Assunnah Ruqyah service

Assunnah Ruqyah service বদনজর, জিনের সমস্যা, জাদু, শারীরিক ও মা?

02/10/2024

জিনেরা কি মানুষের প্রেমে পড়ে?
মানুষ যেভাবে আরেক মানুষকে ভালোবাসে; পুরুষ নারীকে, নারী পুরুষকে, জিনও সেভাবে কোনো মানুষের প্রেমে পড়তে পারে।
সে যখন কাউকে পছন্দ করে ফেলে তখন সে মানুষটি যদি অন্য কারও সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, জিন তাকে শাস্তি দেয়। এমনকি হত্যা পর্যন্তও করতে পারে। এ সকল ঘটনাই কোনো না-কোনো সময় ঘটেছে; পুরুষ ও নারী উভয় প্রকার জিনের ক্ষেত্রেই। তাই মুসলিম পুরুষ ও নারীদের দায়িত্ব হলো—জিকিরের ব্যাপারে সচেতন হওয়া; বিশেষত শৌচাগারে প্রবেশ ও সহবাসকালীন জিকিরগুলোর ব্যাপারে। কারণ আল্লাহর জিকির ছাড়া কাপড় খোলার কারণে জিনেরা মানুষের প্রতি কামাতুর হয়ে পড়ে।
'জিনজাতির বিস্ময়কর জগৎ' বই থেকে একটুখানি।
সমকালীন প্রকাশন

25/09/2024

জ্বিন নিয়ে ছোটবেলা থেকেই একটু কৌতূহল আছে। এজন্য জ্বিন সম্পর্কিত আয়াত, হাদিস বা ঘটনা পেলে নোট করার চেষ্টা করি। আজ একটি হাদিস পড়লাম।

রাসুল ﷺ বলেন : জ্বিন তিন ধরনের।

صِنْفٌ لَهم أجنِحةٌ يَطيرونَ في الهَواءِ
#এক. যাদের ডানা আছে, এরা শূন্যে উড়ে বেড়ায়।

وصِنفٌ حَيَّاتٌ وكِلابٌ
#দুই. এরা সারাক্ষণ কুকুর ও সাপের আকৃতিতে থাকে।
وصِنْفٌ يَحلُّونَ ويَظعَنونَ
#তিন. এরা মানুষের কাছে আসে আবার চলে যায়।

(সহিহ ইবনু হিব্বান: ৬১৫৬)

#জ্বিনের ছোঁয়ায় মানুষ কি পাগল হতে পারে?
হ্যাঁ। জ্বিনের স্পর্শে মানুষ পাগল হতে পারে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন :
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي
يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ
অর্থ: যারা সুদ খায়, তারা সেই ব্যক্তির মত কিয়ামতের দিন উঠবে, যাদেরকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। (সুরা বাক্বারাহ: ২৭৫)

আল্লাহ তায়াল দুষ্ট জ্বিনের আছর থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

© Abdullah Al Monsur (H)

07/05/2024

"বান্দার জীবনে খাদ্য-পানীয়, পোশাক আশাক যতটা জরুরী, তার চাইতে বেশি জরুরী সূরা ফালাক ও নাস-এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া।"
— ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)

সূত্র: বাদায়েউল ফাওায়েদ: ২/১৯৯
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এই সূরাগুলো পড়েন তো?

16/04/2024

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,"অনেক রোগী এমন আছে যারা‌ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই শুধু দোয়ার দ্বারা, উপকারী ঝাড়ফুঁকের দ্বারা, অন্তরের শক্তির দ্বারা কিংবা উত্তম তাওয়াক্কুলের দ্বারা সুস্থ হয়ে যায়।"(মাজমাউল‌ ফাতাওয়া:২১/৫৬৩)।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন,"আল্লাহর যিকর‌, তাঁর দিকে অগ্রসর হ‌ওয়া, তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া, সালাতের‌ দিকে ধাবমান হ‌ওয়া এগুলোর দ্বারা কতো দুস্থ, রোগ শোকে আক্রান্ত মানুষ সুস্থ হয়ে গেল তার কোনো হিসেব নেই।"(মিফতাহু‌ দারিস‌ সাআদাহ‌:০১/২৫০)।

Md Moniruzzaman ভাই

27/02/2024

এক লোক বদ নজরের ব্যাপারে খুবই প্রসিদ্ধ ছিলো। এমনকি সে যদি কোনো উট বা অন্য কোনো প্রাণীর দিকে কু দৃষ্টি দেয়, তাহলে তাৎক্ষণিক মারা যায় ওই প্রাণী।

লোকটি ছিলো মক্কার। কা*ফেররা ওই লোকটাকে ভাড়া করে আনলো, রাসুল ﷺ কে হ*ত্যা করার জন্য।

লোকটি তার কু দৃষ্টির সবটুকু ঢেলে দিলো।
মজার ব্যাপার হলো সে ব্যার্থ হলো।
এক পর্যায়ে সে বললো, ধুর, এই লোকটাতো পাগল। তাই কাজ হচ্ছে না। (নাউযুবিল্লাহ)

ঘটনাটি উল্লেখ আছে, তাফসিরে মা'আরেফুল কুরআনে। সুরা ক্বালাম, এর তাফসীরে। তাফসীরে বাগাবিতেও আছে।

আমাদের সমাজেও কিছু লোকের চোখ মারাত্মক খারাপ। তারা যেদিকেই তাকায়, জালিয়ে দেয় সবকিছু।

এদের থেকে হেফাজত থাকতে সকল কাজে আল্লাহকে স্মরণ, সুন্নতের অনুসরণ ও সকাল সন্ধ্যার আযকার নিয়মিত পড়ার বিকল্প নাই।

উল্লেখ্য, ভালো মানুষের দ্বারাও কখনো কখনো বদ নজর লাগতে পারে। এই সম্পর্কে অন্যদিন আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমলের তাওফিক দিন। আমিন।

©️

16/02/2024

"জেনে রাখ! আল্লাহ উদাসিন ও অমনোযোগী মনের দো'আ আল্লাহ কবুল করেন না।" (তিরমিযী, ৩৪৭৯ ও মিশকাত, ২২৪১)

30/01/2024

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল :

যে ব্যক্তি প্রতিদিন ফজরের পর নিম্নোক্ত দোয়া তিনবার পড়বে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বড় বড় চারটি রোগ ব্যাধি থেকে হেফাজত করবেন ।

১) মেন্টালিটি প্রবলেম । স্মৃতিশক্তিহীন । কোন কিছু ভুলে যাওয়া, স্বরণে না থাকা ।

২) চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়া । শ্বেত রোগ কুষ্ঠ রোগ । মুখে ব্রণ ওঠা । চেহারা তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া । বিউটি পার্লারে সাজগোজ করার কারণে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া ।

৩) অন্ধত্ব । চোখ কালো হয়ে যাওয়া । চোখের ছানি নষ্ট হয়ে যাওয়া । দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া । অথবা অন্যান্য কোন সমস্যা ।

৪) দুর্বলতা । হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া । হাত পা থেকে গরমের ভাপ বের হওয়া । মাথা চক্কর দেওয়া । শারীরিক সর্ব প্রকার দূর্বলতা ।

>>>এই চারটি বড় বড় রোগ ব্যাধি থেকে আল্লাহ হেফাজত করবেন

14/01/2024

“জমিনে এমন কোনো প্রাণীই নেই,
যার রিযিক আল্লাহর ওপর নির্ভর করে না...” [১]

তাদাব্বুর:

আর্থিক কষ্টের সময়ে হতাশ হয়ে পড়বেন না। কখনো স্বল্পতা বা অভাব অনটনে নিরাশ হওয়াও ঠিক নয়। মনে রাখবেন, আল্লাহ জানেন—আপনার ঠিক কী প্রয়োজন এবং কতটুকু প্রয়োজন। কাজেই, শুধু আল্লাহর ওপরই ভরসা করুন, এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চান।
___________________

[১] সূরা হুদ, ১১:৬

11/11/2023

শিশুর লাভক্ষতি তার অভিভাবক যতটা বোঝেন শিশু কখনোই ততটা বোঝে না। ঠিক একইভাবে আমাদের লাভক্ষতিও আমাদের অভিভাবক মহান আল্লাহ আমাদের চেয়ে ভালো বোঝেন।

জীবন চলার পথে আমাদের চয়েজের চেয়ে আমাদের পালনকর্তার চয়েজ নিশ্চয় অনেক বেশি যথার্থ ও কল্যাণকর।

সুতরাং প্রত্যাশার বিপরীত কিছু ঘটলে হতাশ হবেন না। সুখে-দুঃখে সব সময় আস্থা রাখুন মহান রবের ওপর, যিনি উত্তম পরিকল্পনাকারী।

শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফি:

23/09/2023

احفظ الله يحفظك،احفظ الله تجده تجا هك
তুমি আল্লাহর বিধানসমূহের ব্যাপারে যত্নবান হও।আল্লাহ তোমার প্রতি যত্নবান হবেন। তুমি আল্লাহর অধিকারসমূহ স্বরণ রাখো।তাঁকে তোমার অনুকূলে পাবে।

15/09/2023

শাইত্বান তার 'আইন বা হাসাদ কিংবা সিহর বা উক্বাদের মাধ্যমে অথবা হুসুন-দ্বরূ' র মাধ্যমে শরীরের যেকোনো অর্গান ড্যামেজ করে দিতে পারে, প্যারালাইজড করতে পারে, অসুস্থ করে দিতে পারে, মরণব্যাধি রোগেও আক্রান্ত করতে পারে। দ্বীন-ইমান বিধ্বস্ত করে দিতে পারে, মানসিক অসুস্থতা, মানসিক বিকৃতি কিংবা ফিতরাতকেও বিকৃত করে সমকামীর দিকেও নিয়ে যেতে পারে।

১,

وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُ لَمَجْنُونٌ

অর্থঃ কাফিররা যখন উপদেশ বাণী (কুরআন) শ্রবণ করে তখন তারা যেন তাদের তীক্ষ্ম দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়িয়ে ফেলতে চায় এবং বলেঃ সে তো এক পাগল। (সূরা কলামঃ ৫১)

২,

وَدَّ كَثِیرࣱ مِّنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَـٰبِ لَوۡ یَرُدُّونَكُم مِّنۢ بَعۡدِ إِیمَـٰنِكُمۡ كُفَّارًا حَسَدࣰا مِّنۡ عِندِ أَنفُسِهِم مِّنۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمُ ٱلۡحَقُّۖ

গ্রন্থধারীগণের অনেকেই তাদের কাছে সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও তাদের অন্তরে পোষিত হিংসার দাহনে ইচ্ছে পোষণ করে যে, যদি তোমাদেরকে তোমাদের ঈমান আনার পর কুফরীতে ফিরিয়ে নিতে পারত; (সূরা বাক্বারাহ:১০৯)

৩,

العين تدخل الرجل القبر وتدخل الجمل القدر

অর্থঃ বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌছে দেয় এবং উটকে পাতিলে । (সহীহ আল জামেঃ শাইখ আলবানী (রহঃ) সহীহ বলেছেনঃ ১২৪৯)

৪,

জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আলে হাযমকে সাপে দংশিত ব্যক্তির ঝাড়-ফুকের অনুমতি প্রদান করেছেন। আর আসমা বিনতে উমাইসকে বললেন, কি ব্যাপার আমার ভাইয়ের সান্তানদেরকে দুর্বল দেখছি, তাদের কি কিছু হয়েছে? আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন না, কিছু হয়নি তবে বদ নজর তাদেরকে দ্রুত লেগে যায়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাদেরকে ঝাড়-ফুক করাও অতঃপর তাকে তার সামনে নিয়ে আসা হলোঃ তিনি বলেন, তাদেরকে ঝাড়-ফুক কর। (ইমাম মুসলিম রেওয়ায়েত করেছেনঃ ২১৯৮

৫,

উম্মে সালমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ঘরে এক মেয়ে শিশুর চেহারায় দাগ দেখে তিনি বলেছেন যে, তার চেহারায় বদ নজরের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাকে ঝাড়-ফুক করাও। (বুখারীঃ ১/১৭১, মুসলিমঃ ৯৭)

৬,

“Majority of people who die from my ummah after the decree of Allaah and His Qadr is due to the evil eye”. (Declared Hasan by al Albaani)

"আমার উম্মতের অধিকাংশ লোকের আল্লাহর স্বিদ্ধান্ত ও ফায়সালার পর মৃত্যু হয় বদনজরে আক্রান্ত হয়ে"

©️abiabdilah

08/09/2023

একটি হাদিস ও বর্তমানে রুকইয়াহতে বোনদের কেইজগুলোর সাথে এর সম্পর্ক (ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ) :-
হে আমার মুসলিম বোন! ইসলামের সোনালী যুগে রুকইয়াহ শুধু ঝাড়ফুঁক তথা কুরআনের আয়াত ও দুআ পড়ে ফু দেওয়া এবং মৃদু আঘাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে এর ক্ষেত্র অনেক ব্যাপকতা পেয়েছে। বিশেষ করে জীবন ব্যবস্থার সাথে এর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। যার ফলে আপনি শুধু রুকইয়াহ করেই যে সুস্থ হয়ে যাবেন এখন, বিষয়টা তা না। আপনাকে নিজের জীবনটা ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসতেই হবে। তা না হলে রুকইয়াহ আপনাকে সাময়িক উপকার দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতি এবং তা এমন ক্ষতি যা পরকালে নতুন মাত্রা নিবে।
তাই একটি হাদিস যদি আপনি আমলে পরিণত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন এবং দুআ করে রব থেকে এই হাদিসের উপর আমল সহজ করার তরীকা জেনে নিয়ে আমল করে জীবন সাজাতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি একদিকে যেমন সুস্থ হবেন অন্যদিকে আল্লাহর প্রিয় বান্দী হবেন ইন শা আল্লাহ।
হাদিসটি হলো;
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘যে নারী-
১।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে;
২। রমজানের রোজা রাখবে;
৩। স্বীয় গুপ্তস্থানের হেফাজত করবে ( পর্দা রক্ষা করে এবং ব্যভিচার থেকে বিরত থেকে);
৪। স্বামীর আনুগত্য করবে।

এমন নারীদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিজি ও তাবরানি)

১। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে;

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- (হে আল্লাহর রাসুল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নামাজ’। (বুখারি ও মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিস বর্ণনা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার আল্লামা মোল্লা আলি ক্বারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমেই আলেমগণ ঈমানের পর নামাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করেন।

হজরত আবু যর গিফারি রদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সময় শীতকালে বাইরে তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাতা ঝরার মওসুম ছিল। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাছের একটি ডাল হাত দিয়ে ধরলেন। ফলে তার পাতা আরও বেশি ঝরতে লাগল।

অতঃপর তিনি বললেন, হে আবু যর! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন-

‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে পাপসমূহ ঝরে পড়ে; যেমন এ গাছের পাতা ঝরে পড়ছে। (মুসনাদে আহমদ)

২। রমজানে রোজা রাখবে;

রমজানকে কেন্দ্র করেই জিবরাইল আলাইহিসসালামের একটা বদদোয়া আছে, যে বদদোয়ার সঙ্গে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম -এর ‘আমীন’ আছে। স্থানটা ছিল মসজিদে নববি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম ছিলেন মিম্ববের প্রথম ধাপে। জিবরাইল আলাইহিসসালাম বদদোয়া করে বসলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না, সে আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে দূরে সরে যাক।’ আর আল্লাহর তাআলার রহমত-বঞ্চিত হওয়াটাকেই পরিভাষায় ‘গজব’ বা লানত বলা হয়। প্রতি উত্তরে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমীন’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! কবুল করে নিন! (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান ১৬৬৮)

অপর বর্ণনায় এসেছে, জিবরাইল আলাইহিসসালাম বলেছিলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যে রমযান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম বলেন, তখন আমি বললাম, আমীন। (আলআদাবুল মুফরাদ ৬৪৬)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম বলেন,

আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসে নি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসে নি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। (মুসনাদে আহমদ ৮৩৬৮)

৩। স্বীয় গুপ্তস্থানের হেফাজত করবে ( পর্দা রক্ষা করে এবং ব্যভিচার থেকে বিরত থেকে);

পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে।

আর তোমরা অবস্থান কর তোমার বসবাসের গৃহে। নিজেদের মুর্খতার যুগের মহিলাদের মত প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩৩}

এ আয়াত কি প্রকাশ করছে?

শুধু কাপড় চোপড় দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখাকেই যথেষ্ট মনে করবে না, বরং এমনভাবে পর্দা করবে যে, শরীরসহ কাপড়ও যেন পরপুরুষের সামনে প্রকাশিত না হয়। যেন কোন পরপুরুষের নজরই নারীর উপর নিবদ্ধ না হতে পারে। তবে প্রয়োজনের বিষয়টি ভিন্ন। তখন প্রয়োজনে বাহিরে যেতে পারবে।

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রহিমাহুল্লাহ উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ হলেন সকল মুমিনের মা। অথচ তাঁদের সাথেই লেনদেন বা কথা-বার্তা বলতে হলে পর্দার আড়াল থেকে করতে বলা হয়েছে। তাহলে অন্যান্য সাধারণ বেগানা নারীদের ক্ষেত্রে হুকুমটি কত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত তা তো সহজেই অনুমেয়।

কয়েকটি হাদীস দেখা যেতে পারে-

হযরত আব্দুল খায়ের বিন সাবেত বিন কায়েস বিন শাম্মাস তার পিতা, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা এক মহিলা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। যাকে উম্মে খাল্লাদ বলা হয়। তিনি এমতাবস্থায় এলেন যে, তার চেহারা পর্দাবৃত ছিল। সে এসে তার নিহত সন্তানের ব্যাপারে অভিযোগ জানায়। তখন কতিপয় সাহাবী তাকে বলেন, “তুমি তোমার ছেলের ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করতে এসেছে, তারপরও তুমি পর্দাবৃত হয়ে এলে?” তখন উম্মে খাল্লাদ বলেন, যদিও আমার ছেলের উপর বিপদ এসেছে, এর মানেতো আমার লজ্জা শরমেরও বিপদ আসেনি। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪৮৮}


হযরত উম্মে সালামা রদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যখন কুরআনে কারীমের এ আয়াত

তথা “তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। [মাথার দিক থেকে]” -সূরা আহযাব-৫৯} নাজিল হয়, তখন আনসারী মহিলারা স্বীয় ঘর থেকে এমনভাবে বের হতো যেন তাদের মাথায় কাক বসে আছে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১০১}

হযরত মুফতী শফী রহিমাহুল্লাহ “আহকামুল কুরআন”গ্রন্থে লিখেন যে,

এ আয়াত একথা বুঝাচ্ছে যে, যুবতী মেয়েরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এমনভাবে বের হবে যেন তাদের চেহারা পরপুরুষের সামনে প্রকাশিত না হয়। {আহকামুল কুরআন-৩/১৪৫৮}

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নারী জাতি হল আপাদমস্তক সতর। যখনি সে বের হয়, তখনি শয়তান তাকে চমৎকৃত করে তোলে। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১৭৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২০৬৫, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৯৮}

৪। স্বামীর আনুগত্য করবে

যেসব নারী স্বামীকে ভালোবাসে না ও স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়— আল্লাহ তাআলা ওই সব নারীদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন না। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ সেই নারীর প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন না, যে স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না। অথচ সে তার প্রতি মুখাপেক্ষী।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৯০৮৭)

আবু হুরায়রা রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘(একবার) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হলো- কোন নারী উত্তম? তিনি বললেন, যার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে— সে স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। স্বামী আদেশ করলে, তার আনুগত্য করে, এবং (স্ত্রী) নিজের ব্যাপারে ও তার ধন-সম্পদের ব্যাপারে যা স্বামী অপছন্দ করে, এমন কাজের মাধ্যমে স্বামীর বিরোধিতা করে না। (নাসায়ি, হাদিস : ৩২৩১)

হে আমার মুসলিম বোন! হয়তো জিন জাদুতে আক্রান্ত অবস্থায় নিজেকে নতুন করে সাজানো অনেক ভারী মনে হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন আপনার মতোই একজন আল্লাহর বান্দী যিনি ছিলেন সদ্য মা হওয়া একজন নারী এবং ছিলেন অনেক দিন অনহারে। কিন্তু তাঁর রবের প্রতি এতো আশা ও ঈমান এবং তাওয়াককুল ছিলো যে তিনি ঐ খালি পেটে সাফা মারওয়া ৭ বার সাই বা প্রদক্ষিণ করেছিলেন যা হাজিরা এখন অনেকে গাড়ি দিয়ে করে। তিনি হলেন মহীয়সী নারী হাযরত হাজেরা আলাইহিসসালাম। আল্লাহ তো পরে আমাদের দিয়েছিলেন জমজম যা আজও আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
আপনি তো সেই নারীদের অনুসারী যিনি গর্ভবতী অবস্থায় স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে রাতের আঁধারে পৌঁছে যেতেন হেরা পর্বতের গুহায়। আমাদের আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রদিয়াল্লাহু আনহার কথা বলছি।
তাই সব জাহিলিয়াত ঝেড়ে ফেলুন, ইসলামকে আঁকড়ে ধরুন। শয়তানের দল পালাতে বাধ্য হবেই বিইযনিল্লাহ।
আল্লাহ আমল করার তাওফিক দান করুন আমীন।
(রেফারেন্স অংশ গুলো সংগ্রহীত)

©️ ফারহাত হোসাইন ভাই

Address

Habiganj Sadar

Telephone

+8801400262945

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Assunnah Ruqyah service posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share