Dr. Bonna's Medical Guide

Dr. Bonna's Medical Guide It's the page for medical information.

বাংলাদেশি পরিবারে এখনো অনেক জায়গায় দেখা যায়—শিশুরা মা–বাবার সঙ্গে একই ঘরে বা একই বিছানায় ঘুমায়। প্রথম দিকে এটা প্রয়োজনীয়...
23/08/2025

বাংলাদেশি পরিবারে এখনো অনেক জায়গায় দেখা যায়—শিশুরা মা–বাবার সঙ্গে একই ঘরে বা একই বিছানায় ঘুমায়। প্রথম দিকে এটা প্রয়োজনীয় হলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুকে আলাদা ঘরে দেওয়া কেন জরুরি, তা অনেকেই জানেন না।
---

👶 ০–৬ মাস:

নবজাতককে মায়ের খুব কাছেই রাখতে হয়।

বুকের দুধ খাওয়ানো, ডায়াপার বদলানো, সারাক্ষণ যত্ন—সবকিছু মায়ের হাতের নাগালে থাকতে হবে।
👉 তাই এই সময়ে শিশুকে আলাদা করা একেবারেই উচিত নয়।
---

👶 ৬ মাস – ২ বছর:

এই বয়সে শিশু ধীরে ধীরে রুটিন তৈরি করে।

তবে এখনো মা–বাবার কাছাকাছি থাকাটা নিরাপদ।
👉 আলাদা কট বা ছোট বিছানা ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু মায়ের ঘরের ভেতরেই রাখা ভালো।

---

👦 ২–৩ বছর:

শিশু কথা বলা, হাঁটা, খেলা—এসব শিখে যায়।

ধীরে ধীরে স্বাধীনতা ও নিজের জায়গার প্রয়োজন অনুভব করে।
👉 এসময় থেকে আলাদা ছোট বিছানা দেওয়া শুরু করা যায়।
---

👦 ৪–৬ বছর:

শিশু মানসিক ও সামাজিকভাবে অনেকটা পরিপক্ক হয়।

সে বুঝতে শেখে—“এটা আমার ঘর, এটা আমার জিনিস।”
👉 এই বয়সে আলাদা রুমে ঘুমানোর অভ্যাস করানো সবচেয়ে ভালো।
---

👦 ৭ বছর বা তার বেশি:

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৭ বছর বয়স পার হলে শিশুকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখা উচিত।

কারণ, এসময় থেকে শিশু তার গোপনীয়তা (privacy) ও ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে।
👉 একই ঘরে মা–বাবার ব্যক্তিগত জীবনেও তখন অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
---

🌿 কেন শিশুকে আলাদা করতে হবে?

1. স্বাধীনতা তৈরি হয় – শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।

2. আত্মবিশ্বাস বাড়ে – আলাদা ঘরে ঘুমালে সাহসী হয়।

3. গোপনীয়তা শেখে – বড় হওয়ার সাথে সাথে privacy বোঝা জরুরি।

4. শৃঙ্খলা তৈরি হয় – নিজের ঘর গুছানো ও নিজের জিনিসপত্র সামলানো শেখে।

5. মা–বাবার সম্পর্ক সুস্থ থাকে – দাম্পত্য জীবনে ব্যক্তিগত পরিসর (personal space) বজায় থাকে।
---

🚨 দেরি করলে কী ক্ষতি?

শিশু অতি নির্ভরশীল হয়ে যায়।

আত্মবিশ্বাস কমে যায়।

বাবা–মায়ের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়।

ভবিষ্যতে decision making-এ দুর্বল হয়ে পড়ে।
---

✅ শেষ কথা:

জন্মের পর প্রথম কয়েক বছর মা–বাবার কাছে থাকাটা জরুরি।
তবে ৪–৬ বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে আলাদা রুমে অভ্যস্ত করানো সবচেয়ে ভালো সময়।
এতে শিশুর স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ও ব্যক্তিত্ব—সবকিছু ইতিবাচকভাবে গড়ে ওঠে।

(সংগৃহীত)

বাস্তব ঘটনা:মাহিনার ছোট্ট ছেলে গভীর রাতে কেঁদে চলেছে। দুধ খাওয়ানো হয়েছে, ডায়াপার বদলানো হয়েছে—তবুও কান্না থামছে না। শেষম...
22/08/2025

বাস্তব ঘটনা:

মাহিনার ছোট্ট ছেলে গভীর রাতে কেঁদে চলেছে। দুধ খাওয়ানো হয়েছে, ডায়াপার বদলানো হয়েছে—তবুও কান্না থামছে না। শেষমেশ কোলে তুলে হালকা দোল দিতেই মুখে এলো শান্তির ছোঁয়া… যেন নীরবে বলছে, "এখন আমি নিশ্চিন্ত।
---

নবজাতকরা কান্নার মাধ্যমে নানা অনুভূতি প্রকাশ করে—ক্ষুধা, অস্বস্তি, বা শুধু স্নেহ চাওয়া।

মায়ের বা বাবার কাছাকাছি থাকলে শিশুর মনে নিরাপত্তা তৈরি হয়।

কাছে নেওয়া, হালকা দোল, ও মৃদু কথা—সবই শিশুর জন্য আরামের মুহূর্ত এনে দেয়।
---

শিশুকে বোঝার কিছু টিপস:

শুধু সময় নয়—তার মুখভঙ্গি ও অঙ্গভঙ্গি লক্ষ করুন।

রাতে শান্ত করতে মৃদু দোল ও কোমল কণ্ঠে কথা বলা কার্যকর হতে পারে।

দিনের বেলায় শিশুর সাথে সময় কাটানো রাতে তার কাছে নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়।
---

"আপনার শিশুর কান্না—এটা কি ক্ষুধার গল্প, নাকি শুধু আপনাকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছে? আজ একটু মন দিয়ে দেখুন ।

(সংগৃহীত)

গর্ভাবস্থায় কোমড় ব্যথা কমানোর টিপস …
21/08/2025

গর্ভাবস্থায় কোমড় ব্যথা কমানোর টিপস …

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা কেন হয়?
20/08/2025

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা কেন হয়?

19/08/2025

শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন 😊

পুরো একটা জেনারেশন PCOS-এ ভুগছে..!আজকাল মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায় আমার পিরিয়ড সময় মতো হয় না, ওজন কমছে না, বা ওজন বাড়...
19/08/2025

পুরো একটা জেনারেশন PCOS-এ ভুগছে..!
আজকাল মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায় আমার পিরিয়ড সময় মতো হয় না, ওজন কমছে না, বা ওজন বাড়ছে না, হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে ঘনঘন মুড সুইং হচ্ছে।

এগুলোই PCOS (Polycystic O***y Syndrome) এর লক্ষণ। আর অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, এটা এখন শুধু কোনো একজনের সমস্যা নয়, পুরো একটা প্রজন্ম এর শিকার।

কেন এমন হচ্ছে? এই সমস্যার কারণ মানুষ নিজেরাই। সারাদিন বসে থাকা, কম মুভমেন্ট করা, বেশি চিনিযুক্ত খাবার আর জাঙ্ক ফুড খাওয়া, রাত জাগা, অতিরিক্ত মোবাইল-লেপটপ ব্যাবহার করা, এগুলো শরীরের প্রাকৃতিক হরমোন সিস্টেমকে একদম এলোমেলো করে দিচ্ছে।

এগুলোর জন্য শরীরের ভেতরের ব্যালান্স নষ্ট হয়, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড ও হরমোন চক্রের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে।

এটা শুধু শরীরের সমস্যা নয় মানসিক দিক থেকেও এর প্রভাব ব্যাপক। হরমোনের ওঠানামায় মুড সুইং, ডিপ্রেশন, আত্মবিশ্বাস হারানো সব মিলিয়ে এক ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

মনে রাখবেন PCOS শুধু মেয়েদের রোগ নয়, এটা একটা সোশ্যাল হেলথ ক্রাইসিস হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, পরবর্তী প্রজন্ম আরও বড় সমস্যায় পড়বে।

(সংগৃহীত)

♦️ভাইরাল জ্বর নিয়ে কিছু তথ্য:১. যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা ১০২/১০৩°f আসতে পারে এবং কমলে, ১০১ এর নিচে নাও নামতে ...
18/08/2025

♦️ভাইরাল জ্বর নিয়ে কিছু তথ্য:

১. যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা ১০২/১০৩°f আসতে পারে এবং কমলে, ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতেই বা পরের দিন জ্বর কেনো কমছে না, অস্থির হওয়া যাবে না।

২. একদিনে জ্বর কমিয়ে দেয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায় যা অনেকসময় প্রকাশ পেতে ৩দিনও লেগে যায়।

৩. জ্বর হলে বাচ্চা খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিবে, বড়রাও দেয়। এই অরুচির প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নাই। সবার মতো আপনাকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প অল্প করে পানি তরল জাউ স্যুপ শরবত বা বাচ্চা যেটা খেতে চায় ( এমন কিছু দিবেন না যা আবার বমি, পাতলা পায়খানা ঘটায়) তাই খাওয়াবেন। পেশাব যেন অন্তত ২৪ ঘন্টায় ৪ বার হয়। মুখে একদমই খেতে না পারলে, পেশাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিঁচুনি হলে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

৪. হালকা জ্বরে ( ১০০ থেকে ১০২°) গা মুছে দিবেন, মুখে ঔষধ খাওয়াবেন। একবার ঔষধ খাওয়ানোর পর আবার সিরাপ দিতে অন্তত ৪/৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। আর সাপোসিটারী দিতে হলে অন্তত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

৫. বেশী জ্বরে ( ১০২° F এর উপরে গেলে) তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর প্রয়োজন হলে সাপোসিটার ব্যবহার করতে পারেন (যদিও এটা বাচ্চাদের জন্য অস্বস্তিকর), এতে জ্বর হয়তো সাময়িকভাবে ১০২ এর নিচে নামতে পারে তবে পুরোপুরি যাওয়ার সম্ভাবনা কমই ১ম তিনদিনের মধ্যে । একটা সাপোসিটারী দেয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকটা সাপোসিটারী দিতে পারবেন না। তবে ৪/৬ ঘন্টা পর সিরাপ দিতে পারেন।

৫. জ্বরের ঔষধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে, এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে এমন না। ভাইরাসের পরিমানের উপর, কতদিন এরা এক্টিভ থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে।

৬. জ্বরের ঔষধ ঘন ঘন খাওয়ানোর চেয়ে বাচ্চার যত্ন নিন, ভেজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন। ভালো ঘুমাতে দিন, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও তাকে ঘুম ভাঙিয়ে জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর দরকার নাই।

৭. থার্মোমিটার দিয়ে মেপে জ্বর ১০০ বা বেশী পেলেই জ্বরের ঔষধ খাওয়াবেন। গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগা, জ্বর ৯৮, ৯৯° ; জ্বরের আগে শীত শীতভাব, অস্থির হওয়া ইত্যাদি জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর কোন কারণ হতে পারে না।

(সংগৃহীত)

মৃত দেহের গর্ভে জীবনের আলো….একটি গল্প, যেখানে মৃত্যুই জন্মের পথ তৈরি করে। যেখানে নিঃশ্বাসহীন শরীর বয়ে বেড়ায় হৃদয়ের শব্দ।...
17/08/2025

মৃত দেহের গর্ভে জীবনের আলো….

একটি গল্প, যেখানে মৃত্যুই জন্মের পথ তৈরি করে। যেখানে নিঃশ্বাসহীন শরীর বয়ে বেড়ায় হৃদয়ের শব্দ। যেখানে প্রযুক্তি শুধু যন্ত্র নয়, মমতার বাহক হয়ে ওঠে। ব্রাজিলের ২১ বছর বয়সী তরুণী ফ্রাঙ্কলিম দে সিলভা—যিনি স্ট্রোকে মারা যান, অথচ তার গর্ভে বেড়ে উঠতে থাকে যমজ সন্তান। এই বাস্তব ঘটনাটি চিকিৎসাবিজ্ঞান, মানবতা, এবং নৈতিকতার সীমা ও সংজ্ঞা নতুন করে রচনা করেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারির এক সকালে, সাও পাওলো শহরের প্রান্তে, হঠাৎ মারাত্মক স্ট্রোক করে পড়ে যান ২১ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা ফ্রাঙ্কলিম দে সিলভা। চিকিৎসকরা বলেন—এটি ছিল হেমোরেজিক স্ট্রোক, অর্থাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত বিপর্যয়। হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় তাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে, দুইজন স্বাধীন নিউরোলজিস্ট ২৪ ঘণ্টার ভেতর ঘোষণা করেন—তিনি মস্তিষ্কমৃত (Brain Dead)।

ব্রেন ডেথ মানে হচ্ছে—শরীরের যত শিরা-উপশিরা সচল থাকুক না কেন, মানুষের চেতনা, অনুভব ও চিন্তার কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, এটি আইনগত ও চিকিৎসাগতভাবে মৃত্যু।

কিন্তু চিকিৎসকরা এক অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলেন—ফ্রাঙ্কলিমের গর্ভে থাকা ভ্রূণ দুটির হৃদস্পন্দন তখনো সচল। ৯ সপ্তাহের ভ্রূণ, এখনো অনেকটাই অপরিণত, কিন্তু স্পন্দিত। এই সংকেতই ছিল জীবনের।

ফ্রাঙ্কলিমের পরিবার জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সন্তান ধারণের স্বপ্ন দেখছিলেন। চিকিৎসকদের সামনে প্রশ্ন—এই শিশুদের জীবন বাঁচানোর জন্য কি একটি মৃত নারীর দেহকে কৃত্রিমভাবে জীবিত রাখা উচিত? প্রশ্নটা শুধু বৈজ্ঞানিক নয়, নৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়ও।

পরিবার রাজি হয়। চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন—ফ্রাঙ্কলিমের দেহকে লাইফ সাপোর্টে রেখে যমজ ভ্রূণ দুটির যত্ন নেওয়া হবে যতক্ষণ না তারা পৃথিবীতে আসার জন্য প্রস্তুত হয়।

এই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে শুরু হয় এক অভিনব যুদ্ধ—একটি মৃত মায়ের গর্ভে জীবন ধরে রাখার যুদ্ধ। একটানা ১২৩ দিন।

এই সময়ে প্রতিদিন তাকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়েছে। চিকিৎসা খরচ ছিল রীতিমতো বিশাল—প্রতিদিনের লাইফ সাপোর্ট, আইসিইউ কেয়ার, ওষুধপত্র ও পরীক্ষার জন্য খরচ হয় প্রায় $১০,০০০ মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে ১২৩ দিনে মোট খরচ দাঁড়ায় $১.২ মিলিয়ন ডলার। এই অর্থের একাংশ বহন করে সরকারি স্বাস্থ্যবীমা, এবং বাকি অংশ আসে দাতব্য সংস্থা ও নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত দানের মাধ্যমে।

সমালোচকরা প্রশ্ন তোলেন—এই খরচে তো ১০০+ শিশুর জীবন বাঁচানো যেত! তবে সমর্থকেরা বলেন, "প্রতিটি জীবনই অমূল্য, বিশেষ করে যে জীবন এখনও পৃথিবীর আলো দেখেনি।"

১২৩ দিন পর, ৩২ সপ্তাহ গর্ভকাল পূর্ণ হলে চিকিৎসকেরা প্রস্তুতি নেন। দুটি শিশু জন্ম নেয়—একটি মেয়ে, ১.৪ কেজি ওজন; একটি ছেলে, ১.৩ কেজি। জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই NICU-তে স্থানান্তর করা হয়। ফ্রাঙ্কলিমের শরীর তখনো শুয়ে আছে অপারেশন টেবিলে—নিঃস্পন্দ, নিঃশ্বাসহীন, কিন্তু তার ভেতর থেকে উঠে এসেছে দুটি নতুন প্রাণ। শিশুদের জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর, লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। পরিবার তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রাঙ্কলিমকে শেষ বিদায় জানায়। তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গও দান করা হয় অন্য রোগীদের বাঁচাতে। মৃত শরীরের প্রতিটি অংশে ছিল জীবনের স্পর্শ। এ যেন শুধু একটি জন্ম নয়, এক মায়ের আত্মদান, এক সভ্যতার বিবেক।

আজ সেই যমজ দুটি শিশু জীবিত, হাসিখুশি। তাদের নাম রাখা হয়েছে Asaph (ছেলে) এবং Anna Vitoria (মেয়ে)। তাদের ভালোবাসায় ভরা দাদা-দাদির কোলে বড় হচ্ছে। হয়তো একদিন তারা জানবে, তাদের মা মরে গিয়েও কিভাবে তাদের পৃথিবীতে আসার পথ তৈরি করে গেছেন।

এই কাহিনির প্রতিটি স্পন্দন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—মাতৃত্ব কখনো মরে না, এমনকি মৃত্যুর মধ্যেও নয়।

জয় হোক বিজ্ঞানের, জয় হোক মানবিকতার।

তথ্যসূত্র: NZ Herald (17 July 2024)

সচেতনতামূলক বার্তাটাইফয়েডের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে!১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ।৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য...
16/08/2025

সচেতনতামূলক বার্তা

টাইফয়েডের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে!
১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ।
৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সারা বাংলাদেশে ।

এই আগস্ট মাসেই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন!
🌐 রেজিস্ট্রেশন লিংক vaxepi.gov.bd

মোবাইল, পিসি কিংবা নিকটস্থ কম্পিউটার দোকান থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

🔍 রেজিস্ট্রেশনে যা লাগবে:

✅ শিশুর ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন নম্বর
✅ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর

📌 রেজিস্ট্রেশন ধাপসমূহ সংক্ষেপে:
1️⃣ ওয়েবসাইটে গিয়ে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সিলেক্ট করুন
2️⃣ শিশুর জন্মতারিখ ও বয়স লিখুন
3️⃣ জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিন
4️⃣ টিকা নেওয়ার বর্তমান ঠিকানা দিন
5️⃣ ক্যাপচা দিয়ে সাবমিট করুন
6️⃣ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিন
7️⃣ পছন্দমতো টিকাকেন্দ্র সিলেক্ট করে সাবমিট করুন
8️⃣ PDF ডাউনলোড করুন ও টিকা দেওয়ার সময় সঙ্গে নিন

🗣️ আপনার সচেতনতাই আপনার শিশুর সুরক্ষা!
💉 টাইফয়েড ভ্যাকসিন দিন, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।
✅ রেজিস্ট্রেশন করতে দেরি নয় – vaxepi.gov.bd

📣 প্রচারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ

#স্বাস্থ্যসেবা #সচেতনতা

গর্ভাবস্থার ১০টি আশ্চর্যজনক তথ্য যা আপনি হয়তো জানেন না -১. গর্ভকালীন সময়ের শেষে জরায়ু ৫০০ গুণ পর্যন্ত বড় হয়ে যায়!২. শিশ...
14/08/2025

গর্ভাবস্থার ১০টি আশ্চর্যজনক তথ্য যা আপনি হয়তো জানেন না -

১. গর্ভকালীন সময়ের শেষে জরায়ু ৫০০ গুণ পর্যন্ত বড় হয়ে যায়!
২. শিশুর হৃদস্পন্দন শুরু হয় মাত্র ৫–৬ সপ্তাহে।
৩. গর্ভবতী মা প্রায় ৫০% বেশি রক্ত উৎপন্ন করেন।
৪. শিশুরা গর্ভেই খাবারের স্বাদ অনুভব করতে পারে!
৫. অনেক সময় প্রসবের আগেই স্তন থেকে দুধ ঝরতে শুরু করে।
৬. কিছু মায়ের ঘ্রাণশক্তি গর্ভাবস্থায় তীব্র হয়ে যায়।
৭. শিশুর আঙুলের ছাপ গঠিত হয় ১০–১২ সপ্তাহে।
৮. প্লাসেন্টা একমাত্র অস্থায়ী অঙ্গ যা শরীর নিজে গঠন করে।
৯. শিশু গর্ভে ১৮–২০ সপ্তাহ থেকেই মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়।
১০. শিশুরা গর্ভেই REM ঘুমের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখে!

গর্ভাবস্থা সত্যিই এক বিস্ময়কর যাত্রা ।
(সংগৃহীত)

13/08/2025

মাঝে মাঝে কিছু মায়েরা আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে আসার সময় এমন কিছু এটম বোম ( আদর করে আমি এদের এটম বোম বলি )নিয়ে আসেন । সবসময় ভিডিও করা হয় না অবশ্য। কিন্তু এই পাকনার ভিডিও না করলে পাপ হতো না বলেন ?সে রুমে ঢুকেই আমাকে বলছে - তোমার নাম কি আগে বল ..আমি লক্ষী মেয়ের মতো আমার নাম বলেছি । কিন্তু এত বড় নাম শুনেও সে বলতে পারছিলো না । আমি দু তিনবার বলার পর সে নিজেই বলেছে আচ্ছা বাদ দাও । নিজেই শর্ট করে বলা শুরু করলো ডাক্তার সাহেব ।পরের প্রশ্ন- তোমার মাস্ক খুলো তো .. তোমাকে দেখি ?আমি বলেছি - কেন ? মাস্ক কেন খুলবো ?সে বলে - খুলো তো .. রাস্তায় দেখলে চিনতে হবে না …🙄?পরের অংশ ভিডিও তে দেখেন ।দেখুন কোন কোন ধরণের এটম বোম ফেস করে আমাদের চলতে হয়……..😂

আপনার হার্টকে (হৃদয় বা হৃদপিণ্ড) সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে নিচের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো নিয়মিত মেনে চলুন-✅ ১. সুষম খাদ্য গ...
08/08/2025

আপনার হার্টকে (হৃদয় বা হৃদপিণ্ড) সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে নিচের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো নিয়মিত মেনে চলুন-

✅ ১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন

প্রতিদিন শাকসবজি, ফল, বাদাম, ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ (যেমন সার্ডিন, টুনা, স্যামন) খান। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। চর্বিযুক্ত লাল মাংসের পরিবর্তে মুরগি বা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।

✅ ২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং বা সাঁতার কাটার মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। সক্রিয় থাকুন, অলস জীবনধারা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

✅ ৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের একটি বড় কারণ। বিএমআই (BMI) ১৮.৫ – ২৪.৯ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।

✅ ৪. ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন

ধূমপান হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত করে।

✅ ৫. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করুন

উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) ও উচ্চ কোলেস্টেরল হার্টের বড় শত্রু। বছরে অন্তত একবার চেকআপ করুন। প্রয়োজনে ওষুধ ও খাদ্যনিয়ন্ত্রণ অনুসরণ করুন।

✅ ৬. স্ট্রেস কমান

মানসিক চাপ হার্টের জন্য খুব ক্ষতিকর। মেডিটেশন, নামাজ, প্রার্থনা, নিঃশ্বাস-নিয়ন্ত্রণ ব্যায়াম বা হাঁটাচলার মাধ্যমে চাপ কমান। পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা) অবশ্যই নিশ্চিত করুন।

✅ ৭. চিনি ও মিষ্টি খাবার কম খান

অতিরিক্ত চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সফট ড্রিংক, মিষ্টি, চকলেট প্রভৃতি খাবার কমিয়ে দিন।

✅ ৮. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন

রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, রক্তে চিনি (গ্লুকোজ), ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করুন। যেকোন অস্বাভাবিকতা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

❤️ মনে রাখুন:

"আপনার হৃদয় সুস্থ থাকলে, আপনার পুরো শরীর ও জীবনই সুস্থ থাকবে।"

(সংগৃহীত)

Address

Gazipur
1701

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Bonna's Medical Guide posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Bonna's Medical Guide:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram