Dr.Sayam

Dr.Sayam I am a general surgeon I am working in Abdul Malek Ukil Medical College, Noakhali. I am doing operat

14/01/2023

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ভাইদের প্রতি সম্মান জানিয়ে লেখাঃ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
যেখানে একজন প্রতিনিধি ছিলো, সেখানে এখন তিনজন।
একজনের যে টার্গেট আগে ছিলো বছরে বছরে তার পরিমাণ বাড়ছেই। গত বছর একজন এমপিওর টার্গেট ছিলো মাসিক দুই লাখ টাকা, এবছর সেটা মাসিক তিন লাখ। কিন্তু এখন একই মার্কেটে এখন তিনজন ছেলে। একটা ওষুধ কোম্পানির একটা মার্কেটে মাসিক দুই লাখ টাকা উপার্জনের টার্গেট এখন বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ!
এজন্য প্রতিটি প্রতিনিধিকেই অসম্ভব স্ট্রেসফুল একটা লাইফ নিয়ে চলতে হয়।

প্রতিবছর কোম্পানির মালিক টার্গেট বাড়াতে থাকে। কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের কর্মচারী নিম্নের কর্মচারীকে প্রেসারাইজড করতে থাকেন!
পুঁজিবাজারে মানবিকতার কোনোই স্থান থাকেনা ; টার্গেটের চেয়ে কম বিক্রি হলেই বসের কটু কথা -চাকরি ছেড়ে দিন!!

যাদের সাথে কথা হয়, সারাক্ষণই মন খারাপ করে থাকে - স্যার টার্গেট ফুলফিল হচ্ছে না।

কথা হচ্ছে, এতো টাকার ওষুধ কোথায় বিক্রি হবে?
জনসংখ্যা তো একই।

তাদেরকে ছুটতে হয় ডাক্তার, ডিএমএফ, গ্রাম্য ডাক্তার, হাতুড়ি, ফার্মাসিস্ট সবার কাছেই।

নৈতিকতা এবং ভদ্রতার মুখোশ ফেলে দিতে হয় একসময়। সবাইকে খুশি করে দিনশেষে যখন বাসায় ফেরে একরাশ হীনমন্যতা ঘিরে ফেলে তাদেরকে।

একদিকে চেম্বারের বাইরে রোগীর লোকজনের কটু কথা অপমান, আরেকদিকে উর্দ্ধতনের চাপ, ওদিকে টার্গেট ফিলআপের দুশ্চিন্তা - অনার্স মাস্টার্স করা একটা ছেলেকে মুখ নিচু করে চেম্বারের বাইরে বেরিয়ে যেতে আসলেই খারাপ লাগে।

অফিসিয়াল নিয়মে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও খুব কম প্রতিনিধিই এটা উপভোগ করতে পারেন।

পদোন্নতি হয়না বললেই চলে। পদোন্নতির আশায় আশায় একসময় বয়স বাড়ে, স্ট্রেস মেনে নিতে পারেনা।
অনেক অসম্ভব পরিশ্রমী এবং ডেডিকেটেড ছেলেকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে দেখেছি।
আবার বয়স বাড়ায় অনেকেরই প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় কোম্পানির কাছে - মধ্য বিশের টগবগে ছেলেটি চল্লিশে পৌঁছে গেলে কোম্পানি আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয় তোমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। কেউ বিদায় নিতে বাধ্য হয়, কেউ অন্য কোম্পানিতে পাড়ি জমায়!!

সবাই একরকম কিনা জানিনা, তবে কোম্পানি মালিকদেরকে আমার নীলকর মনে হয় ইদানীং, যারা সবসময়ই আলোচনার বাইরে থেকে যান।

কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, গ্রাম ডাক্তারের লেনদেন নিয়ে প্রত্রিকাগুলো রসালো রিপোর্ট ছাপে, জনগণ দুই পক্ষেরই চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে।

কিন্তু এই নীলকর জমিদারদের নিয়ে কোনো পত্রিকাই রিপোর্ট করেনা!
রিপোর্ট করবে কিভাবে? ওইসব পত্রিকার মালিক হয়তো ওই জমিদার নিজেই।।

কোম্পানির ইনকাম বাড়ে, ওষুধের দাম বাড়ে, বাজার বাড়ে, এন্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্স বাড়ে, মালিকদের স্ট্যাটাস -পদ - পদবী সবই তো বাড়ছে দিনদিন ; শুধু বাড়ছেনা কোম্পানির প্রতিনিধির জীবনের দাম।

নিজে চিকিৎসক বলেই সুক্ষ্মভাবে খেয়াল করি ওদের জীবন। মায়াই লাগে।

( দয়া করে এইখানে কেউ চিকিৎসক-কোম্পানির রিলেশন নিয়ে অপ্রয়োজনীয় এবং প্রিডিটারমাইন্ড কমেন্ট করবেন না। ওইটা ভিন্ন টপিক। একটা সমস্যার অসংখ্য কারন থাকে। একটাকে হাইলাইট করলেই অন্যগুলো বন্ধ হয়ে যায়না। এটা ভাইগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই লেখা )

Collected

02/09/2022

সাইন বোর্ডে লাইসেন্স নাম্বার এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখে রাখার জন্য সব ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা জারী করা হয়েছে। সাইনবোর্ডে আরও যে বিষয়গুলো উল্লেখ করার নির্দেশনা দেয়া উচিৎঃ
১।ক্লিনিক কয় বেডের অনুমোদনের প্রাপ্ত; কয়জন রোগী ভর্ত্তি আছে।
২। যতগুলো বেডের অনুমোদন আছে, তার বিপরীতে কয়জন ডাক্তার থাকার কথা কয়জন আছে।
৩। কর্তব্যরত ডিউটি ডাক্তারের নাম এবং BMDC Reg No.
৪। যখন OT চলমান থাকে, সার্জনের নাম, Reg No,অজ্ঞান ডাক্তারের নাম,Reg No. Assistant এর নাম, ডিগ্রী, Reg No.

19/08/2022
05/06/2022

সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনারে গতকাল ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরে প্রচুর রোগী ধারণা করছি চমেকহা তে ভর্ত্তি হয়েছে। কালুরঘাট বিপর্যয় বলে খ্যাত সম্ভবত ২০০৫/০৬ সালের একটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের কথা মনে পড়লো।কালুরঘাট একটা গার্মেন্টসে সেদিন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তখন আমি চমেকহাতে সার্জারী, ৩ নং ইউনিটে কর্মরত।সেদিন সন্ধ্যার পরে একসাথে আমরা প্রায় ২০০ আগুনে পোড়া রোগী রিসিভ করি।হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স,নার্সিং ছাত্র-ছাত্রী,মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রী একসাথে কাজ শুরু করে।সার্জারী ওয়ার্ড ছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডে রোগী দেয়া হয়।
সে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এখন যা যা প্রয়োজন পড়তে
১) অনেক চিকিৎসক, নার্স
২) প্রচুর আই ভি ফ্লুইড
৩)প্রচুর আই ভি ক্যানুলা,ব্যাথার ঔষধ,স্যালাইন সেট।
৪) প্রচুর গজ, ব্যান্ডেজ, Sofratulle এবং অন্যান্য ড্রেসিং এর সামগ্রী।
৫) উৎসুক জনতা,যারা কোন কাজে আসবে না এবং সাংবাদিক ম্যানেজমেন্ট
৬) প্রয়োজনীয় ফোর্স।
৭) ভি আই পি ম্যানেজমেন্ট, অনেকেই যাবেন।তাদেরকে ও সার্ভিস দেয়ার জন্য আবার সিনিয়রদের,হাসপাতাল প্রশাসনের সময় দিতে হয়।
৭) অন্য কোন ইনজুরি না থাকলে আজকে অবশ্য রক্ত লাগার কথা না,তবে কালকে থেকে লাগবে।
যাক আমাদের তখনকার ম্যানেজমেন্ট জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যপক প্রশংসিত হয়েছিল। সার্জারী বিভাগ, বিশেষ করে ইউনিট -৩ এর চিকিৎসক গণ একটানা ব্যাপক সার্ভিস দিয়েছে, অনেকেই ২/৩ দিন বাসায় যায়নি।বিজিএমইএ থেকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করা হয়েছিল। বার্ণ এর সর্বশেষ রোগী ছুটি হওয়া পর্যন্ত তাদের একজন স্টাপ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছিল যে যখন যে ঔষধের কথা বলা হয়েছে এনে দিয়েছে। বিজিএমইএ এর দায়িত্ব এ খারাপ রোগী ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল।
আশা করি চিকিৎসকগণ সফল হবেন।তবে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে বেশ কিছুদিন সাপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের বলবো, এখন ওয়ার্ডের, ওটির ভিতরে না ঢুকতে।তাতে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হবে।রোগীদের প্রাইভেসি ক্ষুন্ন হবে।

30/05/2022

ড্রেসিং

মিনহার ড্রেসিং করছেন ডাঃ তালহা ।মেয়েটার মাইক্রোপোর টেনে তুললেন, তারপর তার আগের গজ গুলো তুললেন, তারপর ভাল করে পভিসেপ দিয়ে পরিস্কার করলেন,তারপর আবার মাইক্রোপোর লাগালেন। মেয়েটা অনেক কষ্ট করছে।মেয়েটার কষ্ট দেখে ডাক্তার সাহেবের চোখেও কি পানি চলে আসল।

মিনহার বয়স ৮ বছর। হাসিখুশি মেয়ে।তাকে প্রথম যখন ডাঃ তালহা দেখে তখন সে তিন দিনের তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্ত্তি।এ তিন দিন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক চিকিৎসা করেছেন। উন্নতি না হওয়ায় এখানে ভর্ত্তির জন্য পাঠিয়েছেন। পেটে হাত বুলিয়েই দেখল পেট শক্ত হয়ে আছে।নাভীর ডান পাশে ব্যথার জন্য পেটে হাত দেয়া যাচ্ছে না। ডাঃ তালহা অনুমান করল এপেন্ডিসাইটিস হয়ে যথাসময়ে চিকিৎসা না করায় সেটা ফেটে চারিদিকে পুজ পানি ছড়িয়ে গেছে। ডিউটি ডাক্তার অলরেডি রক্ত এবং আল্ট্রাসনো করিয়ে রেখেছে। নিউট্রোফিলিক লিউকোসাইটোসিস, ব্লাড কাউন্ট অনেক হাই।সাথে আল্ট্রাসনোতে এপেন্ডিক্সের ফুলে যাওয়া এবং পেলভিক কেভিটিতে কালেকশন। সব মিলিয়ে ডাঃ তালহা বুঝল, এই ফুটফুটে মেয়েটির এপেন্ডিসাইটিস হয়ে ফেটে গিয়েছে।

ডাঃ তালহা বুঝল, মেয়েটির জন্য সামনে অনেকগুলো কষ্টকর দিন অপেক্ষা করছে।মেয়েটির বাবাকে ডেকে কাউন্সেলিং করল।মিনহার এখন জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন প্রয়োজন। তবে যে অপারেশনটা অনেক সিম্পল ছিল, ১৬-২০ ঘন্টা পর সে মুখে খেতে পারত,২-৩ দিন পর বাড়ি চলে যেতে পারত এবং ৭/৮ দিন পর সেলাই কেটে সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যেতো সে অপারেশন হয়ে গেল অনেক জটিল। এখন লাগবে তার ল্যাপারোটমি, পুরো পেট তার নরমাল স্যালাইন দিয়ে ধুতে হবে, অনেক দামী ঔষধপত্র ব্যবহার করতে হবে,৪/৫ দিন না খাইয়ে রাখতে হবে, হাসপাতালে কয়দিন থাকতে হবে, নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে এরপর ও হয়তো সেলাইয়ের ইনফেকশন এড়ানো যাবে না।সেক্ষেত্রে রেগুলার ড্রেসিং করে পরবর্তীতে আবার সেলাই করতে হবে।

বাচ্চার বাবা- মা কান্নাকাটি শুরু করল। বাবা- মা অন্য মুরুব্বি যারা উপস্থিত ছিল, একে অপরকে দোষারোপ করল সময়মতো ডাক্তারের কাছে না আনার জন্য। অবশ্য তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই সম্মতি দিল।

ডাঃ তালহা ল্যাপারোটমি করলেন। যা ভেবেছিলেন তাই।এপেন্ডিক্স পুরোটাই গ্যাগ্রিন হয়ে গেছে। যা যা করার দরকার সবাই করলেন। কিন্তু ইনফেকশন ঠেকানো গেল না। এরপর প্রতিদিন ড্রেসিং করতে হয়।প্রতিবার ড্রেসিং মিনহার জন্য অনেক কষ্টের, তার বাবা মাথার কাছে দাড়িয়ে তার মাথায় হাত বুলায়,সাত্ত্বনা দেয়, এইতো মা আর একটু, তারপরই তো তোমার কষ্ট শেষ। কিন্তু ডাঃ তালহা জানে কষ্ট এখনো অনেক। এরপর সেলাই, আবার ড্রেসিং, তারপর সেলাই কাটা।সামনে আরো কষ্ট।

ডাঃ এ, কে, এম মুশফিকার হায়দার স্যার নিয়মিত চেম্বার করছেন " ইস্কয়ার ল্যাবে "স্যার যে সমস্ত অপারেশন করেনঃ ★এপেন্ডিক্স, হার...
30/04/2022

ডাঃ এ, কে, এম মুশফিকার হায়দার স্যার নিয়মিত চেম্বার করছেন
" ইস্কয়ার ল্যাবে "
স্যার যে সমস্ত অপারেশন করেনঃ
★এপেন্ডিক্স, হার্ণিয়া, হাইড্রোসিল, পিত্তথলির পাথর, কিডনির পাথর, ব্রেস্ট এর অপারেশন, পায়ুপথের অপারেশন,শরীরের বিভিন্ন জায়গায় টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদি ★

27/04/2022

#সংগৃহীত
সিগারেট-মাকরূহ-নাকি-হারাম?
কুরআন-হাদীস কি বলে? 👉

★একদিন সিগারেট খেলে ৪০ দিন ইবাদাত কবুল হয় না!
-রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ
নেশা উদ্রেককারী প্রতিটি বস্তু মদের অন্তর্ভুক্ত। আর নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তু হারাম। যে ব্যক্তি একবার নেশা উদ্রেককারী জিনিস পান করলো সে তার চল্লিশ দিনের সলাতের কল্যাণ হতে বঞ্চিত হলো।
[আবু দাউদঃ ৩৬৮০]

★ সিগারেটের গায়ে লেখা থাকে "ধুমপান মৃত্যু ঘটায়"।
- আল্লাহ পাক বলেন,
"তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না।" [বাকারা-১৯৫]

★ সিগারেট নেশাজাতীয় জিনিস।
- নবী করিম (সাঃ) বলেছেন,
"প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার) আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম।" [মুসলিম-২০০৩]

★ কেউ একসাথে ১০টি সিগারেট খেলে তার নেশা হতে বাধ্য।
- রাসূল (সাঃ) বলেছেন:-
“যা অধিক সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও হারাম।" [তিরমিযি-১৮৬৫, আবু দাঊদ-৩৬৮১]

★ সিগারেট অপবিত্র জিনিস।
- আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু হারাম করা হয়েছে।" [আরাফ-১৫৭]

★ সিগারেটে অপব্যয় ছাড়া অন্য কিছু নয়।
- আল্লাহ পাক বলেন, "নিশ্চয়ই অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই।" [সূরা ইসরা-২৭]

★ সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষ চরম কষ্ট পায়।
- রাসূল (সাঃ) বলেন,
"যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।" [বুখারী]

★ সিগারেট পুষ্টিকর কিংবা ক্ষুধা নিবারণ মূলকও কিছুই নয়।
- জাহান্নামীদের খাবার প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন, “এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।" [গাশিয়াহ-৭]

এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন-
এই ধুমপান করবেন, নাকি ছাড়বেন?এই রমজানে ইফতারের পর সাহেরী শেষ করে যারা সিগারেট খান!...আস্তাগফিরুল্লাহ....

আল্লাহ আমাদেরকে এ সর্বনাশা নেশা থেকে দুরে রাখুন
আমিন!🌼

26/04/2022
22/04/2022

******** দালাল হইতে সাবধান **********
( পর্ব: ১ )

সরকারি হাসপাতালের দেয়ালে দেয়ালে এরকম লেখা প্রায়ই আপনি দেখতে পাবেন যে "দালাল হইতে সাবধান" । কেন এমন লেখা আর এই দালালিই বা কারা? আর এমন লেখার কারণই বা কি? এমন লেখার মূল কারণ হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে আপনার চারপাশের আপনি দালাল দ্বারা বেষ্টিত আছেন। সুতরাং আপনি যেন তাদের ফাঁদে না পরেন এজন্য আপনাকে সতর্ক করা হয়েছে।

খুব সহজ একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনি রোগী নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। আপনি রিক্সা, সিএনজি অথবা এম্বুলেন্স থেকে নামার আগে কিছু লোকজন আপনার সাহায্য করার জন্য দৌড়ে আসবেন। আপনাকে নামাতে সাহায্য করবে অথবা একটা খালি ট্রলি অথবা হুইল চেয়ার জোগাড় করতে সাহায্য করবে। এর ফাকে অত্যন্ত দরদ মাখা মুখে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে আপনার কি হয়েছে, কি সমস্যা, কই থেকে আসছেন । এমনভাবে কথা বলবে যেন সে আপনার খুব আপন। তারপর সবকিছু শুনে উনি আপনাকে একটা খুব সুন্দর উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করবেন। বলবেন এখানে নিয়ে আসছেন ভিতরেতো ডাক্তার নাই, ডাক্তার তো চা খেতে গেছে, অথবা নামাজ পড়তে গেছে অথবা লাঞ্চ করতে গেছে, এসব বলে বলবে যে, ডাক্তার তো আসতে অনেক দেরি হবে । আপনার রোগী তো বেশি খারাপ এখন কি করবেন? তার চেয়ে চলুন আমি আপনাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করে দেই। আপনি যদি তার টোপে পা দেন তাহলেই আপনি তার জালে ফেঁসে গেলেন। এরপর উনি যথা সম্ভব খুব দ্রুততার সহিত আপনাকে উনার পছন্দের ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে দেবে।

হাসপাতালের প্রবেশপথে আপনি অনেক গুলা ট্রলি অথবা হুইলচেয়ার দেখবেন। এগুলো সাধারণত এক শ্রেণীর লোকজন দখল করে রেখে দেয়। এই ট্রলি গুলো তারা অন্য কাউকে ধরতে দেয় না। আপনি আপনার রোগীকে ট্রলিতে শুয়ে অথবা হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাবেন, তাহা তারা করতে দেবে না। তারা বাধ্য করবে আপনাদেরকে তাদেরকে দিয়ে আপনার রোগীকে ট্রলি অথবা হুইলচেয়ারে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে। এরপর আপনার কাছে দাবি করে বসবে ট্রলি ভাড়া। অথচ এই ট্রলি এবং হুইল চেয়ার গুলো সরকারিভাবে ফ্রিতে রোগীদের পরিবহনের জন্য রাখা হয়েছে। আপনার কোন ক্ষমতা নাই তাদেরকে বাইপাস করে এই ট্রলি অথবা হুইল চেয়ার দিয়ে আপনার রোগীকে নিয়ে যাওয়ার। সুতরাং আপনি এখানে তাদের কাছে জিম্মি। এসকল দালালরা সাধারণত হাসপাতালে বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়ে থাকে। অনেক সময় বাইরের লোকজনও এসে হাসপাতালে এরকম সিন্ডিকেট পাকিয়ে থাকে।

এই গেল রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক চিত্র। এখন আসুন দেখা যাক রোগীকে ভর্তি করানোর পর ওয়ার্ডে নিয়ে আসার পর কি কি সমস্যাগুলো আমরা দেখতে পাই। একটা মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীকে ক্যাথেটার, NG টিউব থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু প্রসিডিউর করতে হয়। ক্যাথেটার করা বা NG Tube দেওয়া সাধারণত ডাক্তারের দায়িত্ব হয়ে থাকেন এবং উনারা এটা করেও থাকেন। কিন্তু হাসপাতালে দাদুদের অথবা আয়া, ওয়ার্ডবয়দের কে ক্যাথেটার করতে না দিলে তারা কাজ করতে চায়না। আর এই ক্যাথেটার করে তারা রুগী থেকে বকশিশ হিসেবে বাগীয়ে নেয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

হাসপাতালে যে সকল ইনভেস্টিগেশন হয় না সেগুলো সাধারনত ডাক্তার রোগীর লোককে একটা কাগজে লিখে কাগজটা ধরিয়ে দেন এটা করে নিয়ে আসার জন্য। এসবের প্রতি দৃষ্টি থাকে দালালদের। সাধারণত আয়া, বুয়া, ওয়ার্ডবয়, দাদুরা রোগীর লোকের কাছে গিয়ে বলে দেন আমি করে নিয়ে এসে দেই। অথবা বলে আসেন আমার সাথে, আমি আপনাকে চিনাইয়া নিয়ে যাই কোথায় এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এই বলে তারা রুগীর পরীক্ষার স্যাম্পল গুলো তাদের পছন্দমতো ক্লিনিকে নিয়ে করে নিয়ে আসে। ক্লিনিক থেকে একটা ভালো পার্সেন্ট বকশিশও পায়, আবার রুগীর লোকের কাছ থেকেও তারা বকশিশ নেয়।

প্রায় সময়ই দেখবেন হাসপাতালে বড় বড় ইনভেস্টিগেশন মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে থাকে। এই নষ্ট হওয়ার অজুহাতে মাসের-পর-মাস ইনভেস্টিগেশন গুলো বন্ধ থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরা হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এই ইনভেস্টিগেশন গুলো তখন চলে যায় তখন নিকটবর্তী ক্লিনিকে।

হাসপাতালে যেসকল রোগী ফ্লোরে অথবা বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নেয় তাদেরকে এই দালালরা খুব সেবা করে। তাদেরকে স্বেচ্ছায় উপকার করার চেষ্টা করেন। এবং তাদেরকে একটা রোগীর বেড ম্যানেজ করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেয়।

সার্জারি অথবা গাইনি ওয়ার্ডের সাধারণত অপারেশনের জন্য যেসকল ওষুধ হাসপাতালে সাপ্লাই নেই সেগুলো কিনতে দেওয়ার হয়। ওষুধ এর একটা লিস্ট দেওয়া হয় রুগীর লোকের কাছে। এসকল দালালরা তাদের প্রতি নজর রাখে। তারপর আস্তে ধীরে কথা বলে তাদের কাছে গিয়ে বলে চলেন আপনার ওষুধ গুলো এনে দেই। আমার পরিচিত দোকান আছে কম দামে আপনাকে এনে দেয়া যাবে, তাছাড়া তো আপনি এখানে সবকিছু চিনবেনও না।
তারপর উনি রোগীর লোককে নিয়ে যায় তার পরিচিত ওষুধের দোকানে। সেখানে ১৫০০ টাকার ওষুধের কিনে বিল বানায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার। তারপর লোকের সামনে ঔষধের দোকানদারকে খুব করে রিকোয়েস্ট করে কিছু ডিসকাউন্ট দেয়ার জন্য। দোকানদারও তাকে দেখানোর জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ডিসকাউন্ট করে দেয়। এত ডিসকাউন্ট দেখে রোগীর লোকও খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। আর সেই লোক কে উনি আপন করে নেয়। বাকি টাকা দোকানদার এবং সেই দালাল ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে নেয়।

সরকারি হাসপাতালে বেশিরভাগ অপারেশনই ফ্রিতে করা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে কিছু ইন্সট্রুমেন্ট এর খরচ বাবদ সরকারি কোষাগারে টাকা নেয়া হয়। এই সকল দালালরা ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে, রোগীর লোকের কাছে ডাক্তারের ফিস এর কথা বলে অপারেশন ফিস দাবি করে। বলে এইটা হাসপাতালে চার্জ, এটা ডাক্তারের চার্জ, ডাক্তারকে এখনই দিতে হবে, নাহলে আপনার রোগীর অপারেশন হবে না। এভাবেই তারা রোগীর লোকের কাছ থেকে বাগিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা এসব কাজে জড়িত থাকে । আপনি প্রতিবাদ করতে যাবেন তারা স্ট্রাইক করে সব কাজ বন্ধ করে রাখবে। এরপর দেখবেন হাসপাতালে কি অবস্থা হয়। তখন আপনি হাসপাতালে দুর্গন্ধে আর টিকতে পারবেন না, কারণ ময়লা পরিষ্কার থেকে শুরু করে ডাস্টবিন পরিষ্কার, বাথরুম পরিষ্কার এগুলা এরা তখন আর করবে না। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিগত ব্যবস্থাও নেয়া যায়না। পুরা হাসপাতালকে তারা এভাবে জিম্মি করে রাখে। আবার ডাক্তার-নার্স যদি বেশি কিছু বলতে যায় তাহলে তাদেরকে দেখে নেবার হুমকি দিয়ে দেয়। যার কারণে অনেকেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো কথা বলে না বা তাদের সাথে কোন গ্যাঞ্জামে জড়ায়না।

তারপর আসেন বলা যাক হাসপাতালে ওয়ার্ডের গেটম্যানের চাঁদাবাজির কথা। আপনি আপনার রোগীকে দেখতে গেছেন হাসপাতলে, সে আপনাকে ঢুকতে দেবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তাকে কিছু বকশিশ দেন। বকশিস দিল ঢুকতে পারবেন, না দিলে আপনাকে কোনোভাবেই সে ঢুকতে দেবেনা। এরকম ঘটনা প্রতিদিনই দেখা যায়। মাঝে মাঝে রোগীর লোকের সাথে এইসব গেটম্যানদের হাতাহাতিও হয়ে যায়। আপনি যখন এদের নামে কমপ্লেন করবেন তখন অথরিটি এদেরকে চেঞ্জ করে দেবে। কিন্তু তাতেও খুব বেশি সমস্যার সমাধান হবে না কারন এরা হাসপাতালে স্থানীয় নিয়োগ। যার কারণে এদেরকে খুব বেশি হলে এক ওয়াড থেকে অন্য ওয়াডে বদলি করা যায় কিন্তু অন্য হাসপাতলে বদলি করা যায় না। যার কারণে যুগ যুগ ধরে একই হাসপাতলে ঝিম মেরে বসে থাকে। আর আপনি এদের সিন্ডিকেটের জালে বন্দি থাকেন।

আর অপারেশন এর রুগী হাসপাতাল থাকে ভাগিয়ে ক্লিনিক নেবার ইতিহাস তো অনেক পুরনো। রোগীর ভিড়ের কারণে অনেক সময়ই রোগীদের অপারেশন এর সিরিয়াল পেতে অনেক দেরি হয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরা রোগীকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যায় ওলি গলির ক্লিনিকে।

এর থেকে পরিত্রান পাবার উপায় কি.......?

To be continue.................

Dr. Khalid Nur Md Mahbub
MBBS, DA, FCPS

********** দালাল হইতে সাবধান ***********(collected)                            ( পর্ব: ২ )প্রথমেই কিছু ঘটনা দিয়ে শুরু ক...
22/04/2022

********** দালাল হইতে সাবধান ***********(collected)
( পর্ব: ২ )

প্রথমেই কিছু ঘটনা দিয়ে শুরু করি আজকের পর্ব।

@ ঘটনা ১:
এক মহিলা রোগী আসছেন একজন সার্জারির প্রফেসরের কাছে ফলোআপ চেকআপ করাতে। ইতোপূর্বে এই মহিলা উক্ত সার্জনের কাছে দুইবার দুই পাশের প্যারোটিড গ্ল্যান্ড এর অপারেশন করিয়েছেন।

>> চেম্বারে গিয়ে উনি সার্জনকে বললেন স্যার আপনার কাছে চিকিৎসা করিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি, এখন আমার কাছে আপনার ভিজিট দেয়ার মত টাকা নেই।

** ডাক্তার খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন ক্যামনে আপনি সর্বস্বান্ত হলেন।

>> রুগী বলল স্যার আমি আমার পিতামাতার কাছ থেকে যে জমিটা পেয়েছিলাম সেটা বিক্রি করে আমার দুইবার অপারেশনের খরচ যুগিয়েছে।

** ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন তা আপনি কত টাকা পেয়েছেন জমি বিক্রি করে।

>> রুগী বলল দেড় লক্ষ টাকা।

** ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন: তা আপনার অপারেশন বাবদ কত খরচ হয়েছে?

>> রুগী বললো স্যার যে লোকটা আমারে আপনার কাছে নিয়ে আসছিল সে আমার কাছ থেকে একবার নিছে ৭৫ হাজার আরেকবার নিছে ৬৫ হাজার টাকা। এখন আর আমার কাছে একটা টাকাও নাই চিকিৎসা করার।

** তখন ডাক্তার বললেন, মা আমি তো আপনার কাছ থেকে অপারেশন বাবদ প্রতিবার ৮ হাজার টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা নিয়েছিলাম।

>> রুগীর চেহারা তখন 😥😥😥😥😥

@ ঘটনা ২:

দালাল ফোন দিয়েছে ডাক্তারের কাছে।
>>দালাল: স্যার একটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগী আছে, অপারেশন করতে হইবো।

** ডাক্তার: ঠিক আছে করে দেবো, নিয়ে আসেন।

>>দালাল: স্যার অপারেশন চার্জ, এনেসথেসিয়া চার্জ, রুম চার্জ, অপারেশন থিয়েটার চার্জ, ওষুধ খরচ সব কিন্তু আপনার।

** ডাক্টার: রোগীর সাথে কত টাকার কন্টাক্ট করেছেন?

>> স্যার ২০০০০ টাকা।

** তা আপনাকে কত দিতে হবে?

>> স্যার আমাকে দিবেন ১০ হাজার টাকা এবং বাকি ১০ হাজার টাকা আপনার এবং বাকি সব খরচ সহ।

** ডাক্টার: 🙄🙄🙄🙄🙄🙄

@ ঘটনা ৩:
এক রোগীর স্বামী থাকে বিদেশে। এরমধ্যে রোগী হয়ে গেছে প্রেগনেন্ট। পাশের বাড়ির দেবরের সাথে চলছিল অনেক ইটিশ পিটিশ। যাই হোক সে দেবর পরে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে অপারেশন করে বাচ্চাকে নষ্ট করে ফেলার জন্য। দালালের সাথে কন্টাক হলো ৭০হাজার টাকার। এর কমে কোনভাবেই করানো যাবে না সেটাই ছিল দালালের ভাষ্য। দালালও তাদের গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামত টাকা দাবি করে বসলো। অনেক ঝামেলা আছে এই অপারেশনে, কোন ডাক্তার এই অপারেশন করতে চাইবেনা, হানিফানি অনেক কিছু বুঝিয়ে চড়া মূল্যে অপারেশন করিয়ে নিতে দালাল তাদের রাজি করালো । রোগীও গোপনীয়তার স্বার্থে অন্য কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেল। যাই হোক যথা সময় অপারেশন করে বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলা হলো। অপারেশন শেষে দালাল হাসপাতলে ১৯ হাজার টাকার বিল দিয়ে রুগী নিয়ে চলে গেল। বাকি টাকা দালালের পকেটে।

ঘটনাটা ৪:

আমার বড় বোনের সিজার করতে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাই, অপারেশন শেষে বিল পরিশোধ করতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও অতিরিক্ত ২০০০ টাকা বেশি দাবি করেন। কারণ জানতে চাই কেন ২০০০ টাকা বেশি লাগবে। ম্যানেজার উত্তর দিল আপনার বোনের ব্যাপারে তিনজন দালাল ফোন দিয়ে দাবি করেছে যে তারা এই রোগীকে পাঠিয়েছে। আমি বললাম যে, আমি নিজে ডাক্তার , আর আমি তো আমার বোনের ডাক্তারের সাথে কথা বলেই রোগী নিয়ে আসলাম, এর মাঝে দালাল আসলো কেমনে?
ঘটনা হলো আমার বোনকে হাসপাতালে আনার পথে যতজন ওষুধের দোকানদার তথা আরো কিছু দালাল হাসপাতালের নিতে দেখেছে তারা সবাই ফোন করে হাসপাতালের ম্যানেজারের বলেছে যে সে একটা রুগী পাঠাচ্ছে । যাই হোক সব মিলিয়ে তিনজন একই রোগে পাঠানোর দাবি করেছে। এখনই তিনজনকেই তাদের পার্সেন্টেজ না দিয়ে ম্যানেজার সাহেব কোন উপায় না পেয়ে আমাদের কাছে বেশি টাকা দাবি করেছে।

এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে দালালদের। একজন ডাক্টার দালাল এর প্রস্তাবে রাজি হবেনা তো আরেকজন ডাক্তারকে তারা ফোনে দিবে। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ডাক্তাররা তাদের প্রাকটিস ধরে রাখার জন্য দালাল এর প্রস্তাবে রাজি হতে বাধ্য হয়। রাজি না হইলে ওইসব দালাল ওই ডাক্টার এর নামে অপপ্রচার শুরু করে দিয়ে তার প্রাকটিস এর ১২ টা বাজাবে। রোগীদের বলে বেড়াবে যে এই ডাক্টার ভালনা, ভালো অপারেশন করেনা ইত্যাদি। এবং ভবিষ্যতে ওই দালাল ওই ডাক্তারকে আর কোনো রোগী দিবে না।

এভাবেই একশ্রেণীর লোক নিজের উপার্জন এর একটা ব্যবস্থা করে ফেলেছে। আর হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সর্বস্বান্ত হচ্ছে রুগী আর বদনাম হচ্ছে ডাক্টার এর। তবে এটাও ঠিক ডাক্তাররা যদি এসব দালালদের ফাঁদে পা না দেয় তাহলে তারা একসময় নিস্তেজ হয়ে যেত। কিন্তু অনেকেই এই স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিজেকে মানিয়ে চলার চেষ্টা করেন, না হলে তো তার প্রাইভেট প্র্যাকটিস জমবে না। আসলে মেডিকেল সিস্টেমটাই এখন দালালের জালে বন্দি হয়ে গেছে।

দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দালাল। যাদের কাজই হলো রুগী ভাগিয়ে নিয়ে নিজের চুক্তিভুক্ত ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া। এরা কেউ কেউ ওইসব ক্লিনিক এর বেতন ভুক্ত কর্মচারী, আবার কেউ কেউ চুক্তিভিখিক। যে যত বেশি রুগী আনতে পারবে তার ততো বেশি বোনাস। ক্লিনিক ওয়ালারাও তাদের একটা ভদ্র নাম দিয়েছে যাকে বলে "মার্কেটিং"। যার ফলে এরা হয়ে যায় সুশীল সমাজ। এদের শিকড় তথা সংযোক অথবা নেটওয়ার্ক অনেক গভীরে। প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে আছে এদের নেটওয়ার্ক। আপনি যেখানেই থাকুন না কেনো এদের থেকে রেহাই নেই। প্রতিটা ওষুধ এর দোকানে এদের কন্টাক্ট নম্বর দেয়া আছে, দেয়া আছে সেইসব ক্লিনিক এর সিল প্যাড। যখনই আপনি এসব ওষুধের দোকানে যাবেন সামান্য পরামর্শ নিতে, তখনই এরা আপনাকে সেইসব ক্লিনিকের সিল প্যাড সম্বলিত কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলবে ওই ক্লিনিকে গিয়ে আমার নাম বলবেন তাহলে আপনার স্পেশাল কেয়ার নিয়ে, স্পেশাল ডিস্কাউন্ট করে চিকিৎসা করে দিবে। সাথে আরো অনেক গুনোগান গেয়ে দিবে। আপনিও আপনার সীমিত জ্ঞান এর জন্য সেখানেই চলে যাবেন। যার ফলে সেই দোকানদার পেয়ে যাবে আপনার চিকিৎসা খরচ এর একটা পার্সেন্টেজ।

এদের দৌরাত্ম্য শুধু গ্রামেগঞ্জে ছিটিয়ে নয় বরং এরা সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে আনে, এমনকি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে থেকেও রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায় নিজস্ব ক্লিনিক গুলোতে । আপনাকে স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে দ্রুত সিনিয়ার কোন চিকিৎসককে দিয়ে অপারেশন করিয়ে দেবে অথবা কারো সিরিয়াল নিয়ে দিবে অথবা এর চেয়ে ভাল চিকিৎসা করিয়ে দিবে এই বলে তারা রোগীদেরকে সেখান থেকে প্রতারিত করে নিয়ে ক্লিনিকে ভাগে। রোগীর অপারেশন কেমন হলো অথবা চিকিৎসা কেমন হলো সেটা তাদের দেখার মুখ্য বিষয় নয়। তাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে কেমন করে সে অধিক লাভবান হতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা।

এই দালাল প্রথা তথা মধ্যসত্তা ভোগকারি ব্যাক্তি যদি না থাকতো তাহলে আপনার চিকিৎসা খরচ অনেক কমে যেতো। কমে যেত আপনার ভোগান্তি সাথে আপনি রেহাই পারেন প্রতারণা থেকে। সেইসাথে চিকিৎসকরাও যদি এইসব দালাল থেকে দূরে থাকতো তাহলে একসময় এই দালালরা দালালি ছেড়ে অন্য পেশা খুজার চেষ্টা করতো।

দেশের আনাচে কানাচে কবুতরের খোপর মতন গড়ে উঠেছে ছোট ছোট মানহীন ক্লিনিক। মানসম্মত সেবা দেবার চেয়ে যেখানে ব্যবসায়ীক মনোভাবটাই বেশি প্রকাশ পায়। সময় এসেছে এইসব মানহীন ক্লিনিকগুলোকে বন্ধ করার। তার পরবর্তীতে সেখানে গড়ে উঠতে পারে মানসম্মত, স্বাস্থ্যসম্মত হাসপাতাল যেখানে প্রাধান্য পাবে কোয়ালিটি সার্ভিস। ছোট ছোট হসপিটাল অথবা ক্লিনিক না বানিয়ে সবাই মিলে বানানো যায় মানসম্মত একটি বড় হসপিটাল।

এই অবস্থা থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রতিত্রান পাবার উপাই কি........!

প্রথম পর্বের লিংক:
https://www.facebook.com/100654992456828/posts/150604214128572/

ধন্যবাদ
Dr. Khalid Nur Md Mahbub
MBBS, DA, FCPS

******** দালাল হইতে সাবধান **********
( পর্ব: ১ )

সরকারি হাসপাতালের দেয়ালে দেয়ালে এরকম লেখা প্রায়ই আপনি দেখতে পাবেন যে "দালাল হইতে সাবধান" । কেন এমন লেখা আর এই দালালিই বা কারা? আর এমন লেখার কারণই বা কি? এমন লেখার মূল কারণ হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে আপনার চারপাশের আপনি দালাল দ্বারা বেষ্টিত আছেন। সুতরাং আপনি যেন তাদের ফাঁদে না পরেন এজন্য আপনাকে সতর্ক করা হয়েছে।

খুব সহজ একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনি রোগী নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। আপনি রিক্সা, সিএনজি অথবা এম্বুলেন্স থেকে নামার আগে কিছু লোকজন আপনার সাহায্য করার জন্য দৌড়ে আসবেন। আপনাকে নামাতে সাহায্য করবে অথবা একটা খালি ট্রলি অথবা হুইল চেয়ার জোগাড় করতে সাহায্য করবে। এর ফাকে অত্যন্ত দরদ মাখা মুখে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে আপনার কি হয়েছে, কি সমস্যা, কই থেকে আসছেন । এমনভাবে কথা বলবে যেন সে আপনার খুব আপন। তারপর সবকিছু শুনে উনি আপনাকে একটা খুব সুন্দর উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করবেন। বলবেন এখানে নিয়ে আসছেন ভিতরেতো ডাক্তার নাই, ডাক্তার তো চা খেতে গেছে, অথবা নামাজ পড়তে গেছে অথবা লাঞ্চ করতে গেছে, এসব বলে বলবে যে, ডাক্তার তো আসতে অনেক দেরি হবে । আপনার রোগী তো বেশি খারাপ এখন কি করবেন? তার চেয়ে চলুন আমি আপনাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করে দেই। আপনি যদি তার টোপে পা দেন তাহলেই আপনি তার জালে ফেঁসে গেলেন। এরপর উনি যথা সম্ভব খুব দ্রুততার সহিত আপনাকে উনার পছন্দের ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে দেবে।

হাসপাতালের প্রবেশপথে আপনি অনেক গুলা ট্রলি অথবা হুইলচেয়ার দেখবেন। এগুলো সাধারণত এক শ্রেণীর লোকজন দখল করে রেখে দেয়। এই ট্রলি গুলো তারা অন্য কাউকে ধরতে দেয় না। আপনি আপনার রোগীকে ট্রলিতে শুয়ে অথবা হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাবেন, তাহা তারা করতে দেবে না। তারা বাধ্য করবে আপনাদেরকে তাদেরকে দিয়ে আপনার রোগীকে ট্রলি অথবা হুইলচেয়ারে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে। এরপর আপনার কাছে দাবি করে বসবে ট্রলি ভাড়া। অথচ এই ট্রলি এবং হুইল চেয়ার গুলো সরকারিভাবে ফ্রিতে রোগীদের পরিবহনের জন্য রাখা হয়েছে। আপনার কোন ক্ষমতা নাই তাদেরকে বাইপাস করে এই ট্রলি অথবা হুইল চেয়ার দিয়ে আপনার রোগীকে নিয়ে যাওয়ার। সুতরাং আপনি এখানে তাদের কাছে জিম্মি। এসকল দালালরা সাধারণত হাসপাতালে বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়ে থাকে। অনেক সময় বাইরের লোকজনও এসে হাসপাতালে এরকম সিন্ডিকেট পাকিয়ে থাকে।

এই গেল রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক চিত্র। এখন আসুন দেখা যাক রোগীকে ভর্তি করানোর পর ওয়ার্ডে নিয়ে আসার পর কি কি সমস্যাগুলো আমরা দেখতে পাই। একটা মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীকে ক্যাথেটার, NG টিউব থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু প্রসিডিউর করতে হয়। ক্যাথেটার করা বা NG Tube দেওয়া সাধারণত ডাক্তারের দায়িত্ব হয়ে থাকেন এবং উনারা এটা করেও থাকেন। কিন্তু হাসপাতালে দাদুদের অথবা আয়া, ওয়ার্ডবয়দের কে ক্যাথেটার করতে না দিলে তারা কাজ করতে চায়না। আর এই ক্যাথেটার করে তারা রুগী থেকে বকশিশ হিসেবে বাগীয়ে নেয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

হাসপাতালে যে সকল ইনভেস্টিগেশন হয় না সেগুলো সাধারনত ডাক্তার রোগীর লোককে একটা কাগজে লিখে কাগজটা ধরিয়ে দেন এটা করে নিয়ে আসার জন্য। এসবের প্রতি দৃষ্টি থাকে দালালদের। সাধারণত আয়া, বুয়া, ওয়ার্ডবয়, দাদুরা রোগীর লোকের কাছে গিয়ে বলে দেন আমি করে নিয়ে এসে দেই। অথবা বলে আসেন আমার সাথে, আমি আপনাকে চিনাইয়া নিয়ে যাই কোথায় এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এই বলে তারা রুগীর পরীক্ষার স্যাম্পল গুলো তাদের পছন্দমতো ক্লিনিকে নিয়ে করে নিয়ে আসে। ক্লিনিক থেকে একটা ভালো পার্সেন্ট বকশিশও পায়, আবার রুগীর লোকের কাছ থেকেও তারা বকশিশ নেয়।

প্রায় সময়ই দেখবেন হাসপাতালে বড় বড় ইনভেস্টিগেশন মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে থাকে। এই নষ্ট হওয়ার অজুহাতে মাসের-পর-মাস ইনভেস্টিগেশন গুলো বন্ধ থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরা হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এই ইনভেস্টিগেশন গুলো তখন চলে যায় তখন নিকটবর্তী ক্লিনিকে।

হাসপাতালে যেসকল রোগী ফ্লোরে অথবা বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নেয় তাদেরকে এই দালালরা খুব সেবা করে। তাদেরকে স্বেচ্ছায় উপকার করার চেষ্টা করেন। এবং তাদেরকে একটা রোগীর বেড ম্যানেজ করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেয়।

সার্জারি অথবা গাইনি ওয়ার্ডের সাধারণত অপারেশনের জন্য যেসকল ওষুধ হাসপাতালে সাপ্লাই নেই সেগুলো কিনতে দেওয়ার হয়। ওষুধ এর একটা লিস্ট দেওয়া হয় রুগীর লোকের কাছে। এসকল দালালরা তাদের প্রতি নজর রাখে। তারপর আস্তে ধীরে কথা বলে তাদের কাছে গিয়ে বলে চলেন আপনার ওষুধ গুলো এনে দেই। আমার পরিচিত দোকান আছে কম দামে আপনাকে এনে দেয়া যাবে, তাছাড়া তো আপনি এখানে সবকিছু চিনবেনও না।
তারপর উনি রোগীর লোককে নিয়ে যায় তার পরিচিত ওষুধের দোকানে। সেখানে ১৫০০ টাকার ওষুধের কিনে বিল বানায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার। তারপর লোকের সামনে ঔষধের দোকানদারকে খুব করে রিকোয়েস্ট করে কিছু ডিসকাউন্ট দেয়ার জন্য। দোকানদারও তাকে দেখানোর জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ডিসকাউন্ট করে দেয়। এত ডিসকাউন্ট দেখে রোগীর লোকও খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। আর সেই লোক কে উনি আপন করে নেয়। বাকি টাকা দোকানদার এবং সেই দালাল ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে নেয়।

সরকারি হাসপাতালে বেশিরভাগ অপারেশনই ফ্রিতে করা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে কিছু ইন্সট্রুমেন্ট এর খরচ বাবদ সরকারি কোষাগারে টাকা নেয়া হয়। এই সকল দালালরা ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে, রোগীর লোকের কাছে ডাক্তারের ফিস এর কথা বলে অপারেশন ফিস দাবি করে। বলে এইটা হাসপাতালে চার্জ, এটা ডাক্তারের চার্জ, ডাক্তারকে এখনই দিতে হবে, নাহলে আপনার রোগীর অপারেশন হবে না। এভাবেই তারা রোগীর লোকের কাছ থেকে বাগিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা এসব কাজে জড়িত থাকে । আপনি প্রতিবাদ করতে যাবেন তারা স্ট্রাইক করে সব কাজ বন্ধ করে রাখবে। এরপর দেখবেন হাসপাতালে কি অবস্থা হয়। তখন আপনি হাসপাতালে দুর্গন্ধে আর টিকতে পারবেন না, কারণ ময়লা পরিষ্কার থেকে শুরু করে ডাস্টবিন পরিষ্কার, বাথরুম পরিষ্কার এগুলা এরা তখন আর করবে না। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিগত ব্যবস্থাও নেয়া যায়না। পুরা হাসপাতালকে তারা এভাবে জিম্মি করে রাখে। আবার ডাক্তার-নার্স যদি বেশি কিছু বলতে যায় তাহলে তাদেরকে দেখে নেবার হুমকি দিয়ে দেয়। যার কারণে অনেকেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো কথা বলে না বা তাদের সাথে কোন গ্যাঞ্জামে জড়ায়না।

তারপর আসেন বলা যাক হাসপাতালে ওয়ার্ডের গেটম্যানের চাঁদাবাজির কথা। আপনি আপনার রোগীকে দেখতে গেছেন হাসপাতলে, সে আপনাকে ঢুকতে দেবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তাকে কিছু বকশিশ দেন। বকশিস দিল ঢুকতে পারবেন, না দিলে আপনাকে কোনোভাবেই সে ঢুকতে দেবেনা। এরকম ঘটনা প্রতিদিনই দেখা যায়। মাঝে মাঝে রোগীর লোকের সাথে এইসব গেটম্যানদের হাতাহাতিও হয়ে যায়। আপনি যখন এদের নামে কমপ্লেন করবেন তখন অথরিটি এদেরকে চেঞ্জ করে দেবে। কিন্তু তাতেও খুব বেশি সমস্যার সমাধান হবে না কারন এরা হাসপাতালে স্থানীয় নিয়োগ। যার কারণে এদেরকে খুব বেশি হলে এক ওয়াড থেকে অন্য ওয়াডে বদলি করা যায় কিন্তু অন্য হাসপাতলে বদলি করা যায় না। যার কারণে যুগ যুগ ধরে একই হাসপাতলে ঝিম মেরে বসে থাকে। আর আপনি এদের সিন্ডিকেটের জালে বন্দি থাকেন।

আর অপারেশন এর রুগী হাসপাতাল থাকে ভাগিয়ে ক্লিনিক নেবার ইতিহাস তো অনেক পুরনো। রোগীর ভিড়ের কারণে অনেক সময়ই রোগীদের অপারেশন এর সিরিয়াল পেতে অনেক দেরি হয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরা রোগীকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যায় ওলি গলির ক্লিনিকে।

এর থেকে পরিত্রান পাবার উপায় কি.......?

To be continue.................

Dr. Khalid Nur Md Mahbub
MBBS, DA, FCPS

ডাঃ এ, কে, এম মুশফিকার হায়দার নিয়মিত চেম্বার করছেন ইস্কয়ার ল্যাবে।যে সমস্ত অপারেশন করেনঃ এপেন্ডিক্স, হার্ণিয়া, হাইড্রোসি...
18/04/2022

ডাঃ এ, কে, এম মুশফিকার হায়দার নিয়মিত চেম্বার করছেন ইস্কয়ার ল্যাবে।যে সমস্ত অপারেশন করেনঃ এপেন্ডিক্স, হার্ণিয়া, হাইড্রোসিল, পিত্তথলির পাথর, কিডনির পাথর, ব্রেস্ট এর অপারেশন, পায়ুপথের অপারেশন,শরীরের বিভিন্ন জায়গায় টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদি.

★খুব প্রয়োজনীয় একটি পোস্টঃ★একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সব...
07/12/2021

★খুব প্রয়োজনীয় একটি পোস্টঃ★

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।
মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো- তার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক হয়েছিল। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভারসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটে মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।
স্ট্রোককে চিনুন...
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R... পড়ুন এবং জানুন!
মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।
সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile. রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk. রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।
এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো। সুতরাং, আপনি শিখলেন- আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান..!!
collected

Address

Feni
3900

Telephone

+8801711703463

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Sayam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Sayam:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram