17/12/2024
অ্যাজমা হলো শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, শ্বাসের সময় সাঁই সাঁই শব্দ, বুকে ব্যথা এবং কাশি দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
**গর্ভকালীন অ্যাজমার কারণসমূহ:**
- **হরমোনের পরিবর্তন:** গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্যের কারণে শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে, যা অ্যাজমার লক্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- **রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি:** গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা নাসারন্ধ্রের স্ফীতি ঘটিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
- **পরিবেশগত উদ্দীপক:** ধুলোবালি, ফুলের রেণু, ঠান্ডা আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ এবং সিগারেটের ধোঁয়া অ্যাজমার আক্রমণ বাড়াতে পারে।
**ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা:**
- **ওষুধ সেবন:** গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমার ওষুধ সেবন চালিয়ে যাওয়া উচিত। ইনহেলড কর্টিকোস্টেরয়েড, যেমন বুদেসোনাইড, গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। দ্রুত উপশমের জন্য শর্ট-অ্যাক্টিং ব্রঙ্কোডাইলেটর, যেমন আলবিউটেরল, ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধ পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- **উদ্দীপক এড়ানো:** পরিচিত অ্যাজমার উদ্দীপক, যেমন ধুলোবালি এবং ধোঁয়া, থেকে দূরে থাকুন, যাতে অ্যাজমার আক্রমণের ঝুঁকি কমে।
- **নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:** ফুসফুসের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা পরিকল্পনা সমন্বয়ের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করুন।
- **স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:** সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিরাপদ শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং ধূমপান পরিহার করা গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত অ্যাজমা গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া, কম ওজনের শিশুর জন্ম বা প্রিম্যাচিউর বার্থের মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমেরিকান একাডেমি অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি (AAAAI) এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) এর মতো সংস্থার রিসোর্স দেখতে পারেন।
*দ্রষ্টব্য: ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য সর্বদা স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের পরামর্শ নিন।*