Muhsais Mission Ideal Healthcare & Research

Muhsais Mission Ideal Healthcare & Research Health Care ! Ideal Health Service of " Hijama " & Ruquaia consultant

উদ্ভিজ্জ খাদ্যসমূহের ভিতর সবচেয়ে উত্তম ওমেগা-৩ এর একটি উৎস হলো 'পার্সলেন' (Purslane/ Portulaca oleracea)!পার্সলেন সবজি হ...
24/09/2025

উদ্ভিজ্জ খাদ্যসমূহের ভিতর সবচেয়ে উত্তম ওমেগা-৩ এর একটি উৎস হলো 'পার্সলেন' (Purslane/ Portulaca oleracea)!
পার্সলেন সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
পার্সলেন বললে কি হাইক্লাস মনে হচ্ছে?
আসলে এটাই বাংলার নুনিয়া শাক!

পার্সলেন বা নুনিয়া শাক উদ্ভিজ্জ খাবারের মধ্যে ওমেগা-৩ এর অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস। প্রকৃতিতে এমন শাকসবজি খুব কমই আছে যেখানে এত বেশি পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে।

সাধারণ সবুজ শাকসবজিতে যে ওমেগা-৩ থাকে তা খুবই অল্প। কিন্তু পার্সলেনে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি থাকে!
পার্সলেনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ একই পরিমাণ পালংশাকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ গুণ বেশি!
এটি নিরামিষভোজী বা যারা মাছ খায় না তাদের জন্য খুবই উত্তম।

পার্সলেনে থাকা ওমেগা-৩ মূলত আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ALA) আকারে পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম তাজা পার্সলেন পাতা থেকে প্রায় ৩০০-৪০০ মি.গ্রা. ALA পাওয়া যায়।
এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক হলেও শরীর নিজে থেকে এটি তৈরি করতে পারে না, তাই খাবার থেকেই তা নিতে হয়।

যখন কেউ পার্সলেন খায়, তখন এর মধ্যে থাকা ALA শরীরে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে EPA ও DHA নামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। এই রূপান্তরিত ওমেগা-৩ শরীরের কোষে গিয়ে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি কমায়।

নিয়মিত পার্সলেন খেলে শরীরের ফ্যাট প্রোফাইল উন্নত হয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ওমেগা-৩ স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানকে স্বাভাবিক রাখে এবং মুড স্ট্যাবল রাখতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ওমেগা-৩ গ্রহণ করলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।

শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ওমেগা-৩ এর প্রভাবে শক্তিশালী হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট পেইন কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকও এর কারণে সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। কারণ, ওমেগা-৩ ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করে এবং বার্ধক্য ধীর করে।

বাংলায় বর্ষাকালে নুনিয়া শাক প্রচুর জন্মায়। অনাবাদী শাক হিশাবে প্রচুর পাওয়া যায়।
গাছটি মাটির সাথে লতিয়ে থাকে। পাতাগুলো মোটা, রসালো। এই শাক নানাভাবে খাওয়া যায়- সালাদ, ভাজি, সিদ্ধ। স্বাদ একটু লোনতা এবং টক ধরনের।

তবে আধুনিক কৃষিতে সার আর কীটনাশক ব্যবহারের কারনে নিরাপদ শাক পাওয়া কঠিন।
নিজের বাড়ীর আশেপাশে কিংবা নিজে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হলে সেই জমিতে যথেষ্ট ভালো মানের শাক পাওয়া যাবে।

নুনিয়া শাক খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যারোটিন ইত্যাদি।
খনিজ পদার্থের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি।
অথচ রাসায়নিক কৃষি আল্লাহর এই নিয়ামতকে আগাছা বলে!

ক্যাপ্টেন গ্রিন

22/09/2025

সবাইকে ঠিক করা আমাদের দায়িত্ব নয়।
সবার ভিতরের ভুল খুঁজে বেড়ানো, কাউকে বদলাতে না পারার হতাশায় শেষ হয়ে যাওয়া কিংবা নিজেকে ভালো মনে করে সারাক্ষণ অন্যের ভুল নিয়ে ব্যস্ত থাকা—এসব আমাদের আত্মাকে খুব ক্লান্ত করে ফেলে।

নিজের নফস, নিজের অন্তর, নিজের আমল, নিজের ভাষা, নিজের নিয়ত—এসবের হিসাবই তো শেষ হয় না! তাহলে কেন আমরা এতটা সময় অন্যদের ‘সঠিক’ হওয়ার অপেক্ষা‌ করে নষ্ট করি?

একটা চমৎকার আয়াত শুনবেন?

"হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর তোমাদের নিজদের দায়িত্ব। যদি তোমরা সঠিক পথে থাক, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন; তখন তিনি তোমরা যা আমল করতে তা তোমাদের জানিয়ে দেবেন।"
(সূরা আল-মায়িদা, আয়াত ১০৫)

আবার পড়ুন: যদি তোমরা সঠিক পথে থাক, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।
সুবহানআল্লাহ!

এই আয়াত আমাদের শেখায় যে, অন্যদের হিদায়াত আমাদের হাতে নেই। আমাদের কাজ হলো সুন্দর আচরণ, দাওয়াত, ভালো উপদেশ—তবে সংশোধনের দায়িত্ব সেই মানুষটির। আর হিদায়েতের ক্ষমতা কেবল আল্লাহর।

যখন আপনি নিজেকে সংশোধনে মনোযোগী হন, আল্লাহ আপনার ইখলাস ও চেষ্টা দেখে আপনাকে আরো উন্নতির পথে পরিচালিত করবেন।

আপনি নিজের ভেতরের অন্ধকারগুলো দূর করার চেষ্টা করুন, ইনশাআল্লাহ আপনার আলো অন্যদের পথও আলোকিত করবে আপনি বুঝে ওঠার আগেই...

জোর-জবরদস্তি করে অন্যের আত্মশুদ্ধি হয় না ...

জোর করে দাওয়াহ ও ভালোবাসা হয় না ..

যা বদলায়, তা বদলায় আলোর ছোঁয়ায়। যে আলো আসে ডিরেক্টলি আল্লাহর তরফ থেকে, একটা খাঁটি অন্তর থেকে।

আল্লাহ আমাদের অন্তর গুলো কে খাঁটি করে দিন।

হতে পারে, আল্লাহর ইচ্ছায় একটা শুদ্ধ অন্তরই পুরো দুনিয়াকে বদলে দিতে পারে।

🔹 PLID কী?এটি হলো কোমরের মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে গিয়ে স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করা।👉 একে সাধারণভাবে মানুষ “স্লিপ ডিস্ক (Slip ...
21/09/2025

🔹 PLID কী?

এটি হলো কোমরের মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে গিয়ে স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করা।
👉 একে সাধারণভাবে মানুষ “স্লিপ ডিস্ক (Slip Disc)” বলে।

🔹 কারণ

ভারী জিনিস ভুলভাবে তোলা

দীর্ঘ সময় বসে থাকা বা খারাপ ভঙ্গি (Poor posture)

বয়সজনিত কারণে ডিস্ক দুর্বল হয়ে যাওয়া

হঠাৎ আঘাত বা অতিরিক্ত মেরুদণ্ডে চাপ

🔹 লক্ষণ

কোমরে ব্যথা

এক বা দুই পায়ে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া (Sciatica)

পায়ে ঝিনঝিনি/অবশভাব

দাঁড়ানো বা হাঁটতে সমস্যা

গুরুতর ক্ষেত্রে → মূত্র/মল নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা (Emergency sign)

🔹 ডায়াগনোসিস

শারীরিক পরীক্ষা (Straight Leg Raising Test)

MRI/CT scan

🔹 চিকিৎসা

1. কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট

বিশ্রাম (prolonged bed rest এড়িয়ে চলা)

ওষুধ (Pain killer, Muscle relaxant)

ফিজিওথেরাপি (Hot pack, TENS, IFT, ট্রাঙ্ক স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ)

2. সার্জিকাল ম্যানেজমেন্ট (যদি অবস্থা গুরুতর হয় বা দীর্ঘদিন ভালো না হয়)

ডিস্কেক্টমি (Discectomy)

ল্যামিনেক্টমি (Laminectomy)

🔹 PLID-এ ফিজিওথেরাপির ভূমিকা

১. ব্যথা নিয়ন্ত্রণ

হট প্যাক / কোল্ড প্যাক – মাংসপেশি শিথিল ও প্রদাহ কমানো।

Electrotherapy – যেমন TENS, IFT → স্নায়বিক ব্যথা (sciatica) কমানো।

২. মাংসপেশি শিথিল ও শক্তিশালী করা

McKenzie Exercise (Extension based exercise) – ডিস্ককে জায়গায় ফেরাতে ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

Core muscle strengthening – পেট, কোমর ও পিঠের পেশি শক্ত করে ভবিষ্যতে ডিস্ক পুনরায় সরে যাওয়া কমায়।

Stretching Exercise – Tight hamstring, calf muscle ইত্যাদি টান কমানো।

৩. ভঙ্গি ও নড়াচড়া ঠিক করা

রোগীকে সঠিক বসা, দাঁড়ানো ও জিনিস তোলার কৌশল শেখানো।

Postural correction training → যেমন দীর্ঘ সময় একভাবে না বসা।

৪. ফাংশনাল ট্রেনিং

দৈনন্দিন কাজ (ADL) নিরাপদভাবে করার উপায় শেখানো।

ভারসাম্য (Balance) উন্নত করা।

৫. প্রতিরোধমূলক ভূমিকা

নিয়মিত ব্যায়াম শেখানো।

পুনরায় PLID হওয়ার ঝুঁকি কমানো।

**** হিজামা করানো।

মানুষের চামড়ার নিচে ডিম পাড়ে স্ক্যাবিস🤔 লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসাস্ক্যাবিস হল একটি চুলকানিযুক্ত ত্বকের অবস্থা যা সারকোপ্টেস স...
04/09/2025

মানুষের চামড়ার নিচে ডিম পাড়ে স্ক্যাবিস
🤔 লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা
স্ক্যাবিস হল একটি চুলকানিযুক্ত ত্বকের অবস্থা যা সারকোপ্টেস স্ক্যাবিই, একটি ক্ষুদ্র বরোজিং মাইট দ্বারা সৃষ্ট হয়। স্ক্যাবিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মাইটের গর্তের জায়গায় তীব্র চুলকানি অনুভব করেন।
স্ক্যাবিস বলতে কি বুঝ?
স্ক্যাবিস হল সারকোপ্টেস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। স্ক্যাবিস শরীরের সেই অংশে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে যেখানে এই মাইটগুলি জমে থাকে। সংক্রমণটি ক্রমাগত চুলকানি এবং তীব্র ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে কারণ মাইটগুলি ত্বকের ভিতরে ডিম পাড়ে। রাতে, চুলকানির ইচ্ছা তীব্র হতে পারে। স্ক্যাবিস খুব তাড়াতাড়ি শনাক্ত হলে সহজেই চিকিত্সাযোগ্য। স্ক্যাবিস একটি অত্যন্ত সংক্রামক সংক্রমণ এবং এর মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে:
শারীরিক স্পর্শ
সংক্রামিত পোশাক এবং বিছানাপত্র
যদিও স্ক্যাবিস সহজে ওষুধের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য, তবে চিকিত্সার পরে বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত চুলকানি চলতে পারে।
যেহেতু স্ক্যাবিস খুব সংক্রামক, তাই ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে যে কেউ স্ক্যাবিস-সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে তার চিকিত্সা করা উচিত। আপনি যদি ত্বকে অস্বাভাবিক চুলকানি বা ফুসকুড়ি অনুভব করেন তবে আজই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
স্ক্যাবিসের লক্ষণগুলি কী কী?
স্ক্যাবিসের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত স্ক্যাবিসের লক্ষণগুলি স্বীকৃত নাও হতে পারে। অনিয়মিত, পাতলা গর্তের ট্র্যাকগুলি আপনার ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ফোসকা দিয়ে তৈরি স্ক্যাবিসের বৈশিষ্ট্য এবং এই ট্র্যাকগুলি বা বরোজগুলি সাধারণত ত্বকের ভাঁজে দেখা যায়। যদিও শরীরের প্রায় সমস্ত অংশ জড়িত থাকতে পারে, সাধারণ এলাকাগুলি হল:
আঙ্গুলের মাঝে
বগলে
কোমরের চারপাশে
কব্জির ভিতর বরাবর
ভিতরের কনুই উপর
পায়ের তলায়
স্তনের চারপাশে
পুরুষের যৌনাঙ্গের চারপাশে
পাছার উপর
হাঁটুতে
স্ক্যাবিসের অন্যান্য লক্ষণগুলি হল:
চুলকানি, বিশেষ করে রাতে
ঘামাচির কারণে ফোসকা এবং ঘা
শিশু এবং বয়স্কদের চুলকানির প্রবণতা বেশি। স্ক্যাবিসকে অন্য চর্মরোগের মতো ভুল করা যেতে পারে ব্রণ বা প্রাথমিক পর্যায়ে মশার কামড় কারণ ফুসকুড়ি একই রকম দেখা যায়। ক্রমাগত চুলকানি স্ক্যাবিসের লক্ষণ।
স্ক্যাবিসের কারণ কী?
মাইক্রোস্কোপিক আট-পায়ের মাইটের সংক্রমণ স্ক্যাবিস সৃষ্টি করে। এই বাগগুলি এত ছোট যে খালি চোখে তাদের দেখা অসম্ভব। এই মাইটগুলি বেঁচে থাকবে এবং আপনার ত্বকের উপরের স্তরে গর্ত করে খাওয়াবে। স্ত্রী মাইট ডিম উত্পাদন করবে, তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করবে।
লোকেরা সহজেই এই মাইটগুলি এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করতে পারে। যেসব মাইটস স্ক্যাবিস সৃষ্টি করে তারা তাদের চারপাশের প্রতি সংবেদনশীল; তারা শুধুমাত্র একটি হোস্ট শরীরে প্রায় 24-36 ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা হলেন:
যৌন সক্রিয় প্রাপ্তবয়স্করা
শিশু
ছোট বাচ্চাদের মা
যারা নার্সিং-হোম-সহায়তা লিভিং কমিউনিটি, এবং দীর্ঘমেয়াদী যত্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কারাগারের মতো বদ্ধ স্থানে থাকেন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
আপনি যদি উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি লক্ষ্য করেন তবে আজই একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। স্ক্যাবিস একটি প্রাণঘাতী রোগ নয় তবে এটি তীব্রভাবে বিরক্তিকর এবং অন্যদের জন্যও সংক্রামক হতে পারে। একজন ডাক্তার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনাকে সঠিক চিকিৎসা দিতে সাহায্য করতে পারে।

থাইরয়েড (Thyroid gland) হলো গলার সামনের দিকে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন (প্রধানত...
03/09/2025

থাইরয়েড (Thyroid gland) হলো গলার সামনের দিকে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন (প্রধানত T3 ও T4) নিঃসরণ করে। এই হরমোন শরীরের বিপাক, হৃদস্পন্দন, তাপমাত্রা, ওজন এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েডের দুটি প্রধান সমস্যা হলো হাইপোথাইরয়ডিজম (হরমোনের স্বল্পতা) ও হাইপারথাইরয়ডিজম (হরমোনের আধিক্য), যার ফলে ক্লান্তি, ওজন পরিবর্তন, মেজাজ পরিবর্তন, পেশি ও হাড়ের সমস্যা, এবং বন্ধ্যাত্বের মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার মাধ্যমে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যার জন্য আয়োডিন, সেলেনিয়াম, এবং জিঙ্ক-সমৃদ্ধ খাবার উপকারী।
থাইরয়েড গ্রন্থি ও এর কাজ
অবস্থান ও গঠন:
থাইরয়েড গ্রন্থি শ্বাসনালীর ঠিক নিচে, গলার সামনে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি।
হরমোন নিঃসরণ:
এটি থাইরক্সিন (T4) এবং ট্রাইডোথাইরোনাইন (T3) নামক হরমোন নিঃসরণ করে।
শারীরিক কাজ নিয়ন্ত্রণ:
এই হরমোনগুলো শরীরের মেটাবলিক রেট (বিপাকের হার), হৃদস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা, পেশী ও হাড়ের স্বাস্থ্য, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
থাইরয়েড রোগের কারণ ও প্রকারভেদ
হাইপোথাইরয়ডিজম:
যখন থাইরয়েড গ্রন্থি যথেষ্ট হরমোন তৈরি করতে পারে না, তখন এই সমস্যা হয়।
হাইপারথাইরয়ডিজম:
যখন থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করে, তখন এই সমস্যা দেখা দেয়।
অন্যান্য কারণ:
থাইরয়েড রোগের পেছনে বিভিন্ন ব্যাধি থাকতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ
ক্লান্তি ও শক্তি হ্রাস
ওজন পরিবর্তন (বৃদ্ধি বা হ্রাস)
মেজাজ পরিবর্তন ও বিষণ্ণতা
হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হওয়া
গলায় ফোলা বা গুটি
পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব
হজমে সমস্যা
থাইরয়েড ভালো রাখতে করণীয়
সঠিক খাদ্য গ্রহণ:
আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি, আয়রন, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
নিয়মিত পরীক্ষা:
থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করানো জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ:
থাইরয়েডের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
থাইরয়েড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তাই এর যেকোনো অস্বাভাবিকতা শরীরে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

19/08/2025

❤️৫০ টি বহুল ব্যবহৃত

#হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম ও কাজ:-

১. Aconite Nap (একোনাইট ন্যাপ): (১) আকস্মিকতা ও ভীষণতা । (২) মৃত্যুভয় ও অস্থিরতা । (৩) পিপাসা ও জ্বালা । (৪) প্রচন্ড শীত বা প্রচন্ড গরমের প্রকোপ ।

২. Acid Nitric (এসিড নাইট্রিক): (১) স্রাবে দূর্গন্ধ, বিশেষতঃ প্রস্রাবে । (২) শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ও চর্মের সন্ধিস্থলে ক্ষত বা ফেঁটে যাওয়া। (৩) কাটা ফোঁটার মত ব্যথা। (৪) গাড়ীতে চড়ে বেড়ালে উপশম, দুধে বৃদ্ধি।

৩. Acid Phos (এসিড ফস): (১) অবসাদ বা অবসন্নতা। (২) দুধের মত সাদা প্রস্রাব বা ঘন ঘন প্রচুর প্রস্রাব। (৩) উদরাময়ে উপশম এবং মলত্যাগকালে প্রচুর বায়ু নিঃসারণ। (৪) সম্পূর্ণ তন্দ্রাচ্ছন্নভাব বা উদাসভাব।

৪. Agnus cast (এগনাস ক্যাস্ট): (১) অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় সেবাজনিত ধাতু'দৌর্বল্য। (২) অতিরিক্ত হস্ত'/মৈথুন বা পুনঃপুনঃ গণোরিয়া বশতঃ ধব্জ/ভঙ্গ দোষ। (৩) আত্মহ/ত্যার ইচ্ছা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা । (৪) প্রসূতির স্তনে দুধের অভাব। নিদারুন বিষন্নতা।

৫. Allium cepa (এলিয়াম সিপা): (১) নাসিকা হতে ক্ষতকর শ্লেষ্মাস্রাব। (২) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ু সঞ্চার । (৩) কানে কটকটানি, পায়ে ঠান্ডা লেগে কষ্টকর প্রস্রাব । (৪) অস্ত্রপচারের পর স্নায়ুশূল, প্রসবের পর স্নায়ুশূল।

৬. Antim crud (এন্টিম ক্রুড): (১) স্থুলদেহ এবং জিহ্বার উপর সাদা পুরু লেপ। (২) আহারে অরুচি এবং আহারের পর বমি। (৩) বিরক্তি, বিষন্নতা, ক্রোধ ও ক্রন্দন। (৪) গোসল সহ্য হয় না। গোসলে ভয়।

৭. Apis Mel (এপিস মেল): (১) মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট। (২) জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা। (৩) স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা। (৪) সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।

৮. Aralia Race (এরালিয়া রেসি): (১) হাঁপানী যুক্ত শ্বাসকাশ, শয়নে বাড়ে। বর্ষাকালে সর্দি শুকিয়ে কাশি হলে । (২) দূর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব, পানির মত। (৩) অর্শ, গুহ্যদ্বারের স্থানচ্যুতি। (৪) রোগী সহজে প্রশ্বাস ত্যাগ করতে পারে, কিন্তু নিশ্বাস গ্রহনের সময়ে তার কষ্ট হয়।

৯. Arnica Mont (আর্নিকা মন্ট): (১) বেদনা, আঘাত জনিত বেদনা এবং রোগজনিত বেদনা। যে কোন বেদনা। (২) স্পর্শকাতরতা ও অস্থিরতা। (৩) বিছানা শক্ত মনে হয় কিন্তু অন্যান্য কষ্ট সম্বন্ধে বলে সে ভাল আছে। (৪) সজ্ঞানে প্রলাপ ও আতঙ্ক।

১০. Arsenic Alb (আর্সেনিক এল্ব): (১) নিদারুণ দুর্বলতা, অস্থিরতা ও মৃত্যু ভয়। (২) মধ্যদিবা বা মধ্যরাতে বৃদ্ধি কিংবা মধ্যদিবা এবং মধ্যরাতে বৃদ্ধি। (৩) প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে স্বল্প পানি পান এবং পানি পান মাত্রই বমি। (৪) জ্বালা ও দুর্গন্ধ।

১১. Bacillinum (ব্যাসিলিনাম): (১) বংশগত ক্ষয়দোষ এবং উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। (২) রোগ ও রোগীর পরিবর্তনশীলতা। (৩) অল্পে ঠান্ডালাগা এবং গ্রন্থির বিবৃদ্ধি। (৪) দুর্বলতা ও বাঁচালতা।

১২. Belladona (বেলাডোনা): (১) উত্তাপ ও আরক্তিমতা। (২) জ্বালা ও স্পর্শকাতরতা। (৩) আকস্মিকতা ও ভীষণতা। (৪) ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়।

১৩. Bryonia Alb (ব্র্রায়োনিয়া এ্ল্ব): (১) নড়াচড়ায় বৃদ্ধি এবং চুপ করে পড়ে থাকলে উপশম। (২) শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির শুষ্কতা। (৩) আক্রা'ন্তস্থান বা বেদনা যুক্ত স্থান চেপে ধরলে উপশম। (৪) ক্রুদ্ধভাব এবং ক্রুদ্ধ হবার ফলে অসুস্থতা।

১৪. Calc Carb (ক্যাল্কে-কার্ব): (১) দেহের স্থুলতা শিথিলতা ও শ্লেষ্মা প্রবণতা। (২) ভীরুতা ও ভ্রান্তধারণা। (৩) মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায় ও অল্পে ঠান্ডা লাগে। (৪) ডিম খাবার প্রবল ইচ্ছা কিন্তু দুধ সহ্য করতে পারে না।

১৫. Calc Fluor (ক্যাল্কে-ফ্লোর): (১) গ্রন্থির বৃদ্ধি, গ্রন্থি প্রদাহ, অস্থিক্ষত, ক্ষত পেকে পুঁজ যুক্ত হয়ে উঠে। (২) অর্শ হতে রক্তপাত, মুখদিয়ে রক্তউঠা, চক্ষে ছানি। (৩) শীত কাতর, প্রথম চলতে আরম্ভ করলে বৃদ্ধি ও কিছুক্ষণ চলার পর হ্রাস। (৪) নাসিকার অস্থি আক্রান্ত, জরায়ুর স্থানচুতি, গরমে উপশম, নড়াচড়ায় উপশম।

১৬. Carbo Veg (কার্ব্বোভেজ): (১) স্বাস্থ্যহানীর অতীত কাহিনী। (২) হিমাঙ্গ অবস্থায় ঘর্ম ও বাতাসের জন্য ব্যাকুলতা। (৩) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ুসঞ্চয় ও উদগারে উপশম। (৪) জ্বালা ও রক্তস্রাব।

১৭. Carcinosin (কারসিনোসিন): (১) রোগীতে ক্যান্সারের ইতিবৃত্তি প্রাপ্ত হলে কার্সিনোসিন সুফল প্রদান করে। (২) তীব্র বেদনা ও গ্রন্থির কাঠিন্যযুক্ত স্তনের ক্যান্সার। (৩) জরায়ুর ক্যান্সারে দূর্গন্ধ স্রাব ও বেদনা থাকে। (৪) অগ্নিমান্দ্য, আমাশয় ও অন্ত্রে বায়ুজমে। (৫) ক্যান্সার জনিত ধাতু বিকৃতি বশতঃ আমবাত।

১৮. Causticum (কষ্টিকাম): (১) একাঙ্গিন পক্ষাঘাত বিশেষতঃ দক্ষিণ অঙ্গের বাত বা পক্ষাঘাত। (২) আশঙ্কা ও শীতকাতরতা। (৩) নিদ্রাকালে অস্থিরতা। (৪) না দাঁড়ালে মলত্যাগে অসুবিধা। (৫) সঙ্গমের পর মূত্রত্যাগ কালে মূত্রনালীতে জ্বালা। (৬) বর্ষা ও বৃষ্টির দিনে ভাল থাকে।

১৯. China off (চায়না অফ): (১) অধিক স্তন্যদান, অত্যধিক ভেদ, বীর্যক্ষয় বা রক্তক্ষয় জনিত অসুস্থতা। (২) শোথ ও পেট ফাঁপা, হজম শক্তির অভাব। (৩) নির্দিষ্ট সময়ে বা নিয়মিতভাবে রোগাক্রমণ। (৪) রক্তস্রাব প্রবণতা ও রক্তস্রাবের সাথে আক্ষেপ।

২০. Cimicifuga/Actaea Race (সিমিসিফিউগা/একটিয়া রেসি): (১) ঋতুস্রাবের সঙ্গে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। (২) পর্যায়ক্রমে শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ। (৩) ডিম্বকোষের বা জরায়ুর দোষে শ্বাসকষ্ট বা হৃদস্পন্দন। (৪) যারা আঙ্গুলের কাজ করে তাদের পিঠে ব্যথা।

২১. Dulcamara (ডালকামারা): (১) শরৎকালীন অসুস্থতা। (২) ঠান্ডা লেগে প্রস্রাবের বেগ বা শ্লেষ্মার প্রকোপ। (৩) উত্তাপে উপশম ও অস্থিরতায় উপশম। (৪) ঘর্ম বা চর্মরোগ চাপা দেওয়ার কুফল।

২২. Graphites (গ্রাফাইটিস): (১) স্থুলতা ও কোষ্টবদ্ধতা। (২) ফাঁটা চর্ম ও চটচটে রস। (৩) শঙ্কা ও সতর্কতা। (৪) মাছ, মাংস, সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছা।

২৩. Hepar Sulph (হিপার সালফ): (১) শীতার্ততা ও স্পর্শকাতরতা। (২) ক্ষিপ্রতা হঠকারীতা। (৩) টক ঝাল প্রভৃতি উগ্রদ্রব্য খেতে ইচ্ছা। (৪) কাটা ফোটার মত ব্যথা।

২৪. Kali bichrom (ক্যালি বাইক্রোম): (১) পর্যায়ক্রমে বাত ও শ্লেষ্মার প্রকোপ। (২) সুতার মত লম্বা শ্লেষ্মাস্রাব। (৩) নির্দিষ্ট দিনে বা নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধি। (৪) ভ্রমণশীল বেদনা।

২৫. Kalmia Lat (ক্যালমিয়া লেট): (১) ব্যথা নিম্নগামি কিন্তু বাতবেদনা ক্রমশ হৃৎপিণ্ড আক্রমণ করে, বামপার্শ্বে শুইতে অক্ষম। (২) স্বল্পমূত্র, শোথ, নাড়ীর গতি মন্দ। (৩) সঞ্চালনে বৃদ্ধি কিন্তু উত্তাপ প্রয়োগে বা ঠাণ্ডায় উপশম হয়না। (৪) গর্ভাবস্থায় মূত্রস্বল্পতা সহিত দৃষ্টি-বিভ্রম বা চক্ষশূল, যন্ত্রণা- সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

২৬. Lachesis (ল্যাকেসিস): (১) নিদ্রায় বৃদ্ধি। (২) ঈর্ষা, স্পর্শকাতরতা ও বাচালতা। (৩) বাম অঙ্গে রোগাক্রমণ বা প্রথমে বামদিকে পরে ডান দিকে। (৪) নির্গমণে নিবৃত্তি।

২৭. Ledum Pal (লিডামপাল): (১) ঠান্ডা পানিতে বেদনার উপশম। (২) নিম্নাঙ্গে রোগাক্রমণ বা প্রথমে নিম্নাঙ্গে ও পরে উর্ধ্বাঙ্গে। (৩) শোথ। (৪) স্নায়ু কেন্দ্র আঘাত।

২৮. Lobelia Erinus (লোবেলিয়া ইরিনাস): (১) ক্যান্সারজনিত চর্মের অস্বাভাবিক বিবৃদ্ধি ও শুষ্কতা। (২) মুখমন্ডলের এপিথেলিওমা ও আঙুলসমূহে উদ্ভেদ। (৩) পেটের ভিতর বা মস্তিষ্কের টিউমার। (৪) ওমেনটাম বা অন্ত্রপ্লাবকের ক্যান্সার।

২৯. Lycopodium (লাইকোপডিয়াম): (১) ডানে অঙ্গে রোগাক্রমন বা প্রথমে ডান অঙ্গে ও পরে বাম অঙ্গে আক্রমণ। (২) গরম খাবারে স্পৃহা ও বায়ুর প্রকোপ। (৩) ভীরুতা, কৃপণতা ও নিঃসঙ্গপ্রিয়তা। (৪) অল্প খেয়ে ক্ষুধা মিটে যায়। সকল ক্ষেত্রে অম্লস্বাদ। (৫) তলপেটে বায়ু জমে উর্দ্ধভাগশীর্ণ নিম্নাংশ স্থূল।

৩০. Medorrhinum (মেডোরিনাম): (১) বংশগত প্রমেহ দোষ ও উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। ২। জ্বালা , ব্যথা, স্পর্শকাতরতা। ৩। ব্যস্ততা ও ক্রন্দণশীলতা। ৪। স্নায়ুবিক দুর্বলতা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ও মৃত্যু ভয়।

৩১. Merc sol (মার্কসল): (১) অতিরিক্ত ঘর্ম, অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ ও অতিরিক্ত পিপাসা। (২) জিহ্বা পুরু ও দাঁতের ছাপ যুক্ত। (৩) দুর্গন্ধ ও ডান পার্শ্বে চেপে শুতে অসুবিধা।(৪) রাত্রে বৃদ্ধি, শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি, ঘর্মাবস্থায় বৃদ্ধি।

৩২. Mezereum (মেজেরিয়াম): (১) উদ্ভেদ বা একজিমা হতে প্রচুর রস নিঃসরণ। (২) টিকাজনিত কুফল ত্বক বা চর্ম রোগ চাপা দেয়ার কুফল। (৩) রাত্রে বৃদ্ধি।(৪) অত্যন্ত রাগী কিন্তু পরক্ষণেই অনুতপ্ত, উম্মাদ।

৩৩. Nux Vomica (নাক্স ভূমিকা): (১) অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়সেবা কিংবা অতিরিক্ত রাত জাগরণ জনিত অসুস্থতা। (২) বারম্বার মলত্যাগের ব্যর্থ প্রয়াস এবং মলত্যাগের পর উপশম বোধ। (৩) জিদ বা মনের দৃঢ়তা, ঈর্ষা ও হঠকারিতা । (৪) শীতকাতরতা, স্পর্শকাতরতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা|

৩৪. Phosphorus (ফসফরাস): (১) তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, লম্বা, পাতলা একহারা চেহারা। (২) রক্তস্রাবের প্রবণতা। (৩) বামপার্শ্ব ও চেপে শুতে পারে না। (৪) রাক্ষুসে ক্ষুধা, জ্বালা ও শুন্যবোধ।

৩৫. Phytolacca (ফাইটোলাক্কা): (১) স্তন ও স্তনের যে কোন প্রদাহে। (২) রাতে বৃদ্ধি, শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি, বর্ষায় বৃদ্ধি। (৩) স্পর্শকাতরতা ও অস্থিরতা। (৪) দাঁতে দাঁতে বা মাঢ়িতে মাঢ়িতে চেপে ধরতে ইচ্ছা।

৩৬. Psorinum (সোরিনাম) (১) ধাতুগত বা বংশগত সোরাদোষের উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। (২) উদ্বেগ, আতঙ্ক ও নৈরাশ্য। (৩) প্রবল ক্ষুধা ও অত্যধিক দুর্গন্ধ। (৪) দুর্বলতা ও শীতার্ততা।

৩৭. Pulsatilla (পালসেটিলা): (১) পরিবর্তনশীলতা। (২) নম্রতা ও ক্রন্দনশীলতা । (৩) তৃষ্ণাহীনতা। (৪) গরমে বৃদ্ধি ও গাত্র সর্বদা উত্তপ্ত।

৩৮. Rhus Tox (রাসটক্স): (১) বর্ষায় বৃদ্ধি ও বিশ্রামে বৃদ্ধি। (২) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কামড়ানি ও অস্থিরতা। (৩) অস্থিরতায় উপশম, উত্তাপে উপশম। (৪) জিহ্বার অগ্রভাগ ত্রিকোণ লাল বর্ণ ও জ্বরের শীত অবস্থায় কাশি।

৩৯. Ruta grav (রুটা গ্র্যাভ): (১) সন্ধিস্থানের অস্থিচ্যুতি বা সন্ধিস্থান মচকে যাওয়া। (২) কটি ব্যথা ও মলদ্বারের শিথিলতা। (৩) স্ত্রী জন'নেন্দ্রিয়ে চুলকানির সঙ্গে বাম স্তনে ব্যথা। (৪) চক্ষু জ্বালা ও দৃষ্টি বিপর্যয়।

৪০. Selenium (সেলেনিয়াম): (১) অতিরিক্ত শুক্র'ক্ষয় বা অতিদীর্ঘ রোগ ভোগের পর দেহ ও মনের অবসাদ। (২) মলত্যা'গকালে শুক্রক্ষরণ। (৩) কামভাবের প্রাবল্য ও শুক্রতারল্য। (৪) স্বরভঙ্গ ও কোষ্ঠকাঠিন্য।

৪১. Senecio (সেনেসিও): (১) ঋতুস্রাবের পরিবর্তে রক্তকাশ। (২) রক্তস্রাব জনিত শোথ। (৩) স্বল্প রজঃরোগে উহা বর্ধিত করে ও অতিরিক্ত রজঃস্রাবে হ্রাসপ্রাপ্ত এবং কষ্ট রজঃরোগের যন্ত্রণা উপশমিত হয়। (৪) রজঃস্রাবের পরিবর্তে অথবা মূত্রদোষ সহ শ্বেতপ্রদর।

৪২. Sepia off (সিপিয়া অফ): (১) বিষন্নতা, ক্রন্দণশীলতা ও উদাসীনতা। (২) অতিরিক্ত রক্তক্ষয় বা অতিরিক্ত স্বামী সহবাস কিম্বা অতিরিক্ত গর্ভধারণ জনিত জরায়ুর শিথিলতা। (৩) উদরে শূন্যবোধ, মলদ্বারে পূর্ণবোধ। (৪) পরিশ্রমে উপশম এবং স্নানে অনিচ্ছা।

৪৩. Silicea (সাইলেসিয়া): (১) দৃঢ়তার অভাব ও শীতার্ততা, কোষ্ঠবদ্ধতা। (২) মাথার এবং পায়ের তলায় দুর্গন্ধ ঘাম বা বাধাপ্রাপ্ত ঘামের কুফল। (৩) উত্তাপে উপশম এবং অমাবস্যায় ও পূর্ণিমায় বৃদ্ধি। (৪) টিকাজনিত কুফল।

৪৪. Spigelia (স্পাইজেলিয়া): (১) স্নায়ুশূল নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। (২) বামদিকে রোগাক্রমণ। (৩) বর্ষায় বা জলো হাওয়ায় বৃদ্ধি।

৪৫. Staphisagria (স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া): (১) কামভাবের প্রাবল্য এবং তাহার কুফল। (২) অতিরিক্ত ক্রোধ এবং তাহার কুফল। (৩) স'ঙ্গম বা সহবাসজনিত মূত্র'কষ্ট বা শ্বাসকষ্ট। (৪) চক্ষে অঞ্জনি ও দাঁতে পোকা, অতিরিক্ত হস্তমৈ'থুন। (৫) অস্ত্রপচারের কুফল, যৌন বিষয় সম্বন্ধে অনবরত চর্চা করে থাকে।

৪৬. Sulphur (সালফার): (১) অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্নতা। (২) প্রাতঃকালে মলত্যাগ ও মধ্যাহ্নক্ষুধা। (৩) স্নানে অনিচ্ছা, দুগ্ধে অরুচি। (৪) ব্রহ্মতালূ হাতের তালূ ও পায়ের তলায় উত্তাপ বা জ্বালা। (৫) সকল রন্দ্রপথ লাল।

৪৭. Syphilinum (সিফিলিনাম): (১) বংশগত উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। (২) রাত্রে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা। (৩) খর্বতা ও পক্ষাঘাত। (৪) ক্ষত ও দুর্গন্ধ।

৪৮. Thuja Occi (থুজা অক্সি): (১) আঁচিল, অর্বুদ ও রক্তহীনতা। (২) ঠান্ডায় বৃদ্ধি, বর্ষায় বৃদ্ধি এবং রাত ৩টায় বৃদ্ধি। (৩) বদ্ধমূল ধারনা ও স্বপ্নবহুল নিদ্রা। (৪) টিকা ও বসন্ত-এর পর যে কোন উপসর্গ।

৪৮. Tuberculinum (টিউবারকুলিনাম): (১) সবিরাম জ্বর। (২) ক্ষীণদেহ, রোগের পুনরাবৃত্তির প্রবণতা। (৩) উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত যক্ষ্মাসম্ভব অবস্থার প্রবণতা ও সহজেই রোগাক্রমন। (৪) রাত্রিকালে কষ্টদাযক ও সদাস্থায়ী চিন্তা।

৫০. Uranium Nitric (ইউরেনিয়াম নাইট্রিক): (১) ডায়াবেটিস মেলিটাস, শর্করাযুক্ত বহুমুত্রজনিত পিপাসা ও ক্ষুধা, শরীর শুকাইয়া যাওয়া। (২) ধ্বজভঙ্গ, ঋতুরোধ। (৩) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ু, উদগার। (৪) শোথ, উদরী, নেফ্রাইটিস ও উচ্চরক্তচাপ।
❤️❤️❤️
*কালেক্টেড *
Md. Selim Uddin DHMS, BSc,MPH.PGCHMH(UK).

Moxibustion,a Chinese medicine technique using mugwort, offers various benefits for women's health, particularly in area...
14/08/2025

Moxibustion,a Chinese medicine technique using mugwort, offers various benefits for women's health, particularly in areas related to reproductive health and pain management. It is known to warm the body, improve circulation, and promote overall well-being.

Specific benefits for women:
Improved Menstrual Health: Moxibustion can help regulate irregular menstrual cycles, reduce menstrual pain (dysmenorrhea), and alleviate symptoms associated with premenstrual syndrome (PMS).

Enhanced Fertility: By warming the uterus and improving blood flow to the reproductive organs, moxibustion is believed to support healthy conception and improve fertility outcomes.

Reduced Coldness in the Uterus: Moxibustion can help dispel coldness from the uterus, which is believed to be a contributing factor to certain gynecological issues, including infertility.

Pain Relief: It can be used to alleviate various types of pain, including menstrual cramps, back pain, and muscle aches, by promoting blood circulation and reducing inflammation.

Stress and Mood Regulation: Moxibustion can have a calming effect on the nervous system, potentially helping to reduce stress and improve mood, especially during the menstrual cycle.

Complementary to Acupuncture: Moxibustion can be used in conjunction with acupuncture to enhance its therapeutic effects, particularly for women's health concerns.

How Moxibustion works:
Warming and Tonifying: Moxibustion provides a warming sensation that stimulates acupuncture points, promoting blood circulation and energy flow (Qi).

Targeting Specific Points: Practitioners apply moxibustion to specific acupuncture points related to the uterus, ovaries, and other relevant areas to address specific health concerns.

Addressing Coldness and Stagnation: By warming the body and promoting circulation, moxibustion can help resolve stagnation and coldness, which are often implicated in women's health problems.

Important Considerations:
Consult a qualified practitioner: It's crucial to consult with a licensed TCM practitioner who can assess your individual needs and determine the appropriate moxibustion points and techniques.

Safety: While generally safe, moxibustion should be performed by a trained professional to avoid burns or other potential complications.
Not a cure-all: Moxibustion is often used as a complementary therapy alongside other treatments, such as acupuncture or herbal medicine.

আপনারা কি জানেন যে কাকরা অসুস্থ হলে পিঁপড়েদের খোঁজ করে?প্রথম নজরে এটা অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু এটা সত্য: কাকরা বুঝতে ...
12/08/2025

আপনারা কি জানেন যে কাকরা অসুস্থ হলে পিঁপড়েদের খোঁজ করে?
প্রথম নজরে এটা অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু এটা সত্য: কাকরা বুঝতে পারে যে তারা অসুস্থ বা পরজীবী দ্বারা বিরক্ত, তাদের একটি আশ্চর্যজনক সহজাত আচরণ রয়েছে - তারা পিঁপড়েদের কাছে যায়, কিছুক্ষণের জন্য সেখানে অবতরণ করে, তাদের ডানা ছড়িয়ে দেয় এবং স্থির থাকে, যার ফলে পিঁপড়েরা সারা শরীরে, বিশেষ করে পালকের মাঝখানে উঠতে পারে।

এই অদ্ভুত আচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। পিঁপড়েরা ফর্মিক অ্যাসিড নিঃসরণ করে, যা একটি প্রাকৃতিক পদার্থ যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক প্রভাব রয়েছে। পিঁপড়েদের দ্বারা "আক্রমণ" করা হলে, কাক এক ধরণের প্রাকৃতিক চিকিৎসা পায়, প্রায় থেরাপিউটিক স্নানের মতো, যা ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যা মূলত তার ত্বক এবং পালককে প্রভাবিত করে।
বিজ্ঞানে এই ঘটনাটি "পিঁপড়ে" নামে পরিচিত, এবং এটি কেবল কাকের ক্ষেত্রেই ঘটে না। অনেক পাখি স্ব-ঔষধের একটি রূপ হিসাবে এই কৌশলটি ব্যবহার করে - কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই প্রাণীরা কীভাবে তাদের চারপাশের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে সুস্থ থাকতে পারে তার একটি বাস্তব উদাহরণ।

এটি একটি সুন্দর অনুস্মারক যে প্রকৃতি একটি জীবন্ত ফার্মেসী হিসেবে কাজ করে, যেখানে জীবিত প্রাণীরা নিজেরাই এমন সমাধান দিয়ে ভরা থাকে যা কীভাবে অ্যাক্সেস করতে হয়। এই আচরণের পিছনে থাকা সহজাত প্রবৃত্তি কেবল বুদ্ধিমত্তাই নয়, বরং প্রজাতির তারা যে পরিবেশে বাস করে তার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অবিশ্বাস্য ক্ষমতাও দেখায়।
সংগৃহীত পোস্ট

12/08/2025
প্রতিদিন বিশ্বের বহু নারী ছোট একটা বড়ি সেবন করে থাকে এই বিশ্বাসের সাথে যে এই ও*ষুধ তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়...
04/07/2025

প্রতিদিন বিশ্বের বহু নারী ছোট একটা বড়ি সেবন করে থাকে এই বিশ্বাসের সাথে যে এই ও*ষুধ তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। এই জিনিসটি বর্তমানে এতোটাই প্রচলিত হয়ে উঠেছে যে এই বড়ি সেবনের পর স্বাস্থ্যের কী হচ্ছে তা আর জানার চেষ্টা করে না বা সেদিকে খেয়াল করে না।

কিন্তু আপনি কী জানেন এই আর্টিফিশিয়াল হরমোনজনিত ও*ষুধগুলো আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে কিনা? এই ও*ষুধের কারণে আপনার স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা তৈরি করবে কিনা? চলুন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাক।

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি কীভাবে কাজ করে?

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সাধারণত দুইটি সিন্থেটিক হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টোরন এর তৈরি। এই হরমোন এর কারণে ovulation (এমন প্রক্রিয়া যাতে ওভারি থেকে প্রতি মাসে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়) বন্ধ হয়ে যায়। একইসাথে প্রজেস্টেরন হরমোন সার্ভিকাল মিউকাস এর স্তর পুরু করে দেয়, যার কারণে শুক্রাণু প্রবেশ করতে পারে না। যার কারণে ডিম্বাণু নিষিক্তকরণ এবং জরায়ুতে স্থাপন বাঁধাগ্রস্ত হয়ে থাকে, যা গর্ভধারণের একদম মৌলিক বিষয় এবং এই বড়ি সেবনের মূল উদ্দেশ্য। তবে এই বড়ির কারণে হরমোনের মাত্রার স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় দেহে কিছু ক্ষতিকারক দিকের সৃষ্টি হয়। যেমন:

১৷ রক্ত জমাট বাঁধা: ইস্ট্রোজেন হরমোন এর কারণে দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর (Blood clotting factor যেমন fibrinogen) বৃদ্ধি পায়, এবং প্রাকৃতিকভাবে দেহের অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট (জমাট রক্ত গলাতে সাহায্য করে) এর কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। যার কারণে দেহের ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, একে venous thromboembolism (VTE) (ভেনাস থ্রম্বোএম্বোলিজম) বলে।

জমাট বাঁধা এই রক্ত ফুসফুসে গেলে Pulmonary embolism হতে পারে। এছাড়াও এই জমাট রক্তের কারণেই পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে।

২। ওজন বৃদ্ধি এবং মুড সুইং: ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোন দেহের ইনসুলিনের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটায়, যার কারণে স্বাভাবিক দেহে যেভাবে শর্করা পরিপাক হয়ে থাকে, সেটার তারতম্য ঘটে। প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়, যার কারণে সহজেই ওজন বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও এই হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার (স্বাভাবিক কার্যকলাপ সাধন এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তাকারী) এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়, যার কারণে সেরোটোনিন এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন, অসহ্যকর ভাব, এবং কিছু ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন এর সৃষ্টি হয়।

৩। ক্যান্সার ঝুঁকিতে সহায়তাকারী : দীর্ঘদিন ধরে এই বড়ি সেবনের ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং সারভিকাল ক্যান্সার এর সৃষ্টি হয়। ব্রেস্ট টিস্যু (স্তনের কোষ) সাধারণত ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে সক্রিয় হয়ে উঠে, তাই বারবার এই হরমোনের মাত্রা বাড়ার কারণে স্তনে Hormone-receptor-positive breast cancer cells বা সহজে ব্রেস্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এইসব ঝুঁকি নিয়ে সবারই জানা উচিত এবং বিশেষ করে নারীদের এই তথ্য সম্পর্কে জানিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা উচিত।

হরমোনজনিত বড়ি ছাড়াও Non-hormonal contraception method যেমন কপার আইইউডি (Copper IUD) রয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসব ব্যাপারে গাইনী চিকিৎসকদের সাথে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ করা উচিত।

লেখক,
দিদারুল ইসলাম,
টিম সায়েন্স বী

01/07/2025

যখন চারিদিকে ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে তখন
একদল লোক দ্বীনদার লোকদের বিরুদ্ধে লেগে থাকবে
তাদের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করার জন্যে,
এবং তা নিয়ে হৈচৈ করবে;
কিন্তু পাপাচারী খারাপ লোকদের বিরুদ্ধে এরা কিছুই বলবেনা।
তাদের আচরণ দেখে মনে হবে,
দ্বীনদারি একটা বিপদ।
ইবনুল কায়্যিম রহ.

থানকুনি / আদা মনি পাতা কেন খাবেন??? ✅🍀এক বার শিখে রাখুন আজীবন কাছে লাগবে ✅✅থানকুনি পাতা কিংবা থানকুনি শাক- যে যাই বলুন ক...
28/02/2025

থানকুনি / আদা মনি পাতা কেন খাবেন???
✅🍀এক বার শিখে রাখুন আজীবন কাছে লাগবে ✅✅

থানকুনি পাতা কিংবা থানকুনি শাক- যে যাই বলুন কেনো, উপকারিতার দিক থেকে এর জুড়ি মেলা ভার। উল্লেখযোগ্য কোনো স্বাদ না থাকলেও বাংলাজুড়ে অতি পরিচিত নাম থানকুনি; যা ব্যবহৃত হয় অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে।

যে প্রক্রিয়ায় খান না কেনো, থানকুনি পাতা ও গাছ মানবদেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইউমিনিটি (প্রতিরোধ শক্তি) তৈরি করে। তাই চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়ে নিয়মিত থানকুনি খেলে আপনি অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন।

এবার আসুন, জেনে নেওয়া যাক থানকুনির গুণাবলী:

১🌹. বেগুন/পেঁপে/কাচাকলার সঙ্গে থানকুনি পাতা মিশিয়ে রান্না করে এক মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

২🌹. সকালে খালিপেটে এক চা-চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে এক চা-চামচ শিউলি ফুলের পাতার রস মিশিয়ে চার-পাচঁদিন খেলে জ্বর নিরাময় হয় এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়।

৩🌹. আম গাছের অল্প পরিমাণ ছাল, আনারসের একটি কচিপাতা, কাঁচাহলুদের রস ও ৪/৫টি থানকুনি গাছ শেকড়সহ ভালো করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালিপেটে খেলে পুরোন পেটের পীড়া ভালো হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি কার্যকর।

৪.🌹 আধা কেজি গরুর দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি ও ১৭৫ গ্রাম থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে এক সপ্তাহে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয়।

৫🌹. সামান্য চিনিসহ দুই চা-চামচ থানকুনির রস খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশির উপশম হয় এবং এক সপ্তাহ খেলে কাশি পুরোপুরি নিরাময় হয়।

৬. 🌹প্রতিদিন সকালে খালিপেটে চার চা-চামচ থানকুনি পাতার রস ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সাতদিন খেলে রক্তদূষণ দূর হয়।

৭.🌹 জন্মের পর যেসব শিশু কথা বলতে দেরি করে অথবা যাদের কথা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে এককাপ ঠাণ্ডা দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ঠাণ্ডা করে এর সঙ্গে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে কিছুদিন খাওয়ালে অত্যন্ত কার্যকর উপকার পাওয়া যায়।

৮🌹. প্রতিদিন সকালে ৫/৭টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে সাতদিন খেলে আমাশয় ভালো হয়। থানকুনি পাতা বেটে এর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার দুই চা-চামচ খেলে আমাশয় ভালো হয়।

৯.🌹 থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে পেটব্যথা ভালো হয়।

১০.🌹 প্রতিদিন সকালে এক চা-চামচ থানকুনির রস, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস এবং সামান্য চিনি ও মধুসহ একমাস খেলে লিভারের সমস্যা ভালো হয়।

Address

Uttor Baddda
Dhaka
1234

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhsais Mission Ideal Healthcare & Research posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram