30/01/2025
🦷 আপনার কেনো দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
রক্তের ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়,মাড়ি দিয়ে রক্ত পরে।যেহেতু রক্তের উপাদান কমে যায় তখন মাড়িতে পাথর জমে গেলে,ঠিকমত দাঁত ব্রাশ না করলে আস্তে আস্তে মাড়ি ফুলে যায় এবং রক্ত পড়া শুরু হয়।
ডায়াবেটিস হলে থুতুতে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্লুকোজ উপস্থিত থাকে যেটা মুখ শুকায়ে ফেলে।এছাড়া এক ধরণের ডায়াবেটিসে বার বার প্রোসাব হয় এবং সেই তুলনায় পানি পান না করলে মুখ শুকিয়ে যায়।আবার মুখের লালা গ্রন্থিতে সমস্যা হলেও মুখ শুকিয়ে যেতে পারে।তাই সঠিক কারণ বের করা আবশ্যক।
লিভার বা কিডনি ঠিকমত কাজ করতে না পারলে শরীর থেকে কিছু ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যেতে পারেনা।তখন মুখে দুর্গন্ধ দেখা দেয়।এছাড়াও টনসিলে পুঁজ বা পাথর হলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।
আপনি সাইনোসাইটিসের সমস্যায় ভূগতেছেন কিন্তু ভাল হচ্ছে না।হতে পারে আপনার উপরের মাড়িতে ভাঙ্গা দাঁত আছে,পুঁজ হয়ে আছে,ক্রমাগত দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত আসে,দাঁত নড়ে।উপরের মাড়ির দাঁতের শেকড় সাইনাসের সাথে সম্পৃক্ত তাই উপরের মাড়ির দাঁতে এসব সমস্যা হলে সাইনাসের সমস্যাও তৈরী হয়।তাই এমন হলে অবশ্যই একজন ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন।
চোখা বা ধারালো ভাঙ্গা দাঁত মুখে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।এই দাঁতগুলো থেকে জিহ্বা বা মুখের চামড়াতে ক্রমাগত আঘাতের কারণে মুখে ঘা তৈরী হয়।যেটা শুকাতে পারেনা এবং আস্তে আস্তে সেখান থেকে মুখের ক্যান্সার তৈরী হয়।তাই ভাঙ্গা দাঁত থেকে তৈরী "ঘা" কে ছোট না ভেবে দ্রুত দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সুস্থ থাকুন।
কিছু উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ আছে যেমন frusemide,spironolactone এগুলো খেলে শরীর থেকে প্রোসাবের মাধ্যমে অনেক পানি বের হয়ে যায়।যদি এই অবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তবে মুখ শুকিয়ে যাবে।অনেকে মুখ শুকানোর চিকিৎসা নিতে আসে এবং এসব ঔষধের কথা এড়িয়ে যায়।এই অবস্থা হলে কখনোই মুখ শুকানো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়।
অনেক রোগী মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে আসেন।ভাল দেখলে দেখা যায় মুখের ভেতর মাড়ি ফোলার কোন কারণ নেই।তখন হিস্ট্রি নিয়ে দেখা যায় উনি উচ্চ রক্তচাপের কিছু ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার খান যেমন nifedipine। তাই মাড়ি ফুলে গেলে ডাক্তারের কাছে আপনি উচ্চ রক্তচাপের ঔষধের কথা এড়িয়ে যাবেন না।সাধারণত রোগীরা মাড়ির সমস্যা বলতে শুধু দাঁত থেকেই সমস্যা মনে করেন।
লিভার বা যকৃৎ,পিত্তথলিতে সমস্যা হলে জিহ্বা হলুদ হয়ে যায়।আবার হার্টের কিছু রোগে জিহ্বা বেগুনি রং ধারণ করে।রক্তের সমস্যার কারণে জিহ্বা নীল বর্ণ ধারণ করতে পারে।ঠিক এসব কারণেই জিহ্বার রং পরিবর্তন হচ্ছে নাকি মুখের প্রদাহের কারণে সেটা নিরুপণ জরুরী।তাই এগুলোকে ছোট সমস্যা না ভেবে দ্রুত দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নিন।উনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিবেন।
এছাড়াও আরো অনেক মুখের ছোট ছোট সমস্যা আছে যেগুলো অন্য রোগ বা ঔষধের সাথে সম্পর্কিত।তাই নিজে ও পরিবারের মানুষকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন। ৬ মাসে অন্তত একবার অবশ্যই ফলোআপ করায়ে নিন।মনে রাখবেন ঠিকমত খেতে পারলে তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন 😀
তাই মুখের যেকোন সমস্যায় আপনার নিকটস্থ ডেন্টাল সার্জনের সরনাপন্ন হতে ভূলবেন না।