19/06/2025
কোরবানীর ঈদ মজা করে খাচ্ছেন,সকালে বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না বা গিটে পিঠে ব্যাথা,বেশী বেশী প্রশ্রাব হচ্ছে, পিঠে তীব্র ব্যাথা, ক্লান্তি বা দুর্বল লাগছে। শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলনাতো , চলুন জেনে নেয়া যাক-
ইউরিক এসিড আসলে কি? দেহে যখন প্রোটিন বা পিউরিন জাত খাবার ভাংগে তখন একটি উপজাত হিসবে তৈরী হয় ইউরিক এসিড। একে হাউপার ইউরিসোমিয়া বলে।
শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিংবা ইউরিক এসিড শরীর থেকে বের হতে না পারলেই এ সমস্যাগুলিা তৈরী হয়। প্রশ্রাবের মাধ্যমে এটি শরীর থেকে বের হয়।
ইউরিক এসিডের এই সমস্যা এখন ঘড়ে ঘড়ে, গ্যাঁটে ব্যাথা , জয়েন্টের ফোলাভাব, কিডনীতে স্টোনের মতো উপসর্গগুলোই জানান দেয় যে শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। প্রতিটি ফারমাসিউটিক্যালস এরই সাইড ইফেক্ট আছে । শুধুমাত্র সঠিক খাবারই আপনাকে এই কষ্ট দায়ক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রথমেই পর্যাপ্ত পানি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন, আমলকির জুস, দুটি আস্ত লেবু এক গ্লাস পানিতে নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাবেন।
ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পিউরিন এবং অক্সালেট যুক্ত খাবার কম খাবেন বা এর থেকে দুরে থাকুন। রেড মিট, উচ্চ ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ পানীয়, মিষ্টি পানিয়, ক্যান্ডি ডেজার্ট, মাখন,ক্রিম, নারকেল তেল, সরিষার তেল ( বেশী মাত্রায়) খাবেন না। মাছ শরীরের জন্য খুবই উপকারী,তবে সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা ফিসে পিউরিন অনেক বেশী। এছাড়াও Organ meat
বা অঙ্গ মাংসে পিউরিন সবচেয়ে বেশী থাকে। যাদের গাউট আছে তারা কম খাবেন, Mushrooms, green peas, spinach, asparagus, broccoli, sprouts and cauliflower highest amounts of purines থাকে। টমেটো,মুসরডাল ,ঢেরশ খাবারে বিয়োজন করেন,ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য যোগ করুন ।যেমন, কাঠবাদাম,খেজুর চেরি,পেস্তা , কাজুবাদাম ।
পিউরিন কেন ক্ষতি কারক?
এটি এ্যারোমেটিক হেটারোসাইক্লিক জৈব যৌগ। এটি পানিতে দ্রবনীয়। প্রকৃতিতে নাইট্রোজেন সমন্বয়ে প্রাপ্ত হেটারোসাইক্যান্সে এর মাঝে এটি প্রচুর পরিমানে রয়েছে যা ভাংগার পর প্রচুর ইউরিক এসিড তৈরী করে। যেমন যকৃত কিডনী সমিুদ্রিক মাছ ,মগজ, রেড মিট। ডি এন এ এবং আর এন এ গঠন করতে সমান পরিমানে পউিরিন এবং পাইরিমিডিনের প্রয়োজন।
Oxalate ও হলো একটি প্রাকৃতিক যৌগ,যা বিভিন্ন উদ্ভিজ খাদ্যে পাওয়া যায়। এটি মুলত কার্বলিক এসিডের লবন । যা আমাদের শরীরে তৈরী হয় এবং প্রশ্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়।
এ থেকে পরিত্রাণ পেতে যা যা করণীয়, আপনার লাইফ ষ্টাইল পরিবর্তনই আপনাকে এই কঠিন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম আল্লাহর রহমতে ,
• প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি ১০- ১২ গ্লাস পান করুন।
• নিয়মিত ধ্যাণ ও শরীর চর্চা করেুন।
• এখনই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আপনার ভবিস্যৎ হয়ে উঠবে যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথা, যা আপনার জীবনকে দূরবিশহ করে তুলবে।
তাই আসুন এখনই পুষ্টিবিদগনের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে সুস্থ্য সুন্দর আনন্দদায়ক জীবনযাপন করি।
-- রেহানা বেগম , পুষ্টিবিদ