17/09/2025
💥👩⚕️Anaphrodisia/Asexuality/Frigidity/Low libido/ মহিলাদের যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়ার প্রতিকার👍👩⚕️👨⚕️💥
যৌন ইচ্ছা হ্রাস-- দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, নির্দিষ্ট ওষুধ এবং হরমোনের পরিবর্তনের মতো শারীরিক কারণ এবং মানসিক কারণ যেমন স্ট্রেস, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং সম্পর্কের সমস্যার কারণে হতে পারে। অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন এবং ঘুমের অভাবও একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। আপনি যদি কম সেক্স ড্রাইভ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে অন্তর্নিহিত কারণ নির্ধারণ করতে এবং সম্ভাব্য চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য একজন ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা ভাল, যার মধ্যে থেরাপি, ওষুধের সমন্বয় বা জীবনধারার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত হোমিও চিকিৎসা হতে পারে প্রথম চয়েজ, যেখানে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।
আমি দুজন সিমিলার লক্ষণের মহিলা রোগীর চিকিৎসাার পর সুস্থতা নিয়ে বলতে এসেছি।
রোগী ১: গৃহিণী, কাছাকাছি বয়সের দুই বাচ্চা ও সংসার এক হাতে সামলাতে হয়। এখনকার পরিবার কাঠামো যেমন হয়... স্বামী অফিস নিয়ে চরম ব্যস্ত। স্ত্রীকে তেমন সময় দিতে পারেন না। দুই বাচ্চাকে খাওয়ানো, গোসল করানো, তাদের দুষ্টামি তদারকি করা, রাতে একজন ঘুমায় তো অন্যজন জেগে থাকে। এসব করতে করতে নিজের দিকে তাকানোর সময় পান না। নিজের ঘুম হয় না বললেই চলে। ঘুমালেও চট করে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে ইনসোমনিয়া ডেভেলপ করে। স্বামীও এমন অবস্থায় কাছে আসেন না যদিও এটা তাদের মিউচুয়াল সিদ্ধান্ত।
এখন রোগী এসে বলছে... এভাবে চলতে পারে না, (বাচ্চকে নিয়ে মা অন্য ঘরে থাকে) ইন্টারকোর্সের সময় হঠাৎ বাচ্চাদের কথা মনে পড়ে, ওরা ঠিকমত ঘুমাচ্ছে তো!? একজনের উপর আরেকজন উঠে যায়নি তো?! এরকম আরো চিন্তা মাথায় চলে আসে তখন ডিসপ্যারোনিয়া (ডাক্তারের ভাষায়)হয়। আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
রোগী ২ - স্বামী স্ত্রী দুজনেই মেডিকেল পেশায় রয়েছেন। একটা বাচ্চাকে ( ৩ বছর) নিয়ে তাদের সুখের সংসার। একজন হাউজকিপার ছিলেন, বাচ্চা তার কাছেই থাকত। কিছুদিন হল হাউজকিপার চলে যাওয়ার পর বাচ্চাকে নিয়ে মা হাসপাতালে যাচ্ছেন। হাসপাতালে বাচ্চাকে খুব সাবধানে রাখতে হয়, চারিদিকে জীবাণুর তো ছড়াছড়ি। সব সময় এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে করতে ম্যানিয়াক হয়ে গেছেন।
রোগী বলছেন--- হাসপাতালের কাজ, বাচ্চার খেয়াল রাখা, এসব ম্যানেজ করতে করতে কখন সময় চলে যায় টের পাইনা। যতক্ষণ বাসায় থাকি সারাদিন একটাই চিন্তা হয় পরের দিনের ডিউটি কিভাবে ম্যানেজ করব, বাচ্চাকে ঠিকঠাকমত দেখতে পারব তো?! জানেন তো ডেইলি ডেইলি কলিগরা স্যাক্রিফাইজ করবে না। ইন্টারকোর্সের সময় এগুলো মাথায় চলে আসে। তখন আর ভাল লাগে না যদিও শুরুটা ভালই থাকে।
আমার প্রশ্ন- আপনার হাসবেন্ড কিছু বলেছে?
রোগী- (দুজনেরই প্রায় একই উত্তর) ওর জন্যই খারাপ লাগে। ও তো পরিস্থিতি বুঝতেছে তাই কিছু বলে না। কিন্তু আমি তো ওর কষ্টটা বুঝি। আমার অতটা সমস্যা হচ্ছে না। আর আজকাল যে যুগ! ঘরে শান্তি না পেলে.... ( বাইরে শান্তি খুঁজবে এরকম)
আমার প্রশ্ন- ঝগড়া হচ্ছে নাকি?
রোগী- মেজাজ একটু চড়া থাকে, আমি বুঝতে পারি।
আমি দুজন কেই Bryonia 200 দিয়েছি।
তারা এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। (প্রাইভেসির কারণে তাদের কোন ভয়েজ বা ছবি দিলাম না)
ব্যাখ্যা
দুজনেই নিজেকে স্যাক্রিফায়েজ করেছে, যেটা তার কাছে লাভজনক মনে হয়েছে। হাসবেন্ড অন্যতে আসক্ত হলে বা সংসারে অশান্তি হলে তো তার লস। এর থেকে এই ভাল নিজেকে ঠিক করা, যেটা লাভজনক।
Bryonia লাভ- লস খুব হিসাব করে। ( Mind- TalkingG business)