Islamic Matrimony fb page

Islamic Matrimony fb page way to get married

13/10/2025

শাশুড়ীকে বললাম বাবা অ"সুস্থ দেখতে যাবো কিছু খেতে পারে না৷

শাশুড়ী বললো কিছু রান্না করে নিয়ে যাও
যা পছন্দ করে
আমিও বাবার পছন্দ করা
(পোলাও, রোস্ট, ছোট মাছ, ডিম কোরমা,দুই রকমের মাছ ভাজা,শুটকির বড়া,আর পায়েস রান্না করে নিয়ে আসছি)

বাবা বলে "মা তুমি তো হোটেল বানিয়ে ফেলছো

এমন শাশুড়ি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার! আলহামদুলিল্লাহ্
❤️
~নুসরাত

12/10/2025

বেশকিছু দ্বীনিবোনকে জানি যারা শ্বশুরবাড়িতে মাঝেমধ্যে নিজেদের অবাঞ্চিত মনে করে। লজ্জায় খেতে পারেনা, ক্ষিদা পেটে নিয়ে বসে থাকে। লজ্জায় কারো সামনে যায়না। তাদের অপরাধবোধ হয়। হয়তো ছোটবড় যেকোনো ইস্যুতে সবাই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মেয়েগুলোর দোষ থাক আর না থাক।

যে বাসায় থাকে ওই বাসার মানুষরা কথা বন্ধ করে দিলে ওই বাসার ভাত স্বাভাবিকভাবে কারো মুখ দিয়ে ঢুকবে? গলা দিয়ে খাবার নামবে?

এটা একটা মানসিক পেরেশানি যেটা ওই মেয়েগুলোকে একাই ডিল করা লাগে। আল্লাহ সেসব পরিবারকে হিদায়াহ দিক ও মেয়েগুলোকে মানসিকভাবে ভারমুক্ত করে দিক।

আরেকজনের মেয়ে আসলে রোবট না। সুপার উইম্যান না। সব ঝড়-ঝাপ্টা সহ্য করে বেশরমের মতো গপাগপ খাইতে পারবে এমনটাও ভাববেন না। কারণ এটা তার বাপের বাড়ি না, বাপের ভাতও না। আপনাদের বাড়িতে তার কোনো মা নাই যে বলবে, তুই খা ঠিকমতো।

এসব মেয়েদের ম্যাক্সিমাম নিজের সংসারের জন্য মরিয়া থাকে। নয়তো টিকে থাকার জন্য গন্ডারের চামড়া হওয়া বেছে নেয়। যেটাতে সে মানসিক শান্তি পায়।

দুনিয়ায় ছোট ছোট বিষয়ে অন্যের হক্ব নষ্ট হয় এটা আমরা ভুলে যাই। অপর মুসলমানের ছোটখাটো অসুবিধার বিষয়ে খেয়াল রাখা যদি গুরুত্বপূর্ণ না হতো তাহলে পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে সওয়াব পাওয়ার কথা বলা হতোনা।
____________
|| অবাঞ্চিত ||
মাহজাবিন খান শম্পা

#রৌদ্রময়ী

নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক এমন স্বামীর হাত থেকে আল্লাহ আমাদের বোনদেরহেফাজতে রাখুন।https://www.facebook.com/share/p/1PMtQaGgn...
12/10/2025

নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক

এমন স্বামীর হাত থেকে আল্লাহ আমাদের বোনদের
হেফাজতে রাখুন।

https://www.facebook.com/share/p/1PMtQaGgnk/

যে ঘটনা একজন আইনজীবী হিসেবে আমাকেও অসহায় করে তুলেছে…

মেয়েটির বয়স ২৩ বছর। বিয়ে হয়েছে দেড় বছর। ছয় মাস আগে স্বামীর ব্যবসার জন্য এনজিও থেকে লোন নিয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। নতুন বউ, স্বামীর মঙ্গল কামনায় নিজ নামেই লোন তুলে দিয়েছে। আগেপিছে কিছুই ভাবেনি। স্বামীর জন্য টাকা তুলে দিবে, এতে এতো ভাবনারই বা আছে কী! অতপর, পুরো টাকাটা স্বামী জুয়া খেলে লস করেছে।

দিন কয়েক আগে মেয়েটিকে তার স্বামী বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। গতকাল ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে, তালাকের সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে এনজিওর লোকজন সকাল বিকাল মেয়েটির বাড়িতে হাজির হচ্ছে। লোনের টাকা চাই, কিস্তির টাকা চাই। নইলে মামলা ঠুকে দিবে!”

আমি জানিনা, কিভাবে মেয়েটিকে সাহায্য করবো। আদৌ কোন উপায় আছে কিনা, তাকে উদ্ধার করার। যে পথগুলো খোলা আছে, তা অত্যন্ত জটিল এবং সুদূর পরাহত এবং সহসা খুব একটা কাজেও আসবে না। এছাড়াও এই প্রক্রিয়া খুবই জটিল এবং অনেককিছু প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল। আসলে, আইন এতো গল্প শুনতে চায় না। আইনের গল্প শোনার সময়ও না। কেননা, ভুল তো আপনিই করেছেন; অথবা অন্যায় অপরাধ যা করার তা আপনিই করেছেন।

সুতরাং সাইন করবেন না। যেই আপনাকে বলুক না কেন। স্বামী বা স্ত্রী বা ছেলেমেয়ে আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব ব্যবসায়ীক পার্টনার, যেই বলুক না কেন। আগ পিছু না ভেবে, নিজের হাতে কোন প্রকার প্রতিকারের ব্যবস্থা না রেখে, কোথাও স্বাক্ষর করবেন না। নিজের সুরক্ষার কথা না ভেবে, কোনো কাগজে স্বাক্ষর করা মানে নিজের হাতে বড় বিপদ ডেকে আনা।

কাগজে স্বাক্ষর ও আইনি বিপদ: কী বলে আইন?
আপনি যখন কোনো আর্থিক বা আইনি দলিলে স্বাক্ষর করেন, তখন আইন ধরে নেয় আপনি স্বেচ্ছায় এবং সম্পূর্ণ জেনেবুঝে তাতে সম্মতি দিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ সৃষ্ট যেকোনো দায়ভার আপনার উপর বর্তায়।

স্বাক্ষরকারীর দায়: উপরোক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে, মেয়েটি যেহেতু নিজ নামে লোনটি নিয়েছেন, তাই আইনত সেই লোনের কিস্তি পরিশোধের মূল দায়ভার তার নিজের। স্বামী টাকা নিলেও, লোনের চুক্তিপত্রে তার নাম থাকায় এনজিও তাকেই দায়ী করবে।

বিচ্ছেদ ও ঋণের সম্পর্ক: স্বামী তালাক দিলেও লোনের চুক্তিতে তার কোনো দায়ভার তৈরি হবে না। ঋণ যেহেতু স্ত্রীর নামে, তাই তালাকের পরেও ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা স্ত্রীরই থাকবে।

মনে রাখবেন, আবেগ বা বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে যে কোন আর্থিক দলিল অথবা যে কোন কাগজে স্বাক্ষর করা চরম নির্বুদ্ধিতা। অনেক ক্ষেত্রে, আপনার একটা স্বাক্ষর-ই আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে।

এই ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে দ্রুত একজন অভিজ্ঞ অ্যাডভোকেটের সাথে পরামর্শ করুন। যদি কোন বিকল্প থাকে তিনি তার ব্যবস্থা করবেন। সমাধান দিবেন।

আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় আইনকানুন জানতে ও আরও আইনি পরামর্শ পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

সম্ভব হলে শেয়ার করে আপনার বন্ধু-স্বজনদেরও এ বিষয়ে সচেতন করুন।

#আইনি_সতর্কতা #স্বাক্ষর_বিপদ

11/10/2025

নাহিন নামের মেয়েটি স্বামীর হাতে হত্যা হওয়ার পরেই তার ঘটনা ভাইরাল হয়েছে। অথচ যতদিন সে বেঁচে ছিল, ততদিন স্বামীর হাতেই মার খেয়ে গিয়েছে। এমন অসংখ্য স্ত্রী আছেন যারা প্রতিনিয়ত স্বামীর নির্যাতন সয়ে সংসারে টিকে আছেন। কেউ কেউ আবার উচ্চশিক্ষিতা, সুন্দরী, এমনকি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—তবু ঘরে তারা নিয়মিত নির্যাতিত হন। তাদের কারও কারও শরীরে থাকে মারের দাগ; কেউ কেউ আবার পর্দা না করলেও সেই দাগ ঢাকতে ফুল-স্লিভ পোশাক পরেন।

আচ্ছা, সেকুলারিজম কি কখনো আমাদের বলেছে স্বামীর ভূমিকা কী, একজন স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব কী? নাকি এই পৃথিবীটা সত্যিই এক মগের মুল্লুক—যে যার ইচ্ছা তাই করবে? সেকুলারিজমের যে আইন বা বিচারব্যবস্থা, তা কি মজলুমের পাশে দাঁড়ায়, নাকি জালিমের সামনে কাচুমাচু হয়ে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে থাকে?

আল্লাহ তায়ালা রহমানুর রাহিম। তিনি যেমন এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন—কার কী করণীয়, সমাজ কীভাবে চলবে। ইসলাম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে একজন স্বামীর দায়িত্ব কী এবং একজন স্ত্রীর অধিকার কী। দাম্পত্য জীবন ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে গঠিত একটি সম্পর্ক, যা কিছুটা ব্যবসায়িক লেনদেনের মতো—এখানে কোনো বেইনসাফি বা জুলুম গ্রহণযোগ্য নয়।

ইসলাম কাউকে কারও ওপর জুলুম করার অধিকার দেয়নি। এমনকি কেউ অপরাধী হলেও, যার যেমন খুশি তেমন শাস্তি দেওয়ার অনুমতি নেই। একজন চোর যদি চুরি করে ধরা পড়ে, তার শাস্তি কখনো হতে পারে না গণপিটুনিতে নিহত হওয়া। একইভাবে, কোনো স্ত্রী যদি ব্যভিচারে লিপ্তও হয়, তবুও স্বামী তাকে নিজ হাতে হত্যা করার অধিকার রাখে না।
স্বামীর হাতে নির্যাতিত যে নারীদের আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই, তাদের অধিকাংশই হয় তথাকথিত ট্র্যাডিশনাল সেকুলার পরিবার থেকে, অথবা দ্বীনের জ্ঞানশূন্য কিছু মুসলিম পরিবার থেকে আসে। তবে যারা সত্যিকার অর্থে ইসলাম চর্চা করে, তারা স্ত্রীকে এমনভাবে প্রহার করতে পারে না, যাতে তার শরীরে ক্ষতের চিহ্ন তৈরি হয়।

আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শ। তিনি কখনো কারও গায়ে হাত তোলেননি। যদিও আল্লাহর আইনে নিতান্ত অবাধ্য ও বেপরোয়া স্ত্রীকে শাসন কিংবা অত্যন্ত মৃদু প্রহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে—তাও কেবল সংশোধনের উদ্দেশ্যে, তবুও তা যেন বেদনাদায়ক বা অপমানজনক না হয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন—

“আর যেসব স্ত্রীদের মধ্যে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা কর, তাদের প্রথমে উপদেশ দাও; তারপর তাদের বিছানা পৃথক করে দাও; এরপরও যদি না শোনে, তবে মৃদুভাবে প্রহার করো। কিন্তু যদি তারা আজ্ঞাবহ হয়ে যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোচ্চ, মহিমান্বিত।”
(সূরা আন-নিসা, আয়াত ৩৪)
এখানে “মৃদু প্রহার” বলতে বোঝানো হয়েছে এমন সংশোধন, যা কষ্টদায়ক, আঘাতকারী বা অপমানজনক নয়। অনেক মুফাসসির বলেছেন, “দাঁতের কাঠি (মিসওয়াক) বা অনুরূপ কিছু দিয়ে হালকা ছোঁয়া দেওয়া”— এর বেশি কিছু নয়। (তাফসিরে ইবন কাসির, তাফসিরে কুরতুবি)

ইসলাম দাম্পত্য জীবনকে ভালোবাসা, দয়া ও পারস্পরিক সম্মানের বন্ধনে গাঁথা একটি সম্পর্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন,

“আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি হলো—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া স্থাপন করেছেন।”
(সূরা রূম, আয়াত ২১)
একজন স্বামী যদি সত্যিকার অর্থে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করেন, তবে তার হাতে স্ত্রী কখনো আঘাত পাবে না; বরং তার আচরণ হবে কোমলতা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে, স্ত্রীও স্বামীর প্রতি আনুগত্য, শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্ককে মজবুত করবে।

উম্ম আইশা

11/10/2025

# ডিভোর্স
প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠলাম।
- স্যার আপনার সাথে কোন ডিভোর্স লইয়ারের পরিচয় আছে?

বয়সে তরুণ জাহাজের সেকেন্ড অফিসার, মাত্র ত্রিশের কোঠা পেরিয়েছে।

বিয়ে করেছে সম্ভবত বছর তিনেক হবে। একটা ছোট মেয়েও আছে এক বছর বয়সী......

ছেলেটাকে বেশ কিছুদিন ধরেই উদ্ভ্রান্ত দেখছি। চোখ কিছুটা লালচে থাকে, হয়ত রাতে ভাল ঘুমও হচ্ছে না। সবসময় তো আর ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করা যায় না, যতক্ষণ নিজ হতে মুখ না খোলে।

জাহাজ খুব ছোট জায়গা। মানসিক অবস্থা কলিগদের কাছ থেকে বেশীক্ষণ লুকিয়ে রাখা কঠিন।
তবে জাহাজের একটা ইউনিক বৈশিষ্ট্য হল, এখানে সবাই খুব খোলামনে একে অপরের সাথে ব্যক্তিগত জীবনও শেয়ার করে।
এর দুটো কারণ থাকে। প্রথমত পারিবারিক সম্পর্ক না থাকায় কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

দ্বিতীয়ত একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সবাই যার যার গন্তব্যে চলে যায়, হয়ত এই জীবনেই আর দেখা হয় না৷

আজকাল খুব বেশী হলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে একে অপরকে এড করে নেয়।

কাছে ডেকে বসালাম।
- কি সমস্যা বল তো?
- স্যার আমার ওয়াইফের সাথে আর সংসার করা সম্ভব না। এত সমস্যা নিয়ে কারো সাথে এক ছাদের নিচে থাকা যায় না।
- তোমাদের তো ছোট্ট একটা রাজকন্যা আছে...৷

- স্যার তাই বলে আমাদের নিজেদের জীবনও নষ্ট করব? আমার মেয়ে যে ভাগ্য নিয়ে এসেছে তাই হবে। এত যন্ত্রণা আর সহ্য হয় না৷

- তোমার ওয়াইফের অপরাধগুলো কি কি বল তো।
- আমাদের বাসায় থাকতে চায় না। আমার মা আর ভাই বোনদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। আমাকে না বলে বাবার বাড়ি চলে যায়।

বাচ্চাকে ওর মায়ের কাছ রেখে অফিস করে, আমার মায়ের কাছে দেয় না। একেকবার গেলে এক সপ্তাহ আর আসার নাম করে না।

- কিন্তু তুমি তো শিপে।
- হ্যাঁ, কিন্তু আমার বউ আমার বাসায় থাকবে না?

এখন মাথা গরম। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু না বলাই ভাল। মাথা ঠান্ডা হোক আগে।
ওকে আশ্বস্ত করলাম যে, একবার ল্যান্ডে নেমে নেই, ডিভোর্স নিশ্চিত।

বেশ কদিন বিভিন্ন অজুহাতে ওর সাথে গল্প করার পর কাহিনী ধীরে ধীরে পরিস্কার হল।

সেকেন্ড অফিসারের নাম সৈকত।
- আচ্ছা সৈকত, আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিবে?
- জি স্যার বলেন।

- তোমার বিয়ের তিন বছর পেরিয়েছে, বউ আর বাচ্চার হাতখরচ মায়ের মাধ্যমে কেন দাও?
- বিয়ের আগে হতেই মায়ের সাথে জয়েন্ট একাউন্ট...

- বিয়ের পর তোমার বউকে একটা একাউন্ট খুলে দিতে কিংবা তোমার সাথে আরেকটা জয়েন্ট একাউন্ট খুলতে পারত।

কোন বউয়ের তো শাশুড়ির কাছে বারবার হাত পাততে ভাল লাগবে না। আর তোমার বউ বাবার বাড়ি গেলে নাকি হাতখরচ আটকে রাখে।
- হ্যাঁ৷ স্যার। আমার বা আম্মার কথা না শুনলে কিসের হাতখরচ।

- আরে তোমার মেয়ে আর সংসারের খরচ আছে না। তোমার বউ কি টাকা নষ্ট করে কিংবা ঊড়ায়?
- তা উড়ায় না স্যার। কিন্তু কন্ট্রোলে তো রাখতে হবে।

- ভরণপোষণ তো ওদের অধিকার, কোন দয়াদাক্ষিণ্য না।

আচ্ছা, তুমি আমাকে সবসময় বউয়ের বদনাম কর। ওর কি কোন গুণই নাই?

- সেটা আছে স্যার। এমনিতে অনেক গুণ........
মেধাবী, স্বভাব চরিত্র ভাল, বাচ্চার যত্ন নেয়, দেখতে সুন্দরী... লম্বা...

আমি হা হয়ে গেলাম। গুণে গুণে ৮ টা ভাল দিক উল্লেখ করল সৈকত।

- এত গুণী একটা মেয়েকে ডিভোর্স দিতে চাইছ?
- জি স্যার, গত ৩ মাস ধরে শুধুই ঝগড়া হচ্ছে। আর পারি না।

- আচ্ছা, আমি জিজ্ঞেস করার আগ পর্যন্ত বউয়ের যত বদনাম করেছ এগুলো তুমি কিভাবে জেনেছ। তুমি তো ৫ মাস ধরে শিপে।
- স্যার, আমার মা আর ভাই বোনেরা বলেছে।

- আচ্ছা, ওরা কি কখনো তোমার বউয়ের প্রশংসা করে কখনো কিছু বলেছে?
খুব চিন্তায় পড়ে গেল সৈকত।

- জি না স্যার, মনে পড়ছে না।

- তোমার এত গুণী বউ, কিন্তু তোমরা কেউ কোন প্লাস পয়েন্ট পাও না? তোমার ফ্যামিলি আদৌ কি চায় তোমার সংসার টিকুক?

সারাক্ষণ তোমাকে নেগেটিভ কথা বলে কানভারি করতে থাকে। এখন হতে ওরা যখনই তোমার বউ সম্পর্কে কিছু বলতে যাবে, থামিয়ে দিবে। পারবে না?

মাথা নাড়ল সৈকত। দ্বিধায় আছে বুঝাই যাচ্ছে। তবে সুর নরম করল।
- জি স্যার।

- আচ্ছা, তুমি রোজার ঈদে নাম উল্লেখ করে টাকা পাঠিয়েছিলে। তবুও তোমার ফ্যামিলি তোমার শ্বশুর শাশুড়িকে কাপড় কিনে পাঠায়নি কেন? ওদের তো মন খারাপ হবার কথা।
তোমার ওয়াইফেরও মন ছোট হবে।
- সময় পায়নি মনে হয়।

যদিও মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে, ওর উত্তরটা নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না।
- তাহলে টাকাটা ওদের ভাবীকে দিয়ে দিত। তাও তো দেয়নি৷ বুঝাই যাচ্ছে, সংসারে খরচ করে ফেলেছে।

একটু থেমে আবার বললাম,

- তোমার বিয়ের গহনা তিন বছর হয়ে গেলেও এখনো তোমার ওয়াইফকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। তোমার মা রেখে দিয়েছেন।

এগুলা তো তোমার ওয়াইফের আমানত। ওকে তোমরা উপহার দিয়েছ কিংবা বিয়েতে পেয়েছে। এজন্য কাবিননামায় উসুলও কেটেছ।

এখন এগুলা আটকে রাখার যৌক্তিকতা কি? গহনা নিয়ে পালিয়ে যাবে? তোমার বউকে তোমার ফ্যামিলি বিশ্বাস করে না?
- ঠিক তা না... আর কথা খুঁজে পেল না সৈকত।

- তুমি কেমন হাজবেন্ড? তোমার ওয়াইফের সাথে ব্যাংক একাউন্ট নেই, টাকা পয়সা কিংবা গহনা আটকে রাখ, তোমার বউয়ের জন্য উপহার নিয়ে গেলে অন্যরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়,

ফ্যামিলি হতে খুব আগ্রহ নিয়ে সারাক্ষণ বদনাম শুনে বিশ্বাস করে বউকে ফোন দিয়ে ঝগড়া কর,
তোমার অবিবাহিত ছোট বোনের নামে তোমার পাঠানো টাকার গরুতে কুরবানির ভাগ দেয়া হয় কিন্তু তোমার বউয়ের নাম কুরবানির লিস্টে দাও না,

এমনকি কুরবানির মাংস তুমি বলার পরও তোমার শ্বশুরবাড়িতে নানা অজুহাতে পাঠানো হয় না,

ওদের কথায় তোমার মেয়ের মাকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয়ে যাও, তোমার ফ্যামিলি একবার তোমার ওয়াইফকে বাসা হতে বের হয়ে যেতে বললেও তুমি ফ্যামিলির পক্ষ নাও...

মাথা নিচু করে রইল সৈকত। পিঠে হাত বুলিয়ে হালকা স্বরে বললাম,

- এখনো সব শেষ হয়ে যায়
নি৷ তোমার ওয়াইফকে ফোন করে সব ভুলগুলো উল্লেখ করে সরি বল। ওয়াইফের দিকে তুমি এক কদম আগালে মেয়েটা তোমার দিকে দশ কদম আগাবে।।

মেয়েরা খুব বাধ্য না হলে ছোট বাচ্চা রেখে সংসার ভাঙ্গে না। আর তোমার ফ্যামিলির কেউ ফোন করলে ওদের ভাবীর প্রসঙ্গে একটা শব্দও শুনবে না।
বলবে, অন্য কথা থাকলে বল। আলাদা বাসা নেয়াও একটা সমাধান তবে এই বুদ্ধি দিচ্ছি না।
একা ছোট বাচ্চা নিয়ে চলাফেরাও কঠিন আর নিরাপদ না। সবাইকে চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে তোমাদের বাসায় তোমার ওয়াইফের সম্মান ফিরিয়ে দাও।

যে ভুলগুলো হয়েছে, সব শুধরে নাও। তোমার ওয়াইফের আর্থিক স্বচ্ছলতা আর প্রাইভেসি যাতে বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্বও তোমার।

কয়েকদিন পর সৈকতের হাসিমুখ দেখেই বুঝলাম, পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ছেলেটা পরের কদিনেই আমূল বদলে গেল।

একদিন কাছে এসে অশ্রুসজল চোখে লাজুক স্বরে বলল,
- স্যার আপনার বুদ্ধিতে কাজ হয়েছে।

ভুল বুঝাবুঝি আর নেই। এখন হতে সতর্ক হয়ে চলব। পরের কথা শুনার মাশুল এভাবে দিতে হবে ভাবি
নি। ওয়াইফকে সব খুলে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, এরকম ভুল আশা করি আর হবে না।

একটু থেমে যোগ করল,
আপনার পরিচিত ট্রাভেল এজেন্ট আছে? সাইন অফ করে মেয়ে আর ওয়াইফকে নিয়ে সপ্তাহখানেকের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ঘুরতে যাব।

ওর মনের ভাঙ্গা অংশও জোড়া লাগাবার চেষ্টা করব। বিয়ের পর ফ্যামিলির চাপে দেশের বাইরে যাওয়া হয়
নি।

আমি হেসে ফেললাম, স্বস্তির হাসি। ভাঙ্গনের মুখ হতে একটা পরিবার অন্তত বাঁচল।

সৈকতও হাসছে.....।
- এবার শক্ত করেই ওর হাত ধরেছি। ইনশাআল্লাহ ঝড়, বৃষ্টি কিংবা সাইক্লোনেও আর ছাড়ব না...!!

# ছোটগল্প
সত্য ঘটনা অবলম্বনে

Atique UA Khan

11/10/2025

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

আমাদের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের
প্রথম শর্ত — ন্যায় ও দায়িত্ববোধ

আজকের মুসলিম সমাজে সবচেয়ে বড় সংকট শুধু অর্থনৈতিক নয় — নৈতিক ও নেতৃত্ব সংকট।

আমরা অনেকেই নেতৃত্ব চাই, কিন্তু দায়িত্ব নিতে ভয় পাই। ন্যায়ের কথা বলি, কিন্তু পক্ষপাতের বেড়াজাল ভাঙতে পারি না।

🔹 পুরুষরা অনেক সময় “বহুবিবাহ” বা
ক্ষমতার নামে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন।
🔹 নারীরাও হয়ে উঠছেন অতি সংবেদনশীল ও প্রতিরক্ষামূলক, যার ফলে সম্পর্কের মাধুর্য নষ্ট হচ্ছে।

অন্যের ভুলে আমরা বিচার করি, কিন্তু নিজের দায়িত্ব ভুলে যাই। এই জায়গা থেকেই শুরু হয় অন্যায়ের চক্র, যেখানে কেউই নিরাপদ নয় —
না নারী, না পুরুষ।

সত্যিকারের পরিবর্তন শুরু হয় ভেতর থেকে

কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট মানে শুধু কাজের প্রকল্প নয়, এটি শুরু হয় মানুষের মন ও নীতির উন্নয়ন থেকে.

🔸 একজন পুরুষ যদি নিজের পরিবারে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে — সেটিই সমাজ গঠনের সূচনা।
🔸 একজন নারী যদি ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও তাকওয়ার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানায় — সেটিই ভারসাম্যের দৃষ্টান্ত।
🔸 আর একজন নেতা যদি পক্ষপাত নয়, ন্যায় নিয়ে দাঁড়ান — সেটিই প্রকৃত নেতৃত্বের চিহ্ন।

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়ভাবে দাঁড়াও, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য দাও, যদিও তা তোমাদের নিজের বিরুদ্ধেও হয়।” (সূরা আন-নিসা ৪:১৩৫)

আমাদের দায়িত্ব :
✔️ নিজের পরিবারের ভেতর ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা ✔️ সমাজে দুর্বল ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো ✔️ নেতাদের জবাবদিহি করতে শেখানো
✔️ নারী-পুরুষ উভয়ের মর্যাদা রক্ষা করা
✔️ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ভারসাম্য গড়ে তোলা

🌺 মনে রাখুন 🌺
নেতৃত্ব মানে শাসন নয় — সেবা করা।
আর পরিবর্তন শুরু হয় অন্যকে নয়,
নিজেকে সংশোধ করার মধ্য দিয়ে।

“নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।” (সূরা আর-রা’দ ১৩:১১)

আমরা সবাই নেতা — আমাদের অবস্থানেই। চলুন, ন্যায়ের পথে একসাথে এগিয়ে যাই, দায়িত্ববান, ভারসাম্যপূর্ণ এবং সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ার লক্ষ্যে।



কপি

সুবহান আল্লাহ।কানে কম শুনতো ও  ঠিকমত কথা বলতে পারতো   না,এমন কিশোর ছেলের সত্যি  কাহিনী।প্রতিবেশী থেকে কিছু টাকা ধার করে ...
10/10/2025

সুবহান আল্লাহ।

কানে কম শুনতো ও ঠিকমত কথা বলতে পারতো না,
এমন কিশোর ছেলের সত্যি কাহিনী।

প্রতিবেশী থেকে কিছু টাকা ধার করে কাগজ কিনে বিক্রি করে ।
লাভের টাকা দিয়ে আবার কাগজ কিনে। এভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সে কেনাবেচা করে যায়।
তারপর ধার ফেরত দিয়ে লাভের টাকা নিয়ে বাসায় ফিরে।

তার বড় ভাই যে সুস্থ ছেলে, সে মা-বাবা থেকে জোর করে পছন্দের জিনিস আদায় করতো।
অথচ জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী এই ছেলেটি কিছু কিনতে চাইলে
টাকা রোজগারের একটা পরিকল্পনা করতো।

নিজে রোজগার করে লাভের টাকা দিয়ে শখ পূরণ করতো।

দ্বীনি কার্যক্রমের সাথে যারা জড়িত- ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র- শিক্ষকদেরকে স্বাবলম্বী করতে
সবাই এগিয়ে আসুন।

তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী কর্যে হাসানার মাধ্যমে অল্প পুঁজির হালাল ব্যবসাতে উৎসাহ দিন।

যে যার এলাকায় সাধ্যমত কর্যে হাসানা দিন।
আল্লাহ কবুল করুন।

10/10/2025

মেয়েরা বাচ্চা নষ্ট করে কমপ্লিকেশন নিয়ে আসলে আমার খুব রাগ হয়। অনেক বকাঝকা করি। অনেকে চুপচাপ শোনে। নিজের ভুলটা বুঝতে পারে। অনুতপ্ত হয়। আবার কেউ কেউ বিরক্তও হয়। ভাব এমন যে, আমার জিনিস আমি ফেললে তোর কি?

বোনেরা, আমার কিছুই না। আমারটা চিন্তা করলে আপনার এহেন আচরণে আমি বা আমরা খুশী হতাম। আমার মতো অনেকের হয়ে আমি লিখছি।

💔বাচ্চা নষ্ট করে ফুলের(প্লাসেন্টা) কিছু অংশ নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন, আমরা ওয়াশ করে দেব। আমাদের লাভ।

💔বাচ্চা নষ্ট করলে ইনফেকশনের চান্স বেড়ে যাবে। ইনফেকশন হলে আমাদের কাছে আসতে থাকবেন। চিকিৎসা দিতে থাকবো। আমাদের লাভ।

💔বাচ্চা নষ্ট করলে পরবর্তী বাচ্চা হতে সমস্যা হতে পারে। সেকেন্ডারি সাবফার্টিলিটি হলে, আপনি বারবার আমাদের কাছে আসতে থাকবেন। আমাদের লাভ।

💔বাচ্চা নষ্ট করার পর অনেকের রক্তক্ষরণজণিত সমস্যা হতে পারে। পিরিয়ডে ব্যাথা হতে পারে। এসব হলে আমাদের কাছে আসবেন। আমাদের লাভ।

আপনার বাচ্চা আপনি নষ্ট করলে আমাদের কিছুই না। এই যে আমি বা আমার মতো অনেকে আপনাকে বকে,ধমক দেয়, আপনার ভালোর জন্যই করে। আপনার হিসাব বেশ ছোট।
'আমরা বাচ্চা নেয়ার জন্য প্রস্তুত না বা আমাদের বাচ্চা নেয়ার কোন প্ল্যান নেই; সুতরাং আমি বাচ্চা রাখবো না!'
খুব ছোট পরিসরে আপনি এটুকুই চিন্তা করেন, তাই না?বিষয়টি কিন্তু এতোও ছোট না।

ধর্মীয় হিসাব বাদই দিলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের হিসাবে আপনার যে যে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে, সেগুলো একটু গুগল বা ইউটিউব সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন। ডাক্তার বাচ্চা নষ্ট করার কথা শুনলে আপনাকে কেন বকে , কেন আরো দশটা এক্সট্রা কথা শোনাতে চায়, সব বুঝে ফেলবেন।

চুপ থাকতে পারলে অবশ্য ভালো ছিল। তারপরেও চাইলেও কেন যেন চুপ থাকতে পারিনা। স্বভাবগত সমস্যা। লেজে পারা দিয়ে দুইটা উপদেশ দিয়ে দেই। যেন এরপরে এই ভুল আর না করে কেউ।

নিজের ভালো তো পাগলেও বোঝে! আমরা হলাম গিয়ে পাগলের মাসতুতো বোনের পিসতুতো শ্যালিকা আর কি!
____________________
|| ডাক্তারদের লাভ ||
ফাহমিদা নীলা

#রৌদ্রময়ী

10/10/2025

শয়তান সুখী বৈবাহিক জীবন ঘৃণা করে!

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:

هذا الرباط بين الزوج والزوجة من أحبّ الأمور إلى الله ورسوله، فهو من أبغض الأمور إلى عدوّ الله.

❝স্বামী ও স্ত্রীর এই বন্ধন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি।

সুতরাং, এটি আল্লাহর শত্রু (শয়তান)-এর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত বিষয়গুলোর একটি।❞

[রাওদাতুল মুহিব্বীন]
©️

08/10/2025

বিসমিল্লাহ

( সত্যি কাহিনী)

আমার বিয়ের জন্য কেউ কখনো চেষ্টা করে নি :

আমার জন্য পরিবারের কেউ কখনো বিয়ের প্রস্তাব আনে নি । এটা শুনলে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে কিন্তু আসলেই এটা সত্যি।

বাবা মারা যাবার পর থেকেই মা অসুস্থ । আমার বিয়ের জন্য মা কাউকে কখনো বলেন না।

একদিন শুধু বলেছিলেন , তুই আমার এত আদরের মেয়ে । শ্বশুরবাড়িতে তোকে কষ্ট দিলে আমি সহ্য করবো কিভাবে ? বড় ভাই ভাবিও কখনোই আমার বিয়ের জন্য চেষ্টা করেন না।

খালা মামারা মাঝে মাঝে বিয়ের কথা তুললেও মার কথা ভেবেই পিছিয়ে আসেন। আমি শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে তাদের এই অসুস্থ বোনের সেবা
যত্ন কে করবে ?

বড় ভাই ভাবির মনেও এই একই আতঙ্ক । আমার বিয়ে হয়ে গেলে অসুস্থ মায়ের সব দায়িত্ব তাদেরকে নিতে হবে। তাই নিজে থেকে চেষ্টা করা তো দূরের কথা, সহকর্মী বা পাড়া-প্রতিবেশী কেউ কোনো
প্রস্তাব আনলে নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেন।

ছেলের ঢাকায় বাড়ি নেই , ছেলের বাবা মার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম , ওদের দেশের বাড়িতে পাকা বাড়ি নেই . আমাদের একটা মান সম্মান আছে না ? এখানে বিয়ে সম্ভব না। এভাবে বেশ কিছু প্রস্তাব ভাই ভাবি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

কখনো আমার কাছে প্রস্তাব আসতেই পারে না। তার আগেই ভাই ভাবি নাকচ করে দেন। দু একটা প্রস্তাব ভাবি গোপনে তার নিজের বোনদের জন্য বাপের বাড়িতে পাঠিয়েছেন।

আমার বিয়ের বয়স পার হয়ে গেল। হয়তো চেষ্টা করলে বাচ্চা সহ
বিপত্নীক ডিভোর্স পাত্র পাওয়া যেত । কিন্তু মা ,ভাই , ভাবি কেউ না বললে আমি নিজে থেকে কিভাবে বলি এই কথা ? ঘর জামাই পাত্র দেখার কথাও কেউ বলল না।

মা চলে গেলেন একসময়।
ভাবী চাকরিতে ঢুকে গেছেন। ভাবির মেয়েকে আমি দেখে রাখি।
আমার মত বিশ্বাসী বিনা পয়সার একটা কাজের বুয়া থাকলে চাকরি করতে অনেক সুবিধা । কাজের লোককে বেতন কম দিলে বা বকাঝকা দিলে তারা
অন্য বাসায় চলে যায় ।

আমাকে বেতন দিতে হয় না , আর ধমক দিলেও আমার কোথাও যাবার জায়গা নেই।

অফিস থেকে ফেরার পর বাচ্চার জন্য ভাবির ভালোবাসা একদম উথলে পরে আর
আমি হই অপরাধী ।

কেন ভাবীর নির্দেশ মতো সব কাজ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারি নি , সেগুলি আমার মহা অপরাধ হয়ে যায়।

আমি বিনা বেতনে ভাবির বাচ্চাকে
সারাদিন দেখে রাখি বলেই তো ভাবি চাকরি করতে পারছেন । কিন্তু সেটা ভাবি স্বীকার করেন না। উনি ভাবেন , আমাকে তাদের সাথে রেখেছেন, এটাই অনেক দয়া দেখানো হচ্ছে।

মা বাবা দুজনেই মারা যাবার পর আমি ভেবেছিলাম , হয়তো বা ওয়ারিশন সূত্রে কিছু টাকা হাতে পাব। তাহলে ইচ্ছামত একটু খরচ করতে পারতাম, নিজের জন্য আর চেনা পরিচিত গরিবদের জন্য । কিন্তু হাত খরচের সামান্য টাকা ছাড়া ভাইয়া কখনোই আমাকে টাকা দেন না।

এই টাকা দেবার সময় ভাবি এমন মুখ বানান, যেন আমি জোর করে তার স্বামীর রোজগারে ভাগ বসাই ।
অথচ এগুলো তো আমার প্রাপ্য টাকা। আমার মা বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে এগুলো পাচ্ছি।

ভাই এর মেয়েটা খুব সুন্দর । ওর জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়েছে। কিন্তু ও চায় না , ওর মা-বাবাও
চান না এখন বিয়ে। আগে পড়াশোনা , চাকরি , তারপর সব দিকে যোগ্য ছেলে পাওয়া গেলে তখন বিয়ের কথা ভাবা যাবে।

মাস্টার্স করার পর আমার ভাতিজি বায়না ধরল সে পিএইচডি করতে বিদেশে যাবে।
আমি একবার বলেই ফেললাম, বিয়ে করে বরের সাথে একসাথে গেলে হতো না ? কিন্তু সময় কম , সেমিস্টার শুরু হয়ে যাচ্ছে । ছেলে দেখার সময় নেই, ভাতিজি চলে গেল।

কিছুদিন পর খবর পেলাম ওর পিঠে খুব ব্যথা হয়, হাঁটতে কষ্ট হয়। ঔষধ খেয়ে ও ব্যথা কমায়।

ওর জন্য অনেক প্রস্তাব আসে কিন্তু ও তো দেশে থাকে এমন
ছেলে বিয়ে করবে না। ওর জন্য প্রবাসী খুঁজতে খুঁজতে আরো দিন পার হয়ে গেল। ভালো ছেলে পাওয়া যায় কিন্তু ও যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে সেখানে নয়। অন্য জায়গায় গিয়ে ছেলে দেখার সময় নেই ভাতিজির , প্রবাসী ছেলেরাও ব্যস্ত । তাও সময় করতে পারতো কিন্তু আমার ভাতিজির আসলে এত তাড়াতাড়ি বিয়ের ইচ্ছা নেই। কেউ মেসেজ দিলে বা কল করলে ও ফোন ধরে না , মেসেজের জবাব দেয় না ।

এভাবে দুই বছর পার হয়ে গেল। ওর বয়স এখন তিরিশ ছুঁই ছুঁই। ভাইয়া ভাবী এখন চিন্তা করছেন
মেয়ের
বিয়ের কথা । কিন্তু ২৯ + বললে মানুষ ধরে নেয় বয়স ৩০ পার হয়ে গেছে । মেয়ের জন্য মানানসই প্রস্তাব আর তেমন আসছে না । মানানসই পাত্র পেলে দেখা যায় সে
ডিভোর্সড ।

শুনে ভাতিজি শিঁউরে উঠে , ভাইয়া ভাবী বিরক্ত হন। তাদের মেয়ের জন্য এমন অপমান জনক
প্রস্তাব যে নিয়ে আসে , তাকে নানা
কথা শুনিয়ে দেন ভাবি।

এই সময় ধরা পরল আমার ভাতিজির মেরুদন্ডের হাড়ে
যক্ষ্মা হয়েছে । এমন অসুখের কথা আমি আগে কখনো শুনি নি । ও শয্যাশায়ী হয়ে পরলো , পিএইচডি শেষ করতে পারলো না। অনেক দিন অসুখে ভুগলো ও। চোখের সামনে দেখছি ওর বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ভাবি আমার কোন বদ দুয়া লেগে গেল না তো ?

আল্লাহ সাক্ষী, আমার ভাতিজির জন্য কখনো এমন কিছু আমি চিন্তা করি নি। ভাইয়া ভাবির প্রতি আমার অভিমান আছে , ওদের আচরণে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।

আমার স্বামী নেই , সংসার নেই , বাচ্চা নেই, কোন ব্যাংক ব্যালেন্স নেই---এসব কিছুর জন্য ভাইয়া ভাবি দায়ী।

মা অসুস্থ , অসহায় ছিলেন কিন্তু ভাই ভাবি কেন আমাকে একাকী জীবনে রাখলেন ? ভাবি তার বাপের বাড়ি থেকে সম্পত্তি পেয়েছেন কিন্তু ননদকে সম্পত্তির অংশ দিতে কখনো স্বামীকে বলেন না।

কোন বাবা অথবা ভাই কি লেখাটা পড়ছেন ? দেখুন তো আপনার পরিবারে এমন কেউ আছেন কি না ? একাকী নিঃসঙ্গ জীবন তার।

আপনি তার বিয়ে নিয়ে কোন চিন্তা করছেন না অথচ উনি হয়তো এখনো মনের সংগোপনে ভাবেন : যদি একটা সংসার হত।

আপনার প্রতি আপনার বোন বা মেয়ের কোন অভিমান নেই তো ? সে নিরবে চোখের পানি ফেলছে না তো ?

বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা কারো চোখের পানি আর দীর্ঘশ্বাস আপনার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেন ফিরে না আসে।

আর কোন মেয়েকে যেন বলতে না হয় , আমার বিয়ের জন্য কেউ কখনো চেষ্টা করে নি।
আমার স্বামী ,সংসার , বাচ্চা, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কিছুই নেই।

( ঘটকালির অভিজ্ঞতা থেকে লেখা )

রি পোস্ট


সিনিয়র এডমিন
ইসলামিক মেট্রিমনি

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Matrimony fb page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Islamic Matrimony fb page:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram