01/12/2025
করোনায় খালেদার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের আগেরদিন মুক্তি দেয়া হয়। এক বছর তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ছিলেন। পুরো প্রক্রিয়া দেখভাল করে শামিম ইস্কেন্দার ও মির্জা ফখরুল। ডা. জোবাইদা ও ডা. জাহিদের টিম চিকিৎসা করে।
কারাগারে ফাতেমাকে রাখা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি খালেদা। এটি কেবল তার ইচ্ছায় হয়নি। সরকারের সহযোগিতা এটি নিশ্চিত করে। নজিরবিহীনভাবে খালেদার প্রয়োজনকে প্রায়োরিটি দেয়া হয়।
১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন, গ্রেনেড হামলা, ১৩র ফোনালাপ এবং কোকোর মৃত্যুর পর দরজা না খোলায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় খালেদাকে কেন্দ্র করেই ওঠে। এসবে হাসিনা সর্বস্তরে সম্মানপ্রাপ্ত হয়।
তারেকের বিয়েতে উপস্থিত হওয়া, তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুতে খালেদার মুক্তি চাওয়া, সাবজেলে নিজের খাবার খালেদার জন্য পাঠানো, ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে সুধাসদনে গেলে খালেদাকে স্বাগত জানানো- প্রতিটি সাবলীলভাবে করে হাসিনা।
হাসিনা বারবার মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও মর্যাদা নিশ্চিত করার মাধ্যমেও। শুধু তাই না। হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়ার নজিরকে অনুসরণ করেই খালেদাকে রাজনীতিতে আনা হয়।
ফাতেমা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাকে নিয়ে গবেষণা, সাহিত্য, সিনেমা নির্মিত হবে। খালেদাকে পয়জন দেয়ার জবাব দিবে ফাতেমা। জবাব দিবে জোবাইদা ও জাহিদ। শামিম ইস্কেন্দার ও মির্জা ফখরুল।
ব্যক্তি খালেদার দুর্ভোগের দায় তারেকের। মা হিশেবে খালেদারও। শেষ সময়ে সন্তানকে কাছে না পাবার দায়ও তারেকের। চিকিৎসায় গাফিলতি হলে সে দায়ও তারেকের।
BBC বলেছে ২১ তারিখ সেনাকুঞ্জের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেই অসুস্থ বোধ করে খালেদা। তারপরও যায়। সবাই সাক্ষাৎ করে। ইউনূস মিটিং করে। ২ দিন পর তার ফুসফুসে আবার ইনফেকশন দেখা দেয়।
তারেকের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই সেনাকুঞ্জে যেতে হয় তাকে।
সত্য চারাগাছের মতো। ঝড়ে হেলেদুলে কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়ে না। মিথ্যা প্রকাণ্ড বৃক্ষ। কলেবরে বড়। কিন্তু কাটা পড়ে সবার আগে। মূলৎপাটিত হয় সহজেই।