24/09/2022
জ্বরের মৌসুম চলে আসছে৷ আশপাশে তাকালে সবারই জ্বর হতে দেখা যাচ্ছে।
অনেকে জ্বর হলেই এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন। এটা ঠিক না। এটা জ্বরের কোনো ওষুধ না। এটা ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু ধ্বংস করে একটা নির্দিষ্ট ডোজে।
জ্বরের জন্য প্রথমত প্যারাসিটামল গ্রহণ করবেন। জ্বর কমেছে কিনা, আবার কতক্ষণ পর আসছে, কতদিন ধরে জ্বর চলছে, এসব বিষয় বিবেচনায় চিকিৎসক যদি এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেন, তবে শুরু করবেন এবং ডোজ অবশ্যই কমপ্লিট করবেন।
#অর্থাৎ যদি ৭ দিনের জন্য এ্যান্টিবায়োটিক দেয়, ২ দিন খেয়ে #বন্ধ_করা_যাবে_না৷ এতে এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হবার সম্ভাবনা থাকে। মানে আপনি যদি চিকিৎসকের নির্দেষিত ডোজ কমপ্লিট না করেন, আর এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়, তবে পরবর্তীতে সেই ওষুধ আপনার শরীরে আর কাজ করবে না।
#লক্ষ্য_করুন..খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, হ্যাঁ আপনি ১ বা ২ দিনেই সুস্থতা অনুভব করবেন। কিন্তু বাকি দিনগুলো জ্বর না থাকলেও আপনাকে নির্ধারিত ডোজ পূরণ করে এ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যেতে হবে।
একেকটা এ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ একেকরকম হয়, রোগের তীব্রতা ও ধরণ অনুযায়ীও ডোজ একেকরকম হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে কথা বলেই এ্যান্টিবায়োটিক শুরু করবেন।
মনে রাখবেন, আমাদের গাফিলতিতে, সব এ্যান্টিবায়োটিক যদি রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়, তবে এমন দিনও আসছে পারে, সামান্য জ্বর সর্দি কাশিতেই মানুষের মৃত্যু হয়ে যাবে। কারণ কোনো এ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। তাই এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্ক হন, আজ থেকেই....