17/09/2025
পোস্টপার্টাম সাইকোসিসঃ মায়েদের ঘাতক হবার গল্প
জয়নাল আবেদীন
১। ২০০১ সালের ২০ জুন। টেক্সাস পুলিশের ইমারজেন্সী নাম্বারে একটা কল আসল। ফোনের অপরপ্রান্তে ছিলেন একজন ৩৬ বছর বয়সী ভদ্রমহিলা। নাম আন্দ্রিয়া ইয়েটস। ইয়েটস ঘোর লাগা গলায় জানান, পুলিশের একজন বড়ো অফিসারকে তার দরকার। পুলিশ স্বভাবতই জিজ্ঞেস করে, কেন দরকার? প্রশ্ন এড়িয়ে যান ইয়েটস। কল কেটে দিয়ে ফোন করেন তার স্বামী রাস্টি ইয়েটসকে। তাড়া দিয়ে বলেন, এখনই বাসায় আসো।
অফিসের কাজ ফেলে দ্রুত বাসায় ফেরেন রাস্টি। ঘরে ঢুকে সাক্ষী হোন একজন বাবার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বেদনাদায়ক দৃশ্যের। তার সন্তান মরে পড়ে আছে ঘরে। তাও একজন নয়, দুইজন নয়, তিনজন নয়...পাঁচ শিশু সন্তানের সবাই মৃত। বাসার বাথটাবের পানিতে ডুবিয়ে ও চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের সবাইকে।
হত্যাকারীর নাম আন্দ্রিয়া ইয়েটস। রাস্টি ইয়েটসের স্ত্রী এবং পাঁচ শিশু সন্তানের আপন মা। একজন মা তার সবকটা সন্তানকে ডুবিয়ে দিয়েছেন পানিতে। সবচেয়ে বড়ো শিশুর বয়স ৭ বছর। সে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। ইয়েটস বাচ্চাটাকে দৌড়ে ধরে এনে চেপে ধরেছেন পানির তলায়।
টেক্সাসসহ গোটা আমেরিকায় হইচই তুলে ফেলে এই ঘটনা। পুলিশ ও মিডিয়া তন্ন তন্ন করে খুঁজে হত্যার মোটিভ। খুনের মোটিভ অনুপস্থিত। এসব ঘটনায় সবচেয়ে বেশি যে কারণ খোঁজা হয়, পরকীয়া...এসবের কিছুই নেই ইয়েটসদের জীবনে। বেশ ঘেটে বের হয় ইয়েটস সুইসাইডাল ছিলেন বেশ আগে থেকেই। তার বান্ধবীরা সাক্ষ্য দেন টিনএজ বয়সেই ইয়েটস আত্মহত্যার কথা বলতেন। প্রতিটা সন্তান জন্মের পরে তার বিষন্নতা কাজ করতো। চতুর্থ সন্তান আসার পরে বিষন্নতা চরম পর্যায়ে চলে যায়। তিনি দুই দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে ভর্তি করা হয় মেন্টাল ক্লিনিকে। একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, এলিন স্টারব্রাঞ্চ প্রথম ডায়াগনোসিস করেন ইয়েটস “পোস্টপারটাম সাইকোসিস” রোগে আক্রান্ত। তিনি এ দম্পত্তিতে পরামর্শ দেন তারা যেন আর বাচ্চা না নেন। কারণ পরের ডেলিভারির পর ইয়েটসের অবস্থার আরো অবনতির আশংকা করেছিলেন স্টারব্রাঞ্চ। কিন্তু এ দম্পত্তি প্রচণ্ড প্র্যাক্টিসিং খ্রিস্টান। তারা আগেই পণ করেছেন ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাচ্চা যত আসবে, সবই তারা নেবেন। ইয়েটস মেন্টাল এসাইলাম থেকে ছাড়া পাবার পরপর কনসিভ করেন আবারও। তখন ১৯৯৯ সাল। পরের বছরে ৫ম সন্তানের জন্ম হয়। তারপর, সবাইকে হত্যা।
ইয়েটসকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। কেন নিজের সন্তানদের তিনি হত্যা করেছেন এর সদুত্তর তিনি পারেননি। দুর্বলভাবে বলেন, বাচ্চাদের আত্মাকে রক্ষার জন্য তাদের হত্যা করতেই হতো। আমেরিকায় তখনো পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন বা সাইকোসিস এতটা প্রচলিত টার্ম না। আদালত ইয়েটসকে সম্পূর্ণরূপে দোষী সাব্যস্ত করেন। কিঞ্চিৎ দয়া করে তাকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বলা হয়, ৪০ বছর পর তিনি প্যারোলে মুক্তি পাবেন।
পরের ঘটনা অনেক দীর্ঘ। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটি, নানান মানবাধিকার সংস্থার তোড়জোড়ে ৪ বছর পর প্রমাণ করা সম্ভব হয় যে ইয়েটস সজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ড ঘটাননি। তিনি রোগে ভুগছিলেন। নির্দোষ প্রমাণ হোন ইয়েটস। জেল থেকে বের হয়ে তাকে চলে যেতে হয় মানসিক হাসপাতালে।
২। ৪-৫ বছর আগের কথা। আমার পরিচিত এক ভাই জানালেন তিনি অদ্ভুত কিন্তু মারাত্মক একটা বিপদে পড়েছেন। অল্পদিন হয় তাদের সন্তান হয়েছে। কিন্তু সন্তানপ্রাপ্তির আনন্দের বদলে তার এখন সময় কাটছে মহা দুশ্চিন্তায়, আতংকে ও অত্যাচারে। উনার স্ত্রী ঘুমান না। রাত দিন কখনোই না। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঠায় বসে থাকেন ঘন্টার পর ঘন্টা। কারণ ভদ্রমহিলার ধারণা হয়েছে আশাপাশে যারা আছে সবাই বাচ্চাকে মেরে ফেলবে। সবচেয়ে ভয়ের কথা, বাচ্চার বাবাকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। বাবা সন্তানকে আদর করতে আসলে মা ভয়ে কাঁপতে থাকে। তার মনে হয় এই লোক যখন তখন বাচ্চার গলা টিপে দেবে। মায়ের মতে, বাচ্চার বাপের ভাবসাব খুবই সন্দেহজনক। তিনি প্রায় নিশ্চিত, বাপের বাচ্চা খুন করার প্ল্যান মাথায় ঘুরছে।
এই ভাই তখন দুচোখে অন্ধকার দেখছেন। তাবিজ কবচ, দোয়া-কালাম সব করানো শেষ। কিছুতে কিচ্ছু কাজ হয় না। ঘুম ও খাবারের অভাবে উনার স্ত্রীর চেহারা জম্বীর মতো হয়ে যাচ্ছে। কারো কোলে বাচ্চা না দিয়ে একটানা বসে থাকার কারণ পা ফুলে যাচ্ছে মায়ের। অসহনীয় সংকট।
আমি রোগীর সঙ্গে নিজে কথা বললাম, দেখলাম ঘটনা যা শুনেছি তারচেয়ে বেশি গুরুতর। নিজে সঙ্গে গিয়ে রোগী পাঠালাম সিলেটের প্রখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ সিদ্ধার্থ পাল স্যারের চেম্বারে। স্যার ডায়াগনোসিসে লিখলেন, পোস্টপারটাম সিন্ড্রোম/সাইকোসিস। ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা শতভাগ সঠিক প্রমাণ হলো। এক দুই মাসের চিকিৎসায় প্রায় উন্মাদ রোগী শতভাগ স্বাভাবিক।
৩। ফেসবুকে আজকে একটা ছবি দেখলাম। সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া কোনো এক মা লিখে রেখেছেন, বাচ্চার রক্ত তিনি পান করতে চান। জ্বীন ভূত চিন্তা করে যথারীতি সর্বাত্মক দোয়া কালাম ও তাবিজ কবচ দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো উন্নতি না দেখে ও বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি চিন্তা করে পরিবারের লোকজন বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়ে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। যে ডাক্তার ছবিটা পোস্ট করেছেন, তিনিও ডায়াগনোসিসে লিখে রেখেছেন পোস্টপার্টাম সাইকোসিস।
প্রায়ই খবর দেখবেন, মায়ের হাতে শিশু সন্তান খুন। এমন কাণ্ডে সবার আগে প্রায় সবাই পরকীয়া ব্যাপারটিকে সামনে নিয়ে আসে। প্রেম ও পরকীয়া জড়িয়ে কোনো খুন হলে এমনিই বাংলাদেশের মিডিয়া ও ফেসবুকারদের মধ্যে উৎসব উৎসব আবহ কাজ করে। দিনের পর দিন ফলোআপ রিপোর্ট ও পোস্ট লেখা হয়। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন তো, মায়ের হাতে সন্তান খুনের পরবর্তী কয়টা ফলোআপ রিপোর্ট আপনি পড়েছিলেন? গুগলে এখনই চাইলে সার্চ দিতে পারেন। শুধু বাচ্চা খুন, মাকে জেলে পাঠানো...এইটুক ছাড়া বাড়তি আর কোনো খবর পাওয়া যায় না। ঘটনাগুলো স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। পরকীয়া শুধু সন্দেহের ভেতরেই থাকে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। এমন দশটি ঘটনার নয়টিতেই পত্রিকার ফলোআপে প্রেম-পরকীয়া কোনো ইস্যু পাবেন না।
কেস স্ট্যাডিগুলো বিস্তারিত লেখা যায়, তাতে লেখার কলেবর শুধু শুধু বড়ো হবে। আমি যে কয়েকটা পড়েছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লেখা সাংসারিক কলহ, অভাব ইত্যাদির কারণে মা নিজের বাচ্চাকে হত্যা করেছে। কিছু খবরে বলা হয়েছে, কিছুদিন যাবত নারীটি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবারে সাংসারিক কলহ আছে, অভাবও আছে কয়েক কোটি মানুষের। শুধুমাত্র এ কারণে মা সন্তানকে হত্যা করবে, এটা বিশ্বাস হয়? তাও না হয় মেনে নিলাম।
হোয়াট এবাউট “কিছুদিন ধরে অসুস্থ?”
এই কিছুদিন ধরে অসুস্থ কথাটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এটাই পোস্ট পার্টাম সিন্ড্রোম, পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন, পোস্টপার্টাম সাইকোসিস।
৪। আমাদের মুড মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। সন্তান গর্ভধারণ, গর্ভে বড়ো করা, জন্ম দেয়া, মাতৃদুগ্ধ প্রোডাকশন...প্রত্যেকটা ধাপই হরমোনের খেলা। সবার ক্ষেত্রে খেলাটা ঠিকঠাক নিয়ম মেনে হয় না। একটা গন্ডগোল লেগে যায়। আমি গর্ভবতী কিছু নন স্মোকার মহিলাকে গর্ভকালীন সময়ে বিড়ি খেতে দেখেছি। শুনেছি কেউ কেউ নাকি মাটিও খায়।
মহিলারা চিন্তা ও যুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। ফোবিয়া-বিষন্নতা, অলিক চিন্তা এসে ভর করে। মায়েরা ভাবে, পুরো জগত তার বাচ্চাকে মারতে চাইছে। কারো কারো মনে হয়, বাচ্চাকে মেরে ফেলেটাই বাচ্চার জন্য সবচেয়ে উপকারী। গবেষণা বলছে প্রতি হাজার জন্মে ২-৩ দিন মহিলা এমন সমস্যায় পড়তে পারেন। একেবারে সামান্য নয় কিন্তু সংখ্যাটা। পিপিপিতে আক্রান্ত মহিলাদের ৫-৬% বাচ্চার ক্ষতি করেন, প্রায় সমান সংখ্যক করে ফেলেন আত্মহত্যা। এই ফিগারগুলোকে মনে মনে সাজালে এবং পত্রিকায় মা কর্তৃক শিশু হত্যার খবরগুলোকে জোড়া দিলে দেখবেন, হিসাব মিলছে। যাই হোক, এটা বিশাল বড়ো টপিক, একটা পোস্টে লেখা সম্ভব না। আমার কাজও না। সাইকিয়াট্রিস্টরা এসব নিয়ে লিখবেন ও বলবেন আশা করি।
আমাদের দেশে মা কর্তৃক সন্তান হত্যার প্রতিটা ঘটনায় মাকে জেলে ভরে দেয়া হয়েছে। ডোন্ট জাজ মি রঙ, কিছু ক্ষেত্রে মায়েরা হয়তো ঠাণ্ডা মাথাতেই সন্তান খুন করে। জগত বিচিত্র, অনেক কিছুই সম্ভব। তবে বিভিন্ন ঘটনা ও গবেষণা পড়ে আমার মনে হয়েছে বেশিরভাগ তো বটেই সম্ভবত দু একটা বাদ দিলে সব ঘটনার পেছনে কলকাঠি নাড়া কারণটা হলো পোস্টপার্টাম সিন্ড্রোম/ সাইকোসিস।
১৯৯৯ সালে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বহুদিনের গবেষণার পর উপসংসারে বলে, নবজাতক হত্যার প্রায় সবগুলো ঘটনাই ঘটে মায়ের হাতে। বাবারাও সন্তান খুন করে, তবে মায়ের চেয়ে কম। বাবার হাতে খুন হওয়া বেশিরভাগ বাচ্চার বয়স ৮ এর বেশি। ইউকে ১৯৯৭-২০০৬ সাল পর্যন্ত ডাটা সংগ্রহ করে দেখেছে, বাচ্চা খুন করা ৩৭% মা ঘটনার আগে লাইফের যে কোনো পর্যায়ে মানসিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আন্দ্রিয়া ইয়েটসের ঘটনার পর সারা দুনিয়াই নড়েচড়ে বসে। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে পোস্টপার্টাম সাইকোসিসের সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় বিচারের আগে। ইয়েটসের মতো যুক্তরাজ্যে ২০০৯ সালে এমন একটা ঘটনা ঘটে। ডেবোরাহ ব্ল্যাক নামের এক মহিলা তার দ্বিতীয় সন্তানকে মুখ চেপে হত্যা করেন। আদালত পোস্টপার্টামের প্রমাণ পেয়ে মেন্টাল হোমে পাঠায়। পুরো ইউকেতে এই এক ঘটনায় পোস্টপার্টাম সিন্ড্রোম নিয়ে প্রচুর কাজ হয়।
লিসা গিবসন নামের কানাডার মহিলা দুই সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন ২০১৩ সালে। এই ঘটনায় কানাডার লোকজনও ব্যাপকভাবে পোস্টপার্টাম ইস্যু নিয়ে সরব হয়। ইন্ডিয়াতে পর্যন্ত মঞ্জু শর্মা নামের এক নারীর সন্তান হত্যার চেষ্টায় বেশ আলোচনা হয়েছিল।
আলোচনা হয় না শুধু আমাদের এ দেশে। একেকটা খবর আমরা দেখি, শুনি এবং ভুলে যাই। মায়েদের হাতে এতগুলো হত্যা, কেউ কোনোদিন প্রশ্ন তুলল না। কোনো সাংবাদিক বলল না, খুঁজি তো কারণ কী? কোনো এনজিও আসল না সার্ভে করতে। কোনো সাইকিয়াট্রিক সংগঠন বিবৃতি দিল না। কী এক নিদারুণ দেশ আমাদের!
সন্তান জন্মদানের পরপর মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। বিশেষত যে নারী আগে মানসিক সমস্যা ভুগেছে, পরিবারের কারো মানসিক সমস্যা আছে তাদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা লাগবে। সন্তান হত্যা বহু দূরের ও চূড়ান্ত একটা ধাপ। তার আগেই মানুষ ডিপ্রেশন, ফোবিয়া ও মুড ডিস্টার্বেন্সে অনেক কষ্ট পায়। আশার কথা হচ্ছে, পোস্টপার্টাম সিন্ড্রোম বা সাইকোসিস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য অসুখ। নিরাময় থাকা অবস্থায় কষ্ট পাবার মানে নেই।
পোস্টপার্টাম নিয়ে প্রচুর আর্টিকেল ও খবর অনলাইনে ঢুকলেই পাবেন। লক্ষ্মণ ও কারণ ব্যাপারে সবিস্তারে লেখা আছে। খুঁজে না পেলে জানাবেন। এসব লিখে লেখাটা আরো দীর্ঘ করতে চাইনি।
মেয়েদের জন্য সন্তান এত আরাধ্য বস্তু, সম্ভবত জগতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত। ভ্রুণ থেকে নিয়ে আস্তো একটা মানুষ জন্ম দেবার ব্যাপারটা দীর্ঘ, জটিল ও কষ্টদায়ক। “মায়ের চেয়ে আপন কেহ নাই” কথাটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চর্চিত সত্য প্রবচন। সন্তানের জন্য মায়ের কোল এক টুকরো জান্নাত।
এই মা নিজের সন্তানকে অসুখে ভোগে পানিতে চুবাচ্ছে, বটি দিয়ে কোপাচ্ছে, রক্ত খেতে চাইছে...এরচেয়ে অস্বাভাবিক কিছু পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না। এসব মায়েদের খুনী নয়, রোগী ও দুঃখী হিসেবে আমাদের বিবেচনা করা উচিত।