Doctors of Gazipur

Doctors of Gazipur যদি কোন রোগ হয়,
ডাক্তার ছাড়া ঔষধ নয়।

Happy Blood Donating
08/09/2025

Happy Blood Donating

কবিরাজের কাছ থেকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি নিয়ে গোপ*নাঙ্গের গোড়ায় পড়ে রাখে। যখন সেটি পচে ফুলতে শুরু করে সে ভাবে আংটি কাজ করা...
03/09/2025

কবিরাজের কাছ থেকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি নিয়ে গোপ*নাঙ্গের গোড়ায় পড়ে রাখে। যখন সেটি পচে ফুলতে শুরু করে সে ভাবে আংটি কাজ করা শুরু করেছে। কিন্তু ব্যাথা ছিল অনেক৷ কবিরাজ বুঝিয়েছে, "কষ্ট করলে কেস্ট মেলে"। অবশেষে যখন সেটি পচে গোপ*নাঙ্গ কেটে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছিল তখন আমাদের কাছে আসে। সব চেষ্টা ব্যার্থ হলে এই হেক্সো ব্লেড দিয়ে সতর্কতার সাথে আংটি কেটে বের করে আনি। আশা করছি গোপনাঙ্গ রক্ষা পাবে।

কবিরাজি অপচিকিৎসা বন্ধ করুন। সমস্যা যত গোপনই হোক না কেন, ডাক্তারি পরামর্শ নিন।

-Dr. Sohanur Rahman

25/08/2025

🩺 রোগ অনুযায়ী কোন ডাক্তার দেখাবেন-

🔹 মাথা, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সমস্যা
মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, পক্ষাঘাত, স্নায়ুর ব্যথা→ নিউরোলজিস্ট (Neurologist)

মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার, টিউমার → নিউরোসার্জন (Neurosurgeon)

🔹 চোখের সমস্যা
চোখের ঝাপসা, লাল হওয়া, ছানি, গ্লুকোমা → চক্ষু বিশেষজ্ঞ (Ophthalmologist)

🔹 কান, নাক ও গলার সমস্যা
কানে কম শোনা, কানে পুঁজ পড়া, টনসিল, সাইনাস, নাক দিয়ে রক্ত পড়া → ইএনটি বিশেষজ্ঞ (ENT Specialist)

🔹 দাঁত ও মুখের সমস্যা
দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সমস্যা, দাঁত তোলা/ব্রেস → ডেন্টিস্ট (Dentist)

🔹 হৃদরোগ ও রক্তচাপ
বুক ধড়ফড়, হার্ট ব্লক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ/নিম্ন রক্তচাপ → কার্ডিওলজিস্ট (Cardiologist)

হার্টের অপারেশন লাগলে → কার্ডিয়াক সার্জন (Cardiac Surgeon)

🔹 শ্বাসকষ্ট / ফুসফুস
হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, যক্ষ্মা → মেডিসিন / চেস্ট বিশেষজ্ঞ (Pulmonologist)

🔹 পেট ও হজমের সমস্যা
গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা, লিভারের সমস্যা, আলসার → গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট (Gastroenterologist)

🔹 কিডনি / প্রস্রাবের সমস্যা
কিডনির পাথর, প্রস্রাবে জ্বালা, ইউরিন ইনফেকশন → নেফ্রোলজিস্ট (Nephrologist)

অপারেশন লাগলে → ইউরোলজিস্ট (Urologist)

🔹 হাড়, জয়েন্ট ও মেরুদণ্ড
কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, হাড় ভাঙা, বাত → অর্থোপেডিক সার্জন (Orthopedic Doctor)

🔹 ত্বক ও যৌন রোগ
চুলকানি, চুল পড়া, ফুসকুড়ি, যৌন রোগ → ডার্মাটোলজিস্ট (Skin & VD Specialist)

🔹 নারী রোগ
মাসিকের সমস্যা, গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্ম → গাইনোকলজিস্ট (Gynecologist & Obstetrician)

🔹 শিশু রোগ
শিশুদের জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া → পেডিয়াট্রিশিয়ান (Child Specialist)

🔹 মানসিক রোগ
দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, ঘুম না আসা, সিজোফ্রেনিয়া → সাইকিয়াট্রিস্ট (Psychiatrist)

🔹 সাধারণ অসুখ
সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা → মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (Medicine Specialist)

জরুরি বা ছোটখাটো সমস্যা → MBBS ডাক্তার (General Physician)

🧠 স্ট্রোক (Stroke): মস্তিষ্কের উপর নীরব আঘাত⏩⏭️✨স্ট্রোক, যা "সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট (CVA)" নামেও পরিচিত, হলো একটি...
22/08/2025

🧠 স্ট্রোক (Stroke): মস্তিষ্কের উপর নীরব আঘাত⏩⏭️✨
স্ট্রোক, যা "সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট (CVA)" নামেও পরিচিত, হলো একটি মারাত্মক স্নায়বিক অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন এবং পুষ্টির জন্য রক্তের উপর নির্ভরশীল। যখন এই রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলো দ্রুত মারা যেতে শুরু করে, যার ফলে মস্তিষ্কের সেই অংশের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্ট্রোক একটি জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি, এবং দ্রুত চিকিৎসা না পেলে এটি স্থায়ী অক্ষমতা বা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

👥🩸 স্ট্রোকের প্রকারভেদ এবং কারণ⏩
স্ট্রোক প্রধানত দুই ধরনের হয়:
🚫 ইস্কেমিক স্ট্রোক (Ischemic Stroke): এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের স্ট্রোক (প্রায় ৮০% ক্ষেত্রে ঘটে)। এই ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে কোনো ধরনের ব্লকেজ বা জমাট বাঁধা (clot) তৈরি হয়, যা মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এই জমাট বাঁধা সাধারণত হৃদপিণ্ড বা ঘাড়ের ধমনী থেকে এসে মস্তিষ্কের ছোট রক্তনালীতে আটকে যায়।
💥 হেমোরেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic Stroke): এই ধরনের স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ ঘটলে হয়। এই রক্ত মস্তিষ্কের টিস্যুতে চাপ সৃষ্টি করে কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। হেমোরেজিক স্ট্রোকের দুটি প্রধান কারণ হলো:
ইনট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ: মস্তিষ্কের ভিতরে রক্তনালী ফেটে যাওয়া।
সাবঅ্যারাকনয়েড হেমোরেজ: মস্তিষ্ক এবং এর চারপাশের পাতলা টিস্যুর মধ্যে রক্তক্ষরণ।

👥⚠️ স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ: ফাস্ট (FAST) পরীক্ষা⏩
স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হঠাৎ করে দেখা যায় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন। লক্ষণগুলো মনে রাখার জন্য FAST নামক একটি সহজ পরীক্ষা ব্যবহার করা হয়:
F - 😖 Face Drooping (মুখের এক পাশ ঝুলে যাওয়া): রোগীকে হাসতে বললে মুখের এক পাশ অসাড় বা ঝুলে যেতে পারে।
A - 🖐️ Arm Weakness (একটি হাত দুর্বল হয়ে যাওয়া): রোগীকে দু'হাত উপরে তুলতে বললে একটি হাত দুর্বল হয়ে নিচে নেমে যেতে পারে।
S - 💬 Speech Difficulty (কথা বলতে অসুবিধা): রোগীর কথা অস্পষ্ট বা জড়ানো মনে হতে পারে। সহজ বাক্য পুনরাবৃত্তি করতে বললে সে তা নাও পারতে পারে।
T - 📞 Time to call Emergency (জরুরি পরিষেবা কল করার সময়): উপরের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত।
এছাড়াও অন্যান্য লক্ষণগুলো হতে পারে:
হঠাৎ করে শরীরের একপাশে অসাড়তা বা দুর্বলতা।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, যেমন এক বা উভয় চোখে ঝাপসা দেখা বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারানো।
তীব্র মাথাব্যথা, যা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং কোনো কারণ ছাড়া।
ভারসাম্য বা সমন্বয়হীনতা, হঠাৎ করে পড়ে যাওয়া।
বিভ্রান্তি বা ঘোর লাগা।

👥🛡️ স্ট্রোকের ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এবং প্রতিরোধ⏩
কিছু কারণ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, যার মধ্যে কিছু নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং কিছু অনিয়ন্ত্রণযোগ্য।

নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকির কারণ:
▶️উচ্চ রক্তচাপ: এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ।
🩸 ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
🍔 উচ্চ কোলেস্টেরল: এটি রক্তনালীতে চর্বি জমিয়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
🚬 ধূমপান: ধূমপান রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।
⚖️ স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্থূলতা এবং অতিরিক্ত লবণ, চর্বি ও কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
🛋️ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব।

অনিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকির কারণ:
👴 বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
👨‍👩‍👧 পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারে যদি স্ট্রোকের ইতিহাস থাকে, তবে ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
👫 লিঙ্গ: পুরুষদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি, তবে নারীদের মধ্যে স্ট্রোক থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।

প্রতিরোধ:
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। যেমন:
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ধূমপান ত্যাগ করা এবং অ্যালকোহল সেবন সীমিত করা।
স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।

👥💉 স্ট্রোকের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন⏩
স্ট্রোকের চিকিৎসা রোগীর ধরনের উপর নির্ভর করে।

⏭️ইস্কেমিক স্ট্রোকের চিকিৎসা:
টিপিএ (tPA) ওষুধ: এটি একটি শক্তিশালী ওষুধ যা রক্ত জমাট বাঁধাকে ভেঙে দেয়। লক্ষণ দেখা দেওয়ার প্রথম ৩-৪.৫ ঘণ্টার মধ্যে এটি ব্যবহার করা হলে কার্যকর হতে পারে।
মেকানিক্যাল থ্রম্বেক্টমি: একটি বিশেষ ক্যাথেটারের সাহায্যে মস্তিষ্কের রক্তনালী থেকে জমাট বাঁধা অপসারণ করা হয়।
হেমোরেজিক স্ট্রোকের চিকিৎসা:
এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

পুনর্বাসন:
স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে:
🚶‍♀️ ফিজিওথেরাপি: পেশীর শক্তি, নড়াচড়া এবং ভারসাম্য উন্নত করার জন্য।
🗣️ স্পিচ থেরাপি: কথা বলা এবং গিলতে সমস্যা হলে সাহায্য করে।
🎨 অকুপেশনাল থেরাপি: দৈনন্দিন কাজ যেমন পোশাক পরা, খাবার খাওয়া ইত্যাদি পুনরায় শিখতে সাহায্য করে।

স্ট্রোক একটি জীবন পরিবর্তনকারী ঘটনা হতে পারে, তবে সচেতনতা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো সম্ভব। স্ট্রোকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা জরুরি, কারণ প্রতিটি সেকেন্ড এখানে মূল্যবান।

©️ গবেষণা ও তথ্য সংকলনে-
Muhammad Nasim Hossain
Dhaka: 19-Aug, 2025

16/08/2025

ডাক্তাররা কেন টেস্ট করেন? কারনে না অকারনে? নাকি কমিশনের জন্য?। প্রথমে 2 টি ঘটনা বলি...

১। একবার 2 দিনের জ্বর নিয়ে ৩০ বছর বয়সী একজন রোগী আমাকে দেখালেন। আমি দেখার পর মনে হল ভাইরাল ফেভার। রোগীর প্রেসার কম আর খেতে পারছে না তাই রুটিন টেস্ট দিয়ে ভর্তি করলাম। ভর্তি হবার 2 ঘন্টা পর (তখনও রিপোর্ট আসে নাই) রোগী হঠাত খারাপ হয়ে গেল। রোগী খুবই ছটপট শুরু করল, প্রেসার 200/120, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রোগীকে আইসিইউতে নেয়া হল, কিছুক্ষণ পর (৩০ মিনিট এর মধ্যে) রোগী মারা গেল। ওই সময় আমি আর আমার একজন সিনিয়র স্যার সেখানে উপস্থিত ছিলাম। রোগী মারা যাবার পর রিপোর্ট আসল, আমরা দেখলাম platelet count 30000.

রোগীর লোকের কাছে আবারো ইতিহাস নেয়া হল। রোগীর লোক বলল গতকাল অনেক জ্বর ও গায়ে ব্যথা ছিল, গ্রামের ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ চেয়েছি, diclofen ট্যাবলেট দিয়েছিল। শরীরে platelet count কম থাকলে যে কোন সময় রক্তক্ষরন শুরু হতে পারে। আবার ব্যথার ঔষধগুলো শরীরে রক্তক্ষরনের ঝুঁকি বাড়ায়। এই রোগীর platelet count কম ছিল, তার উপর diclofen খেয়ে ব্রেনে রক্তক্ষরন হয়ে রোগী মারা গেছে।

শিক্ষনীয় হচ্ছে- যে কোন ব্যথার ঔষধ খাবার আগে কমপক্ষে একটা CBC (platelet count নরমাল কিনা দেখার জন্য), S. bilirubin & SGPT (লিভার ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য), S. creatinine (কিডনি ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য) ECG (হার্টে কোন সমস্যা আছে কিনা দেখার জন্য) করা উচিত। রোগী গরীব কিংবা ধনী এসব দেখার সুযোগ নেই।

২। ৩/৪ দিন আগে একজন ডায়াবেটিসের রোগী জ্বর নিয়ে আমাকে দেখালেন, আমার মনে হল তার প্রসাবে ইনফেকশন, আমি প্রসাবের পরীক্ষা দিলাম, কিডনীর টেস্ট আগে করা ছিল, নরমাল ছিল তাই আর করালাম না। রোগী বাসা গেলো। ২ দিন পর রোগী হাস্পাতালে ভর্তি হল, রোগীর তেমন কোন উন্নতি নেই, C/S দেখার পর এ্যান্টবায়োটিক পরিবর্তন করবো, ভাবলাম কিডনী কেমন আছে দেখি (আগের রিপোর্ট খুজে পেলাম না, তাই কিডনীর পরীক্ষাটা করতে দিলাম)। রিপোর্ট আসার পর আমার কোনভাবেই সঠিক মনে হয় নাই, কারন S. creatinine 12 mg/dl ছিল, ল্যাবে বললাম রিপিট কর, রিপোর্ট একই আসল। S. electrolyes করে দেখলাম hyperkalaemia আছে। রোগীর গতকাল ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।

তাহলে এসব টেস্ট কি অকারনে করা হয়েছিল???শিক্ষনীয় হচ্ছে-ডায়াবেটিস/হাইপ্রেসারের রোগীর মাঝে মাঝে (অন্তত ৬ মাসে ১ বার) এবং যে কোন acute illness এ ভাইটাল অর্গানগুলো চেক করা উচিত। (এই রোগীকে প্রথমেই কিডনীর পরীক্ষা দিলে, রোগী বলত সামান্য জর নিয়ে এলাম আর ডাক্তার এত গুলো পরিক্ষা অকারনে দিল, আর রোগী যখন খারাপ হয়ে গেল তখন রোগির লোকের ভাষ্য-আপনি আগে কেন কিডনী টেস্ট করালেন না)।

এবার আসি পরীক্ষা-নীরিক্ষায়। কোন পরীক্ষা কেন করা হয়??
CBC করে আমরা অনেকগুলো তথ্য পাই, যেমন-শরীরে রক্তের পরিমান কেমন, শরীরে কোন ইনফেকশন আছে কিনা, ব্লাড ক্যন্সার আছে কিনা এবং platelet count কেমন, যা কমে গেলে শরীর থেকে রক্ত ক্ষরন হতে পারে। যে কোন রোগির এই টেস্ট না করে তার শরীরের সার্বিক অবস্থা বুঝা সম্ভব না।

RBS এই পরীক্ষা দিয়ে কারো ডায়াবেটিস আছে কিনা তা স্ক্রেনিং করি। ১৮ বছর পর এই পরীক্ষা বছরে অন্তত একবার করা উচিত, তবে যাদের বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস আছে আর যাদের ওজন বেশি তাদের বছরে অন্তত ২ বার (৬ মাস পর পর) করা উচিত। কারো যদি ডায়াবেটিস untreated or uncontrolled থাকে তবে তার কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে, হারট এ্যাটাক, ষ্ট্রোক, অন্ধত্ত সহ আরো অনেক জটিল রোগ হতে পারে।

S. creatinine এই টেস্ট দিয়ে আমাদের কিডনী ঠিক আছে কিনা দেখা হয়। কিডনী রোগ যত তারাতারি ধরা পরবে তত ভালো হবার সম্ভবনা বেশি। যাদের ডায়াবেটিস/হাইপ্রেসার আছে তাদের কিডনী নষ্ট হবার সম্ভবনা অনেক বেশি। তাছাড়া যে কোন ধরনের ব্যথার ঔষধ , কিছু প্রেসারের ঔষধ, কিছু ডায়াবেটিসের ঔষধ, বাত রোগের ঔষধ, ক্যান্সারের ঔষধ দেয়া না দেয়া, কি ডোজে দিতে হবে তা নির্ভর করে S. creatinine এর উপর। বছরে অন্তত একবার S. creatinine করা উচিত।

Urine R/E এটি খুবই সাধারন একটি পরীক্ষা কিন্তু খুবই ইনফরমেটিভ, এটি দিয়ে প্রসাবে ইনফেকশন আছে কিনা, কিডনীতে কোন সমস্যা আছে কি না, কিডনীতে কোন পাথর আছে কিনা, ডায়াবেটিস আছে কিনা ইত্যাদি জানা যায়। এছাড়াও কারো কিডনীতে সমস্যা কেবল শুরু হয়েছে কিনা (যা চিকিতসায় ভালো করা সম্ভব) তাও বোঝা যায় (প্রসাব দিয়ে যদি protein যায় তবে বুঝতে হবে কিডনীতে সমস্যা শুরু হয়েছে)।

ECG গত সপ্তাহে একজন ডায়াবেটিস রোগী দেখেছিলাম, যিনি ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন ঔষধ খাবার আর দরকার নেই, তার ডায়াবেটিসের পরীক্ষা, কিডনীর পরীক্ষা আর ECG করতে দিলাম, ECG তে Recent anterior MI আসল, ইকো করার পর Ischaemic cardiomyopathy আসল। ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেসারের রোগীর বছরে অন্তত একবার এবং বুকে যে কোন সমস্যা হলে ECG করা উচিত। কারন Heart attack বয়স্ক এবং ডায়াবেটিসের রোগীর বুকে কোন ব্যাথা ছাড়াই হতে পারে।

আমার নন-মেডিকেল বন্ধুদের বলছি কেউ যদি এসব টেস্ট (CBC, RBS, S. creatinine, Urine R/E, ECG) করেন, তাহলে ভাববেন না আর জীবনেও এসব করা লাগবে না, আপনি যদি আজ সব টেস্ট করেন আর কালকেই যদি আপনার বুকে ব্যাথা হয় তবে আবারো ECG করতে হবে। দয়া করে ভুল বুঝবেন না। ডাক্তার যে টেস্ট করতে দেন তা আপনার জন্যই, আপনার চিকিতসার জন্যই।

আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের বলছি, তোমরা কোন রোগীকে চিকিতসা দেবার আগে সবসময় চেষ্টা করবে রুটিন পরীক্ষাগুলো করাতে, কারন একটা জিনিস মনে রাখবে, মেডিকেল সাইন্সে হিরো কখনই তুমি হতে পারবেনা, কিন্তু তোমার এক ভুলে তুমি জিরো হয়ে যাবে। রোগী গরীব বা ধনী সবাইকে আইডিয়াল এপ্রোচ করবে, যে টেস্ট লাগবে তা রোগীকে করতে বলবে, রোগি যদি করতে না চায় তবে নোট লিখে রাখবে এবং চিকিতসা দিবে; রোগী ভালো না হলে তোমাকে বেশি চার্জ করবে না, কারন চিকিতসার জন্য দরকা্রি পরিক্ষাতো তারা করান নাই। কিন্তু তুমি যদি পরীক্ষা না করাতে দাও আর রোগীর উন্নতি না হয় বা ঔষধের কোন সাইড ইফেক্ট হয় তবে তোমার ঘাড় ধরে বলবে আপনি কেন পরীক্ষা না করিয়ে চিকিতসা দিলেন??

সবার জন্য বলছি আপনি আপনার টিভি, ফ্রিজ, বাইক, গাড়ি মাঝে মাঝে চেক করেন, সার্ভিসিং করেন, নিজের শরীরটার বছরে ১ বার সার্ভিসিং করেন, বছরে ১ বার CBC, RBS, S. creatinine, Urine R/E, ECG, Fasting lipid profiles করে একজন ফিজ়িশিয়ানকে দেখান। এসবের জন্য ২০০০-২৫০০ টাকার বেশি খরচ হবে না। নিজের জন্য বছরে অন্তত এই টাকাটা খরচ করুন, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো থাকবেন।
NB: এটি পুরাতন পোস্ট কিছুটা মডিফাই করে আবার লিখলাম। .............................................
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

থাইরয়েড কী?থাইরয়েড হলো গলার সামনের দিকে অবস্থিত একটি প্রজাপতির মতো দেখতে হরমোন উৎপাদনকারী গ্রন্থি। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়...
05/08/2025

থাইরয়েড কী?

থাইরয়েড হলো গলার সামনের দিকে অবস্থিত একটি প্রজাপতির মতো দেখতে হরমোন উৎপাদনকারী গ্রন্থি। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া, ওজন, তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন, ঘুম ও মনোভাবের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।

থাইরয়েডের প্রধান হরমোন:

▪️ T3 (Triiodothyronine)

▪️ T4 (Thyroxine)

এই হরমোন দুটি শরীরকে সচল রাখে—অর্থাৎ কতটা শক্তি তৈরি হবে, কতটা দ্রুত শরীর কাজ করবে, তা নির্ধারণ করে।

থাইরয়েডের দুই প্রধান সমস্যা:

১. হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism)

যখন থাইরয়েড কম হরমোন তৈরি করে

লক্ষণ:

ক্লান্তিভাব

ওজন বেড়ে যাওয়া

ঠাণ্ডা লাগা

চুল পড়া ও ত্বক শুষ্ক হওয়া

মনোযোগে ঘাটতি ও বিষণ্নতা

মূল কারণ:

হ্যাশিমোটো ডিজিজ

আয়োডিনের ঘাটতি

থাইরয়েডের আংশিক অপসারণ

২. হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism)

যখন থাইরয়েড অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে

লক্ষণ:

ঘাম হওয়া ও গরম লাগা

দ্রুত হৃদস্পন্দন

ওজন কমে যাওয়া

নার্ভাসনেস বা উদ্বিগ্নতা

ঘুমের সমস্যা

মূল কারণ:

গ্রেভস ডিজিজ

থাইরয়েড নডিউল

অতিরিক্ত আয়োডিন

থাইরয়েড সমস্যা নির্ণয়ের উপায়:

TSH, T3 ও T4 রক্ত পরীক্ষা

থাইরয়েড স্ক্যান ও আলট্রাসোনোগ্রাফি

অ্যান্টিবডি টেস্ট (Autoimmune সমস্যা শনাক্তে)

চিকিৎসা:

▪️ হাইপোথাইরয়েডিজমে: হরমোন রিপ্লেসমেন্ট ওষুধ (যেমন লেভোথাইরক্সিন)

▪️ হাইপারথাইরয়েডিজমে: অ্যান্টিথাইরয়েড ওষুধ, রেডিওআইডিন থেরাপি বা অপারেশন

যা মনে রাখা জরুরি:

১. থাইরয়েড সমস্যা থাকলে আজীবন নজরদারি দরকার।

২.নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শে চলা উচিত।

৩.নিজের মতো করে ওষুধ শুরু বা বন্ধ করা বিপজ্জনক হতে পারে।

৪.স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

৫.একটি সুস্থ জীবন শুরু হয় সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতায়।

থাইরয়েডকে অবহেলা নয়—জেনে রাখুন, যত্ন নিন!

সতর্কতা মূলক পোস্টঃ৪ বছরের বাচ্চা ২০দিন আগে বাটন ব্যাটারী গিলে ফেলে যা গলায় আটকে গেলে  ৮ ঘন্টা পরে বের করা হয়।বাচ্চাটির ...
31/07/2025

সতর্কতা মূলক পোস্টঃ
৪ বছরের বাচ্চা ২০দিন আগে বাটন ব্যাটারী গিলে ফেলে যা গলায় আটকে গেলে ৮ ঘন্টা পরে বের করা হয়।বাচ্চাটির বমি বেড়ে গেলে ২০দিন পরে আমরা এন্ডোসকপি ও cotrast swallow x ray করি।এখানে দেখা যাচ্ছে বাচ্চাটির বুকের খাদ্য নালী (lower end of esophagus) পুরো পুরি বন্ধ হয়ে গেছে ওনেকটা ডাইলেট (ফুলে)হয়ে গেছে যার মধ্যে দিয়ে তরল কোন খাবার পর্যন্ত পাকস্থলীতে যায় না।এ অবস্থায় বাচ্চাটিকে একটা সাময়িক অপারেশন করে বাহির থেকে পাকস্থলীতে টিউব(Feeding gastrotomy) দিয়ে খাবার দিতে হবে।তার ২থেকে ৩মাস পর Thoracic surgeon দিয়ে যদি সম্ভব হয় কারেকটিভ সার্জারী করতে হবে যা অনেকটা জটিল অপারেশন যা এদেশে সম্ভব করে কিনা জানিনা।
"তাই আসুন আমরা সবাই সবার অবস্থান হতে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি,
বাচ্চাদের থেকে সব ধরনের ব্যাটারীসহ অন্যান্য সুক্ষ জিনিস থেকে দূরে রাখি"

ডাঃকামাল হোসেন
ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট
কনসালটেন্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিআরবি হসপিটাল

ইতোমধ্যে ৭ জন ডোনারের কাছ থেকে ৪,৫০০ বর্গ সে.মি. ত্বক সংগ্রহ করেছে দেশের প্রথম 'স্কিন ব্যাঙ্ক'!জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ...
23/07/2025

ইতোমধ্যে ৭ জন ডোনারের কাছ থেকে ৪,৫০০ বর্গ সে.মি. ত্বক সংগ্রহ করেছে দেশের প্রথম 'স্কিন ব্যাঙ্ক'!

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সম্প্রতি দেশের প্রথম স্কিন ডোনেশন ইউনিট চালু করেছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের (SGH) প্রযুক্তি সহায়তায় চালু হয় এটি। এই ইউনিটে কর্মরত আছেন ৮ জন ডক্টর এবং নার্স, যারা সবাই SGH থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

প্রশ্ন হচ্ছে, কারা চামড়া দান করেন? না, মরণোত্তর নয়। বিভিন্ন সার্জারির দরুন যাদের অতিরিক্ত চামড়া সরিয়ে ফেলা হয় তারাই সেই চামড়াটুকু স্কিন ব্যাঙ্কে দান করেন। এমন কিছু সার্জারি— ওবেসিটি সার্জারি, অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি ইত্যাদি।

ছবি: বিডিনিউজ।

Address

Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Doctors of Gazipur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Doctors of Gazipur:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram