হাজীগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক, রাজনগর, মৌলভীবাজার।

  • Home
  • Bangladesh
  • Habiganj
  • হাজীগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক, রাজনগর, মৌলভীবাজার।

হাজীগঞ্জ  কমিউনিটি ক্লিনিক, রাজনগর, মৌলভীবাজার। Health is Wealth.

🚨ব্লাড প্রেশার সাধারণত বাম হাতেই মাপা হয় কেন?🛑➤এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু মেডিকেল ও শারীরবৃত্তীয়(physiological) কারণ। নিচে ...
27/07/2025

🚨ব্লাড প্রেশার সাধারণত বাম হাতেই মাপা হয় কেন?🛑

➤এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু মেডিকেল ও শারীরবৃত্তীয়
(physiological) কারণ। নিচে সেগুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করা
হলো:

🔬 ১. হৃদপিণ্ডের অবস্থান:

হৃদপিণ্ড (Heart) শরীরের বাম পাশে কিছুটা হেলে থাকে।

ফলে বাম হাতের ধমনী (artery)-তে রক্তচাপ সামান্য বেশি হতে
পারে, যা বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভুল রিডিং দিতে সাহায্য করে।

🩺 ২. ক্লিনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড:

চিকিৎসাবিজ্ঞানে রক্তচাপ মাপার সময় বাম বাহুতে মাপা
আন্তর্জাতিকভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম।

এতে করে বিভিন্ন সময়ের বা বিভিন্ন রোগীর রিডিং তুলনা করা সহজ
হয়।

💓 ৩. প্রধান ধমনী (Aorta) এর সংযোগ:

হৃদপিণ্ড থেকে বের হওয়া প্রধান ধমনী (aorta) প্রথমে বাম দিকে
মোড়ে যায়।

ফলে বাম বাহুতে রক্ত প্রবাহ একটু বেশি চাপযুক্ত হতে পারে।

🩻 ৪. চিকিৎসাজনিত সতর্কতা:

কিছু ক্ষেত্রে, ডান হাতে ইনফিউশন লাইন, ফিস্টুলা, বা অস্ত্রোপচারের
দাগ থাকতে পারে।

এসব ক্ষেত্রে ডান হাত ব্যবহার না করে বাম হাত ব্যবহারই নিরাপদ।

⚖️ ব্যতিক্রম:

যদি চিকিৎসক মনে করেন বাম হাতে রিডিং সঠিক আসছে না,
তাহলে উভয় হাতে মেপে পার্থক্য যাচাই করা হয়।

কখনো ডান হাতে উচ্চ চাপ পাওয়া গেলে সেটিকেই ধরা হয়।

✅ উপসংহার:

বাম হাতে ব্লাড প্রেশার মাপা হয় কারণ তা হৃদপিণ্ডের কাছাকাছি,
নির্ভুলতা বেশি, এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গৃহীত।



©

আমরা ঘরে যে সোফায় হেলান দিয়ে বসি, যে বালিশে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি, যে কম্বলে গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকি শীতের রাত...
27/07/2025

আমরা ঘরে যে সোফায় হেলান দিয়ে বসি, যে বালিশে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি, যে কম্বলে গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকি শীতের রাতে—ওগুলো কি সত্যিই নিরাপদ?

ভাবুন তো, চোখের সামনে কিছুই নেই অথচ শ্বাস নিতে গিয়ে হঠাৎ হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়ছে, চুলকানি, চোখ লাল, গলা ধরে যাচ্ছে, এমনকি কারো কারো বুকে শ্বাস আটকে আসছে—এই যন্ত্রণা কি শুধু ঋতু পরিবর্তনের জন্য?

না, আমাদের অজান্তেই আমরা ঘরের ভেতর পোষা একটি অদৃশ্য সেনার সঙ্গে বাস করছি—ডাস্ট মাইট। দেখতে পেতেন যদি, ভয়েই হয়ত ঘর ছেড়ে পালাতেন। এরা ছোট, ভয়ঙ্কর, আট পায়ের একেকটা লোমে ঢাকা জীব, যারা আপনার বালিশে, কম্বলে, পর্দায়, ফ্যানের ব্লেডে, কার্পেটের তন্তুতে আশ্রয় নিয়ে দিব্যি ঘোরাফেরা করে।

আর সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার? এরা ক্ষতি করে না ঠিক, কিন্তু এদের শরীরের পচা অংশ আর প্রতিদিন প্রায় বিশবার করে ফেলা মল—এই জিনিসটাই আপনার শরীরে অ্যালার্জির আগুন ধরিয়ে দেয়।

সর্দি, হাঁচি, কাশি, স্কিন র‍্যাশ, চোখ লাল, চুলকানি, এমনকি হাঁপানির মতো অবস্থাও তৈরি করে দিতে পারে এই ঘরের ভিতরের শত্রু। বর্ষার দিনে ঘরে ভিজে কাপড় শুকানোটা যেন ওদের উৎসবের মতো! বাড়ে ওদের সংখ্যা, আর বাড়ে আপনার সমস্যা।

তবে চিন্তা করবেন না। কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই শত্রুদের পরাজিত করা সম্ভব।

• প্রতিদিন জানালা খুলে দিন, আলো ঢোকাতে দিন। সূর্যের আলো এদের শত্রু।
• রোজকার বিছানা ঝাড়া, চাদর, বালিশের ওয়াড় বদল করা দরকার।
• কম্বল, বালিশ মাঝেমধ্যে রোদে দিন।
• ঘরে ভেজা কাপড় ঝোলানো বন্ধ করুন।
• ফ্যান, কার্পেট, পর্দা—সব কিছু নিয়ম করে পরিষ্কার রাখুন।
• ঘর শুকনো রাখুন, যেন এরা বাঁচতে না পারে।
• যাদের অ্যালার্জি প্রবণতা আছে, তারা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
• অ্যালার্জি গুরুতর হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অবিলম্বে।

এটা ঠাণ্ডা লেগে সর্দি নয়, এটা এক অদৃশ্য অথচ প্রভাবশালী শত্রুর আক্রমণ। তার সঙ্গে লড়তে গেলে দরকার সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা, আর একটু সচেষ্ট হওয়া।

আজই নিজের বিছানা, ঘর আর ফ্যানের ব্লেডের দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনি কাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন আপনার জীবনে?
🍁Gopal Sarkar 🍁

প্রিয় স্বামীর প্রতি অভিমান আর ঘৃনা একটা নারীকে হয় মেরে ফেলে না হয় প্রবল আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।সাপের সঙ্গে বসবাস, গুহা...
27/07/2025

প্রিয় স্বামীর প্রতি অভিমান আর ঘৃনা একটা নারীকে হয় মেরে ফেলে না হয় প্রবল আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।সাপের সঙ্গে বসবাস, গুহায় সন্তানপ্রসব! প্রেমিককে লুকিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে ১৫ বছর ধরে জঙ্গলে! রাশিয়ান তরুণীর বিস্ময়কর বনবাসে চাঞ্চল্য ঘটনা।

আধুনিক জীবন থেকে শত যোজন দূরে, যেখানে শুধু ঘন অরণ্যের নিঃসঙ্গতা আর প্রকৃতির নির্মম রূপ—সেই ভয়াল নিসর্গের বুকেই গড়ে উঠেছিল এক মায়ের আশ্রয়। না, কোনও সিনেমা নয়, গোকর্ণের জঙ্গলে সজীব এক গল্প। রাশিয়ার এক তরুণী, নিনা কুটিনা, দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে দীর্ঘ দুই মাস ধরে বসবাস করছিলেন কর্নাটকের এক দুর্গম পাহাড়ি গুহায়।

তার আগেও বছর বছর ধরে নানা অরণ্যে, গুহায় গুহায় ঘুরে কাটিয়েছেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। একটি সন্তানকে তো গুহার মধ্যেই প্রসব করেছিলেন, কোনও হাসপাতাল, চিকিৎসক কিংবা ওষুধ ছাড়া।

❝প্রকৃতিই আমার আশ্রয়, সাপেরা আমার বন্ধু❞
গুহার ভিতরটায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু জামাকাপড়, প্লাস্টিকের চাদর, অল্প কিছু খাবার, আর এক কোণে এক হিন্দু দেবতার মূর্তি। মাথার উপর চুঁইয়ে পড়ছে জল। অথচ নিনা নির্ভার। তাঁর মতে, “প্রকৃতির সঙ্গে যাপনই আসল মুক্তি। সাপেরা আমাদের ক্ষতি করে না। ওরা আমাদের বন্ধু।”

সেই গুহা, যেখানে ২০২৪ সালে ভয়াবহ ধস নেমেছিল। বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব চরমে। পুলিশ যখন তাঁকে উদ্ধার করে , তখনও চেতনাহীন নয়, বরং শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী। তিনি নাকি নিজেই গুহা বেছে নিয়েছিলেন ধ্যান, প্রার্থনা আর শান্তির জন্য। তাঁর দুই সন্তান—৬ বছরের প্রেমা আর ৪ বছরের অ্যামা—এই ভয়াল প্রকৃতির মধ্যেই খুশিতে হুল্লোড় করে জলপ্রপাতে সাঁতার কাটে।

এক জোড়া পায়ের ছাপ আর তারপর...
গোকর্ণ পুলিশের নজরে প্রথম আসে কিছু পায়ের ছাপ। গভীর জঙ্গলে পাহাড়ি গুহার পথে সেই ছাপ অনুসরণ করে যখন তাঁরা এগোন, তখন আবিষ্কার হয় সেই কাপড় দিয়ে ঢাকা এক গুহার মুখ। ভিতর থেকে ভেসে আসা কথোপকথনের শব্দে থমকে যায় তাঁদের পা।

ভেতরে উঁকি দিতেই চোখে পড়ে এক বিদেশিনী আর তার দুই কন্যা—জীবন্ত অরণ্যবাস যেন ঠিক সামনে! উদ্ধার করে তাঁদের নিয়ে আসা হয় লোকালয়ে।

নিনা প্রথমে তাঁর সন্তানের পিতার কথা জানাতে চাননি। পরে জানা যায়, তিনি একজন ইজরায়েলি ব্যবসায়ী, ড্রর গোল্ডস্টেইন। বহু বছর ধরে গোয়ায় বসবাস করছেন, প্রতি বছর মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটান। নিনার অভিযোগ, তিনি আর সন্তানদের নিয়ে একা থাকতে চেয়েছিলেন, গোল্ডস্টেইনের ‘বসবাস’ বা সম্পর্ক নিয়ে ছিলেন নিরুৎসাহী।

নিনার ভিসার মেয়াদ বহু আগেই শেষ। বর্তমানে তিনি ভারতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত। তাঁর ও মেয়েদের রাখা হয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের এক আশ্রয়কেন্দ্রে। ভারত সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে তাঁদের রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর।

অন্যদিকে, ড্রর চান মেয়েরা ভারতে থাকুক—তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের পথ যেন বন্ধ না হয়ে যায়।

প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই আধুনিকতার যুগে, যেখানে মানুষ প্রযুক্তিতে আচ্ছন্ন, সেই সময়ও একজন মা কীভাবে এমন সাহসিকতা দেখালেন? সন্তানদের নিয়ে ভয়াল অরণ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসন?

নিনা কুটিনার গল্প যেন এক আধুনিক যুগের জঙ্গলি মা—যিনি সভ্যতার থেকে দূরে, গুহার অন্ধকারে সন্তানদের নিয়ে জ্বালিয়েছেন ভালোবাসার দীপ।
তাঁর সাহস, ভালোবাসা ও প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থানের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ—যা রোমাঞ্চ, বিস্ময় আর এক চিরস্থায়ী আবেগের ছোঁয়া রেখে যায়।

শিশুদের কিছু কমন সমস্যা জন্য প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা ✅জ্বর হলেDrop  Napa/Ace/Renovaওজন × ০.২ = তত মিলি ৬ ঘন্টা পর পর জ্বর ১...
27/07/2025

শিশুদের কিছু কমন সমস্যা জন্য প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা

✅জ্বর হলে
Drop Napa/Ace/Renova
ওজন × ০.২ = তত মিলি ৬ ঘন্টা পর পর জ্বর ১০০°F/+ হলে খাওয়াবেন

Syp Napa/Ace/Renova
প্রতি ৮ কেজির জন্য ১ চামচ , ৪ কেজির জন্য হাফ চামচ হিসেবে ৬ ঘন্টা পর পর জ্বর ১০০°F/+ হলে খাওয়াবেন

✅সর্দি/ ঠান্ডা/ এলার্জি জন্য
Syp Tofen / Fenat/ Toti
৬মাস - ৩বছর: হাফ চামচ দুই বেলা
৩ বছর ঊর্ধ্বে: ১ চামচ ২ বেলা

✅নাকের ড্রপ
Drop Solo/Norsol/ Nosomist
০-২ বছর পর্যন্ত: ২ ফোঁটা নাকের উভয় ছিদ্রে ২-৬ ঘন্টা পর পর প্রয়োজন হলে দিবেন

Drop Rynex/ Xylocon/ Oxynex 0.025%
২ বছরের ঊর্ধ্বে: ২ ফোঁটা নাকের ছিদ্র - ২-৩ বেলা - সর্বোচ্চ ৫ দিন

✅কফ যুক্ত কাশি
Drop Ambrox/ Ambolyt/ Mucosol
০-৬ মাস: ০.৫ মিলি ২ বেলা
৬-১২ মাস: ১ মিলি ২ বেলা
১-২ বছর: ১.২৫ মিলি ২ বেলা

Syp Ambrox/ Ambolyt/ Boxol
২-৫ বছর : হাফ - ১ চামচ ৩ বেলা
৫-১০ বছর : ১- ১.৫ চামচ ৩ বেলা

✅শুকনো কাশি
Drop Mirakof/ Miraten/ Bukof
২-১২ মাস: ০.৫ মিলি ৩-৪ বেলা
১-৩ বছর : ১ মিলি ৩-৪ বেলা

Syp Mirakof/ Miraten/ Bukof
৩-৬ বছর : ১ চামচ ৩ বেলা
৬-১২ বছর : ২ চামচ ৩ বেলা

✅কৃমি হলে
Syp Alben/Almex
১-২ বছর: ১ চামচ রাতে ১ম দিন ও ৭ দিন পর (কৃমি লক্ষণ দেখা না দিলে খাওয়ানো যাবে না)
২ বছর ঊর্ধ্বে : ২ চামচ রাতে ১ম দিন ও ৭ দিন পর প্রতি (৪-৬ মাস পর পর খাওয়াবেন)

✅ ডায়রিয়া হলে
Syp Xinc/ Ziton/ Zesup
প্রতি ১০ কেজির জন্য ১ চামচ, ৫ কেজির জন্য হাফ চামচ করে ২ বেলা - ১৪ দিন
OR saline
যত কেজি তত চামচ করে খাওয়াবেন প্রতিবার পাতলা পায়খানা/ বমি হলে

✅ অরুচির জন্য
Syp Bicozin I
১ বছরের কম : হাফ চামচ একবেলা ১ মাস
১ বছরের পর : ১-২ চামচ ১ বেলা ১ মাস

অথবা Syp Xinc/ Ziton/ Zesup পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী একমাস পর্যন্ত

* বি দ্রঃ পোস্টটা শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে সেভ করে রেখে দিন।

~ড.মেহেদী হাসান
©

27/07/2025

মেরুদন্ডের ব্যথার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।

📌হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষনভিত্তিক চিকিৎসা। রোগ লক্ষণের উপর ভিত্তি করে ঔষধ নির্বাচনই এর মুখ্য কথা। রোগের চিকিৎসা নয় রোগীর চিকিৎসা করা হয়।বর্তমানে পিঠের বেদনা একটি কমন রোগ। প্রতিদিনই রোগীর কাছে শোনা যায় যে তার পিঠের হাড়ের ক্ষয় হয়েছে।এলোপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে পিঠের বেদনা নিয়ে রোগী গেলে তাকে যেকোন ভাবেই বিভিন্ন টেষ্ট করার পরামর্শ দিয়ে রোগীকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন।পিঠের হাড় ক্ষয়ের কথা এলোপ্যাথ ডাক্তার বলে দেয়ার পরে, কোন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার তাহার রোগ লক্ষণ বিবেচনায় সামান্য চিকিৎসাতেই ভালো হয়েছে।এতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ডাক্তার যা বলেছিল তা সঠিক নয়।পিঠের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি অনেক সফল।

📌মায়ালাইটিসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের লক্ষণভিত্তিক আলোচনা :

♦এব্রোটেনাম
বাতজনিত ক্রনিক মায়ালাইটিস, সহসা মেরুদন্ড মধ্যে তীব্র বেদনা বোধ হয় এবং নড়াচড়ায় অত্যাধিক বৃদ্ধি পায়, উপুড় হয়ে শয়নে স্বস্হি বোধ হলে এব্রোটেেনাম উপযোগী।

♦অ্যাকোনাইট
এনিস্হিসিয়া ডোলোরোসা, মুখমধ্য ও জিহ্বার অসাড়তা;বাহু ও হাতে অসাড়তা ও ঝিনঝিন বোধ, হাতে ও পায়ে শীতল, স্পর্শনুভূতি শুন্য স্ফীত।

♦এলুমিনা
মেরুদন্ড মধ্যে তপ্ত লৌহশলকা প্রবিষ্ট হইবার ন্যায় বেদনা, পক্ষাগাত, অন্ধকারে বা চক্ষুমুদ্রিত করিয়া চলিতে পারেনা;বসিয়া থাকলে নিতম্বদেশ অসার হইয়া যায়
♦এনাকার্ডিয়াম
দেহকান্ড বেষ্টন করিয়া বন্ধনের ন্যায় অনুভুতি,মেরুদন্ড মধ্যে ছুচালো ছিপির ন্যায় অনুভুতি-দেহ সন্চালনে বৃদ্ধি, জানুসন্ধি পক্ষাগাতের ন্যায় দুর্বল বোধ হয়-মনে হয় যেন কসিয়া বাধিয়া রাখা হইয়াছে, জিহ্বা ভারী মনে হয়, সৃতিশক্তির-দুর্বলতা, কোষ্ঠবদ্ধতা।

♦এপিস
লাম্বার প্রদেশে বেদনা, সেক্রাম প্রদেশে তীব্র বেদনার জন্য বসিতে অক্ষমতা, হাতদিয়ে কিছু ধরিতে পারে না-মুখে হাত তুলিতে পারে না-খাওয়াইয়া দিতে হয়;হাতে ও পায়ে পক্ষাগাত ও শীর্ণতা, গ্রীবাস্হ গ্রন্হি স্ফীত ও প্রস্তরের ন্যায় কঠিন বোধ হয়।
♦আর্সেনিক এল্বাম
ডিফিউজ মায়েলাইটিস, অত্যাদিক শ্বাসকষ্ট ও উদ্বেগ;বক্ষের চতুর্দিকে বন্ধের ন্যায় অনুভুতি, গার্ডল পেন, নিম্নাঙ্গ প্রথমে আক্রান্ত হয়, পরে তাহা হস্তে হয় ও তৎসহ খিলধরার ন্যায় বেদনা বোধ হয়, প্রতঙ্গগুলি শীতল ও স্পর্শনুভুতি শুন্য।

♦বেলেডোনা
মেরুদন্ডের মধ্যে ছুরিকাঘাতের ন্যয় বেদনা, জ্বাল ও দপদপানি, লাম্বার প্রদেশে খিলদরার ন্যায় বেদনা, হস্তদয়ে অসাড়তা ও কাটা ফোটানোর মতো বেদনা যন্ত্রনা, নিম্নাঙ্গের এবং তৎসহ মুত্রস্হলির গ্রীবা ও মরদ্বার পেশির পক্ষাগাত।

♦ব্রায়োনিয়া
আঘাতজনিত মায়েলাইটিসে আর্নিকা, সালফিউরিক এসিড, রাস টক্স, সিকিউটা, দেহসন্চালনে অত্যাদিক বৃদ্ধি, আহত স্হানে অত্যাদিক বেদনা, অস্হিরতা ও প্রবল পিপাসা।

♦ককিউলাস ইন্ডিকা
সমগ্র মেরুদন্ডের মধ্যে আক্ষেপিক সংকোচন অনুভব-নড়াচড়ায় বৃদ্ধি, সুক্ষ্ণ তার দ্বারা বাহু হইতে হস্ত পর্যন্ত নানিয়া ছিরিয়া পেলিবার ন্যায় অনুভুতি, নিম্নাঙ্গের পক্ষাগাত সহ আষ্টতা,অসাড়তা ও আঘাত লাগিবার ন্যায় বেদনা বোধ, বসিয়া থাকিলে পদতলে অসাড় বোধ হয়।

♦ডালকামারা
চর্মদ্ভেদ বাহির হতে না পেরে, অথবা শীতল আদ্র বায়ুুে রোগ লক্ষণ প্রকাশ, স্পর্শে (বিশেষতঃ মাসিক ঋতু কালে) মায়েলাইটিস, নাড়াচাড়ায় মেরুদন্ডে ও হস্তপদাদিতে তীব্র বেদনা।

♦জেলসিমিয়াম
মায়েলাইটিসের প্রথম অবস্হা, ইচ্ছানুযায়ী অঙ্গসন্চালনে অক্ষমতা, মস্তিস্কে বিশৃঙ্খলা, ঝাপসা দৃষ্টি জিহ্বা ও গলনালীর পক্ষাঘাত অসারে মৃত্র নির্গমন হলে জেলসিমাম উপযোগী ঔষধ,।

♦মার্কুরিয়াস
পদদ্বয়, মুত্রথলী ও মলভান্ডের পক্ষাঘাত, পক্ষাঘাতগ্রস্হ স্হানে মধ্যে মধ্যে জিলিক দেয়, মেরুদন্ডে প্রবল বেদনা নড়াচড়ায় বৃদ্ধি, ত্বকে স্পর্শনুভুতি লুপ্ত।

♦নাক্স ভুমিকা
প্রাতঃকালে সহসা পদদয়ে শক্তির অভাব বোধ হয়, হাতে ও পায়ে অবশ বোধ হয়। কাটিদেশ বেষ্টন করিয়া বন্ধনের ন্যায় অনুভুতি,মেরুদন্ড ও হস্তপদাদিতে অসারতা ও কুটকুটানি অনুভব, ঠান্ডা লাগিয়া অত্যাদিক স্ত্রী সঙ্গম হেতু অথবা মেরুদন্ডের রোগবশতঃ আড়ষ্টতা সুনিদ্রার পর উপশম।

♦ওপিয়াম
জিহ্বার পক্ষাঘাতবশতঃ কথা বলিতে কষ্ট, হস্তঘাত, মুত্রস্হলী গ্রীবার পক্ষাঘাত (স্ফিংটার পেশীর পক্ষাঘাত হয় না বলিয়া মুত্রাবরোধ ঘটে ও মুত্রথলী পরিপুর্ণ হইলে অসারে বিন্দু বিন্দু মুত্রপাত হয় ) এবং অন্ত্রর পেশীর পক্ষাঘাত।
♦ফসফরাস
অতিরিক্ত স্ত্রী সঙ্গম বা জলে ভিজিবার ফলে মেরুদন্ডের মধ্যে প্রদাহজ্বালা, বিভিন্ন ভার্টিব্রা স্পর্শে বেদনা বোধ, হস্ত পদদয়ের অসাড়তা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, ঝাপসা দৃষ্টি মাথাঘোরা, কোষ্ঠবদ্ধতা।

♦ফাইসোস্টিগমা
মেরুমজ্জার রক্তাধিক্যবশতঃ পক্ষাঘাত ও টিটেনাসের ন্যায়আক্ষেপ, গ্রীবার আড়ষ্টতা, সমগ্র মেরুদন্ড ব্যাপিয়া আড়ষ্টতা ও বেদনা, তজ্জন্য সরলভাবে বসিতে বা দাড়াইতে পাড়ে না- সম্মুখে অবনত হইতে হয়।

♦পিকরিক এসিড
মধ্যে মধ্যে টনিক ও ক্লোনিক আক্ষেপ, পদদয় বিস্তৃত করিয়া দারাইতে হয়, পদদ্বয়ে ঝিনঝিন অনুভব, পচন্ড লিঙ্গোচ্ছাস সহ প্রবল কামলিস্পা ও অস্হির নিদ্রা মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শুক্রস্খলন।

♦সিকেলীকর
প্রথমে মুখমন্ডলের পেশীতে আক্ষেপ উপস্হিত হয় এবং পরে ব্যাপক হয়, জিহআবার আক্ষেপ, পেটের মধ্যে আক্বষ্টবৎ বেদনা, হৃদ্স্পন্দন, পৃষ্ট হইতে হস্ত ও পদাঙ্গুলিবিস্তৃত ঝিনঝিন;পদদ্বয়ের পক্ষাঘাত ও তন্মধ্যে ঝাকি ও জিলিক অনুভব;প্রসারক পেশীতে বেদনাযুক্ত আক্ষেপ, মুত্রস্হলী ও মলভান্ডের পক্ষাঘাত।

♦ষ্ট্যামোনিয়াম
সার্ভাইকাল ডর্স্যাল মেরুদন্ডাস্হি বা ভার্টিব্রা মধ্যে অবিরাম বেদনা ও স্হানে স্হানে স্পর্শে বেদনা বোধ।অন্ধকারে চলিতে গেলে মাতা ঘুরায়, ঝাপ দৃষ্টি, মুখমন্ডলের পেশীর আক্ষেপ বা নর্তন, হস্তপদাদির কম্পন বা পক্ষাঘাত।

♦সালফার
স্ক্যাপুলাদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্হানে জ্বালা ও টাটানি বেদনা, লাম্বার প্রদেশে রক্তাধিক্যবশতঃ পদদয়ের পক্ষাঘাত ও মুত্ররোধ, মস্তকশীর্ষে উত্তাপ, প্যালপিটেশন, নিদ্রাহীনতা।

♦ট্যারেন্টুলা
মেরুদন্ডর স্পর্শাতিশয্যতা-মেরুদন্ড মৃদুভাবে স্পর্শ করিলেও বুকের মধ্যে আক্ষেপিক বেদনাসহ অশেষ যন্ত্রনা, দুর্দান্ত শীরঃপীড়া, মস্তক মধ্যে সুচিবিধনবৎ যন্ত্রনা-বালিশের সহিত মাথা ঘর্ষণ করিলে উপশম বোধ;সমগ্র শরীরে জ্বালাময় উত্তাপ।

♦জিঙ্কাম মেট
লাম্বার প্রদেশস্হ বা ভার্টিব্রা মধ্যে দীর্ঘস্হায়ী তীব্র বেদনা-বসিয়া থাকিলে বৃদ্ধি দাড়াইলে উপশম, সমগ্র মেরুদন্ডের জ্বালাযুক্ত বেদনা, বুকের মধ্যে উত্তাপ এবং উদ্বেগ বোধ, প্যালপিটেশন হলে জিঙ্কাম উপযোগী।

🇧🇩উপরে উল্লেখিত ঔষধ ছাড়াও অনেক ঔষধ ব্যবহার হয়।এই লেখাটি চিকিৎসার সামান্যই উপস্হাপিত হয়েছে।এই ঔষধ কিনে এই রোগের চিকিৎসা না করাই ভাল।ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন.

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুরা তাদের বুদ্ধিমত্তার বেশিরভাগ অংশ মায়ের কাছ থেকে পায়, কারণ বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত অনেক জিন...
26/07/2025

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুরা তাদের বুদ্ধিমত্তার বেশিরভাগ অংশ মায়ের কাছ থেকে পায়, কারণ বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত অনেক জিন থাকে X ক্রোমোজোমে। এর প্রধান কারণ হলো X ক্রোমোজোমের জিনতত্ত্ব। এই ক্রোমোজোমে এমন অনেক জিন থাকে যেগুলো মানুষের চিন্তাশক্তি বা জ্ঞানীয় ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত।

মেয়েদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকে, কিন্তু ছেলেদের থাকে মাত্র একটি। ফলে শিশুরা মায়ের কাছ থেকে বুদ্ধিমত্তা-সম্পর্কিত জিনের “ডাবল ডোজ” পায়।

আরও জটিল বিষয় হলো বাবার কাছ থেকে আসা কিছু উন্নত বুদ্ধিমত্তার জিন শরীরে নিষ্ক্রিয় (deactivate) হয়ে যেতে পারে, কারণ কিছু জিন “conditioned” থাকে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো প্যারেন্ট (মা বা বাবা) থেকে আসলে তবেই তা সক্রিয় হয়।

ইঁদুরের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের জিন মস্তিষ্কের বৃদ্ধি বা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত, আর বাবার জিন প্রধানত আক্রমণাত্মকতা ও কিছু অর্জনের ক্ষুধার মতো আচরণগত বিষয়ে কাজ করে। মানুষের ওপর চালানো এক বৃহৎ গবেষণাতেও এমন ফলাফল দেখা গেছে ১২,০০০-এর বেশি তরুণদের উপর দীর্ঘমেয়াদি (longitudinal) এক স্টাডিতে দেখা গেছে, মায়ের আইকিউ ও শিশুর বুদ্ধিমত্তার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।

তবে শুধু জিনই নয়, পরিবেশের প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মায়ের ভালোবাসা ও আবেগপূর্ণ লালন-পালন শিশুর মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস (যা স্মৃতি ও শেখার সঙ্গে সম্পর্কিত) উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তবুও বিজ্ঞানীরা এটাও বলেন যে, বাবার অবদানও কম নয়। আবেগী সহায়তা ও ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা, অন্তর্দৃষ্টি (intuition) ইত্যাদি অনেক গুণও বাবার কাছ থেকে আসে, যা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সূত্র: England, C. (2019, December 23). “Children inherit their intelligence from their mother not their father, say scientists.” — The Independent

এটা সারাজীবন লাগবে! সেভ করে রাখেনClinicopathologically জন্ডিস তিন প্রকার।Haemolytic, Hepatic, Obstructive jaundice. এই ত...
25/07/2025

এটা সারাজীবন লাগবে! সেভ করে রাখেন
Clinicopathologically জন্ডিস তিন প্রকার।Haemolytic, Hepatic, Obstructive jaundice. এই তিন প্রকার জন্ডিসে ল্যাবরেটরি ভ্যালু কোনটাতে কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তাই নিয়েই এই পোস্ট।



প্রথমে বলি, বিলিরুবিন এর কথা।

সহজ ভাষায় বলি। RBC ভেঙ্গে বিলিরুবিন হবে। সেটা albumin এর সাথে বাইন্ড হবে যা, Unconjugated বিলিরুবিন এবং পানিতে অদ্রবণীয়। তাই এটা ইউরিন এ যেতে পারেনা।

সেই বিলিরুবিন লিভারে যাবে। হেপাটোসাইট তাদেরকে glucoronic acid দিয়ে conjugated করে ফেলবে(এটা পানিতে দ্রবণীয়). সেই কনজুগেটেড বিলিরুবিন bile duct দিয়ে intestine-এ যাবে। সেখানে কোলনের ব্যাকটেরিয়া তাকে stercobilinogen এ কনভার্ট করবে। stercobilinogen এর কিছু অংশ অক্সিডাইজ হয়ে stercobilin হবে। এই দুইটাই মলের সাথে বেরিয়ে যাবে।

Stercobilinogen এর সামান্য কিছু অংশ absorb হয়ে লিভারে যাবে। সেখানে গিয়ে পুনরায় intestine এ ফেরত আসবে কিছু, আর কিছুটা রক্ত দিয়ে চলে যাবে কিডনিতে। কিডনিতে এটাই হয়ে যাবে Urobilinogen (মূলত stercobilinogen ও Urobilinogen একই জিনিস). এই Urobilinogen এর কিছু অংশ অক্সিডাইজ হয়ে Urobilin হয়। এই দুইটাই ইউরিন দিয়ে বের হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, urobilin এর কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়।

এখন আসা যাক, তিন ধরনের জন্ডিসে কোন ভ্যালু কিভাবে চেঞ্জ হয় সেটা দেখি।

√ Serum Bilirubin কেমন হবে?

Hemolytic jaundice এ হিমোলাইসিস হবে অর্থাৎ, ব্লাড সেল ভেঙে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি হবে। যেটা আনকনজুগেটেড বিলিরুবিন। এটা নরমালি serum এ থাকে। যখন লাইসিস খুব বেশি হয়, এবং নরমাল ফাংশনিং লিভার তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আর কনজুগেট করতে পারেনা তখন unconjugated bilirubin বেড়ে গিয়ে hemolytic jaundice হিসেবে প্রকাশ পায়।

Hepatocellular Jaundice এ লিভারের সেল এ সমস্যা। ঠিকঠাক unconjugated bilirubin কে আপটেক করতে পারেনা, বা ঠিকঠাক conjugate করতে পারেনা, বা ঠিকঠাক conjugated bilirubin কে Bile এর মাধ্যমে ট্রান্সপোর্ট করতে পারেনা। যার কারণে, এখানে con. & uncon. বিলিরুবিন দুটোই বেড়ে যায়।

Obstructive jaundice এ লিভারের ভিতরে বা বাইরে bile duct এ কোন অবস্ট্রাকশন থাকে, যেটা bile flow কে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে লিভার থেকে কনজুগেট হওয়া বিলিরুবিন সামনে যেতে না পেরে ব্যাক ফ্লো করে ব্লাডে চলে আসে। তাই এখানে conjugated bilirubin বেশি।

√ AST, ALT কেমন হবে?

AST, ALT দুটোই hepatocyte এ থাকে। তাই লিভার ড্যামেজ হলে দুটোই বেড়ে যাবে। অর্থাৎ Hepatocellular jaundice এ দুটোই বেড়ে যাবে।

AST,ALT লিভারের বাইরেও অনেক জায়গায় থাকে। যেমন, AST হার্ট ও মাসলে থাকে। তাই Myocardial Infarction বা প্রচন্ড এক্সারসাইজেও এটা বেড়ে যেতে পারে।

কিন্ত ALT প্রধানত লিভারে থাকে। একারণে লিভার ড্যামেজ নির্ণয়ে AST এর চেয়ে ALT এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি।

যাহোক, লিভারে থাকার ফলে Obstructive Jaundice এও এটা সামান্য বেড়ে যাবে।

√ ALP, GGT কেমন হবে?

এই দুইটা থাকে hepatic sinusoid, bile canaliculi, bile duct এর wall এর cell membrane এ। (শরীরের অন্য জায়গাতেও থাকে কিন্ত লিভারে একটু বেশি থাকে)। আর তাই bile duct obstruction অর্থাৎ Obstructive jaundice এ এদের লেভেল বেড়ে যাবে। আর Hepatocellular jaundice এ সামান্য বাড়বে।

√ PT কেমন হবে?

prothrombin হল clotting factor আর তা তৈরি হয় লিভারে। লিভার ড্যামেজ হলে prothrombin production কমে যাবে। যার ফলে ব্লাড clot হতে টাইম বেশি লাগবে। মানে, prothrombin time বেড়ে যাবে। সুতরাং, hepatic jaundice এ PT বেড়ে যাবে।

Obstructive jaundice এ অবস্ট্রাকশন এর কারণে bile যেতে পারেনা ইন্টেসটিন এ। আর আমরা জানি bile acid হেল্প করে fat absorbtion এ। (ইমালসিফিকেশন, মাইসেলি তৈরির মাধ্যমে) তাই bile পরিমাণমতো ইন্টেসটিনে না যাওয়ায় fat এবং fat soluble vitamins(Vitamin A,D,E,K) এর শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়।

আর, আর ফ্যাট সল্যুবল ভিটামিনের একটা হল, Vitamin K, যেটা কিছু clotting factor তৈরিতে সাহায্য করে। (vitamin K dependent clotting factors II, VII, IX, X)

vit.K এর অভাবে এইসব ক্লোটিং ফ্যাক্টর তৈরি হয়না। মানে factor-II(prothrombin) তৈরি হয়না, যার ফলে PT বেড়ে যায়।

√ Urine এ bilirubin পাওয়া যাবে?

Hemolytic jaundice এ unconjugated bilirubin বেড়ে যায়, যা insoluble in water.. তাই এই ক্ষেত্রে ইউরিনে বিলিরুবিন পাওয়া যাবেনা।

হেপাটোসেলুলার জন্ডিসে conju+unconju দুটাই বেড়ে যায়। আর conju বিলিরুবিন water soluble. তাই ইউরিন এ সামান্য বিলিরুবিন পাওয়া যেতে পারে।

Obstructive jaundice এ conju bilirubin বাড়ে, যা water soluble । তাই ইউরিনে বিলিরুবিন পাওয়া যাবে।

√ Urine এ Urobilinogen পাওয়া যাবে?

hemolytic এ বেশি বেশি uncon bil. তৈরি হয়। তার মানে বেশি বেশি uncon bil. লিভারে যায়। বেশি বেশি বিলিরুবিন কনজুগেট হয়। বেশি বেশি con. Bil. ইন্টেস্টিনে যায়। বেশি stercobilinogen তৈরি হয়। বেশি stercobilinogen এবসর্ব হয়। বেশি urobilinogen কিডনি দিয়ে ইউরিনে যায়। অর্থাৎ Urobilinogen বেশি পাওয়া যাবে ইউরিনে।

Obstructive jaundice এ বিলিরুবিন কনজুগেট হবে ঠিকই কিন্তু ঠিকমতো ইন্টেস্টিনে যেতে পারেনা। ফলে stercobilinogen কম হবে। তার মানে urobilinogen কম হবে।

√ ইউরিনে Bile Salt পাওয়া যাবে?

bile salt, বাইলের সাথে মিশে ইন্টেস্টিনে যাবার কথা, কিন্ত Obstructive jaundice এ সেটা ব্যাক ফ্লো করে ব্লাডে যায়, তারপর সেটা ইউরিনে যায়। তাই এখানে ইউরিনে বাইল সল্ট পাওয়া যাবে।

√ Stool এর কালার কেমন হবে?

Stool এর কালার সাধারণত খাবার আর bile pigment এর উপর নির্ভর করে। বাইল yellow-green কালারের। কিন্ত ইন্টেস্টিনের বিশাল পথ অতিক্রমের ফলে কেমিক্যাল অল্টারেশন হয়ে ব্রাউন কালার হয়, এবং এটাই stool এর নরমাল কালার।

কিন্ত Obstructive jaundice এ ঠিকমত বাইল না আসায় এবং ফ্যাট এবসর্বশন না হওয়ায় pale colour, bulky, frothy stool হয়।

Hepatocellular jaundice এ বাইল প্রোডাকশনে কতটুকু সমস্যা হবে তার উপর নির্ভর করে normal or pale coloured stool হবে।

√ Stool এ Stercobilinogen কেমন হবে?

Hemolytic এ বাড়বে, এবং বাকি দুটোতে কমবে। কারণ আগেই বলা হয়েছে ( urobilinogen এর আলোচনায়)

Subscribe Youtube channel:

https://youtube.com/?si=_ewgUfvERmC6d2Yp

We simplify complex medical science for Bengali-speaking students, making learning easier and more accessible. Here, we break down challenging concepts in a way that’s clear, engaging, and relatable. Join us to master medical topics in your own language, and build a strong foundation for your care...

25/07/2025

আফ্রিকার প্রবাদ
°
কেবল নির্বোধ একটা গরুই সুন্দর কোনো কসাইখানায় যাওয়ার কথা ভেবে উল্লসিত হতে পারে। (যাম্বিয়ার প্রবাদ)

°
একটা ঈগল, তা সে আকাশের যতোই উঁচুতে উঠুক না কেন, খাবারের সন্ধানে মাটিতেই নেমে আসতে হবে। (জিম্বাবুয়ের প্রবাদ)

°
সিংহের নেতৃত্বে থাকা একপাল ভেড়াও, ভেড়ার নেতৃত্বে থাকা একদল সিংহকে পরাজিত করতে পারে। (ঘানার প্রবাদ)

°
অণ্ডকোষে বসা মাছি মারতে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। (ঘানার প্রবাদ)

°
কোনো প্রবাদে যখন মাংসবিহীন হাড্ডির কথা বলা হয়, অস্বস্তিতে পড়ে যায় বুড়িরা। (ঘানার প্রবাদ)

°
পায়ু কখনোই মুখকে খাবারের স্বাদের ব্যাপারে ছবক দিতে পারে না। (দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাদ)

°
সুন্দরী নারীকে বিয়ে করা পুরুষ আর সড়কের ধারে ভুট্টা ফলানো কৃষক, দুজনেরই সমস্যা এক। (ইথিওপিয়ার প্রবাদ)

°
রাগে তোমার মাথা যতোই গরম হোক, ওর আলু সেদ্ধ করার সামর্থ্য নাই। (নাইজেরিয়ার প্রবাদ)

°
একই সূর্য মোমকে গলিয়ে দেয় আর কাদাকে করে শক্ত। (নাইজেরিয়ার প্রবাদ)

°
যদি তোমার জানা না থাকে কোথায় যাচ্ছো, তবে যে কোনো পথই তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে। (উগান্ডার প্রবাদ)

°
হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কোনো কুমারী থাকে না। (ক্যামেরুনের প্রবাদ)

°
একটা শিশু মায়ের স্তন নিয়ে খেলা করতে পারে, বাবার অণ্ডকোষ নিয়ে নয়। (গিনির প্রবাদ)

°
যদি মুখই ছোরাকে ঢোকার পথ করে দেয়, তবে পায়ুর উচিত কীভাবে সেটাকে বের করা যায় তা নিয়ে ভাবা। (দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাদ)

~~অনুবাদ: হিজল জোবায়ের

25/07/2025

কথার আঘাতে ভেঙে পড়লে, আপনি কখন গড়বেন নিজেকে?

মানুষ আপনাকে কথায় আঘাত করবে—এটাই স্বাভাবিক।
পরিবারে কেউ খোঁটা দেবে, বন্ধুরাও কথা শুনাবে।
এই সবের পরও ধৈর্য ধরতে হবে।

শুনে খারাপ লাগবে, কষ্ট হবে—তবুও আপনাকে নিজেকে সামলে নিতে হবে।
কারণ, যে যত বেশি ধৈর্য ধরে, সে তত বেশি শক্ত হয়।

জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে যদি নিজেকে শক্ত করতে না পারেন, তাহলে কবে পারবেন?

পরিস্থিতি ভালো হোক বা খারাপ—নিজেকে শক্ত রাখতে শিখুন।
ধৈর্য না থাকলে আপনি কোনো লড়াই জিততে পারবেন না।

চলার পথে কাঁটা থাকবেই।@
কিন্তু কাঁটা ছাড়া যদি রাস্তা পান, তাহলে সেটা আসলে কোনও "রাস্তা"ই না।

তাই যতই কষ্ট হোক, ভেঙে না পড়ে নিজেকে গড়ুন।
কারণ ধৈর্যই হবে আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।@

একটা বিরল রোগ আছে, যেখানে মানুষ ধীরে ধীরে ঘুম হারিয়ে ফেলে এবং মারা যায়।রোগটার নাম Fatal Familial Insomnia (FFI)।  এই র...
24/07/2025

একটা বিরল রোগ আছে, যেখানে মানুষ ধীরে ধীরে ঘুম হারিয়ে ফেলে এবং মারা যায়।

রোগটার নাম Fatal Familial Insomnia (FFI)।
এই রোগে প্রথমে ধীরে ধীরে ঘুম কমে যায়, এরপর একসময় একেবারেই ঘুম আসা বন্ধ হয়ে যায়।
চোখ বন্ধ থাকলেও মস্তিষ্ক জেগে থাকে, আর শরীর সম্পূর্ণ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যায়, স্মৃতি কমে যায়, হ্যালুসিনেশন দেখা দেয়।
ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং অবশেষে মৃত্যু ঘটে।

এই রোগ বংশগত এবং যাদের শরীরে Prion নামের বিকৃত প্রোটিন তৈরি হয়, তাদেরই হয় এই রোগ।
এখনও এর কোনো চিকিৎসা নেই।

এই রোগ আমাদের শেখায় ঘুম কেবল বিশ্রাম নয়, বেঁচে থাকার জন্য একান্ত জরুরি।
ঘুম আসছে না বলে যারা বিরক্ত হন, তারা ভাবুন—
কেউ কেউ জীবনে শুধু একটাই চায়, ‘একটু ঘুম আসুক।’

একটা পোকা আছে, যার শরীরের রং "সোনার মতো চকচকে", কিন্তু আসলে ওটা সোনা না।এই পোকাটির নাম “Golden Tortoise Beetle”। দূর থেক...
24/07/2025

একটা পোকা আছে, যার শরীরের রং "সোনার মতো চকচকে", কিন্তু আসলে ওটা সোনা না।

এই পোকাটির নাম “Golden Tortoise Beetle”। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন কেউ সোনার পাত দিয়ে গায়ে পালিশ করেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এরা যখন ভয় পায় বা বিরক্ত হয়, তখন সাথে সাথে রং পাল্টে ফেলে—সোনালি থেকে হয়ে যায় বাদামি বা লালচে রঙের!

এই পোকাগুলো “ন্যানোস্ট্রাকচার” ব্যবহার করে আলোর প্রতিফলন এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে রং বদলানো সম্ভব হয়—যেটা মানুষের বানানো অনেক আধুনিক প্রযুক্তিরও বাইরে!

এটা শুধু একটা পোকা না, এটা হলো প্রকৃতির এক জীবন্ত ম্যাজিক—যা বিজ্ঞানের চোখেও বিস্ময়!

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উনি মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাব থেকে ১০ মিন...
23/07/2025

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উনি মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাব থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি। উনি চার্চে ফিরে এলেন না। মেয়ের বিয়ে হয়ে গাড়িতে চড়ে হানিমুনে গেলেন। ৭ দিন পর মেয়ে ফিরে এসে মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বাবা কোথায়? তখন মা বললেন, ওই যে গেছেন আর আসেননি। তখন মেয়ে নিজে ল্যাবে গিয়ে দেখলেন, বাবা গভীর চিন্তায় মগ্ন। বাবা, কি ব্যাপার! উনি বললেন, মা তুমি চার্চে যাও, আমি কাজটা ১০ মিনিটের মধ্যেই শেষ করে আসছি। এরকমই গভীর ছিল তাঁর ধ্যান, অধ্যাবসায়।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানি স্যার আলবার্ট আইনস্টাইনকে নিয়ে কিছু মজার গল্প। ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,"গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?" আইনস্টাইন বললেন,"একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুলে ভরা সব কাগজগুলো ফেলব।"

বেলজিয়ামের রানি আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ করেছেন। তাঁকে নিতে স্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর। কিন্তু স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন আইনস্টাইন। রানি লজ্জিত হলেন। জানালেন যে, তাঁকে আনতে গাড়ি রেলস্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন,"আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি। পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি। যদি গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখতে পারতাম?" এমনই সহজ সরল আর সাধারণ ছিলেন তিনি।

তবে সবচেয়ে মজার গল্পটা হল, আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব(The Theory of Relativity) আবিষ্কারের জন্য পৃথিবীতে সর্বাধিক পরিচিত। মজার ব্যাপার তিনি কিন্তু তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পাননি। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে হাতে গোণা কয়েকজন মাত্র বিজ্ঞানী তাঁর এই তত্ত্বটি বুঝতে পারেন। আর তাই হয়ত রয়েল সুইডিশ একাডেমির জুরিবোর্ড আইন্সটাইনের তত্ত্বটির নিগূঢ় অর্থটি বুঝাতে পারেনি। তাই সে বছর নোবেল তাঁর কপালে না জুটলেও ১৯২১ সালে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া(Photo Electric Effect) ব্যাখ্যা করে, তিনি পেলেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ।

Address

Habiganj

Telephone

01769963027

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হাজীগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক, রাজনগর, মৌলভীবাজার। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to হাজীগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক, রাজনগর, মৌলভীবাজার।:

Share

Category