08/06/2018
স্বাস্থ্য সেবার দুরবস্থা ও উন্নয়ন
সপ্তাহ বাদে ঈদ......কিন্তু এই ঈদ কি সবার জন্য আনন্দের...কিন্তু সবার জন্য নয়। ঈদ ভালবাসতে শেখায়, ত্যাগের মহিমা শেখায়।। কিন্ত এই ত্যাগ কতটুকু।। ঈদে সবাই বাড়ি যাবে,বেতন বোনাস পাবে...এটাই স্বাভাবিক......উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ...কিন্তু জননেত্রির উন্নয়ন ভাবনা কি সবাইকে স্পর্শ করতে পেরছে......না পারেনি...ঈদের আগে গার্মেন্টস কর্মীরাও তাদের নুন্যতম মজুরি ও বোনাস নিয়ে বাড়ি জাবে...কিন্তু বোনাস তো দুরের কথা......নিজের প্রাপ্য অধিকার নয়মাসের বেতন কি জুটবে তাদের ভাগে......কি দোষ তাদের... সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে নিজেদেরকে নিবেদিত প্রান করা।তাই বলে আমরা এত অমানবিক... মানুষের নুন্যতম মৌলিক চাহিদা পূরণে, ডিজিটাল বাংলাদেশের মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোরগোড়ায় যারা পোঁছে দিচ্ছে তাদের কি দিতে পারছি আমরা ...শুধু অবহেলা,বঞ্চনা...হয়ত বা এই পোস্ট পরে অনেকে বিস্মিত হবে...এই আধুনিক যুগে কি তা সম্ভব!!!।
এই ঈদে চুলা জ্বলবে না অনেক ঘরে...নতুন জামা...শেমাই...তাও না...ঈদে পরিজনদের মুখে একটু হাসি ফোটাবে তাও না...নিজের ঈদ উদযাপনও করতে অনেকে যেতে পারবে না, নিজের পরিজনদের কাছে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে... হ্যাঁ এই সেই বাস্তবতা!! মুখ ফুটে বলার ক্ষমতাও তারা হারিয়ছে,অধিক শোকে আজ পাথর তারা নতুবা একটিমাত্র জীবিকা হারানোর ভয়। কে বলবে তাদের কথা...কে তাদের অভিভাবক।সুদীর্ঘ পাঁচটি বছর ২৫ টি সিটি কর্পোরেশনে আরবান প্রাইমারী হেল্থ কেয়ার সার্ভিসেস প্রকল্পের আওতায় যারা কোটি কোটি মানুষের প্রয়োজনে ছুটে গিয়েছে মানুষের দরজায়...হাসি মুখে বিলিয়ে দিয়েছে নিজের সবকিছু...... উপেক্ষা করেছে সকল বাধা,শুধু মাত্র জনগনের প্রতি সরকারের উন্নয়নের রোড ম্যাপ বাস্তবায়নে...বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে... আজ তাদের দেখার নেই কেউ...হ্যাঁ আছেন একজন মহান আল্লাহ...আমরা তো রক্ত দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছি,ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করেছি পাহাড়সম সমস্যা। আমরা কি পারিনা তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে...ডাক্তার, নার্স, কন্সাল্ট্যান্ট,প্যারামেডিকশ,আয়া, গার্ড সহ হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে...... শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আনতে.........।