17/11/2025
প্রার্থী পরিচিতি
পিরোজপুর–৩ (মঠবাড়িয়া)
Dr. Shamim Hamide
ড. শামীম হামিদী একজন শিক্ষাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সক্রিয় মুখ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শিক্ষা, গবেষণা, নৈতিক রাজনীতি ও মানবিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে আসছেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম (UTF)-এর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহাসিক সাফা বন্দরে এক আলোকিত ও সম্মানিত মুসলিম পরিবারে। তাঁর দাদা আব্দুল হাকিম হামিদী ছিলেন সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাফা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম—যিনি এলাকায় “ইমাম সাহেব হুজুর” নামে সর্বাধিক শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। পিতা হাফেজ শহীদুল্লাহ হামিদী ছিলেন শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং একই মসজিদের ইমাম হিসেবে সারা জীবন মানুষকে শিক্ষা, নৈতিকতা ও সেবার পথে পরিচালিত করেছেন।
এই শিক্ষামূলক ও ধর্মভীরু পরিবেশে বেড়ে ওঠা শামীম হামিদীর শৈশব–কৈশোর কেটেছে তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি মঠবাড়িয়ায়। স্থানীয় মানুষের জীবনসংগ্রাম, নদী–নির্ভর সমাজ এবং উপকূলীয় বাস্তবতা তাঁর মধ্যে গড়ে তোলে মানবিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও নেতৃত্বের পথচলার বীজ।
ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ার International Islamic University Malaysia (IIUM)-এ যান এবং ২০১৮ সালে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের Sociology & Anthropology বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নেতৃত্ব, সংগঠন পরিচালনা, সামাজিক উদ্যোগ ও সেবামুখী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে কাজ, সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্মে জড়িত থাকা, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এবং বিএনসিসির মাধ্যমে শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের গুণাবলী তিনি আরও শক্তভাবে গড়ে তোলেন।
দেশে ফিরে তিনি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্যোক্তা কার্যক্রম ও জনসেবামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। সাফা বন্দর ও তুষখালী বাজারে ইসলামী ব্যাংকের দুটি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা প্রতিষ্ঠা করে তিনি স্থানীয় মানুষের আর্থিক সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। সামাজিক সংগঠন “ব্লাডওয়ালা বাংলাদেশ”-এর সভাপতি হিসেবে অসংখ্য রোগী, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষ এবং বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মঠবাড়িয়ার প্রতি তাঁর হৃদয়ের টান, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে একটি শিক্ষাভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসে। তিনি বিশ্বাস করেন—মঠবাড়িয়ার উন্নয়ন হবে সৎ নেতৃত্ব, আধুনিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান, মাদকমুক্ত সমাজ ও সেবামুখী প্রশাসনের ভিত্তিতে।
এবারের নির্বাচনে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)-এর প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িয়ার মানুষের সামনে এক নতুন ভবিষ্যতের প্রত্যাশা নিয়ে হাজির হয়েছেন—যেখানে রাজনীতি হবে নৈতিক, উন্নয়ন হবে বাস্তব, আর নেতৃত্ব হবে সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক।
মঠবাড়িয়া সমাচার