28/05/2024
শিশুর বিকাশ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ
পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনি শিশুর কোন শারীরিক রোগ ( যেমন:- জ্বর, কাশি, ঠাণ্ডা ইত্যাদি) হলে যতটা চিন্তিত হন, ঠিক ততটাই চিন্তিত হওয়া উচিৎ শিশুর বিকাশগত কোন সমস্যা (যেমন:- ঘাড় শক্ত না হওয়া, বসতে এবং হাটতে না পাড়া, কথা বলতে না পাড়া, কম বুঝতে পাড়া ইত্যাদি) হলে।
শিশু বিকাশগত ভাবে পিছিয়ে পড়লে তার প্রভাব কিন্তু দীর্ঘ্য সময় শিশুকে বহন করতে হয়। অনেক সময় বাবা মা হিসেবে মনে হলো আপনার শিশুর এই বিষয়টা মনে হয় ধীরে হচ্ছে বা পিছিয়ে পড়ছে। তখন আপনার কখনো উচিৎ হবে না এমন কারো মতামত নেওয়া যে এই বিষয়ে অজ্ঞ। কারন যে মানুষ শিশুর বিকাশগত সমস্যা হলে পরবর্তীতে কি কি প্রভাব পড়তে পারে না জানে সে আপনাকে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারবে না।
আগেও দেখেছি এখনো দেখছি অনেক বাবা মা এসে বলছেন, স্যার অনেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি তারা বলছে এটা কোন সমস্যা না ঠিক হয়ে যাবে। এই কথার মাধ্যমে সেই মানুষটি আপনার উপকার তো করতেই পারলো না বরং আপনার এবং আপনার শিশুর ক্ষতি করলো।
(এটা কোন সমস্যা না ঠিক হয়ে যাবে) এই কথার উপড় ভিত্তি করে বিকাশগত সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি যে সময়টা নিলেন ততদিনে আপনার শিশুর বয়সটা বেড়ে যাচ্ছে এবং বিকাশগত সমস্যাটাও গুরুতর হচ্ছে।
এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, Early Development Period এ শিশুকে কোন প্রফেশনালের কাছে নিয়ে গেলে যে উপকার টা পাবেন পরবর্তীতে সেটা পাবেন না। কারন শিশুর Early Development Period এর মাঝেই ৯০% Brain Development হয়ে যায়।
শিশু বিকাশগতভাবে পিছিয়ে পড়লে বাবা- মায়ের যেমন কষ্ট এবং একই সাথে শিশুর কষ্ট। তাই বাবা মা হিসেবে যখনি মনে হবে আপনার শিশু মনে হয় পিছিয়ে পড়ছে সাথে সাথেই একজন প্রফেশনালের সাহায্য নিবেন। সরকার বিকাশগতভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ৩৫ টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছেন। যেখানে আপনি বহির্বিভাগ থেকে সরকারি টিকিট দিয়ে সেবা গ্রহন করতে পারবেন।
আপনার একটু সচেতক পদক্ষেপই পারে একটা শিশুকে সুন্দর ভবিষ্যৎ দিতে। সবাই পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
পলাশ বিশ্বাস
চাইল্ড সাইকোলজিস্ট
শিশু বিকাশ কেন্দ্র
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর।