12/04/2025
=======
|| ০০১ ||
============
|| ডিসপেপসিয়া ||
=============
সংজ্ঞাঃ
=====
হজম সংক্রান্ত ও পেটের নানা সমস্যাকে এক সাথে বলা হয় ডিসপেপসিয়া (Dyspepsia) বা বদহজম। কেবল বদহজম মানেই আবার ডিসপেপসিয়া নয়। বমিবমিভাব বা বমি হওয়া, অম্বল বা চুকা ঢেকুর ওঠা, পেট গুড়গুড় বা পেট ভুটভাট করা, পেট ব্যথা করা, খাবারে অরুচি, গলা জ্বালাপোড়া করা, পেটে গ্যাস হয়ে ফুলে যাওয়া, আবার কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা হওয়া এমন সব সমস্যা এক সাথে হলে তাকে বলা হয় ডিসপেপসিয়া (Dyspepsia)।
কারণঃ
,=====
=> অনিয়মিত খাবার খাওয়া
=> অতিরিক্ত তেল ঝাল মশলাদ্বার খাবার
=> গ্যাস্ট্রাইটিস, পেপটিক আলসার, GERD, ডায়াবেটিস, প্যানক্রিয়েটাইটিস, পিত্তপাথর, সিলিয়াক ডিজিজ এমন বিভিন্ন রোগের কারণেও হয়
=> অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যাসপিরিন ও NSAID, স্টেরয়েড, কেমোথেরাপিক ঔষধ, opiales এমন জাতীয় ঔষধ সেবনের কারণেও হতে পারে
লক্ষণঃ
=====
=> উপর পেটে ব্যথা
=> পেট ফাঁপা ও পেট ফুলে যাওয়া
=> অম্বল বা চুকা ঢেকুর ওঠা
=> বমিবমি ভাব বা বমি হওয়া
=> অস্বস্তি বোধ করা
রোগ নির্ণয়ঃ
========
=> বিস্তারিত বিবরণ নেওয়া
=> শারীরিক পরীক্ষা করা
=> রক্ত পরীক্ষা করা
=> এন্ডোস্কোপি পরীক্ষা করা
=> ইমেজিং পরীক্ষা করা
=> গ্যাস্ট্রিক ফাংশন টেস্ট করা
প্রতিরোধঃ
=> নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে
=> খাবার পর্যাপ্ত চিবিয়ে খেতে হবে
=> খাবার খাওয়ার পর শুয়ে থাকা যাবে না
=> ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে
=> অ্যালকোহল গ্রহণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে
=> চিনিযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে
=> স্ট্রেস কমানোর কৌশল শিখে তা ব্যবহার করতে হবে
=> প্রোবায়োটিক এবং এনজাইম সম্পূরক খাবার খেতে হবে
কখন চিকিৎসককে দেখাবেন
====================
=> দৈনন্দিন কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটলে
=> ক্রমাগত বমি হলে
=> বমির সাথে রক্ত আসলে
=> শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে/চোয়ালে/ঘাড়ে/বাহুতে ব্যথা হলে
=> কালো বা টারি মল হলে
=> বমিসহ উচ্চ জ্বর হলে
=> পেট অনেকটা ফুলে গেলে
=> কঠিন বা তরল খাবারও গিলতে কষ্ট হলে
করণীয়ঃ
======
=> ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে
=> যে সব খাবার খেলে সমস্যা হয় সে সব খাবার খাওয়া যাবে না
=> ভাজাপোড়া ও চকলেট খাওয়া বাদ দিতে হবে
=> খাবার খাওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে শোয়া যাবে না
=> খাবার ধীরে ধীরে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে
=> কোমল পানীয় পান করা যাবে না
=> এসিড রিফ্লাক্স হলে শোয়ার আগে খাবার খাওয়া যাবে না
=> বেশি খাওয়া, দ্রুত খাওয়া, উচ্চ মাত্রায় ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে
চিকিৎসাঃ
=======
=> সমস্যাযুক্ত খাবার না খাওয়া
=> অ্যান্টাসিড জাতীয় ঔষধ খেতে হবে
=> অ্যাসিড ব্লকার ঔষধ খেতে হবে
=> প্রকিনেটিক্স যেমন - মেটাক্লোপ্রামাইড, ডমপেরিডন, এরিথ্রোমাইসিন জাতীয় ঔষধ খেতে হবে
=> যদি আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিস এইচ, পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয় তবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে
=> হালকা করে ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্টস - ইমিপ্রামাইন, অ্যামিট্রপটাইলিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া ভালো
_______________________