
13/09/2025
কালোজাদু বা ব্ল্যাকম্যাজিক আসলেই কি সত্য?
অনেকেই এরকম প্রশ্ন করেন কালোজাদু বা জাদুটোনা বলতে সত্যিই কিছু আছে কি না!
উত্তর হলো, জ্বী জাদু সত্য এবং আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা নানান জাদুতে আক্রান্ত!
কীভাবে বুঝবেন জাদুতে আক্রান্ত কি না?
যাদুগ্রস্থ হওয়ার কিছু লক্ষণ
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে-
১ । হঠাৎ ভালবাসা থেকে শক্রতায় পরিণত হওয়া ।
২। উভয়ের মাঝে অধিক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
৩ । পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
৪। অতিমাত্রায় মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়া যদিও তা সামান্য ব্যাপারকে কেন্দ্র করে।
৫। স্ত্রীর সৌন্দর্য অসুন্দরে পরিণত হওয়া। যদিও সে খুবই সুন্দরী হোক স্বামীর কাছে নিকৃষ্ট মনে হওয়া। আর স্ত্রীর কাছে স্বামী নিকৃষ্ট উপলব্ধি হওয়া।
৬। যাদুগ্রস্তের নিকট অপর জনের প্রত্যেক কৰ্মই অপছন্দ হওয়া।
৭। যাদুগ্রস্থ অপর পক্ষের বসার স্থানকে অপছন্দ করা। যেমনঃ স্বামী গৃহের বাইরে খুব ভাল করে ঘরে প্রবেশ করলেই অন্তরে অতিসংকীর্ণতা বোধ করে। ইবনে কাসীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছন্নতার যাদুর ফলে যাদুগ্ৰস্ত অপরজনকে কুদৃষ্টিতে দেখবে বা সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখবে বা এ ধরনের অন্যান্য বিচ্ছেদ সৃষ্টিকারী বিষয়ে পতিত হবে। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ১/১৪৪)
(উৎস: যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি )
এ ছাড়াও
৮!সব সময় মানসিক অবসাদ,
৯!বিষন্নতা
১০!বিনা কারণে অস্থিরতা অনুভব করা,
১১!সার্বক্ষণিত মাথা বা পিঠে এমন ব্যাথা অনুভব করা যা কোন ওষুধেও উপশম হয় না,
১২!বিনা কারণে চরম ভয়-ভীতি অনুভব করা,
১৩!হঠাৎ নামায-রোযা ছেড়ে দেয়া,
১৪!কুরআন, তিলাওয়াত, দুয়া ও যিকিরে মনোযোগ বসাতে না পারা,
১৫! হঠাৎ করে দাম্পত্য জীবনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, বা যৌন ক্ষমতা লোপ পাওয়া,
১৬! স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়া ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা যাদু থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমীন।
এক: যাদুকর কিভাবে যাদু করেছে সেটা আগে জানতে হবে। উদাহরণতঃ যদি জানা যায় যে, যাদুকর কিছু চুল নির্দিষ্ট কোন স্থানে অথবা চিরুনির মধ্যে অথবা অন্য কোন স্থানে রেখে দিয়েছে। যদি স্থানটি জানা যায়,সেখান থেকে জিনিস গুলো তুলে এনে একটা গ্লাসে পানি নিয়ে ওই পানিতে সূরা আরাফ ১১৭-১২২ সূরা ইউনুস ৮১-৮২ সুরা ত্বহা ৬৯ আয়াত ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে ফু দিবেন, তারপর জাদুর জিনিসপত্র তাতে ভিজিয়ে নষ্ট করে ফেলবেন।
(আর যদি কোন কবিরাজের কাছ থেকে আপনি কোন ধরনের তাবিজ নিয়ে থাকে সেগুলো ও নষ্ট করে দিবেন কারণ কুরআন পড়ার জন্য ঝুলিয়ে রাখার জন্য নয়।)
বর্তমানে যারা তাবিজ দিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই এটার সীমা থেকে বাহিরে চলে গিয়েছে।
যাদুকরকে শনাক্ত করা যায় তাহলে তাকে বাধ্য করতে হবে যেন সে যে যাদু করেছে সেটা নষ্ট করে ফেলে। তাকে বলা হবে: তুমি যে তদবির করেছ সেটা নষ্ট কর নতুবা তোমার গর্দান যাবে। সে যাদুর তদবিরটি ধ্বংস করে ফেলার পর মুসলিম শাসক তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিবেন। কারণ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, যাদুকরকে তওবার আহ্বান জানানো ছাড়া হত্যা করা হবে। যেমনটি করেছেন- উমর (রাঃ)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: “যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে তরবারির আঘাতে তার গর্দান ফেলে দেয়া।” যখন হাফসা (রাঃ) জানতে পারলেন যে, তাঁর এক বাঁদি যাদু করে তখন তাকে হত্যা করা হয়।
পেসকিপশন
১! প্রতিদিন অন্তত দুইবার জাদুর রুকিয়া শুনবে, সাথে যে কোনো শায়খের রুকিয়া শুনবে।
রুকিয়া অডিও লিংক প্রথম কমেন্টে দিয়ে দিচ্ছি।
একটা পাত্রে পানি নিয়ে তাতে ফাতিহা,আয়াতুল কুরসি , সূরা আরাফ১১৭-১২২সূরা ইউনুস৮১-৮২ সূরা ত্বহা ৬৯ আয়াত পড়বে এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ফুঁ দিবেন, প্রতিদিন তিনবেলা পানিটা খাবেন।
২!রুকইয়ার গোসল :
গোসলের নিয়মঃ একটা বালতিতে পানি নিবেন, তারপর ওই পানিতে দুইহাত ডুবিয়ে
১) দরুদ শরিফ
২) সুরা ফাতিহা
৩) আয়াতুল কুরসি
৪) সুরা কাফিরূন
৫) সুরা ইখলাস
৬) সুরা ফালাক্ব
৭) সুরা নাস
৮) শেষে আবার কোনো দরুদ শরিফ
সবগুলো ৭ বার করে পড়বেন। পড়ার পর হাত উঠাবেন, এবং পানি দিয়ে গোসল করবেন। (এগুলা পড়ে পানিতে ফু দিবেন না, এমনিই গোসল করবেন। যদি টয়লেট আর গোসলখানা একসাথে হয় তখন এসব অবশ্যই বাহিরে এনে পড়বেন। প্রথমে এই পানি দিয়ে গোসল করে তারপর অন্য পানি দিয়ে ইচ্ছামত গোসল করবেন।)