ডা. অনির্বাণ মোদক পূজন, হার্ট স্পেশালিস্ট ও বিসিএস স্বাস্হ্য

  • Home
  • Bangladesh
  • Habiganj
  • ডা. অনির্বাণ মোদক পূজন, হার্ট স্পেশালিস্ট ও বিসিএস স্বাস্হ্য

ডা. অনির্বাণ মোদক পূজন, হার্ট স্পেশালিস্ট ও বিসিএস স্বাস্হ্য হার্ট(হৃদরোগ) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,
টাংগাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

শুভ শারদীয়া। সবাই সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। 🎆🎇
01/10/2025

শুভ শারদীয়া। সবাই সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। 🎆🎇

সাদা ভাত খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব, তবে এর জন্য কিছু বিষয় মেনে খেতে হবে এবং পুরো ডায়েটের বাকি অংশ স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। নিচ...
16/01/2025

সাদা ভাত খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব, তবে এর জন্য কিছু বিষয় মেনে খেতে হবে এবং পুরো ডায়েটের বাকি অংশ স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হলো:

---

# # # **১. পরিমিত ভাত খান:**
সাদা ভাত খেতে পারেন, তবে পরিমাণ কম রাখতে হবে।
- প্রতিদিন একবার খাবারের সাথে ১ কাপ ভাত খাওয়া যথেষ্ট।
- প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে ভাতের পরিমাণ কমাতে হবে।

---

# # # **২. সুষম খাবার খান:**
- **প্রোটিন:** প্রতিবার ভাতের সাথে মাছ, ডিম, মুরগি, বা ডাল রাখুন। প্রোটিন হজমে সময় নেয় এবং পেট ভরা রাখে।
- **সবজি:** ভাতের সাথে প্রচুর ভাপানো বা রান্না করা সবজি খান। সবজি ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- **ডাল:** ভাতের সাথে ১ কাপ পাতলা ডাল যোগ করুন।

---

# # # **৩. খাবারের টাইমিং মেনে চলুন:**
- দুপুরে ভাত খাওয়াই সবচেয়ে ভালো, কারণ তখন শরীরের মেটাবলিজম সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে।
- রাতে ভাত খেলে, খাবারের পর একটু হাটুন।

---

# # # **৪. তেল এবং প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন:**
ভাত রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করবেন না এবং ডিপ ফ্রায়েড বা বেশি মশলাযুক্ত তরকারি এড়িয়ে চলুন।

---

# # # **৫. ভাত রান্নার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করুন:**
- ভাত রান্নার সময় বেশি পানি ব্যবহার করুন এবং অতিরিক্ত মাড় ফেলে দিন।
- এতে ক্যালোরি কিছুটা কমে যাবে।

---

# # # **৬. ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বাড়ান:**
সাদা ভাত খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।

---

# # # **উদাহরণস্বরূপ একটা আনুমানিক ডায়েট প্ল্যান:**

**সকাল:**
- ১ গ্লাস গরম পানি বা গ্রিন টি।
- ২টি সেদ্ধ ডিম বা ১ প্লেট চিড়া/ওটস।

**দুপুর:**
- ১ কাপ সাদা ভাত।
- ১ পিস মাছ/চিকেন।
- ১ বাটি মিক্সড সবজি।
- ১/২ কাপ পাতলা ডাল।

**বিকাল:**
- ১টি ফল (আপেল/পেয়ারা)।
- ১ কাপ গ্রিন টি।

**রাত:**
- ১-২টি আটার রুটি বা স্যুপ।
- ১ বাটি সালাদ।

---

সঠিক নিয়ম মেনে সাদা ভাত খেলে ওজন কমানো সম্ভব। তবে ধৈর্য ধরে পরিকল্পনাটি মেনে চলুন। অন্তত ৩ মাস মানতে হবে নিয়মগুলা আশানুরুপ রেজাল্ট পেতে হলে।

হার্ট বা হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়ে অনেক ধরনের কুসংস্কার এবং ভুল ধারণা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এগুলো অনেক সময় রোগীদের ক্ষতি করতে...
05/01/2025

হার্ট বা হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়ে অনেক ধরনের কুসংস্কার এবং ভুল ধারণা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এগুলো অনেক সময় রোগীদের ক্ষতি করতে পারে।

# # # **হৃদরোগ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ও সঠিক ব্যাখ্যা:**

---

# # # **১. কুসংস্কার:**
💬 *হার্ট অ্যাটাক মানেই মৃত্যু অবধারিত।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিলে রোগী অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

---

# # # **২. কুসংস্কার:**
💬 *বুকের বাঁ পাশে ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাক।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
সব ধরনের বুকের ব্যথা হার্ট অ্যাটাক নয়। হজমের সমস্যা, পেশির টান বা মানসিক চাপ থেকেও বুক ব্যথা হতে পারে। তবে যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘাম, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে, দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত।

---

# # # **৩. কুসংস্কার:**
💬 *হার্টের সমস্যা থাকলে ব্যায়াম করা যাবে না।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা যোগব্যায়াম হৃদরোগের রোগীদের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়ানো উচিত।

---

# # # **৪. কুসংস্কার:**
💬 *যদি ওষুধ খান, তবে জীবনধারায় পরিবর্তনের দরকার নেই।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
হৃদরোগের রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান বর্জন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। জীবনধারায় পরিবর্তন না করলে ওষুধ যথেষ্ট নয়।

---

# # # **৫. কুসংস্কার:**
💬 *হার্টের সমস্যা থাকলে চর্বি পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
সব ধরনের চর্বি ক্ষতিকর নয়। স্বাস্থ্যকর চর্বি (যেমন: অলিভ অয়েল, বাদাম, মাছের তেল) হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলতে হবে।

---

# # # **৬. কুসংস্কার:**
💬 *স্টেন্ট বসালে বা বাইপাস সার্জারি করলে রোগ পুরোপুরি সেরে যায়।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
স্টেন্ট বা বাইপাস সার্জারি করার পরও জীবনধারায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সঠিক ডায়েট, ওষুধ সেবন এবং নিয়মিত চেকআপ না করলে পুনরায় হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

---

# # # **৭. কুসংস্কার:**
💬 *গরম পানি বা লেবু পানি খেলে হার্টের ব্লক পরিষ্কার হয়।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
এ ধরনের ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। হার্টের ব্লক অপসারণের জন্য ওষুধ, ব্যায়াম, এবং প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।

---

# # # **৮. কুসংস্কার:**
💬 *বয়স হলে হৃদরোগ হওয়াই স্বাভাবিক।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
বয়স বাড়ার সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, তবে তরুণ বয়সেও ভুল জীবনধারা, ধূমপান, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, এবং মানসিক চাপের কারণে হৃদরোগ হতে পারে।

---

# # # **৯. কুসংস্কার:**
💬 *বুকের ব্যথা না থাকলে হার্টের সমস্যা নেই।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
সব ধরনের হৃদরোগের ক্ষেত্রে বুক ব্যথা দেখা যায় না। শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বা হালকা অস্বস্তিও হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

---

# # # **১০. কুসংস্কার:**
💬 *হৃদরোগের চিকিৎসায় প্রাকৃতিক ভেষজ বা ঘরোয়া টোটকা যথেষ্ট।*
👉 **প্রকৃত সত্য:**
কিছু ভেষজ উপাদান হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে সেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। প্রপার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট ছাড়া হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

---

**পরিশেষে:**
হৃদরোগ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার বা ভুল ধারণাগুলো এড়িয়ে সঠিক তথ্য ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। জীবনধারায় পরিবর্তন এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করলে হৃদরোগ থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব।

★★প্রায়ই শোনা যায় অমুক অল্প বয়সের ছেলে স্ট্রোক করে মারা গেছে। কেন অল্প বয়সেই এমন হচ্ছে, এর প্রধান কারণগুলো আসুন জানি:   ...
03/01/2025

★★প্রায়ই শোনা যায় অমুক অল্প বয়সের ছেলে স্ট্রোক করে মারা গেছে। কেন অল্প বয়সেই এমন হচ্ছে, এর প্রধান কারণগুলো আসুন জানি:

# # # ১. **অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস**
ফাস্ট ফুড, বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার, প্রসেসড ফুড এবং অতিরিক্ত চিনি ও লবণ গ্রহণ রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা ধমনীতে ব্লক তৈরি করে।

# # # ২. **অতিরিক্ত স্ট্রেস**
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হৃদযন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্ট্রেস থেকে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

# # # ৩. **ধূমপান ও অ্যালকোহল**
ধূমপান রক্তনালীর সংকোচন ঘটায় এবং রক্তচাপ বাড়ায়। অ্যালকোহলও রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

# # # ৪. **ব্যায়ামের অভাব**
সেডেন্টারি লাইফস্টাইল (কম চলাফেরা) হার্টের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে রক্তনালীতে চর্বি জমে।

# # # ৫. **ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ**
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ধমনীতে ক্ষতি করে, যা হৃদরোগের প্রধান কারণ।

# # # ৬. **জেনেটিক বা বংশগত কারণ**
যাদের পরিবারে অল্প বয়সে হার্টের রোগ দেখা গেছে, তাদেরও ঝুঁকি বেশি।

# # # ৭. **ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা**
অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস বাড়ায়। এগুলো সবই হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

# # # **প্রতিরোধের উপায়:**
- সুষম খাদ্য গ্রহণ
- ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা
- স্ট্রেস কমানো
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস আপনাকে এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

হার্ট অ্যাটাক (অথবা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন) সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। নিচে কিছু প্রচলিত ভু...
30/12/2024

হার্ট অ্যাটাক (অথবা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন) সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। নিচে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা উল্লেখ করা হলো:

1. **হার্ট অ্যাটাক শুধু বয়স্কদেরই হয়**:
এটি একটি ভুল ধারণা। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো বয়সের মানুষরেই হতে পারে, বিশেষত যদি তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শারীরিক অবহেলা, ধূমপান বা পরিবারের ইতিহাস থাকে।

2. **হার্ট অ্যাটাকের আগে সব সময় প্রচণ্ড বুকের ব্যথা হয়**:
অনেকেই ভাবেন, হার্ট অ্যাটাক হলে খুবই তীব্র বুকের ব্যথা হবে, কিন্তু অনেক সময়ে তা না-ও হতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে শুধু অস্বস্তি, হালকা ব্যথা বা গা-গরম হয়ে যাওয়া অনুভূতি হতে পারে।

3. **যারা ফিট, তাদের হার্ট অ্যাটাক হয় না**:
ফিটনেস ভালো থাকলেও, একাধিক ঝুঁকি (যেমন, খাদ্যাভ্যাস, জিনগত কারণ, মানসিক চাপ) হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। সুতরাং, শারীরিক ফিটনেস একমাত্র প্রতিকার নয়।

4. **যে কোনো অসুস্থতা বা অসহ্য ব্যথা হার্ট অ্যাটাক নয়**:
কিছু ক্ষেত্রে, মানুষ মনে করে যে হার্ট অ্যাটাকের শুরুর লক্ষণ মৃদু ব্যথার চেয়ে অন্য কিছু। কিন্তু এটি কখনো কখনো সঠিক নাও হতে পারে। তাই, বুকের মাঝখানে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বা পিঠে ব্যথা সহ অন্যান্য লক্ষণও হার্ট অ্যাটাকের সতর্ক সংকেত হতে পারে।

5. **হার্ট অ্যাটাকের পর শরীর আগের মতোই সুস্থ হয়ে যায়**:
হার্ট অ্যাটাকের পর অনেকেই দ্রুত সুস্থ হওয়ার আশা করেন, কিন্তু আসলে এর পরবর্তী সময়ের পুনর্বাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত চিকিৎসা, নিয়মিত পরীক্ষা ও জীবনধারণের পরিবর্তন অত্যাবশ্যক।

6. **হার্ট অ্যাটাক শুধুমাত্র পুরুষদের হয়**:
যদিও পুরুষদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের হার কিছুটা বেশি, তবে মহিলাদেরও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, বিশেষ করে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে বা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো ঝুঁকি থাকলে।

7. **বংশগত হবার সম্ভাবনা**:
বংশে হার্টের রোগ থাকলে, যেকারো হার্ট এটাক হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এ ধরনের ভুল ধারণাগুলি ঠিক না জানলে অনেক সময় মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের প্রকৃত লক্ষণ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা জরুরি।

ডা: অনির্বান মোদক,
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্হ্য),
ডি-কার্ড(কার্ডিওলজি),সিসিডি (বারডেম),
হৃদরোগ-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,
টাংগাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চেম্বার:
ঢাকা ক্লিনিক-১, টাংগাইল সদর।

ডায়েট নিয়ে প্রচলিত কিছু গুজব এবং সেগুলোর বাস্তবতা নিচে তুলে ধরা হলো:   #১. **গুজব: কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন বাড়ে।**     ...
25/12/2024

ডায়েট নিয়ে প্রচলিত কিছু গুজব এবং সেগুলোর বাস্তবতা নিচে তুলে ধরা হলো:

#১. **গুজব: কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন বাড়ে।**
**বাস্তবতা:** কার্বোহাইড্রেট (যেমন ভাত, রুটি) খেলে ওজন বাড়ে না, যদি না অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। বিশেষত, জটিল কার্বোহাইড্রেট (পুরো শস্য, শাকসবজি) পুষ্টিকর এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

#২. **গুজব: চর্বি (Fat) খাওয়া মানেই ক্ষতিকর।**
**বাস্তবতা:** স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অলিভ অয়েল, বাদাম, অ্যাভোকাডো, এবং মাছের চর্বি শরীরের জন্য ভালো। তবে ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট পরিহার করা উচিত।

#৩. **গুজব: না খেয়ে ডায়েট করলে দ্রুত ওজন কমে।**
**বাস্তবতা:** না খেয়ে ডায়েট করলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং পরে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। নিয়মিত এবং সুষম খাবার গ্রহণ ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশি কার্যকর।

#৪. **গুজব: রাতে খাওয়া মানেই ওজন বেড়ে যাবে।**
**বাস্তবতা:** খাওয়ার সময় নয়, বরং আপনি দিনে কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাতে ভারী এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানো ভালো।

#৫. **গুজব: ডিটক্স ডায়েট শরীর পরিষ্কার করতে অপরিহার্য।**
**বাস্তবতা:** শরীরের লিভার এবং কিডনি নিজেই প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফিকেশন করে। ডিটক্স ডায়েটের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুবই কম।

#৬. **গুজব: গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট সবাইকে স্বাস্থ্যকর রাখে।**
**বাস্তবতা:** কেবল গ্লুটেন সংবেদনশীলতা বা সিলিয়াক রোগ থাকলে গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট প্রয়োজন। অন্যদের জন্য এটি বাড়তি স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয় না।

#৭. **গুজব: প্রতিদিন ছোট ছোট খাবার খেলে মেটাবলিজম বাড়ে।**
**বাস্তবতা:** কতবার খাবার খাওয়া হয় তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পুরো দিনে কী খাচ্ছেন এবং কতটুকু খাচ্ছেন।

#৮. **গুজব: তাজা ফল বা শাকসবজি সবসময় ফ্রোজেনের চেয়ে ভালো।**
**বাস্তবতা:** ফ্রোজেন ফল এবং শাকসবজি প্রায়শই তাজা ফলের মতোই পুষ্টিকর। কারণ এগুলো ফসল কাটার পরপরই জমাট বাঁধানো হয়।

#৯. **গুজব: উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ডায়েট কিডনির ক্ষতি করে।**
**বাস্তবতা:** সুস্থ মানুষের জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ডায়েট ক্ষতিকর নয়। তবে যারা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

#১০. **গুজব: নিরামিষ ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায় না।**
**বাস্তবতা:** সঠিকভাবে পরিকল্পিত নিরামিষ ডায়েটে ডাল, বাদাম, বীজ, সয়াবিন, এবং পুরো শস্য থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া সম্ভব।

সঠিক জেনে সঠিকভাবে ডায়েট করুন। ❤️🩺

ডা: অনির্বান মোদক,
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্হ্য),
ডি-কার্ড(কার্ডিওলজি),
হৃদরোগ-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,
টাংগাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চেম্বার:
ঢাকা ক্লিনিক-১, টাংগাইল সদর।

ডায়াবেটিস হলে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব এবং জটিলতা কমে। এখানে...
13/11/2024

ডায়াবেটিস হলে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব এবং জটিলতা কমে। এখানে কিছু জীবনযাপনের পদ্ধতি দেওয়া হলো:

# # #১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
- **সুষম খাদ্য**: প্রোটিন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ভালো চর্বি থাকা খাবার বেছে নিন।
- **নিয়মিত ও পরিমিত খাবার**: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- **চিনি এড়ানো**: চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করুন।
- **ফাইবারযুক্ত খাবার**: শাকসবজি, বাদাম, ফল ইত্যাদি খান। এগুলো রক্তে গ্লুকোজের শোষণ ধীর করে।

# # #২. নিয়মিত ব্যায়াম
- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
- ব্যায়াম রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

# # #৩. পর্যাপ্ত পানি পান
- ডায়াবেটিসে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

# # #৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- অতিরিক্ত ওজন ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

# # #৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করে পরিবর্তন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

# # #৬. ঘুম এবং বিশ্রাম
- পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। স্ট্রেস ডায়াবেটিসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

# # #৭. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার
- ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

# # #৮. ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা
- নিয়মিত চেকআপ করান এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

অনেকেই মেদ-ভুড়ি কমাতে চান। জানেন না কি কি খাবারে শরীরে ফ্যাট কাটে। আসুন জেনে নিই: মেদ কমাতে সহায়ক কিছু খাবার নিচে উল্লে...
30/10/2024

অনেকেই মেদ-ভুড়ি কমাতে চান। জানেন না কি কি খাবারে শরীরে ফ্যাট কাটে। আসুন জেনে নিই: মেদ কমাতে সহায়ক কিছু খাবার নিচে উল্লেখ করা হলো:

# # # ১. **সবুজ চা (গ্রিন টি)**
- গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাটেচিন থাকে, যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং মেদ ঝরাতে সহায়ক।

# # # ২. **অ্যাপল সিডার ভিনেগার**
- অ্যাপল সিডার ভিনেগার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২ চামচ ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

# # # ৩. **ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার**
- **ফল**: আপেল, বেরি, কমলা ইত্যাদি।
- **সবজি**: ব্রকলি, পালং শাক, কুঁকড়া শাক, গাজর।
- **পুরো শস্য**: ওটস, ব্রাউন রাইস, এবং চিয়া সিড।
- ফাইবার হজমে সহায়ক, দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

# # # ৪. **প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার**
- **ডিম**: প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকার কারণে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- **চিকেন ব্রেস্ট, মাছ (সালমন, টুনা)**: প্রোটিন পেশি গঠন করে এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
- **ডাল ও বীজজাতীয় খাবার**: মটরশুটি, ছোলা, মসুর ডাল ইত্যাদি প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ।

# # # ৫. **স্বাস্থ্যকর ফ্যাট**
- **অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, বাদাম**: এই খাবারগুলোতে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা ভালো ফ্যাট হিসেবে পরিচিত এবং মেদ কমাতে সহায়ক।
- **চিয়া সিড এবং ফ্ল্যাক্স সিড**: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে।

# # # ৬. **লেবু পানি**
- সকালে খালি পেটে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং মেদ কমায়।

# # # ৭. **দই (গ্রীক ইয়োগার্ট)**
- গ্রীক ইয়োগার্টে প্রোটিন বেশি থাকে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মেদ ঝরাতে সহায়ক।

এই খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে ধীরে ধীরে শরীরের মেদ কমতে সহায়তা করবে।

শীতকালে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে, তাই এসময় ত্বকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এখানে শীতে ত্বকের য...
28/10/2024

শীতকালে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে, তাই এসময় ত্বকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এখানে শীতে ত্বকের যত্নের কিছু টিপস দেওয়া হলো:

# # # ১. ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন:
- শীতকালে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায়, তাই হালকা ও নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- গোসল বা মুখ ধোয়ার পর ত্বক এখনও একটু ভেজা থাকলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

# # # ২. লিপ বাম ব্যবহার করুন:
- ঠোঁট ফাটা ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া ঠান্ডার সময়ে সাধারণ সমস্যা। তাই নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করুন।

# # # ৩. অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল এড়িয়ে চলুন:
- গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে। তাই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত।

# # # ৪. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন:
- শীতের সূর্যের আলোরও UV রশ্মি রয়েছে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

# # # ৫. প্রচুর পানি পান করুন:
- শীতকালে কম পানি পান করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

# # # ৬. ত্বকে অতিরিক্ত স্ক্রাব করবেন না:
- বেশি স্ক্রাব করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়। সপ্তাহে একবার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

# # # ৭. সুতির কাপড় ব্যবহার করুন:
- সুতির কাপড় ত্বকে আরাম দেয় এবং ত্বকের রুক্ষতা কমায়।

এইসব যত্নের মাধ্যমে শীতে ত্বককে সুস্থ ও কোমল রাখা সম্ভব।

অনেকেই বাতের ব্যাথায় কষ্ট পান। অনেকের ব্যাথার চোটে পেইনকিলার অনেকদিন টানা খেতে থাকেন যা কিডনীর জন্য ঝুকিপূর্ণ।  বাতের ব্...
21/10/2024

অনেকেই বাতের ব্যাথায় কষ্ট পান। অনেকের ব্যাথার চোটে পেইনকিলার অনেকদিন টানা খেতে থাকেন যা কিডনীর জন্য ঝুকিপূর্ণ। বাতের ব্যথা কমাতে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু নিষেধের তালিকা দেওয়া হলো:

1. ঠান্ডা ও ভেজা পরিবেশ: ঠান্ডা আবহাওয়ায় বা বর্ষাকালে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে, তাই নিজেকে গরম ও শুকনো রাখা উচিত।

2. খাবারে নিয়ন্ত্রণ:

উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল মাংস, বেশি পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টক ও অম্লজাতীয় খাবার যেমন টমেটো, লেবু বা দই কমিয়ে দেওয়া ভালো।
মসলা ও তৈলাক্ত খাবারও এড়িয়ে চলতে পারেন।

3. ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ওজন শরীরের জোড়ায় চাপ বাড়ায়, যা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।

4. দীর্ঘ সময় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা: খুব বেশি সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। হালকা শরীরচর্চা বা হাঁটাচলা করা উচিত।

5. হাড়ের উপর চাপ দেওয়া: অতিরিক্ত ভার উত্তোলন বা ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

6. অ্যালকোহল ও ধূমপান: এগুলো বাতের সমস্যা বাড়াতে পারে, তাই এগুলি থেকে বিরত থাকা জরুরি।

আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আরও ভালোভাবে খাদ্য ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারেন।

ডা: অনির্বান মোদক,
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্হ্য),
ডি-কার্ড(কার্ডিওলজি),
পিজিটি(মেডিসিন),সিসিডি (বারডেম),
হৃদরোগ-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,
টাংগাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চেম্বার:
শনি থেকে বুধবার:
ঢাকা ক্লিনিক, টাংগাইল সদর।

শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাচ্চাদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন:1. **উষ্ণ পোশাক পরানো**: ...
16/10/2024

শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাচ্চাদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন:

1. **উষ্ণ পোশাক পরানো**: বাচ্চাদের একাধিক স্তরের উষ্ণ পোশাক পরানো উচিত, যেন তারা ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত থাকে। মাথা, হাত ও পা ঢেকে রাখার জন্য টুপি, গ্লাভস এবং মোজা ব্যবহার করা জরুরি।

2. **ত্বকের যত্ন**: শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হয়, তাই বিশেষ বাচ্চাদের জন্য তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো।

3. **গরম খাবার ও পানীয়**: শীতে বাচ্চাদের গরম ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া উচিত, যেমন স্যুপ, খিচুড়ি বা স্টু। এ ছাড়া পানীয় হিসেবে গরম দুধ বা হালকা চা দিতে পারেন। শীতকালেও যথেষ্ট পানি পান করানো প্রয়োজন, কারণ শীতে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

4. **ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ**: ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখুন। খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা যেন না হয়। রাতে বাচ্চাদের গরম কম্বলে ঢেকে দিন।

5. **বাইরে বের হওয়া**: বাইরে গেলে বাচ্চাদের ভালোভাবে উষ্ণ পোশাকে মুড়িয়ে বের করুন। খুব ঠান্ডা বা বাতাস বেশি থাকলে বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

6. **ফ্লু এবং ঠান্ডা প্রতিরোধ**: বাচ্চাদের সর্দি-কাশি থেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে তা নিশ্চিত করুন।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাচ্চারা শীতে সুস্থ ও আরামদায়ক থাকতে পারবে।

ডা: অনির্বান মোদক,
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্হ্য),
ডি-কার্ড(কার্ডিওলজি),
পিজিটি(মেডিসিন),সিসিডি (বারডেম),
হৃদরোগ-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,
টাংগাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চেম্বার:
শনি থেকে বুধবার:
ঢাকা ক্লিনিক, টাংগাইল সদর।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার: শাহজালাল হাসপাতাল, ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর।

Address

Madhabpur
Habiganj
3330

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডা. অনির্বাণ মোদক পূজন, হার্ট স্পেশালিস্ট ও বিসিএস স্বাস্হ্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডা. অনির্বাণ মোদক পূজন, হার্ট স্পেশালিস্ট ও বিসিএস স্বাস্হ্য:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category