Dr.Salim Ahmed

Dr.Salim Ahmed চর্মরোগ,এলার্জি,চুলকানি,একজিমা,একশিরা,হার্নিয়া,যৌন দুর্বলতা,দ্রুত বীর্যপাত, স্বপ্নদোষ,আঁচিল,চিকিৎসা।

24/04/2025

🍀পালসেটিলা
🍁Pulsatilla pratensis
গুরুপাক খাবার অর্থাৎ তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা হলে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে। গর্ভধারণের কারণে পেট ব্যথা হলেও ইহা প্রযোজ্য।পালসের রোগীরা অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র হয়। এ জন্য শান্ত শ্লিষ্ট নম্র ভদ্র কাউকে দেখলেই আমরা পালস কে মনে করি। কিন্তু পালস ছাড়া আর কোন কোন ঔষধের রোগী শান্ত নম্র ভদ্র?চেম্বারে অনেক রোগী পাবেন -যারা রোগের কথা বর্ননা করতে গিয়ে কাঁদে , তারা সবাই পালসেটিলার রোগী । পালসের রোগী অত্যন্ত কোমল প্রকৃতির, ক্রন্দলশীল, অত্যন্ত অভিমানী, রোগী যেমন চুপচাপ ঠান্ডা থাকতে পছন্দ করেন, তেমনি ঠান্ডা খেতে ও ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে । মুক্তহাওয়া তার বড়ই পছন্দ । যারা খুব চন্ছল ,তারা পালসের রোগী হতে পারেনা এ কথা সবার মনে রাখা দরকার ।

🍁Pulsatilla – পালসেটিলা চিকেনপক্সের আরেকটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস/ ঠান্ডা খাবার/ ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালো কাজ করে। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে থাকলে যে-কোন রোগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে।
রোগী গরম কাতর তবে গোছল পছন্দ করেনা । এ লক্ষন টি সালফারের ও চমৎকার লক্ষন । পালসের রোগীর একপাশে ঘাম, এক পাশে শুষ্ক থাকে । এটি একটি আনকমন লক্ষন তাই মনে রাখা দরকার ।পালসের সমস্ত রোগ ধিরে ধিরে বৃদ্ধি হয় । এ কথাটি মুক্তাসম - যখনি কোন রোগীর রোগ আক্রমণ ধীরে বৃদ্ধি দেখবেন তখন শত শত ঔষধ বাদ দিয়ে অল্প কয়েক টি ঔষধের মধ্যে চলে আসা যায় । রোগ আক্রমণের গতি ধীর ও মৃদু প্রকৃতির প্রথম শ্রেনির ঔষধ হল- ব্রায়েনিয়া , জেলস, কোনিয়াম, ককিউলাস , এলুমিনা, সাইলেসিয়া , এন্টিমটার্ট , আইওডিয়াম, লাইকো ইত্যাদি I খাওয়ার পর লাইকো কাপড় ঢিলা করে দেয় , নতুবা অস্থিরতা শুরু হয়, পালসেটিলা তার বিপরীত । পালসেটিলা কাপড় জোরে কষে বাঁধলে আরাম পান ।

🍁Pulsatilla pratensis – মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে
তরুন রোগের সহিত শীতবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । যতব্যথা ততশীত । ঋতু বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত গেলে পালস কে স্মরন করবেন । পালসের রোগী বামপাশে শুইতে পারেনা, মার্কসলের রোগী ডান পাশে শুইতে পারেনা ।
পালসের রোগী তার বিছানার চাদরের মাঝে উলঙ্গ মানুষের ছবি দেখতে পায় । ঋতু আবদ্ধ হওয়ার পর তার এই মনোলক্ষন্য দেখা দেয় । কখনো কখনো সে দেখে শয়তান তাকে নিতে আসছে, তার মন এই ভাল এই খারাপ,এই হাসে, এই কাঁদে । পালসের রোগী লোভী ও হিংসুক হয়, নাক্স ও লাইকোর রোগী অনেকটাই হিংসুক । মাথার ভিতরে পিছনের দিকে , একপাশে অতি তীব্র যন্তনা অনুভুত হয়।মনে হয় একটা পেরেক সজোরে মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে । এই লক্ষন টা পালসের খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । অনেক রোগী এসে বলে " মাথা ব্যাথার সময় আমার মাথার মধ্যে যেন কেউ পেরেক মারতেছে । এটা শুনলেই পালস কে চিন্তা করবেন । রোগী সাধারনত কানে শুনেনা কিন্তু গাড়ী বা ট্রেনের শব্দে সব কিছু শুনতে পায় এটি পালসের আনকমন লক্ষন । পালসের উদরাময়ের মল একবার এক রকম হয়, কখনো সাদা, কখনো পানির মত, কখনো আম মিশ্রিত । ঘৃত, দুধ, মাখন,ইলিশ মাছ পোলাও খাইয়া পেটে সমস্যা হলে পালস তাদের জন্য ধন্বস্তরী । কেবল গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে । বয়স হওয়া শর্তে ও স্ত্রী যন্ত্রের ঠিকমত উন্নতি না বলে লক্ষন থাকলে পালসেটিলা ভাল ফল দেয় । পালসের লক্ষন না থাকলে হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক ক্যালকেরিয়া ফস কে ভুলবেন না । দাঁতের ব্যথা সাধারনত গরম জ্বলে উপশম , কিন্তু পালসের ঠান্ডা জলে উপশম । ঠান্ডা জলে উপশম অন্যান্য ঔষধ হল ব্রায়োনিয়া , কফিয়া, নেট্টাম সালফ, ও বিসমাথ ।

🍁Pulsatilla – পালসেটিলা ঔষধটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে পারে। ঠান্ডা মেজাজী এবং কথায় কথায় চোখ দিয়ে পানি ঝরে এমন মেয়েদের ওপর এটি বেশী কাজ করে।
ইগ্নেসিয়াতেও সর্বদা বিষণ্ন ও দুঃখিতভাব আছে,কিন্তু পালসেটিলার রোগীণীর মত সান্ত্বনা প্রাপ্তির আশায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া নিজ দুঃখের বিষয় অপরকে জানাইতে চাই না, সে শোকদুঃখ নীরবে সহ্য করে।।ষ্ট্যানাম মোটেও পালসেটিলার মত সামন্য কারণে কান্না করা আছে।ষ্ট্যানাম মেটের রোগী শীর্ণ এবং বক্ষঃস্থলে সাতিশয় দুর্বলতা অনুভব করে।ফুসফুসের অসুখ হইলে ভাবিয়া আকুল হয় এবং নিরাশায় কান্না করে,সে মনে তার মৃত্য হইবে। লাইকোর রোগী ধন্যবাদ দিলে কান্না করে।রোগী পিপাসাহীনতা দেখলে শত ঔষধ ফেলে গুটি কয়েক ঔষধ কে স্মরন করতে হয়। পালস তন্মধ্যে অন্যতম । এই পিপাসাহীনতার সব ঔষধ গুলোকে মনে রাখার জন্য আমি একটা সেন্টেন্স তৈরী করেছি। আপনারাও ইচ্ছে করলে মুখস্ত করে রাখতে পারেন। "পানির পিপাসা না থাকলে ইথু""পাল" কে পাঠিয়ে "জেল"এপি" কিনে "ইপিকে" দিয়ে নাইট্রিক এসিডকে দিও। অত্র লাইনে পিপাসাহীনতা ঔষধ - ইথু= ইথুজা, পাল= পালসেটিলা, জেল= জেলসিমিয়াম , এপি= এপিস,ইপি= ইপিকাক, এবং এসিড নাইট।

🍁Pulsatilla pratensis – যারা অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং নানানভাবে সান্ত্বনা দিলে ভালো থাকে, তাদের টেনশানে পালসেটিলা প্রযোজ্য।
কারন কষ্ট বারে । কপালের উপর হাত রেখে চিত হয়ে শুইতে পছন্দ করে । এ লক্ষন টি লাইকো ও কষ্টিকাম মেডোরিনামেও আছে
যে সব মহিলারা অতিরিক্ত বাচাল তাদের কে ল্যাকেসিস, যারা ঝগডাটে তারা লিডাম, আর শান্তরা পালস। আমাদের একটিভ নারীরা বেশীর ভাগ পালস। তবে আমার মনে হয় এ ভাবে চিন্তা করা ঠিক হচ্ছেনা। আরো কয়েকটি ঔষধের রোগী শান্ত ও বাচাল হয়। আমার মনে বয় পার্সেন্টিজ একটু চেন্জ করতে হবে। পালসেটিলার স্থান এক নম্বরে। এটি স্নেহপরায়ন, কথায় কথায় কেদে ফেলে, খুব সহজেই মোটা হয়ে যায়….এই ধরণের মেয়েদের বেলায় ভালো কাজ করে। মাত্রা হবে নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬ ইত্যাদি) ৫ থেকে ১০ ফোটা করে রোজ তিনবার।বর্তমানে সবকিছুর দাম যেভাবে বেডেছে তাতে প্রকৃত আয় দ্বারা সংসার চালানো কঠিন। তাই অধিকাংশ মানুষ অবৈধ ভাবে উপরি ইনকাম করছে। অথবা অন্যথেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। যা হারাম।
আর হারাম ইনকামের আয়ের টাকা খেলে মানুষের লজ্জা উঠে যাবে। তার প্রমান আদম ও হাওয়া( আ)।সবাই সুস্হ্য থাকবেন, ভাল
থাকবেন শুভকামনা সবসময়।
📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

ভালো মেডিসিন
24/04/2025

ভালো মেডিসিন

Osteo Strong Tablet
(Calcium)

অস্টিওপোরোসিস এবং অস্টিওপেনিয়া, অস্টিওপরোসিস, ডিক্যালসিফিকেশন, বাত এবং অন্যান্য জয়েন্ট ডিজঅর্ডারে সহায়ক।

Cholecystitis ( পিত্তথলীর প্রদাহ)কোলেসিস্টাইটিস হল পিত্তথলির প্রদাহ, সাধারণত পিত্তথলির পাথর সিস্টিক নালীকে ব্লক করার কার...
22/03/2025

Cholecystitis ( পিত্তথলীর প্রদাহ)
কোলেসিস্টাইটিস হল পিত্তথলির প্রদাহ, সাধারণত পিত্তথলির পাথর সিস্টিক নালীকে ব্লক করার কারণে ঘটে। এই অবস্থাটি যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে তবে মহিলাদের, বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের এবং স্থূলত্ব বা দ্রুত ওজন হ্রাসের মতো নির্দিষ্ট ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে এটি বেশি সাধারণ। কোলেসিস্টাইটিস প্রায়ই তীব্র পেটে ব্যথা, জ্বর এবং বমি বমি ভাবের সাথে উপস্থাপন করে।
যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যেমন পিত্তকোষ ফেটে যাওয়া বা সেপসিস, অবিলম্বে চিকিত্সার যত্নকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। চিকিত্সা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা ব্যবস্থাপনা, এবং প্রায়ই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিত্তথলি অপসারণ জড়িত। নিয়মিত চেক-আপ এবং আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্রীনিং প্রাথমিকভাবে পিত্তথলির পাথর শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে এবং সম্ভাব্য কোলেসিস্টাইটিসের বিকাশকে এড়াতে পারে

♦️ কোলেসিস্টাইটিস এর প্রকার:-
কোলেসিস্টাইটিস দুটি প্রধান প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে: তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী।

👉তীব্র কোলেসিস্টাইটিস
তীব্র কোলেসিস্টাইটিস গলব্লাডারের আকস্মিক প্রদাহ। এটি প্রায়শই পিত্তথলি দ্বারা সিস্টিক নালীতে বাধার ফলে হয়। এই বাধার ফলে পিত্ত জমা হতে পারে, যার ফলে প্রদাহ এবং সংক্রমণ হতে পারে। তীব্র কোলেসিস্টাইটিস একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি হতে পারে যার জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন

👉দীর্ঘস্থায়ী কোলেসিস্টাইটিস
দীর্ঘস্থায়ী কোলেসিস্টাইটিস হল গলব্লাডারের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ। এটি সাধারণত তীব্র cholecystitis এর পুনরাবৃত্তি পর্বের ফলে হয়, যা পিত্তথলির প্রাচীর ঘন হয়ে যেতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত দাগ পড়তে পারে। এই ধরনের cholecystitis সময়ের সাথে ধীরে ধীরে বিকাশ করে।

♦️ কোলেসিস্টাইটিস লক্ষন :-
★ উপরের ডানদিকে বা মাঝখানে তীব্র, অবিরাম ব্যথা উদর, যা পিছনে বা ডান কাঁধে বিকিরণ করতে পারে।
★ খাওয়ার পরে ব্যথা তীব্র হয়, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার।

★ উপরের ডানদিকে পেটে কোমলতা বা ফোলাভাব।
★ বমি বমি ভাব এবং বমি বমি ভাব।
★ নিম্ন-গ্রেডের জ্বর এবং সর্দি।
★ ত্বকের হলুদ আভা এবং চোখের সাদা অংশ (জন্ডিস)।
★ ক্ষুধামান্দ্য এবং ওজন হ্রাস ।
★ পেট পূর্ণতা বা ফোলা অনুভূতি।

♦️ কোলেসিস্টাইটিস কারন :-
বিভিন্ন কারণের কারণে কোলেসিস্টাইটিস হতে পারে, যার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল পিত্তথলির পাথর।

★ গাল্স্তন
পিত্তথলি হল পাচক তরলের শক্ত জমা যা গলব্লাডারে তৈরি হতে পারে। তারা সিস্টিক নালী ব্লক করতে পারে, যা প্রদাহ এবং সংক্রমণের দিকে পরিচালিত করে।

★ টিউমার
পিত্তথলিতে টিউমার পিত্ত নালীকে ব্লক করতে পারে, যার ফলে পিত্ত জমা হয় এবং কোলেসিস্টাইটিস হতে পারে।

★ পিত্ত নালীর সমস্যা
পিত্ত নালীগুলির সমস্যা, যেমন দাগ বা সরু হয়ে যাওয়া, পিত্ত প্রবাহকে ব্যাহত করতে পারে এবং প্রদাহ হতে পারে

★ সংক্রমণ
কিছু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ cholecystitis হতে পারে। এই সংক্রমণগুলি অন্ত্র থেকে গলব্লাডারে যেতে পারে।

★ রক্তনালীর সমস্যা
যে অবস্থাগুলি পিত্তথলিতে রক্ত ​​​​প্রবাহকে প্রভাবিত করে সেগুলিও কোলেসিস্টাইটিস হতে পারে। রক্তের প্রবাহ কমে গেলে অঙ্গের প্রদাহ এবং ক্ষতি হতে পারে।

♦️ কোলেসিস্টাইটিস পরিক্ষা :-
★ রক্ত পরীক্ষা।
★ আল্ট্রাসাউন্ড।
★ গলব্লাডার স্ক্যান।
★ পারমাণবিক স্ক্যানিং পরীক্ষা।

✅ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহন করলে আল্লাহর রহমতে সমস্যা সমাধান হয়

16/03/2025

আজ দ্বীর্ঘ ১২ বছর আইনী লড়াই শেষে ( রাষ্ট বনাম মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট)
বি এম ডি সি আইন অনুযায়ী MBBS এবং BDS বাদে কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

বি এম ডি সি ( বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) মূলতো দুই ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেন
১) রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ( MBBS)
২) মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (MATS)
BMDS আইন অনুযায়ী শুধু মাত্র MBBS এবং BDS চিকিৎসকরা নামের পূর্বে ডাক্তার প্রিফেক্স ব্যবহার করতে পারবে।

মেডিকেল এসিস্ট্যান্টগন নামের পূর্বে ডাক্তার প্রিফেক্স ইউজ করতে পারবে না ( BMDC চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০১০)
সেই আইনের পরিপেক্ষিতে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গন একটি রীট করেন যা দ্বীর্ঘ ১২ বছর আজকে খারিজ করে দেওয়া হলো এবং মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গন নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

আইনটি শুধুমাত্র মেডিকেল এবং ডেন্টাল চিকিৎসকদের জন্য প্রযোর্জ্য।
অর্থা কেউ মেডিকেল অথবা দন্ত চিকিৎসক হিসেবে নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে হলে অবশ্যই MBBS অথবা BDS হতে হবে।

এই আইন হোমিওপ্যাথির জন্য প্রযোজ্য না।
হোমিওপ্যাথি স্বায়ত্তশাসিত আইন আছে, যা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন নামে পরিচিত,
এবং BMDC বা বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল এর মত পূর্ন ক্ষমতাবান একটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও শিক্ষা কাউন্সিল রয়েছে।
যেখানে বলা আছে BHMS এবং DHMS ব্যতিত কেউ নামের পূর্ব ডাক্তার লিখে হোমিওপ্যাথি সেবা দিতে পারবে না।

অর্থাৎ কেউ যদি এই দুটো ডিগ্রী ব্যতি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ডাক্তারী করেন বা নামের পূর্বে ডাক্তার লিখেন তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

আজকের রায়টি হবার পর মিডিয়া যেভাবে কাভার করছে, MBBS এবং BDS ব্যতিত কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

উক্ত নিউজে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে।
আসলে নিউজটি এমন হতে পারতো, MBBS এবং BDS বাদে কেউ মেডিকেল এবং দন্ত চিকিৎসক হিসেবে নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না। যেহেতু আইনটি শুধু মাত্র BMDC নিবন্ধিত চিকিৎসকদের।

আমাদের হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল এর উচিৎ একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া যেখানে বলা থাকবে হোমিওপ্যাথি তার স্বতন্ত্র আইনে চলে BMDC র আইনের সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কোন সম্পর্ক নাই।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগন নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিতে পারবেন।

তবে কেউ যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হয়ে মেডিকেল অথবা ডেন্টাল প্রাক্টিস করেন তাহলে সে BMDC আইনে দন্ডিত হবেন।
কপি

14/03/2025

Gallstone (পিত্তপাথুরী)
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, পিত্তথলি হলো লিভার বা যকৃতের নিচে অবস্থিত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গ। এটি হজমে সহায়তা করার জন্য পিত্ত সংরক্ষণ ও নিঃসরণ করে। এই পিত্তথলিতে পিত্ত থাকে যেটি সাধারণত তরলে পূর্ণ থাকে, পানির চেয়ে একটু ঘন থাকে। কোনো কারণে তরল পিত্ত বা পিত্তরস ধীরে ধীরে ঘন হয়ে যেতে পারে, ঘন হয়ে শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং পাথর হয়ে যেতে পারে। তখন সেটিকে গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলির পাথর বলে। স্বাভাবিকভাবে পিত্ত তরল থাকে এই তরল পিত্ত কোনো কারণে যখন জমে শক্ত হয়ে যায় তখন তাকে পিত্ত পাথর বলে।পিত্তে অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা নিজেদের মধ্যে একটি সুষম অবস্থা বা ভারসাম্য বজায় রাখে। এই ভারসাম্য যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায় তখন তরল পিত্ত শক্ত হয়ে পাথর হয়ে যেতে পারে। রাসায়নিক উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন- পিত্তথলিতে যেকোনো ধরনের রোগ হলে, টিউমার, কোনো ধরনের সংক্রমণ। এছাড়া রক্তের রোগ থ্যালাসেমিয়া, হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পিত্তথলিতে পাথর কেনো হয় তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। পিত্তে পাথর যেকোনো বয়সে যে কারোরই হতে পারে।

♦️ Gallstone লক্ষন :-

★ হঠাৎ করে পেটে তীব্র ব্যথা, যা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
★ চোখ ও চামড়া হলুদ বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে জন্ডিস হয়েছে। সাধারণত পিত্তনালির কোনো সমস্যা দেখা দিলেই জন্ডিস হয়ে থাকে।
★ জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
★ উপরের পেটে ব্যথা
★ বমি বমি ভাব এবং বমি
★ মাথা ঘোরা
★ ডায়রিয়া
★ স্ফীত হত্তয়া
★ অতিরিক্ত গ্যাস
★ ডান দিকে পাঁজরের খাঁচার নীচে ব্যথা বা কোমলতা
★ কাঁধের ব্লেডের মধ্যে ব্যথা
★ গাঢ় রঙের প্রস্রাব এবং হালকা রঙের মলত্যাগ।
★ ফ্যাটি মল
★ বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর বদহজম হয়
★ Burping বা belching
★ পূর্ণতা বা খাবার হজম না হওয়ার অনুভূতি
★ কোষ্ঠকাঠিন্য বা ঘন ঘন জোলাপ ব্যবহার
★ চোখের উপর মাথাব্যথা, বিশেষ করে ডানদিকে
★ খাওয়ার পর তেতো তরল উঠে আসে

♦️ Gallstone কারন :-

যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বা যাদের মেদবাহুল্য রয়েছে।

👉নারী ও পুরুষ
👉বয়স ৪০ বা এর বেশি।
👉চর্বিজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে।
👉শাকসবজি কম খেলে।
👉ইস্ট্রোজেনসম্পন্ন ওষুধ খেলে।
👉অতি দ্রুত ওজন হ্রাস করলে।
👉 বিশেষ ধরনের রক্তরোগ হলে।
👉 লিভার বা যকৃতের রোগ হল।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য
13/03/2025

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য

04/03/2025

ডায়াবেটিস রোগ কেন হয়?

কার্বোহাইড্রেট (শ্বেতসার) জাতীয় খাদ্য আমাদের দেহে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ শক্তি যোগান দেয়। এই খাদ্যগুলো খাওয়ার পর আমাদের দেহস্থিত Stomach বা পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে (Small Intestine) হজম শেষে Glucose- এ রূপান্তরিত হয়ে রক্তের সাথে মিশে যায়। এজন্য খাদ্য খাওয়ার আধ ঘন্টাপর দেহ রক্তে Glucose- এর অংশ বৃদ্ধি পায় এবং দুই ঘন্টার মধ্যে রক্তে Glucose এর স্তর সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছায়। খাদ্য গ্রহণের তিন ঘন্টা পর আমাদের দেহ রক্তে Glucose বা শর্করার স্তর স্বাভাবিক লেভেলে আসে।

ডায়াবেটিস রোগ প্রধানত আমাদের Pancreas থেকে শ্রাবিত ইনসুলিনের অভাবের জন্য হয়। ইনসুলিনের
সাহায্য ছাড়া গ্লুকোজের অনুগুলো দেহকোষে ঢুকতে পারে না। কোষে অবস্থিত Mitochondria গ্লুকোজের।
অনুগুলিকে দাহনের মাধ্যমে শক্তিতে রূপান্তর করে। কিন্তু ইনসুলিনের
অভাবে বা স্বল্পতার কারণে গ্লুকোজের কণাগুলো রক্তে ভাসতে থাকে। আমাদের রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক স্তর খালিপেটে ১০০ ml. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ থাকে ৭০-১০০ mg. আর খাদ্য গ্রহণের ২ ঘন্টা পর রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক স্তর হলো ১২০-১৪০ মিলিগ্রাম। এই স্তর পুনরায় ধীরে ধীরে খালি পেটে স্বাভাবিক অবস্থার স্তরে চলে আসে। কোন মানুষের দেহ রক্তে গ্লুকোজের প্রত্যাশিত বা স্বাভাবিক স্তর থেকে বেশী পরিমান শর্করা অনেক দিন যাবৎ চলতে থাকলে তখন তাকে Diabetic Patient হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বেপরোয়া অনাচারী ব্যক্তির বেলায় রক্তে গ্লুকোজের স্তর ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত উঠতে পারে।

বুক জ্বালা,অম্লত্ব,বদহজ এবং পেট ফাপায় কার্যকর।
03/03/2025

বুক জ্বালা,অম্লত্ব,বদহজ এবং পেট ফাপায় কার্যকর।

22/01/2024

🟩হিষ্টিরিয়া (Hysteria)
ইহার বাংলা নাম মূর্ছাবায়ু। সংখ্যায় ইহা পুরুষদিগের অতি অল্প ও স্ত্রীলোকদেরই অধিক হয়। সাধারণতঃ ১৫ হইতে ৩০ বৎসর বয়সের মধ্যেই পীড়া হয়, ৮ হইতে ১৫ বৎসরের মধ্যেও কখন কখন হিষ্টিরিয়া হয়।
🟩হিষ্টিরিয়ার লক্ষণ দুইভাগে বিভক্ত:-
১। কন্ডন্সিভ-ফরম (Convulsive form)
২। নন্-কন্তুন্সিভা-ফরম (Non-convulsive form)
১। কন্ডন্সিভ ফরম্-ইহাতে ফিট বা মূর্ছা (Hysterical fit) হয়। সাংসারিক শোক সপ্তাপ নীরবে সহ্য করা, প্রণয়ে হতাশ, অতিরিক্ত ক্রোধ ইত্যাদিই এই পীড়ার কারণ। ফিট হইবার পূর্ব্বে রোগী কাঁদে, হাসে, গান গায়, নানাবিধ অসম্ভব প্রকারের কথা কয়, দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে, শ্বাসকষ্ট হয়, বুক ধড়ফড় করে, বমি হয়। কোন কোন রোগী বিবেচনা করে বায়ু কিম্বা গোলার মত একটা পদার্থ তলপেট হইতে গলার দিকে ঠেলিয়া উঠিলে শ্বাসবন্ধ করিবার চেষ্টা করিতেছে এই প্রকার লক্ষণকে-গ্লোবাস-হিষ্টেরিকাল (Globus Hysterical) কহে। ইহার পরেই জ্ঞানলোপ ও ফিট আরম্ভ হয়। ফিটের পূর্ব্বে রোগী কোনও একটি নির্দিষ্ট স্থানে যাইয়া শয়ন করে। ফিটের সময় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, হাত-পা ছোড়ে, হাত মুঠা করে, চীৎকার করে, দাঁতী লাগে, পেট ফুলিয়া উঠে, এই প্রকার অবস্থা ২/৩ মিনিট হইতে ২/৩ ঘন্টা পর্য্যন্ত স্থায়ী হয়, পরে ধীরে ধীরে জ্ঞান হয়, ফিট নিবৃত্ত হয়, বর্ণহীন জলের মত প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব ত্যাগ করে। সাধারণতঃ নীচ সম্প্রদায়ের লোকেরা এই প্রকার অবস্থা দর্শন করিয়া রোগিনীকে ভূতে ধরিয়াছে বিবেচনা করিয়া ওঝা আনয়ন করে এবং নাকে হরিদ্রা পোড়া ইত্যাদির উত্তেজক ধূমাদি দিয়া বেচারীকে যৎপরোনাস্তি কষ্ট দেয়।
২। নন্-কন্ডন্সিতে ফরম-ইহাতে খেঁচুনি (convulsion) হয় না। পীড়া সামান্য প্রকারের হইলে-রোগিণী একবার হাসে, একবার কাঁদে, গ্লোবাস্- হিষ্টেরিকাল্ (ইহার লক্ষণ উপরে বলা হইয়াছে) মূর্ছা (fainting) উত্তেজিত ভাব, হর্ষ, বিষন্নভাবাদি, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি কতকগুলি লক্ষণ দৃষ্ট হয়।
🔷কঠিন প্রকারের পীড়ায়- মোহ (Trance); ক্যাটালেন্সি (Catalepsy) ইহার লক্ষণ রোগীর হাত পা বেশ নরম থাকে; কিন্তু যে অবস্থায় রাখা যায় ঠিক সেই অবস্থায় পড়িয়া থাকে; ষ্টেটাস্-হিষ্টেরিকাল (Status Hysterical) ইহাতে রোগী কতিপয় মাস বিছানায় পড়িয়া থাকে, স্মৃতিশক্তির লোপ হয়, সমস্ত ঘটনা ও বস্তুই বিস্মৃত হয়, নিশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং বিকার ভাব- তাহাতে আত্মহত্যার ভাব প্রকাশ ইত্যাদির লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।
🔷উক্ত শ্রেণীর হিষ্টিরিয়ার প্রধান উপসর্গ সমূহ যথা:
পক্ষাঘাত-রোগী কখনও কেবলমাত্র পক্ষাঘাতিক অবস্থা প্রাপ্ত হয়, চলিত বা দাঁড়াইতে পারে না; কিন্তু বিছানায় শুইয়া বেশ পা নাড়াচাড়া করিতে পারে। কখনও দাঁড়ায়াল্লিজিয়া হয়, কোমর হইতে নীচের অংশের ক্ষমতার হ্রাস হয়; কখনও প্যামারজিয়া অর্দ্ধাঙ্গের পক্ষাঘাত, বেশীর ভাগ বামাঙ্গ আক্রান্ত হয়; গলনালীর হেমিপ্লিজিয়া গিলিতে পারে না; স্বরযন্ত্রের পক্ষাঘাত এথালার স্বর বন্ধ হয়, অস্ত্রের পক্ষাঘাত-স্বাভাবিক বায়ু বা মল নিঃসরণ হয় না; মূত্রথলীর পক্ষাঘাত-প্রস্রাব বন্ধ হয়।
🔷 হিষ্টেরিক্যাল-কনট্র্যাক্চারস (Hysterical Contractures)-ইহার লক্ষণ পেশীর সঙ্কোচ হয়, রোগীর হাত পা আঙুল বাঁকিয়া যায়, খোঁড়া হয়, কখনও কখনও ঘাড়, গলা, কাঁধ, মাঢ়ী ও জিহ্বা আক্রান্ত হয়। পেশীর উক্ত প্রকার সঙ্কোচভাব শীঘ্র দূর করা যায় না, ইহা কোনও ফিটের শেষে আরম্ভ হয় ও পরবর্তী ফিট পর্য্যন্ত স্থায়ী হয়, দ্বিতীয়বার ফিট হইলেই রোগী পরিত্রাণ পায়।
🔷ফ্যান্টম-ট্রিমার্ক্স (Phantom-tremors)-হিষ্টিরিয়াগ্রস্তা অনেক স্ত্রীলোকের ঋতু বন্ধ হইবার বয়সে কিম্বা ঋতুবন্ধ হইবার পর ঠিক গর্ভের লক্ষণসমূহ প্রকাশিত হয় তলপেট উঁচু হয়, স্তনে দুগ্ধ সঞ্চার হয় এবং গর্ভের অন্যান্য প্রায় সমস্ত লক্ষণ দৃষ্ট হয়, সমস্ত লক্ষণ দৃষ্ট হয়, এই প্রকার অবস্থায় প্রায় ১০০ বৎসরেরও অধিক সময় কাটিয়া যায়। কিন্তু সন্তান প্রসব হয় না। চিকিৎসক বা ধাত্রী পরীক্ষা করিয়া ভ্রূণের কোনও চিহ্ন পায় না। ডায়েফ্রাম ও উদরপেশীর সঙ্কোচ (কন্ট্রাক্সন) হওয়াই উক্ত প্রকার লক্ষণ প্রকাশিত হইবার কারণ, উহা প্রকৃত গর্ভ সঞ্চার নহে।
🔷হিষ্টেরিক্যাল্-ট্রিমার্ক্স (Hysterical tremors)-ইহার লক্ষণ-হাত কাঁপে; ক্বচিৎ মাথা, পা আক্রান্ত হয়। ইহা কখনও একা-কখনও প্যারালিসিস কিম্বা কনট্রাকচার্সের সঙ্গে দৃষ্ট হয়।
🔷হিষ্টেরিক্যাল্-য়‍্যানিস্থিসিয়া (Anaesthesia)-ইহার লক্ষণ শরীরের প্রায় সকল স্থানের কিম্বা কোনও অংশের চৰ্ম্মে ছুঁচ বিদ্ধ করিলেও রোগী কোনও প্রকার যন্ত্রণা অনুভব করে না। সাধারণতঃ শরীরের এক দিকের অঙ্গেই উক্ত প্রকার লক্ষণ অধিক দৃষ্ট হয়।
🔷হিস্টেরিক্যাল্-হাইপারিস্থিসিয়া (Hyperaesthesia)- ইহার লক্ষণ কখনও শরীরের কোনও এক অংশে; কখনও নানাস্থানে ভয়ঙ্কর বেদনা ও স্পর্শকাতরতা। মাথায়, ঘাড়ে, স্ত্রী-জননেন্দ্রিয়ে এবং বুক, পিঠ, হাত-পা, গাঁট প্রভৃতি স্থানে শূল-বেদনার মত, প্রাদাহিক বেদনার মত, ক্ষতের মত, পেরিটোনাইটীস, এপেন্ডিসাইটাস, গ্যাষ্ট্রাইটীসের মত ইত্যাদি নানা প্রকারে বেদনার মত বেদনা হয়।
🔷এপিলেপ্টি-ফরম্- হিষ্টিরিয়া। উহাতে অনেকটা এপিলেপ্সির মত কন্ডল্সন হয়, কেবলমাত্র ফিট অনেকক্ষণ স্থায়ী হওয়ায় ও ঘন ঘন আক্রমণ করায় হিষ্টিরিয়ায় সহিত প্রভেদ বুঝিতে পারা যায়। ডাঃ চার্লট এই পীড়াটির বিষয় প্রথম বর্ণনা করিয়াছিলেন।
🟩উপরোক্ত উপসর্গগুলি ভিন্ন-শ্বাসকষ্ট-শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়ানি, বুকে এনজাইনা- পেক্টোরিসের মত বেদনা; ঋতুর রক্ত নাক মুখ দিয়া নির্গমন (Vicarious menstruation) পেটে বায়ু জমা ও পেটফোলা, পাকাশয় শূল-বেদনা (Gastralgia) বমি, কোষ্ঠবদ্ধ, হিক্কা প্রভৃতি অনেক প্রকার উপসর্গ উক্ত নন- কন্ডলসিত ফরমে দৃষ্ট হয়।

🟩হিস্টিরিয়া পীড়া উৎপত্তির কারণ।
এই রোগের বেশ কিছু কারণ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউরো হরমোন ও মানসিক দ্বন্দ্বের কারণের পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি কারণ আছে হিস্টিরিয়া রোগের পেছনে। সেগুলো হলোঃ
১। মানসিক চিন্তা, শোক, দুঃখ, গুপ্তপাপ অন্তরে চাপিয়া রাখা, ভয়, প্রেমে নিরাশ, প্রেমে হিংসা প্রভৃতি।
২। অনিয়মিত ঋতু, ঋতুবন্ধ, বন্ধ্যাদোষ।
৩। বহুদিন যাবৎ রতিক্রিয়ার অভাব (কৌমার্য্য ব্রত অবলম্বন)।
৪। জরায়ু ও ডিম্বকোষের কোনও প্রকার পীড়া।
৫। যৌবনকাল উত্তীর্ণ হইয়া বিবাহ।
৬। তরুণ দুর্ব্বলকর কঠিন পীড়া ভোগকালীন আঘাত ইত্যাদি।

🟩চিকিৎসা ও পথ্য
হিষ্টিরিয়া রোগীর মানসিক অবস্থায় অত্যন্ত গোলযোগ থাকে, তজ্জন্য তাহাকে কটুবাক্য প্রয়োগ বা যাহাতে মনে কষ্ট পায় এরূপ ব্যবহার করা উচিত নহে। চা, কফি প্রভৃতি উত্তেজক দ্রব্য এবং সুরা আফিম প্রভৃতি কোনও প্রকার মাদকদ্রব্য ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এই পীড়ায় রোগীর প্রায় কোষ্ঠবদ্ধ থাকে; এবং কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকিলে রোগী অনেকটা ভাল থাকিতে পারে, তজ্জন্য মৃদু বিরেচক দ্রব্য প্রয়োগ করিয়া কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখিলে অনেকটা পরিমাণে পীড়ার উপশম থাকিবে। অধিকাংশ স্ত্রীলোকের এই পীড়া-অতিরজঃ, স্বল্পরজঃ অর্থাৎ নানাবিধ ঋতুদোষের নিমিত্ত হয়, তজ্জন্য যাহাতে ঋতু স্বাভাবিক হয় লক্ষণ অনুযায়ী সেইরূপ ঔষধের ব্যবস্থা এবং শ্বেতপ্রদর থাকিলে যোনি ধৌত করা প্রয়োজন।
🔷ফিটের সময়-রোগিনীর-রোগিনীর গায়ের জামা-অন্ততঃ গলা ও বুকের বোতামগুলি খুলিয়া দেওয়া আবশ্যক, কোমরের কাপড়ও ঢিলা করিয়া দেওয়া প্রয়োজন। রোগিনীর চোখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিলে অনেক সময় ফিটের উপকার হয়। ফিটের সময় রোগিণীকে একেলা রাখা ভাল, নিতান্ত প্রয়োজন হইলে একমাত্র শুশ্রষাকারী তাহার নিকট নিস্তব্ধভাবে থাকিবে ও অঙ্গরক্ষা করিবে। দাঁতী লাগিলে উহা খুলিবার চেষ্টা না করাই ভাল, তবে নিতান্ত প্রয়োজন হইলে ১০/১৫/২০ সেকেণ্ডের জন্য নাক মুখ টিপিয়া ধরিলে নিশ্বাস বন্ধ হইবে, তাহাতে দাঁতী আপনা হইতে খুলিয়া যাইবে এবং তৎসঙ্গে ফিটও বন্ধ হইতে পারে। ফিট অনেকক্ষণ স্থায়ী হইলে দুই কিম্বা একদিনের কুঁচকীর উপর ডিম্বকোষের স্থানে অর্থাৎ
ইলিয়্যাক-ফসার উপর হাত মুঠা করিয়া ২/৪ মিনিটকাল চাপিয়া রাখিলে ফিট শীদ্র বন্ধ হওয়া সম্ভব। এমিল-নাইট্রেট-০, ৫/৭ ফোঁটা রুমালে ঢালিয়া রোগীর নাকের গোড়ায় ধরিলে ফিটের প্রকোপ কমিতে পারে। লাইকার-এমোনিয়া, খেলিং সল্ট কিম্বা সমপরিমাণে চুণ ও নিশাদল একটি শিশির মধ্যে পুরিয়া উত্তমরূপে নাড়িয়া সেই শিশির মুখ রোগীর নাকের নিকট ধরিলেও শীঘ্র উপকার হয়, তবে ইয়া অধিকক্ষণ ব্যবহার করিবেন না, ইরিটেসন হইয়া হার্টের ও ব্রেণের অপকার হইবে। ২/৩টি রীটা ফল (যাহাতে পশমী বস্ত্রাদি কাচে) একট গরম জলে ঘসিয়া ফেণা বাহির হইলে সেই জলে একটু ন্যাকড়া ভিজাইয়া নাকের নিকট ধরিলেও ফিট ছাড়িয়া যায়।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধে বিশেষ সুবিধা না হইলে-হিষ্টেরিক্যাল কনট্র্যাক্চারস (পেশী শক্ত হইয়া হাত পা আঙুল বাঁকিয়া যাওয়া) ও ফ্যান্টম ট্রিমারস (কৃত্রিম গর্ভের লক্ষণ) এই দুইটি উপসর্গে বা লক্ষণে কেবলমাত্র ক্লোরোফরম্ শোঁকাইলে অতি শীঘ্র উপকার পাইবেন। হিষ্টেরিক্যাল- প্যারালিসিসেও অনেক সময়-ক্লোরোফরম্ আঘ্রাণে উপকার হয়, ঠাণ্ডা স্থানে বাস, ঠাণ্ডা জলে স্নান, পাকা ফল, পেঁপে, বেল, ঘোল, কচি ডাবের জল পান, শাক-শজী এই পীড়ায় উপকারী। গরম মশলাযুক্ত দ্রব্য ও বায়ুবর্দ্ধক আহার একেবারে নিষিদ্ধ। পুরাতন তেঁতুল (১২ বৎসরের উর্দ্ধে) এক ভরি, দেড় পোয়া গরম জলে রাত্রিতে ভিজাইয়া রাখিয়া প্রাতে চট্‌কাইয়া একটু চিনি ও লবণসহ পান করিলে প্রত্যহ পেটে বায়ু জমা দূর ও কোষ্ঠ পরিষ্কার হইবে।
🔷এ রোগে হোমিওপ্যাথিক ভালো চিকিৎসা আছে তবে একজন ভালো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, সিঙ্গেল মেডিসিন ব্যবহার করতে হবে এখানে কিছু মেডিসিনের নাম উল্লেখ করা আছে এছাড়াও সিন্ট্রম অনুযায়ী বিভিন্ন মেডিসিন আসতে পারে।
Aconite nap
Asafetida
Aurum met
Calca carb
Chamomilla
Lachesis
Lillium tig
Ignetia
Acid nit
Nux vom
কপিঃ এন সি ঘোস
ডাঃ সেলিম আহমেদ
ডিএইচএমএস ঢাকা

Address

Fulbaria

Telephone

+8801681909195

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Salim Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category