Matritto - মাতৃত্ব

Matritto - মাতৃত্ব A social business solving problems around pregnancy, parenting and motherhood

মাতৃত্ব ডট কম বাংলা ভাষায় মাতৃত্ব, গর্ভধারণ ও শিশুপালন সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আমরা বাংলাভাষী মা-বাবাদের প্রাথমিক তথ্যের উৎসে পরিণত হবার লক্ষ্যে প্রতিদিন এমন সব কন্টেন্ট যোগ করছি, যা মা-বাবাদের প্রতিদিনকার জীবন সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

 মাতৃত্বের যত্নে এক নতুন অধ্যায়VBAC  -  সিজার-পরবর্তী স্বাভাবিক প্রসবডাঃ রেহনুমা হোসেন​(Dr. Rehnuma Hussain)​স্ত্রীরোগ ও...
08/10/2025



মাতৃত্বের যত্নে এক নতুন অধ্যায়
VBAC - সিজার-পরবর্তী স্বাভাবিক প্রসব

ডাঃ রেহনুমা হোসেন
​(Dr. Rehnuma Hussain)
​স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিদ্যায় অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ
(Experienced Specialist in Gynaecology and Obstetrics)

​কার্যস্থল:
​১. মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার
(Mohammadpur Fertility Services and Training Center)
​২. ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল
(100 Bedded Maternal and Child Health Hospital)

৯ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৭টা

ফ্রী ওয়েবিনার, রেজিস্ট্রেশন আবশ্যক।
(রেকর্ড ফ্রী নয়)

Registration লিংক কমেন্টে

07/10/2025

মাতৃত্ব

আমাদের পেইজ ফলো করেন বা গ্রুপে আছেন এমন মায়েরা বা নারীরা "দৌলা" টার্মটা শুনেছেন। অনেকে হয়তো জানেন এটা কী আবার অনেকে জানে...
06/10/2025

আমাদের পেইজ ফলো করেন বা গ্রুপে আছেন এমন মায়েরা বা নারীরা "দৌলা" টার্মটা শুনেছেন। অনেকে হয়তো জানেন এটা কী আবার অনেকে জানেন না।

দৌলা হল বার্থ এটেন্ডেন্ট। উনি আপনার সাথে থাকেন প্রসবের সময়। আপনাকে প্রেগনেন্সি অবস্থা থেকে গাইড করেন এবং প্রসবে আপনার বন্ধু হিসেবে থাকেন।

আপনি হয়তো কখনো দৌলা হায়ার করেন নাই, কিংবা করার দরকারও হয় নাই। কিন্তু আপনার কি জানতে আগ্রহ হয় - একজন দৌলা কী করেন? কীভাবে করেন? এবং ওনার সেবা নেয়া মায়ের রিএকশন কেমন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে?

আমাদের টীমে বেশ কয়েকজন দৌলা আছেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন আগামিকাল ৭ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৭টায়

দৌলা কথন - “সহযোগিতা, সমর্থন আর জন্মের যাত্রা”

মাতৃত্ব ফেসবুক গ্রুপে এটা আমরা লাইভ করবো।

নোটিফিকেশন পেতে এই পোস্টে কমেন্ট করে রাখুন

আর দৌলার কাছে কোন প্রশ্ন থাকলে সেটাও কমেন্টে লিখে রাখুন।

#দৌলা #মাতৃত্ব

🌱আপনাদের একটা গল্প বলি। মূলত গল্প নয়, সত্য ঘটনা। আমেরিকার ওহাইয়োর (Ohio) একটি চিড়িয়াখানার একটা গরিলার গল্প। বন্দী অবস্থা...
05/10/2025

🌱আপনাদের একটা গল্প বলি। মূলত গল্প নয়, সত্য ঘটনা। আমেরিকার ওহাইয়োর (Ohio) একটি চিড়িয়াখানার একটা গরিলার গল্প। বন্দী অবস্থাতেই এই গরিলার জন্ম এবং সাধারণত গরিলা কমিউনিটি যেভাবে থাকে সেরকম কোন গরিলা কমিউনিটিতে থাকার কোন অভিজ্ঞতা তার নেই। আর এ কারণে তার সমগ্র জীবনে সে কখনও অন্য কোন গরিলাকে ব্রেস্টফিড করতে দেখে নি।

🌱একসময় সে তার নিজের প্রথম গরিলা বেবির জন্ম দেয়। কিন্তু কীভাবে একটা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হয় সে সম্পর্কে তার কোন ধারণাই ছিল না। এবং পরিশেষে বাচ্চাটি মারা যায়।
দ্বিতীয়বার যখন সে প্রেগন্যান্ট হল তখন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ একটা বুদ্ধি বের করল। তারা মাদার-টু-মাদার ব্রেস্টফিডিংয়ের একটা অর্গানাইজেশন, La Lache League গ্রুপ থেকে কিছু ব্রেস্টফিডিং মাকে আমন্ত্রণ জানাল। গরিলার খাঁচার কাছে বসে মায়েরা যেন তাদের নিজ নিজ বেবিকে বুকের দুধ খাওয়ায়, এই ছিল কর্তৃপক্ষের আহ্বান। মানুষ মায়েদের ব্রেস্টফিডিং দেখার পর গরিলা মা তার দ্বিতীয় গরিলা বেবিকে সফলতার সাথে ব্রেস্টফিডিং করাতে পেরেছিল!

📌ব্রেস্টফিডিং হল একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। যে কারণে আমরা নিজেদেরকে স্তন্যপায়ী (Mammals) বলে থাকি তার অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হল এই ব্রেস্টফিডিং। কিন্তু এটা শিখতেও হয়।
আমাদের শরীর কীভাবে কী করতে হবে এর হয়তো কিছু ইঙ্গিত দেয়। যেমন, সন্তানের কান্না শুনলে দুধ নামে। বাচ্চার মধ্যে কান্না/অস্থিরতা দেখা দিলে কোলে তুলে নিতে ব্রেইন একটা শক্তিশালি সংকেত পাঠায়। এমনকি অটোমেটিক্যালি এমন পজিশনে বাচ্চাকে তখন আমরা ধরি যাতে সে সহজে ব্রেস্টফিড করতে পারে। এগুলো সবই আমরা সহজাত আচরণ হিসেবেই করে থাকি।
কিন্তু আপনি যদি জীবনে কখনোই কাউকে ব্রেস্টফিড করাতে না দেখে থাকেন তাহলে বুঝে উঠতে পারবেন না এরপর কী করতে হবে!

এটা যদি আপনি হন, তাহলে নিজের প্রতি সদয় হন। হতাশার কিছু নেই। “আমি ব্রেস্টফিডিংয়ের কিছুই জানি না, কত বোকা আমি!” এরকম ভাবারও কিছু নেই, ডিয়ার মাম্মা। গরিলার ঘটনা থেকে আমরা এটুকু অন্তত বুঝতে পারলাম যে, এমনকি উচ্চ পর্যায়ের

প্রাইমেটদেরও(Primates) এটা শিখেই অর্জন করতে হয়।
বরং শেখার জন্য নিজেকে সময় দিন এবং শিখে নিন ব্রেস্টফিডিংয়ের মত ডিভাইন কাজটি।

নাসরিন সুলতানা
আমানি চাইল্ডবার্থ এডুকেটর ও ডুলা,
মাতৃত্ব।

তথ্যসূত্র:
Book: Breastfeeding Made Simple by Kathleen Kendall-Tackett and Nancy Mohrbacher.

04/10/2025

ধরেন, আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হইলো, এখন বাথরুমে গিয়ে বেশ কষ্ট করে পেট পরিষ্কার করে আসলেন। বা বাসায় যদি লো-কমোড থাকে, সেটায় স্কোয়াট পজিশনে অনেক কষ্ট করে নিজেকে হালকা করলেন।

এখন আপনাকে যদি বলি, বাথরুমে না, বরং বিছানায় শুয়ে টয়লেট করেন, কেমন লাগবে কথাটা শুনতে?

মনে হবে বক্তা হয়তো আপনার সাথে মশকরা করছেন বা ওনার নিজের মাথায় কোন সমস্যা আছে।

জন্মের পর থেকে মানুষ এই প্রাকৃতিক কাজ নিয়মিত করে, তাই সে জানে কোন পজিশনে টয়লেট করা স্বাভাবিক, কোনটা অস্বাভাবিক।

বাচ্চা প্রসব করা টয়লেট করার মতো এতো ফ্রিকোয়োন্ট ঘটনা না। তাই একজন প্রসূতী মায়ের এটা জানা নাও থাকতে পারে কোন পজিশনে বাচ্চা প্রসব করলে তার জন্য সুবিধাজনক হবে।

আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রসূতি মা'কে আমরা শুয়ে পুশ করে বাচ্চা প্রসব করতে বলি। শুনতে কি একটু অস্বাভাবিক লাগছে?

বাচ্চা প্রসব করার জন্য নানা রকমের বার্থিং পজিশন আছে। এমনকি কুরআনে হযরত মারিয়াম (আঃ) এর বার্থিং পজিশন সম্পর্কে আমরা দেখতে পাই মহান আল্লাহ ওনাকে খেজুর গাছ আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন প্রসবের সময়।

একেকজনের জন্য একেক ধরনের পজিশন আরামদায়ক হতে পারে। আমরা যদি এ সম্পর্কে না জানি তবে আমরা কিভাবে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে পারব?

প্রসবকালীন সময়ে সুস্থতার জন্য আমরা ডাক্তারের পরামর্শ এবং সহযোগিতা নেই। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ের জটিলতা সম্পর্কে জানা, গর্ভকালীন ব্যায়াম, খাদ্য ও পুষ্টি, প্রসব পরিকল্পনা, এগুলোর জন্য পড়াশোনা এবং জানার বিকল্প নেই।

মহান আল্লাহ কমবেশি ৪০ সপ্তাহ আপনাকে সময় দেন প্রসবের "বিগ ডে"র প্রস্তুতি নেয়ার জন্য।

এখন আপনি যদি সেটা না নেন, এসম্পর্কে জ্ঞান অর্জন না করে লেবারে গিয়ে কষ্ট পান, তাহলে সেই কষ্ট আপনি সারাজীবন বহন করবেন।

তাই প্রিনাটাল কোর্স করুন, আমাদের ১৬টা ক্লাসে (কমেন্টে ক্লাসের টপিক দেয়া আছে) আপনি ভালমতো প্রস্তুত হবার সুযোগ পাবেন।

মাতৃত্বযাত্রা সুন্দর হোক আপনার জন্য – এই দোয়া রইলো

রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনা অভিমুখে যাত্রা করা সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসে গতকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত  ডেলিভারির ঘটনা ঘটেছে। গর্ভব...
22/09/2025

রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনা অভিমুখে যাত্রা করা সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসে গতকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ডেলিভারির ঘটনা ঘটেছে।
গর্ভবতী ঐ মা সন্তান প্রসবের জন্যই বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। খবরে বলা হচ্ছে ট্রেনে ওঠার অল্পক্ষণ পরই ট্রেনের ঝাঁকুনিতে প্রসব ব্যাথা শুরু হলে ট্রেনের বাথরুমে যান ঐ মা।
একদল হিজড়া মানুষ সন্তান প্রসবের সময় ঐ মাকে সাহায্য করেন। তারা লোকজনকে সরিয়ে দেন। মানুষজনের থেকে বড় বড় কাপড় চেয়ে নিয়ে আড়াল করেন এবং ট্রেনের বাথরুম থেকে ঐ মাকে বের করে ট্রেনের প্রশস্ত জায়গায় আনেন।

ন্যাচারাল ডেলিভারির মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। নাড়ি কাটার সুযোগ হয়নি। মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ট্রেনের দায়িত্বশীল দ্রুত পরের স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক এম্বুলেন্স এনে মা ও নবজাতককে নিয়ে যশোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে দেন। সেখানকার চিকিৎসকরা পরবর্তী সেবা দেন প্রসূতি মা ও নবজাতকে।

অনেকেই হয়ত খবরটি দেখেছেন ইতিমধ্যে। কেবল একটা বিষয়ে বলার জন্য আমি পোস্টটি লিখছি। দীর্ঘক্ষণ নাড়ি কাটতে দেরি হওয়ার কথা শুনে আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই এই ভেবে আঁতকে উঠেছেন না জানি নবজাতকের কী ক্ষতি হল! তাই না?

WHO ও ACOG এর গাইডলাইন অনুযায়ী জন্মের পর ১-৩ মিনিট অপেক্ষা করে নাড়ি কাটার কথা বলা হয়েছে এটা এখন আমরা কম বেশি সবাই জানি আলহামদুলিল্লাহ।
যদি এর চেয়ে দীর্ঘসময় নাড়ি না কাটা হয়, তাহলে?

এর চেয়ে বেশি সময় এমনকি কখনোই নাড়ি না কাটলেও কোন সমস্যা নেই। না কাটলে গিট দেয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। নাড়ি যতক্ষণ পর্যন্ত প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলের সাথে সংযুক্ত আছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভয়ের কিছুই নেই। এটা এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে নবজাতকের শরীর থেকে রক্ত কখনোই গর্ভফুলের দিকে প্রবাহিত হবে না। বরং যত বেশি সময় গর্ভফুলের সাথে সংযুক্ত থাকবে গর্ভফুলে থাকা রক্ত নবজাতকের দিকে প্রবাহিত হবে। নবজাতকের রক্তের ভলিউম বাড়বে। সামনের এক বছর এই শিশুর এনিমিক (রক্তশূন্যতা) হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যাবে।

গর্ভফুলে নবজাতকের শরীরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রক্ত থাকে! যোনিপথে সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়াটা এতটাই চমৎকার এক প্রক্রিয়া এবং আল্লাহ এমনভাবে এই প্রক্রিয়ার প্রতিটা ধাপ নিখুঁত ডিজাইনে করেছেন তা জানলে কেবলই অবাক হতে হয়।
নবজাতক জরায়ু থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার শরীরের এক-তৃতীয়াংশ রক্ত গর্ভফুলে রেখে বেরিয়ে আসে। কেন এমন করে?
যাতে তার শরীরের আয়তন কমে, ফলে সে সহজে মায়ের যোনীর সরু রাস্তা পার হয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। আর একারণেই জন্মের ঠিক পরপর নাড়ি কাটতে নিরুৎসাহিত করা হয়। Delayed Cord Clamping প্রাকটিস হওয়ার জন্য WHO বারবার তাগাদা দিয়ে আসছে। যাতে গর্ভফুলের রক্তটুকু নবজাতকের শরীরে ফেরত যাওয়ার সুযোগ পায়।

Lotus Birth বলে পৃথিবীতে আরও একটি চমৎকার প্রাকটিস রয়েছে। আগের দিনের পশ্চিমের দেশগুলিতে হোমবার্থে এই প্রাকটিস খুব প্রচলিত ছিল। নবজাতকের নাড়ি কাটা হত না। নাভি থেকে শুকিয়ে গর্ভফুলসহ ঝরে যেত একসময়।

আমরা আপনাদের এই প্রাকটিস করতে বলছিনা। তবে দীর্ঘসময় (২৪-৪৮ ঘন্টা) পর্যন্তও নাড়ি কাটা না হলেও ভয়ের কিছু নেই।
এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সন্তান প্রসব হয়ে গেলে প্যানিকড না হয়ে নবজাতককে ক্লিন করে মায়ের বুকে দিয়ে দিন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছানো অবধি ভয়ের কিছু নেই। তাড়াহুড়োয় পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও ধারালো কোন কিছু ছাড়া যেনতেন কিছু দিয়ে নাড়ি কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কিছু নেই।

নাসরিন সুলতানা
আমানি চাইল্ডবার্থ এডুকেটর ও ডুলা,
মাতৃত্ব।

21/09/2025

🍼ফর্মুলা নয়,মায়ের দুধই শিশুর প্রথম সেরা উপহার।
লিখেছেন: রোকেয়া হেনা

অনাগত এবং নতুন সন্তানের মায়েরা
চিন্তা নয়, ধৈর্য ধরুন এবং নিচের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

🍼 নতুন মা: দুধ আসছে না মনে হলে কী করবেন?

অনেক নতুন মায়েরা সন্তান জন্মের পর অস্থির হয়ে পড়েন—
“৩–৪ দিন হয়ে গেল, দুধ তো আসছে না! তাহলে কি আমার বাচ্চা না খেয়ে আছে?”
এসময় অনেকেই দুধ বাড়ানোর চেষ্টা না করে সরাসরি ফর্মুলা শুরু করে দেন।

আসলে জানেন কি?
👉 জন্মের পর প্রথম কয়েকদিন মায়ের দুধ অল্প হলেও সেটাই যথেষ্ট। একে বলে কোলস্ট্রাম, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সোনার চেয়েও দামি।

👶 কবে ফর্মুলা দেওয়া দরকার হতে পারে?

শুধু বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন—

বাচ্চা দিনে পর্যাপ্ত প্রস্রাব করছে না (৫ম দিন থেকে দিনে অন্তত ৬ বার প্রস্রাব হওয়া উচিত)।

জন্ম ওজনের ১০% এর বেশি কমে যাচ্ছে।

বাচ্চা খুব দুর্বল, ঠিকমতো চুষতে পারছে না।

মার কোনো শারীরিক সমস্যা বা ওষুধের কারণে বুকের দুধ দেওয়া নিরাপদ নয়।

👉 এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ফর্মুলা শুরু করা উচিত।

🤱 মায়ের করণীয়

বারবার (২–৩ ঘণ্টা পর পর) বাচ্চাকে বুকের সাথে লাগান।

সঠিকভাবে latch করানো খুব জরুরি।

চামড়া-চামড়ার সংস্পর্শে রাখুন (skin-to-skin contact)।

প্রচুর পানি খান, পুষ্টিকর খাবার নিন, বিশ্রাম নিন।

মানসিক শান্তি বজায় রাখুন—স্ট্রেস দুধ কমিয়ে দেয়।

প্রয়োজনে ল্যাকটেশন কনসালটেন্টের সাহায্য নিন।

📝 কিভাবে বুঝবেন বাচ্চা দুধ পাচ্ছে?

✅ দিনে অন্তত ৬ বার প্রস্রাব করছে
✅ জন্মের ওজন দ্রুত কমছে না
✅ খাওয়ার পর শান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে
✅ মায়ের স্তন খাওয়ানোর পর নরম লাগে

🌼 মনে রাখবেন:
বেশিরভাগ মা-ই দুধ দিতে পারেন, শুধু প্রয়োজন ধৈর্য আর সঠিক উপায়।
বাচ্চার কান্না দেখে ভেবে নিবেন যে দুধ পাচ্ছে না তাই কান্না করছে।কান্নার আসল কারণ উদঘাটন করার চেষ্টা করবেন।

ফর্মুলা কেবল তখনই দেওয়া উচিত, যখন ডাক্তার প্রয়োজন মনে করবেন।

❤️ আপনার বুকের দুধই আপনার শিশুর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।
(পরিমার্জিত)

20/09/2025

প্রিনাটাল কোর্সের ১৪তম ব্যাচে ভর্তি চলছে, অক্টোবরের ২য় সপ্তাহে ক্লাস শুরু

পোস্টপার্টাম সাইকোসিসঃ মায়েদের ঘাতক হবার গল্পজয়নাল আবেদীন১। ২০০১ সালের ২০ জুন। টেক্সাস পুলিশের ইমারজেন্সী নাম্বারে একটা ...
17/09/2025

পোস্টপার্টাম সাইকোসিসঃ মায়েদের ঘাতক হবার গল্প
জয়নাল আবেদীন

১। ২০০১ সালের ২০ জুন। টেক্সাস পুলিশের ইমারজেন্সী নাম্বারে একটা কল আসল। ফোনের অপরপ্রান্তে ছিলেন একজন ৩৬ বছর বয়সী ভদ্রমহিলা। নাম আন্দ্রিয়া ইয়েটস। ইয়েটস ঘোর লাগা গলায় জানান, পুলিশের একজন বড়ো অফিসারকে তার দরকার। পুলিশ স্বভাবতই জিজ্ঞেস করে, কেন দরকার? প্রশ্ন এড়িয়ে যান ইয়েটস। কল কেটে দিয়ে ফোন করেন তার স্বামী রাস্টি ইয়েটসকে। তাড়া দিয়ে বলেন, এখনই বাসায় আসো।

অফিসের কাজ ফেলে দ্রুত বাসায় ফেরেন রাস্টি। ঘরে ঢুকে সাক্ষী হোন একজন বাবার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বেদনাদায়ক দৃশ্যের। তার সন্তান মরে পড়ে আছে ঘরে। তাও একজন নয়, দুইজন নয়, তিনজন নয়...পাঁচ শিশু সন্তানের সবাই মৃত। বাসার বাথটাবের পানিতে ডুবিয়ে ও চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের সবাইকে।

হত্যাকারীর নাম আন্দ্রিয়া ইয়েটস। রাস্টি ইয়েটসের স্ত্রী এবং পাঁচ শিশু সন্তানের আপন মা। একজন মা তার সবকটা সন্তানকে ডুবিয়ে দিয়েছেন পানিতে। সবচেয়ে বড়ো শিশুর বয়স ৭ বছর। সে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। ইয়েটস বাচ্চাটাকে দৌড়ে ধরে এনে চেপে ধরেছেন পানির তলায়।

টেক্সাসসহ গোটা আমেরিকায় হইচই তুলে ফেলে এই ঘটনা। পুলিশ ও মিডিয়া তন্ন তন্ন করে খুঁজে হত্যার মোটিভ। খুনের মোটিভ অনুপস্থিত। এসব ঘটনায় সবচেয়ে বেশি যে কারণ খোঁজা হয়, পরকীয়া...এসবের কিছুই নেই ইয়েটসদের জীবনে। বেশ ঘেটে বের হয় ইয়েটস সুইসাইডাল ছিলেন বেশ আগে থেকেই। তার বান্ধবীরা সাক্ষ্য দেন টিনএজ বয়সেই ইয়েটস আত্মহত্যার কথা বলতেন। প্রতিটা সন্তান জন্মের পরে তার বিষন্নতা কাজ করতো। চতুর্থ সন্তান আসার পরে বিষন্নতা চরম পর্যায়ে চলে যায়। তিনি দুই দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে ভর্তি করা হয় মেন্টাল ক্লিনিকে। একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, এলিন স্টারব্রাঞ্চ প্রথম ডায়াগনোসিস করেন ইয়েটস “পোস্টপারটাম সাইকোসিস” রোগে আক্রান্ত। তিনি এ দম্পত্তিতে পরামর্শ দেন তারা যেন আর বাচ্চা না নেন। কারণ পরের ডেলিভারির পর ইয়েটসের অবস্থার আরো অবনতির আশংকা করেছিলেন স্টারব্রাঞ্চ। কিন্তু এ দম্পত্তি প্রচণ্ড প্র্যাক্টিসিং খ্রিস্টান। তারা আগেই পণ করেছেন ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাচ্চা যত আসবে, সবই তারা নেবেন। ইয়েটস মেন্টাল এসাইলাম থেকে ছাড়া পাবার পরপর কনসিভ করেন আবারও। তখন ১৯৯৯ সাল। পরের বছরে ৫ম সন্তানের জন্ম হয়। তারপর, সবাইকে হত্যা।

ইয়েটসকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। কেন নিজের সন্তানদের তিনি হত্যা করেছেন এর সদুত্তর তিনি পারেননি। দুর্বলভাবে বলেন, বাচ্চাদের আত্মাকে রক্ষার জন্য তাদের হত্যা করতেই হতো। আমেরিকায় তখনো পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন বা সাইকোসিস এতটা প্রচলিত টার্ম না। আদালত ইয়েটসকে সম্পূর্ণরূপে দোষী সাব্যস্ত করেন। কিঞ্চিৎ দয়া করে তাকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বলা হয়, ৪০ বছর পর তিনি প্যারোলে মুক্তি পাবেন।

পরের ঘটনা অনেক দীর্ঘ। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটি, নানান মানবাধিকার সংস্থার তোড়জোড়ে ৪ বছর পর প্রমাণ করা সম্ভব হয় যে ইয়েটস সজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ড ঘটাননি। তিনি রোগে ভুগছিলেন। নির্দোষ প্রমাণ হোন ইয়েটস। জেল থেকে বের হয়ে তাকে চলে যেতে হয় মানসিক হাসপাতালে।

২। ৪-৫ বছর আগের কথা। আমার পরিচিত এক ভাই জানালেন তিনি অদ্ভুত কিন্তু মারাত্মক একটা বিপদে পড়েছেন। অল্পদিন হয় তাদের সন্তান হয়েছে। কিন্তু সন্তানপ্রাপ্তির আনন্দের বদলে তার এখন সময় কাটছে মহা দুশ্চিন্তায়, আতংকে ও অত্যাচারে। উনার স্ত্রী ঘুমান না। রাত দিন কখনোই না। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঠায় বসে থাকেন ঘন্টার পর ঘন্টা। কারণ ভদ্রমহিলার ধারণা হয়েছে আশাপাশে যারা আছে সবাই বাচ্চাকে মেরে ফেলবে। সবচেয়ে ভয়ের কথা, বাচ্চার বাবাকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। বাবা সন্তানকে আদর করতে আসলে মা ভয়ে কাঁপতে থাকে। তার মনে হয় এই লোক যখন তখন বাচ্চার গলা টিপে দেবে। মায়ের মতে, বাচ্চার বাপের ভাবসাব খুবই সন্দেহজনক। তিনি প্রায় নিশ্চিত, বাপের বাচ্চা খুন করার প্ল্যান মাথায় ঘুরছে।

এই ভাই তখন দুচোখে অন্ধকার দেখছেন। তাবিজ কবচ, দোয়া-কালাম সব করানো শেষ। কিছুতে কিচ্ছু কাজ হয় না। ঘুম ও খাবারের অভাবে উনার স্ত্রীর চেহারা জম্বীর মতো হয়ে যাচ্ছে। কারো কোলে বাচ্চা না দিয়ে একটানা বসে থাকার কারণ পা ফুলে যাচ্ছে মায়ের। অসহনীয় সংকট।

আমি রোগীর সঙ্গে নিজে কথা বললাম, দেখলাম ঘটনা যা শুনেছি তারচেয়ে বেশি গুরুতর। নিজে সঙ্গে গিয়ে রোগী পাঠালাম সিলেটের প্রখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ সিদ্ধার্থ পাল স্যারের চেম্বারে। স্যার ডায়াগনোসিসে লিখলেন, পোস্টপারটাম সিন্ড্রোম/সাইকোসিস। ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা শতভাগ সঠিক প্রমাণ হলো। এক দুই মাসের চিকিৎসায় প্রায় উন্মাদ রোগী শতভাগ স্বাভাবিক।

৩। ফেসবুকে আজকে একটা ছবি দেখলাম। সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া কোনো এক মা লিখে রেখেছেন, বাচ্চার রক্ত তিনি পান করতে চান। জ্বীন ভূত চিন্তা করে যথারীতি সর্বাত্মক দোয়া কালাম ও তাবিজ কবচ দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো উন্নতি না দেখে ও বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি চিন্তা করে পরিবারের লোকজন বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়ে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। যে ডাক্তার ছবিটা পোস্ট করেছেন, তিনিও ডায়াগনোসিসে লিখে রেখেছেন পোস্টপার্টাম সাইকোসিস।

প্রায়ই খবর দেখবেন, মায়ের হাতে শিশু সন্তান খুন। এমন কাণ্ডে সবার আগে প্রায় সবাই পরকীয়া ব্যাপারটিকে সামনে নিয়ে আসে। প্রেম ও পরকীয়া জড়িয়ে কোনো খুন হলে এমনিই বাংলাদেশের মিডিয়া ও ফেসবুকারদের মধ্যে উৎসব উৎসব আবহ কাজ করে। দিনের পর দিন ফলোআপ রিপোর্ট ও পোস্ট লেখা হয়। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন তো, মায়ের হাতে সন্তান খুনের পরবর্তী কয়টা ফলোআপ রিপোর্ট আপনি পড়েছিলেন? গুগলে এখনই চাইলে সার্চ দিতে পারেন। শুধু বাচ্চা খুন, মাকে জেলে পাঠানো...এইটুক ছাড়া বাড়তি আর কোনো খবর পাওয়া যায় না। ঘটনাগুলো স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। পরকীয়া শুধু সন্দেহের ভেতরেই থাকে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। এমন দশটি ঘটনার নয়টিতেই পত্রিকার ফলোআপে প্রেম-পরকীয়া কোনো ইস্যু পাবেন না।

কেস স্ট্যাডিগুলো বিস্তারিত লেখা যায়, তাতে লেখার কলেবর শুধু শুধু বড়ো হবে। আমি যে কয়েকটা পড়েছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লেখা সাংসারিক কলহ, অভাব ইত্যাদির কারণে মা নিজের বাচ্চাকে হত্যা করেছে। কিছু খবরে বলা হয়েছে, কিছুদিন যাবত নারীটি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবারে সাংসারিক কলহ আছে, অভাবও আছে কয়েক কোটি মানুষের। শুধুমাত্র এ কারণে মা সন্তানকে হত্যা করবে, এটা বিশ্বাস হয়? তাও না হয় মেনে নিলাম।

হোয়াট এবাউট “কিছুদিন ধরে অসুস্থ?”

এই কিছুদিন ধরে অসুস্থ কথাটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এটাই পোস্ট পার্টাম সিন্ড্রোম, পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন, পোস্টপার্টাম সাইকোসিস।

৪। আমাদের মুড মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। সন্তান গর্ভধারণ, গর্ভে বড়ো করা, জন্ম দেয়া, মাতৃদুগ্ধ প্রোডাকশন...প্রত্যেকটা ধাপই হরমোনের খেলা। সবার ক্ষেত্রে খেলাটা ঠিকঠাক নিয়ম মেনে হয় না। একটা গন্ডগোল লেগে যায়। আমি গর্ভবতী কিছু নন স্মোকার মহিলাকে গর্ভকালীন সময়ে বিড়ি খেতে দেখেছি। শুনেছি কেউ কেউ নাকি মাটিও খায়।

মহিলারা চিন্তা ও যুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। ফোবিয়া-বিষন্নতা, অলিক চিন্তা এসে ভর করে। মায়েরা ভাবে, পুরো জগত তার বাচ্চাকে মারতে চাইছে। কারো কারো মনে হয়, বাচ্চাকে মেরে ফেলেটাই বাচ্চার জন্য সবচেয়ে উপকারী। গবেষণা বলছে প্রতি হাজার জন্মে ২-৩ দিন মহিলা এমন সমস্যায় পড়তে পারেন। একেবারে সামান্য নয় কিন্তু সংখ্যাটা। পিপিপিতে আক্রান্ত মহিলাদের ৫-৬% বাচ্চার ক্ষতি করেন, প্রায় সমান সংখ্যক করে ফেলেন আত্মহত্যা। এই ফিগারগুলোকে মনে মনে সাজালে এবং পত্রিকায় মা কর্তৃক শিশু হত্যার খবরগুলোকে জোড়া দিলে দেখবেন, হিসাব মিলছে। যাই হোক, এটা বিশাল বড়ো টপিক, একটা পোস্টে লেখা সম্ভব না। আমার কাজও না। সাইকিয়াট্রিস্টরা এসব নিয়ে লিখবেন ও বলবেন আশা করি।

আমাদের দেশে মা কর্তৃক সন্তান হত্যার প্রতিটা ঘটনায় মাকে জেলে ভরে দেয়া হয়েছে। ডোন্ট জাজ মি রঙ, কিছু ক্ষেত্রে মায়েরা হয়তো ঠাণ্ডা মাথাতেই সন্তান খুন করে। জগত বিচিত্র, অনেক কিছুই সম্ভব। তবে বিভিন্ন ঘটনা ও গবেষণা পড়ে আমার মনে হয়েছে বেশিরভাগ তো বটেই সম্ভবত দু একটা বাদ দিলে সব ঘটনার পেছনে কলকাঠি নাড়া কারণটা হলো পোস্টপার্টাম সিন্ড্রোম/ সাইকোসিস।

১৯৯৯ সালে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বহুদিনের গবেষণার পর উপসংসারে বলে, নবজাতক হত্যার প্রায় সবগুলো ঘটনাই ঘটে মায়ের হাতে। বাবারাও সন্তান খুন করে, তবে মায়ের চেয়ে কম। বাবার হাতে খুন হওয়া বেশিরভাগ বাচ্চার বয়স ৮ এর বেশি। ইউকে ১৯৯৭-২০০৬ সাল পর্যন্ত ডাটা সংগ্রহ করে দেখেছে, বাচ্চা খুন করা ৩৭% মা ঘটনার আগে লাইফের যে কোনো পর্যায়ে মানসিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আন্দ্রিয়া ইয়েটসের ঘটনার পর সারা দুনিয়াই নড়েচড়ে বসে। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে পোস্টপার্টাম সাইকোসিসের সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় বিচারের আগে। ইয়েটসের মতো যুক্তরাজ্যে ২০০৯ সালে এমন একটা ঘটনা ঘটে। ডেবোরাহ ব্ল্যাক নামের এক মহিলা তার দ্বিতীয় সন্তানকে মুখ চেপে হত্যা করেন। আদালত পোস্টপার্টামের প্রমাণ পেয়ে মেন্টাল হোমে পাঠায়। পুরো ইউকেতে এই এক ঘটনায় পোস্টপার্টাম সিন্ড্রোম নিয়ে প্রচুর কাজ হয়।

লিসা গিবসন নামের কানাডার মহিলা দুই সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন ২০১৩ সালে। এই ঘটনায় কানাডার লোকজনও ব্যাপকভাবে পোস্টপার্টাম ইস্যু নিয়ে সরব হয়। ইন্ডিয়াতে পর্যন্ত মঞ্জু শর্মা নামের এক নারীর সন্তান হত্যার চেষ্টায় বেশ আলোচনা হয়েছিল।

আলোচনা হয় না শুধু আমাদের এ দেশে। একেকটা খবর আমরা দেখি, শুনি এবং ভুলে যাই। মায়েদের হাতে এতগুলো হত্যা, কেউ কোনোদিন প্রশ্ন তুলল না। কোনো সাংবাদিক বলল না, খুঁজি তো কারণ কী? কোনো এনজিও আসল না সার্ভে করতে। কোনো সাইকিয়াট্রিক সংগঠন বিবৃতি দিল না। কী এক নিদারুণ দেশ আমাদের!

সন্তান জন্মদানের পরপর মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। বিশেষত যে নারী আগে মানসিক সমস্যা ভুগেছে, পরিবারের কারো মানসিক সমস্যা আছে তাদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা লাগবে। সন্তান হত্যা বহু দূরের ও চূড়ান্ত একটা ধাপ। তার আগেই মানুষ ডিপ্রেশন, ফোবিয়া ও মুড ডিস্টার্বেন্সে অনেক কষ্ট পায়। আশার কথা হচ্ছে, পোস্টপার্টাম সিন্ড্রোম বা সাইকোসিস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য অসুখ। নিরাময় থাকা অবস্থায় কষ্ট পাবার মানে নেই।

পোস্টপার্টাম নিয়ে প্রচুর আর্টিকেল ও খবর অনলাইনে ঢুকলেই পাবেন। লক্ষ্মণ ও কারণ ব্যাপারে সবিস্তারে লেখা আছে। খুঁজে না পেলে জানাবেন। এসব লিখে লেখাটা আরো দীর্ঘ করতে চাইনি।

মেয়েদের জন্য সন্তান এত আরাধ্য বস্তু, সম্ভবত জগতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত। ভ্রুণ থেকে নিয়ে আস্তো একটা মানুষ জন্ম দেবার ব্যাপারটা দীর্ঘ, জটিল ও কষ্টদায়ক। “মায়ের চেয়ে আপন কেহ নাই” কথাটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চর্চিত সত্য প্রবচন। সন্তানের জন্য মায়ের কোল এক টুকরো জান্নাত।

এই মা নিজের সন্তানকে অসুখে ভোগে পানিতে চুবাচ্ছে, বটি দিয়ে কোপাচ্ছে, রক্ত খেতে চাইছে...এরচেয়ে অস্বাভাবিক কিছু পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না। এসব মায়েদের খুনী নয়, রোগী ও দুঃখী হিসেবে আমাদের বিবেচনা করা উচিত।

এই মা তার ৫ মাসের সন্তানকে গলা কে/টে হ/ত্যা করেছে। মা নিজেই আবার পুলিশের কাছে ধরা দিল।পুলিশ তাকে জিজ্ঞেস করল কেন মা/র/লে...
16/09/2025

এই মা তার ৫ মাসের সন্তানকে গলা কে/টে হ/ত্যা করেছে। মা নিজেই আবার পুলিশের কাছে ধরা দিল।

পুলিশ তাকে জিজ্ঞেস করল কেন মা/র/লে/ন নিজের সন্তানকে...??? মা বললো "ছোটজন হবার পর বড় জনের যত্ন নিতে পারতনা। রান্না করতে পারত না।
এ কারনে সে তার সন্তানকে গলা কে*টে হ*ত্যা করে।"

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে বড় একটা পরিবর্তন আসে। এরপর সন্তান জন্মদানের পর এই মায়েরা নিজের যত্ন নেয়া ভুলে যায়। রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে পার করে দেয় বাচ্চার জন্য। খাওয়া, ঘুম কোনটাই হয় না। দিনের পর দিন রাতের পর রাত বিশ্রাম নিতে পারে না। তখন মায়েরা পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে সেটা পোস্ট পার্টাম সাইকোসিসে রূপান্তরিত হয়ে যায় যেটা খুনা খুনী পর্যন্ত চলে যায়।

বাচ্চা হওয়ার পর পরিবারের দায়িত্ব মায়ের প্রতি যত্ন নেয়া। পর্যাপ্ত খাওয়া এবং ঘুম নিশ্চিত করা।
কিন্তু এ দেশে উল্টো মা কেই সব দিক দিয়ে অযত্ন ও প্রেসার দেয়া হয়। বাচ্চা হওয়ার পর পরিবারের দায়িত্ব মায়ের প্রতি বাড়তি কেয়ার নেয়া। অনেক সময় মা নিজেও বুঝতে পারে না তার কোথায় সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত রক্ষণশীল আচরনের জন্য বাচ্চা কারো কোলে দেয় না, বাচ্চা রেখে ঘুমায় না ইত্যাদি নানা সমস্যা।

একজন মা যদি তার মাতৃত্ব যাত্রা নিয়ে আগে থেকে পড়াশোনা করে তবে এই কঠিন যাত্রার পথ সম্পর্কে তার ধারনা থাকবে। ফলে নেতিবাচক যেকোন ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

🎈 নবজাতকের স্তন বৃদ্ধি : সচেতনতা :পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানতে সাহায্য করবেন প্লিজ। ছোট অবুঝ বাবুটি কতোই না কষ্ট পাচ্...
14/09/2025

🎈 নবজাতকের স্তন বৃদ্ধি : সচেতনতা :পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানতে সাহায্য করবেন প্লিজ।

ছোট অবুঝ বাবুটি কতোই না কষ্ট পাচ্ছে,শুধুমাত্র নানী- দাদীর সামান্য ভুলের জন্য।

২ জন পরামর্শ করে ১০ দিনের শিশুর স্তন হতে দুধ বাহির করতে স্তনে টিপে চেষ্টা করেন।

ফলাফল:

শিশুর স্তনে ইনফেকশন হয়ে পুজ- পানি (Breast Abscess) হয়ে যায়। এখন সার্জারী করে ঠিক করতে হবে। মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারী ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছি।

আমার প্রতিটি শিশু রোগীর মাকে বলে দেয়, আপনার শিশুর ভাল- মন্দ আপনাকেই বুঝতে হবে। নানি- দাদির পরামর্শ নিবের তবে যা আপনার কাছে যুক্তিসংগত মনে হয়।

আমাদের সমাজটায় যে কেমন, সন্তান খারাপ হলে সব দোষ মায়ের আর ভাল হলে সবকিছু বাবা,আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কৃতিত্ব।

নবজাতকের স্তন অল্প বড় (Neonatal Mastauxe) হওয়া স্বাভাবিক। যা নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়।

মায়ের হরমোন (ইস্ট্রোজেন ও প্রোল্যাকটিন) → নবজাতকের স্তনগ্রন্থি বৃদ্ধি জন্য দ্বায়ী।

কিভাবে বুঝবেন?

উভয় পাশে ছোট, শক্ত, বেদনাহীন স্তন উঁচু,মাঝে মাঝে হালকা দুধের স্রাব (“witch’s milk”) বাহির হতে পারে।

চিকিৎসা:

* সাধারণত চিকিৎসার দরকার হয় না। নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়। এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়।

* কোন ভাবেই স্তনে ম্যাসেজ করে বা টিপে দুধ বাহির করতে যাবেন না প্লিস। এতে স্তনে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে, যা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।

Dr.Ashraful Amin Chowdhury
নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
এবং শিশু বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

হাসপাতালের একজন স্টাফ এসে মধুর সুরে বললো,-একটা কথা আছলো ম্যাডাম।-বলো।-হামার একটা রুগী আছলো ম্যাডাম। ওরা ডাইরেক সিজার করব...
12/09/2025

হাসপাতালের একজন স্টাফ এসে মধুর সুরে বললো,
-একটা কথা আছলো ম্যাডাম।

-বলো।
-হামার একটা রুগী আছলো ম্যাডাম। ওরা ডাইরেক সিজার করব্যার চায়। কিন্তু সমিস্যা,একটু মোটাসোটা। আপনি কি এঠি কর‍্যে দিবেন?
-রোগীর ওজন কত?
-ওজন? কত ব্যান হবি! কিন্তু মোটা মেলাই। মেলাই ওজন হবি।
-মেলা বলে তো কোন কথা নাই। ওজন কত সেটা বলো। ১০০ হবে?
-১০০ হবি না হয়তো! কাছাকাছিই হবি।
-তাও কত?
-তা তো কওয়া পারিচ্চি না ম্যাডাম। এই মুনে করেন আপনার মুতোনই মোটা।

🙄🙄🙄🙄🥵🥵🥵🥵🥵👹👹👹👹👹

© ফাহমিদা নীলা

Address

Shopnodanga Housing
Dhaka
1211

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Matritto - মাতৃত্ব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Matritto - মাতৃত্ব:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram