Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly

Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly Dr. Md. His professional trajectory—from rural Bangladesh to international medical forums.

Shahadat Hossain Shibly exemplifies the modern physician-scholar whose career bridges clinical excellence, academic rigor, and compassionate patient care.

12/10/2025

🏃‍♂️ ব্যায়াম পারে হৃদয়ের বয়স উল্টো ঘুরিয়ে দিতে — যদি শুরু হয় ৬৫ বছরের আগেই!

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় না — বরং বয়স ও অলস জীবনের কারণে হওয়া ক্ষতিও উল্টে দিতে পারে।

🩺 গবেষকরা দেখেছেন, সপ্তাহে ৪–৫ দিন নিয়মিত ব্যায়াম (দুই বছর ধরে) করলে —
✅ শরীরের অক্সিজেন গ্রহণক্ষমতা ১৮% বৃদ্ধি পায়
✅ হৃদপিণ্ডের স্থিতিস্থাপকতা বা ইলাস্টিসিটি ২৫% বেড়ে যায়

ফলাফল: হৃদপিণ্ড আরও শক্তিশালী, দক্ষ ও তরুণ হয়ে ওঠে।

এই প্রোগ্রামে ছিল —
➡️ মাঝারি মাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম
➡️ স্বল্প সময়ের উচ্চমাত্রার ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং
➡️ শক্তিবর্ধক বা রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং

🗣️ ড. বেঞ্জামিন লেভিন, ডিরেক্টর, Institute for Exercise and Environmental Medicine, বলেন —

> “ব্যায়ামকে দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতার মতো অভ্যাসে পরিণত করা উচিত — এটি বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন।”

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বয়স ও নিষ্ক্রিয় জীবনধারা হৃদয়ের বাঁ দিকের ভেন্ট্রিকলকে শক্ত করে ফেলে, যার ফলে রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু নিয়মিত ও পরিকল্পিত ব্যায়াম সেই স্থিতিস্থাপকতা ফিরিয়ে আনতে পারে — তবে শর্ত একটাই: শুরুটা হতে হবে ৬৫ বছরের আগে।

📚 প্রকাশিত হয়েছে: Circulation জার্নালে (সূত্র: Harvard Health Publishing)

👉 বার্তা স্পষ্ট —
চলাফেরা শুরু করার জন্য কখনোই দেরি নয়, তবে যত তাড়াতাড়ি শুরু করবেন, হৃদয় তত বেশি তরুণ থাকবে।

#হৃদযন্ত্রস্বাস্থ্য

17/09/2025

🫀✨ Good News for Heart Health!

“Serum Lipid Profile” বা Triglyceride test খালি পেটে করার দরকার নেই ✅

👉 দিনের যেকোনো সময় করা যাবে।

🔬 গবেষণায় প্রমাণিত: খাওয়ার পরের TG-ই ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ভালোভাবে দেখায়।

💡 এতে রোগীর ঝামেলা কমে, ঝুঁকি বোঝা হয় আরও স্পষ্টভাবে।

Evidence-based, patient-friendly care! 🌍

আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস এবারের  প্রতিপাদ্য বিষয় "আর্থ্রাইটিস চিকিৎসাযোগ্য , অবহেলা করবেন না l"আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন’ ...
12/10/2022

আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় "আর্থ্রাইটিস চিকিৎসাযোগ্য , অবহেলা করবেন না l"

আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন’ আটল্যান্টা’-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই সাত মিলিয়নের বেশি লোক এখন আরথ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বাত ও জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।

শরীরের জয়েন্টে ব্যথা আগে বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে দেখা গেলেও বর্তমানে এটি কম বয়সের মানুষের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নিজস্ব কিছু অবহেলার কারণেই বাড়তে থাকে এই রোগ।

জেনে নেই এই অসুখের লক্ষণগুলি-

 জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা দেখা দিবে।

 শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখাও কঠিন হয়ে যায়।

 শরীরের যে কোনও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

 ব্যাথার জায়গাটা অনেক সময় ফুলে যায়।

 ব্যাথার জায়গা লাল হয়ে যেতে পারে।

 ব্যথার জন্য হাঁটাচলা বা দৈনন্দিন কোনও কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

ব্যায়াম না করা, ওজন বেশি থাকা, হাই হিল জুতো পরা, ধূমপান করার কারনে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এমন কোনও লক্ষণ যদি আপনার শরীরেও দেখা দেয় তাহলে ঘরে বসে না থেকে দ্রুত রোগটির চিকিৎসা নিন। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন, তত দ্রুতই সমস্যা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা থাকবে।

যারা ঝুঁকিপূর্ণ

১. যাদের বয়স বেশি, যেমন বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২. ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ৪৫ পরবর্তী নারীদের এটি বেশি হয়।
৩. অস্থিসন্ধিতে যেকোনো ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন তাদের ঝুঁকি বেশি।
৪. যাদের ওজন বেশি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
৫. কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়।

আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর জন্য যা যা করবেন –

আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বাড়াবেন না। কারণ হাঁটুতে চাপ পড়তে পারে।
নিয়মিত শরীরের অঙ্গগুলি নাড়াচাড়া করুন। কাজকর্মের মধ্যে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
সময়মতো ঔষধ নিন তাহলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
সময় সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জলে স্নান না করাই ভালো। উষ্ণ হালকা গরম জলে স্নান করুন।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান।

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ মানসিক...
10/10/2022

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে l

মনের যত্ন না নেওয়া ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে। এর জন্য প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সুস্থ-সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা। হতাশা, বিষণ্নতা, অপ্রাপ্তি, একাকিত্ব-মানুষের মনোজগতে এসবের রয়েছে প্রচণ্ড প্রভাব। শুধু গুরুতর মানসিক রোগী নয়, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের নেয় না বেশিরভাগ মানুষ।

কিভাবে মানসিক রোগ সনাক্ত করবেন ? ( সংক্ষেপে)

মানসিক রোগ হলো মস্তিষ্কের একধরনের রোগ৷ এখানে আমি সংক্ষেপে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এগুলি থাকলেই মানসিক রোগ সেটা নয়, এর অনেক গুলি পর্যায় আছে, তার ওপর বিচার করতে হয় এটি মানসিক রোগ কিনা।
তবে এটা ঠিক, মানসিক রোগ খুব কষ্টদায়ক, এই রোগের রুগীর বেশির ভাগই নিজেদের সুস্থ্ ভাবে।
এ ধরনের অসুস্থতায় মানুষের আচার আচরণ, কথা-বার্তা, চিন্তা-ভাবনা অস্বাভাবিক হয়ে যায়৷
মানসিক রোগ দু ধরনের হতে পারে :-
১) মৃদু ধরনের মানসিক রোগ।
২) তীব্র ধরনের মানসিক রোগ।

মৃদু ধরনের মানসিক রোগের ক্ষেত্রে জীবনের স্বাভাবিক অনুভূতিগুলো (দুঃখবোধ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি) প্রকট আকার ধারণ করে৷
মানসিক রোগের ক্ষেত্রে যে সকল লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলো :-
✓ অহেতুক মানসিক অস্থিরতা।
✓ দুশ্চিন্তা-ভয়ভীতি, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা,
✓ একই চিন্তা বা কাজ বারবার করা ( শুচিবাই ),
✓ মানসিক অবসাদ,
✓ বিষন্নতা,
✓ অশান্তি,
✓ বিরক্তি,
✓ অসহায় বোধ, কাজে মন না বসা,
✓ স্মরণশক্তি কমে যাওয়া,
✓ অনিদ্রা, ক্ষুধামান্দ্য,
✓ সন্দেহ করা,
✓ আত্মহত্যার করার প্রবণতা বেড়ে যায় ইত্যাদি৷
এছাড়া শিশুদের (বড়দেরও দেখা যায়) ADHD, ADD, LEARNING DISABILITY ( প্রচন্ড চঞ্চল, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না, একজায়গায় স্থির থাকে না, রাগ, জেদ, পড়াশুনা ঠিক করে করতে সমস্যা, মনোযোগ কম, পড়াশুনা বুঝতে ( অঙ্ক ) পারে না, রিডিং পড়তে পারে না ভাল করে, বানান ভুল, পশুদের মারা ইত্যাদি।)
তীব্র ধরনের মানসিক রোগের ক্ষেত্রে আচার আচরণ, কথাবার্তা স্পষ্টভাবে অস্বাভাবিক হয় । ফলে আশেপাশের মানুষরা এটা বুঝতে পারে৷
এ ক্ষেত্রে যে সকল লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলো :-
✓ অহেতুক মারামারি, ভাঙচুর করা, গভীর রাতে বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া।
✓ আবোল-তাবোল বলা।
✓ সন্দেহ প্রবণতা।
✓ একা একা হাসা ও কথা বলা।
✓ নিজেকে বড় মনে করা।
✓ বেশি বেশি খরচ করা।
✓ স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি লোপ পাওয়া।
✓ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া।
✓ খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না করা ।
✓ নিজেকে নিজের আঘাত করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় l সংগৃহীত

বিশ্ব হার্ট দিবস 2022 এর থিম হল  ‘প্রতিটি হৃদয়ের জন্য       হৃদয় ব্যবহার করুন’. ‘প্রত্যেক হৃদয়ের জন্য হৃদয় ব্যবহার ক...
29/09/2022

বিশ্ব হার্ট দিবস 2022 এর থিম হল
‘প্রতিটি হৃদয়ের জন্য
হৃদয় ব্যবহার করুন’.

‘প্রত্যেক হৃদয়ের জন্য হৃদয় ব্যবহার করুন’ থিমে, “হৃদয় ব্যবহার করুন” এর অর্থ ভিন্নভাবে চিন্তা করা, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, সাহসের সাথে কাজ করা এবং অন্যদের সাহায্য করা। একইভাবে, “ফর এভরি হার্ট” এর মধ্যে “ফর” এর ব্যবহার জড়িত এবং ক্রিয়াকলাপ থেকে ফোকাসকে এই ধরনের কর্মের উত্তরাধিকারীর দিকে স্থানান্তরিত করে, প্রচারাভিযানের ব্যাপক প্রয়োগের অনুমতি দেয় এবং এটিকে আরও ব্যক্তিগত করে তোলে।

এই বিশ্ব হার্ট দিবসে, মানবতার জন্য ‘হার্ট’ ব্যবহার করুন, প্রকৃতির জন্য ‘হার্ট’ ব্যবহার করুন এবং আপনার জন্য ‘হার্ট’ ব্যবহার করুন l

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বিশ্বে ১.২৮ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুইতৃতীয়াংশ বাস করে বাংলাদেশসহ নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে।
অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োাজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

প্রতি দুই মিনিটে দেশে একজন মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। আর প্রতি ঘণ্টায় মারা যায় প্রায় ৩২ জন মানুষ। একদিনে এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭৬৯ জনে। যার সংখ্যা মাসে ২৩ হাজার ৮৩। হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়।

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে শীর্ষে। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল(পিএইচও) যা বাংলাদেশের ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত।

ট্রান্সফ্যাট ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় খাবার। এটি রক্তের ‘ভালো’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও ‘খারাপ’ কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে অতিরিক্ত মাত্রার কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বাংলাদেশে বছরে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন, যার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করা না হলে বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল এবং হার্ট বিট অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশঙ্কার বিষয় হলো সাম্প্রতিক সময়ে দেশে তরুণদের মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি এবং সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজন এ খাতে সরকারের বাজেট বাড়ানো।

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২      ‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’। বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায়...
27/09/2022

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২

‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’।

বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। বাংলাদেশেও বছরে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন জলাতঙ্কে। শুধু মানুষই নয়, প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশুও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে দেশে। রোগটি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতেই গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর র‌্যাবিস কন্ট্রোলের উদ্যোগে প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়।

জলাতঙ্ক যেভাবে ছড়ায়: কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বানর, বেঁজি, বাদুড় ইত্যাদি র্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং আক্রান্ত উল্লেখিত প্রাণি মানুষকে কামড়ালে মানুষের এ রোগ হয়। এসব আক্রান্ত প্রাণির মুখের লালায় র্যাবিস ভাইরাস থাকে। এ লালা পুরোনো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া ক্ষতের বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে এলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে।

জলাতঙ্কের লক্ষণ: সন্দেহজনক প্রাণি কামড়ানোর ৯ থেকে ৯০ দিনের মাঝে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। কারো শরীরে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উন্মত্ত বা পাগলামো আচরণ এবং মৌন আচরণ—এ দুই ধরনের আচরণ দেখা দিতে পারে।অস্বাভাবিক আচরণে আক্রান্ত ব্যক্তির কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গি হবে অস্বাভাবিক। সে উদ্দেশ্য ছাড়াই ছুটে বেড়াবে, ক্ষুধামন্দা হবে, বিকৃত আওয়াজ করবে, বিনা প্ররোচনায় অন্যকে কামড়াতে আসবে ইত্যাদি।

এছাড়া পানির পিপাসা খুব বেড়ে যাবে, তবে পানি খেতে পারবে না। পানি দেখলেই আতঙ্কিত হবে, ভয় পাবে। আলো-বাতাসের সংস্পর্শে এলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। খাবার খেতে খুবই কষ্ট হবে, খেতে পারবে না। শরীরে কাঁপুনি, মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হবে। কণ্ঠস্বর কর্কশ হতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা দেবে।

মৌন আচরণে আক্রান্ত স্থান একটু অবশ অবশ লাগবে। শরীর নিস্তেজ হয়ে ঝিমুনি আসতে পারে। মানুষের চোখের আড়ালে থাকা, শরীরে কাঁপুনি ও পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে।

সন্দেহজনক প্রাণি কামড় বা আঁচড় দিলে যা করবেন:

সন্দেহভাজন প্রাণি কামড়ানো বা আঁচড়ানোর সাথে সাথে ক্ষতস্থানটি ১০-২০ মিনিট ধরে সাবান বিশেষ করে কাপড় কাঁচা সাবান ও প্রবহমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ক্লোরহেক্সিডিন বা পোভিডোন আয়োডিন দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে ওয়াশ করতে হবে। এতে ৭০-৮০% জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়।

জীবাণুর সংস্পর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা:

ক্যাটাগরি ১: পশু যদি শুধু স্পর্শ করে বা অক্ষত চামড়ায় লেহন করে, তবে কিছু করতে হবে না।

ক্যাটাগরি ২: আঁচড়, রক্তপাতহীন ছুলে গেলে চামড়ার যত্ন নেওয়া এবং টিকা নিতে হবে।

ক্যাটাগরি ৩: চামড়া ভেদ করা কামড়, ছুলে যাওয়া চামড়া কিংবা দেহাভ্যন্তরে লেহন, মুখমণ্ডল বা পিঠে মেরুদণ্ডের কাছাকাছি আঁচড়, রক্তখেকো বাদুড়ের আঁচড়ে চামড়ার যত্ন, টিকা ও ইমিউনোগ্লোবিন ইনজেকশন নেওয়া লাগবে।

টিকার ধরন এবং ডোজ:

জলাতঙ্কের দুই ধরনের টিকা রয়েছে। একধরনের টিকা মাংসপেশিতে (শুধু বাহুতে) এবং অন্যটি চামড়ায় দিতে হয়। চামড়ায় দেওয়া টিকা বেশি কার্যকর, কম খরচ হলেও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে মাংসপেশির টিকাই বেশি প্রচলিত।

আগে কিংবা গত পাঁচ বছরে টিকা দেওয়া হয়নি, এমন ব্যক্তি বা শিশুর জন্য ডোজ: ০ (কামড় নয়, টিকা দেওয়ার দিন), ৩, ৭, ১৪দিন। আরেকটি সূচি হচ্ছে ০তম দিনে দুই বাহুতে ২টি টিকা এবং ৭ ও ২১তম দিনে ১টি করে টিকা।

* পশু আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।

* কোনো কারণে ইমিউনোগ্লোবিন পাওয়া না গেলে (ক্যাটাগরি ৩) ০তম দিনে দুই বাহুতে ২ টিকা নিতে হবে। ৩, ৭, ১৪ ও ২৮তম দিনে নিয়ে ডোজ পূর্ণ করতে হবে।

* পাঁচ বছরের মধ্যে টিকা নেওয়া থাকলে ০ ও তৃতীয় দিনে বুস্টার টিকা নিলেই হবে।

* ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কামড়ের আগেই টিকা—০ ও তৃতীয় দিন; এরপর আক্রান্ত হলে ০, ৭ ও ২১/২৮তম দিন।

* শুধু গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের পর যদি সেই প্রাণী পরবর্তী ১০ দিন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, তবে ১৪ ও ২৮তম দিনের টিকা না দিলেও হবে।

একটি কথা বলা উচিত, জলাতঙ্ক মস্তিষ্কের এমন একটি গুরুতর অসুখ, যেটা প্রতিরোধের জন্য কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না। অন্তঃসত্ত্বা, স্তন্যদানকারী মা, নবজাতক শিশু, অতিবয়স্ক ব্যক্তিও টিকা নিতে পারবেন। কোনো রকম সন্দেহ, প্রশ্ন থাকলেও অসুখের ভয়াবহতা বিবেচনা করে টিকা নিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে

ক্ষতস্থানে যা করা যাবে না: ক্ষতস্থানে কোনো স্যালাইন, বরফ, চিনি, লবণ ইত্যাদি ক্ষারক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। বাটিপড়া, পানপড়া, চিনিপড়া, মিছরিপড়া, ঝাড়ফুঁক ইত্যাদি জলাতঙ্কের হাত থেকে কাউকে বাঁচাতে পারে না। ক্ষতস্থান কখনোই অন্য কিছু দিয়ে কাটা, চোষণ করা বা ব্যান্ডেজ করা যাবে না। এতে বরং ইনফেকশন হতে পারে। ক্ষতস্থানে বরফ, ইলেকট্রিক শক দেওয়া যাবে না কিংবা হাত-পা বাঁধাও যাবে না। কোনো কবিরাজ বা ওঝার শরণাপন্ন হয়ে কোনো অবৈজ্ঞানিক কিংবা অপচিকিৎসা গ্রহণ করে সময় ক্ষেপণ করবেন না।

যেসব প্রাণির কামড়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই: ইঁদুর, খরগোশ, কাঠবিড়ালী, গুঁইসাপ ইত্যাদি কামড় দিলে র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে টিটেনাস ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষ অবস্থায় ভ্যাকসিন নিতে সমস্যা হবে কি: গর্ভাবস্থায়, মায়ের স্তন্যদানকালে, অন্য যেকোনো অসুস্থতায়, ছোট বাচ্চা বা বৃদ্ধ ব্যক্তি এরকম কোনো বিশেষ অবস্থায় জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নিতে কোনো সমস্যা নেই।

Address

Monowara Doctors Chamber & Consultation Centre , 233/2(Baganbari Road, Besides IFIC Bank Sub-branch)
Goran
1219

Telephone

+8801722055922

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Shahadat Hossain Shibly:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram