Feni Pharma

Feni Pharma এখানে সব ধরণের দেশি বিদেশী ঔষধ পাওয়া যায়। আজ-ই অর্ডার করুন এবং ঘরে বসে পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সব ঔষ।

23/12/2024
অ্যাজমা হলো শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, শ্বাসের সময় সাঁই সাঁই শব্দ, বুকে ব্যথা এ...
17/12/2024

অ্যাজমা হলো শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, শ্বাসের সময় সাঁই সাঁই শব্দ, বুকে ব্যথা এবং কাশি দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

**গর্ভকালীন অ্যাজমার কারণসমূহ:**

- **হরমোনের পরিবর্তন:** গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্যের কারণে শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে, যা অ্যাজমার লক্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

- **রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি:** গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা নাসারন্ধ্রের স্ফীতি ঘটিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

- **পরিবেশগত উদ্দীপক:** ধুলোবালি, ফুলের রেণু, ঠান্ডা আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ এবং সিগারেটের ধোঁয়া অ্যাজমার আক্রমণ বাড়াতে পারে।

**ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা:**

- **ওষুধ সেবন:** গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমার ওষুধ সেবন চালিয়ে যাওয়া উচিত। ইনহেলড কর্টিকোস্টেরয়েড, যেমন বুদেসোনাইড, গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। দ্রুত উপশমের জন্য শর্ট-অ্যাক্টিং ব্রঙ্কোডাইলেটর, যেমন আলবিউটেরল, ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধ পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

- **উদ্দীপক এড়ানো:** পরিচিত অ্যাজমার উদ্দীপক, যেমন ধুলোবালি এবং ধোঁয়া, থেকে দূরে থাকুন, যাতে অ্যাজমার আক্রমণের ঝুঁকি কমে।

- **নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:** ফুসফুসের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা পরিকল্পনা সমন্বয়ের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করুন।

- **স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:** সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিরাপদ শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং ধূমপান পরিহার করা গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

অনিয়ন্ত্রিত অ্যাজমা গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া, কম ওজনের শিশুর জন্ম বা প্রিম্যাচিউর বার্থের মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমেরিকান একাডেমি অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি (AAAAI) এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) এর মতো সংস্থার রিসোর্স দেখতে পারেন।

*দ্রষ্টব্য: ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য সর্বদা স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের পরামর্শ নিন।*

➤পাইলস বা অর্শ্বরোগ কেন হয়? জেনে নিন এর প্রতিকার➤মলদ্বারের নানা রকম রোগের মধ্যে একটি বহুল পরিচিত রোগ পাইলস। এটি একটি অত্...
17/12/2024

➤পাইলস বা অর্শ্বরোগ কেন হয়? জেনে নিন এর প্রতিকার

➤মলদ্বারের নানা রকম রোগের মধ্যে একটি বহুল পরিচিত রোগ পাইলস। এটি একটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক রোগ। পাইলস বা অর্শ্বরোগ কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় “হেমোরয়েড” (Hemorrhoids) বলা হয়।

➤এ রোগে মলদ্বারের নিচের দিকের রক্তনালীগুলো ফুলে উঠে স্ফীত হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে মলদ্বারের আবরণ বা ঝিল্লীসহ নিচের দিকে নেমে আসে। যার ফলে মলত্যাগের সময় অস্বস্তি, চুলকানি, ব্যথা ও রক্তনালী ফেটে যেয়ে রক্তপাতের কারণ হতে পারে। যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তাদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। পাইলস বা অর্শ্বরোগ নিয়ে আজ আমরা বিশদে জানবো।

➤পাইলসের প্রকারভেদ
পাইলস প্রধানত দুই ধরনের-

➤অভ্যন্তরীন পাইলস বা অর্শ্বরোগ
প্রচলিত অর্থে পাইলস বলতে অভ্যন্তরীণ পাইলসকেই বোঝায়। এটি মলদ্বারের ভেতরের দিক থেকে শুরু হয়। এই ধরনের পাইলসের প্রধান উপসর্গ হল মলত্যাগের সময় মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত ও মলদ্বার বের হয়ে আসা।

এই ধরনের পাইলসে সাধারণত ব্যাথা হয়না। যদি ভেতরের পাইলস মলদ্বার দিয়ে বাইরে চলে আসে এবং ভেতরে ঢুকানো সম্ভব না হয় বা ইনফেকশনের মতো কোনও জটিলতা তৈরি হয়, তাহলে ব্যথা হতে পারে। তীব্রতার উপর ভিত্তি করে এদের গ্রেড I থেকে গ্রেড IV পর্যন্ত ভাগ করা হয়েছে।

গ্রেড I- মলদ্বারের ভেতরের আস্তরণে ছোট ফোলাভাব যা দেখা বা অনুভব করা যায় না।
গ্রেড II- এটি আকারে একটু বড় হয়ে থাকে যা মলত্যাগের সময় বাইরে বের হয়ে আসে আবার নিজে থেকেই ভেতরে চলে যায়।
গ্রেড III- এ ক্ষেত্রে মলত্যাগের সময় আবরণী ঝিল্লী মাংসপিন্ডের মত বাইরে বের হয়ে আসে এবং একে হাত দিয়ে ঠেলে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়।
গ্রেড IV- এ ক্ষেত্রে মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসে এবং একে ঠেলে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায় না। এক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

বাহ্যিক পাইলস
এ ছাড়া মলদ্বারের মুখে ও বাইরে এক ধরনের পাইলস হয়ে থাকে যাকে বাহ্যিক পাইলস বলে। এটিতে সাধারণত ব্যাথা হয়। মলদ্বারের মুখে ছোট শক্ত মাংসপিণ্ডের মতো কিছু অনুভূত হয়। কখনো কখনো এটি ফেটে রক্তপাত হতে পারে।

➤➤লক্ষণ
মলদ্বার দিয়ে উজ্জ্বল লাল রঙের রক্তপড়া (মলত্যাগের সময় বা মলত্যাগ ছাড়াও)
পায়ুপথের ফোলা ভাব এবং মিউকাস নিঃসরনের কারণে মলদ্বারের চারপাশের ত্বকে চুলকানি ও জ্বালা পোড়া হতে পারে
মলদ্বারে ব্যাথা ও অস্বস্তি হতে পারে
মলদ্বারের চারপাশে ফোলা ভাব থাকতে পারে
মলদ্বারের কাছে ছোট পিন্ড বা মাংসের চাকার মত লাগতে পারে

➤➤পাইলস নির্ণয়ের পদ্ধতি
পাইলস/হেমোরয়েড সাধারণত শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিনেশন (DRE) এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা মলদ্বারের ভেতরে পর্যবেক্ষণ করে হেমোরয়েডের ধরন নির্ণয় করে থাকেন।

➤➤কী কারণে পাইলস হয়ে থাকে?
মলদ্বারের নিচের অংশে অতিরিক্ত চাপের কারণে রক্তবাহী শিরায় চাপ পড়ে এবং এর ফলে শিরা ফুলে যেতে পারে। পরবর্তিতে মলত্যাগের সময় শিরা ফেটে রক্তপাত হতে পারে। এর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে,

➤মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেয়া
➤দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা
➤বেশি সময় টয়লেটে বসে থাকা
➤আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া
➤পানি কম পান করা
➤অতিরিক্ত ওজন, যা পায়ুপথের আশেপাশের শিরায় চাপ ফেলতে পারে
গর্ভাবস্থা
➤ভারী মালপত্র বহন করা
➤বার্ধক্য
➤দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া

এ সমস্ত কারণে মলদ্বারের শিরার সহন ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর ফলে শিরা প্রসারিত হয় ও শিরার প্রাচীর পাতলা হয়ে যায় এবং মলত্যাগের সময় শিরা ফেটে রক্তপাত হয়।

➤➤চিকিৎসা
১) ঘরোয়া চিকিৎসাঃ ফাইবার জাতীয় খাবার যেমন ফলমূল, শাকসবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে যাতে মল নরম হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, এবং পাইলসের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শিরার উপর চাপ কম পড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও দিনে ২-৩ বার ১০-১৫ মিনিটের জন্য উষ্ণ গরম পানিতে বসলে কিছুটা উপশম হয়।

২) ঔষধের মাধ্যমেঃ হাইড্রোকর্টিসন জাতীয় মলম,ক্রিম বা সাপোজিটরি ব্যবহার করে সাময়িক ভাবে ব্যথা, চুলকানি এবং ফোলা ভাবের উপশম হতে পারে। এছাড়াও মুখে খাবার ঔষধ ব্যবহার করেও কিছুটা আরাম পাওয়া যেতে পারে। তবে এ সবই সাময়িক উপশমের উপায়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।

৩) শল্যচিকিৎসাঃ অপারেশনের মাধ্যমে পাইলস বা অর্শ্বরোগ এর চিকিৎসার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমনঃ

➤➤রাবার ব্যান্ড লাইগেশন- এই পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ পাইলসের গোড়ায় একটি ছোট্ট রাবার ব্যান্ড স্থাপন করা হয়, যার ফলে এতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে যায়।

➤➤স্ক্লেরোথেরাপি- এই পদ্ধতিতে হেমোরয়েডকে সঙ্কুচিত করার জন্য এক প্রকার রাসায়নিক দ্রবণ ইনজেকশন দেয়া হয়।

➤➤লেজার কোয়াগুলেশন- লেজার রশ্মির মাধ্যমে হেমোরয়েড এর টিস্যু পুড়িয়ে দেয়া হয়।

➤➤হেমোরইডেক্টমি- এ পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে সাধারণত বড় হেমোরয়েড টিস্যু অপসারণ করা হয়।

➤➤স্ট্যাপল্ড হেমোরয়েডোপেক্সি বা লঙ্গো (Longo) – এ পদ্ধতিতে একটি বিশেষ স্ট্যাপলিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে হেমোরয়েডের টিস্যু অপসারণ এবং নিচে নেমে আসা টিস্যু কে পুনরায় প্রতিস্থাপন করা যায়।

➤➤পাইলস বা অর্শ্বরোগ এর জটিলতা
এই সমস্যা প্রাণনাশকারি নয় তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে নানান রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে রক্তশূন্যতা ও ইনফেকশন অন্যতম।

পাইলস বা অর্শ্বরোগ বা হেমোরয়েডের সমস্যা খুবই সাধারণ হলেও ব্যথা ও অস্বস্তির জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন, ঘরোয়া প্রতিকার ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ সমস্যা চিরতরে নির্মূল করা যায়। তবে পাইলসের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে কারণ অনেকসময় রক্তপাতের কারণ পাইলস ছাড়াও অন্য গুরুতর রোগও হতে পারে। তাই এসব লক্ষণের কোনটি দেখা দিলে সংকোচ না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Address

Feni

Telephone

+8801816533033

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Feni Pharma posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram