02/09/2025
বাসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
বর্তমানে অনেকেই ভাবেন বাসা বাড়িতে বসেই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়া সম্ভব, আসলে তা নয়। একমাত্র চলাচলে অক্ষম একদম বেড রিডেন রোগী কেই না পারতে বাসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়া হয়। এই পুরা বিষয় টি বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এর উপর নির্ভরশীল। ধরা যাক একজন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড আক্রান্ত রোগী সে কোনোভাবেই ফিজিওথেরাপি সেন্টার এ আসতে পারছেনা আবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে দীর্ঘদিন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারছেনা কারন সেটা অত্যান্ত ব্যয়বহুল এবং বাংলাদেশ এ ফিজিওথেরাপি হাসপাতালের সংখ্যা ও অত্যান্ত সীমিত সেই ক্ষেত্রে বাসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই চিকিৎসা একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এর তত্ত্বাবধানে একজন ফিজিওথেরাপি টেকনিশিয়ান দিয়ে থাকে। বাসায় কখোনও পরিপূর্ণ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়, কারন এই চিকিৎসা এবং রিহ্যাবিলিটেশন এর জন্য যে সব বেড,ইন্সট্রুমেন্ট, স্পেস দরকার তা বাসায় অসম্ভব। শুধুমাত্র রোগী দের কথা চিন্তা করেই বাসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়া হয় যাতে মুটামুটি চলাচলের শক্তি আসলেই যাতে সেন্টার এ আনা যায়। এক্ষেত্রে অনেক রোগী ই ভাবে এই চিকিৎসা বাসায় দিলেই হয়, নিজে নিজে হাত পা টানলেই হয় বা রোগী কে যত ব্যায়াম দিবে রোগী নিয়ে যতক্ষন বসে থাকবে তত ভালো৷ যখন মন চাইবে ফিজিওথেরাপি নিজে নিজেই বন্ধ করে দেয়া যায় বা চালু করা যায়। আসলে এ সকল ই ভুল। রোগী কে এক্সারসাইজ দিতে হয় তার শরীরের সক্ষমতা যাচাই করে না হলে হিতে বিপরীত। উলটা পালটা ব্যায়াম দিতে যেয়ে জয়েন্ট ডিসলোকেশন করে সেই দোষ ফিজিওথেরাপিস্ট এর উপর চাপানো কমন কেস। ৮/১০ দিন চিকিৎসা করলো তারপর কোনো একজন ফিজিশিয়ান বল্লো থেরাপি বন্ধ!!! ব্যাস বন্ধ করলেন তো মরলেন, আসলে ফিজিওথেরাপিস্ট এর পরামর্শ ছাড়া ফিজিওথেরাপি বন্ধ করলে লাভ তো দূর উলটা ক্ষতি। সুতরাং বাসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেবার ক্ষেত্রে সকলেই সাবধান হোন আর যিনি বাসায় এই চিকিৎসা প্রদান করেন তাকে প্রপার সম্মান করুন, কারন যেই কায়িক পরিশ্রম এবং ফল্টি পজিশন এ বাসায় এই চিকিৎসা দেয়া হয় তা খুবই কষ্টকর।
মাহমুদুল হাসান খান
বিপিটি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ
এম পি এইচ ( এপিডেমিওলজি)
পিজিটি ( নিটোর)।
কনসালট্যান্ট ও সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট