28/10/2024
বাঙালি এমন জাতি যারা কি-না সামনে দিয়ে তিল যেতে দেয় না কিন্তু পিছন দিয়ে বাশঁ গেলেও সমস্যা নেই। যে পাতা কপি, ফুল কপি, মুলা, বেগুন উত্তরবঙ্গে চাষ হয় গরুকে খাওয়ানোর জন্য সেই গুলোর দাম আজ প্রতি কেজি ৭০/৮০৳।
২০১০ সালে চালের দাম ১৯৳ প্রতি কেজি আজ সে চালের দাম ৭৫৳ টাকা কেজি কেন? ২ মন ধানের দাম ২২০০৳+মিল ৬০৳+বস্তা ৪০৳+বহন ৩০০৳= ৫০ কেজি চালের মুল্য ২৬০০৳ অর্থাৎ প্রতি কেজি চালের মুল্য ৫২৳! কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৩৮০০-৪২০০৳ প্রতি বস্তা অর্থাৎ ৫০কেজি। অতিরিক্ত মুল্য না কৃষক পায় না ক্রেতার সঞ্চয় হয়!
অন্যদিকে চাষাবাদের জমিতে আবাসিক প্রকল্প, রিসোর্ট, পার্ক, বড় বড় দালান এবং পশু খামারের নামে দখল করেছে। চিন্তা করা যায় কৃষি দিবানিশি প্রচার করলো ১২০০ গরুর জন্য ১২০০ বিঘা জমি দখল করে রেখেছে! ১ টি গরুর জন্য এ বিঘা, অথচ রাস্তায় এখনো হাজার মানুষের বসবাস!!
এসব দেখবে কে সরকার? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২০২৩-২৪ পালানোর আগে ১ম বার ভারত সফরে গিয়ে ফেরার পর দেশে পোশাকের স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলন! ২য় বারে কুমিল্লার মন্দিরে কোরআন শরিফ! ৩য় বার গেলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে সাথে নিয়ে আসে! কোন ফ্রান্স যে ফ্রান্স নবীকে অপমান করলো! ৪র্থ বারে গিয়ে আডানির সাথে ২৫ বছরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার বৈদ্যুতিক চুক্তি করে এসেছে। অথচ এই টাকা ডেসকো, পল্লী বিদ্যুৎ ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে পায় তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মেশিন, পরিচালনার জন্য টিম অর্থাৎ কর্মসংস্থান বাড়ে!
এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে চায় তার দেশে অশান্তি লেগে থাকুক, দেশের মানুষ কাচাঁবাজারের দামের মায়াজালে আটকে থাকুক, এরপরেও যদি কারো মাইন্ড ওয়াসের প্রয়োজন হয় তাহলে মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ লাগলো মন্ত্র তো আছেই!
আর নিজের রক্ষার জন্য সকল বাহিনীকে কাছে এনে রেখেছে! বনানী-কাকলীতে কোন সমুদ্র সৈকত রয়েছে যে নৌ-বাহিনীর সদরদপ্তর এখানে? বিমান বন্দর কই আর বাহিনী কই?
এদেশের রাস্তা জ্যামের প্রধান কারণ সরকারি সকল কর্মকর্তা যারা জনগণের সেবার দায়িত্ব নিয়ে জনগণকেই হয়রানি করছে!
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সাচালক, দিনমুজুর, গরীরদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য নিদ্রিষ্ট স্কুল, কলেজ, খেলার জন্য মাঠ, শপিং করার জন্য মল, থাকার জন্য গোটা আবাসিক এলাকা, আনন্দ ফুর্তির জন্য ক্লাব নেই যা এসকল বাহিনীর সন্তানদের জন্য রয়েছে! সরকারি ফ্যাসিলিটি যা আছে তা তো আছেই এসব তাদের ব্যাক্তি মালিকানাধীন। নিম্ন র্যাংকের সৈনিকদের জন্য এসবের সুযোগ নেই রেশন নিয়ে খুঁশি থাকো! কয়েক'শ প্রজেক্ট রয়েছে দেশে।
এ দেশের নামধারী আলেমরাও জনগণেরর সাথে ব্যাবসাই করছে, তাদের মাদ্রাসা বাড়ছে কিন্তু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, ভুকিল, বিজ্ঞানী, গবেষকের কোনো সংখ্যা নেই! রয়েছে তো চামড়ার টাকা তোলার জন্য স্পেশাল ফোর্স! আর যারা মাদ্রাসা ব্যাবসায় ব্যার্থ তাদের বিজনেজ মডেল হচ্ছে ভারতের আক্রুড, কাঠ বাদাম, চুনা বাদাম দিয়ে প্রিমিয়াম হানিনাট!
তবে যে যাই করুক কাস্টমার নিজেদের ভক্ত! পীরদের ও টাকার অভাব, মাজার আছে, মাদ্রাসা আছে, নিজেস্ব ব্রান্ড আছে সাথে ২ কোটি ভক্তও আছে।
দেশে ২০ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার আছে কিন্তু দেশের জন্য কোনো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নেই, ফ্রিল্যান্সারা গত ১০ বছর যাবত আপ ওয়ার্ক ডট কম, ফাইবার ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডট কম সহ অনেক প্লাটফর্মে কাজ করে আসছে। অন্যের জন্য ওয়েবসাইট বানাচ্ছে কিন্তু নিজের দেশের কথাই ভুলে গেছে!
দেশের অলিতে-গলিতে ব্যাংকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কিন্তু দেশে কোনো ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে নেই।
দেশে ৫৫০০ হাজার আর এম জি কারখানা, কয়েক হাজার বেকার এম বি এ এবং কয়েক হাজার ফ্যাশন ডিজাইনার উত্তরার ড্রেনে পরে রয়েছে কিন্তু দেশের কোনো ইন্টারন্যাশনাল ক্লোথিং ব্রান্ড নেই।
সুতা চায়না থেকে আনে, মেশিন চায়না নয়তো জাপান, আর শ্রমিক বাংঙালি! হয়ে গেছে মেড ইন বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ সুতার জন্যই বিখ্যাত ছিল কিন্তু আফসোস আজ ভারত, পাকিস্তান, চায়না থেকে প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারের সুতা কিনতে হয়!
গোটা বইটি মিলে লেখক একটি সুন্দর নোবেল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আশা করছি পড়া শেষে আপনাদের ভালো লাগবে ইন-শাহ্-আল্লাহ। তাই বইটি পড়তে Order Now তে ক্লিক করুন।