29/06/2025
যৌন শক্তি ঠিক রাখতে, বিয়ের পর বউয়ের কাছে লজ্জিত না হতে চাইলে সঠিক বয়সে বিয়ে করার দরকার প্রতিটি ছেলে মেয়ে কে।
আল্লাহ প্রতিটি পুরুষ মানুষ কে শক্তি শালী হিসাবে সৃষ্টি করছেন। আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত বাজে ভাবে নষ্ট করে হতাশা ও সংসারে অশান্তির আগুনে জ্বলছে বেশীর ভাগ পুরুষ! এর আসল কারণ হচ্ছে দেরীতে বিয়ে করা। বাংলাদেশে ৬৬ লাখ মেয়েদের সন্তান হচ্ছে না, এর জন্য বেশীর ভাগই দায়ী পুরুষ, দোষ চাপিয়ে দিতেছে নারীর উপর, লজ্জা হতে বাঁচতে। মনে মনে তো ঠিকই অপরাধী।
আপনি যদি বয়স ৩০ /৪০ পার করে বিয়ে করেন,
তাহলে সম্পর্ক খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে না,
১৮ বছরে আপনি যৌবনে উপনীত হয়েছেন, আর বিয়ে করলেন ৩৫ বছরে গিয়ে, এতো বছর আপনি যৌন শক্তি ধরে রাখা বড়ই কঠিন কাজ। এই সময় টা আপনি আল্লাহর নেয়ামত যৌন শক্তি বিভিন্ন ভাবে নষ্ট করছেন। বিয়ের পর সংসারে অশান্তি, ঝগড়া ঝামেলা, মারামারি, পরকীয়া শুরু হচ্ছে এখান থেকেই বেশি।
আবার আপনার বয়স ৩৫/৪০ বিয়ে করছেন ১৭/১৮ বছরের তরুণী কে। মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমছে, আপনি মারা গেছেন ২/৩ টা শিশু বাচ্চা রেখে, এদের কে সঠিক ভাবে মানুষ করতে পারেন নাই। আপনার বউয়ের বয়স তখন ৩০/৩৫ সে আপনি মারা যাওয়ার পর খারাপ কাজ করলে এর পাপের ভাগ কবরে চলে যাচ্ছে না তো!!
অল্প বয়সে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রী ২ জনে মিলে জীবনের সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয়া যায় এবং প্রত্যেকের মানসিক ও কম অনুবভ হয়।বিভিন্ন কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে।বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না,
তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যা ও অনেক বেড়ে গেছে, আর অল্প বয়সে বিয়ে করে যদি অল্পতেই কোন কারনে ভেঙ্গে যায় তাহলে ২য় বার আবার গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পাওয়া যায়, কিন্তু দেরীতে বিয়ে করলে সেটা সম্ভব হয়ে উঠে না।মোট কথা কম বয়সে বিয়ে করা অতি উত্তম
এখন ভাবতে পারেন সরকারের আইন আছে ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না,
শুনেন আল্লাহ তায়ালা তার রাসুল (সাঃ) এর হুকুম লঙ্ঘন করে কোন সরকারের হুকুম মানা যাবেনা৷
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন,
হে যুব সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামার্থ রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে আনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাযতে রাখে। বোখারী, মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন,
(আসল) তাওরাত কিতাবে লেখা আছে,
যার মেয়ে বার বছর বয়স হয়েছে আর সে তার বিবাহ দেয় নাই, ফলে সে মেয়ে যে কোন ধরনের যেনায় লিপ্ত হবে, তার গুনাহ পিতার ঘাড়ে উঠবে।( বায়হাক্বী শরীফ)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে
যখন বান্দা বিবাহ করল,নিশ্চই সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করল এবং বাকি অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করবে। (মেশকাত শরীফ)
এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় বিয়ে করতে ও বিয়ে দিতে এটা আগেভাগেই সমাধা করতে হবে,,চিন্তা করি আমরা নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে বিয়ে করা ঠিক হবে না, রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা।এ চিন্তা করা যাবে না যে চাকরি আমাকে খাওয়াবে, সাধারণ একটু আয়ের উৎস থাকলেই বিয়ে করে নিবেন৷
কলমে রোকসানা ইয়াসমিন রোকেয়া