29/06/2025
                                            অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ:
ফুসফুসের রোগগুলোর মধ্যে অনেক দেখা যায় এমন একটি রোগ হল অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ। যেকোনো বয়সের মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। হাঁপানি সাধারণত ছোটবেলা থেকে শুরু হয়, তবে প্রাপ্তবয়স্ক হবার পরেও অনেকের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত হাঁপানি শুরু হতে পারে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের লক্ষণগুলো কী কী? 
🟥শ্বাসকষ্ট
🟥শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় শিস্ দেওয়ার মত শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া
🟥বুকে চাপ লাগা –  মনে হতে পারে যেন কোন বেল্ট বুকের চারপাশে আঁটসাঁট হয়ে আছে
🟥কাশি
হাঁপানি রোগের কারণসমূহ কী কী?
ফুসফুসে বাতাস আনা নেওয়া করে যে শ্বাসনালীগুলো, সেগুলোর (প্রদাহের কারণে) ফুলে ওঠার কারণে হাঁপানি হয়। শ্বাসনালীগুলো অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পরে এবং সাময়িকভাবে সরু হয়ে যায়।
কিছু কিছু জিনিস হাঁপানি উদ্রেক করতে পারে। সচরাচর দেখা যায় এমন কিছু কারণ হল:
🟥অ্যালার্জি। যেমন পশুর লোম, ফুলের রেণু, ধূলিকণার পোকা ইত্যাদির প্রতি অ্যালার্জি
🟥ধোঁয়া বা পরিবেশ দূষণ
🟥ঠাণ্ডা হাওয়া
🟥শারীরিক ব্যায়াম
🟥সর্দিকাশির মতো অসুস্থতা বা ভাইরাস সংক্রমণ
হাঁপানি উদ্রেকের এই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চললে লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
এই রোগের জটিলতাগুলো কী কী?
যদিও হাঁপানি সাধারণত নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রাখা যায়, তবুও মনে রাখতে হবে এটি একটি জটিল রোগ যা নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এজন্য নিচের দুটি কাজ করা জরুরি:
1. নিয়মমাফিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলা।
2. লক্ষণগুলো খারাপ হতে থাকলে সেগুলো কোনোভাবেই উপেক্ষা না করা।
অনিয়ন্ত্রিত হাঁপানি রোগ বেশ কিছু সমস্যা করতে পারে। যেমন:
🟥সবসময় ক্লান্ত লাগা
🟥মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষন্নতা
🟥ফুসফুসের সংক্রমণ (নিউমোনিয়া)
🟥বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা বা বয়ঃসন্ধিতে দেরি হওয়া
🟥কর্মক্ষেত্র বা স্কুলে অনুপস্থিতি বা আগের চেয়ে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া  
🟥হঠাৎ করে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ায় 🟥দৈনন্দিন কাজ ও অবসর ব্যহত হওয়া
কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক অ্যাজমা অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে, যা প্রাণঘাতীও হতে পারে।