Dr Jahir Lalat

Dr Jahir Lalat MBBS(DU)

⭐ জিরা – গ্যাস্ট্রিক কমানোর এক প্রাকৃতিক উপাদান ⭐গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা পেটের অস্বস্তি কমাতে জিরা একটি দারুণ কার্যকর ভেষজ...
05/12/2025

⭐ জিরা – গ্যাস্ট্রিক কমানোর এক প্রাকৃতিক উপাদান ⭐

গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা পেটের অস্বস্তি কমাতে জিরা একটি দারুণ কার্যকর ভেষজ। নিয়মিত সঠিকভাবে জিরা ব্যবহার করলে পাচনতন্ত্র শক্তিশালী হয় এবং এসিডিটি কমে।

🌿 জিরার উপকারিতা:

✔ অ্যাসিডিটি কমায় – পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
✔ হজম শক্তি বাড়ায় – খাবার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে।
✔ গ্যাস ও পেটফাঁপা কমায় – অন্ত্রে জমে থাকা গ্যাস বের হতে সাহায্য করে।
✔ পেটের প্রদাহ কমায় – জিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ পেটকে শান্ত করে।
✔ পেট ব্যথা উপশম – জিরার গরম প্রকৃতি পেট ব্যথা কমাতে কার্যকর।

🌼 কীভাবে খাবেন?

১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ জিরা ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

অথবা খাবার রান্নায় নিয়মিত জিরা ব্যবহার করতে পারেন।

💡 প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমাতে চাইলে জিরা হতে পারে আপনার সহজ সমাধান।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাঁচা পেঁপে দারুণ কার্যকর। পাকা পেঁপের মতোই কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও বিশেষ এনজাইম, যা হ...
03/12/2025

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাঁচা পেঁপে দারুণ কার্যকর। পাকা পেঁপের মতোই কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও বিশেষ এনজাইম, যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কাঁচা পেঁপে কীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে কাজ করে—
১. প্যাপেইন হজম শক্তি বাড়ায়--- কাঁচা পেঁপেতে প্যাপেইনের পরিমাণ পাকা পেঁপের তুলনায় বেশি থাকে। এই এনজাইম খাবার দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে, যা হজমে আরাম দেয় এবং পেট ফুলে থাকা কমায়।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ--- যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপের জুস খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
৩. অন্ত্র পরিষ্কার রাখে--- নিয়মিত অল্পমাত্রায় কাঁচা পেঁপে খেলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে। এতে বর্জ্য জমে থাকা বা দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার সমস্যা দূর হয়।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে --- যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় সেদ্ধ বা ভাজি করা কাঁচা পেঁপে রাখা খুবই উপকারী। কাঁচা পেঁপে অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
৫. পেটে গ্যাস ও প্রদাহ কমায়--- কাঁচা পেঁপের এনজাইম পেটের গ্যাস, অস্বস্তি ও প্রদাহ কমায়। ফলে হজমতন্ত্র আরও স্বস্তিদায়ক থাকে।

কমলার জুস আপনার লিভারকে রক্ষা করতে পারে, ইমিউন সিস্টেম দ্বিগুণ বাড়ায়।অনেকেই ভাবেন কমলার জুস শুধু ভিটামিন সি দেয়, কিন্ত...
02/12/2025

কমলার জুস আপনার লিভারকে রক্ষা করতে পারে, ইমিউন সিস্টেম দ্বিগুণ বাড়ায়।

অনেকেই ভাবেন কমলার জুস শুধু ভিটামিন সি দেয়, কিন্তু বাস্তবে এটি এমন কিছু পরিবর্তন আনে যা জানলে অনেকেই আজ থেকেই নিয়মিত কমলার জুস খাওয়া শুরু করবেন। ভয় পাওয়ার মতো ব্যাপার হলো, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হলে প্রথম আঘাত আসে শ্বাসতন্ত্রে। এখানেই কমলার জুসের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কমলার জুসের ভিটামিন সি ফ্রি র‍্যাডিক্যাল কমিয়ে শরীরকে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি শুধু সাধারণ সর্দি বা ঠান্ডাই নয়, দীর্ঘমেয়াদে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখে।

মানুষের রক্তনালী শক্ত ও সংকুচিত হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হঠাৎ করে বেড়ে যায়। কমলার জুসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তনালীকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। যারা উচ্চ রক্তচাপ বা অনিয়মিত হার্টবিটে ভুগছেন, তাদের জন্য কমলার জুস একটি নিরাপদ প্রাকৃতিক সহায়তা। নিয়মিত কমলার জুস খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা হজম শক্তি কমে গেলে অনেকের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে যায়। কমলার জুসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড এবং প্রাকৃতিক এনজাইম হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। খাবার ভেঙে পুষ্টি শোষণ বাড়ায় এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। যাদের নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, তারা কমলার জুস খেলে উপকার পান, কারণ এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার পায়খানার গতি সহজ করে।

যকৃত শরীরের সব বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে ফেলে। গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে কমলার জুসের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লিভারের ওপর চাপ কমায় এবং চর্বি জমা প্রতিরোধ করে। ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি কার্যকর। কমলার জুস শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে এবং লিভার সেল মেরামত করে।

অনেক মানুষ চোখের ঝাপসা দেখাকে বয়সের লক্ষণ মনে করে, কিন্তু এর পিছনে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যারোটেনয়েডের ঘাটতি। কমলার জুস চোখের রেটিনা সুরক্ষিত রাখে এবং বয়সজনিত ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে গেলে কমলার জুসের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চোখের কোষকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় ফল এড়িয়ে চলেন, কিন্তু চিনিমুক্ত প্রাকৃতিক কমলার জুস সঠিকভাবে গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যায়। এতে থাকা ফ্লাভোনয়েড রক্তে গ্লুকোজ শোষণ ধীর করে এবং ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করে। তবে চিনি মেশানো কমলার জুস ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

ত্বকের বিবর্ণতা, ব্রণ বা ডার্ক স্পট অনেকের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। কমলার জুসে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বককে ভিতর থেকে টাইট করে। এতে ত্বকের দাগ দ্রুত ফিকে হয় এবং নতুন ত্বক তৈরিতে সহায়তা করে। কমলার জুস নিয়মিত খেলে স্কিন টোন স্বাভাবিক থাকে এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

শরীরে ক্লান্তি বাড়লে শক্তি কমে যায় এবং মনোযোগও নষ্ট হয়। কমলার জুসের প্রাকৃতিক চিনি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্কে শক্তি যোগায়। এটি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে। যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভোগেন, তারা সকালে এক গ্লাস কমলার জুস খেলে সারাদিন সতেজ থাকতে পারবেন।

কমলার জুস রক্ত পরিষ্কার করে এবং শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য এটি দ্রুত শক্তি ফিরে পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক উৎস। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায়।

সবশেষে, কমলার জুস ত্বক, লিভার, হৃদযন্ত্র, হজম, ইমিউন সিস্টেম এবং চোখের স্বাস্থ্যে একসাথে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা বিকেলে হালকা ক্ষুধার সময় এক গ্লাস কমলার জুস শরীরের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর। তবে যাদের তীব্র অম্বল বা আলসার আছে, তারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়া উচিত। কমলার জুস একটি সাধারণ পানীয় হলেও এর ভেতরে আছে বিশাল স্বাস্থ্যসম্ভাবনা যা নিয়মিত গ্রহণ করলে সার্বিক সুস্থতা বাড়ায়।

স্বাস্থ্য পরামর্শ

22/11/2025

রাশিয়ানরা বহুকাল ধরেই দেখছিল যে, ককেশিয়ার আদিবাসীরা খুবই স্বাস্থ্যবান এবং তাদের মধ্যে সুস্থ-সবল শতায়ুদের সংখ্যা প্রচুর!
কিন্তু এত সুস্থভাবে দীর্ঘজীবি হওয়ার রহস্য তারা বুঝতে পারছিল না!

১৯০৮ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানী এলি মেচনিকফ মেডিসিনে নোবেল পান। তার গবেষণার বিষয় ছিল 'ইমিউনিটি'।
তিনি আবিষ্কার করেন, গাট হেলথই ইমিউনিটির মূল ভিত্তি!
এলি মেচনিকফ প্রোবায়োটিকের জনক হিসেবেও পরিচিত। তিনি গাঁজানো খাবার এবং গাট মাইক্রোবায়োমের সাথে দীর্ঘায়ু ও ইমিউনিটির যোগসূত্র উদঘাটন করেন।
তাঁর The Prolongation of Life (১৯০৭) বইয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বি/ষা/ক্ত পদার্থ তৈরি করে, যা দেহে শোষিত হয়ে বার্ধক্য ও রোগের কারণ হয়!
যারা প্রচুর গাঁজানো খাবার খায় তাদের অন্ত্রে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া ঐ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদেরকে দমন করে, ফলে তারা দীর্ঘজীবী হয়।
তিনি এর মধ্যে উল্লেখ করেন, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য হলো 'কেফির'! ককেশিয়ানদের সুপার ইমিউনিটি গড়ে উঠা এবং দীর্ঘজীবী হওয়ার কারণ গাঁজানো দুধ খাওয়ার অভ্যাস।

এত দিনে রাশিয়া জানতে পারে ককেশিয়ানদের সুস্থ থাকার রহস্য কি!
১৯০০ সালের আগে পর্যন্ত কেফিরের জ্ঞান ও ব্যবহার শুধুমাত্র ককেশাসের আদিবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল! ১৯ শতক পর্যন্ত ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া কোথাও এই খাবার সম্পর্কে জানতো না!
১৯০৮ সালে রাশিয়ানদের প্রচেষ্টায় প্রথমবার এর রহস্য উন্মোচিত হয়।

কেফিরের উৎপত্তি উত্তর ককেশাসের (রাশিয়ার দক্ষিণাংশ, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান) আদিবাসী উপজাতিদের মধ্যে। তারা হাজার বছর ধরে কেফির তৈরি করে আসছিল।
আর, বাকী দুনিয়া কেফির সম্পর্কে বেখবর ছিল!
তারা নিজেরাই শুধু কেফির বানাতো ও খেতো। এর রেসিপি ও কেফির বীজ গোপন রাখত। তাদের বিশ্বাস ছিল, যদি বাইরের কেউ কেফির বানানো শিখে যায়, তাহলে এর জাদুকরী গুণ হারায় যাবে!

“বাবারা দিনে অন্তত ১৫ মিনিট শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করুন মন দিয়ে…এটাই হতে পারে সন্তানের মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের জন্য সবচেয়ে বড...
18/11/2025

“বাবারা দিনে অন্তত ১৫ মিনিট শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করুন মন দিয়ে…
এটাই হতে পারে সন্তানের মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের জন্য সবচেয়ে বড় পুষ্টি।” ❤️

একটা শিশু জন্মের পর প্রথম যে দু’জন মানুষকে পৃথিবীর ভিত্তি মনে করে — একজন মা, আরেকজন বাবা।
মায়ের স্নেহ যেমন ওকে নিরাপত্তা শেখায়, বাবার উপস্থিতি শেখায় বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস আর পৃথিবীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন—
👉 বাবার সঙ্গে প্রতিদিনের মাত্র ১৫ মিনিটের খেলাধুলা শিশুর মস্তিষ্কে ডোপামিন বাড়ায়, যা তাকে সুখী, শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
👉 এই ছোট্ট সময়টাও শিশুর মেমোরি, ক্রিয়েটিভিটি এবং সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
👉 বাবার হাসি, বাবার কণ্ঠ, বাবার মনোযোগ—শিশুর হৃদয়ে এমন এক নিরাপত্তা তৈরি করে যা কোনো খেলনা বা দামি জিনিস দিতে পারে না।

আর বাস্তবতা হলো—
শিশুরা কখনো বাবার সময় চায় না, তারা চায় বাবার মনোযোগ।
বাবা পাশে থাকলে তাদের মনে এক ধরনের আনন্দ, দুষ্টুমি, খুশি আর সাহস কাজ করে।
কিন্তু যখন বাবা ব্যস্ত থাকে, সময় দেয় না, দিনের পর দিন দূরে থাকে…
তখন শিশুরা চুপচাপ হয়ে যায়, মন খারাপ করে, আঁকড়ে ধরে মাকে আর বারবার প্রশ্ন করে—
“বাবা কখন আসবে?”

একটা শিশুর চোখে পৃথিবী খুব ছোট…
সেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জায়গাটা জুড়ে থাকে তার বাবা।
তাই বাবাদের জন্য অনুরোধ—
জীবনের দৌড়, লক্ষ্য, ব্যস্ততা সব ঠিক আছে…
কিন্তু প্রতিদিন সন্তানের সঙ্গে ১৫ মিনিট মন দিয়ে খেলুন।
এই সময়টাই হয়ে উঠবে তাদের হৃদয়ের সবচেয়ে নিরাপদ স্মৃতি, আর ভবিষ্যতের চরিত্র গঠনের সবচেয়ে শক্ত ভিত্তি।

শেষ কথা:
শিশুরা দামি উপহার মনে রাখে না…
কিন্তু বাবার সঙ্গে কাটানো সময়—আজীবন মনে রাখে। ❤️

✍️
তুরতুরি মুনু

#স্বাস্হ্যহীনতা

 #স্বাস্হ্যহীনতা 🌼 তিসির বেনেফিটস (Benefits)🩵 ১. ত্বকের যত্নেত্বকের শুষ্কতা কমায়ব্রণ ও দাগ হালকা করেস্কিনে প্রাকৃতিক glo...
15/11/2025

#স্বাস্হ্যহীনতা
🌼 তিসির বেনেফিটস (Benefits)

🩵 ১. ত্বকের যত্নে
ত্বকের শুষ্কতা কমায়
ব্রণ ও দাগ হালকা করে
স্কিনে প্রাকৃতিক glow আনে
Aging ধীর করে (anti-aging প্রভাব রাখে)
💡 Tip: তিসির বীজে থাকে “Omega-3” এবং “Lignans”, যা ত্বককে ভিতর থেকে হেলদি করে।

💁‍♀️ ২. চুলের যত্নে
Hair fall কমায়
চুলে shine ও softness আনে
Dandruff কমায়
Hair growth বাড়ায়
💡 Tip: এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়।

❤️ ৩. শরীরের জন্য
Cholesterol কমায়
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
হজমে সাহায্য করে
ওজন কমাতে সহায়ক
মেয়েদের হরমোন ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করে

🌿 তিসি রেমেডি (Remedies)

✨ স্কিনের জন্য – “Flaxseed Face Mask”

উপকরণঃ
১ টেবিল চামচ তিসি বীজ
১ কাপ পানি
১ চা চামচ মধু
অল্প লেবুর রস (ইচ্ছা হলে)

পদ্ধতিঃ
পানি গরম করে তাতে তিসি দিন।
ঘন জেলি মতো হলে ঠান্ডা করে নাও।
তাতে মধু ও লেবুর রস মিশাও।
মুখে লাগিয়ে ১৫–২০ মিনিট রাখো।
কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো।
🩵 ফলাফল: ত্বক টানটান ও মসৃণ হবে, ব্রণ ও দাগ কমবে।

💆‍♀️ চুলের জন্য – “Flaxseed Hair Gel”

উপকরণঃ
২ টেবিল চামচ তিসি
১ কাপ পানি
১ চা চামচ নারিকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল

পদ্ধতিঃ
তিসি বীজ পানি দিয়ে ফুটাও যতক্ষণ না জেলি হয়।
ঠান্ডা হলে ছেঁকে নাও।
তাতে অল্প তেল বা অ্যালোভেরা জেল মিশাও।
চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখো, তারপর ধুয়ে ফেলো।
💫 ফলাফল: চুল নরম, উজ্জ্বল ও কম ঝরবে।

©️

ডা: জাহাঙ্গীর কবির নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানের ডাক্তার। ~কিন্তুু ডাক্তারী পেশাকে তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বন্ধক দিয়াছে...
11/11/2025

ডা: জাহাঙ্গীর কবির নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানের ডাক্তার।
~কিন্তুু ডাক্তারী পেশাকে তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বন্ধক দিয়াছেন...এখন ডাক্তারীর চাইতে ঔষধ কোম্পানির এসআর হিসাবে কাজ করছেন....😀

~নিচের প্রেসক্রিপশনটা তার প্রমাণ:-

✍️ন্যুনতম স্ট্যান্ডার্ডে প্রেসক্রিপশনে অবশ্যই সম্ভাব্য রোগের নাম, রোগীর সমস্যা, ভাইটাল সাইন, জেনারেল ফাইন্ডিং এগুলো থাকতে হয়। এই প্রেসক্রিপশন দেখে বোঝার উপায় নেই কি সমস্যায় এসব ওষুধ দেয়া হয়েছে। ফলে ওষুধগুলো আসলেই প্রয়োজনীয় কিনা তা যাচাই করার সুযোগ নেই।

তারচেয়ে বড় কথা এখানের ৭টি ওষুধের মাঝে ৭টিই নানা ধরনের ভিটামিন/ফুড সাপ্লিমেন্ট যা উপযুক্ত খাবারের মাধ্যমেই পুরন করা সম্ভব। মুলত এই প্রেসক্রিপশনটি ফুড সাপ্লিমেন্ট এর ব্যবসা বর্ধক ফর্মুলা ছাড়া কিছুই না এবং এ কারনেই ওষুধ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে চিকিৎসকদের ফুড সাপ্লিমেন্ট লেখা নিষেধ।

চলুন দেখু কি কি "ওষুধ" লেখা হয়েছে। প্রথমটি Cap Acteria, একটি প্রোবায়োটিক। এতে মূলত কয়েক ধরনের উপকারী বাক্টেরিয়া থাকে যার অধিকাংশ ল্যাক্টোব্যাসিলাস গ্রুপের যা প্রচুর পরিমানে থাকে দই তে। এই ওষুধের প্রতি ক্যাপসুলে ৪ বিলিয়ন ব্যাটেরিয়া আছে, প্রতিটার দাম ৪৫ টাকা, দিনে ২টা করে ৩ মাসে মোট খরচ ৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে ১ চামুচ দই তে গড়ে ১-১০ বিলিয়ন বাক্টেরিয়া থাকে। এবার হিসাব করুন এ চামুচ দই এর দাম কত। উল্লেখ্য কোন নির্দিষ্ট রোগ সারাতে এর সরাসরি ব্যবহার উপযোগীতা নেই বরং স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস এর অংশ হিসেবে নানাবিধ রোগের ঝুকি ও উপসর্গ কমাতে নিয়মিত এ ধরনের উপকারী ব্যাক্টেরিয়া খাবারের সাথে গ্রহন করা বেশি উপকারী।

২য় ওষুধ ভিটামিন ডি। সূর্যের আলোর ভিটামিন অর্থাৎ আমাদের চামড়ায় সূর্য্যের আলো পড়লে এই ভিটামিন শরীরে তৈরি হয়ম এছাড়াও নানাবিধ খাবারে ভিটামিন ডি থাকে যেমন তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, কলিজা ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষেরই শরীরে ভিটামিন ডি কম। তাই এই সাপ্লিমেন্ট এর অনেকের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হতে পারে যদি খাবার ও সূর্যের আলোর মাধ্যমে পুরন না হয়। দাম হিসাব করলে প্রতি ক্যাপ্সুল ৩৫ টাকা, সপ্তাহে ১টা করে ৬ সপ্তাহে ২১০ টাকা।

৩য় ওষুধ Santogen A-Z, মাল্টিভিটামিন, ১১টাকা পিস, দিনে ১টা করে ৬ মাসে, প্রায় ২০০০ টাকা। মানুষের কোন রোগের জন্যই মাল্টিভিটামিন খাওয়ার কথা চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন বই বা গবেষণাপত্রে লেখা নেই। মানুষের শরীরে একই সাথে সব ভিটামিন এর অভাব কখনো হয় না। যেগুলোর অভাব নেই সেগুলো খেলে মল মুত্রের সাথে বেরিয়ে যায় (কিছু কিছু লিভারে জমা হয়)। ফলে এই ওষুধের বেশিরভাগ উপাদানই শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। কারও যদি কোন একটি দুটি ভিটামিজ বা মিনারেল এর অভাব থেকেও থাকে তারও উপকার হবে না কেননা এই মাল্টিভিটামিন এর বড়িতে সব ভিটামিন এত কম মাত্রায় যা যে অভাবজনিত প্রয়োজনীয় ডোজ এর তুলনায় অনেক কম।

৪র্থ ওষুধ, Carniten, এটি মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া একটি এমাইনো এসিড এবং প্রায় সব ধরনের প্রাণিজ খাবারে এটি পাওয়া যায়। যাদের লিভার বা কিডনি মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা খিচুনী রোগের কারনে বিশেষ ওশুধ খাচ্ছে বা রেয়ার কিছু জেনেটিক রোগ ব্যতীত এই জিনিসের অভাব মানবদেহে হয়না। কিডনি ড্যামেজ হওয়া ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি সাধারনত ব্যবহার হতে দেখা যায়। প্রেসক্রিপশনটি যার নামে করা হয়েছে তার এ ধরনের রোগ আছে কিনা জানা যায় নি কারন রোগের বিবরন লেখা নেই প্রেসক্রিপশনে। আর যদি কিডনি বা লিভার ড্যামেজ থাকে তাহলে অন্য যেসব ডিব্বা খাওয়ানো হচ্ছে সেগুলো তার জন্য আরও ক্ষতিকর হবে। প্রতি পিস ৫ টাকা করে ৩মাসে এর পেছনে খরচ ৯০০ টাকা।

পরের ওষুধ Algecal Dx, ক্যালসিয়াম (600g)+ভিটামিন ডি। অর্থাৎ উচ্চমাত্রার ভিটামিন ডি ক্যাপ্সুল আলাদা করে দেয়ার পরেও এই ক্যালসিয়ামের সাথে ভিটামিন ডি আবারও দেয়া হচ্ছে। বড়ি প্রতি ১৬ টাকা করে ৬ মাসে খরচ ২৮৮০ টাকা। এই স্পেসিফিক ক্যালসিয়াম বড়ির বিশেষত্ব হলো এটি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট যা সামুদ্রিক শেওলা থেকে বের করা। ক্যালসিয়াম বড়ি কম খরচে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট রূপে পাওয়া যায় ৫০০ গ্রাম ৫ টাকায়। ওষুধ কোম্পানি কিছুদিন পর পর নতুন নতুন ক্যালসিয়াম বড়ি নিয়ে আসে শেওলার ক্যালসিয়াম, ঝিনুকের ক্যালসিয়াম ইত্যাদি ইত্যাদি। দাবী করে এগুলো সাধারন ক্যালসিয়াম এর চেয়ে বেশি শোষন হয় শরীরে অথচ এর পক্ষে শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই, যেটুকু আছে তাতে শোষনের পার্থক্য খুব বেশি নয়। সুতরাং ৫ টাকার যায়গায় ১৬ টাকার বড়ির কোন মানে নেই। এছাড়ায় দুধ, ডিম, হাড়, গাঢ় সবুজ শাক, কলিজা, মাছ, মাংশ ইত্যাদিতেও ক্যালসিয়াম থাকে। বাংলাদেশের মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত রোগের প্রকোপ বেশি তাই এটি জরুরী।

৬ নাম্বার ওষুধ, Ubi Q, এটি একটি এনজাইম CoQ10 এর এক্টি রূপ যা আমাদের শরীর নিজেই তৈরি করে। একবারে সুনির্দিষ্ট কিছু হৃদরোগ ছাড়া বাইরে থেকে এই সাপ্লিমেন্ট গ্রহনের পক্ষে কোন শক্ত ক্লিনিক্যাল এভিডেন্স নেই। ওষুধ কোম্পানি এটাকে "দুর্বলতা কমানো/বয়স ধরে রাখা/ইমিউনিটি বুস্টার" ইত্যাসি চটকদার উপায়ে প্রমোট করে। এসবের পক্ষে শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই। শরীর এটাকে নিজেই তৈরি করে। এই প্রেসক্রিপশনে ১০০ মিলিগ্রাম Ubi Q, ৪৫ টাকা পিস দরে, দিনে ২টা করে ৬ মাসে খরচ ১৬,২০০ টাকা! ওদিকে গরুর হার্টে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম, মাংসে ৩-৪ মিলিগ্রাম, মুরগিতে ২-৩ মিলিগ্রাম, তৈলাক্ত মাছে ৪-৮ মিলিগ্রাম, ডিমের কুসুমে ১-২ মিলিগ্রাম এই এনজাইম থাকে।

ফাইনালি ৭ নাম্বার হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ১০০০ মিলিগ্রাম। মাছের তেল ও ভেষজ তেল (সরিষা, সয়াবিন, চিয়া সিড, বাদাম) এ প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম সরিষা তেলে ৫০০০ মিলিগ্রামের বেশি ওমেগা-৩ থাকে। ১০০ গ্রাম রুই মাছে ৬০০ মিগ্রা, ১০০ গ্রাম পাঙ্গাসে ১২০০ মিগ্রা ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। এই বড়িতে ১১ টাকা প্রতি পিসে ৩মাসে ৩৩০ টাকা খরচ। এই সাপ্লিমেন্টও ওষুধ কোম্পানি ইমিউনিটি বুস্টার, বলকারক, প্রদাহ নিবারক, হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা ইত্যাদি নানা দাবী করে বিক্রি করে। আপাত সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে এসব দাবীর পক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই। সুনির্দিষ্ট কিছু রোগ যেমন উচ্চ মাত্রার ট্রাউগ্লিসারাইড কমাতে এই সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের পক্ষে কিছু প্রমান আছে।

সুতরাং সব মিলিয়ে এই প্রেসক্রিপশনে খরচ ৩০ হাজার টাকার বেশি! অথচ কি রোগ, কি বৃত্তান্ত কিছুই লেখা নেই। সব ক'টি ওষুধই ফুড সাপ্লিমেন্ট যা নিয়মিত খাবারের মাধ্যমেই অনেক অনেক কম খরচে গ্রহন করা সম্ভব আরও অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান সহ। ওষুধ প্রশাসন এর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পুরো প্রেসক্রিপশন ভরে শুধুমাত্র ফুড সাপ্লিমেন্ট লিখে যাচ্ছে এই লোক। একদিকে অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়মিত বিষোদগার করছে আবার নিজেই ৩০ হাজার টাকার সাপ্লিমেন্ট ধরিয়ে দিচ্ছে। এই প্রতারনা নিয়ে অনেকে অনেকবার লিখেছেন কিন্তু তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাস তাকে ইমিউন করে রাখে আইনের হাত থেকে। সম্ভবত এই রোগীর কাছ থেকে তিনি কোন ভিজিট রাখেন নি, কোন টেস্ট দেন নি, ৩০ হাজার টাকা ধোকাবাজি বড়ি বিক্রি করেছেন শুধু। তাতেই রোগি শতভাগ খুশি হয়ে এই প্রেসক্রিপশন শেয়ার করেছেন ফেসবুকে।

ডা. মো: মারুফুর রহমান
চিকিৎসক ও গবেষক
দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ড, যুক্তরাজ্য
সিনিয়র পারফর্মেন্স মিজারমেন্ট স্পেশালিস্ট, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সাস্কাচুয়ান, কানাডা

পচা লিভার ভালো করতে মাত্র ১ গ্লাস পানীয় খান, অবিশ্বাস্য রেজাল্ট পাবেনআপনি কি জানেন—আমাদের শরীরের সবচেয়ে পরিশ্রমী অঙ্গ হচ...
11/11/2025

পচা লিভার ভালো করতে মাত্র ১ গ্লাস পানীয় খান, অবিশ্বাস্য রেজাল্ট পাবেন

আপনি কি জানেন—আমাদের শরীরের সবচেয়ে পরিশ্রমী অঙ্গ হচ্ছে লিভার?
প্রতিদিন এটি প্রায় ৫০০টিরও বেশি কাজ করে যাচ্ছে—
রক্ত পরিশোধন, টক্সিন দূর করা, শক্তি তৈরি, এমনকি হজমেও সহায়তা করছে।

কিন্তু দুঃখের বিষয়,
আমরা যেভাবে খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি আর স্ট্রেস নিচ্ছি,
তাতে লিভার ধীরে ধীরে “পচে” যাচ্ছে—অর্থাৎ Fatty Liver হয়ে যাচ্ছে।

একটু ভেবে দেখুন—
বেশি তেল-মশলা, জাঙ্ক ফুড, ফিজি ড্রিংক,
আর সারাদিন বসে থাকা জীবনযাপন—
এই সবকিছু মিলে লিভারের উপর এমন চাপ ফেলছে,
যার ফল আমরা বুঝতেই পারি না প্রথমদিকে।

লিভার যখন ফ্যাটে ভরে যায়,
তখন ধীরে ধীরে ক্ষুধা কমে, পেট ফুলে থাকে,
শরীর ক্লান্ত লাগে, মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়,
আর রক্তে এনজাইম বাড়তে শুরু করে।

আপনি হয়তো ডাক্তার দেখিয়ে বলছেন—
“আমার লিভার একটু দুর্বল”,
কিন্তু বাস্তবতা হলো—
এটাই হচ্ছে Fatty Liver-এর শুরু!

আজ আমি আপনাকে এমন একটি পানীয়র কথা বলবো,
যা মাত্র এক গ্লাস খেলেই
আপনার পচা বা দুর্বল লিভার ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করবে।
আর সেই পানীয়টি আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারবেন।

এই এক গ্লাস পানীয়ের প্রধান উপাদান হলো — আমলকি, আদা ও লেবু।

আমলকিতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা লিভারকে ডিটক্স করে।
এটি লিভারের জমে থাকা ফ্যাট ভাঙে ও নতুন কোষ তৈরি করে।
আদা কাজ করে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে,
যা লিভারের প্রদাহ কমায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
আর লেবু?
এটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং লিভার থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।

এই তিনটি উপাদান মিলে তৈরি হয় এক অসাধারণ লিভার-ক্লিনজিং ড্রিংক,
যা শুধু লিভার নয়, গোটা শরীরের রক্তকোষকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে।

প্রস্তুত প্রণালী খুবই সহজ —
এক গ্লাস কুসুম গরম পানি নিন,
এর মধ্যে দিন আধা চামচ আদা রস,
এক চামচ আমলকি রস,
এবং আধা চামচ লেবুর রস।
সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।

এটি আপনার শরীরে “লিভার ডিটক্স” প্রক্রিয়া চালু করবে।
প্রথম কয়েকদিনেই আপনি লক্ষ্য করবেন—
মুখে উজ্জ্বলতা আসছে, শরীর হালকা লাগছে,
আর হজমশক্তি আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে।

যাদের ALT বা SGPT টেস্টে লিভার এনজাইম বেড়ে গেছে,
তাদের জন্য এই পানীয় আশ্চর্যজনক ফল দেয়।
প্রতিদিন নিয়ম করে এক মাস খেলেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন—
এই পানীয় কোনো “ম্যাজিক মেডিসিন” নয়।
এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লিভারকে পুনর্জীবিত করে।
তাই নিয়মিত খেতে হবে, ধৈর্য রাখতে হবে,
আর খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

যেমন—
ভাজাপোড়া কমাতে হবে,
চিনি ও সফট ড্রিংক বাদ দিতে হবে,
আর প্রতিদিন অন্তত ২.৫–৩ লিটার পানি পান করতে হবে।

যদি আপনি চান,
মাত্র এক গ্লাস প্রাকৃতিক পানীয়ের মাধ্যমে
লিভারকে আবার তার আসল কর্মক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে—
তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন এই অভ্যাস।

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস “আমলকি-আদা-লেবু পানি”
আপনার লিভারকে পরিষ্কার করবে,
রক্তকে বিশুদ্ধ রাখবে,
আর আপনাকে দেবে নতুন প্রাণশক্তি।

যাদের ত্বকে নিস্তেজ ভাব, চোখের নিচে কালচে দাগ,
বা পেটে ভার লাগা অনুভূত হয়—
তাদের জন্য এটি যেন প্রকৃতির আশীর্বাদ।

আপনার লিভার ভালো থাকলে,
আপনার ত্বক, চুল, ঘুম, মন—সবকিছুই ভালো থাকবে।

এক গ্লাস প্রাকৃতিক পানীয় —
একটি ছোট পরিবর্তন, কিন্তু আজীবনের উপকার।

আপনি কি কখনও লিভার ডিটক্সের জন্য ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করেছেন?
নাকি এই প্রথম শুনলেন এই পানীয়র কথা?
নিচে কমেন্টে লিখে জানান,
কারণ আপনার অভিজ্ঞতা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। 🌿🍋

কিসমিস ভিজিয়ে খাচ্ছেন তো? রাতে ভেজানো কিসমিস খুবই উপকারী একটি খাবার, বিশেষ করে সকালে খালি পেটে খেলে এর গুণাগুণ আরও বাড়ে।...
10/11/2025

কিসমিস ভিজিয়ে খাচ্ছেন তো?
রাতে ভেজানো কিসমিস খুবই উপকারী একটি খাবার, বিশেষ করে সকালে খালি পেটে খেলে এর গুণাগুণ আরও বাড়ে।

🍇 ভেজানো কিসমিসে কী থাকে:

ভেজানো কিসমিসে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে যেমন —

👉 আয়রন (লোহা) – রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।

👉 পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম – হার্ট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

👉 ক্যালসিয়াম – হাড় ও দাঁত মজবুত করে

👉 ভিটামিন বি কমপ্লেক্স – শক্তি জোগায়।

👉 অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

👉 প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ) – দ্রুত শক্তি দেয়।

🌿 ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা:

1. রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) দূর করে।

2. হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।

3. লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

4. ত্বক উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

5. হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

6. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

7. শরীরের ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে।

8. কোলেস্টেরল কমায়।

9. চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে।

10. নিয়মিত খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

👶 বাচ্চাদের জন্য ভেজানো কিসমিসের উপকারিতা:

1. শক্তি যোগায় – সকালের নাশতার আগে খেলে পড়াশোনা ও খেলাধুলায় এনার্জি থাকে।

2. রক্ত বাড়ায় – কিসমিসের আয়রন বাচ্চাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে।

3. হাড় মজবুত করে – ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো।

4. হজম ঠিক রাখে – কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত রাখে।

5. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – সহজে ঠান্ডা, কাশি বা জ্বর হয় না।

6. মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে – পুষ্টিগুণে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে।

7. ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে।

👉 খাওয়ার নিয়ম:
🍇 রাতে ৮–১০টা কিসমিস এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে কিসমিস ও পানি দুটোই খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।

 #মায়ের একটি চুমু শিশুর মস্তিষ্ক বদলে দিতে পারে।আর মন বলে, সেই চুমুতেই লুকিয়ে থাকে শিশুর জীবনের নিরাপত্তা, ভালোবাসা আর প...
09/11/2025

#মায়ের একটি চুমু শিশুর মস্তিষ্ক বদলে দিতে পারে।
আর মন বলে, সেই চুমুতেই লুকিয়ে থাকে শিশুর জীবনের নিরাপত্তা, ভালোবাসা আর পৃথিবীর প্রতি আস্থা।

মায়ের মস্তিষ্কে যা ঘটে:

যখন মা সন্তানের কপালে বা গালে চুমু খান,
তখন মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশ
“প্লেজার সার্কিট” (Dopaminergic system) সক্রিয় হয়ে যায়।

এতে মায়ের শরীরে ডোপামিন ও অক্সিটোসিন নামে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসৃত হয়

ডোপামিন মাকে দেয় গভীর আনন্দ ও প্রশান্তি

অক্সিটোসিন, “ভালোবাসার হরমোন”, মা ও সন্তানের বন্ধনকে আরও শক্ত করে তোলে

এ কারণেই মা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরলে মনে হয়, “সব ঠিক হয়ে যাবে।”

শিশুর মস্তিষ্কে যা ঘটে:

শিশুর শরীরে প্রতিটি স্পর্শ, প্রতিটি চুমু
তার মস্তিষ্কে একধরনের সুরক্ষা বার্তা পাঠায়।

মায়ের চুমু শিশুর কর্টিসল (Cortisol) মানসিক চাপের হরমোন কমিয়ে দেয়।
ফলাফল:

শিশু শান্ত হয়

ঘুম ভালো হয়

নিরাপত্তাবোধ গড়ে ওঠে

ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসী ও ভালোবাসায় ভরপুর মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠে

মায়ের স্নেহের এই “স্পর্শ থেরাপি”

এ শুধু আদর নয়, এটি একটি বায়োলজিক্যাল মিরাকল।
প্রতিটি চুমু, প্রতিটি কোলে তোলা শিশুর মস্তিষ্কে নতুন নিউরন সংযোগ তৈরি করে।
অর্থাৎ, মায়ের ভালোবাসাই শিশুর মস্তিষ্কের ভিত্তি গড়ে দেয়।

তাই মায়েরা

আপনার শিশুকে যতবার চুমু দেবেন,
জেনে রাখুন আপনি শুধু আদর দিচ্ছেন না,
আপনি ওর ভবিষ্যৎ, মানসিক স্বাস্থ্য, আর ভালোবাসার ক্ষমতা তৈরি করছেন।

একটি চুমু মানেই
নিরাপত্তা, বিজ্ঞান, ভালোবাসা, আর প্রার্থনার মিশেল।

09/11/2025

সূরা আলাকের ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "তিনি মানুষকে একবিন্দু জমাট রক্ত থেকে সৃষ্টি করেছেন।" এই জমাট রক্ত হলো ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থা, যা থেকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হয়।

আধুনিক বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে যে, ভ্রূণের বিকাশকালে প্রথমে স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্ক গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সংযুক্ত হয়ে তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

Address

Kunia , National University
Gazipur

Telephone

+8801976703636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Jahir Lalat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Jahir Lalat:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category