23/09/2023
ডাক্তার মোঃ ইব্রাহিম খলিল
বিএইচএমএস ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
০১৯১২১৯৭৩৮২
*★*ইউরিক অ্যাসিড রোগে
কার্যকারি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ *★*
আজকাল প্রচুর মানুষ ইউরিক অ্যাসিড ( URIC ACID) রোগে আক্রান্ত। এবং গেঁটে বাতে কষ্ট পাচ্ছেন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সমন্ধে বলবার আগে ইউরিক অ্যাসিড ও গেঁটে বাত সমন্ধে কিছু আলোচনা করছি।
ইউরিক অ্যাসিড কি
ও
কোথা থেকে আসে?
মানবদেহে পিউরিন নামক উপাদান বিশ্লেষিত হয়ে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। শরীরে স্বাভাবিকভাবেই পিউরিন উপস্থিত থাকে।
এছাড়াও অর্গানিক মিট, স্টেক ও সামুদ্রিক খাবার থেকেও পিউরিন পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল, বিশেষ করে বিয়ার এবং ফ্রুক্টোজসমৃদ্ধ পানীয় পান করলে দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং কিডনির মধ্য দিয়ে মূত্রে পৌঁছায়। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে দেহে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড পরবর্তীতে ইউরেট ক্রিস্টালে রূপান্তরিত হয়ে এবং অস্থিসন্ধি ও এর চারপাশের টিস্যুতে জমতে শুরু করে। যার ফলে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং তীব্র ব্যথাসহ ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ/জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।
এখন প্রশ্ন শরীরে ইউরিক অ্যাসিড প্রয়োজন কেন ?
আমাদের শরীরের পটাশিয়াম, সোডিয়াম- বাইকার্বনেট বা এলকালাইন অর্থাৎ ইলেকট্রোলাইটস-এর ব্যালেন্স রক্ষায় ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা পালন করে। সবার রক্তে এটি খুব অল্প পরিমাণে থাকে, যা মূলতঃ দেহের ডেড সেল এবং খাদ্যের উপাদান পিউরিন থেকে উৎপন্ন হয়। তবে এটি আমাদের শরীরে একটি টক্সিন ( বর্জ্য পদার্থ) উপাদান।
স্বাভাবিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড পিউরিন সমৃদ্ধ গৃহীত খাদ্য থেকে আমাদের দেহের যকৃতে উৎপন্ন হয়ে রক্তে মিশে যায় এবং রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কিডনিতে পৌঁছায়। কিডনি একে দেহ থেকে বের করে দেয়।
আমাদের শরীরে যে ইউরিক অ্যাসিড আছে, তার এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদিত হয় খাবারের পিউরিন থেকে আর দুই–তৃতীয়াংশই কিন্তু কোষের নানা বিপাক ক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। কোনো কারণে যদি কিডনি ইউরিক অ্যাসিড নিষ্কাশন না করতে পারে বা ইউরিক অ্যাসিড বিপাকের এনজাইমে ঘাটতি থাকে, কিংবা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হতে থাকে, তবে তা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হতে পারে। আবার কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে।
যকৃতে উৎপন্ন বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড কিডনির কার্যকারিতায় মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে অপসারিত হয়।
এটা শরীরের স্বভাবিক প্রক্রিয়া।
এখন প্রশ্ন পিউরিন কি?
পিউরিন যা ডিএনএ এর গাঠনিক উপাদান । একটি কোষে ডিএনএ এবং আরএনএ গঠন করতে সমান পরিমাণে পিউরিন এবং পাইরিমিডিনের প্রয়োজন হয়।
কোন কোন খাবারে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে ?
সাধারণতঃ যে কোন পশু পাখির মাংস, মাছ ( সামুদ্রিক মাছে আরো বেশি থাকে) ডিম, এমনকি গরু ছাগলের দুধেও পিউরিন পাওয়া যায়।
ইস্ট ( যা বেকারি, ছানা তৈরি জন্য, কোল্ড ড্রিংক বা দেশি-বিদেশি মদ তৈরির জন্য ব্যবহার হয় )।
শাক-সব্জির মধ্যে
বিভিন্ন ডাল, টমেটোর বীচি সহ সব ধরনের বীচি মাশরুম, পালং শাক, সীম, বরবটি সহ আরো কিছু সব্জিতে।
ফলের মধ্যে আম, কলা, সফেদা, খেজুর, কিসমিস, আখ, তাল, চিনি ইত্যাদি।
তবে উদ্ভিদ থেকে পাওয়া
পিউরিন শরীরে খুব ক্ষতি করে না। যতখানি ক্ষতি করে প্রাণীজ পিউরিন।
এমনকি শুঁটকি মাছেও পিউরিন থাকে।
বাড়লে কি কি রোগ হতে পারে ?
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকার কারণে কোনো উপসর্গ বা সমস্যা হয় না।
কিন্তু ধীরে ধীরে এই বেড়ে যাওয়া ইউরিক এসিড অল্প অল্প করে শরীরের বিভিন্ন খাঁজে বা পকেটগুলোয় জমা হতে থাকে এবং ক্রিস্টালের আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে একদিন হঠাৎ করে জয়েন্ট ফুলে উঠে, লাল হয়ে যায় এবং তীব্র ব্যথা হয়। ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলো দেখতে সুঁচের মতো হওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়ে থাকে। আবার শরীরের রক্তে এই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলেই যে সবসময় শুধু গেঁটে বাত হবে এমনটি নয়।
এই ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে গিয়ে যদি দেহের কিডনিতে জমা হয় এবং সেখানে পাথর হতে পারে, যাকে চলতি কথায় KIDNEY STONE বলি বা CALCULUS বলে থাকি, আবার ত্বকের নিচে জমা হলে তা থেকেও এক ধরনের বাতও হতে পারে।
এছাড়াও ইউরিক এসিড বেশি থাকলে হৃদরোগ,স্ট্রোক বা ডায়াবেটিস ( রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি হয় ) সহ অনেক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ব্যপারে আধুনিক গবেষণায় বেশ কিছু কথা জানা যায়, যেমন ইউরোপিয়ান জার্নাল ওফ মেডিসিন বা লিমেরিক স্কুল ওফ মেডিসিনের গবেষকরা বা ইউ এল স্কুল ওফ মেডিসিন বিভাগের বায়োস্ট্যাটিস্টিকসের সিনিয়র গবেষক ডাঃ লিওনাভ ব্রাউনে মতে , রক্তে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের জন্য পুরুষ ও মহিলাদের জীবনকাল যথাক্রমে ১১ ও ৬ বছর কমে যায়।
এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন কিডনি সমস্যা হলেই কি রক্তে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায় ?
এক কথায় উত্তর - না।
কিডনি আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ, কিডনির কাজ হচ্ছে ছাকনির মতো, শরীরের বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে মুত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেওয়া। কিন্তু সমস্ত যন্ত্রের সীমাবদ্ধ ক্ষমতা থাকে, তাই মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ শরীরে প্রবেশ করালে কিডনি Filter করে দিবে এই ধরনটা ভুল।
তাই শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী আহার দরকার, অতিরিক্ত আহার উচিত নয়।
বিশেষ করে প্রানীজ উৎস থেকে পাওয়া খাবার বা কেমিক্যাল যুক্ত খাবার বা রেডিমেট খাবার থেকে যতটা বিরত থাকা যায় ততো ভালো।
ইউরিক অ্যাসিড রোগ টি মানুষ নিজেই তৈরি করে, তার ভুল জীবন শৈলীর জন্য। একে বলা হয় LIFE STYLE DISEASE।
★*★গেঁটে বাত (GOUT) হলে কি করবেন ? ★*★
আপনার খাদ্যের তালিকায় পর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার রাখুন। এবং পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার যতটা কম খাওয়া যায়।
এবং
দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার জল খেতে হবে।
আঁশযুক্ত খাবার সমন্ধে আমার লেখা বা প্রতিবেদনে আছে, পড়ে দেখতে পারেন। তাই এখানে বিস্তারিত আলোচনা করলাম না
*★*★ ইউরিক অ্যাসিডের জন্য সৃষ্ট রোগ সারাতে কর্যকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ *★*★
হোমিওপ্যাথিকে যে কোন রোগ উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে যে রক্তে মাত্রাতিরিক্ত URIC ACID থাকলে হোমিওপ্যাথিক দুই টি ঔষধ একত্রে মিশিয়ে জলের সাথে দিনে তিন বার খেলে কল্পনাতীত সুফল পাওয়া যায়।
1. BERBERIS VULGARIS Q(Mother tincture)
ও
2. URTICA URENS
Q(Mother tincture)
দুটো ঔষধ থেকে পাঁচ পাঁচ ফোঁটা করে দশ ফোঁটা ১/২ কাপ হাল্কা গরম জলে দিনে তিন বার খেতে হবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ঐ ঔষধ মিশ্রিত জল চায়ে মতো অল্প অল্প করে খেতে হবে।
এই ঔষধ খাবার পর বড় গ্লাসের এক গ্লাস জল খাবেন।
এবং
LYCOPODIUM 1M
মাসে এক বার খেতে হবে।
এছাড়া উপসর্গ অনুযায়ী নিন্মলিখিত ঔষধ গুলো মধ্যে যে কোন একটি ঔষধ খেতে হবে।
১).COLCHICUM 30
এই ঔষধ টি গেঁটে বাত রোগের বিশেষ কর্যকরি। এর লক্ষ্মণ ঃ- এক সন্ধিতে ( JOINT) ব্যথা শুরু হয়ে অন্য সন্ধিতে সরে আসে। একটু নাড়িলে চড়িলেই ব্যথা বেড়ে যায়, এমনকি হাতের ছোঁয়াতেও ভয়ানক ব্যথা হয়।
আক্রান্ত স্থান ঘোর লালবর্ণ দেখায় এবং ফুলে উঠে। এই ঔষধে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
Colchicum Q (Mother tincture) Extranul Use করা যেতে পারে, এতে সাময়িক ব্যথা কম হয়।
২), ACID BENZ. 30
এই ঔষধটি লক্ষ্মণ সন্ধিস্থলে(Joint) ব্যথা হয়, এবং আক্রান্ত স্থান টি ফুলে উঠে ছোট ছোট টিবলী( NODES) হয়।
এই রোগীর প্রস্রাবে খুব দুর্গন্ধ হয়।
৩), LEDUM PAL 30
এই ঔষধ যারা মদ নিয়মিত পান করেন, তাদের URIC ACID র সমস্যা হলে ভালো কাজ করে। এই ঔষধের লক্ষ্মণ ব্যথা বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায় এবং ঠাণ্ডা সেঁকে কিছুটা আরাম পায়।
ব্যথা পায়ে নিন্মে শুরু হয়ে উপরে উঠতে থাকে।
৪).GUAIACUM 200
এই ঔষধ টি পুরনো গেঁটে বাতে( GOUT) র ঔষধ। গেঁটে বাত রোগের কষ্ট পেতে পেতে পেশী-বন্ধনী ( টেন্ডন) সঙ্কুচিত হয়ে ক্ষুদ্র হয়,তাতে অঙ্গের বিকৃতি ঘটে, রোগী ইচ্ছে মতো চলাফেরা করতে পারে না, গাঁটে খুব ছোট ছোট পাথরের কুচির মতো এক প্রকার পদার্থ ( Concretion) জমাটবদ্ধ হয় এতে রোগী খুব কষ্ট পায়। ( When the joints have been distorted by the concretion).
৫), CAUSTICUM 200
এই ঔষটিও পুরনো গেঁটে বাতে ভালো কাজ করে।
আক্রান্ত স্থান টি খুব শক্ত ও অসাড় হয়ে থাকে, মনে হয় যেন সেখানকার মাংসপেশি সমূহ একত্রে বাঁধা আছে, বেদনার প্রকৃতি খেঁচে ধরা বা ছিড়েঁ ফেলার মতো। তবে রোগী বিছানায় শুলে আরাম বোধ করে।
৬), ACID LACTIC 200
এই ঔষধ টি Sugarএর পেসেন্টদের URIC ACID বেশি থাকলে ভালো কাজ করে। এই ঔষধের বিশেষ লক্ষ্মণ ঃ- সমস্ত গাঁটে তীক্ষ্ণ বেদনা, হাতের কব্জি, কনুই,আঙুলের গাঁট কিম্বা গাঁটে ফোলা, নড়াচড়া করলে অত্যন্ত ব্যথা বাড়ে এবং রাত হলে কষ্ট আরো বেড়ে যায়। রোগীর খুব ঘাম হয়, চলতে গেলে সমস্ত শরীর কাঁপে।
৭).LAC -CANINUM 200
এই ঔষধটি গেঁটে বাতে কাজ করে। তবে এ-র উদ্ভুত লক্ষ্মণ ঃ- আজ বেদনা ডান দিকের উপরিভাগে কাল বামদিকের নিন্মভাগে অথাৎ CROSSWISE বেদনা। ( Erratic pains,alternating Sides).
৮),RHODODENDRON 200
এই ঔষধটি গেঁটে বাতে বিশেষ কর্যকরি। এই ঔষধটি লক্ষ্মণ ঃ- পা বা পায়ের তলায় কিংবা ছোট ছোট সন্ধিতে গেঁটে বাত, তবে ব্যথা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না, খুব অল্প পরিসরে ব্যথা হয়,এবং চলে যায় হটাৎ করে ব্যথা শুরু হয়ে ক্রমশ হাড়ের বাইরের আবরণে( Periosteum) ব্যথা অনুভব হয়। এই ব্যথা নাড়াচাড়া করলে আরাম পায় কিন্তু বিশ্রামে বা আকাশ মেঘলা হলে বেদনা বৃদ্ধি পায়।
৯), STELLARIA M 30
এই ঔষধটি গেঁটে বাতে ( GOUT) র প্রাথমিক ঔষধ। হটাৎ করে পায়ের বুড়ো আঙুলের ব্যথা,এবং তীক্ষ্ণ বেদনা, গাঁট শক্ত, আক্রান্ত স্থান রোগী ছুঁতে দেয় না, এই অবস্থায় এই ঔষধ বিশেষ কর্যকরি।
১০), URIC ACID 30
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, গেঁটে ব্যথাও আছে কিন্তু কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কাজ করছে না তখন এই ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও আরো অনেক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে যা ইউরিক অ্যাসিড বা গেঁটে বাত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় লক্ষ্মণ অনুযায়ী।
★*★ গেঁটে বাত ( GOUT) ঘরোয়া চিকিৎসা ★*★
১).বার্লি ও ২) মেথি
বার্লি ঃ-
বার্লিতে অনেক গুণ রয়েছে। তা জেনে বেশ অবাক হয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, কপার, প্রোটিন রয়েছে। এর পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিড, ডায়েটারি ফাইবার এবং অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বার্লিতে পাওয়া যায়।
কি ভাবে খাবেন বা তৈরি করবেন ?
জেনে নিন ঃ-
১০০ গ্রাম বার্লি অল্প জলে গুলিয়ে নিয়ে ১.৫ লিটার জলে মিশিয়ে হাল্কা আঁচে ৩০ মিনিট অনবরত নাড়া চাড়া করে নামিয়ে ফেলুন এবং হাল্কা গরম থাকা অবস্থায় নেবুর রস মিশিয়ে নিন।
দিনে কমপক্ষে একবার চায়ের মতো অল্প অল্প করে সমস্ত বার্লি জলটি খেয়ে নিন। ( স্বাদ মতো মধু বা লবণ মেশাতে পারেন)
সাত দিন ব্যবহার করলে দেখবেন ম্যাজিক। URIC ACID জন্য কষ্ট গায়েব।
২). মেথি ঃ-
রাতে ১ চামচ ( ৫গ্রাম ) মেথি জলে ভিজিয়ে পরের দিন, সকালে খালি পেটে মেথি ভিজানো জল খাবেন এবং ঐ ভেজানো মেথি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন, প্রয়োজনে গুর বা মধু মাখিয়ে নিতে পারেন। এবং এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন, দেখবেন, দারুণ সুস্থ থাকবেন। চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে না।
★*বিশেষ কথা জেনে রাখা ভালো। ★* ঃ- শরীর কে রোগ মুক্ত করতে প্রতিদিন আহারে ৫০% খাবার ফল এবং স্যালাট খান অথাৎ কাঁচা পাকা ফল কাঁচা সব্জি খান এতে শরীরে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম পরিমাণের সমতা বজায় রাখে। পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ১ঃ১ থাকলে কোন রোগ আক্রান্তের হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে । হলেও autophagy মাধ্যমে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।