17/06/2025
পুরুষ হয়ে নারীদের প্রতি যৌন আকর্ষণ (sexual attraction) না হওয়ার পেছনে অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। এই বিষয়টি শারীরিক, মানসিক বা সামাজিক যেকোনো দিক থেকে আসতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ তুলে ধরা হলো:
---
🔹 ১. জৈবিক/সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন:
কেউ কেউ সমলিঙ্গ (homosexual) আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন, অর্থাৎ একজন পুরুষ পুরুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন।
কেউ অ্যাসেক্সুয়াল (asexual) হতে পারেন, যারা কোন লিঙ্গের প্রতিও যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন না।
---
🔹 ২. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি হলে যৌন আকর্ষণ কমে যেতে পারে।
থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিন ইত্যাদি হরমোনের সমস্যা থাকলেও এমন হতে পারে।
---
🔹 ৩. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা:
ডিপ্রেশন (বিষণ্ণতা), ট্রমা, অ্যাংজাইটি ইত্যাদি মানসিক সমস্যা যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দিতে পারে।
অতীতের কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বা ভয় (যেমন: নারীদের প্রতি অবিশ্বাস বা অপমানিত হওয়ার অভিজ্ঞতা)।
---
🔹 ৪. ঔষধ বা চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
কিছু এন্টিডিপ্রেসেন্ট, হাই ব্লাড প্রেসার বা হরমোনের ওষুধ যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেয়।
কেমোথেরাপি, দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা বা অপারেশনের প্রভাবও থাকতে পারে।
---
🔹 ৫. ধর্মীয় বা সামাজিক চাপ/বিশ্বাস:
কেউ কেউ ধর্মীয়ভাবে দমন করে রাখেন, ফলে আকর্ষণ অনুভব হলেও তা প্রকাশ পায় না।
পরিবার বা সমাজ থেকে নারী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা শেখা।
---
🔹 ৬. পরিবারিক বা ব্যক্তিগত সমস্যা:
অতীতের বিচ্ছেদ, অসুখী সম্পর্ক, অথবা নারীদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা থাকলে আকর্ষণ তৈরি না-ও হতে পারে।
---
🔹 ৭. পর্ন/অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের প্রভাব:
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা পর্নগ্রাফি দেখার কারণে বাস্তব নারীদেহের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।
---
✅ করণীয়:
দীর্ঘদিন এমন সমস্যা থাকলে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট (হরমোন বিশেষজ্ঞ), মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা সেক্স থেরাপিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রক্ত পরীক্ষা করে টেস্টোস্টেরনসহ অন্যান্য হরমোন লেভেল যাচাই করা যেতে পারে।
নারীদের প্রতি আকর্ষণ না থাকার পেছনে যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক সমস্যা, বা যৌন পরিচয়ের দ্বিধা থাকে — তাহলে হোমিওপ্যাথিতে কিছু উপযুক্ত মেডিসিন রয়েছে, যেগুলো লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়।
✅✅✅✅✅
নিচে কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন দেওয়া হলো যেগুলো উপসর্গভিত্তিক প্রয়োগ করা যেতে পারে:
---
🧠 মানসিক চাপ / বিষণ্ণতা থাকলে:
1. Ignatia Amara – মানসিক দুঃখ, বিরক্তি, অতীতের সম্পর্কজনিত আঘাত।
2. Natrum Muriaticum – নিরব, একাকীত্বপ্রিয়, দুঃখ লুকিয়ে রাখা।
3. Aurum Metallicum – হতাশা, আত্মঘৃণা, জীবনে হতাশা থেকে আকর্ষণহীনতা।
---
⚖️ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকলে:
1. Testosteronum – টেস্টোস্টেরন হরমোন ঘাটতির উপসর্গ থাকলে (বিশেষজ্ঞ পরামর্শে)।
2. Lycopodium – আত্মবিশ্বাসহীনতা, যৌন দুর্বলতা, পুরুষত্বে সমস্যা।
3. Calcarea Carb – মোটা, অলস, হরমোন ভারসাম্যহীনতায় কার্যকর।
---
🔄 যৌন পরিচয়ের দ্বিধা বা দ্বন্দ্ব থাকলে:
1. Thuja Occidentalis – দমনকৃত ইচ্ছা, গোপন আচরণ, নিজের প্রতি ঘৃণা।
2. Pulsatilla – নরম স্বভাব, আবেগপ্রবণ, সহজে প্রভাবিত হয়, যৌনতা বিষয়ে দ্বিধা।
😣 যৌন উদ্দীপনার অভাব / যৌন আকর্ষণ কমে যাওয়া:
1. Agnus Castus – পুরুষত্বহীনতা অনুভব, যৌন আকর্ষণ একেবারে না থাকা।
2. Selenium – শারীরিক দুর্বলতা, মনে আকর্ষণ থাকলেও শরীর সাড়া দেয় না।
3. Phosphoric Acid – মানসিক ধকল বা ভগ্নহৃদয়তার কারণে যৌন আকর্ষণ হারিয়ে যাওয়া।
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ:
এই সমস্যা অনেক সময় মানসিক থেরাপি ও হরমোন পরীক্ষারও প্রয়োজন হতে পারে।
সঠিক মেডিসিন বেছে নিতে হলে ব্যক্তিগত উপসর্গ, মনোভাব, এবং ইতিহাস জানতে হবে।
একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবসময় শ্রেয়।
Call- 01840057223