19/05/2023
. প্রস্রাবে ইনফেকশন।
UTI= Urinary tract infection
অল্প থাকতেই গুরুত্ব দিন।
নইলে বড় ধরনের সমস্যা হবে।
🧧 প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ🧧
🔵১.স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব জীবাণুমুক্ত থাকে, তবে E. coli নামক জীবাণু, মূত্রনালীতে ঢুকে ইনফেকশন হতে পারে । এটিকে মূত্রনালীর প্রদাহ বলে।
🔵২.এই ইনফেকশন মুত্রথলিতে এমনকি কিডনিতেও ছড়াতে পারে। এটি কে বলে পাইলো নেফ্রাইটিস।
🔵৩ ক্ল্যামাইডিয়া এবং মাইক্রোপ্লাজমা নামক ক্ষুদ্র জীবাণু দুটো যৌন সংসর্গের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হতে পারে।
🔵৪.যদি এমন ঘটে তাহলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই ইনফেকশনের চিকিৎসা করতে হবে।
🔵 ৫. কিডনিতে পাথর অথবা প্রোস্টেট বড় বা ডায়াবেটিস হওয়াতেও প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে।
🔵৬.স্বামীর কনডোমের কারণেও মহিলার যোনিতে E. coli ইনফেকশন হতে পারে।
🔵৭. মেয়েদের প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ বেশি হয়।
🔵৮. একবার মুত্রের ইনফেকশন হলে বারবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
🔵৯. বছরে তিনবার বা এর বেশি প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হলে একে বলা হয় রিকারেন্ট ইউটিআই
🧧 ।। কাদের বেশী হয়?।🧧
🟠১০.মহিলাদের মূত্রাশয়ের প্রদাহ বা (cystitis) পুরুষের চেয়ে বেশি ও মারাত্মক ধরনের হয়, কারন-
🟠১১. মেয়েদের মূত্রনালির দৈর্ঘ্য কম এবং এর মুখের অবস্থান যোনিপথ এবং মলদ্বারের কাছাকাছি।
🟠১২. মলদ্বারে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর জীবাণু থাকে আর খুব সহজেই সেখান থেকে জীবাণু মূত্রনালিতে প্রবেশ করতে পারে।
🟠১২. ক) মাসিকের সময় ও যৌন মিলনের সময় ঝুঁকি বেশি থাকে।
🟠১৩. এছাড়া গর্ভাবস্থায় ইনফেকশন এর সম্ভবনা বেড়ে যায়।
🟠১৪. ডায়াবেটিস থাকলে বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়।
🟠১৫. ক্যাথেটার করার জন্যও হতে পারে
🟠১৬. প্রস্রাবের বেগ দীর্ঘ সময় আটকে
রাখলেও হয়।
🟠১৭. অপরিচ্ছন্ন থাকা, নোংরা পানি ব্যবহার, যৌন মিলনের আগে ও পরে প্রস্রাব না করা বা পরিচ্ছন্ন না হওয়া এ সংক্রমণের বড় কারণ।
🟠১৮. ছোট মেয়েদের ক্ষেত্রে মূত্র নির্গমনের পর পানি দিয়ে পরিষ্কারের সময় বারবার হাত মূত্রনালির মুখ থেকে মলদ্বার ছুঁয়ে আবার মূত্রনালির মুখ স্পর্শ করার কারণে ঘন ঘন ইউটিআই(UTI) হতে পারে।
🟠১৯. মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার পরে হরমোনগত কিছু পরিবর্তনের কারনে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়।
🟠২০. তাছাড়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণে পানি পান,মূত্রনালী চিকন হয়ে গেলে বা পাথর হলেও মহিলা ও পুরুষ দুজনেরই প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে।
🟠২১. যৌনবাহিত রোগ যেমিন গনোরিয়া হলে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হয়।
🟠২২. মূত্রতন্ত্রের কোথাও পাথর আছে কি না সেটা জানাও জরুরি।
🟠২৩. মেনোপজ বা স্থায়ী ঋতু বন্ধ হলে প্রস্রাবের সংক্রমণ বেশি হয়।
🟠২৪. যারা দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ খান প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ বেশি হয়।
🧧লক্ষন কি?🧧
⭕মূত্রথলি বা এর নিচে ইনফেকশন হলেঃ
🟡২৫. প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া
🟡২৬. ঘোলা, হলদে বা লালচে প্রস্রাব
🟡২৭. প্রস্রাব করার সময় তলপেট ও
প্রস্রাবের রাস্তায় তীব্র ব্যথা।
🟡২৮. প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা
🟡২৯. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
🟡৩০. মূত্রনালিতে জ্বালা, তলপেটে
অস্বস্তি থেকে শুরু করে প্রচণ্ড ব্যথা।
⭕ ইনফেকশন যদি মূত্রথলির উপরে কিডনিতে ছড়িয়ে যায় তাহলে-
🍎৩১. কাঁপুনি সহ জ্বর
🍎৩২. গায়ে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি
🍎৩৩. পেটের উপরের দিকে ডানে বা
বামে তীব্র ব্যথা যা পিঠের দিকে
ছড়িয়ে যায়,এ অবস্থা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
🧧প্রতিরোধ🧧
(মানে যাতে না হয় সেজন্য কি করবেন)
⚠️৩৪. প্রচুর পানি পান করতে হবে ও পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে,গরমের সময় বেশি খেতে হবে।
⚠️৩৫. এ ক্ষেত্রে লেবুর শরবত, ফলের রস, ডাব ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
⚠️৩৬. প্রস্রাবের চাপ হলে, প্রস্রাব জোর করে আটকে রাখবেন না, ওয়াশ রুমে যান।
⚠️৩৭. যৌনমিলনের আগে ও পরে প্রস্রাব করতে হবে ও পরিস্কার করতে হবে,
⚠️৩৮. যৌন মিলনে শুষ্কতা এড়াতে জেলি ব্যবহার করতে পারেন।
⚠️৩৯. তবে শুক্রাণুনাশক কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না।
⚠️৪০. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে,
⚠️৪১. সুতির অন্তঃবাস (আন্ডার ওয়ার) ব্যবহার করতে হবে,
⚠️৪২. মল ত্যাগের পর পায়ু এলাকা সামনে থেকে পেছনে ধুয়ে ফেলতে হবে,
⚠️৪৩. প্রস্রাব করার পর টয়লেট পেপার দিয়ে চেপে মুছতে হবে, কখনো ঘষবেন না এবং পায়খানার রাস্তা থেকে প্রস্তাবের রাস্তার দিকে কখনো মুছবেন না।
⚠️৪৪. কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের চিকিৎসা করান। তাঁরা প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবার, যেমন- শাকসবজি, সালাদ, ফল, ইসবগুলের ভুসি ইত্যাদি বেশি করে খাবেন।
⚠️৪৫. তবে ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে খাবেন।
⚠️৪৬. মাসিকের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে,স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করবেন।
⚠️৪৭. মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন
না।
⚠️৪৮. যাদের মেনোপজ বা স্থায়ীভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে তাদের বারবার প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে যোনিপথে এবং মূত্রনালির মুখে ইস্ট্রোজেন ক্রিম ব্যবহার করতে হতে পারে।
⚠️৪৯. বারবার মুত্রের সংক্রমণ হলে স্বল্পমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দীর্ঘদিন সেবন করতে হতে পারে।
⚠️৫০. কর্মরত মহিলাদের, স্কুল-কলেজের মেয়েদের প্রয়োজনে সাধ্যমতো উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।
🧧ঘরে বসে চিকিৎসা🧧
🌐৫১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে প্রচুর প্রস্রাব হবে, জীবাণু প্রস্রাবের মাধ্যমে বহুলাংশে বের হয়ে যাবে।
🌐৫২. যেসব খাবারে সাইট্রিক এসিড ও ক্যাফেইন আছে, যেমন কফি-টক স্বাদের জুস-অ্যালকোহল-কোমলপানীয় ইত্যাদি ইউরিন ইনফেকশন ভালো না হওয়া পর্যন্ত এড়িয়ে চলুন।
🌐৫৩. তলপেটে হালকা গরম সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। তবে বেশি তাপমাত্রার সেঁক দেওয়া যাবে না।
🌐৫৪. ক্র্যানবেরী জুস নিয়মিতভাবে খেলে প্রস্রাবে ইনফেকশন কম হবে,
🌐৫৫. গরমের দিনে দই খেতে পারেন।
🌐৫৬. প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
🌐 ৫৭. যথাসময়ে চিকিৎসা না করালে
স্থায়ীভাবে কিডনি সমস্যা হতে পারে।