Hijama & Ruqyah Foundation Bangladesh

Hijama & Ruqyah  Foundation Bangladesh Hjama Cupping Therapy Training & Research n Ruqiya Center @ Dhaka & Sylhet Bangladesh. Dhaka Uttora

24/11/2025
❖ ১. “রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস” কি?বর্তমান সময়ে অনেক রুকইয়া-প্র্যাকটিশনার যে জিনিসটি করেন—রোগীকে কিছু দুআ/আয়াত শোনানো বা কি...
22/11/2025

❖ ১. “রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস” কি?

বর্তমান সময়ে অনেক রুকইয়া-প্র্যাকটিশনার যে জিনিসটি করেন—
রোগীকে কিছু দুআ/আয়াত শোনানো বা কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা—এর মাধ্যমে জ্বীন, যাদু, নজর লাগা ইত্যাদি নির্ণয় করাকে “রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস” বলা হচ্ছে।

অর্থাৎ তারা দাবি করেন—
• “যদি এই আয়াত শুনে তোমার হাত কাঁপে → জ্বীন আছে”
• “যদি বুকে চাপ লাগে → ম্যাজিক করা”
• “যদি মাথা ব্যথা বেড়ে যায় → নজর লাগা”
ইত্যাদি।

এটি আধুনিক যুগেই জনপ্রিয় হয়েছে—আরব ও দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে ১৯৮০’র পর থেকে।


❖ ২. এই রুকইয়াহ ডায়াগনোসিসের কোনো শারঈ ভিত্তি আছে কি?

✘ স্পষ্ট উত্তর: না, এই পদ্ধতির কোনো সরাসরি শারঈ ভিত্তি নেই।

➤ প্রমাণ:

(১) নবী ﷺ, সাহাবা, ইমামগণ—কেউ জ্বীন বা যাদু নির্ণয়ের জন্য কোনো পদ্ধতি চালু করেননি।

তারা শুধুমাত্র চিকিৎসা (রুকইয়া) করেছেন, কিন্তু—
• “এক্স-রে স্টাইলে” শনাক্ত করা
• “পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা”
—এ জাতীয় কিছু কখনো করেননি।

(২) শায়েখ বিনবাজ, উছাইমিন, সালিহ আল-ফাওজান, ইরাকী—সবাই বলেছেন:

রুকইয়ার উদ্দেশ্য চিকিৎসা, নির্ণয় নয়।
জ্বীন-নির্ণয়ের দাবিগুলো গায়েব সম্পর্কে কথা বলা, আর গায়েব জানা কেবল আল্লাহর জন্য।

➡ ফতোয়া:
“রুকইয়াহ দ্বারা রোগ নির্ণয়—এটি শরিয়তে প্রতিষ্ঠিত নয়। এটি অনেক সময় প্রতারণার দরজা খুলে দেয়।”
—শাইখ ইবন উথাইমিন (রাহি.)


❖ ৩. তাহলে রুকইয়া ডায়াগনোসিস আদৌ প্রয়োজন আছে কি?

✘ না, প্রয়োজন নেই — বরং ক্ষতিকর হতে পারে।

কারণ:
1. এতে গায়েব নিয়ে অনুমান করা হয়।
2. অনেক রুকইয়া-কারক ব্যবসায়িক কারণে ভয় দেখায় (“তোমার ওপর ম্যাজিক আছে”)।3. ভুল ডায়াগনোসিসে প্রকৃত চিকিৎসা দেরি হয় (যদি আসলে মানসিক/চিকিৎসাজনিত রোগ হয়)।
4. মানুষ নির্ভরশীল ও ভীত হয়ে যায়।


❖ ৪. তাহলে রোগ কিভাবে চেনা যাবে? (সঠিক ইসলামি পদ্ধতি)

✔ পদ্ধতি–১: লক্ষণসমূহ দেখে ‘সম্ভাবনা’ বোঝা

নবিজি ﷺ কোনো নির্ণয় পদ্ধতি দেননি, তবে কিছু হাদীসে যাদু বা নজরের প্রভাবের লক্ষণ পাওয়া যায়।

➤ যাদুর সম্ভাব্য লক্ষণ:
• আচমকা ভীষণ দাম্পত্য দ্বন্দ্ব
• অকারণে ভয়/বিভ্রান্তি
• বারবার একই রোগ হওয়া
• অতিরিক্ত ভুলে যাওয়া (যেমন নবী ﷺ-এর ঘটনা।
এগুলো কেবল সম্ভাব্য, চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।

➤ নজর/হাসাদের লক্ষণ:
• কারণ ছাড়া অসুস্থতা
• হঠাৎ দুর্বলতা
• নবজাতকের ক্ষেত্রে হঠাৎ কান্না, দুধ না খাওয়া
(ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম উল্লেখ করেছেন)

আবারও বলছি—এটি নিশ্চিত প্রমাণ নয়।


✔ পদ্ধতি–২: রুকইয়া করা – তারপর উন্নতি বা পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা

এটাই সালাফদের পদ্ধতি।

যদি লক্ষণ কমে যায় →

জ্বীন/যাদু/নজর-এর সম্ভাবনা বাড়ে।

যদি কোনো পরিবর্তন না হয় →

সম্ভাবনা কমে যায়।
এ ক্ষেত্রে হয়তো শারীরিক, মানসিক বা অন্য চিকিৎসা প্রয়োজন।

এতে গায়েব দাবি করা লাগছে না।


✔ পদ্ধতি–৩: শারীরিক/মেডিক্যাল পরীক্ষা করা

নবী ﷺ নিজেও চিকিৎসা করতেন এবং চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছেন।

যদি—
• হার্ট
• থাইরয়েড
• ভিটামিন
• ডিপ্রেশন/anxiety
ইত্যাদির সমস্যা থাকে—তাহলে তা আগে চিকিৎসা করতে হবে।


❖ ৫. কিভাবে “নিশ্চিত হওয়া যাবে”?

✘ “১০০% নিশ্চিত হওয়া” সম্ভব নয়—গায়েব হওয়ায়।

✔ তবে যা করা যায়:

১) লক্ষণ পর্যবেক্ষণ

২) নিয়মিত রুকইয়া করলে অগ্রগতি দেখা

৩) দোয়া, যিকর, তিলাওয়াত নিয়মিত বজায় রাখা

৪) চিকিৎসা পরীক্ষাও করা

রোগীর অবস্থা সমষ্টিগতভাবে বিবেচনা করাই ইসলামি পদ্ধতি।


❖ সংক্ষেপ:

✔ রুকইয়া ডায়াগনোসিস = আধুনিক উদ্ভাবন

✔ শরিয়িতে কোনো ভিত্তি নেই

✔ ভুল নির্ণয়ের ঝুঁকি বেশি

✔ রুকইয়া চিকিৎসা হিসেবে বৈধ, কিন্তু নির্ণয় পদ্ধতি নয়

✔ নিশ্চিত জ্ঞান → কেবল আল্লাহর কাছে

✔ লক্ষণ + রুকইয়া প্রতিক্রিয়া + মেডিকেল চেক মিলিয়ে ধারণা করা যায়

ASC
01972668345

বর্তমানে দুঃখজনকভাবে এমন একটি ধারা দেখা যাচ্ছে—➡️ বাংলায় রুকইয়াহ করা,➡️ নিজের বানানো দোয়া পড়া,➡️ একবারে রোগ নির্দিষ্ট কর...
18/11/2025

বর্তমানে দুঃখজনকভাবে এমন একটি ধারা দেখা যাচ্ছে—
➡️ বাংলায় রুকইয়াহ করা,
➡️ নিজের বানানো দোয়া পড়া,
➡️ একবারে রোগ নির্দিষ্ট করে নির্দিষ্ট আয়াত বানিয়ে রুকইয়া করা,
➡️ এবং বলা হয়— “রোগ সিওয়র হয়ে না জানলে রুকইয়া হবে না।”

এগুলো সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়; বরং রুকইয়ার বিষয়ে স্পষ্ট বিকৃতি।


১। রুকইয়ার শর্ত: বোধগম্য ভাষা—হ্যাঁ; কিন্তু উৎকৃষ্ট পদ্ধতি নয়

হাদীসে প্রমাণ আছে যে রুকইয়া শিরকমুক্ত হলে বৈধ।
→ সহিহ মুসলিম (২২০০)

মাতৃভাষায় রুকইয়া করা বৈধ,
কিন্তু উত্তম হলো যা রাসূল ﷺ শিখিয়েছেন।

ইবনুল কাইয়িম বলেন—

“রাসূল ﷺ এর রুকইয়াই সর্বোত্তম, সবচেয়ে উপকারী।”
— যাদুল মা’আদ ৪/১৭৮

👉 তাই বাংলায় বা নিজের বানানো দোয়া দিয়ে রুকইয়া করা = শরীয়তসম্মত, কিন্তু সুন্নাহসম্মত সর্বোত্তম পদ্ধতি নয়।


2️⃣ “রোগ সিওয়র না হলে রুকইয়া হবে না” — এটি ভুল ও প্রমাণহীন দাবি

রুকইয়ার জন্য রোগ সম্পূর্ণ নির্ণয় আবশ্যক নয়।

রাসূল ﷺ মাথাব্যথা, জ্বালাপোড়া, জাদু, নজরের ক্ষেত্রে সাধারণ রুকইয়া করেছেন, কিন্তু
কোথাও নেই—

❌ “প্রথমে রোগ ১০০% নিশ্চিত করতে হবে”
❌ “নির্দিষ্ট রোগে নির্দিষ্ট আয়াত বানিয়ে প্রয়োগ করতে হবে”

বরং রাসূল ﷺ সাধারণভাবে দোয়া করেছেন—

“আল্লাহুম্মা রাব্বান্-নাস, আজহিবিল বা’স…”
— বুখারি ৫৭৪৩; মুসলিম ২১৯১

👉 এখানে রোগ নির্দিষ্ট করা হয়নি, বরং যে কোনো রোগের জন্য সাধারণ রুকইয়া।

সুতরাং — রোগ সিওয়র (নিশ্চিত) না হলে রুকইয়া হয় না — একটি বিদ‘আতি ধারণা।


3️⃣ লক্ষণ দেখে ধারণা নেওয়া যাবে — কিন্তু নিশ্চিত রোগ দাবি করা যাবে না

ইবন তায়মিয়া বলেন—

“লক্ষণ দেখে ধারণা করা বৈধ, তবে তা যাজিম নিশ্চিতকরণ নয়।”— মাজমু ফাতাওয়া ১৯/৪৮

👉 তাই বলা যাবে না:
❌ “এটা নিশ্চিত জিনের আঘাত”❌ “নিশ্চিত জাদু”
❌ “নিশ্চিত সিওর”

এগুলো অনুমান হতে পারে; ফাইনাল সিদ্ধান্ত নয়।


4️⃣ জ্বিনের কাছ থেকে রোগ নির্ণয়—সবচেয়ে বড় বিপদ

অনেকে রুকইয়াহ করে জ্বিনের মুখ থেকে “তথ্য” বের করে রোগ নির্ণয় করেন।
এগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক।

🔥 হাদীসের স্পষ্ট নিষেধ:

“শয়তান সত্যের সাথে শত মিথ্যা মিশিয়ে বলে।”
— বুখারি ৪৭০১

“কাহিনের কাছে গেলে ৪০ দিনের সালাত কবুল হয় না।”
— মুসলিম ২২৩০

জ্বিনের তথ্য = কাহিনদের তথ্যের মতোই।
এটি শয়তানের প্রতারণা।

👉 তাই জ্বিনের কথার উপর ভিত্তি করে রোগ নির্ণয় = বিপজ্জনক গোমরাহি।


5️⃣ সুন্নাহ সম্মত রুকইয়া—সহজ, সরল, নিরাপদ

সুন্নাহর রুকইয়া:
• সূরা ফাতিহা
• আয়াতুল কুরসি
• সূরা ইখলাস–ফালাক–নাস
• “আল্লাহুম্মা রাব্বান্-নাস…”
• “বিসমিল্লাহি আরকীক…”

রাসূল ﷺ কখনো:
❌ নিজ বানানো নতুন দোয়া তৈরি করেননি
❌ রোগ অনুযায়ী নতুন আয়াত বানাননি
❌ রোগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি

বরং যে দোয়া-আয়াত সব রোগের জন্য যথেষ্ট — তাকেই ব্যবহার করেছেন।


🔚 উপসংহার

বাংলায় রুকইয়া, নিজের বানানো দোয়া, রোগ নির্দিষ্ট করে আয়াত বানানো, জ্বিনের কাছ থেকে রোগ নির্ণয় —
এসবই রুকইয়ার বিষয়ে বিকৃতি।

রুকইয়াহ করতে হলে—

✔ সুন্নাহর দোয়া
✔ কোরআনের নির্ধারিত আয়াত
✔ শিরকমুক্ত আমল
✔ লক্ষণ দেখে সাধারণ ধারণা
✔ শয়তানের তথ্য থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা

— এটাই রাসূল ﷺ ও সালাফের পথ।


@01972668345

18/11/2025
মাজমু’ আল-ফাতাওয়া ১৯/৪৮–এ ইবন তায়মিয়া বলেন:“وَالتَّمْيِيزُ بَيْنَ هَذَا وَهَذَا إِنَّمَا يُعْرَفُ بِالْأَمَارَاتِ وَالْق...
16/11/2025

মাজমু’ আল-ফাতাওয়া ১৯/৪৮–এ ইবন তায়মিয়া বলেন:

“وَالتَّمْيِيزُ بَيْنَ هَذَا وَهَذَا إِنَّمَا يُعْرَفُ بِالْأَمَارَاتِ وَالْقَرَائِنِ فَإِنَّ الْأَمْرَاضَ ثَلَاثَةٌ…”

অর্থাৎ:

“জাদু, জ্বিন ও শারীরিক রোগ—এ তিনটির পার্থক্য করা হয়
লক্ষণ (أمارات) ও প্রমাণনির্ভর চিহ্ন (قرائن) দেখে,
এটি চূড়ান্ত নিশ্চিত জ্ঞান নয়, বরং অনুমানভিত্তিক।”

এটি থেকে স্পষ্ট যে—

✔ রুকইয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখে ধারণা নেওয়া যায়

❌ কিন্তু এটিকে শতভাগ নিশ্চিত রোগ নির্ণয় বলা যাবে না

এটাই আপনার উল্লেখিত মর্মার্থ।



🔍 কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ অনেক রাকি বা রুকইয়া-কর্মী দাবি করেন:
• “এটা নিশ্চিত জ্বিন”
• “এটা ১০০% জাদু”
• “এটা না হলে রুকইয়া চলবে না”

এটি ইবন তায়মিয়ার বক্তব্যের সরাসরি বিরোধী।

ইবন তায়মিয়ার মতে—

✔ সঠিক নির্ণয় = ধারণা ও সম্ভাবনা

❌ নিশ্চিত ঘোষণা নয়

❌ জ্বিনের কথায় রোগ নির্ণয় তো আরও হারাম

08/11/2025

রাজশাহী নওদাপাড়া আমচত্বর ৬ নভেম্বর ২০২৫

07/11/2025
05/11/2025

বিকৃত দ্বীনের ভিড়ে সহীহ দ্বীন পাওয়া যেমন কঠিন,
বিকৃত রুকইয়ার ভিড়ে প্রকৃত রুকইয়া পাওয়া আরও কঠিন।

🔥 কারণ আজ অনেকেই “রুকইয়া”র নামে শিরক, ঝাড়ফুঁক ও কুসংস্কারকে প্রচার করছে।
অথচ রুকইয়া মানে— আল্লাহর কালাম ও সহীহ দু‘আ দ্বারা চিকিৎসা।

তাই জেনে নিন, শিখুন, বুঝুন— তারপর বিশ্বাস করুন।

#সহীহ_দ্বীন #রুকইয়া #কুরআনের_চিকিৎসা #ইসলামিক_চিন্তা

24/10/2025

Address

House:#23, (3rd Floor, Road 2A, Sector 15, Block C, Uttara, (besides Diabari Metro #01 Uttara North ) Dhaka
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hijama & Ruqyah Foundation Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Hijama & Ruqyah Foundation Bangladesh:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram