20/10/2025
টাইফয়েড (Typhoid) জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং দিনকে দিন বৃদ্ধি পায়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো 👇
🩺 প্রধান লক্ষণসমূহ:
1. জ্বর:
প্রথমে হালকা জ্বর দিয়ে শুরু হয়, পরে ধীরে ধীরে ১০৩–১০৪°F পর্যন্ত উঠতে পারে।
জ্বর সাধারণত দিনে বাড়ে এবং রাতে কিছুটা কমে।
2. দুর্বলতা ও ক্লান্তি:
শরীর খুব দুর্বল লাগে, কিছু করতে ইচ্ছে করে না।
3. মাথাব্যথা ও শরীরব্যথা:
মাথা ভার ভার লাগে, গায়ে ব্যথা থাকে।
4. ক্ষুধামন্দা ও বমিভাব:
খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, অনেকের বমি বমি ভাব থাকে।
5. পেটের সমস্যা:
কোষ্ঠকাঠিন্য বা কখনও পাতলা পায়খানা হতে পারে।
পেট ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
6. জিহ্বা ও মুখ:
জিহ্বার মাঝখান সাদা আস্তরণে ঢাকা থাকে, কিনারা লালচে হয়।
মুখ শুকিয়ে যায়।
7. চামড়ায় দাগ:
কিছু ক্ষেত্রে বুক বা পেটে হালকা গোলাপি দাগ দেখা দিতে পারে (rose spots)।
---
⚕️ অতিরিক্ত লক্ষণ (গুরুতর অবস্থায়):
পেট ফেঁপে যাওয়া
বিভ্রান্তি বা ঘোর ঘোর ভাব
রক্তক্ষরণ বা অন্ত্র ফেটে যাওয়া (জটিল টাইফয়েডে)
---টাইফয়েড জ্বর নির্ণয় (Diagnosis of Typhoid Fever) করতে হলে লক্ষণ ও কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হয়। নিচে সহজভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি 👇
---
🩺 ১️⃣ লক্ষণ দেখে সন্দেহ করা যায়
টাইফয়েড জ্বর সাধারণত ধীরে ধীরে বাড়ে এবং কয়েকদিন স্থায়ী হয়। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
শরীরে ধীরে ধীরে জ্বর বাড়া (সন্ধ্যায় বেশি)
মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ
পেট ব্যথা বা ডান পাশে ব্যথা
খাবারে অনীহা (খেতে ইচ্ছে না করা)
ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
কিছু ক্ষেত্রে গায়ে লালচে দাগ দেখা যায়
এই লক্ষণগুলো থাকলে টাইফয়েডের সন্দেহ হয়।
---
🔬 ২️⃣ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়
✅ (ক) ব্লাড কালচার (Blood culture)
সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা।
রক্তে Salmonella typhi ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা দেখা হয়।
রোগের প্রথম সপ্তাহে করা ভালো।
✅ (খ) উইডাল টেস্ট (Widal test)
রক্তে টাইফয়েডের অ্যান্টিবডি আছে কিনা দেখে।
সাধারণত দ্বিতীয় সপ্তাহে করা হয়।
তবে অনেক সময় ভুল ফল দিতে পারে।
✅ (গ) স্টুল বা ইউরিন কালচার
পায়খানা বা প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা দেখা হয়।
রোগের পরের দিকে কাজে লাগে।
✅ (ঘ) বোন মেরো কালচার (Bone marrow culture)
সবচেয়ে নির্ভুল (৯০% এর বেশি)।
যখন অন্য টেস্টে ফল স্পষ্ট না আসে।
---
💡 ৩️⃣ ঘরে থেকে যেভাবে সন্দেহ করতে পারেন
যদি জ্বর—
৫ দিনের বেশি স্থায়ী হয়,
দিনে-রাতে ওঠানামা করে,
ওষুধে কমে না,
তাহলে টাইফয়েড টেস্ট করানো জরুরি।
---
⚠️ ৪️⃣ কী করবেন না
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না (পরীক্ষার ফল ভুল হতে পারে)
জ্বরের সময় প্রচুর পানি পান করুন ও বিশ্রাম নিন।