
23/05/2025
# পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসার চ্যালেঞ্জ
পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসার চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে পোড়া স্থানের দ্রুত এবং যথাযথ ঠান্ডা করা নিশ্চিত করা, সংক্রমণ প্রতিরোধ করা, ব্যথা কমানো।
এখনও অনেকে পোড়ার সাথে সাথেই ভুল বিশ্বাস থেকে অনেক ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করেন । এর মধ্যে রয়েছে ডিমের সাদা অংশ , টুথপেস্ট, কেরোসিন, নারকেল তেল, পাতা, গোবর এবং মাটি।
কারো বদ নজর যেন না লাগে সেজন্য অনেকে চুল বেঁধে দেয়। এবার দেখলাম পিয়াজ বেঁধে দিয়েছে নজর না লাগার জন্য।
পোড়াস্হানে এসব উপকরন ব্যবহার ক্ষতিকারক হতে পারে। কারন পোড়াস্হানে ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক বাধা ব্যাহত হয় । তাই এগুলোর ব্যবহার সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে এবং superficial বার্ন deep বার্ন এ রূপান্তরিত হতে পারে যা পরবর্তীতে সার্জারির প্রয়োজন হয়।
# পোড়ার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা
১. পোড়া প্রক্রিয়া বন্ধ করুন:
পোড়ার উৎস থেকে ব্যক্তিকে সরিয়ে ফেলুন (যেমন, তাপ)
২. পোড়া জায়গা ঠান্ডা করুন:
- বেশিরভাগ পোড়ার ক্ষেত্রে, জায়গাটি ১০-২০ মিনিটের জন্য
প্রবাহমান পানির ( running tape water)নিচে রাখুন।
- বরফ ব্যবহার করবেন না: বরফ বা বরফের পানি ব্যবহার
আরও ক্ষতি করতে পারে।
৩. পোড়া জায়গার কাছাকাছি জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন:
- পোড়া জায়গায় আটকে না থাকা যেকোনো পোশাক বা
গয়না আলতো করে সরিয়ে ফেলুন।
- ত্বকের সাথে লেগে থাকা জিনিসপত্র জোর করে সরাবেন না,
কারণ এতে আরও ক্ষতি হতে পারে।
৪. পোড়া জায়গাটি সুরক্ষিত রাখুন:
- ঠান্ডা হওয়ার পর, পোড়া জায়গাটি একটি পরিষ্কার, নন-
স্টিক ড্রেসিং দিয়ে ঢেকে দিন। I
এক্ষেত্রে হাসপাতালে জীবাণুমুক্ত পদ্ধতিতে ড্রেসিং করা
ভালো।
ধন্যবাদ
ডাঃ অভিজিত সরকার
সহকারি অধ্যাপক
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি, ঢাকা
কনসালটেন্ট, প্লাস্টিক, হ্যান্ড ও কসমেটিকস সার্জারি
সিটি হসপিটাল লিঃ, ঢাকা ।