Doctor Help Line Faridpur. private Hospital

Doctor Help Line Faridpur. private Hospital একটি সেবা মূলক পেজ

গবেষণায় দেখা গেছে পানির সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।যেহেতু আমাদের শরীরের প্রায় ৭০% পানি, তাই শরী...
15/09/2025

গবেষণায় দেখা গেছে পানির সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

যেহেতু আমাদের শরীরের প্রায় ৭০% পানি, তাই শরীরের প্রায় প্রতিটি কাজেই পানির প্রয়োজন হয়—এর মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত। মস্তিষ্ক নিজেই প্রায় ৮৫% পানি দিয়ে গঠিত এবং এটি কোনো সঞ্চয় করতে পারে না। তাই পরিষ্কারভাবে চিন্তা করা ও স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখার জন্য নিয়মিতভাবে পানি গ্রহণ অপরিহার্য।

মেয়ো ক্লিনিক অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন ঘাম, শ্বাসপ্রশ্বাস ও বর্জ্য নির্গমনের মাধ্যমে গড়ে ৮০ আউন্সের বেশি পানি হারায়। যদি আপনি এর চেয়ে কম পানি পান করেন, তবে আপনার শরীর ও মস্তিষ্ক ইতিমধ্যেই চাপের মধ্যে থাকতে পারে।

পানিশূন্যতা মস্তিষ্ককে কীভাবে প্রভাবিত করে?

১% পানিশূন্যতা → প্রায় ৫% মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়

২% পানিশূন্যতা → স্বল্পমেয়াদী স্মৃতির সমস্যা, গণিত বা সমস্যা সমাধানে অসুবিধা

দীর্ঘমেয়াদি পানিশূন্যতা → মস্তিষ্কের কোষ সঙ্কুচিত হয়, যা বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়

পানিশূন্যতার মানসিক লক্ষণসমূহ

যখন মস্তিষ্ক যথেষ্ট পানি পায় না, তখন দেখা দিতে পারে—

হতাশা বা খারাপ মেজাজ

দুপুরের দিকে অতিরিক্ত ক্লান্তি

ঘুমের সমস্যা

মনোযোগে ঘাটতি

মস্তিষ্ক ঝাপসা লাগা ও চিন্তায় অস্পষ্টতা

মানসিক কার্যক্ষমতার জন্য পানি কেন জরুরি?

পানি চিন্তা ও স্মৃতির প্রক্রিয়াকে সচল রাখে এবং হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনেও সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে—

দ্রুত চিন্তা করা যায়

আরও পরিষ্কারভাবে মনোযোগ ধরে রাখা যায়

শক্তির স্থিতিশীলতা বজায় থাকে

মস্তিষ্ক থাকে আরও সতেজ ও স্বচ্ছ

👉 তাই, শরীর ও মনের সেরা কর্মক্ষমতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS): আধুনিক প্রজন্মের এক নীরব মহামারিবর্তমান সময়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকায় যে বিষ...
14/09/2025

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS): আধুনিক প্রজন্মের এক নীরব মহামারি

বর্তমান সময়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে, তা হলো পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS। একসময় এটি সীমিত সংখ্যক নারীর সমস্যা মনে হলেও, এখন পুরো একটি প্রজন্ম এই সমস্যার শিকার হচ্ছে।

PCOS কী?
========
PCOS হলো নারীদের একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে শরীরের স্বাভাবিক হরমোন ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয় এবং মাসিক চক্রসহ নারীর প্রজনন ও শারীরিক নানা দিক প্রভাবিত হয়।

PCOS-এর সাধারণ লক্ষণসমূহ
======================
মাসিক অনিয়মিত হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া
ওজন কমতে না চাওয়া বা অকারণে বেড়ে যাওয়া
অতিরিক্ত চুল পড়া বা মুখে অস্বাভাবিক লোম গজানো
হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে ঘনঘন মুড সুইং
ব্রণ, ত্বকের কালচে দাগ বা অন্যান্য ত্বক সমস্যা

কেন এত বাড়ছে PCOS?
==================
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের জীবনযাপনের ধরনই এই সমস্যার মূল কারণ।

সারাদিন বসে থাকা ও শরীরচর্চার অভাব
ফাস্ট ফুড, চিনি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি নির্ভরতা
রাত জাগা ও ঘুমের অভাব
অতিরিক্ত মোবাইল, ল্যাপটপ ও স্ক্রিন টাইম
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ

এসব অভ্যাস শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হরমোন সিস্টেম নষ্ট হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড ও প্রজনন স্বাস্থ্যে গুরুতর প্রভাব ফেলে।

মানসিক প্রভাবও কম নয়
শুধু শারীরিক দিকেই নয়, PCOS মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
ঘনঘন মুড সুইং
ডিপ্রেশন
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
এসব কারণে একজন নারীর ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক ও ক্যারিয়ারেও সমস্যা দেখা দেয়।

কেন এটিকে সামাজিক স্বাস্থ্য সমস্যা বলা হচ্ছে?
==================================
কারণ এটি শুধু একজন নারীর সমস্যা নয়। নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গেও জড়িত। আজকের তরুণীরা যদি ব্যাপক হারে PCOS-এ আক্রান্ত হয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে।

করণীয়
=======
নিয়মিত শরীরচর্চা করা
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, বিশেষ করে শাকসবজি ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য
পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করা
মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা
প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

উপসংহার
========
PCOS এখন আর কোনো ব্যক্তিগত রোগ নয়; এটি পুরো সমাজের জন্য একটি বড় হেলথ ক্রাইসিস। তাই এখনই সচেতন হওয়া, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আন

❎😭৬ মাসের কমবয়সী বাচ্চাকে জল খাওয়ানোর মর্মান্তিক পরিণতি ‼️🗣️রাত তখন অনেকটা নীরব। ছয় মাসের অর্ণব হঠাৎ হঠাৎ হেঁচকি তুলছে...
12/09/2025

❎😭৬ মাসের কমবয়সী বাচ্চাকে জল খাওয়ানোর মর্মান্তিক পরিণতি ‼️

🗣️রাত তখন অনেকটা নীরব। ছয় মাসের অর্ণব হঠাৎ হঠাৎ হেঁচকি তুলছে। অর্ণবের দাদি ভেবেছিলেন—
“হেঁচকি তো পানি খাওয়ালে সেরে যায়।”
কোলের মধ্যে শিশুকে আঁকড়ে ধরে তিনি ছোট ছোট করে বারবার জল খাওয়াতে লাগলেন।

কিন্তু হেঁচকি কমার বদলে অর্ণবের শ্বাস ধীরে ধীরে ভারী হয়ে গেল। চোখের ভেতর আতঙ্ক জমতে লাগল মায়ের। সবাই ছুটল কাছের হাসপাতালে।

ডাক্তার দেখেই চমকে উঠলেন—
“বাচ্চাকে অতবার পানি খাওয়ানো হয়েছে? তার ফুসফুসে পানি ঢুকে গেছে, আর অতিরিক্ত পানি শরীরে প্রবেশ করায় ওয়াটার ইন্টক্সিকেশন হয়েছে।”

ডাক্তার আরও ব্যাখ্যা করলেন—
“শিশুর কিডনি এখনো পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বের হতে পারে না। ফলে রক্তে লবণের ঘাটতি তৈরি হয়। তখন পানি ব্রেনে জমে সোয়েলিং (স্ফীতি) তৈরি করে। মস্তিষ্ক ফুলে উঠলে শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।”

মুহূর্তের মধ্যে গোটা পরিবার স্তব্ধ।
দাদির চোখে পানি—
“আমি তো শুধু ভেবেছিলাম পানিতে হেঁচকি থামবে... জানতাম না ওটাই প্রাণ কেড়ে নেবে।”

অর্ণব বাঁচল না। কিন্তু তার ছোট্ট জীবনের এই মর্মান্তিক বিদায় শেখাল এক মহামূল্যবান শিক্ষা—

👉 ছোট শিশুর হেঁচকি বারবার উঠলে পানি খাওয়ানো কখনও সমাধান নয়।
👉 শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিলে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।
👉 অতিরিক্ত পানি শিশুর ব্রেনে সোয়েলিং তৈরি করে প্রাণঘাতী হতে পারে।

ঘটনাটি নতুন মায়েদের সাথে শেয়ার করে জানতে সাহায্য করুন 🙏✅।

ডিমের সাদা অংশ আর পুরো ডিম দুটিতেই সমান প্রোটিন থাকে। কিন্তু ব্যায়ামের পর আসল মাংসপেশি বৃদ্ধির জাদু মেলে শুধু পুরো ডিমে।...
11/09/2025

ডিমের সাদা অংশ আর পুরো ডিম দুটিতেই সমান প্রোটিন থাকে। কিন্তু ব্যায়ামের পর আসল মাংসপেশি বৃদ্ধির জাদু মেলে শুধু পুরো ডিমে। কারণ রহস্যটা প্রোটিনে নয়, বরং কুসুমের পুষ্টিগুণে।

আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কুসুমে থাকা অনন্য পুষ্টি উপাদান যেমন DHA, ফসফাটিডিক এসিড ও প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস একসাথে কাজ করে দ্রুত রিকভারি ও মাংসপেশি বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে। কুসুম বাদ দিলে সেই প্রাকৃতিক সমন্বয় আর পাওয়া যায় না।যদি শক্তি আর আকার বাড়ানোর জন্য ট্রেনিং করেন, তাহলে কুসুম বাদ দেবেন না। পুরো ডিমই দিন আপনার আসল মাংসপেশি গড়ার জ্বালানি

10/09/2025

ডেঙ্গুর কোন ঔষধ নাই
জিনিসটা মাথায় ঢুকিয়ে ফেলুন।
মূল চিকিৎসা হচ্ছে শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স ঠিক রাখা।
এইটা আপনি পারবেননা, কোন ফার্মেসির দোকানদার, টেকনেশিয়ান, ভন্ড চিকিৎসক, আপনার মহা জ্ঞানী প্রতিবেশী কেউই পারবেন না।

সুতরাং কারো পরামর্শে কিচ্ছু করবেন না। কোন ঔষধ খাওয়াও নিষেধ।

ফ্লুইড খাবেন বেশি করে,
যেমন ডাবের পানি, বাসায় বানানো ফলের রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি।

জ্বর এলেই Dengue Ns1 পরীক্ষাটা দ্রুত করে ফেলুন।
জ্বরের পাঁচ দিনের মধ্যেই এই টেস্ট করতে হয়, পাঁচদিন কেটে গেলে এই টেস্ট নেগেটিভ আসে। তখন ডেংগু কনফার্ম করার জন্য অন্য টেস্ট করতে হয়।
তাই জ্বর এলে দেরি না করে সেদিনই NS1 করে ফেলুন)
এবং অবশ্যই হেলাফেলা না করে ডাক্তার দেখান।
পরামর্শ নিন।
ফোনে ইনবক্সের চিকিৎসা না, সিরিয়াস রোগী হোন।
আর নিজের বাসার কোথাও পরিস্কার পানি জমে থাকছে কিনা খেয়াল রাখুন।
প্রতিবেশীদেরকেও সতর্ক করুন।
ছাদে কোথাও পানি জমে থাকছে কিনা খেয়াল করুন।
কারো উপর নির্ভর করে আসলে কোন লাভ নেই।
নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে এখন।

রক্তে প্লাটিলেট বাড়াবেন যেভাবে
(ডেঙ্গুতে মৃ*ত্যুর প্রধান কারন রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়া)

রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা রক্তজমাটে সাহায্য করে। ২০ হাজারের নিচে প্লাটলেটের সংখ্যা নেমে আসলে কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। কোনো কারণে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই প্লাটিলেটের সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিছু খাবার আছে যেগুলো প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই সেসব খাবারের নাম।

পেঁপে এবং পেঁপে পাতা

পেঁপে খুব দ্রুত রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে পেঁপে পাতার রস তা দ্রুত বৃদ্ধি করে। রক্ত প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস কিংবা পাকা পেঁপের জুস পান করুন।

মিষ্টি কুমড়া এবং কুমড়া বীজ

মিষ্টি কুমড়া রক্তের প্লাটিলেট তৈরি করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে আছে ভিটামিন ‘এ’ যা প্লাটিলেট তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

লেবুর রস

লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভিটামিন সি রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। ফলে প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।

আমলকী

আমলকীতেও আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও আমলকীতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে আমলকী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

অ্যালোভেরার রস

অ্যালোভেরা রক্তকে বিশুদ্ধ করে। রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা উপকারী। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ডালিম

ডালিম রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ১৫০ মিলিলিটার ডালিমের জুস দুই সপ্তাহ পান করুন। ডালিমের রসের ভিটামিন দুর্বলতা দূর করে কাজে শক্তি দেবে।
পরামর্শঃ অবহেলা না করে জ্বর হলেই একজন রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন...
ধন্যবাদ সকলকে 🌹

মানুষের চামড়ার নিচে ডিম পাড়ে স্ক্যাবিস🤔 লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসাস্ক্যাবিস হল একটি চুলকানিযুক্ত ত্বকের অবস্থা যা সারকোপ্টেস স...
10/09/2025

মানুষের চামড়ার নিচে ডিম পাড়ে স্ক্যাবিস
🤔 লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা
স্ক্যাবিস হল একটি চুলকানিযুক্ত ত্বকের অবস্থা যা সারকোপ্টেস স্ক্যাবিই, একটি ক্ষুদ্র বরোজিং মাইট দ্বারা সৃষ্ট হয়। স্ক্যাবিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মাইটের গর্তের জায়গায় তীব্র চুলকানি অনুভব করেন।
স্ক্যাবিস বলতে কি বুঝ?
স্ক্যাবিস হল সারকোপ্টেস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। স্ক্যাবিস শরীরের সেই অংশে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে যেখানে এই মাইটগুলি জমে থাকে। সংক্রমণটি ক্রমাগত চুলকানি এবং তীব্র ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে কারণ মাইটগুলি ত্বকের ভিতরে ডিম পাড়ে। রাতে, চুলকানির ইচ্ছা তীব্র হতে পারে। স্ক্যাবিস খুব তাড়াতাড়ি শনাক্ত হলে সহজেই চিকিত্সাযোগ্য। স্ক্যাবিস একটি অত্যন্ত সংক্রামক সংক্রমণ এবং এর মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে:
শারীরিক স্পর্শ
সংক্রামিত পোশাক এবং বিছানাপত্র
যদিও স্ক্যাবিস সহজে ওষুধের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য, তবে চিকিত্সার পরে বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত চুলকানি চলতে পারে।
যেহেতু স্ক্যাবিস খুব সংক্রামক, তাই ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে যে কেউ স্ক্যাবিস-সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে তার চিকিত্সা করা উচিত। আপনি যদি ত্বকে অস্বাভাবিক চুলকানি বা ফুসকুড়ি অনুভব করেন তবে আজই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
স্ক্যাবিসের লক্ষণগুলি কী কী?
স্ক্যাবিসের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত স্ক্যাবিসের লক্ষণগুলি স্বীকৃত নাও হতে পারে। অনিয়মিত, পাতলা গর্তের ট্র্যাকগুলি আপনার ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ফোসকা দিয়ে তৈরি স্ক্যাবিসের বৈশিষ্ট্য এবং এই ট্র্যাকগুলি বা বরোজগুলি সাধারণত ত্বকের ভাঁজে দেখা যায়। যদিও শরীরের প্রায় সমস্ত অংশ জড়িত থাকতে পারে, সাধারণ এলাকাগুলি হল:
আঙ্গুলের মাঝে
বগলে
কোমরের চারপাশে
কব্জির ভিতর বরাবর
ভিতরের কনুই উপর
পায়ের তলায়
স্তনের চারপাশে
পুরুষের যৌনাঙ্গের চারপাশে
পাছার উপর
হাঁটুতে
স্ক্যাবিসের অন্যান্য লক্ষণগুলি হল:
চুলকানি, বিশেষ করে রাতে
ঘামাচির কারণে ফোসকা এবং ঘা
শিশু এবং বয়স্কদের চুলকানির প্রবণতা বেশি। স্ক্যাবিসকে অন্য চর্মরোগের মতো ভুল করা যেতে পারে ব্রণ বা প্রাথমিক পর্যায়ে মশার কামড় কারণ ফুসকুড়ি একই রকম দেখা যায়। ক্রমাগত চুলকানি স্ক্যাবিসের লক্ষণ।
স্ক্যাবিসের কারণ কী?
মাইক্রোস্কোপিক আট-পায়ের মাইটের সংক্রমণ স্ক্যাবিস সৃষ্টি করে। এই বাগগুলি এত ছোট যে খালি চোখে তাদের দেখা অসম্ভব। এই মাইটগুলি বেঁচে থাকবে এবং আপনার ত্বকের উপরের স্তরে গর্ত করে খাওয়াবে। স্ত্রী মাইট ডিম উত্পাদন করবে, তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করবে।
লোকেরা সহজেই এই মাইটগুলি এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করতে পারে। যেসব মাইটস স্ক্যাবিস সৃষ্টি করে তারা তাদের চারপাশের প্রতি সংবেদনশীল; তারা শুধুমাত্র একটি হোস্ট শরীরে প্রায় 24-36 ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা হলেন:
যৌন সক্রিয় প্রাপ্তবয়স্করা
শিশু
ছোট বাচ্চাদের মা
যারা নার্সিং-হোম-সহায়তা লিভিং কমিউনিটি, এবং দীর্ঘমেয়াদী যত্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কারাগারের মতো বদ্ধ স্থানে থাকেন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
আপনি যদি উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি লক্ষ্য করেন তবে আজই একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। স্ক্যাবিস একটি প্রাণঘাতী রোগ নয় তবে এটি তীব্রভাবে বিরক্তিকর এবং অন্যদের জন্যও সংক্রামক হতে পারে। একজন ডাক্তার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনাকে সঠিক চিকিৎসা দিতে সাহায্য করতে পারে।

07/09/2025

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কি কোন লক্ষ্মন বা উপসর্গ আছে? থাকলে কি কি? ভাইরাস সনাক্ত হলে করনীয় কি?

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষেরই কোন লক্ষন থাকে না।
তবে কিছু মানুষের নিম্নলিখিত লক্ষ্মণ বা উপসর্গ থাকতে পারে।

হেপাটাইটিস বি-এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে: ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা কমে যাওয়া, পেটে ব্যথা, গাঢ় প্রস্রাব এবং জন্ডিস (চোখ ও ত্বক হলুদ হওয়া)। তবে, অনেক সময় প্রাথমিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
হেপাটাইটিস বি-এর লক্ষণ:
ক্লান্তি ও দুর্বলতা:
আক্রান্ত ব্যক্তি ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।

পেটে ব্যথা:
পেটের উপরের অংশে ডান পাশে ব্যথা হতে পারে।

বমি ভাব ও বমি:
বমি-বমি ভাব লাগা এবং বমি হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ।

ক্ষুধামন্দা:
খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হতে পারে।

জন্ডিস:
ত্বক, চোখ ও প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে।

গাঢ় প্রস্রাব:
প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হতে পারে।
মাংসপেশী ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা:
জয়েন্টগুলোতে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

অস্বস্তি:
সার্বিকভাবে শরীর খারাপ লাগা বা অস্বস্তি অনুভব হতে পারে।
এছাড়া ভাইরাস শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করলে পেটে পায়ে পানি আসা, বমি ও পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে, রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে, কথাবার্তা অসংলগ্ন হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
হেপাটাইটিস বি (Acute) "তীব্র" বা (Chronic) "দীর্ঘস্থায়ী" হতে পারে।
তীব্র (Acute) হেপাটাইটিস হলে প্রথম ছয় মাসের মধ্যে অনেক সময় বি ভাইরাস আপনা-আপনি নেগেটিভ হয়ে যেতে পারে। তবে ৬ মাসের বেশি কারও শরীরে ভাইরাস পজিটিভ থাকলে সেটা সাধারণত নেগেটিভ হয় না।
দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস (Chronic Hepatitis) হলে অনেক বছর ধরে কোনো লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে আবার ব্যক্তিবিশেষে লক্ষন দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষ্মণ সবার একই রকম হবে এরকম না,ভিন্নও হতে পারে।

করণীয়:
যদি আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থাকে তাহলে একজন হেপাটলজিস্ট বা লিভারের ডাক্তারের পরামর্শ নিন, তিনি কিছু পরীক্ষা করিয়ে দেখবেন ভাইরাস আপনার শরীরে কোন অবস্থায় আছে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে পরামর্শ দিবেন। যদি ভাইরাস একটিভ থাকে তাহলে কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা আছে আর ভাইরাস নিষ্ক্রিয় থাকলে বছরে কমপক্ষে একবার ফলোআপ দিবেন।

06/09/2025

টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবার পর আমরা অনেকেই মনে করি, আমার বাবার ডায়বেটিস, আমার চাচার ডায়বেটিস, মায়ের ডায়বেটিস, আত্মীয় স্বজন সবারই ডায়বেটিস।
তার মানে, সম্ভবত আমি বংশগতভাবে ডায়বেটিসটা পেয়েছি।
খেয়াল করলে দেখবেন, আপনার আগের জেনারেশনে ডায়বেটিস শুরু হয়েছিল চল্লিশ-পয়তাল্লিশের পর। তার আগের জেনারেশন, অর্থাৎ নানা-দাদাদের জেনারেশনে ডায়বেটিস শুরু হয়েছিল দেখবেন ৫৫-৬৫ বছর বয়সের দিকে।
এর আগের জেনারেশনে একটু খোজ খবর নিলে দেখবেন ডায়বেটিস ছিল কিনা মানুষ বুঝতো না বা জানতো না। কিন্তু আমেরিকান-ব্রিটিশ হেলথ সিস্টেমের ডেটা থেকে আমরা বুঝতে পারি, টাইপ টু ডায়বেটিস ১৯৬০ সালের আগে খুব অল্প মানুষেরই হত।
তাই আমার কাছে মনে হয়, ডায়বেটিসের জিনেটিক রুট খোজাটা আসলে বৃথা চিন্তা। একশো বছর না, মাত্র ৫০ বছর আগে গেলেও ডায়বেটিস ১% মানুষের মধ্যেও পাওয়া যাবে না।
এবার আসুন একটু মাথা খাটাই।
আপনার দাদা কোন চাল খেতেন?? বাদামী চাল, মোস্টলি, ফুল ফাইবার। গাড়ি, রিকশা, টেম্পু খুব একটা এভেইলেবল ছিল না। তারা হাটতেন বা সাইকেলে চড়তেন।
আপনার বাবা-চাচাদের ছেলেবেলাও এভাবেই কেটেছে। আমরা একটু খোজ করলে দেখবো, বয়স ৩০ হবার আগে মিলে ভাঙ্গানো চাল তারা খেতে পান নি। দিনে ১০-১২ কিলো এমনিতেই হাটা পড়তো সবার।
১৯৯০ সালের আগে গ্রামগুলতে বিদ্যুৎ পৌছায় নি। সবাই ঘুমাতো ৭-৮ টার মধ্যেই। শহরেও রাত ৯টার পর ঘুমিয়ে পড়তো অনেক মানুষ।
তখন অধিকাংশ পরিবারের রান্না হত মূলত দুবেলার জন্য, সকাল আর দুপুর। দুপুরের খাবার পর যা বেচে যেত, তা দিয়ে সাধারনত রাতের খাবার সেরে ফেলা হত, এশার নামাযের পরপর।
সব মিলিয়ে, দিনে ১২ ঘন্টা চলতো ইটিং পিরিয়ড, আর ১২ ঘন্টা ফাস্টিং।
২০০০ সালের পর হিসাবটা বদলে গেল। মানুষ রাত জাগতে শুরু করলো, হাটতে ভুলে গেল।
২০১০ সালের পর আমরা চলে এলাম নতুন বাস্তবতায়, ওয়াইফাই-মোবাইল ডাটার সুবাদে আমরা অনেকেই এখন ঘুমাই রাত ৩টায়, দিনের প্রথম মিল হয় সকাল ৯টায়, শেষ মিল হয় রাত ১টায়।
খেয়াল করবেন, এই যে আনন্যাচারাল লাইফস্টাইল, এটা আপনার দাদার চেয়ে আপনার বাবার বেশি ছিল, তারচেয়ে আপনার ছিল আরো বেশি, আপনার সন্তানের হচ্ছে আরো বেশি।
এবার মিলান।
দেখা যাবে, আপনার দাদার জেনারেশনে ডায়বেটিস ছিল ষাটের পর, বাবার জেনারেশনে পয়তাল্লিশের পর, আপনার জেনারেশনে ৩০ এর পর এবং এখন আমরা পাচ্ছি আমাদের পরের জেনারেশনে ১৫ থেকেই অনেকের ডায়বেটিস।
আমাদের চাল বদলাতে হবে।
রেস্টুরেন্ট-ফুড পান্ডা-উবার ইটস ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
রাত জাগা কমাতে হবে।
অল্প দুরত্বগুলোতে হাটার অভ্যাস করতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন লম্বা দুরত্ব হাটতে হবে।
টাইপ টু ডায়বেটিস একটা লাইফস্টাইল ডিজিজ। কিন্তু আমাদের অসচেতনতা এটাকে হয়তো কোন একসময় জিনেটিক ডিজিজে রুপ দেবে।

🩺 কিভাবে বুঝবেন আপনার কি রোগ হয়েছে এবং কোন ডাক্তার দেখাবেন1. 🤒 বারবার জ্বর, কাশি, দুর্বলতা👉 সাধারণ অসুখ হলে প্রথমে মেডিস...
05/09/2025

🩺 কিভাবে বুঝবেন আপনার কি রোগ হয়েছে এবং কোন ডাক্তার দেখাবেন

1. 🤒 বারবার জ্বর, কাশি, দুর্বলতা
👉 সাধারণ অসুখ হলে প্রথমে মেডিসিন ডাক্তার দেখান।
🩺 যদি মনে করেন বিশেষ কোনো অঙ্গের সমস্যা, তখন মেডিসিন ডাক্তার আপনাকে সঠিক স্পেশালিস্টের কাছে রেফার করবেন।

---

2. ❤️ বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, হঠাৎ ঘাম
👉 এগুলো হার্টের সমস্যা হতে পারে।
🩺 সরাসরি কার্ডিওলজিস্ট দেখাতে হবে।

---

3. 🧠 মাথা ঘোরা, খিঁচুনি, হাত-পা অবশ হওয়া, ভুলে যাওয়া
👉 এগুলো নিউরো সমস্যার লক্ষণ।
🩺 দেখাবেন নিউরোলজিস্ট।

---

4. 🦴 হাড়ে ব্যথা, হাড় ভাঙা, জয়েন্টে ফোলা, হাঁটার অসুবিধা
👉 এগুলো হাড়/অর্থোপেডিক সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: অর্থোপেডিক স্পেশালিস্ট।

---

5. 👁️ চোখে ঝাপসা দেখা, চোখে ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, আলো সহ্য না হওয়া
👉 এগুলো চোখের সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: চক্ষু বিশেষজ্ঞ (Ophthalmologist)।

---

6. 👂 কানে কম শোনা, কান ব্যথা, গলা ব্যথা, টনসিল
👉 এগুলো নাক-কান-গলা সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: ইএনটি স্পেশালিস্ট।

---

7. 👩‍⚕️ নারীদের পিরিয়ড অনিয়ম, গর্ভধারণ সমস্যা, প্রসবজনিত জটিলতা
👉 এগুলো গাইনোকোলজির সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: গাইনোকোলজিস্ট।

---

8. 👶 শিশুর জ্বর, খাওয়া না খাওয়া, ডায়রিয়া, টিকা
👉 এগুলো শিশুর স্বাস্থ্য সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: পেডিয়াট্রিশিয়ান।

---

9. 😬 দাঁতের ব্যথা, দাঁত নড়া, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
👉 এগুলো দাঁতের সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: ডেন্টিস্ট।

---

10. 🍽️ পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, বমি, লিভার সমস্যা, অতিরিক্ত এসিডিটি
👉 এগুলো গ্যাস্ট্রো সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট।

---

11. 👩‍🦱 ত্বকে ফুসকুড়ি, চুল পড়া, একজিমা, এলার্জি
👉 এগুলো ত্বক সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: ডার্মাটোলজিস্ট।

---

12. 🧬 অতিরিক্ত তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ওজন কমে যাওয়া, থাইরয়েড সমস্যা
👉 এগুলো ডায়াবেটিস বা হরমোন সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট।

---

13. 🧪 প্রস্রাব কম হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালা, কিডনি ব্যথা, চোখ-শরীরে ফোলা
👉 এগুলো কিডনির সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: নেফ্রোলজিস্ট।

---

14. 🫁 শ্বাসকষ্ট, কাশি দীর্ঘদিন থাকা, হাঁপানি, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ
👉 এগুলো ফুসফুস সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: পালমোনোলজিস্ট।

---

15. 😔 অতিরিক্ত টেনশন, দুশ্চিন্তা, ঘুম না আসা, ডিপ্রেশন, ভয় পাওয়া
👉 এগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা।
🩺 ডাক্তার: সাইকিয়াট্রিস্ট।

---

✨ টিপস:

যদি নিশ্চিত না হন কোন ডাক্তার দেখাবেন 👉 প্রথমে মেডিসিন ডাক্তার দেখান। উনি সঠিক স্পেশালিস্টের কাছে পাঠাবেন।

হঠাৎ জরুরি অবস্থা (হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, দুর্ঘটনা) হলে সাথে সাথে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান 🚑।

04/09/2025
04/09/2025

*লিপিড প্রোফাইল*
-----------------
একজন বিখ্যাত ডাক্তার খুব সুন্দরভাবে লিপিড প্রোফাইল ব্যাখ্যা করেছেন এবং একটি অনন্য উপায়ে ব্যাখ্যা করে একটি সুন্দর ও প্রয়োজনীয় গল্প শেয়ার করেছেন।

কল্পনা করুন যে আমাদের শরীর একটি ছোট শহর। এই শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টিকারী হল -- *"কোলেস্টেরল"*

তার কিছু সঙ্গীও আছে। অপরাধে তার প্রধান অংশীদার হল- *ট্রাইগ্লিসারাইড*

তাদের কাজ হল শরীরের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং রাস্তা অবরোধ করা।

*"হৃদয়"* এই শহরের প্রধান কেন্দ্রস্থল। সমস্ত রাস্তা হৃদয়ের দিকে নিয়ে যায়।

যখন এই সমস্যা সৃষ্টিকারীরা বাড়তে শুরু করে, তখন আপনি কল্পনা করতে পারেন কী ঘটে? তারা হৃদয়ের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে।

কিন্তু আমাদের দেহ-শহরেও একটি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা আছে -

*এইচডিএল* হলো তার নাম।

সেই ভালো পুলিশ এই সমস্যা সৃষ্টিকারীদের ধরে জেলে *(লিভার)* ঢুকিয়ে দেয়।

তারপর লিভার তাদের শরীর থেকে বের করে দেয় - আমাদের ড্রেনেজ সিস্টেমের মাধ্যমে।

কিন্তু একজন খারাপ পুলিশও আছে - *এলডিএল* -যে ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত।

LDL এই দুষ্কৃতীদের জেল থেকে বের করে আবার রাস্তায় ফিরিয়ে আনে কুকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন‍্য।

যখন ভালো পুলিশ *HDL* কমে যায়, খারাপ পুলিশ LDL এর কারনে তখন পুরো শহরটা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়।

এমন শহরে কে থাকতে চাইবে?

আপনি কি এই দুষ্কৃতীদের কমাতে এবং ভালো পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে চান?

তাহলে আজই *হাঁটা* শুরু করুন!

প্রতি পদক্ষেপে আপনার *HDL* বৃদ্ধি পাবে, এবং *কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড* এবং *LDL* এর মতো দুষ্কৃতকারীদের সংখ‍্যা কমবে।

আপনার শরীর (শহর) আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

আপনার হৃদয় - শহরের কেন্দ্র - দুষ্কৃতীদের ব্লকেজ *(হার্ট ব্লক)* করা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

এবং যখন হৃদয় সুস্থ থাকবে, তখন আপনিও সুস্থ থাকবেন।

তাই, যখনই সুযোগ পাবেন - হাঁটা শুরু করুন এবং"গুলশান জোগার্স" বন্ধুদের মতো নিয়মিতভাবে হাঁটুন।

*"সুস্থ থাকুন"* আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

*এই প্রবন্ধটি আপনাকে HDL (ভালো কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি এবং LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায়, অর্থাৎ হাঁটার উপায় সম্পর্কে বলবে।*

প্রতিটি পদক্ষেপ HDL বৃদ্ধি করে।
তাই – *আসুন, এগিয়ে যান এবং এগিয়ে যেতে থাকুন।*

*শুভ প্রবীণ নাগরিক সপ্তাহ*

এই জিনিসগুলি কমিয়ে দিন:-

১. লবণ

২. চিনি

৩. ব্লিচ করা পরিশোধিত আটা

৪. দুগ্ধজাত 'দ্রব্য'

৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার

*প্রতিদিন এই জিনিসগুলি খান:-*

১. শাকসবজি

২. ডাল

৩. মটরশুটি

৪. বাদাম/বিভিন্ন প্রকারের উপকারি Nuts

৫. ডিম

৬. ঠান্ডা চাপযুক্ত তেল

*তিনটি জিনিস ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন:*

১. আপনার বয়স

২. আপনার অতীত

৩. আপনার অভিযোগ

*চারটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গ্রহণ করুন:*

১. আপনার পরিবার

২. আপনার বন্ধুবান্ধব

৩. ইতিবাচক চিন্তাভাবনা

৪. পরিষ্কার এবং স্বাগতপূর্ণ বাড়ি

*তিনটি মৌলিক জিনিস গ্রহণ করুন:*

১. সর্বদা হাসুন

২. আপনার নিজস্ব গতিতে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করুন

৩. আপনার ওজন পরীক্ষা করুন এবং নিয়ন্ত্রণ করুন

*ছয়টি প্রয়োজনীয় জীবনযাত্রার অভ্যাস আপনার গ্রহণ করা উচিত:*

১. জল পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
২. ⁠বিশ্রামের জন্য ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
৩. নিয়মিত চেক-আপ করার ব‍্যপারে অসুস্থ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
৪. অলৌকিক ঘটনার জন্য অপেক্ষা করবেন না। তবে সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা রাখুন।
৫. নিজের উপর কখনও বিশ্বাস হারাবেন না।
৬. নেতিবাচক নয়, সর্বদা ইতিবাচক থাকুন এবং সবসময় একটি ভালো আগামীর জন‍্য আশা করুন।

★★ সংগৃহীত

শুভ দুপুর 💜🌹

゚viralシ

থাইরয়েড (Thyroid gland) হলো গলার সামনের দিকে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন (প্রধানত...
04/09/2025

থাইরয়েড (Thyroid gland) হলো গলার সামনের দিকে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন (প্রধানত T3 ও T4) নিঃসরণ করে। এই হরমোন শরীরের বিপাক, হৃদস্পন্দন, তাপমাত্রা, ওজন এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েডের দুটি প্রধান সমস্যা হলো হাইপোথাইরয়ডিজম (হরমোনের স্বল্পতা) ও হাইপারথাইরয়ডিজম (হরমোনের আধিক্য), যার ফলে ক্লান্তি, ওজন পরিবর্তন, মেজাজ পরিবর্তন, পেশি ও হাড়ের সমস্যা, এবং বন্ধ্যাত্বের মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার মাধ্যমে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যার জন্য আয়োডিন, সেলেনিয়াম, এবং জিঙ্ক-সমৃদ্ধ খাবার উপকারী।
থাইরয়েড গ্রন্থি ও এর কাজ
অবস্থান ও গঠন:
থাইরয়েড গ্রন্থি শ্বাসনালীর ঠিক নিচে, গলার সামনে অবস্থিত একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি।
হরমোন নিঃসরণ:
এটি থাইরক্সিন (T4) এবং ট্রাইডোথাইরোনাইন (T3) নামক হরমোন নিঃসরণ করে।
শারীরিক কাজ নিয়ন্ত্রণ:
এই হরমোনগুলো শরীরের মেটাবলিক রেট (বিপাকের হার), হৃদস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা, পেশী ও হাড়ের স্বাস্থ্য, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
থাইরয়েড রোগের কারণ ও প্রকারভেদ
হাইপোথাইরয়ডিজম:
যখন থাইরয়েড গ্রন্থি যথেষ্ট হরমোন তৈরি করতে পারে না, তখন এই সমস্যা হয়।
হাইপারথাইরয়ডিজম:
যখন থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করে, তখন এই সমস্যা দেখা দেয়।
অন্যান্য কারণ:
থাইরয়েড রোগের পেছনে বিভিন্ন ব্যাধি থাকতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ
ক্লান্তি ও শক্তি হ্রাস
ওজন পরিবর্তন (বৃদ্ধি বা হ্রাস)
মেজাজ পরিবর্তন ও বিষণ্ণতা
হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হওয়া
গলায় ফোলা বা গুটি
পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব
হজমে সমস্যা
থাইরয়েড ভালো রাখতে করণীয়
সঠিক খাদ্য গ্রহণ:
আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি, আয়রন, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
নিয়মিত পরীক্ষা:
থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করানো জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ:
থাইরয়েডের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
থাইরয়েড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তাই এর যেকোনো অস্বাভাবিকতা শরীরে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

Address

Medical Battala Bazar, Amir Ali Sarak
Faridpur
7800

Telephone

+8801727533634

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Doctor Help Line Faridpur. private Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category