University of Dhaka - Faculty of Medicine

University of Dhaka - Faculty of Medicine Dept. of Physiotherapy, This is not official page of Dhaka University.

 # # #ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা: আপনার সুস্বাস্থ্যের পথপ্রদর্শকফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হল এক বিশেষজ্ঞ সেবা যা আপনার শারীরিক সমস্যা...
12/07/2024

# # #ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা: আপনার সুস্বাস্থ্যের পথপ্রদর্শক

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হল এক বিশেষজ্ঞ সেবা যা আপনার শারীরিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সাহায্য করে। এটি ব্যথা নিরাময়, চলাফেরার সমস্যা সমাধান, এবং দৈনন্দিন কাজগুলো সহজ করে তোলে। এখানে আমরা তুলে ধরছি ফিজিওথেরাপির কিছু প্রধান সুবিধা:

1. **ব্যথা কমাতে সহায়ক**: দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা যেমন ঘাড়, কোমর বা হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর।

2. **আঘাত থেকে পুনরুদ্ধার**: ক্রীড়াজনিত আঘাত বা দুর্ঘটনার পর দ্রুত সুস্থ হতে ফিজিওথেরাপি বিশেষভাবে সহায়ক।

3. **শারীরিক সামর্থ্য বৃদ্ধি**: নিয়মিত ফিজিওথেরাপি সেশন আপনার শরীরের ফিটনেস এবং শক্তি বাড়িয়ে তোলে।

4. **সার্জারির বিকল্প**: অনেক সময় সার্জারির পরিবর্তে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করেই সুস্থ হওয়া সম্ভব।

5. **মনোরোগ নিরাময়**: ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করে।

আমরা, ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ হিসেবে, আপনাকে সেরা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুস্থ ও শক্তিশালী জীবনের জন্য আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

ব্যথা মুক্ত জীবন: ফিজিওথেরাপির ম্যাজিক! | Dr. Md. Anwar Hossainআপনি কি দীর্ঘদিন ধরে ব্যথায় ভুগছেন? আর না! আজই জানুন কিভ...
12/07/2024

ব্যথা মুক্ত জীবন: ফিজিওথেরাপির ম্যাজিক! | Dr. Md. Anwar Hossain

আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে ব্যথায় ভুগছেন? আর না! আজই জানুন কিভাবে ফিজিওথেরাপি আপনাকে ব্যথা মুক্ত জীবনের পথ দেখাতে পারে। আমি Dr. Md. Anwar Hossain, একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অত্যাধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সমাধান।

এই ভিডিওতে, আমরা শিখবো:
- ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব ও কার্যকারিতা
- সহজ ব্যায়াম ও পদ্ধতি যা আপনি বাড়িতেই করতে পারবেন
- কিভাবে ফিজিওথেরাপি আপনার দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে

আপনার জীবনকে আরো সহজ ও সুস্থ করে তুলুন! ভিডিওটি দেখে উপকৃত হোন এবং শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনদের সাথে।
#ব্যথামুক্তজীবন #ফিজিওথেরাপি #ডক্টরআনোয়ার

14/01/2024
12/01/2024





ভারতের Bachelor of Physiotherapy ( BPT) কোর্স ৪.৫ বছর ( ৪ বছর থিওরি + ৬ মাস ইন্টার্নিশিপ)  থেকে ৫ বছর ( ৪ বছর থিওরি +১ ব...
06/01/2024

ভারতের Bachelor of Physiotherapy ( BPT) কোর্স ৪.৫ বছর ( ৪ বছর থিওরি + ৬ মাস ইন্টার্নিশিপ) থেকে ৫ বছর ( ৪ বছর থিওরি +১ বছর ইন্টার্নিশিপ) করা হয়েছে

গান্ধী কেন নোয়াখালী এসেছিলেন? কেনই বা ছাগল হারিয়েছেন?নোয়াখালীর মানুষ কত খারাপ সেটা বুঝানোর জন্য উদাহরণ হিসেবে অনেকেই বলে...
30/09/2023

গান্ধী কেন নোয়াখালী এসেছিলেন?
কেনই বা ছাগল হারিয়েছেন?

নোয়াখালীর মানুষ কত খারাপ সেটা বুঝানোর জন্য উদাহরণ হিসেবে অনেকেই বলে থাকেন ‘নোয়াখালীর মানুষ গান্ধীর ছাগল চুরি করেছিলো’। সেরকমই এক অর্বাচীনের সাথে হঠাৎ দেখা হলো। খুব ভাব নিয়ে গান্ধীর ছাগল চুরির বর্ণনা দিয়ে আসছেন। আমি তাকে বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করলাম, গান্ধী কেন নোয়াখালী গিয়েছিলেন?
তিনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। আমি তাকে বললাম নোয়াখালী মনে হয় সেসময় এখনকার কক্সবাজারের মতো ছিল। আপনার মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে হাওয়া খেতে এসেছিলেন। সেসময় নোয়াখাইল্যারা তার ছাগল চুরি করেছিলো। এমন কিছু? তিনি আর কিছু বললেন না।
যাই হোক মহাত্মা গান্ধী যাকে বলা হয় তার নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাকে অনেকে মহান আত্মার অধিকারী মনে করেন বিধায় তাকে মহাত্মা বলে থাকেন। আমার কাছে তাকে নিচু আত্মার বলেই মনে হয় বলে আমি কখনোই তাকে মহাত্মা বলি না। সে যাই হোক তার কথা পরে হবে। কেন সে নোয়াখালী গিয়েছিল? কেনইবা তাকে ছাগল হারাতে হয়েছিল? এসব বিষয় প্রাসঙ্গিকভাবে আসবে। তার আগে আমরা অন্য একটা বিষয়ে দৃষ্টিপাত করি।
নোয়াখালীতে ১৯৪৬ সালে একটি দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়। ভয়াবহ দাঙ্গা। এটি ইতিহাসে নোয়াখালী রায়ট/দাঙ্গা নামে পরিচিত। ইংলিশে এই লিখে সার্চ করলে অনেক আর্টিকেল পাবেন। বাংলায়ও পেতে পারেন। উইকিতেও বেশ ভালো আর্টিকেল আছে এই নিয়ে। আপনি যদি সেগুলো পড়েন তবে আপনি এক তরফা একটি ইতিহাস পাবেন যেখানে বলা হয়েছে হিন্দুদের প্রতি ভয়াবহ নির্যাতনের কথা।
অথচ বর্তমানে নোয়াখালীর অনেকেই সেই দাঙ্গার কথা জানেন না। না জানার কারণ এই ইতিহাস নিয়ে কারো লিখার দরকার হয়নি। যেহেতু এখানে হিন্দুদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে তাই তারাই এটা নিয়ে গবেষণা করেছে। দাঙ্গার কিছুদিন পরেই নোয়াখালী পাকিস্তানের অন্তর্গত হওয়ায় মুসলিমরা এই অঞ্চলে জয়ী হয়ে যান।
নোয়াখালীতে দাঙ্গার সূত্রপাত নোয়াখালীতে নয়। মুসলিম লীগের নেতৃত্বে মুসলিমরা পাকিস্তান দাবী করেছে আর অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে হিন্দুরা একক ভারতের জন্য দাবী জানাচ্ছে। এই নিয়ে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগেছে কলকাতায়। তারই সূত্র ধরে বিহারে শুরু হয়। কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম সমান সমান ছিলো বলে পরিস্থিতি অতটা নাজুক হয়ে পড়ে নি। তবে বিহারে মুসলিমদের অবস্থা হচ্ছিলো অত্যন্ত করুণ।
এখন যেভাবে আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। সেসময় বিহার হতে নোয়াখালীতে ঢল নেমেছিলো। নোয়াখালী যদিও একেবারে মুসলিম অধ্যুষিত ছিল না, তবে নানান কারণে নোয়াখালীতে বিহারীরা এসেছিলো। এর অন্যতম কারণ নোয়াখালীর মুসলিমরা অন্য মুসলিমদের মতো অসচেতন ছিল না। তারা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন। এর কারণ এখানে ওহাবী আন্দোলন এবং হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল।
বিহারীরা নোয়াখালীতে আসার আরেকটি কারণ ছিল গোলাম সরোয়ার হুসেইনী। তাঁর বাড়ি বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার শামপুরে। তিনি ছিলেন পীর পরিবারের। তারা বংশানুক্রমিকভাবে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি নির্যাতিত বিহারীদের নোয়াখালীতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্যে তাদের নিরাপত্তা ও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য একটি বাহিনী তৈরি করেন। এটি মিয়ার ফৌজ নামে পরিচিত ছিল।
গোলাম সরোয়ার হুসেইনী রাজনৈতিক লোক ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির নমিনেশন নিয়ে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হন। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
যাই হোক গোলাম সরোয়ার সাহেব বিহারীদের আশ্রয় দিচ্ছিলেন পাশাপাশি বিহারে ও কলকাতায় দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টায় সাড়া দেয়নি কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ। তিনি সবার কাছে চিঠি লিখেন এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যার সমাধান চান। কেউ সমাধানে জোরালো ভূমিকা রাখেন নি। তিনি খুবই হতাশ হয়েছিলেন।
এদিকে রায়পুরের হিন্দু জমিদার চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরী নোয়াখালীতে বিহারীদের এই অনুপ্রবেশ পছন্দ করছিলেন না। তিনি বিহারীসহ মুসলিমদের আগমন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরীর এই আচরণ সরোয়ার সাহেবকে ব্যাথিত করেছিলো। তিনি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জমিদার তা মানতে নারাজ। জমিদার কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন। সরোয়ার সাহেব তাই গান্ধীকে খবর জানালেন যাতে তিনি জমিদারকে তার নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বিরত রাখেন। গান্ধী তার আহ্বানকে পাত্তা দিলেন না। এদিকে জমিদার নোয়াখালী থেকে সকল বহিরাগত মুসলিমকে উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছেন।
সরোয়ার হুসেইনী কারো থেকে কোন সাহায্য না পেয়ে অবশেষে তিনি তার আস্তানা সামপুরের দিয়ারা শরীফে তার ভক্তদের ও মুসলিমদের এক সমাবেশ ডাকলেন। সেখানে তিনি মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং চিত্তরঞ্জনের রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানান।
সকল মুসলিম তার আহবানে সাড়া দেয়। চিত্তরঞ্জনকে অবরোধ করে মুসলিমরা। সে বৃটিশ পুলিশ, আগ্নেয়াস্ত্র, তার পেয়াদা বাহিনী, কংগ্রেস কর্মী ও জলকামান দিয়েও সেদিন মুসলিমদের আটকাতে পারেনি। অবশেষে সে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে এবং নিজে আত্মহত্যা করে। সরোয়ার সাহেবের এই অভিযানে তাঁকে সহায়তা করেন জনৈক মুসলিম লীগ নেতা কাশেম। সরোয়ার সাহেবের বাহিনীর নাম মিয়ার ফৌজ আর কাশেমের বাহিনীর নাম ছিল কাশেম ফৌজ।
জমিদারের পতনের পর তারা পুরো নোয়াখালীতে কয়েকটিভাগে ভাগ হয়ে হিন্দু উচ্ছেদে নেমে পড়েন। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনা প্রবাহ পাল্টে যায়। এবার হিন্দু শরনার্থীদের ঢল শুরু হয় নোয়াখালী থেকে। এতক্ষণে টনক নড়ে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। তিনি মুসলিম নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন সরোয়ার হুসেইনীকে থামানোর জন্য। কিন্তু কোন মুসলিম নেতার কথা এমনকি তার দলের প্রধান বরিশালের এ কে ফজলুল হকের কথাও শুনেন নি সরোয়ার সাহেব। কারণ এতদিন কেউ তাকে কোন সহায়তা করেনি।
অবশেষে তাকে থামানোর জন্য গান্ধী নিজেই এসেছিলেন নোয়াখালীতে। নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কংগ্রেসের উদ্যোগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ইতিমধ্যে সরোয়ার হুসেইনী ঘোষণা দিয়েছেন তিনি পুরো বাঙলা থেকে হিন্দুদের উচ্ছেদ করবেন। গান্ধী এসে সরোয়ার সাহেবের সাথে দেখা করতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে রাজি হন।
গান্ধী যেখানেই যান সেখানেই তিনি একটি ছাগল নিয়ে যান। তিনি সেই ছাগলের দুধ পান করেন। সরোয়ার সাহেবের আস্তানায় প্রবেশ করা মাত্রই তার ছাগল হস্তগত করেন মিয়া ফৌজের লোকেরা। যখন সারোয়ার সাহেবের সাথে তার কথা হচ্ছিলো তখনই রান্না করা ছাগল উপস্থাপন করা হয় গান্ধীর সামনে। এটা ছিল সরোয়ার সাহেবের একটি থ্রেট। গান্ধী সরোয়ার সাহেবের এই আচরণেই আন্দাজ করতে সক্ষম হয় নোয়াখাইল্লারা কী জিনিস!
সরোয়ার সাহেব গান্ধীকে বলেন, আপনি ভুল স্থানে এসেছেন। দাঙ্গার সূত্রপাত এখানে নয়। আপনাকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি বিহারে ও কলকাতায়। আপনি এসেছেন নোয়াখালীতে। যেদিন কলকাতায় ও বিহারে সংঘর্ষ বন্ধ হবে সেদিন নোয়াখালী ঠান্ডা হয়ে যাবে। গান্ধী অনুরোধ করেছেন তিনি চেষ্টা চালাবেন এই সময়ের মধ্যে নোয়াখালীতে যাতে হিন্দু উচ্ছেদ বন্ধ থাকে। সরোয়ার সাহেব বলেছেন আপনি কি আমাকে এই নিশ্চয়তা দিবেন আমি বন্ধ করার সাথে সাথে বিহারে ও কলাকাতায় বন্ধ হবে?
গান্ধী নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। সরোয়ার হুসেইনী বললেন তাহলে আমাকে আপনি কোন অনুরোধ করার যোগ্যতা রাখেন না। আমি আপনার নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত নই। আমি আপনাকে নোয়াখালীতে আহ্বান করিনি। সরোয়ার সাহেবের হুমকিতে গান্ধী কাজ শুরু করলেন। তিনদিনের মধ্যে পুরো ভারতে দাঙ্গা বন্ধ হলো। একথা সরোয়ার সাহেবের কাছে স্পষ্ট ছিলো গান্ধীর হাতেই সকল চাবিকাঠি। সেই সকল দাঙ্গা লাগাচ্ছে এবং মুসলিমদের হত্যা করছে।
দাঙ্গা বন্ধ হলে গান্ধী নোয়াখালীতে তার নিরাপত্তা চাইলেন এবং হিন্দুদের কল্যাণে আশ্রম করার অনুমতি চাইলেন। সরোয়ার সাহেব তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলেন এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হিন্দু আশ্রম করার অনুমতি দেন। সেখানের হিন্দু নেতা হেমন্তের জায়গায় আশ্রম স্থাপিত হয়।

[ @ জামাল আফগানী ]

ডাঃ বা চিকিৎসক কারাসাধারণত কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে খোঁজ পড়ে একজন চিকিৎসকের, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ডক্টর, বাংলায় য...
28/09/2023

ডাঃ বা চিকিৎসক কারা

সাধারণত কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে খোঁজ পড়ে একজন চিকিৎসকের, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ডক্টর, বাংলায় যাকে ডাক্তার হিসেবে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশে চিকিৎসকদের মধ্যে ডক্টর বা ডাক্তার হিসেবে কাউকে অভিহিত হতে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টি অধিভুক্ত যেকোনো স্বীকৃত মেডিকেল কলেজ বা চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চার বছরের থিউরি ও এক বছরের ইর্ন্টার্নি সহ মোট পাচ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হয়, নয়তো নামের আগে ডক্টর বা ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার তারা করতে পারেন না।

এবার আসুন জেনে নেয়া যাক কারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টি অধিভুক্ত পাচ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করে নামের আগে ডাঃ বা চিকিৎসক শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টি অধিভুক্ত পাচ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করে নামের আগে ডাঃ বা চিকিৎসক শব্দটি ব্যবহারকারী ডাঃ বা চিকিৎসকদের দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কাউন্সিল। এক কাউন্সিল অন্য কাউন্সিলের চিকিৎসকদের ব্যাপারে নাক গলানো বা খবরদারী করার কোন এখতিয়ার নেই।

০১. প্রথমেই আসা যাক মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসকদের ব্যাপারেঃ-

বাংলাদেশে এম বি বি এস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের মেডিকেল এবং বি ডি এস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ডেন্টাল চিকিৎসক নামে ডাকা হয় বা এ নামে তারা পরিচিত। মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসকদের দেখাশোনার জন্য যে কাউন্সিল রয়েছে তাকে বলা হয় বি এম ডি সি বা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাকট্রিসরত মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসক দের বি এম ডি সি কতৃক রেজিস্ট্রেশন দেয়াএবং আছে কিনা, তা যাচাই করা এবং দেখাশোনা করা। পাশাপাশি ভূয়া মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসক খুজে বের করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। পাশাপাশি মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট বা ডি এম এ পাশকৃত দের রেজিস্ট্রেশন দেয়া ও দেখা শোনা করা।

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) বাংলাদেশ মেডিকেল কাউন্সিল অ্যাক্টের আওতায় প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আইনের নাম বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ১৯৭৩। ঢাকার বিজয় নগরে বিএমডিসির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন দেয় বিএমডিসি। এর ফলে উক্ত মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। এছাড়া মেডিকেল এবং ডেন্টাল পড়াশোনার পর বাংলাদেশে এ সেবা দেয়ার ব্যাপারে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরদের অনুমোদন দেয় বিএমডিসি। সংস্থাটি বাংলাদেশে মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার ব্যাপারেও নীতিমালা প্রনয়ন করে।

বিএমডিসির কাজ
০১. মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল চিকিৎসার কারিকুলাম প্রনয়ন
০২. মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন প্রদান
০৩. মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসকদের লাইসেন্স প্রদান
০৪. পেষাদার মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দের রেজিষ্ট্রেশন প্রদান।

বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ শুধুমাত্র এমবিবিএস ও বিডিএস চিকিৎসকদের জন্য। অন্য কোনো চিকিৎসকদের জন্য এই এ্যাক্ট বা কাউন্সিল প্রযোজ্য নয়। কেননা তাদের দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে পৃথক কাউন্সিল।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক, অকুপেশনাল থেরাপি চিকৎিসক, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ও বিকল্প ধারার চিকিৎসকদের জন্য আলাদা এক্ট বা রেগুলেটরি বডি বা কাউন্সিল রয়েছে।
হোমিওপ্যাথি, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ও বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বিএমডিসির নেই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একার নেওয়ার ক্ষমতা নেই।

বিএমডিসি এক্ট ২০১০ এর ৯ বছর পর ভেটিনারি কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৯ এ স্পষ্ট বলা আছে ভেটিনারি চিকিৎসকরা নামের আগে ডাক্তার লিখবে। তাই তোমাদের এই এ্যাক্ট অন্যদের উপর প্রযোজ্য নয়।

বিএমডিসি এক্ট ২০১০ এর ৮ বছর পর বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল ( বি আর সি) অ্যাক্ট ২০১৮ তৈরি হয়েছে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের জন্য। বি এম ডি সি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের নামের আগে ডাঃ লেখা বন্ধ করার জন্য একটি রিট করেন হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সমস্ত কিছু দেখাশোনার পর বলেছে তারা নামের আগে ডাঃ শব্দটি ব্যবহার করবে কিনা এই সিদ্ধান্ত নিবে বি আর সি কাউন্সিল। এটা নেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত বি এম ডি সি র নেই। ফিজিওথেরাপি কাউন্সিল এর কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন থাকায়, হাইকোর্ট বলেছে কাউন্সিল পুর্নগঠন না হওয়া পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা নামের আগে ডাঃ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে বি এম ডি সি ২০১০ এর এ্যাক্ট প্রযোজ্য নয়।

যার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা লাগে না, সে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাকে অবমূল্যায়ন করে। আর যার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা লাগে তার ৯০ শতাংশ  ...
25/09/2023

যার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা লাগে না, সে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাকে অবমূল্যায়ন করে।

আর যার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা লাগে তার ৯০ শতাংশ ভালো মন্দ বুঝেও না খোজেও না। এরা সঠিক ফিজিওথেরাপি পায় না, কারণ আজ অধিকাংশ কাল হাসপাতাল বা ফিজিওথেরাপি সেন্টারগুলোতে টেকনিশিয়ান - আয়া-বুয়া-ওয়ার্ড বয়- লিফট ম্যান - ক্যান্টন বয় - পিয়ন - ড্রাইভার ফিজিওথেরাপি দেয়। -- এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

বাকি ১০% একটু যাচাই বাছাই করে যথাযথ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পায়। ১৮ কোটি জনগণের জন্য মাত্র ২-৩ হাজার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক আছে আমাদের দেশে।অবস্থা বুঝতেই পারছেন কতটা ভয়াবহ অব্যাবস্থাপনার মধ্যে আমরা আছি।

সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে একজন ফিজিওথেরাপি অধ্যাপক নাই।

অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কতৃক প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী ৫০ উর্ধ্বে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ মানুষের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রয়োজন।

আশা করি যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ এর মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যাবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌছাবে এবং দেশের মানুষ তাদের স্বাস্থ্য ও পূনর্বাসনের সুযোগ পাবেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে একজন ফিজিওথেরাপি অধ্যাপক নাই। অথচ অর্থোপিডিক্স, নিউরোলজি, নিউরোসার্জারী,...
24/09/2023

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে একজন ফিজিওথেরাপি অধ্যাপক নাই।

অথচ অর্থোপিডিক্স, নিউরোলজি, নিউরোসার্জারী, ও ফিজিওথেরাপি সম সাময়িক সময়েই চালু হয়েছিল। রিপোর্ট প্রকাশ কালীন সময়ে নিউরোমেডিসিন ও নিউরোসার্জারীতে কোন বিশেষজ্ঞ না থাকলেও সেই সময়ে ফিজিওথেরাপির ২ জন বিশেষজ্ঞ ছিল। অথচ আজ অর্থোপেডিক্স, নিউরোমেডিসিন ও নিউরোসার্জারীতে শত শত অধ্যাপক,সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক। কিন্তু ফিজিওথেরাপিতে ১/২ জন সহকারী অধ্যাপক পদ ছাড়া আজও কোন পদ নেই। এখন পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি অধ্যাপক পদ নাই।

অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিষয়গুলো এগিয়ে গেলেও কোন এক অজানা কারনে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও শিক্ষা অবহেলিত থাকে, যা এখনো আলোর মুখ দেখতে পারছে না ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা ছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা অসম্পূর্ণ থাকে।

রেফারেন্স: কুদরাত- খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট
পৃষ্ঠা ১২২

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when University of Dhaka - Faculty of Medicine posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share