Dr. Farzana Islam Shaon

  • Home
  • Dr. Farzana Islam Shaon

Dr. Farzana Islam Shaon MBBS, FCPS (Gynecology & Infertility). Assistant Professor, OBGYN. Specialist in infertility, PCOS, pregnancy & women’s health.

Chamber:
Alliance Hospital, Dhaka: 5 PM –7 PM (Except Tue–Fri)
Kaliakair, Gazipur: Every Tuesday
Maona, Gazipur: Every Friday Welcome to the official page of Dr. Farzana Islam Shaon. MBBS, BCS (Health)
FCPS (Obstetrics & Gynecology)
FCPS (Reproductive Endocrinology & Infertility)
Assistant Professor (Obs & Infertility)

Dr. Farzana Islam Shaon is a highly experienced specialist in women’s health, pregnancy care, reproductive endocrinology, and infertility management. She is dedicated to providing safe, ethical and evidence-based treatment for gynecological problems, hormonal disorders, PCOS, menstrual issues, and infertility.

📍 Chamber Schedule:
Alliance Hospital, Dhaka: 5 PM – 7 PM (Saturday–Thursday)
Kaliakair, Gazipur: Every Tuesday
Maona, Gazipur: Every Friday

Committed to ensuring quality healthcare for women with compassionate and professional service.

দিন দিন বাংলাদেশে সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা বাড়ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, স্বাভাবিক ডেলিভারি অর্থাৎ যোনিপথে শিশুর জন্ম মা ...
08/12/2025

দিন দিন বাংলাদেশে সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা বাড়ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, স্বাভাবিক ডেলিভারি অর্থাৎ যোনিপথে শিশুর জন্ম মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

স্বাভাবিক ডেলিভারিতে মায়ের শরীরে স্বাভাবিকভাবে দুধ তৈরি সহজ হয়। কিন্তু সিজারিয়ান ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক সময় দুধ তৈরি হতে দেরি হয় বা সমস্যায় পড়েন অনেক মা। কেউ কেউ পর্যাপ্ত দুধই পান না, ফলে বাজারে পাওয়া ফর্মুলা দুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে জটিল পরিস্থিতিতে সিজারিয়ান অপারেশন প্রয়োজন হলে এতে কোনো ভয় বা লজ্জার বিষয় নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রসবের সময় মা ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৩৩ শতাংশ গর্ভবতী নারী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়ানো যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ কম রাখা জরুরি। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অকাল প্রসব এবং কম ওজনের শিশুর ঝুঁকি বাড়ায়। এজন্য নেতিবাচক পরিবেশ এড়িয়ে চলা, মেডিটেশন ও হালকা যোগব্যায়াম উপকারী।

খাদ্যাভ্যাসের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ফল, শাকসবজি, শস্য, লিন প্রোটিন ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। গাঢ় সবুজ শাকসবজি যেমন—পালং, ব্রকলি, কেল, ব্লুবেরি, পেঁপে এবং লেবু জাতীয় ফল বেশি করে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার এবং প্রেনাটাল ভিটামিন গ্রহণেরও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত চিনি, অর্গান মিট, কিছু সামুদ্রিক খাবার ও রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীরের সহনশীলতা বাড়ে, পেশি শক্তিশালী হয় এবং শিশুর সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। নিয়মিত হাঁটা ও হালকা শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রসব বিষয়ে আগে থেকেই ধারণা রাখা প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বই পড়া, প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং ভয়ানক অভিজ্ঞতার গল্প এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো উদ্বেগ থাকলে তা চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে বলা হয়েছে।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। বাম কাতে শোয়া, বালিশ ব্যবহার, কম আলো ব্যবহার এবং ঘুমের আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি পরিবার ও জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা নিশ্চিত করাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসবের সময় মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্য কাছের মানুষদের উপস্থিতি সহায়ক ভূমিকা রাখে।

চিকিৎসকের সঙ্গে আগেভাগেই খোলামেলা আলোচনা করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের পছন্দ ও জন্মপরিকল্পনার বিষয়গুলো চিকিৎসককে জানালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয় বলে তারা মত দিয়েছেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি। প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কম পান করার কথাও বলা হয়েছে।

গর্ভাবস্থায় সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়ে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হওয়া উচিত মা ও শিশুর নিরাপদ ও সুস্থ জন্ম।


#মাতৃত্ব

#বাংলাদেশ

অনেক মেয়েরই হঠাৎ করে মাসিক অনিয়ম, মুখে বা শরীরে অতিরিক্ত লোম, ব্রণ বেড়ে যাওয়া, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়ে যাওয়া কিংবা গর্ভধারণে...
06/12/2025

অনেক মেয়েরই হঠাৎ করে মাসিক অনিয়ম, মুখে বা শরীরে অতিরিক্ত লোম, ব্রণ বেড়ে যাওয়া, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়ে যাওয়া কিংবা গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ সময় এসব সমস্যাকে আলাদা আলাদা বিষয় হিসেবে মনে করা হয় এবং গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু যখন এই উপসর্গগুলো একসঙ্গে দেখা দেয়, তখন তা হতে পারে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)—একটি সাধারণ হলেও জটিল হরমোনজনিত সমস্যা।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)। বর্তমানে এটি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া হরমোনজনিত সমস্যাগুলোর একটি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে প্রায় একজন PCOS–এ আক্রান্ত। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ৫০ লাখ নারী এ রোগে ভুগছেন এবং প্রতি বছর PCOS শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশেও একই ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশেষ করে কিশোরী, তরুণী ও প্রজননক্ষম বয়সী নারীদের মধ্যে।

PCOS–এ আক্রান্ত নারীদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে মাসিক অনিয়ম, ওভুলেশন সমস্যা, শরীরে অতিরিক্ত লোম, ব্রণ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া এবং দ্রুত ওজন বাড়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ছোট সিস্ট দেখা যায়, যা এই রোগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

অনেক নারী এসব সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলেও চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলছেন—এগুলো উপেক্ষা করার মতো নয়। কারণ সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এমনকি এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।

PCOS–এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে পরিবারে কারও PCOS থাকা, অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এই সমস্যার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শারীরবৃত্তীয়ভাবে দেখা যায়, ইনসুলিন ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীরে অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হয়, যা ডিম্বাণুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পূর্ণতা লাভে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে ওভুলেশন ব্যাহত হয় এবং মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমেই জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ওপর জোর দেওয়া হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, অ্যান্ড্রোজেন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ধীরে ধীরে মাসিক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গর্ভধারণে সমস্যা থাকলে রোগের মাত্রা ও রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন।

তবে, PCOS কোনো সাময়িক সমস্যা নয়; এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি। তবে নিয়মিত ফলোআপ, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অনেক নারী চিকিৎসা নেওয়ার পর স্বাভাবিক মাসিক চক্র ফিরে পেয়েছেন এবং সফলভাবে গর্ভধারণও করেছেন। তাই মাসিক অনিয়ম, অতিরিক্ত লোম গজানো, ব্রণ, দ্রুত ওজন বৃদ্ধি কিংবা গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

#নারীস্বাস্থ্য #পিরিয়ডসমস্যা

শীতকালে গর্ভবতী নারীদের খাদ্য নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা খাদ্য শুধু রুচির বিষয় বরং সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভের শিশু...
03/12/2025

শীতকালে গর্ভবতী নারীদের খাদ্য নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা খাদ্য শুধু রুচির বিষয় বরং সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভের শিশুর বিকাশ ও প্রসবের ঝুঁকিতে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীত মৌসুমে ভিটামিন-D, ভিটামিন-C, তাজা সবজি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছের গ্রহণ কমে যাওয়ায় বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

শীতে সূর্যালোক কম পাওয়ার কারণে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ভিটামিন-D ঘাটতি বেড়ে যায়। ভিটামিন-D কম থাকলে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, প্রি-টার্ম জন্ম ও শিশুর কম ওজন নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিছু র‌্যান্ডমাইজড ট্রায়ালে দেখা গেছে, প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন-D সাপ্লিমেন্ট এই ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে। তবে WHO এই সাপ্লিমেন্ট সব গর্ভবতীকে রুটিন হিসেবে দিতে পরামর্শ দেয় না—ঘাটতি নির্ণীত হলে তবেই গ্রহণের সুপারিশ।

শীত মৌসুমে সবজি ও ভিটামিন-C–সমৃদ্ধ ফলের ব্যবহার কমে গেলেও গবেষকদের মত, সঠিক খাদ্য নির্বাচন করলে ঘাটতি কমানোর সুযোগ থাকে। কমলা, মালটা, পেয়ারা, টমেটো ও লেবুর মতো ফল-সবজি শীতে সহজলভ্য এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভিটামিন-C সরবরাহ করে।

অন্যদিকে শীতকালে মাছ খাওয়ার প্রবণতা কমে গেলে ওমেগা-৩ (DHA/EPA) গ্রহণ কমে যেতে পারে। Cochrane-এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ বলছে, গর্ভাবস্থায় ওমেগা-৩ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে প্রি-টার্ম জন্ম ও নবজাতকের কম ওজনের ঝুঁকি হ্রাস পায়। গবেষকরা সপ্তাহে অন্তত দুইবার ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে হাই-মারকিউরি মাছ যেমন শার্ক বা কিং-ম্যাকারেল এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

এ সময় আয়রন ও ক্যালসিয়ামের দিকেও সতর্ক থাকতে হবে। শীতে লাল মাংস, শাকসবজি ও ডালজাতীয় খাবার তুলনামূলক কম খাওয়া হলে গর্ভকালীন অ্যানিমিয়া বাড়তে পারে। WHO প্রতিটি গর্ভবতী নারীর জন্য প্রতিদিন ৩০–৬০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণের সুপারিশ পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে ক্যালসিয়াম ও আয়রন একসঙ্গে খেলে শোষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে—তাই আলাদা সময়ে গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শীতে এনার্জি-ডেন্স খাবার যেমন বাদাম, খেজুর, দুধ, ডিম ও ওটস প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি জোগায়। তবে ডায়াবেটিস বা উচ্চঝুঁকি গর্ভাবস্থায় এসব খাবার গ্রহণ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।

শীতকালীন ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত ANC-চেকআপ, প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা (Vitamin-D, Hb, Iron, Folate) এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি সুষম খাদ্য, ভালোভাবে রান্না করা মাছ-মাংস এবং পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস বজায় রাখাও জরুরি বলে জানান তারা।




#গর্ভাবস্থাসতর্কতা #ডায়াবেটিস

28/11/2025
28/11/2025

কোনো প্রোটেকশন ছাড়া টানা এক বছর নিয়মিত সহবাসের পরও গর্ভধারণ না হলে তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়।

#বন্ধ্যাত্ব #গর্ভধারণ #গাইনি

28/11/2025

কোনো প্রোটেকশন ছাড়া টানা এক বছর নিয়মিত সহবাসের পরও গর্ভধারণ না হলে তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। বন্ধ্যাত্বের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ভিডিওটিতে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

#বন্ধ্যাত্ব #গর্ভধারণ #গাইনি

26/11/2025

মাসিক ও হরমোন সমস্যা? কারণ হতে পারে PCOS!

#পিসিওএস #মায়েদেরস্বাস্থ্য

#ডাঃফারজানাশাওন

26/11/2025

নারীদের মধ্যে দ্রুত বেড়ে ওঠা হরমোনজনিত সমস্যা হলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)। ভিডিওতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে পিসিওএসের লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের উপায়।

অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত ওজন, ব্রণ, চুল ঝরা ও অবাঞ্ছিত লোমগজানো—এগুলো পিসিওএসের সাধারণ লক্ষণ। হরমোনের অসামঞ্জস্য, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হলো মূল কারণ।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মতো চিকিৎসা নিলে পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, তাই লক্ষণ দেখা মাত্রই নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

#পিসিওএস #মায়েদেরস্বাস্থ্য #ডাঃফারজানাশাওন

25/11/2025

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সমাজে অনেক ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন শুধু নারীরই সমস্যা হয়, কিন্তু সত্য হলো—পুরুষও বন্ধ্যা হতে পারেন। আধুনিক জীবনযাপন, খাবার-দাবার, ধূমপান, স্ট্রেস—এসব কারণে অনেক পুরুষই বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছেন।

এই ভিডিওতে আমরা সহজভাবে জানবো—পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কী, কেন হয়, এবং কীভাবে সময়মতো পরীক্ষা-চিকিৎসা নিলে সমাধান পাওয়া যায়। চলুন শুরু করি।

#পুরুষবন্ধ্যাত্ব

আধুনিক জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে দেশে বন্ধ্যত্বের হার দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ মেডিকেল...
24/11/2025

আধুনিক জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে দেশে বন্ধ্যত্বের হার দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BMU) পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যত্বের কারণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘মেডিসিন টুডে ২০২৩’-এ প্রকাশিত এই গবেষণা ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইনফার্টিলিটি ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়া ৫০০ দম্পতির তথ্য বিশ্লেষণ করে।

গবেষণা অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৯.৮ শতাংশ প্রাইমারি এবং ৪০.২ শতাংশ সেকেন্ডারি বন্ধ্যত্বে ভুগছিলেন। নারীদের গড় বয়স ২৭ ও পুরুষদের ৩৪ বছর। দম্পতিদের বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। নারীদের মধ্যে ওজনাধিক্য ছিল উল্লেখযোগ্য—৫৬ শতাংশ ওভারওয়েট।

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে বীর্যের গুণগত অবনতি। ৬১ শতাংশ পুরুষের বীর্যমান স্বাভাবিকের নিচে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ওলিগোস্পার্মিয়া ও গতিশীলতা কমে যাওয়ার (অ্যাস্থেনোস্পার্মিয়া) সমস্যা শনাক্ত হয়েছে। ধূমপান, ডায়াবেটিস এবং অতীতের ভাইরাসজনিত সংক্রমণকে মূল ঝুঁকির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে হরমোনজনিত অসামঞ্জস্য। এফএসএইচ কম পাওয়া গেছে ৯৪ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে এবং এলএইচ কম পাওয়া গেছে ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রে। অর্ধেকের বেশি নারীর থাইরয়েড হরমোনে অস্বাভাবিকতা এবং ২৭.৮ শতাংশের প্রোল্যাকটিন বেড়ে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর পাশাপাশি, নারীদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)-এর উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে পাওয়া গেছে। গবেষকরা জানান, PCOS-এর কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড, ওভুলেশন সমস্যা ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা গর্ভধারণে বড় বাধা তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ওজনাধিক্য ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে PCOS-এর হারও দ্রুত বাড়ছে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, প্রায় ৪২ শতাংশ নারীর ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক, যা গর্ভধারণের পথে অন্যতম প্রধান বাধা।

গবেষকদের মতে, হরমোনজনিত জটিলতা, জীবনধারার অনিয়ম, সংক্রমণ এবং দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা না নেওয়া—সব মিলিয়ে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যত্ব বাড়ছে। সময়মতো পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা নিলে অধিকাংশ দম্পতির গর্ভধারণ সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তারা।



একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, PCOS আসলে একটি সাধারণ এন্ডোক্রাইন ডিসঅর্ডার, যার মূল শিকড় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (IR)। Journal ...
21/11/2025

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, PCOS আসলে একটি সাধারণ এন্ডোক্রাইন ডিসঅর্ডার, যার মূল শিকড় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (IR)। Journal of Ovarian Research-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার ফলে দেখা দেয় ডিম্বস্ফোটন সমস্যা, মাসিক অনিয়ম, ওজন বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে ৭০% PCOS রোগীর শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে যায়, যার ফল হিসেবে দেখা দিতে পারে ব্রণ, চুল পড়া ও স্থূলতা। অনেক রোগীর মাসিক চক্র ৩৫ দিনের বেশি স্থায়ী হয় অথবা দুই-তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে এন্ডোমেট্রিয়াল জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি PCOS মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে—স্ট্রেস, উদ্বেগ ও আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া এই সমস্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, মাত্র ৫–১০% ওজন কমালে অনেক রোগীর ডিম্বস্ফোটন স্বাভাবিক হতে পারে। নিয়মিত হাঁটা, সুষম খাদ্য গ্রহণ ও চিনিযুক্ত খাবার কমানো—এই লাইফস্টাইল পরিবর্তনকে PCOS নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ওজন নিয়ন্ত্রণ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায় ও হরমোন ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে, যা গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বাড়ায়।

গবেষকেরা আরও জানান, PCOS–এর কারণে ডিম্বস্ফোটন বন্ধ থাকাই অধিকাংশ নারীর গর্ভধারণ জটিলতার মূল কারণ। তবে সঠিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে ছয় মাসের মধ্যেই অধিকাংশ রোগীর ডিম্বস্ফোটন ফিরে আসে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, নিয়মিত ফলো–আপ ও চিকিৎসা নিলে ৬–১২ মাসের মধ্যে PCOS রোগীদের গর্ভধারণের হার ৭০% পর্যন্ত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—PCOS–এর লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কি PCOS–এর মতো উপসর্গ আছে? কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখুন।


Address

Alliance Hospital Limited, 24/3 Khilji Road, Ring Rd

1207

Telephone

+8801912335039

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Farzana Islam Shaon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram