গোল্ডেন ভার্স স্পেশালাইজড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব, গাজীপুর।

  • Home
  • Bangladesh
  • Gazipur
  • গোল্ডেন ভার্স স্পেশালাইজড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব, গাজীপুর।

গোল্ডেন ভার্স স্পেশালাইজড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব,  গাজীপুর। Golden Verse Specialised Hospital & Digital Diagnostic Lab. is a private hospital in Sadar Gazipur.

20/10/2025

টাইফয়েড (Typhoid) জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং দিনকে দিন বৃদ্ধি পায়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো 👇

🩺 প্রধান লক্ষণসমূহ:

1. জ্বর:

প্রথমে হালকা জ্বর দিয়ে শুরু হয়, পরে ধীরে ধীরে ১০৩–১০৪°F পর্যন্ত উঠতে পারে।

জ্বর সাধারণত দিনে বাড়ে এবং রাতে কিছুটা কমে।

2. দুর্বলতা ও ক্লান্তি:

শরীর খুব দুর্বল লাগে, কিছু করতে ইচ্ছে করে না।

3. মাথাব্যথা ও শরীরব্যথা:

মাথা ভার ভার লাগে, গায়ে ব্যথা থাকে।

4. ক্ষুধামন্দা ও বমিভাব:

খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, অনেকের বমি বমি ভাব থাকে।

5. পেটের সমস্যা:

কোষ্ঠকাঠিন্য বা কখনও পাতলা পায়খানা হতে পারে।

পেট ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।

6. জিহ্বা ও মুখ:

জিহ্বার মাঝখান সাদা আস্তরণে ঢাকা থাকে, কিনারা লালচে হয়।

মুখ শুকিয়ে যায়।

7. চামড়ায় দাগ:

কিছু ক্ষেত্রে বুক বা পেটে হালকা গোলাপি দাগ দেখা দিতে পারে (rose spots)।

---

⚕️ অতিরিক্ত লক্ষণ (গুরুতর অবস্থায়):

পেট ফেঁপে যাওয়া

বিভ্রান্তি বা ঘোর ঘোর ভাব

রক্তক্ষরণ বা অন্ত্র ফেটে যাওয়া (জটিল টাইফয়েডে)

---টাইফয়েড জ্বর নির্ণয় (Diagnosis of Typhoid Fever) করতে হলে লক্ষণ ও কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হয়। নিচে সহজভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি 👇

---

🩺 ১️⃣ লক্ষণ দেখে সন্দেহ করা যায়

টাইফয়েড জ্বর সাধারণত ধীরে ধীরে বাড়ে এবং কয়েকদিন স্থায়ী হয়। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

শরীরে ধীরে ধীরে জ্বর বাড়া (সন্ধ্যায় বেশি)

মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ

পেট ব্যথা বা ডান পাশে ব্যথা

খাবারে অনীহা (খেতে ইচ্ছে না করা)

ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

কিছু ক্ষেত্রে গায়ে লালচে দাগ দেখা যায়

এই লক্ষণগুলো থাকলে টাইফয়েডের সন্দেহ হয়।

---

🔬 ২️⃣ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়

✅ (ক) ব্লাড কালচার (Blood culture)

সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা।

রক্তে Salmonella typhi ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা দেখা হয়।

রোগের প্রথম সপ্তাহে করা ভালো।

✅ (খ) উইডাল টেস্ট (Widal test)

রক্তে টাইফয়েডের অ্যান্টিবডি আছে কিনা দেখে।

সাধারণত দ্বিতীয় সপ্তাহে করা হয়।

তবে অনেক সময় ভুল ফল দিতে পারে।

✅ (গ) স্টুল বা ইউরিন কালচার

পায়খানা বা প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা দেখা হয়।

রোগের পরের দিকে কাজে লাগে।

✅ (ঘ) বোন মেরো কালচার (Bone marrow culture)

সবচেয়ে নির্ভুল (৯০% এর বেশি)।

যখন অন্য টেস্টে ফল স্পষ্ট না আসে।

---

💡 ৩️⃣ ঘরে থেকে যেভাবে সন্দেহ করতে পারেন

যদি জ্বর—

৫ দিনের বেশি স্থায়ী হয়,

দিনে-রাতে ওঠানামা করে,

ওষুধে কমে না,
তাহলে টাইফয়েড টেস্ট করানো জরুরি।

---

⚠️ ৪️⃣ কী করবেন না

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না (পরীক্ষার ফল ভুল হতে পারে)

জ্বরের সময় প্রচুর পানি পান করুন ও বিশ্রাম নিন।

Dr. Lipi Saha, who is associated with Golden Verse Specialized Hospital & Diagnostic Lab in Gazipur, Bangladesh.🩺 ডা. লি...
16/10/2025

Dr. Lipi Saha, who is associated with Golden Verse Specialized Hospital & Diagnostic Lab in Gazipur, Bangladesh.

🩺 ডা. লিপি সাহা

(Dr. Lipi Saha)
Specialist in:

Obstetrics, Gynecology, and Infertility

Laparoscopic & Hysteroscopic Surgery

Qualifications:

MBBS (DU)

BCS (Health)

MS (Gynecology & Obstetrics), Sir Salimullah Medical College (SSMC) & Mitford Hospital

FCPS (Gynecology and Obstetrics)

Advanced Laparoscopic and Hysteroscopic Surgery Training

Infertility Training from IUI & IVF Center

Current Position:
Consultant, Shaheed Tajuddin Ahmad Medical College Hospital, Gazipur
BMDC Reg. No: A-62449

---

🕒 Patient Consultation Schedule:

Saturday & Monday: 7:00 PM – 9:00 PM

Sunday & Wednesday: 3:00 PM – 5:00 PM

Friday: 9:00 AM – 11:00 AM

---

🏥 Hospital Address:

Golden Verse Specialized Hospital & Diagnostic Lab
Muktijoddha Bhaban, Holding No. 217/3 (Ka), Cha Bagan,
Purba Joydebpur, Gazipur.

Voyer kotha.
15/10/2025

Voyer kotha.

রাজধানী ঢাকার মত জনবহুল এলাকার বিভিন্ন নামি-দামি আবাসিক জায়গা থেকেও গত সাড়ে ৩ মাসে অন্তত ৩২১ টি বি*ষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।যাদের বেশিরভাগই আবার বি*ষধর পদ্মগোখরো।এই উদ্ধারকাজ করেছে অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।সংস্থার আহ্বায়ক আদনান আজাদ জানান,গত সাড়ে তিন মাসে তারা ৩২১টি সাপ ঢাকা নগর ও আশপাশ থেকে উদ্ধার করেছেন।উদ্ধার করা সাপগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই বি*ষধর পদ্মগোখরা।
বেশিরভাগ সাপ উদ্ধার হয়েছে উত্তরা,উত্তরখান,
দক্ষিণখান,বনশ্রী,মোহাম্মদপুর,বছিলা আফতাবনগর এলাকা থেকে।এছাড়াও নিকেতন,মিরপুর এলাকার বাসাবাড়ি থেকে।

15/10/2025

সর্প দংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যান্টিভেনোম এর প্রয়োগ! জেনে রাখুন প্রাণ রক্ষাকারী তথ্যগুলো 👇

⚠️সর্প দংশন মানেই নিশ্চিত মৃত্যু নয়, কেউ দংশনের শিকার হলে তাকে সাহস দিন ও আশ্বস্ত করুন হাসপাতলে গিয়ে চিকিৎসা করালে সে সুস্থ হবে।

✳️দংশিত স্থানে বা ক্ষত জায়গায় কোন ধরনের কাটা ছেঁড়া করবেন না। মুখ দিয়ে বিষ চুষে বের করার চেষ্টা করবেন না। সম্ভব হলে কিছুটা পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে দিন।

✳️রোগীকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে শান্ত থাকতে বলুন।

✳️পড়নে টাইট জামাকাপড় অথবা আংটি বা অন্যান্য অর্নামেন্ট থাকলে তা খুলে ফেলুন।

✳️শুধুমাত্র রোগীর মনবল বাড়াতে দংশিত স্থানের কয়েক ইঞ্চি উপরে' কাপড় বা ফিতা দিয়ে খুব হালকা/সহশা করে একটি বাধন দিতে পারেন।

✳️দংশনের পর প্রতিটা মুহূর্ত অনেক মূল্যবান তাই খুব তারাতারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।

✳️খেয়াল রাখবেন দ্রুতগামী বাহনে রোগীকে বসিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং রোগীর সাথে স্বাভাবিক কথা বলতে বলতে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

✳️কি সাপে কামড়েছে তা দেখা বা জানা আবশ্যক নয়,
তাই সাপ খুঁজে বের করতে সময় নষ্ট করার এবং মেরে বা জীবিত ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সাপ মারতে গেলে অথবা ধরতে গেলে আবারো সর্পদংশনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোটাই অত্যাবশ্যকীয় বিষয়।

✳️আমাদের দেশে বিষধর সাপে কাটার একমাত্র নির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে অ্যান্টিভেনোম প্রয়োগ। তাই রোগীকে ওঁঝা কবিরাজ ও গুণীনের কাছে নিয়ে গিয়ে ঝাড়ফু করে অতি মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হবে।

⚕️অ্যান্টিভেনোম এর প্রয়োগের মাত্রা ও ব্যবহারবিধিঃ-

✳️ বিষধর সাপ দংশনের পর প্রাথমিক ডোজ হিসেবে অ্যান্টিভেনোম ইনজেকশন সরবরাহকৃত WFI দিয়ে দ্রবীভূত করে দুটি উপায়ে দেয়া হয়ে থাকে।
১, সরারসি ৫-১০ ভায়াল প্রতি মিনিটে ২মি.লি. হিসাবে শিরাপথে দিতে হবে।
২, ৫-১০ ভাইয়াল' নরমাল স্যালাইন বা গ্লুকোজ(২৫০-৫০০মি.লি.) এর সাথে মিশিয়ে ৫-১০মি.লি./কেজি ওজন হিসেব করে এক ঘন্টার উপরে শিরাপথে দিতে হবে। শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একই ডোজ প্রযোজ্য।

✳️অ্যান্টিভেনোম প্রয়োগের প্রথম এক ঘণ্টা রোগীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

✳️সাপের বিষ যদি হিমোটক্সিক হয় তাহলে ৬ ঘন্টা পর পর হোল ব্লাড ক্লটিং টেস্ট (WBCT)এর মাধ্যমে রোগীর লক্ষণগুলো উন্নতি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
যদি উন্নতি লক্ষ করা না যায় তাহলে পুনরায় ৫-১০ ভায়াল অ্যান্টিভেনোম প্রয়োগ করতে হবে।

✳️নিউরোটক্সিক বিষ এর ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার মধ্যে যদি রোগীর কোন প্রকার উন্নতি দেখা না যায় তাহলে পুনরায় অ্যান্টিভেনোম প্রয়োগ করতে হবে

✳️সাধারণত ১৫ থেকে ২০ ভায়াল অ্যান্টিভেনাম প্রয়োগ করলেই রোগীর মধ্যে উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। তবে এতেও রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখা না গেলে এর অধিক অ্যান্টিভেনম রোগীকে দেয়া যেতে পারে।

✴️নির্বিষ সাপের ক্ষেত্রে অ্যান্টিভেনোম এর প্রতিক্রিয়াঃ
যদি কোন বিষহীন সাপ রোগীকে কামড় দিয়ে থাকে এবং সেই রোগীকে অ্যান্টিভেনোম প্রয়োগ করা হয় তাহলে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। অ্যান্টিভেনোম অত্যন্ত নিরাপদ। রোগীর সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমনঃ চুলকানি চামড়া ফুলে যাওয়া ও লাল হয়ে যাওয়া ব্যতীত অন্য কোন প্রাণঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।

⚕️সতর্কতাঃ আন্টিভেনাম প্রয়োগের কোন প্রতিনির্দেশিকা নেই। যদি কোন রোগী অ্যান্টিভেনোমের কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে যথাযত সতর্কতা বিধি গ্রহণ করতে হবে। সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য ০.২৫মি.লি. অ্যান্ডেনালিন ইনজেকশন রোগীর চামড়ার নিচে দেয়া যেতে পারে। সাপের বিষ যদি হেমোটক্সিক হয়ে থাকে তাহলে মাংসপেশিতে যেকোনো ইনজেকশন প্রয়োগ করলে সেই জায়গাতে রক্ত জমাট বাধা বা রক্তক্ষরণ হতে পারে।

✴️অন্যান্য করনীয়ঃ কেউটে ও গোখরা জাতীয় সাপ কামড়ালে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় সেজন্য অক্সিজেন দেওয়ার দরকার হতে পারে। তাই সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
চন্দ্রবোড়া জাতীয় সাপের কামড়ে দংশিতস্থান থেকে প্রচুর রক্তকরণ হতে পারে। তাই রক্তপাত বন্ধ করার জন্য রোগীকে ভিটামিন k দেয়া যেতে পারে।

🔅উপসংহারঃ সর্প দংশনের চিকিৎসা আমাদের দেশের জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে।
সর্বোপরি সর্পদংশনের চিকিৎসা হওয়ার পূর্বে সর্পদংশনই যাতে না হয় সেটার খেয়াল রাখা উচিত সবার।
বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে রাখা, ঘরে ইঁদুর ও অন্যান্য প্রাণী যাতে না আসতে পারে সেটার খেয়াল রাখা।
কৃষি ক্ষেতে কাজ করতে গেলে পায়ে গামবুট পরিধান ও লাঠি দিয়ে জংলা জায়গায় সাপ আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নেয়া। রাতে রাস্তা চলাচলের ক্ষেত্রে টর্চ ব্যবহার করা।
ঘুমানোর আগে মশারি বিছানার চারদিকে গুঁজে দেয়া সহ আরো অন্যান্য কিছু সতর্কতা মেনে চললে সর্পদংশন এড়ানো সম্ভব।

🖋️..Rakib Al Mim
founder: Snake rescue & wildlife awareness organization rangpur.
(অ্যান্টিভেনোম ডোজ তথ্য সংগ্রহ: ইনসেপ্টা নির্দেশিকা)

⏺️জনসচেতনতা বাড়াতে পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।

ডেঙ্গু জ্বরের (Dengue fever) প্রধান লক্ষণগুলো সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। নিচে ধাপে ধাপে লক্ষণগু...
14/10/2025

ডেঙ্গু জ্বরের (Dengue fever) প্রধান লক্ষণগুলো সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। নিচে ধাপে ধাপে লক্ষণগুলো দেওয়া হলো 👇

🩺 প্রাথমিক লক্ষণ (প্রথম ৩–৭ দিন)

হঠাৎ উচ্চ জ্বর (১০২°F–১০৫°F পর্যন্ত)

তীব্র মাথাব্যথা

চোখের পেছনে ব্যথা (eye pain)

পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা (“breakbone fever” নামেও পরিচিত)

বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ (জ্বরের কয়েকদিন পর দেখা দিতে পারে)

শরীর দুর্বল লাগা, ক্ষুধামন্দা

---

⚠️ গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণ (Dengue Hemorrhagic Fever / Severe Dengue)

এই পর্যায়ে দ্রুত চিকিৎসা জরুরি —

পেটব্যথা (বিশেষ করে ডান পাশের ওপরের দিকে)

অবিরাম বমি

নাক, মাড়ি বা চামড়ায় রক্তপাত

বমি বা পায়খানায় রক্ত আসা

শরীর ফোলা বা পানি জমা

অত্যন্ত দুর্বলতা, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

---

🏥 কখন ডাক্তার দেখাবেন

২–৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে

বমি বা পেটে ব্যথা শুরু হলে

রক্তপাত বা দুর্বলতা দেখা দিলে

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ (বিশেষ করে Brufen / Aspirin) খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

---ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের (diagnosis) জন্য কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত রোগের লক্ষণ ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত করা যায়। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো 👇

🧪 ১. প্রাথমিক রক্ত পরীক্ষা

CBC (Complete Blood Count):
এতে প্লেটলেট সংখ্যা ও হোয়াইট ব্লাড সেল (WBC) দেখা হয়।
👉 ডেঙ্গু হলে সাধারণত প্লেটলেট কমে যায় এবং WBC-ও কম থাকে।

🔬 ২. বিশেষ ডেঙ্গু টেস্ট

NS1 Antigen Test:
রোগের শুরুতে (প্রথম ১–৫ দিনের মধ্যে) এই টেস্ট সবচেয়ে কার্যকর।
👉 রক্তে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রোটিন (NS1 antigen) পাওয়া গেলে এটি পজিটিভ হয়।

IgM & IgG Antibody Test:

IgM antibody দেখা যায় সাধারণত ৫–৭ দিন পর থেকে।

IgG antibody দেখা যায় পরে, যা পুরনো সংক্রমণ নির্দেশ করে।
👉 এই দুই টেস্ট একসাথে করে বোঝা যায় এটি নতুন না পুরনো সংক্রমণ।

🏥 ৩. অন্যান্য প্রয়োজনে

LFT (Liver Function Test): যদি লিভার আক্রান্ত হয় বা জন্ডিস থাকে।

Hematocrit Test: রক্তে লাল কণিকার ঘনত্ব (Hematocrit) বেড়ে গেলে ডেঙ্গুর জটিলতা বোঝা যায়।

⚕️ কখন পরীক্ষা করবেন

জ্বর ২–৩ দিন থাকলে এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ (চোখের পেছনে ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা, ফুসকুড়ি, বমি ইত্যাদি) দেখা দিলে সাথে সাথে পরীক্ষা করা উচিত।

ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন (বাংলাদেশে) এখনো নেই 😔
তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন নিলে বেশিরভাগ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।

নিচে ধাপে ধাপে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ও যত্নের মূল বিষয়গুলো দেওয়া হলো 👇

---

⚕️ ১. সাধারণ (mild) ডেঙ্গুর চিকিৎসা

ডেঙ্গুর শুরুতে (যখন রক্তপাত বা জটিলতা নেই) তখন চিকিৎসা হয় লক্ষণ অনুযায়ী (symptomatic treatment)।

🩺 করণীয়:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

পানি ও তরল বেশি খেতে হবে, যেমন—

স্যালাইন (ওরাল স্যালাইন),

ডাবের পানি,

স্যুপ, ফলের রস, ইত্যাদি।
👉 শরীরের পানি ঘাটতি যেন না হয়।

জ্বর কমাতে:

কেবল প্যারাসিটামল (Paracetamol) খাওয়া যাবে।
❌ Aspirin, Ibuprofen, Diclofenac ইত্যাদি ব্যথার ওষুধ একদম নয়— এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

---

⚠️ ২. জটিল বা মারাত্মক (severe) ডেঙ্গু হলে

নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি:

অতিরিক্ত বমি বা খাওয়ার অরুচি

পেট ফোলা বা তীব্র ব্যথা

নাক বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া

প্লেটলেট সংখ্যা অনেক কমে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়া

হাসপাতালে চিকিৎসা:

সালাইন (IV fluid) দিয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করা হয়।

রক্তে প্লেটলেট ও হিমাটোক্রিট পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্রয়োজনে প্লেটলেট বা রক্ত দেওয়া হয়, তবে সব রোগীর দরকার হয় না।

---

❤️ ৩. ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর

জ্বর কমে গেলেও অন্তত ৭ দিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

পুষ্টিকর খাবার (ভিটামিন, প্রোটিন, তরল) খেতে হবে।

আবার জ্বর হলে বা রক্তপাত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চমৎকার 👍
নিচে আমি তোমার জন্য ডেঙ্গু জ্বরের দিনভিত্তিক চিকিৎসা ও যত্নের গাইডলাইন দিচ্ছি 👇

---

🩺 ডেঙ্গু চিকিৎসা পরিকল্পনা (দিনভিত্তিক গাইডলাইন)

🔸 ১ম–২য় দিন (জ্বরের শুরু)

লক্ষণ: উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি।
করণীয়:

প্রচুর বিশ্রাম নাও।

হালকা খাবার খাও (খিচুড়ি, স্যুপ, ফল)।

প্রচুর পানি, ওরাল স্যালাইন, ডাবের পানি পান করো।

Paracetamol (500 mg) – জ্বর বেশি হলে ৬ ঘণ্টা পর পর ১টি (ডাক্তারের পরামর্শে)।

❌ Aspirin / Ibuprofen / Naproxen খেও না।

পরীক্ষা করাও:

NS1 antigen test (সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই সময়ে)।

CBC (Complete Blood Count) রিপোর্ট দেখে রাখো।

---

🔸 ৩য়–৫ম দিন (জ্বর কমে আসা বা ওঠানামা)

লক্ষণ: জ্বর ওঠানামা করতে পারে, কিছুটা দুর্বলতা, মাঝে মাঝে বমি ভাব।
করণীয়:

পানি ও তরল খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়াও।

প্রতিদিন CBC পরীক্ষা করে প্লেটলেট সংখ্যা ও হিমাটোক্রিট দেখো।

যদি প্লেটলেট ১ লাখের নিচে নামে বা হিমাটোক্রিট বেড়ে যায় → ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করো।

লবণযুক্ত তরল (স্যালাইন, স্যুপ) খাওয়া খুব জরুরি।

---

🔸 ৬ষ্ঠ–৭ম দিন (গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় – জটিলতা হতে পারে)

লক্ষণ: জ্বর কমে গেলেও বিপদ শেষ নয়। অনেক সময় এই সময়েই বিপজ্জনক হয়।
সতর্ক হও যদি —

পেট ব্যথা বা ফুলে যাওয়া,

বমি বাড়ে,

নাক/মাড়ি দিয়ে রক্ত,

প্রস্রাব কমে যায়,

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়া শুরু হয়।

করণীয়:

দ্রুত হাসপাতালে যাও।

চিকিৎসকের নির্দেশে IV fluid দেওয়া লাগতে পারে।

নিয়মিত প্লেটলেট ও হিমাটোক্রিট মনিটর করো।

---

🔸 ৮ম–১০ম দিন (সুস্থতার সময়)

লক্ষণ: জ্বর নেই, কিন্তু দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা থাকতে পারে।
করণীয়:

হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাও (ডিম, মাছ, ফল, স্যুপ)।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নাও।

তরল ও ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবার খাও (লেবু, কমলা, পেয়ারা)।

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজ শুরু করো।

---

❤️ বিশেষ পরামর্শ

ডেঙ্গু হলে ভয় পেও না — সময়মতো সঠিক যত্নে প্রায় সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়।

“জ্বর কমেছে মানেই সুস্থ” — এটা ভুল; ৬ষ্ঠ–৭ম দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাও।

---

কম খরচে সুন্নতে খাতনা/ মুসলমানি। লোকাল এ্যানেসথেসিয়া দিয়ে  ৪০০০ টাকাজেনারেল এ্যানেসথেসিয়া দিয়ে  ৮০০০ টাকাঅপারেশন করবেন ড...
14/10/2025

কম খরচে সুন্নতে খাতনা/ মুসলমানি।

লোকাল এ্যানেসথেসিয়া দিয়ে ৪০০০ টাকা
জেনারেল এ্যানেসথেসিয়া দিয়ে ৮০০০ টাকা

অপারেশন করবেন ডা: মো: সাখাওয়াত হোসেন স্যার।
সহকারী অধ্যাপক শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

টনসিল / নাকের ডি এন এস / পলিপ  অপারেশন ৫ টা প্যাকেজ প্যাকেজ  ৫ সিঙ্গেল বেড কেবিন ১৬০০০ টাকা প্যাকেজ  ৪ ডাবল বেড  কেবিন ১...
14/10/2025

টনসিল / নাকের ডি এন এস / পলিপ অপারেশন

৫ টা প্যাকেজ

প্যাকেজ ৫ সিঙ্গেল বেড কেবিন ১৬০০০ টাকা
প্যাকেজ ৪ ডাবল বেড কেবিন ১৮,০০০ টাকা।
প্যাকেজ ৩ নরমাল এসি কেবিন / ভি আই পি নন এসি কেবিন ২০,,০০০ টাকা
প্যাকেজ ২ ভি আই পি এসি কেবিন ২২,০০০ টাকা
প্যাকেজ ১ ভি ভি আই পি এসি কেবিন ২৫,০০০ টাকা

এই প্যাকেজ এ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সব ঔষধ সহ ( অপারেশন এর ঔষধ সহ)

সব কেবিন এ ডাবল বেড আছে। সাথে আছে এ্যাটাচ বাথরুম।
ভি আই পি এসি কেবিন এ এ্যাটাচ বারান্দা আছে।

এই রেট এ অপারেশন করাতে পারবেন - নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
ডা: মো: এনামুল হক এনাম
/ ডা: মো: মোস্তফা কামাল হোসেন
/ ডা: মহসিন মৃধা
/ ডা: সোহাগ রানা

এছাড়া অন্য অনেক সার্জন দিয়ে অপারেশন করাতে পারবেন তবে খরচ কম বেশি হতে পারে।

রক্ত পরিসন্চালন এবং পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য আলাদা খরচ দিতে হবে।

অ্যাপেনডিসাইটিস ( Appendicitis)  অপারেশনOpen procedure / কেটে করলে  ৪ টা প্যাকেজ প্যাকেজ  ৪ -> নন এসি কেবিন ১৮,০০০ টাকা।...
14/10/2025

অ্যাপেনডিসাইটিস ( Appendicitis) অপারেশন

Open procedure / কেটে করলে

৪ টা প্যাকেজ

প্যাকেজ ৪ -> নন এসি কেবিন ১৮,০০০ টাকা।
প্যাকেজ ৩ -> নরমাল এসি কেবিন / ভি আই পি নন এসি
কেবিন ২১,০০০ টাকা
প্যাকেজ ২ -> ভি আই পি এসি কেবিন ২৩,০০০ টাকা
প্যাকেজ ১ -> ভি ভি আই পি এসি কেবিন ২৫,০০০ টাকা

এই প্যাকেজ এ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সব ঔষধ সহ ( অপারেশন এর ঔষধ সহ)

রক্ত পরিসন্চালন এবং পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য আলাদা খরচ দিতে হবে।

এই অপারেশন স্পাইনাল এনেস্থিসিয়া দিয়ে করা হয়। ছোট বাচ্চা হলে জেনারেল এনেস্থিসিয়া দিয়ে করতে হলে ৩০০০ টাকা এবং Burst Appendix হলে ৫০০০ টাকা খরচ বাড়বে।

Laparoscopy / মেশিন দিয়ে করালে

৪ টা প্যাকেজ

প্যাকেজ ৪ -> নন এসি কেবিন ২২,০০০ টাকা।
প্যাকেজ ৩ -> নরমাল এসি কেবিন / ভি আই পি নন এসি
কেবিন ২৫,০০০ টাকা
প্যাকেজ ২ -> ভি আই পি এসি কেবিন ২৭,০০০ টাকা
প্যাকেজ ১ -> ভি ভি আই পি এসি কেবিন ৩০,০০০ টাকা

সব কেবিন এ ডাবল বেড আছে। সাথে আছে এ্যাটাচ বাথরুম।
ভি আই পি এসি কেবিন এ এ্যাটাচ বারান্দা আছে।

এই রেট এ অপারেশন করাতে পারবেন - সার্জারী বিশেষজ্ঞ সার্জন
ডা: এ, বি, সিদ্দিক
/ ডা: মো: সাখাওয়াত হোসেন
/ ডা: কৃষ্ণ কুমার দাস
/ ডা: আবদুল্লাহ আল মোমেন
স্যার দের দিয়ে।

এছাড়া অন্য অনেক সার্জন দিয়ে অপারেশন করাতে পারবেন তবে খরচ কম বেশি হতে পারে।

হার্নিয়া / হাইড্রোসিল অপারেশন ৪ টা প্যাকেজ প্যাকেজ  ৪ নন এসি কেবিন ১৮০০০ টাকা।প্যাকেজ  ৩ নরমাল এসি কেবিন /  ভি আই পি নন ...
14/10/2025

হার্নিয়া / হাইড্রোসিল অপারেশন

৪ টা প্যাকেজ

প্যাকেজ ৪ নন এসি কেবিন ১৮০০০ টাকা।
প্যাকেজ ৩ নরমাল এসি কেবিন / ভি আই পি নন এসি কেবিন ২১,০০০ টাকা
প্যাকেজ ২ ভি আই পি এসি কেবিন ২৩,০০০ টাকা
প্যাকেজ ১ ভি ভি আই পি এসি কেবিন ২৫,০০০ টাকা

এই প্যাকেজ এ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সব ঔষধ সহ ( অপারেশন এর ঔষধ সহ)

রক্ত পরিসন্চালন এবং পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য আলাদা খরচ দিতে হবে।

সব কেবিন এ ডাবল বেড আছে। সাথে আছে এ্যাটাচ বাথরুম।
ভি আই পি এসি কেবিন এ এ্যাটাচ বারান্দা আছে।

এই রেট এ অপারেশন করাতে পারবেন - সার্জারী বিশেষজ্ঞ সার্জন

ডা: এ, বি, সিদ্দিক
/ ডা: মো: সাখাওয়াত হোসেন
/ ডা: কৃষ্ণ কুমার দাস
/ ডা: আবদুল্লাহ আল মোমেন
স্যার দের দিয়ে।


এছাড়া অন্য অনেক সার্জন দিয়ে অপারেশন করাতেপারবেন তবে খরচ কম বেশি হতে পারে।

কম খরচে  নরমাল ডেলিভারি প্যাকেজ ৪  -> ৮০০০ টাকা।ভর্তি ফি ৩০০ টাকা।
14/10/2025

কম খরচে নরমাল ডেলিভারি

প্যাকেজ ৪ -> ৮০০০ টাকা।

ভর্তি ফি ৩০০ টাকা।

Address

Gazipur
880

Telephone

+8801303737963

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গোল্ডেন ভার্স স্পেশালাইজড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব, গাজীপুর। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to গোল্ডেন ভার্স স্পেশালাইজড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব, গাজীপুর।:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category