Dr K.M. Nazmul Ahsan Asif

Dr K.M. Nazmul Ahsan Asif Clarifying misinformations and stigmas about medical issues and inspire a healthy lifestyle.

Doctor | Government of the People's Republic of Bangladesh (Health) | MBBS, Dhaka Medical College & Hospital |

Creating communal awareness in regards of health.

26/08/2023

Osteoporosis বা হাড়ক্ষয় একটি নীরব ঘাতক রোগ।
৫০ বছরের পরে অধিকাংশ মানুষের (বিশেষত মহিলাদের) হাড়ের স্বাস্থ্য হ্রাস পেতে থাকে
৬০-৬৫ বছরের পর এটি তীব্র আকার ধারণ করে।

মেডিকেলের পরিভাষায় মৃদু হাড়ক্ষয়কে Osteopenia এবং মাঝারি ও তীব্র হাড়ক্ষয়কে Osteoporosis বলা হয়। (According to T score & Z Score at BMD).

হাড়ক্ষয়ের সবচেয়ে খারাপ এবং কমন জটিলতা হচ্ছে Fragility Fracture /Pathological Fracture.

অর্থাৎ সামান্য আঘাতে যেখানে স্বাভাবিক মানুষের Fracture হবার কথা নয় সেখানে Osteopenia/Osteoporosis এর রোগীদের Fractured হয়ে যায়।

সাধারণত Old age এ ফ্রাকচার হলে সেটা ম্যানেজ করা খুব জটিল।(General Anaesthetic দিয়ে অপারেশন করতে গেলে Anaesthetic complications তৈরি হতে পারে,ফলে রোগী ওটির টেবিলেই কলাপ্স করতে পারে!)

Osteoporosis সাধারণ ২ প্রকার -
-Primary Osteoporosis ( হরমোনাল পরিবর্তন ও Aging এর কারণে)
-Secondary Osteoporosis (কোন রোগের কারণে হাড়ক্ষয় হলে)

গবেষণায় দেখা গেছে সারা পৃথিবীতে ৫০ বছরের উপর প্রতি ৩ জন মহিলার একজন Osteoporotic Fracture এ আক্রান্ত হয়। যেটা খুবই এলার্মিং একটা পরিসংখ্যান!

হাড়ক্ষয় হলেই আমরা দোকান থেকে ক্যালসিয়াম ভিটামিন কিনে খেতে শুরু করি,বা অনেক চিকিৎসকও হাড়ক্ষয়ের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান না করে এসব প্রেসক্রাইব করে থাকেন যেটা অনুচিত।

হাড়ক্ষয়ের বা Osteopenia/Osteoporosis এর চিকিৎসাকে মোটা দাগে কয়েকটা পয়েন্টে সামারাইজ করা যায়-

★Lifestyle modifications : আমরা শুধুমাত্র সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি খেলে হবেনা দৈনন্দিন ডায়েটের মধ্যে ক্যালসিয়াম,প্রোটিন, ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে(দুধ,ডিম,দই,বাদাম ইত্যাদি)
প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টার রোদে কিছুক্ষণ বসতে হবে(১৫-২০ মিনিট)

যাদের হাড়ক্ষয় আছে এবং Fracture হবার ঝুঁকি আছে তাদেরকে অবশ্যই "Anti-Fall strategy" শিখিয়ে দিতে হবে।
যেমন-
- বাথরুম বা ঘরের মেঝে পিচ্ছিল রাখা যাবেনা।
- বাথরুমে "Grabbing bar" লাগিয়ে দিতে হবে যাতে বয়স্ক মানুষ সহজেই সেটার সাপোর্ট ব্যবহার করে বাথরুমে যাওয়া আসা করতে পারে(খুবই গুরুত্বপূর্ণ)
- যেসব যানবাহনে ঝাঁকি বেশি সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
- ঘুমের ওষুধ বা যেসব ওষুধ খেলে ঘুম ভাব হয় সেগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে(বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে)। কারণ এই ঘুমভাবের জন্য ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে গিয়ে Fracture হতে পারে।
- Muscle strengthening exercise / Yoga করে মাসলকে একটিভ রাখতে হবে।
Muscle power কমে গেলে সেটা হাড়কে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে পারেনা।

★Pharmocological Management : এক্ষেত্রে রোগের কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
সবচেয়ে ভালো হয় একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে Osteoporosis /Osteopenia এর কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া এবং উপরের পরামর্শগুলো মেনে চলা।

বি:দ্র: শুধুমাত্র Osteoporosis হলেই যে Fracture হবে সেটা নয়,Osteopenia (মৃদু হাড়ক্ষয়েও Fracture এর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে)

হাড়ক্ষয়ের মাত্রা bone mineral density (BMD) test দ্বারা পরিমাপ করা যায়।
এছাড়া আপনার চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে FRAX scoring system ব্যবহার করে হাড়ক্ষয়ের কারণে Fracture এর সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেব করে বের করতে পারেন।





© Dr. K M Nazmul Ahsan

সারা পৃথিবীতে গলায় কোন কিছু আটকে গিয়ে (Chocking) প্রতি বছর  প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়।এর মধ্যে  ৮০% ই শিশু!গলায় খাবা...
04/04/2023

সারা পৃথিবীতে গলায় কোন কিছু আটকে গিয়ে (Chocking) প্রতি বছর প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়।এর মধ্যে ৮০% ই শিশু!

গলায় খাবার বা অন্য কোন শক্ত জিনিস আটকে শ্বাসপ্রশ্বাস বা কথা বন্ধ হয়ে গেলে কি করবেন?

- Heimlich maneuver প্রয়োগ করবেন।

Who invented the Heimlich maneuver?

- Dr. Henry Heimlich invented the Heimlich maneuver in 1974. Dr. Heimlich discovered the remaining air in a person’s lungs could be used to free (dislodge) a foreign object from their esophagus using quick, upward thrusts under their ribcag

Heimlich maneuver এর পদ্ধতি :

- প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যার গলায় খাবার আটকে গেছে সে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে,কাশি দিতে বা কথা বলতে পারছে কিনা?

যদি না পারে তাহলে আপনি দ্রুত তার উপর Heimlich maneuver প্রয়োগ করবেন।

এটা মূলত এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে Intrathoracic pressure বাড়িয়ে দেয়া হয়।ফলে শ্বাসনালীতে আটকে থাকা খাবার বেরিয়ে আসে।

পদ্ধতি -

- দুই হাতের আঙ্গুলগুলো ইন্টারলক করে মুঠো তৈরি করতে হবে।এরপর এই মুঠো নাভীর উপর দিকে এবং বক্ষপাজরের নিচের মার্জিনে (Epigastric area of abdomen) এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বুড়ো আঙ্গুলের দিকটা উপরের দিকে থাকে।

এরপর জোরে জোরে উপরের দিকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতিবারে ৫ টি করে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। খাবার বের না হয়ে আসা পর্যন্ত চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।

★কোন ক্ষেত্রে Heimlich maneuver প্রয়োগ করা যাবেনা?

--কথা বলতে, কাশি দিতে বা স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারলে।
- অজ্ঞান হয়ে গেলে।
-নবজাতকদের ক্ষেত্রে: ১ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে - (তাদের ক্ষেত্রে backslap /back blow পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে)

★গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে কিনা?

-যাবে। তবে সেক্ষেত্রে Epigastric region এ চাপ না দিয়ে বুকের মাঝ বরাবর (স্টার্নাল এরিয়াতে) চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

★যদি আশে পাশে কেউ না থাকে তবে নিজে নিজে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে কি?

-যাবে।

বি:দ্র: YouTube এ এই পদ্ধতির উপর অনেক ভিডিও আছে। কারো আগ্রহ থাকলে দেখে নিতে পারেন।

Remember, this is a life saving procedure.

★গলায় খাবার বা অন্য কিছু আটকে যেকারো মৃত্যু হতে পারে।

*নিচে এমন একটি সাম্প্রতিক ঘটনার রেফারেন্স দেয়া হলো-

https://www.somoynews.tv/news/2023-04-03/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81

Case discussion :মি. করিম (ছদ্মনাম) , বয়স - ৪৫ কিছুদিন ধরে বুকের ডানপাশে পাঁজরের নিচের দিকে ব্যথা অনুভব করছেন।এর সাথে জ্...
20/02/2023

Case discussion :

মি. করিম (ছদ্মনাম) , বয়স - ৪৫ কিছুদিন ধরে বুকের ডানপাশে পাঁজরের নিচের দিকে ব্যথা অনুভব করছেন।
এর সাথে জ্বর আসে এবং একটু বমি বমি ভাব হয়।

চিকিৎসকের কাছে যাবার পর অন্যান্য পরীক্ষার সাথে Ultrasonogram of whole abdomen পরীক্ষাটি করানো হয়।

আল্ট্রাসনো রিপোর্টে পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়ে। (Acute Cholelithiasis)

চিকিৎসক উনাকে অপারেশন করানোর জন্য পরামর্শ দেন।কিন্তু মি. করিম অপারেশন না করিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।চিকিৎসকের কাছে অপারেশন এর পরিবর্তে ওষুধ লিখে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেন।

এন্টিবায়োটিক কোর্স কমপ্লিট করার পর ব্যথা কমে গেলো।এরপর বেশ কয়েক বছর কোন সমস্যা ছাড়াই কাটিয়ে দিলেন।
এরপর হঠাৎ তার সারা শরীরে মারাত্মক চুলকানি দেখা দিলো।কোন ওষুধ খেয়েও কমছে না।চোখটাও হলদে মনে হচ্ছে।

চিকিৎসকের কাছে গেলে তার ডিটেইল হিস্ট্রি শুনে আর এক্সামিন করে তাকে CT abdomen এবং MRCP( magnetic resonance cholangiopancreatography) পরীক্ষা দুটো করতে দেয়া হলো।

MRCP রিপোর্টে দেখা গেলো তার Common bile duct obstruction হয়েছে। (CBD obstruction by gall stone)

Common bile duct লিভারে তৈরি হওয়া পিত্তরস (Bile) ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌছাতে সহায়তা করে।সুতরাং Common bile duct এ obstruction হলে পিত্তরস Liver থেকে ক্ষুদ্রান্ত্রে যেতে পারেনা।
পিত্তরসে(Bile) থাকে Bile salt,Bilirubin & cholesterol থাকে।তাই Common bile duct (CBD) obstruction হলে যকৃতে(Liver) bilirubin এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যা রক্তের মাধ্যমে চামড়ার নিচে জমা হয়ে চুলকানি তৈরি করে।

এ অবস্থাকে বলে - Choledocholithiasis with Obstructive jaundice.

Choledocholithiasis মানে হচ্ছে পিত্তথলির পাথর Common bile duct এ এসে আটকে যাওয়া।যার কারণে Obstructive jaundice তৈরি হয়।

এতো কথা বলার উদ্দেশ্য হলো অনেকেই পিত্তথলিতে পাথর হলে সেটা অপারেশন না করিয়ে বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এর পরিণতিতে Choledocholithiasis with Obstructive jaundice এর মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।যেটা থেকে CBD তে infection হতে পারে যাকে বলে Cholangitis.

cholangitis অথবা Choledocholithiasis থেকে septicemia (রক্তে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়া) এর মতো মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে!

অনেকেই ভাবতে পারেন ভাত ও রুটি দুটোই মূলত  carbohydrate বা শর্করা। তাহলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হিসেবে (ডায়াবেটিক, নন-ডায়াব...
28/01/2023

অনেকেই ভাবতে পারেন ভাত ও রুটি দুটোই মূলত carbohydrate বা শর্করা। তাহলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হিসেবে (ডায়াবেটিক, নন-ডায়াবেটিক উভয়ের জন্য) শর্করার মধ্যে রুটিকে কেনো প্রেফার করা হয়?

এর উত্তর খুবই সহজ।রুটিতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খুব ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে।

অপরদিকে ভাত (White rice) হলো Simple carbohydrate যা দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

মজার ব্যাপার হলো রুটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হলেও সাদা পাউরুটি (White bread) এবং নান রুটি কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়।

তবে Brown bread এবং Brown rice উভয়েই Complex Carbohydrate হওয়ায় এরা স্বাস্থ্যকর খাবার, কিন্তু দামী খাবার হওয়ার এগুলো সহজলভ্য নয়।

PPI (Proton pump inhibitor) may increase the risk of osteoporosis and fracture) :বর্তমানে অনেকেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ...
20/10/2022

PPI (Proton pump inhibitor) may increase the risk of osteoporosis and fracture) :

বর্তমানে অনেকেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট Abdominal discomfort থেকে নিস্তার পেতে মুড়ি-মুড়কির মতো PPI(গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকেন)।অনেকেই বছরের পর বছর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ সেবন করে থাকেন।
দীর্ঘমেয়াদি PPI এর নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো হাড়-ক্ষয়(Osteoporosis).
দীর্ঘদিন PPI খেলে অতিরিক্ত Gastrin production এবং HCL এর স্বল্পতার কারণে Bone remodeling এবং mineral absorption বিঘ্নিত হতে পারে।
যার পরিণতিতে হাড়-ক্ষয় (Osteoporosis) হতে পারে।
সাধারণত ৪০ বছরের পর মহিলাদের এমনিতেই হাড়-ক্ষয়ের প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পায়।তার সাথে দীর্ঘদিন PPI খেলে Fracture (Specially Hip fracture) এর প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

সুতরাং গ্যাসের সমস্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদি PPI সেবন না করে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন আনুন এবং নিচের কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন -
১)তেলে ভাঁজা খাবার পরিহার করার চেষ্টা করুন।
২)বেকারি আইটেম(কেক,বিস্কুট, পেস্ট্রি,ডোনাট ইত্যাদি) কম খাবেন।
৩)খাবার সাথে সাথে অধিক পরিমাণ পানি পান করবেন না।২০-২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে তারপর পানি পান করুন।
৪)পেট ভরে খাবেন না।
তারচেয়ে অল্প পরিমাণে কয়েকবারে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫)তাঁজা শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খাবেন।
৬)দীর্ঘসময় ধরে ফ্রোজেন খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6540255/ #:~:text=The%20use%20of%20PPI%20increased,not%20wrist%20and%20humerus%20fracture.

The number of patients with gastroesophageal problems taking proton pump inhibitors (PPIs) is increasing. Several studies suggested a possible association between PPIs and fracture risk, especially hip fractures, but the relationship remains contentious. ...

বর্তমানে ঘরে ঘরে জ্বরের তীব্র আক্রমনে সবাই ক্লান্ত,বিপর্যস্ত। জ্বর আসলে সবাই প্রথমে যেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে তা হলো তাপমা...
13/07/2022

বর্তমানে ঘরে ঘরে জ্বরের তীব্র আক্রমনে সবাই ক্লান্ত,বিপর্যস্ত।

জ্বর আসলে সবাই প্রথমে যেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে তা হলো তাপমাত্রা নিয়ে।
দ্রুত দেহের তাপমাত্রা না কমলে অনেকেই অস্থির হয়ে যায়।
অথচ বিভিন্ন ভাইরাল ফিভার এবং কিছু ব্যাকটেরিয়াল ফিভারে প্রথম ৩-৪ দিন টানা তীব্র জ্বর থাকতে পারে(প্যারাসিটামল খাওয়ার পরও).
Enteric fever (Typhoid /Paratyphoid fever) এ টানা ৭ দিন বা তার বেশিও তীব্র জ্বর থাকতে পারে এন্টিবায়োটিক এবং প্যারাসিটামল গ্রহণ করা সত্বেও।

জ্বরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মারাত্মক কমপ্লিকেশন হলো Dehydration বা পানিশূন্যতা যা আমরা প্রায়ই ওভারলুক করে যাই।
তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের মাধ্যমে শরীরের পানি বাষ্পীভূত হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়।
৭০ কেজি ওজনের একজন মানুষের দেহের ৪০-৪২ কেজিই পানি।সুতরাং দেহে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পানি সে তাপ শোষণ করে বাষ্পীভূত হতে শুরু করে(পানির আপেক্ষিক সুপ্ততাপ বেশি)।যার পরিণতিতে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়।

পানিশূন্যতার কিছু সাধারণ লক্ষ্মণ রয়েছে -
☞জিহ্বা,ঠোঁট, চোখ শুকিয়ে যাওয়া।
☞ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া।
☞গাঢ় হলুদ বর্ণের প্রস্রাব হওয়া।
☞মাথা ঘোরানো বা মাথা হাল্কা লাগা।
☞মাথা ব্যথা (Dehydration headache).
☞দিনে ৪ বারের কম প্রস্রাব হওয়া......ইত্যাদি।

পানিশূন্যতার কারণে দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।এর ফলে শরীরে পানি ও লবনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং রক্তের P^H এর তারতম্য হতে পারে(রক্তের P^H সামান্য এদিক সেদিক হলে সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে).

পানিশূন্যতা রোধে করণীয় -
☞পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ (পানি,খাবার স্যালাইন,স্যুপ ইত্যাদি)।
☞শরীর ঘন ঘন স্পঞ্জ করে দেয়া বা গোসল করে ফেলা।
☞বিশ্রামে থাকা।
☞সম্ভব হলে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা(থার্মোমিটারে মেপে লিখে রাখা)....ইত্যাদি।

যাদের ক্ষেত্রে পানিশূন্যতা বেশি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে-

নবজাতক,শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি থাকে।

কোন কোন ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক -
☞ জ্ঞানের মাত্রা কমে গেলে(কথা জড়িয়ে যাওয়া বা ঠিকমতো প্রশ্ন বুঝতে না পারা ইত্যাদি)
☞জ্বরের সাথে প্রচুর বমি হলে(এক্ষেত্রে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক কমে যেতে পারে)
☞১২ ঘন্টার বেশি প্রশ্রাব না করলে।
☞শিশুদের ক্ষেত্রে নিস্তেজ হয়ে পড়লে,চোখ, মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে।
☞ব্লাড প্রেশার সিস্টোলিক ৯০ এর নিচে এবং ডায়াস্টোলিক ৬০ এর নিচে নেমে গেলে......ইত্যাদি।

সুতরাং জ্বর,পাতলা পায়খানা বা বমির কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা থেকে সতর্ক থাকুন।

✔পানিশূন্যতা রোধে "ORS(Oral rehydration solution)" /"খাবার স্যালাইন" চমৎকার একটি কার্যকর হাতিয়ার।

03/07/2022

দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সংরক্ষন করে কিভাবে হাসপাতালে আনবেনঃ
কোরবানির ঈদে অনেক অপেশাদার সাধারন মানুষ পশুর মাংস প্রস্তুতে নিযুক্ত হন।কাটাকাটির অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন।বিশেষ করে ভারি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সজোড়ে হাড় কাটার সময় কারো পুরো আঙ্গুল হয়ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।কোরবানির ঈদে এই ঘটনা বিরল নয়।প্রতি বছর ই বড় ঈদে দেশের প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে এমন অনেক কেস আসে।কিন্তু সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় এবং সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে না আনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাংখিত ফলাফল দেয়া সম্ভব হয় না।
শুধু কোরবানির কাটাকাটি ছাড়া ও মারামারি বা রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্টে ও কারো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বিচ্ছিন্ন অঙ্গ কেউ পুণঃসংযোজন করতে চাইলে আসতে হবে মাইক্রোসার্জারিতে পারদর্শী একজন প্লাস্টিক সার্জনের কাছে।আমরা সাধারন মানুষ বিচ্ছিন্ন অঙ্গের সংরক্ষন পদ্ধতি জানিনা এবং কত সময়ের মধ্যে আসতে হবে তাও জানিনা।
বিচ্ছিন অঙ্গটি (আঙ্গুল,হাত বা পা) প্রথমেই নরমাল স্যালাইন দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।নরমাল স্যালাইন পাওয়া না গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব দ্রুত পরিষ্কার করে নিলেও চলবে।তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।শুকনো অঙ্গটি একটি পরিষ্কার পলিথিনে ভরে পলিথিনের মুখ ভালভাবে আটকে নিতে হবে।অতপর একটি আইস বক্সে বরফ দিয়ে সেখানে পলিথিনে ভরা অঙ্গটি সংরক্ষন করতে হবে।যদি আইস বক্স না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে অন্য একটি পলিথিনে বরফ নিয়ে তার ভিতর পলিথিনে মোড়ানো অঙ্গটি সংরক্ষন করা যাবে।
বরফ দেয়ার উদ্দেশ্য হল দীর্ঘ সময় যেন সতেজ থাকে অঙ্গটি।তাই পরিবহনের সময় প্রয়োজনে মাঝপথে বরফ সংযোজন করা যাবে।
অঙ্গহানির ৬ ঘন্টার মধ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে।এই ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাই সবচে ভাল হয় যদি রওয়ানা দেয়ার পুর্বেই মাইক্রোসার্জারিতে অভিজ্ঞ একজন প্লাস্টিক সার্জনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে রওয়ানা দেয়া যায়,যাতে সেই সময়ের মধ্যে সার্জন তার টিম ও অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করে ফেলতে পারে।

01/06/2022

KK (Krishnakumar Kunnath) এর মৃত্যু vs. Sudden Cardiac death vs. Pathological autopsy -

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণকুমার কানাথ এর কনসার্টের ভিডিও টা মনোযোগ দিয়ে দেখলাম।
কনসার্ট শুরু হবার সময়ই প্রচন্ডরকম ঘামছিলেন (Profuse sweating), একই সাথে তার চোখে মুখে অস্বস্তির চিহ্ন ছিলো(Chest discomfort এর জন্য সম্ভবত)।
এই দুটো সিম্পটমই মায়োকার্ডিয়াল টিস্যু ড্যামেজ ডায়াগনোসিস করার জন্য যথেষ্ট।

Chest pain /discomfort এর কারণ Myocardial vesospasm & infarction আর profuse sweating এর কারণ Autonomic nervous system stimulation.

ঐ মুহুর্তে শুধুমাত্র একটু বিশ্রাম এবং নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে হয়তো তাকে হাসপাতালে নেয়া পর্যন্ত স্ট্যাবল রাখতে পারতো।

শুধুমাত্র উন্নত বিশ্বেই হার্ট এটাকের(Myocardial infarction) পেশেন্টদের দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে নেয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করে।
সারা পৃথিবীতে প্যাথলজিকাল ডেথ এর ১ নম্বর কারণ হচ্ছে Cardiovascular disease.

সমস্যা হচ্ছে এটা একটা Multifactorial disease. এবং ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের মতো এই রোগেরও পূর্বতন কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

Cardiovascular disease এর একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে Coronary artery disease.
এতে রক্তনালীর দেয়ালে চর্বি জমে তা পুরু হয়ে যায়(Atherosclerosis) এবং রক্ত সঞ্চালনের পথ সংকুচিত হয়।
এর ফলে যদি এই চর্বির কোন অংশ (Atherosclerotic pleque) বিচ্ছিন্ন হয়ে তা হৃদপিণ্ডের সরু রক্তনালীতে প্রবেশ করে তখন তা ব্লক হয়ে যায়।
একেই বলে Coronary artery disease /Myocardial infraction.

এর পেছনে কোন একক কারণ দায়ী নয় বরং অনেকগুলো ফ্যাক্টর এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
এজন্য একে Multifactorial disease বলে।
Coronary artery disease এর Pathao-physiology আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য এই রোগে মৃতদের pathological autopsy করা প্রয়োজন।

KK এর ক্ষেত্রে মায়োকার্ডিয়াল ইভেন্ট শুরু হওয়ার পরপরই বিশ্রাম নেয়ার পরিবর্তে মারাত্মক পরিশ্রম /গান গাওয়া (Sudden exertion) এর কারণে Myocardial damage তরান্বিত হয়েছে।
সুতরাং যাদের বয়স ৪০ এর বেশি এবং যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপানের অভ্যাস এ ধরণের ঝুঁকি রয়েছে তাদের এখনই সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত এবং বুকে ব্যাথা বা অস্বস্তি হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ECG করে ফেলা উচিত।

09/04/2022
29/03/2022

এই প্রচন্ড গরম ও নানাবিধ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ORS (Oral rehydration salt) এর সহজলভ্যতার যুগে ডায়রিয়া একটি অতি সাধারণ রোগ কিন্তু একই সাথে 'প্রাণঘাতী'ও হতে পারে।

অল্প কিছু সতর্কতা আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারে-

☞ ডায়রিয়াতে মূল সমস্যা যেটা হয় তা হলো "পানিশূন্যতা"। সেটা থেকেই অন্যান্য সব মারাত্মক কমপ্লিকেশন তৈরি হয়(AKI,Electrolyte imbalance, Shock etc).

সুতরাং ডায়রিয়া হলেই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হলো 'খাবার স্যালাইন','খাবার স্যালাইন' এবং 'খাবার স্যালাইন'!

☞ খাবার স্যালাইন তৈরির বিষয়টা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৫০০ মি.লি. স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ১ প্যাকেট স্যালাইন মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে।(তৈরীকৃত স্যালাইন ৮ ঘন্টার মধ্যে পান না করলে ফেলে দিবেন)

এক্ষেত্রে পানি বা স্যালাইনের পরিমাণ কম বেশি করার কোন সুযোগ নেই।এটা করলে উক্ত দ্রবণের Osmolarity এবং Electrolyte content এর তারতম্য হবে।
সুতরাং "৫০০ মি.লি. বিশুদ্ধ পানি + ১ প্যাকেট Oral rehydration salt" এই হিসাবটা মাথায় গেঁথে ফেলুন।

☞ 'ডায়রিয়া' এবং 'Acute gastroenteritis' এর মূল কারণ হচ্ছে "দূষিত পানি"।
সুতরাং যাদের সামর্থ্য আছে তারা RO(Reverse osmosis) technology যুক্ত ফিল্টার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন বাকিরা পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে খাবেন।

নিয়মিত বাসায় রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করবেন।

☞ ৬ মাসের নিচের শিশুদের মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কোন খাবার দিবেন না।
পানি দেয়ারও প্রয়োজন হয়না সাধারণত ৩-৪ মাস পর্যন্ত। পানি দিলে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি দিবেন।
ফর্মুলা ফিড এভয়েড করবেন।

☞ পাতলা পায়খানা শুরু হলেই ওষুধ খাওয়ার জন্য অস্থির হবেন না।
অধিকাংশ পাতলা পায়খানার রোগী আমাকে সাধারণত ফোন দেয়- Ciprofloxacin,Metronidazole,Loperamide এসব খাওয়ার পর।
আমি কেবলমাত্র ওরস্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেই এবং তাদের মনকে শান্ত করার জন ২-১ টা ওষুধ দেই 'Placebo' হিসেবে!

☞ পাতলা পায়খানার সাথে কোন উপসর্গগুলো থাকলে সেটা বিপজ্জনক হতে পারে?

★জ্বর।
★ফুসকুরি বা rash.
★শ্বাসকষ্ট।
★সিস্টোলিক প্রেশার ৯০মি.মি.(মার্কারি) এর নিচে।
★হাত, পা অবশ হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি,ইত্যাদি।

এসব ক্ষেত্রে দ্রুত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

☞ ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয় মূলত Electrolyte imbalance (রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতা),Metabolic acidosis,Hypovolemic shock এই কারণগুলোর জন্য।
সময়মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে ওরস্যালাইন খেলেই এই সমস্যা গুলো সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিগত ১ মাসে সারা দেশে ডায়রিয়ার রোগী অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে গেছে যা "এপিডেমিক" হিসেবে ঘোষণার জন্য যথেষ্ট।

একটুখানি সচেতনতাই কিছু জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।

17/01/2022

কোভিড আপডেট -

ইদানীং অনেক রোগীই আসছে Acute gastroenteritis এর ফিচার নিয়ে(জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি,পাতলা পায়খানা ইত্যাদি)

সাদা চোখে Acute gastroenteritis মনে হলেও জ্বর থাকায় এ রোগীদের কোভিড টেস্ট করতে দেই।
ফলাফল - অধিকাংশই কোভিড পজিটিভ!

সুতরাং এ ধরণের লক্ষ্মণ দেখা দিলে দেরি না করে কোভিড টেস্ট করে ফেলুন।

কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসলেই ধরে নিবেন না যে আপনার করোনা হয়নি।
কারণ এই পরীক্ষাগুলোর সেনসিটিভিটি খুব কম।

কোভিডের লক্ষ্মণ থাকলেই দেরি না করে আইসোলেশনে চলে যাবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করবেন।

আপনার একটু অসাবধানতার জন্য আপনি নিজে বা আপনার পরিবার বা কাছের মানুষজন বিপদে পতিত হতে পারে!

08/01/2022

নিপাহ্‌ ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, নিপাহ্‌ ভাইরাস এক ধরণের 'জুনোটিক ভাইরাস' অর্থাৎ এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। পরে সেটি মানুষে মানুষে সংক্রমিত হয়ে থাকে।

বিশ্বে প্রথম নিপাহ্‌ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় শূকর খামারিদের মধ্যে। পরবর্তীতে এই ভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয় ২০০১ সালে।

পরে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান - আসিডিডিআর আক্রান্ত এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয় যে, বাদুড়ই নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রসে ছড়িয়ে দিয়েছে। খেজুরের রসের হাঁড়িতে বাদুড়ের মল লেগে থাকতে দেখা যায়।

আইইডিসিআর'এর তথ্যমতে, ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে ৩০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৭০%।

এখন পর্যন্ত নিপাহ্‌র সংক্রমণ নওগাঁ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রংপুরসহ দেশের ৩১টি জেলায় দেখা গেছে।

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কে ভয়াবহ প্রদাহ দেখা দেয়। এতে রোগী জ্বর ও মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন। এক পর্যায়ে খিচুঁনিও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত গাছিরা খেজুর গাছে রস সংগ্রহের কলসি ঝোলান বেলা গড়ানোর পরে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে। সারারাত রস নিঃসরিত হয়। সেখানে কীট পতঙ্গসহ নানা ধরনের পাখি, বিশেষ করে রাতের বেলা নিশাচর প্রাণী বাদুড় রস পান করতে আসে।

বাদুড় যখন খেজুরের রসে মুখ দেয়। তখন তাদের মুখ থেকে নিঃসৃত লালা এমনকি তাদের মলমূত্র খেজুরের রসের সাথে মিশে যায়।

এই দূষিত রস কাঁচা অবস্থায় খেলে নিপাহ ভাইরাস সরাসরি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

এর ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া নানা ধরণের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যা মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।

আসসালামু আলাইকুম। আমার পেজের প্রথম স্বাস্থ্যবিষয়ক লাইভ অনুষ্ঠানটি দেখার আমন্ত্রণ রইলো সবাইকে। পেজটি লাইক ও শেয়ার করে পাশ...
06/01/2022

আসসালামু আলাইকুম। আমার পেজের প্রথম স্বাস্থ্যবিষয়ক লাইভ অনুষ্ঠানটি দেখার আমন্ত্রণ রইলো সবাইকে। পেজটি লাইক ও শেয়ার করে পাশে থাকার অনুরোধ রইলো।

Address

Sreepur
Gazipur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr K.M. Nazmul Ahsan Asif posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr K.M. Nazmul Ahsan Asif:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category