সমাধান হয় না।
⸻
৪. কম্বাইন্ড কেস
অনেক রোগীর ক্ষেত্রে দুটো একসাথে থাকে—
• প্রথমে জ্বীনের আক্রমণে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।
• পরে তা সাইকিয়াট্রিক অসুস্থতায় রূপ নেয়।
এমন রোগীকে একসাথে রুকইয়া ও সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসা দিতে হয়।
⸻
৫. সুতরাং
যে রোগী ঔষধ খেয়ে ভালো হচ্ছে, তার সমস্যাটা সম্ভবত আসলেই মানসিক রোগ ছিল বা অন্তত মানসিক উপসর্গগুলো বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল।
👉 সব কিছুকে জ্বীনের সমস্যা মনে করলে ভুল হবে। ইসলামী রুকইয়া যেমন সত্য, তেমনি চিকিৎসা–বিজ্ঞানও আল্লাহর একটি নিয়ামত।
⸻
🟢 সারকথা
• শুধু মানসিক রোগ হলে: ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি একজন মুসলিম হিসেবে রুকইয়ার বেসিক গাইডলাইন ফলো করা দরকার।
• শুধু জ্বীনের সমস্যা হলে: রুকইয়ার গাইডলাইন মেনে চলা দরকার।
• দুটো মিলে থাকলে: ডাক্তারি চিকিৎসা + রুকইয়া একসাথে চলবে।
“আল্লাহু আ‘লাম”
👉 “আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন”।
🏥 সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসার অনন্য প্রতিষ্ঠান
হিজামা এন্ড রুকইয়া ফাউন্ডেশন
🌐 www.HijamaRuqyahBD.com
যোগাযোগ: 01972-668345
01715525747
01704992056