
17/08/2024
🎯সচেতন হোন, সচেতন করুন🎯
✅MONKEY POX✅
নামেই বোঝা যাচ্ছে পক্স এর মতো একটি রোগ। যে পক্স আমাদের সচরাচর সবারই হয়ে থাকে তাকে CHICKEN POX বলে থাকি। আরেকটা পক্স যা দুনিয়া থেকে অনেকটাই বিদায় নিয়েছে সেটা হলো SMALL POX..
🎯এখন আসি Monkey Pox কি?
নাম এর সাথে এর উৎপত্তির মিল নেই। কেনোনা এখনো জানা যায়নি এইটা বানর থেকে এসেছে কিনা। তবে সর্বপ্রথম দুইটি বানরের গায়ে এইটা ধরা পরে ১৯৫৮ এর দিকে। তখন থেকেই এর নাম করন। মানুষের শরীরে প্রথম ধরা পরে ১৯৭০ এর দিকে। আফ্রিকার কংগো তে।
🎯উপসর্গ কি?
প্রথমত কিছু উপসর্গ আসে যাকে প্রোডোর্ম বলা হয়। যা দিয়ে রোগ টা শুরু হয়। যেমনঃ
১. জ্বর
২. সর্দি, কাশি, গায়ে ব্যাথা, ক্লান্তি
৩. বমি বমি ভাব, বমি, মাথা ব্যাথা
৪. শরীরের বিভিন্ন অংশে গোটা হওয়া।যাকে লিম্ফ নোড বলে। যেমন বগলের নিচে, গলার পাশে, কুচকিতে।
👉তার থিক দুই তিন দিনের মাথায় টিপিক্যাল র্যাশ আসে। যা কিনা প্রথমে মুখের ভিতর জ্বীবা, চোয়ালে আসে, পরে আস্তে আস্তে পুরো গা এ ছড়ায়। শুরুর দিকে এই র্যাশ লাল হয়ে উঠে, তারপর গোটার মতো হয়, তারপর পানি জমে গোটার ভিতর অবশেষে পুজ হয় । সব শেষে ফেটে গিয়ে শুকাতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়া আনুমানিক ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। এতে চুলকানি হয়, অনেক ক্ষেত্রে বেশ ব্যাথাও হয়ে থাকে।
🎯কিভাবে ছড়ায়?
মানুষের মাঝে ছড়ায় আক্রান্ত অন্য মানুষের, পশু পাখির মাধ্যমে অথবা মানুষ ও পশুপাখির সম্পৃক্ত ম্যাটেরিয়াল এর মাধ্যমে যেমন ব্যবহৃত পোশাক, পশু পাখির বিষ্ঠা, লিটার। পশু পাখির কামড়, আচড় থেকেও ছড়াতে পারে। আক্রান্ত স্কিনের সংশপর্শে আসলেও ছড়ায়।
মূলত এইটা স্কিন এর ক্ষত, মুখ, নাক, চোখ ও শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে থাকে। শ্বাস এর মাধ্যমে ছড়াতে খুব কাছাকাছি দীর্ঘক্ষন কন্টাক্টে থাকতে হয়।
🎯চিকিৎসা?
নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। অন্য সকল ভাইরাস জনিত রোগের মতই আপনা আপনি ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
🎯প্রতিরোধ?
আক্রান্ত ব্যাক্তিকে আইসোলেসন এ রাখতে হবে।
✅হোম আইসোলেসনঃ
যাদের রোগ অতটা সিরিয়াস না যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
👉অতিমাত্রায় স্কিন এ আক্রান্ত হলে ও কাশি থাকলে অবশ্যই একটি কক্ষে একা থাকতে হবে।
👉প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবেনা
👉আক্রান্ত ব্যাক্তির বাসায় অন্যদের আসা কমাতে হবে একান্তই প্রয়োজন ছাড়া
👉বাসায় যারা আক্রান্ত বা কন্টাক্ট এ যাননি তাদের আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কম কন্টাক্ট এ যাওয়াই উত্তম।
👉আক্রান্ত ব্যাক্তি ও অন্যরা সার্জিক্যাল মাস্ক পরে থাকতে হবে।
👉যথা সম্ভব স্কিন ঢেকে রাখতে হবে। লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে হবে।
👉ব্যবহৃত ব্যান্ডেজ, গ্লাভস যথাস্থানে ফেলতে হবে।
👉আক্রান্ত ব্যাক্তি বার বার এন্টিসেপটিক বা সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে বাসার জিনিস ধরার আগে
👉ব্যবহৃত জিনিস পত্র আলাদা করে নিতে হবে
👉কাপর চোপর সাবধানে আলাদা ভাবে ধৌত করতে হবে
👉আলাদা বাথরুম ব্যাবহার করতে হবে
✅কতদিন?
ততদিন ই আইশোলেশন এ থাকবে ঠিক যতো দিন না স্কিন এর ক্ষত না শুকায়, সম্পূর্ণ রুপে না ভালো হয় ও নতুন চামড়া না উঠা শুরু হয়।
🔕আইশোলেশন শেষ হওয়ার পরোও কিছু দিন দূরে থাকতে হবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের থেকে।
🎯কন্টাক্ট এ যারা এসেছেন?
তাদের কমপক্ষে ২১ দিন পর্যবেক্ষণ এ রাখা উচিৎ। যদি এই সময় এর মধ্যে জ্বর ও র্যাশ চলে আসে তাহলে হোম আইশোলেশন এ চলে যেতে হবে।
সাধারনত কন্টাক্ট এর ৭-১৪ দিন ম্যাক্সিমাম ২১ দিন পর্যন্ত সময় রোগ প্রকাশ পাওয়ার।
✅এর মর্টালিটি রেট অনেক কম। ১ পার্সেন্ট, ক্ষেত্র বিশেষ এ ১০ পার্সেন্ট।
🔕সচেতন হওন, সচেতন করুন🔕
#মাংকিপক্স